27 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 26, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের সুখের দিন এখন আসছে, অন্যদের মতামত এবং কলিযুগী কুলের মর্যাদাকে ত্যাগ করে এখন তোমরা উপার্জন করো, বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নাও”

প্রশ্নঃ --

কোন্ পুরুষার্থের দ্বারা অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনই গতি হবে ?

উত্তরঃ -:-

বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমরা এখনও পর্যন্ত যা কিছু পড়েছো সব ভুলে গিয়ে কেবল একটাই বিষয় স্মরণ করো – চুপ করে থাকো, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবার স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করো। বাবা বাচ্চাদের কোনো কষ্ট দেন না, বরং দ্বারে দ্বারে হোঁচট খাওয়া থেকে রক্ষা করেন। গরীব ছেলে-মেয়েদের বিয়ে ইত্যাদির জন্য ঋণ নেওয়ার হাত থেকেও বাবা মুক্ত করে দেন। বাবা বলেন হে বাচ্চারা, তোমরা পবিত্র হয়ে গেলে অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যাবে।

গান:-

ধৈর্য ধর রে মন…

ওম্ শান্তি । এই গান হলো ভক্তি মার্গের। ওরা এর অর্থ বোঝে না। কেবল বাচ্চারাই জানো। এখন সত্যিই আমাদের সুখের দিন আসছে যার জন্য আমরা পুরুষার্থ করছি। যত পুরুষার্থ করবে ততই সুখ প্রাপ্ত হবে। শ্রীমৎ অনুসরণ করে ঝুলি ভরপুর করছো। ভক্তিমার্গকে বলা হয় ব্রহ্মার রাত। ওরা জানে না যে পতিত-পাবন বাবা কখন আসবেন। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে, কলিযুগের অন্তিম এবং সত্যযুগের আদিকে সঙ্গমযুগ বলা হয়, এখন তোমরা তাদের কুম্ভকর্ণের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলছো। মানুষ এক পতিত পাবন, জ্ঞানের সাগর বাবাকে স্মরণ করে। যে সাগর থেকে জলের নদীর উৎপত্তি হয়েছে সেই সাগরকে স্মরণ করে না। সেখানে তো নদীর মিলন হয়, সাগর-নদীর মিলন হয় না। সাগর এবং নদীর মিলনেই বিশেষত্ব রয়েছে, সেখানে অবশ্যই সাগর থাকতে হবে, তাই না। সত্য বাবা যিনি সত্যযুগ স্থাপন করেন তিনি নর থেকে নারায়ণ হওয়ার সত্য কাহিনী শোনাচ্ছেন। সবাই তাঁকেই স্মরণ করে, হে পতিত-পাবন এসো। সুতরাং সঙ্গমযুগে যখন পরমাত্মা আসেন তখনই বলা হয় আত্মা এবং পরমাত্মার মিলন। এটাই হলো সত্যিকারের মিলন। তোমরা লিখতে পারো, একমাত্র পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগেই আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন হয়, যার মাধ্যমে অপবিত্র সৃষ্টি পরিবর্তন হয়ে অবশ্যই পবিত্র হয়ে যায়। ওটা হলো পবিত্র দুনিয়া, এটা হলো পতিত দুনিয়া। এটাই হলো সত্যিকারের মিলন, যখন পতিত-পাবন বাবা এসে পতিত আত্মাদের পবিত্র করে সঙ্গে নিয়ে যান। পরমাত্মার সাথে আত্মার মিলন হয় পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করার জন্য। এর একটি কার্টুন তৈরি করা উচিত। বাবা এই সবকিছু আগে থেকেই বোঝাচ্ছেন। বিশেষতঃ তারা শিবরাত্রিতেই ত্রিবেণী নদীর (তিন নদীর সঙ্গমস্থলে) তীরে যায়। এই সব বোঝানোর নেশা থাকা উচিত। যারা ভালো বোঝাতে পারে, যুক্তি দিয়ে বোঝাবে, নাহলে অতিরিক্ত কথা বলতে থাকবে। কুম্ভমেলা সত্য না মিথ্যা বোঝাতে হবে। এটা হলো সঙ্গমযুগ যখন পতিত দুনিয়া পবিত্র হয়। সুতরাং এটাই হলো সত্যিকারের মিলন। ওই মানুষগুলো কুম্ভকর্ণের অজ্ঞান নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। তারা বলে পরমাত্মা সর্বব্যাপী। তিনি তো হলেন পতিত-পাবন, পবিত্র করার জন্য ওঁনাকে আসতে হয়। তোমরা জানো এটাই হলো একমাত্র পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ যখন উত্তরণ কলা হয়। সত্যযুগের পরে তোমাদের নীচে নামতেই হবে। যে সময় অতিবাহিত হয়েছে, বলা হয় শেষ হয়েছে। পুরাতন হতে হতে সম্পূর্ণ পুরানো হয়ে যায়। তোমাদের স্বস্তিকা চিহ্নও এইভাবে তৈরি হয়েছে, সতোপ্রধান, সতো, রজো, তমো….। তোমরা জানো এখন আমরা বাবার থেকে নিরন্তর সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ করছি। বাবা খুব সহজভাবে পুরুষার্থ করান। তিনি কোনো কষ্ট দেন না বরং দ্বারে দ্বারে হোঁচট খাওয়া থেকে রক্ষা করেন। বিয়ের জন্য অনেক খরচ হয়। গরিবদের তো ঋণ নিয়ে বিয়ে করতে হয়। বাবা এই ঋণ ইত্যাদি থেকে মুক্ত করেন। তিনি নরকে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন এবং খরচা ব্যায় ইত্যাদি থেকেও রক্ষা করেন। এইজন্য এখানে অনেক গরিব’রা আসে। কত ভালো ভালো কুমারীরা এখানে আসতো, হঠাৎ করে কাম বিকারের ঝড় আসে তারপর বাগদানের পর বিয়ে করে নেয়। বিয়ের পর তারা অনুতাপ করে – তারা একটা বড় ভুল করেছে। সময় লাগে তাই না ! বাবা তাই বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেন। ধনীরা এখানে আসতে পারে না। তারা নিজেরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে না আর না স্ত্রী সন্তানদেরকে সত্য উপার্জন করতে দেয় । গরীবদের মধ্যেও অনেক কুপ্রথা রয়েছে । লোকে কি বলবে, লোকলাজ, সামাজিক বিধি নিষেধ তাদেরকে একেবারে শেষ করে দেয় । কোনো বাচ্চা ঠিক করে না পড়লে গভীর নরকে (দোজখ) চলে যায়। বাবা দোজখ থেকে উদ্ধার করতে এসেছেন। কেউ কেউ সেখান থেকে বেরিয়ে আসে না। পশু তো নয় যে নাকে দড়ি দিয়ে টেনে আনতে হবে। তিনি বোঝাতে থাকেন। বাবা বাচ্চাদের সৃষ্টিকর্তা হওয়ার কারণে বোঝান, বাচ্চারা তোমরা সত্যিকারের উপার্জন করো, বাচ্চাদেরও করাও। তবুও অনেক ঝামেলা চলতেই থাকে। স্ত্রী আসলে স্বামী আসে না, স্বামী এলেও ছেলেমেয়ে আসে না। সেইজন্য অনেক বিরোধও হয়। সব কিছু তোমাদেরকে খুব ভালোভাবে বোঝানো হয় । মূল বিষয় হলো পবিত্রতা।

বাচ্চারা লেখে, বাবা ক্রোধ এসে গিয়েছিল। তাই বোঝানো হয় তোমরা বাচ্চাদের ওপরে ক্রোধ কেন করো ! দেখানো হয়েছে যে কৃষ্ণের মা যশোদা তাঁর হাত বেঁধে কাঠের খুঁটিতে বেঁধে রেখেছিলেন। কিন্তু এইরকম কিছু ছিল না। ওখানে তো মর্যাদা পুরুষোত্তম বাচ্চারা খুবই সুন্দর স্বভাবের হয়। এখানেও কোনো কোনো বাচ্চা খুব ভালো হয়। অন্যদের সাথে কথা বলার সময় তারা খুব সুন্দর আচরণ করে থাকে। এখানে তো অনেক বাচ্চারা রয়েছে। কেউ কেউ তো শ্রীমৎ অনুসারে চলেই না, নিয়ম অনুসারে চলে না। নিয়মও তো রয়েছে তাই না ! যারা সামরিক বাহিনীতে কাজ করে তারা জিজ্ঞেস করে – বাবা, ওখানে খেতে হয়, কি করবো ? বাবা বলেন – শুদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করো। সেই রকম পরিস্থিতিতে দৃষ্টি দিয়ে খাও, আর কী করবে ! দুটো রুটি তো পেতে পারো, মধু, মাখন এবং আলু ইত্যাদি খেতে পারো। যে জিনিসের অভ্যাস হয়ে গেছে সেটা চলতেই থাকবে। প্রতিটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে হবে। বাবা তো সবকিছু খুব সহজ করে দেন। সর্বোত্তম হল পবিত্র হওয়া। কিছু কিছু বাচ্চারা এমনও হয় যে তারা তাদের পরিবারকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। বাবার সম্পত্তিকে নষ্ট করে নাম বদনাম করে দেয়। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে এখন আছে যে, আমাদের সুখের দিন আসছে। সুতরাং কেন আমরা ভালো করে পুরুষার্থ করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করবো না ! পুরুষার্থের মাধ্যমেই মর্যাদা প্রাপ্ত করবে। মাম্মা বাবা সিংহাসন প্রাপ্ত করেন। জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বরী থেকে তারপর রাজ-রাজেশ্বরী হন। তোমাদেরও ঈশ্বর জ্ঞান প্রদান করেন। তোমরাও এই জ্ঞান গ্রহণ করে অন্যদের নিজের সমান করে তুললে রাজ-রাজেশ্বরী হবে। মা বাবাকে স্মরণ করা উচিত। এতে অন্ধশ্রদ্ধার কোনো বিষয় নেই। কেউ কেউ সন্ন্যাসীদের ফলোয়ার্স হয়ে যায় কিন্তু সত্যিকারের ফলো তো করে না। যারা সন্ন্যাস ধর্মে যেতে চায় তারা ঘরে থাকবে না। তারা অবশ্যই সন্ন্যাসী হওয়ার পুরুষার্থ করবে। ড্রামা অনুসারেই ভক্তি মার্গ শুরু হয়েছে। সতঃ, রজঃ, তমঃ পর্যায়ে সবাইকেই আসতে হবে। সবার প্রথমে শ্রীকৃষ্ণকে দেখো, তাঁকেও অবশ্যই ৮৪ জন্ম নিতে হবে। এখন অন্তিম জন্মে থাকলে তবেই আবার শুরুতে আসবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ নম্বর ওয়ান থেকে লাস্টে এসেছেন, আবার নম্বর ওয়ানে আসবেন। তাঁদেরকে জগতের নাথ কে বানিয়েছিল ? কখন উত্তরাধিকার পেয়েছিলেন তারা ? তোমরা বাচ্চারা জানো সঙ্গমযুগেই তাঁরা এই উত্তরাধিকার পেয়েছিলেন। সমগ্র রাজত্ব স্থাপন হবে। ব্রাহ্মণরাই ৮৪ জন্ম নিয়েছিল, যারা এখন পার্ট প্লে করছে। এটা খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। কিন্তু কেউ কিছু ধারণ করে তো কেউ কিছু… এখানেই হল পুরুষার্থের ব্যাপার। বাবা প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ দ্বারা সম্মুখে বলেন – আমি এসেছি, আমাকে স্মরণ করো তাহলে যোগের দ্বারা তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। আত্মা বলে হ্যাঁ বাবা, আমি এই কান দ্বারা শুনি। শরীর ব্যতীত আপনি আমাদেরকে রাজযোগ কীভাবে শেখাবেন ? শিব জয়ন্তীও পালিত হয় । আমি আসি কিন্তু কেউ জানে না।

বাবা বোঝান – আমি প্রত্যেক কল্পে ব্রহ্মার শরীরেই আসি, তিনি ৮৪ জন্ম নিয়েছেন, এতে কোনো পরিবর্তন হতে পারে না। তিনি রাজ-রাজেশ্বর ছিলেন, এখন আবার জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বর হয়ে রাজ-রাজেশ্বর হবেন। এই ড্রামা আগে থেকেই তৈরী রয়েছে। গায়নও করা হয় – ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর। প্রজাপিতা তো ব্রহ্মাকেই বলা হবে। বিষ্ণু বা শঙ্করকে বলা হবে না। প্রজা অর্থাৎ মানুষ। তিনি বলেন মানুষকেই দেবতায় পরিণত করি। কোনো নতুন সৃষ্টি করি না। বাবা জিজ্ঞাসা করেন বাচ্চারা, এখন স্বর্গে যাবে ? নিজেকে সমর্পণ করবে ? আমি এসেছি – এখন আমাকে স্মরণ করো। যতখানি সম্ভব দেহধারীদের কম স্মরণ করো। হ্যাঁ, তোমরা হলে কর্মযোগী, সারাদিনে সবকিছু করো কিন্তু তার সাথে সাথে এমন স্মরণে থাকো যাতে অন্তিমেও আমার স্মরণ থাকে। নাহলে যার সাথে বুদ্ধিযোগ থাকবে সেখানে জন্ম নিতে হবে। ঘর-পরিবারে থেকে বাবাকে স্মরণ করতে পরিশ্রম হয়। বাবা বলেন, রাত্রিবেলা জাগো। তোমাদের শরীর অসুস্থ হবে না। যোগের দ্বারা তো আরও শক্তি প্রাপ্ত হবে। স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে চক্র ঘোরাও। নিদ্রা জয়ী আদরের প্রিয় বাচ্চা – যাঁর রথ নিয়েছি তাকে বলছি।

তোমরা জানো যে, তিনিই রাজ-রাজেশ্বর হন তাই তাঁকে নিদ্রাকে জয় করতে হয়। দিনের বেলায় সার্ভিস করতে হবে। এছাড়া উপার্জন তো রাতের বেলায় করতে হবে। ভক্তরা ভোরে ঘুম থেকে ওঠে। গুরুরা তাদের বলে মালা জপ করতে হবে। কাজকর্মের মধ্যে তো জপ করতে পারবে না। কেউ কেউ পকেটের ভেতরে মালা জপ করে। তাই সকালে উঠে স্মরণ করা উচিত, বিচার সাগর মন্থন করা উচিত। স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে। এভারহেলদি হওয়ার জন্য নিরন্তর স্মরণ করতে হবে, তবেই অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যাবে। অনেক উচ্চ পদ প্রাপ্ত হয়ে যাবে, এতে দ্বারে দ্বারে ধাক্কা খাওয়ার ব্যাপার নেই। চুপ করে থাকতে হবে এবং পড়াশোনা করতে হবে। বাকি যা কিছু পড়েছো ভুলে যেতে হবে। বাচ্চারা নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আত্মাই শরীরের দ্বারা কর্ম করে। করনকরাবনহার হলো আত্মা। পরমপিতা পরমাত্মাও এসে এনার মাধ্যমে কর্ম করেন। আত্মাই কর্ম করে এবং করায়। এই পয়েন্টেগুলো ভালোভাবে বুদ্ধিতে ধারণ করলে তবেই যোগ্য হয়ে উঠবে। যারা নিজে বোঝার পর অন্যদেরও বোঝায় – বাবা তাদেরকেই যোগ্য মনে করেন। তারা স্বর্গে উঁচু পদ প্রাপ্ত করার যোগ্য। যারা বোঝায় না তারা উঁচু পদ প্রাপ্ত করার যোগ্য নয়। বাবা বলেন রাজা-রানী হওয়ার জন্য যোগ্য হও। তাদেরকেই যোগ্য সন্তান বলা হবে। এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে এবং আর কিছু করার দরকার নেই। বাবা সব বিষয় থেকে মুক্ত করে দেন, কেবল একটাই বিষয় স্মরণ করতে হবে। অন্তিমে যাকে স্মরণ করবে…. যারা সার্ভিসের যোগ্য বাচ্চা হবে তারা বাবার মুরলীর থেকে সাথে সাথে কার্টুন তৈরি করে ফেলবে। বিচার সাগর মন্থন করবে। বাচ্চাদের সার্ভিস করা উচিত। সার্ভিসেবল বাচ্চাদের ওপরে বাবার আশীর্বাদ থাকে। আশীর্বাদ নম্বর ক্রমানুসারে হয়। এই অসীমের পিতা সকলের জন্য বলেন – ফলো ফাদার-মাদার। এরা তো শিববাবার থেকে নলেজ প্রাপ্ত করেন। ব্রহ্মা উঁচু পদ প্রাপ্ত করেন, তোমরা কেন প্রাপ্ত করো না ? এখন ফলো করলে প্রত্যেক কল্পে উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে। এখন ফেল করলে প্রত্যেক কল্পে ফেল করবে।

আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার আশীর্বাদ প্রাপ্ত করার জন্য সার্ভিসের যোগ্য হতে হবে। নিজের সমান বানানোর সেবা করতে হবে। এখন জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বরী হয়ে তারপর রাজ-রাজেশ্বরী হতে হবে।

২ ) এক বাবার স্মরণে থাকার পরিশ্রম করতে হবে। কোনো দেহধারীর প্রতি বুদ্ধির যোগ রাখা উচিত নয়। নিদ্রা জয়ী হয়ে রাত্রিবেলা উপার্জন জমা করতে হবে।

বরদানঃ-

স্নেহের রিটার্ণে বরদাতা বাবা বাচ্চাদের এই বরদান দেন যে, “সর্বদা প্রতিটি মুহূর্তে, প্রত্যেক আত্মার প্রতি এবং প্রতিটি পরিস্থিতিতে স্নেহের প্রতিমূর্তি ভব”। কখনো নিজের স্নেহের মূর্তি, স্নেহপূর্ণ স্বভাব, স্নেহের ব্যবহার, স্নেহের সম্পর্ক-সম্বন্ধকে ভুলে যেও না। কোনও ব্যক্তি, প্রকৃতি অথবা মায়া যেভাবেই বিকারাল রূপ নিয়ে, জ্বালা রূপ ধারণ করে সামনে আসুক না কেন, সেই পরিস্থিতিকে সর্বদা স্নেহের শীতলতার দ্বারা পরিবর্তন করতে থাকো। স্নেহের দৃষ্টি, ভাবনা এবং কর্মের দ্বারা স্নেহের জগৎ নির্মাণ করো।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

যে সমস্ত আত্মা লভলীন স্থিতির সমান আত্মারা হলো সদা যোগী। তাদের যোগ যুক্ত করতে হয় না বরং সর্বদাই লভলীন। নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতেই পারেনি, তাহলে স্মরণ কী করবে ! স্মরণ স্বতঃতই থাকবে। যেখানে সাথে থাকে সেখানে স্মরণ স্বতঃতই থাকবে। সুতরাং সমান আত্মাদের স্টেজ হলো বাবার সাথে থাকা এবং সমায়িত হয়ে থাকা।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top