22 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
January 21, 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - কোনও রকমের লালসা বাচ্চারা তোমরা রাখবে না। কারো কাছ থেকেই কিছু চাইবে না। কেননা তোমরা হলে দাতার সন্তান, দাতা তোমরা"
প্রশ্নঃ --
তোমরা হলে গডলি স্টুডেন্ট, তোমাদের লক্ষ্য কোনটি আর কোনটি নয় ?
উত্তরঃ -:-
তোমাদের লক্ষ্য হল – বাবার দ্বারা যে নলেজ প্রাপ্ত হচ্ছে, তাকে ধারণ করা, পাশ উইথ অনার হওয়া। এছাড়া এটা চাই, ওটা চাই…এই ধরনের ইচ্ছা গুলো রাখা তোমাদের লক্ষ্য নয়। তোমরা কোনো মনুষ্য আত্মার সাথে লেনদেন করে হিসাব-পত্র তৈরী ক’রো না। বাবার স্মরণে থেকে কর্মাতীত হওয়ার পুরুষার্থ করো।
গান:-
শৈশবের সেই দিন গুলি ভুলে যেও না..
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা জানে যে, এ হল রুহানী বাবা আর বাচ্চাদের সম্বন্ধ । রুহানী বাবা এখন বসে আছেন আর বাচ্চারাও বসে আছে। সন্ন্যাসী ইত্যাদি যারা আছে, তারা তাদের আশ্রম থেকে যদি কোথাও যায়, তখন বলা হবে এই সন্ন্যাসী অমুক স্থানের। তারা গীতা থেকে বা শাস্ত্র থেকে শোনান। সে’সব কোনো নতুন কথা নয়। ঈশ্বর সর্বব্যাপী বলে দেওয়ায় সমগ্র জ্ঞানই শেষ হয়ে যায়। এখন ইনি তো হলেন রুহানী পিতা, যাকে সব রুহ স্মরণ করে। রুহ’ই বলে থাকে – ও পরমপিতা পরমাত্মা ! যখন দুঃখ হয়, তো লৌকিককে ডাকবে না, বেহদের বাবাকেই স্মরণ করবে। সন্ন্যাসী হলে ব্রহ্ম তত্ত্বকে স্মরণ করবে। তারা হলই ব্রহ্ম জ্ঞানী। বাবাকেই স্মরণ করে না। শিবোহম্ বলে, আমি আত্মা তথা পরমাত্মা। ব্রহ্ম বা তত্ত্ব তো হল থাকার স্থান। এ’সব কথা হল একেবারেই নতুন। এই জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। এই যে সব শাস্ত্র রয়েছে সে’সবের মধ্যে আমার জ্ঞান নেই। আমার জ্ঞান না থাকার কারণে তোমরা যখন কাউকে কিছু বোঝাও তখন বলে থাকো যে, এ হল একেবারে নতুন কথা। নিরাকার পরমাত্মা জ্ঞান প্রদান করছেন, এ’কথা তাদের বুদ্ধিতে আসে না। তারা তো মনে করে কৃষ্ণ জ্ঞান শুনিয়েছে, তাই তোমাদের কথা শুনলে তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। বাবা তো এক একটি কথাকে প্রমাণিত করে বলেন। ভক্তি মার্গে তোমরা তাঁকে স্মরণ করো। ভক্তরা তো সবাই ভক্তই। ভগবান তো হওয়া উচিত এক। সবের মধ্যে ভগবান আছে মনে করার ফলে সবাইকে পূজা করতে শুরু করে দেয়। প্রথমে অব্যাভিচারী একমাত্র শিবের ভক্তি হয়ে থাকে । কিন্তু জ্ঞান না থাকার কারণে তিনি কী করে গেছেন, কখন এসেছিলেন, সে’সব কিছুই জানে না। কিন্তু তবুও সেটা ছিল সতোপ্রধান ভক্তি। পূজা তো তার হওয়ার কথা যার কাছ থেকে সুখ প্রাপ্ত হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্বেও অপার সুখ ছিল। তারা ছিল স্বর্গের দেবতা। লক্ষ্মী-নারায়ণকে সত্যযুগের সর্ব প্রথম মহারাজা-মহারানী বলে মানা হয়। কিন্তু মানুষ সত্যযুগের আয়ু কত তা জানে না। বাবা প্রতিটি কথা বাচ্চাদেরকেই বুঝিয়ে বলেন। বাচ্চারাই ব্রাহ্মণ হবে। এ হল নতুন রচনা, তাই না ? তোমরা সবাইকে বোঝাতে পারো যে, পরমপিতা পরমাত্মা প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা নতুন সৃষ্টি রচনা করেন, এটা তো সবাই বুঝতে পারে। নাহলে প্রজাপিতা কেন বলবে ? এই কথা গুলি তোমরা বাচ্চারাই জানো। দ্বিতীয় আর কেউ জানে না। এই সব নতুন নতুন কথা তারা কিছুই বুঝতে পারে না। শুনতে শুনতে যখন পাকাপোক্ত হয়ে যাবে, তখন বুঝতে পারে যে, আমরা কতো ঘোর অন্ধকারে ছিলাম। না ভগবানকে জানতাম না দেবতাদেরকে জানতাম। যারা পাস্ট হয়ে যায়, তাদেরই ভক্তি করা হয়। তারপর জিজ্ঞাসা করো, পরমপিতা পরমাত্মা, যার জয়ন্তী তোমরা পালন করো, তার সাথে তোমাদের সম্বন্ধ কী ? তিনি কী করে গেছেন ? তারা কিছুই বলতে পারবে না। কৃষ্ণের বিষয়ে কেবল বলে, সে মাখন চুরি করেছে, এটা করেছে, গীতা জ্ঞান দিয়েছে। কতো গড়বড় হয়ে গেছে তার ফলে । দাতা তো হলেন একমাত্র ঈশ্বরই। কৃষ্ণকে তো ঈশ্বর বলা যাবে না। তার ফলে তো তারা বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। এ সবই ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে। বাবা কতো ভালো ভাবে বোঝান। নাটশেলে বলা কথা এতটুকুও মানুষের বুদ্ধিতে ঢোকে না। যদি এক একজনের ৮৪ জন্মের বৃত্তান্তকে বসে বের করা হয়, তবে না জানি কতো হয়ে যাবে! বাবা বলেন এই সব কথা ছেড়ে মামেকম্ স্মরণ করো। যেমন মন্ত্র দেওয়া হয় যে ঈশ্বরকে স্মরণ করো। কিন্তু তারা এটা বলবে না যে, ঈশ্বরকে স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে আর ঈশ্বরের কাছে চলে যাবে। এ’সব তো বাবা’ই বোঝান, গঙ্গা-স্নান করলে বিকর্ম বিনাশ হবে না। এই সময় প্রত্যেকের ওপরে অনেক বড় বিকর্মের বোঝা রয়েছে । সুকর্ম তো সামান্যই হয়, জন্ম জন্মান্তরের বিকর্ম তো অনেক। কতো জ্ঞান আর যোগে থাকে, তাও এত বিকর্মের বোঝা যে ছাড়তেই চায় না। যখন কর্মাতীত হয়ে যাবে, তখন তোমাদের নতুন জন্ম নতুন দুনিয়া প্রাপ্ত হবে। যদি কিছু বিকর্ম থেকে যায়, তবে পুরানো দুনিয়াতেই আবার জন্ম নিতে হবে। জ্ঞান তো বাচ্চাদের ভালোই প্রাপ্ত হচ্ছে। বাবা বলেন, আর কিছুই যদি বুঝতে না পারো, তবে বাবাকে স্মরণ করো। এতেও সেকেন্ডে স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়ে যাবে । একটা গল্পও আছে খুদা-দোস্তের। একদিনের জন্য বাদশাহী দেওয়া হত। এখন তোমরা জানো যে, বাবা’ই হলেন ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা, বন্ধু… সব। তাহলে খুদা-দোস্ত হলেন না ? আল্লাহ অবলদীন, খুদা-দোস্ত এই সব কথা হ’ল এই সময়ের। বাবা তোমাদেরকে এক সেকেন্ডে স্বর্গের বাদশাহী প্রদান করেন। ছোট ছোট কন্যারা যখন ধ্যানে যেত, সেখানে প্রিন্স প্রিন্সেস হয়ে যেত। সেখানকার সব সমাচার এসে শোনাত। তোমরা বাবাকে এখন জানো। সবাই বলে থাকে হেভেনলি গড ফাদার, তিনি নিশ্চয়ই স্বর্গের নতুন দুনিয়ার রচনা করবেন। ভারতই গোল্ডেন এজ ছিল। সেই সময় আর অন্য কোনো ধর্ম ছিল না। খ্রীষ্টানরাও বলে – খ্রীষ্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিল। যেখানে লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজত্ব করতেন। সেইজন্যই তো জিজ্ঞাসা করা হয় যে, এরা এই অবিনাশী উত্তরাধিকার বা সম্পদ কোথা থেকে পেয়েছিলেন ? ভারতবাসীদের সাথে এদের কী সম্বন্ধ ? স্বর্গের মালিক প্রথমে এরাই ছিলেন। এখন তো হল নরক, তাহলে এরা কোথায় গেলেন ? জন্ম মৃত্যুকে তো মানবে, তাই না ? আত্মা জন্ম মৃত্যুতে আসে বলেই তো ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে। নইলে কীভাবে নেবে ! দুনিয়াতে তো অনেক মত। কেউ পুনর্জন্মকে মানে, তো কেউ মানে না। জিজ্ঞাসা করা উচিত পরমপিতা পরমাত্মার সাথে তোমাদের কী সম্বন্ধ ? এই ব্রহ্মা বিষ্ণু শংকর কে ? কোথায় থাকেন তারা ? তোমরা বলবে সূক্ষ্ম লোকে। অন্য কেউ তো বলতে পারবে না। তোমাদের কাছে তা’ কতো সহজ! মাতা’দের তো কোনো চাকরি বাকরি করবার ব্যাপার নেই। তারা তো বাড়িতেই থাকে। চাকরি বা ব্যবসার জন্য মাথা ঘামাতে হয় না। বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে। পুরুষার্থ করবার উৎসাহ রয়েছে । তোমাদেরকে তো বাবা বলেন, তোমরা নিজেদের পদ প্রাপ্ত করে নাও, বিশ্বের মালিক হও। বিত্তশালী মানুষদের তো কতো চিন্তা থাকে। দুনিয়াতে ঘুষ দেওয়া নেওয়াও খুব বেড়ে গেছে। তোমাদের ঘুষ নেওয়ার কোনো দরকারই নেই। সে সব তো ব্যবসাদারদের কাজ। তোমরা এর থেকে মুক্ত হয়ে গেছ। তা সত্ত্বেও মায়া যখন তখন চুলের মুঠি ধরে নেয়, সেইজন্য কিছু না কিছু লোভ-লালসা চলতেই থাকে, তাই জিজ্ঞাসুদের থেকে চাইতে থাকে। বাবা বলেন, কারো কাছ থেকেই চাইবে না। তোমরা না দাতার সন্তান ? তোমাদের তো দিতে হবে, কারো কাছে চাইতে হবে নাকি ? তোমাদের যা কিছু চাই, তোমরা শিব বাবার কাছ থেকে পেয়ে যেতে পারো। আর কারো কাছ থেকে যদি নাও তবে তার কথাই মনে পড়বে। প্রতিটি জিনিস শিব বাবার থেকে নিলে শিব বাবার কথাই বারে বারে তোমাদের মনে পড়বে। শিব বাবা বলেন – তোমাদের লেন-দেনের হিসাব তো হ’ল আমার সাথে। এই ব্রহ্মা তো হ’ল মাঝের দালাল। দিয়ে তো থাকি আমি। আমার সাথে তোমরা কানেকশন রাখো থ্রু ব্রহ্মা । কোনো জিনিস যদি কারো কাছ থেকে নাও, তবে তার কথাই স্মরণে আসবে আর তোমরা ব্যভিচারী হয়ে যাবে । শিব বাবার ভান্ডার থেকে তোমরা জিনিসপত্র নাও আর কারো কাছ থেকে চেও না। নাহলে যে দেবে তারই ক্ষতি হয়ে যাবে। কারণ সে তো শিব বাবার ভান্ডারীতে দিতে পারল না। দেওয়া তো উচিত ছিল শিব বাবার ভান্ডারীতে। মানুষের সাথে কানেকশন তো অনেক সময় ধরে রেখেছো, এখন তোমাদের কানেকশন হল ডায়রেক্ট শিব বাবার সাথে। কিন্তু বাবা জানেন বাচ্চাদের মধ্যে লোভের ভূত রয়েছে।
অনেক বাচ্চাই বলে আমি শিব বাবাকে দেখিনি। আরে তুমি কি নিজেকে কখনো দেখেছ ? তোমাদের নিজের আত্মার সাক্ষাৎকার হয়েছে যে বলছ আমরা শিব বাবার সাক্ষাৎকার করতে চাই ? তোমরা জানো যে, আমাদের আত্মা ভ্রুকুটির মাঝখানে থাকে। শিব বাবাও ভ্রুকুটির মাঝখানেই থাকবেন। তোমরা জানো যে, আত্মা একটি শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর নেয়। কোনো সময় আত্মার সাক্ষাৎকারও হতে পারে। আত্মা হ’ল স্টার, সাক্ষাৎকারও দিব্য দৃষ্টির দ্বারাই হবে। আচ্ছা তোমরা শ্রীকৃষ্ণের ভক্তি করে থাকো, তার সাক্ষাৎকার হ’ল, কিন্তু তার ফলে লাভ কী হ’ল ? পরমাত্মারও যদি সাক্ষাৎকার হয়, তাতে লাভ কী হবে ? তবুও তো তোমাদেরকে পড়তে তো হবেই, তাই না ? ভক্তি মার্গে সাক্ষাৎকার হলে তার কতই না কীর্তন করা হয়। কিন্তু প্রাপ্তি তো কিছু নেই। শিব বাবা হলেন গুণের সাগর । ব্রহ্মাকে তো জ্ঞানের সাগর বলা হবে না। ব্রহ্মাও তো ওঁনার থেকেই জ্ঞান প্রাপ্ত করেন । আজকাল সব কিছুর সামনে শিবলিঙ্গ রেখে দেয়, কিন্তু অর্থ তো কিছুই বোঝে না। তাঁর পূজা করে, কিন্তু কারোরই বায়োগ্রাফি বলতে পারবে না। এইসব জ্ঞানরত্নকে বুঝতে পারবে না। রত্ন নিতে নিতে কারো কারোকে তো মায়া বাঁদর বানিয়ে দেয়। বলে আমার রত্ন চাই না। বাবা তাদেরকে বোঝান। কিন্তু তারাও শিবালয়ে আসবে ঠিকই, কিন্তু প্রজা পদ। পুরুষার্থ করে উচ্চ পদ পাওয়া উচিত। বাবা বলেন, আমি বৈকুন্ঠৈর বাদশাহী দিতে এসেছি। তোমরা পুরুষার্থ করে নিজ সম বানাও। পূজারীদেরকেও তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পারো যে ইনি কে ? কথায় আছে না – এসেছিল আগুন নিতে, কিন্তু বাবুর্চি (মালিক) হয়ে বসে গেল। কোনো কোনো পূজারীর বুদ্ধিতেও খুব ভালো ভাবে বসে যায় । আমরাও পূজারী ছিলাম। এখন পূজ্য হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছি। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ কোন্ পুরুষার্থের আধারে পূজ্য হয়েছে, তোমরা তাদেরকে বোঝাতে পারো। বাবা বলেন – যেখানেই আমার ভক্ত রয়েছে, সেখানে বোঝাও। ভক্তদেরকে পাবে শিবের মন্দিরে, লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দিরে, জগদম্বার মন্দিরে যাও। পূজারীদেরকে বোঝাও – তারা তারপর অন্যদেরকে বোঝাবে। পূজারী বসে নিজে যদি জগৎ অম্বার অক্যুপেশন সম্বন্ধে বলে, সবাই শুনে খুশী হবে। তাদেরকে বলে দিতে হবে এই এই কথা গুলো বোঝানোর জন্য । আপনারা বসে যদি দেবতাদের জীবন কাহিনী বোঝান তবে পয়সাও অনেক উপার্জন হবে। এ’সব কথাও সে-ই বোঝাতে পারবে যে দেহী-অভিমানী হবে। দেহ-অভিমানীর তো সারাদিন কেবল এটা চাই, ওটা চাই, লোভ লালসা থাকে। স্টুডেন্টদের তো এই অনুরাগ থাকা উচিত যে আমাকে পাশ উইথ অনার হতে হবে । এটাই হল ঈশ্বরীয় পড়াশোনার লক্ষ্য।
ড্রামার রহস্যকেও বোঝাতে হবে। বিশাল লম্বা ড্রামা নয়। কিন্তু শাস্ত্রে এই ড্রামার আয়ু অনেক লম্বা বানিয়ে দিয়েছে। তো এই সব কথা বুদ্ধিতে আসা উচিত। সার্ভিস তো অনেক রয়েছে, কিন্তু কেউ করে তো দেখাক। বাবার কাছে কী কখনো কৃপা প্রার্থণা করতে হয় নাকি ! বলে ভগবান একটা সন্তান দাও যাতে কুলের বৃদ্ধি হয়। আরে বাবা তো নিজের কুলের বৃদ্ধি করছেন। এই সময় পুনরায় দেবতা কুলের বৃদ্ধি হচ্ছে। এখন ঈশ্বরীয় কুলের বৃদ্ধি হয়। তোমরাও হলে ঈশ্বরীয় সন্তান। তাই তোমাদেরকে বোঝান যে, এই সমস্ত ইচ্ছা গুলির ত্যাগ করে একমাত্র বাবাকে স্মরণ করো। বন্ধন ইত্যাদি রয়েছে, এই সবই হল কর্মের হিসাব। বাবাকে দেখো কতো বন্ধন রয়েছে, কতো কতো বাচ্চার প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। কতো ঝামেলা চলতেই থাকে। মানুষজন কতোই না নিন্দেমন্দ করতে থাকে। ডিসসার্ভিস করা সহজ, সার্ভিস করা খুব কঠিন। একজন খারাপ হয়ে গেলে দশ বিশ জনকে খারাপ করে দেয়। অনেক পরিশ্রমের পর পাঁচজন আটজন অতি কষ্টে বের হয়। সেন্টার গুলিতে আসে তো অনেকে কিন্তু আবার মুখে কালিও কমজনে দেয় না। এই রকম বানর বুদ্ধি পরিবেশকে নষ্ট করে দেয় । এই ধরনের লোকজনকে তোমরা বসাও কেন ? মুখে কালি মাখলে তার প্রভাব অনেকদিন পর্যন্ত চলতে থাকে । রেজিস্টার দেখলে বুঝতে পারা যায়। চার পাঁচ বছর এসে তারপর আসা বন্ধ করে দেয়। বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান, এইরকম করলে তোমরা উচ্চ পদ পেতে পারবে না। ইন্দ্রপ্রস্থের কাহিনীও রয়েছে, পাথর হয়ে গেছিল। তোমরাও তখন পাথরবুদ্ধি হয়ে যাবে। পরশ-মণি হতে পারবে না। তাও পুরুষার্থ করে না, এও ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে। রাজধানীতে সব রকমের চাই, ভৃত্য, চন্ডাল সব চাই। আচ্ছা !
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) লৌকিক সকল ইচ্ছাকে ত্যাগ করে ঈশ্বরীয় কুলের বৃদ্ধিতে সহযোগী হতে হবে। কোনো প্রকারের ডিসসার্ভিসের কাজ করবে না।
২ ) লেনদেনের কানেকশন একমাত্র বাবার সাথেই রাখতে হবে। কোনো দেহধারীর প্রতি নয় ।
বরদানঃ-
লাস্ট সময়ে চতুর্দিকে ব্যক্তিদের, প্রকৃতির অস্থিরতা আর সোরগোল (noise) শুরু হবে। ক্রন্দনের আর্তনাদ, চতুর্দিক কেঁপে ওঠার বায়ুমণ্ডল তৈরী হবে। এই রকম সময়ে সেকেন্ডে অব্যক্ত ফরিস্তা তথা নিরাকারী অশরীরী আত্মা আমি – এই অভ্যাসই বিজয়ী বানাবে। সেইজন্য যেন দীর্ঘ কালের অভ্যাস থাকে যে, মালিক হয়ে যখন ইচ্ছা মুখে সুরধ্বনির বিস্তার করো, ইচ্ছা হলে কোনো কথা কানে নিতে হলে নাও আর যদি ইচ্ছে না হয় তবে সেকেন্ডে স্টপ – এই অভ্যাস জপমালাতে অর্থাৎ বিজয় মালাতে নিয়ে আসবে।
স্লোগানঃ-
লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
আদিকাল, অমৃতবেলায় নিজের হৃদয়ে পরমাত্ম ভালোবাসাকে সম্পূর্ণ রূপে ধারণ করে নাও। হৃদয়ে যদি পরমাত্ম ভালোবাসা, পরমাত্ম শক্তি গুলি, পরমাত্ম জ্ঞান পূর্ণ (ফুল) থাকবে, তবে কখনোই কোনো দিকে আসক্তি কিম্বা স্নেহ ধাবিত হতে পারবে না।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!