29 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
29 January 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - আত্মাকে নিরোগী বানানোর জন্য আধ্যাত্মিক (রূহানী) স্টাডি করো আর করাও, আধ্যাত্মিক হসপিটাল খোলো"
প্রশ্নঃ --
কোন্ একটি নেশা রাখলে বাকি সব আশা স্বততঃই পূর্ণ হয়ে যায় ?
উত্তরঃ -:-
কেবল বাবাকে স্মরণ করে এভারহেল্দি হওয়ার আশা রাখো। জ্ঞান-যোগের আশা পূর্ণ যদি করো তবে বাকি সকল আশা স্বততঃই পূরণ হয়ে যাবে। বাচ্চারা তোমরা কোনো প্রকারের কু-অভ্যাস রাখবে না। অলরাউন্ডার হতে হবে। এক একজন আত্মার মধ্যে ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ত আছে, কিন্তু সার্ভিস অবশ্যই করতে হবে।
গান:-
ধৈর্য ধর রে মন, সুখের দিন এল বলে.
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা গীত শুনল। এই সময় সব আত্মাদেরকে ধৈর্য দেওয়া হয়ে থাকে। আত্মার মধ্যেই মন বুদ্ধি রয়েছে। আত্মাই দুঃখী হয়, তখন বাবাকে আহ্বান করে – হে পতিত পাবন পরমপিতা পরমাত্মা এসো। কখনো ব্রহ্মা বিষ্ণু শংকরকে পতিত পাবন বলা হয় না। যখন তাদেরকেই বলা যায় না তখন লক্ষ্মী-নারায়ণ, রাম-সীতা এদেরকেও (পতিত পাবন) বলা যেতে পারে না। পতিত পাবন তো একজনই। বিষ্ণুর চিত্র তো হলই পবিত্র। তিনি হলেন বিষ্ণুপুরীর মালিক। বিষ্ণুপুরীর স্থাপনকারী হলেন শিববাবা । তিনিই এই সময় বিষ্ণুপুরী স্থাপন করছেন। সেখানে দেবী-দেবতারাই থাকেন। বিষ্ণু ডিনায়েস্টি বলো কিম্বা লক্ষ্মী-নারায়ণের ডিনায়েস্টি (সাম্রাজ্য) বলো, একই কথা। এই সব পয়েন্টস্ হল ধারণ করার মতো। বাবা হলেন রুহানী আর এটা হল রূহানী স্টাডি, রূহানী সার্জারী হয়, সেইজন্য বোর্ডে নামও এইভাবে লেখা উচিত – “ব্রহ্মাকুমারী রূহানী ঈশ্বরীয় বিশ্ব বিদ্যালয়”। রূহানী বা আধ্যাত্মিক কথাটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। রূহানী হসপিটালও বলা যেতে পারে। কেননা বাবাকে অবিনাশী সার্জনও বলা হয়, পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগরও বলা হয় । তিনি আমাদেরকে ধৈর্য দিচ্ছেন যে, বাচ্চারা আমি এসেছি। আমি রূহ’দের পড়াই। আমাকে সুপ্রিম রূহ বলে। আত্মারাই রোগগ্রস্ত হয়েছে, খাদ পড়েছে। সত্যযুগে থাকেন পবিত্র আত্মারা আর এখানে হল অপবিত্র আত্মারা। ওখানে পূণ্য আত্মারা, এখানে পাপ আত্মারা। আত্মার ওপরেই সব কিছু নির্ভর করছে। আত্মাদের শিক্ষা প্রদানকারী হলেন – পরমাত্মা । তাঁকেই স্মরণ করা হয়। সব কিছু তাঁর কাছেই চাওয়া হয়। কোনো দুঃখী কাঙাল হলে বলবে – কৃপা করো, সাহুকারের থেকে কিছু পয়সা পাইয়ে দাও। পয়সা পেয়ে গেলে বলবে ভগবান দিয়েছেন বা কারো মাধ্যমে দিয়েছেন। কেউ যদি কার্পেন্টার (ছুতোর মিস্ত্রি) হয়, পেমেন্ট তো সে মালিকের থেকেই পাবে। বাচ্চারা বাবার থেকে পায় । কিন্তু নাম ঈশ্বরের খ্যাত হয়। ঈশ্বরকে তো মানুষ জানেই না, সেইজন্য এইসব যুক্তি তৈরী করে। জিজ্ঞাসা করা হয় যে, পরমপিতা পরমাত্মার সাথে আপনার কী সম্বন্ধ ? প্রজাপিতা ব্রহ্মা আর জগদম্বার সাথে তোমাদের কী সম্বন্ধ ? রাজ- রাজেশ্বরী লক্ষ্মী-নারায়ণের সাথে তোমাদের কী সম্বন্ধ ? তারা তো হলেন স্বর্গের মালিক। যিনি স্বর্গের স্থাপনা করেছেন তিনিই নিশ্চয়ই তাদেরকে এই উত্তরাধিকার দিয়েছেন। তারা তো হলেন বিষ্ণুপুরীর মালিক । মুখ্য চিত্র হল শিববাবা আর ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরের। মানুষ বিষ্ণুকে সর্বালঙ্কারে ভূষিত করে দেখিয়েছে। বিষ্ণুর দ্বারা পালনা করেন, শঙ্করের দ্বারা বিনাশ। এনার কর্তব্য এতটা নয়। মহিমাযোগ্য হলেন শিববাবা, বিষ্ণুও তো তৈরী হন। শঙ্করের পার্ট আলাদা। মানুষ নাম রেখে দিয়েছে ত্রিমূর্তি। রাম – সীতা, লক্ষ্মী – নারায়ণ এদের চিত্র হল প্রধান। এদের পরে হল রাবণের চিত্র । সেটাও ৪৬ ফুট বড়ো তৈরী করা চাই। রাবণকে প্রত্যেক বছর দহন করা হয়, এর সাথে তোমাদের সম্বন্ধ কী ? একে জ্বালানো হয় যখন তাহলে তো অবশ্যই বড়ো শত্রু হবে। প্রদর্শনীতে এর বড়ো চিত্র হওয়া চাই। এর রাজ্য দ্বাপর থেকে শুরু হয় যখন দেবী দেবতা বামমার্গে গিয়ে পতিত হন। এছাড়াও বাদ-বাকি যে চিত্র আছে, প্রদর্শনীতে সেগুলোও আলাদা আলাদা ভাবে দেখাতে হবে, এ সবই হল কলিযুগের চিত্র। গণেশ, হনুমান কচ্ছপ – মৎস ইত্যাদি সকলের চিত্র রাখা উচিত। এরকম অনেক প্রকারের চিত্র পাওয়া যায়। একদিকে কলিযুগী চিত্র আরেকদিকে তোমাদের চিত্র। এর ওপরে তোমরা বোঝাতে পারো। প্রধান চিত্র হল শিববাবার আর এইম অবজেক্ট এর। লক্ষ্মী-নারায়ণের আলাদা, সঙ্গমের আলাদা, কলিযুগের আলাদা। চিত্রের প্রদর্শনীর জন্য বিশাল বড় কক্ষ চাই।
দিল্লীতে অনেকেই আসবেন। ভালো মন্দ দুইই থাকে। খুব সতর্ক থাকতে হবে, বুঝে নিতে হবে । চিফ জাস্টিসকে (প্রধান বিচারপতি) দিয়ে ওপেনিং করিয়ে থাকে, তিনিও নামীদামি নম্বর অনুসারে। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতি ইকুয়্যাল (দুজনেই সমান) । একে অপরকে শপথ গ্রহণ করান। তারা নিশ্চয়ই কিছু বুঝেছেন তবেই না উদ্বোধন করবেন ? কনস্ট্রাক্শনেরই উদ্বোধন করবেন, ডিস্ট্রাক্শনের তো করবেন না।
এখন বাবা বলেন বাচ্চারা তোমাদের সুখের দিন আসছে। বোর্ডে হাসপাতালের নাম অবশ্যই লিখতে হবে। আর কারা এটি প্রতিষ্ঠা করেছে? অবিনাশী সার্জন হলেন পতিত পাবন বাবা, তাই না? পবিত্র দুনিয়াতে তো পবিত্র মানুষ কখনও অসুস্থ ইত্যাদি হন না, পতিত দুনিয়াতে তো অনেক রকমের অসুখ রয়েছে । তাই সার্ভিসের জন্য চিন্তা ভাবনা করা উচিত । কি কি চিত্র রাখা উচিত, কীভাবে তা বোঝানো উচিত। কোনো অনভিজ্ঞ ব্যক্তি যদি বোঝান তাহলে কিছুই বোঝাতে পারবেন না। বলবে, এখানে তো কিছুই নেই । এ’সব হল কাল্পনিক গল্প কথা ! এইজন্য প্রদর্শনীতে বুদ্ধিহীনদের কখনও বোঝানোর জন্য দাঁড় করানো উচিত নয়। বোঝানোর জন্য চাই বুদ্ধিমান ব্যক্তি । বিভিন্ন ধরনের মানুষ আসে। কোনো বড়ো মাপের মানুষকে কম বুদ্ধি সম্পন্ন কেউ বোঝালে সমস্ত প্রদর্শনীর নাম বদনাম হয়ে যাবে। বাবা বলতে পারেন অমুক ব্যক্তি কেমন প্রকারের টিচার হতে পারেন। সকলে তো একইরকম বুদ্ধিমান হন না। অনেক দেহ-অভিমানী মানুষও আসে।
এখন বাবা বলেন – আত্মারা তোমাদের সুখের দিন আসছে। স্বর্গের মহিমা তো সকলে করে। কিন্তু স্বর্গেও বিভিন্ন পদ বিশিষ্ট আছে। নরকেও নম্বর অনুসারে রয়েছে । বিজয়মালায় গাঁথা যারা হবেন তারা তো রাজ – রাজেশ্বরী হবেন। আমরা জিজ্ঞাসাও করে থাকি যে – জ্ঞান জ্ঞানেশ্বরী জগদম্বার সাথে তোমাদের কী সম্বন্ধ ? জ্ঞান জ্ঞানেশ্বরীকে ঈশ্বর জ্ঞান প্রদান করেন তখন তিনি হয়ে ওঠেন রাজ-রাজেশ্বরী। জগদম্বার তো অনেক সন্তান এবং প্রজাপিতা ব্রহ্মারও তো অনেক সন্তান। কতোই না সূক্ষ্ম এ’সব কথা ! মানুষ তো বুঝতেই পারে না যে প্রজাপিতা ব্রহ্মা এবং জগদম্বা আসলে কে ? প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলীই হবে তারা তাই না ? যারা সেন্সিবল (সুবুদ্ধিসম্পন্ন) হবে, তারা সাথে সাথে প্রশ্ন করবে – এ’ সব কথা আমি বুঝতে পারছি না যে প্রজাপিতা ব্রহ্মা আর জগদম্বার নিজেদের মধ্যে কি কানেকশন যে তাদের মুখ থেকে এতো বাচ্চাদের জন্ম হয়েছে ? এই ধরনের প্রশ্ন করলে সে কেমন বুদ্ধি সম্পন্ন সেটা অনুমান করতে পারা যায় । বাবা সমস্ত রহস্য বোঝান। ত্রিমূর্তি, কল্পবৃক্ষ, গোলা, লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র, এদের এইম অবজেক্ট রয়েছে এবং যিনি অবিনাশী বর্সা প্রদান করবেন তাঁর চিত্রও উপরে রয়েছে । সুতরাং যিনি বোঝাবেন তাকে অনেক বুদ্ধিমান হতে হবে। প্রশ্নপত্রও খুব ভালো তৈরী করা হয়েছে । রাবণের সাথে তোমার কী সম্বন্ধ ? এতো বড়ো বড়ো বিদ্বান, পণ্ডিত ইত্যাদিরাও বোঝেন না যে এ শত্রু কীভাবে হল? আমরাও আগে বুঝতে পারতাম না। বাবা বলেন, ইনি হলেন ব্রহ্মা, যাকে আমি অ্যাডপ্ট করেছি, তিনিও জানতেন না । এখন জানেন, তাই অন্যদেরকেও বোঝানোর শখ থাকা চাই। এই প্রদর্শনী হল একেবারেই নতুন। যদি কেউ কপিও করে তাহলেও কিছুই বোঝাতে পারবে না। এ বড়ই আশ্চর্যের ! অনেক নেশা চাই। সার্ভিসে সম্পূর্ণরূপে নিয়োজিত হয়ে যাওয়া উচিত । চিত্র অনেক চাইতে থাকবে, তাই অনেক সংখ্যায় রাখতে হবে । সার্ভিসের জন্য বিশালবুদ্ধি হওয়া চাই। খরচ তো হবেই। অর্থ তো খরচ করার জন্যই। খরচ করতে থাকলে আসতেও থাকবে। ধন দিলে, ধন কম হয়ে যায় না । বাচ্চা তো অনেক তৈরী হতে থাকবে । অর্থ তো সার্ভিসের কাজে লাগানো হয় । রাজধানী তো সত্যযুগেই হবে। এখন প্রাসাদ ইত্যাদি বানানোর প্রয়োজন নেই। তাতে গভর্মেন্টের কতো খরচ হয়ে যায় । এখানে হল চিত্র তৈরীর খরচ। দিন দিন খুব ভালো ভালো পয়েন্টসও বেরিয়ে আসতে থাকে। রাবণ রাজ্য কবে থেকে শুরু হয়েছে তা অত্যন্ত যুক্তি সহকারে বোঝানো হয়েছে। অর্ধ কল্প রাবণ রাজ্য অর্ধ কল্প রাম রাজ্য। এই রাবণের হাত থেকে বাবা-ই এসে মুক্ত করেন। আর কেউ মুক্তি দিতে পারে না। এর জন্য তো সর্বশক্তিমানকেই চাই। উনিই পারেন মায়ার উপর বিজয় প্রাপ্ত করাতে। তাহলে সত্যযুগে এই রাবণ শত্রু হতোই না। ধীরে ধীরে তোমাদের প্রভাব অনেক বেড়ে যাবে, তখন বন্ধনযুক্ত (বাঁন্ধেলী) মাতা, কন্যারা সবাই মুক্ত হয়ে যাবে। বুঝতে পারবে এ তো খুব ভালো কথা। কলঙ্ক তো লাগবেই। কৃষ্ণের উপরেও তো কলঙ্ক লেগেছিল তাই না। স্থাপনের সময় পালানো ইত্যাদির কলঙ্ক লেগেছিল, মন্দ কথাও বলেছিল। তারপর স্বর্গেও কলঙ্ক লাগিয়েছে, সর্প দংশন করেছে, এই করেছে, সেই করেছে… কত আজেবাজে কথা ! প্রদর্শনীতে অনেকেই আসে, তাদেরকে বলা হয় সেন্টারে এসে বুঝতে। এসে নিজেদের জীবন তৈরী করো। কালের উপর জয় প্রাপ্ত করো। ওখানে কাল খেতে পারে না। একটা গল্পও আছে – যমদূত আনতে গেলে তাকে বলা হয় যে আপনি ভেতরে আসতে পারবেন না… এ’সব হল অনেক বড়ো বোঝার মতো বিষয়। এ’ সব বোঝার জন্য বিশালবুদ্ধি চাই এবং দেহী অভিমানী হওয়া চাই। আমরা হলাম আত্মা, পুরানো সম্বন্ধ আর পুরানো শরীরের প্রতি কোনো আসক্তি রাখা উচিত নয়। এখন নাটক সম্পূর্ণ হচ্ছে, আমরা ঘরে ফিরে যাচ্ছি। স্বর্গে গিয়ে আমাদের নতুন সম্বন্ধে জুড়তে হবে। এই জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে। এই পুরানো দুনিয়া তো বিনষ্ট হতে চলেছে। আমাদের সম্বন্ধ তো বাবার সাথে আর নতুন দুনিয়ায় সাথে। এই কথা স্মরণ করতে হবে। এই জ্ঞান তোমরা প্রাপ্ত করছো ভবিষ্যতের নতুন দুনিয়ায় জন্য। এই পুরানো দুনিয়া তো কবরখানা হয়ে যাবে, এর সাথে কি হৃদয়কে যুক্ত করা উচিত ? এই দেহ সহ সব কিছুই তো বিনষ্ট হতে চলেছে। দেহী – অভিমানী হওয়া খুব ভালো। আমরা বাবার কাছে যাই। নিজের সাথে কথা বললে তবেই কাউকে বোঝাতে পারবে।
এখন বাচ্চারা তোমরা জানো যে, আমাদের সুখের দিন আসছে। পাস হওয়ার জন্য যত বেশী তোমরা পুরুষার্থ করবে তত উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে। সার্টিফিকেট তো টিচার দেবেন, তাই না। তিনি জানেন এর মধ্যে সত্যতা কতটা। কতটা সেবাপরায়ণ (সার্ভিসেবল) । এই আত্মা কন্স্ট্রাকশনের (স্থাপনার) কাজ করছে তো ? ডিস্ট্রাকশনের (ক্ষতি) কাজ করছে না তো ? সার্ভিসেবলই বাবার হৃদয়ে আসন নিতে পারে। যদিও এখন কেউ পরিপূর্ণ নয়। ত্রুটি বিচ্যুতি তো সকলের মধ্যেই থাকে। পরিপূর্ণ এগোতে এগোতেই হবে। শখ রাখতে হবে – মানুষের জীবনকে কীভাবে তৈরী করব ! কাঁটাকে ফুল বানাতে হবে। বাবাও কাঁটা তুল্য মানুষকে ফুল বানিয়ে দেন। দেবতা বানিয়ে দেন। জ্ঞান এবং যোগও চাই। বাচ্চারা বৃদ্ধি পেতে থাকবে তারপর কেউ বিরোধিতা করবে না। তখন সবাই বুঝতে পারবে। এখানে কোনো দেবী-দেবতা তো নেই। প্রতিটি বিষয়ে ধ্যান দিতে হয় । অলরাউন্ডার বুদ্ধি চাই। কেউ ঠিকঠাক ভাবে সার্ভিস করে, কেউ আবার করে না। আরাম পছন্দ করে এমন কেউ নেই তো ? সারাদিন এটা চাই, ওটা চাই এই রকম কেউ নেই তো ? একে বলা হয় লোভ। কাপড় ভালো চাই, ভোজন ভালো চাই। অনেক আশা আছে। বাস্তবে যজ্ঞ থেকে যা পাওয়া যায় সেটাই ভালো। সন্ন্যাসী কখনও একের অধিক জিনিস নেয় না, কেউ এই রকম করলে বুঝতে হবে অভ্যাস ভালো নয়। শিববাবার যজ্ঞ থেকে সব কিছু সঠিক পাওয়া যায়। তারপরেও কিছু আশা থেকে যায়। আগে জ্ঞান যোগের আশা তো পূরণ করো। এই আশা তো জন্ম- জন্মান্তর রেখে এসেছো। এখন তো বাবাকে স্মরণ করলে আমরা এভারহেল্দি হয়ে যাব – এই আশা রাখতে হবে। তাহলে তো অবশ্যই লিখতে হবে যে, এ হল রুহানী হসপিটাল, যা থেকে মানুষ বুঝতে পারে যে এ হল হসপিটাল এবং কলেজও। বাবা বাড়িকেও হাসপাতাল বা কলেজের আদলে বানিয়েছেন। কলেজগুলিতে কোনো সাজসজ্জা থাকে না, সিম্পল হয়ে থাকে । আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) আরাম প্রিয় হবে না । সার্ভিসের (সেবা) জন্য অনেক শখ (ইচ্ছা) রাখা উচিত। সেবার জন্যই পয়সা খরচ করতে হবে । মানুষকে কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত করতে হবে।
২ ) সর্বদা কন্স্ট্রাকশনের (নির্মাণ) কাজ করতে হবে। ডিস্ট্রাকশনের নয়। নিজের সাথে কথা বলতে হবে। আমরা কোথায় যাচ্ছি ! কী হতে চলেছি !
বরদানঃ-
শক্তিশালী স্মরণ এক সময় ডবল অনুভব করায়। একদিকে স্মরণ অগ্নি রূপে ভস্মীভূত করার কাজ করে, পরিবর্তন নিয়ে আসার কাজ করে আর অপরদিকে খুশী অর্থাৎ হাল্কা হওয়ার অনুভব করিয়ে থাকে । এই রকম বিধিসম্মত শক্তিশালী স্মরণকেই যথার্থ স্মরণ বলা হয়। এই রকম যথার্থ স্মরণে থাকা স্বরূপ বাচ্চারাই হল সমর্থ । এই স্মৃতি তথা সমর্থীই নম্বর ওয়ান প্রাইজের অধিকারী বানিয়ে দেয় ।
স্লোগানঃ-
লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
পরমাত্মার প্রেম হল এই শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ জন্মের আধার। বলাও হয়ে থাকে, যেখানে ভালবাসা আছে সেখানেই জীবন আছে। ভালবাসা নেই তো জীবন নিষ্প্রাণ, জগৎ শূন্য। ভালবাসা পাওয়া অর্থাৎ জগৎ পেয়ে যাওয়া । দুনিয়ার মানুষ এক ফোঁটার জন্য তৃষ্ণার্ত আর বাচ্চারা তোমাদের কাছে এই প্রভু-প্রেম হল প্রপার্টি (প্রকৃত সম্পদ) । এই প্রভু-প্রেমে পালিত হওয়া অর্থাৎ ব্রাহ্মণ জীবনে অগ্রসর হতে থাকা। তাই সর্বদা প্রেমের সাগরে লভলীন থাকো।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!