19 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 18, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - কার্য ব্যবহার করাকালীন বুদ্ধিযোগ যেন এক বাবার সঙ্গে যুক্ত থাকে, এটাই হল প্রকৃত সত্য যাত্রা, এই যাত্রায় কখনও ক্লান্ত হবে না”

প্রশ্নঃ --

ব্রাহ্মণ জীবনে উন্নতির জন্য কোন্ শক্তির প্রয়োজন ?

উত্তরঃ -:-

অনেক আত্মাদের আশীর্বাদের শক্তি হল উন্নতির সাধন। যত অনেকের কল্যাণ করবে, যে জ্ঞান রত্ন গুলি বাবার কাছে প্রাপ্ত হয়েছে, সেসব দান করবে ততই অনেক আত্মার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে। বাবা বাচ্চাদের পরামর্শ দেন বাচ্চারা, অর্থ থাকলে সেন্টার খুলতে থাকো। হসপিটাল কাম ইউনিভার্সিটি খোলো। সেখানে যাদের কল্যাণ হবে তাদের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে।

গান:-

রাতের পথিক হয়ো না ক্লান্ত, ভোর হতে আর দেরী বেশী নেই..

ওম্ শান্তি । গীতের অর্থ তো বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আপনা থেকেই আসা উচিত। এখন আমরা সবাই হলাম আত্মিক (রূহানী) পথিক। ভগবান পিতার কাছে আত্মাদেরকে ফিরে যেতে হবে। এমন নয় যে জীব আত্মাদের যেতে হবে। জীব আত্মাদের দেহ ত্যাগ করে যেতে হবে। মানুষ মরলে বলা হয় অমুকে বৈকুণ্ঠবাসী হয়েছে। কিন্তু তোমরা জানো – ভালো বা খারাপ সংস্কার অনুসারে পুনর্জন্ম নিতে হবে। খারাপ সংস্কারের কারণে তোমাদের মাথায় পাপের বোঝা রয়েছে। এই এক জন্মের হোক বা জন্ম জন্মান্তরের বোঝা হোক, সেই বোঝা রয়েছে। সেসব এখন তোমাদের যোগবলের দ্বারা ভস্ম করতে হবে। বাবাকে স্মরণ করা – একেই যোগ অগ্নি বলা হয়। কাম চিতায় বসলে পাপ আত্মায় পরিণত হয় এবং এই যোগ অগ্নির দ্বারা পুরানো পাপের বোঝা ভস্ম হয়। সুতরাং ব্রাহ্মণ বাচ্চারা জানে যে, আমরা হলাম পথিক। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে, ব্যবসা ইত্যাদি করে আমাদের বুদ্ধিযোগ বাবার সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত থাকে যেন আমরা যাত্রা করছি। এতে ক্লান্ত হবে না, অনেক পুরুষার্থ করতে হবে। জ্ঞান তো খুবই সহজ। প্রাচীন ভারতের যোগের মহিমা অনেক। কিন্তু ওই গীতাপাঠীরা কখনও এমন বলে না যে, শিববাবা যোগের শিক্ষা প্রদান করেন। গীতায় দেখানো হয় এক অর্জুনকেই বসে কৃষ্ণ শোনাচ্ছেন। এমন তো কথা নয়। এইখানে তো মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হতে হবে এবং পাণ্ডব সেনা অবশ্যই আছে, পাণ্ডবদের সেনাবাহিনী নলেজ প্রাপ্ত করে এবং পাণ্ডবপতি জ্ঞান প্রদান করেন। মানুষ কিছুই জানেনা। ভবিষ্যতে অনেকে বলবে সঠিকভাবে ভগবান এসে ৫ হাজার বছর পূর্বে জ্ঞান প্রদান করেছিলেন। কিন্তু এই কথা কেউ জানেনা কে দিয়েছিলেন। কল্পের আয়ুর কথাও জানেনা। নিজের নিজের মতামত দেয় – গান্ধী গীতা, টেগোর গীতা… ভিতরে এই নাম লিখে দেয়, কৃষ্ণ ভগবানুবাচ অর্জুনের প্রতি। যুদ্ধও দেখানো হয়। কিন্তু যুদ্ধের কোনো কথাই নেই। এখানে তোমাদের হল যোগবলের কথা। তারা নাম দিল যুদ্ধের। যেমন চন্দ্রবংশী রামকে তীর ধনুক দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে হল জ্ঞান বাণের কথা । সে পাশ করেনি তাই এই নিদর্শন প্রদান করা হয়েছে। অতএব ত্রেতাযুগী রাম-সীতার চিত্রও দিতে হয়। বংশ কিনা। সূর্যবংশী কুল, চন্দ্রবংশী কুল। গীতায় এমন কথা লেখা নেই যে, ভগবান গীতা শুনিয়ে সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন করেছেন। এই কথা অবশ্যই আছে যে, গীতা হল আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্র, তারা হিন্দু বলে দিয়েছে। নিজেদেরকে দেবী-দেবতা ধর্মের অনুসরণকারী বলে না, কারণ তারা অপবিত্র। এই যে বলা হয় মিথ্যা মায়া, মিথ্যা কায়া … সেসব হল সঠিক। মিথ্যা খণ্ডে তো মিথ্যুকই থাকবে। সত্যখণ্ডে আছে সত্য। যিনি সত্যখন্ড স্থাপন করেন তিনি সত্য কথা বলেন। ভারত যে পূজনীয় ছিল এখন পূজারী হয়েছে। পূজ্য যারা চলে গেছে তাদেরই পূজা করে থাকে । যে পূজ্য বংশ ছিল তারা এখন পূজারী হয়েছে, তাই গায়ন আছে নিজেরাই পূজ্য নিজেরাই পূজারী। পূজ্য ডায়নেস্টি ছিল, এখন কলিযুগে হল পূজারী, শূদ্র ডায়নেস্টি। সূর্যবংশী কুল, চন্দ্রবংশী কুল। বাচ্চারা, তোমাদেরকে এমনভাবে বোঝাতে হবে ভারত এইরূপ ছিল। চিত্র তো আছে তাই না। সত্যযুগে ভারত মালামাল ছিল। এই অসীম জগতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কেউ জানেনা। এই বর্ণ অবশ্যই বোঝাতে হবে। আমরা ব্রাহ্মণ হলাম উঁচু থেকে উঁচুতে, একে বলা হবে নবীন উচ্চ বর্ণ। বিবাহ ইত্যাদির সময়ে কুল দেখা হয় তাইনা। সুতরাং তোমাদের কুল খুব উঁচু। যদিও দুনিয়ায় অনেক ব্রাহ্মণ আছে কিন্তু সঙ্গমে ব্রহ্মার সন্তান ব্রাহ্মণ কুল থাকে। তারা এই কথা জানেনা, এই হল নতুন কথা, তাইনা। মানুষ ভাবে এদের হয়তো নিজস্ব নতুন গীতা আছে। এই কথা তো তোমরা বাচ্চারা জানো বাবা রাজযোগ শেখাচ্ছেন। আমরা সেই দেবতা স্বরূপে পরিণত হচ্ছি। আমরা রাজত্ব স্থাপন করছি, এমন কথা অন্য কেউ বলতে পারে না। তারা তো যা কিছু পাস্ট হয়ে গেছে সেসব কাহিনী বসে শোনায়। এখানে আমরা মহিমা তো গীতার করি। তখন মানুষ ভাবে এরা গীতাকে মানে। তোমরা জানো ওটা হল ভক্তি মার্গের গীতা। কিন্তু গীতা শুনিয়েছেন যিনি, তাঁর কাছে তোমরা এখন ডাইরেক্ট গীতা শুনছো। বানর সেনাও বিখ্যাত। চিত্রও দেখানো হয় হিয়ার নো ইভিল, সী নো ইভিল… এখন বানরকে তো এই কথা বলা হবে না। অবশ্যই মানুষকে বলা হবে। যদিও চেহারা মানুষের মতন কিন্তু চরিত্র তো বানরের তাই হিউম্যান বানর বলা হয়েছে – খারাপ কথা শুনবে না, কান বন্ধ করে দাও।

তোমরা বাচ্চারা জানো এটা হল পুরানো শরীর যার কিছু না কিছু হতেই থাকে। কারো স্ত্রী মারা গেলে বলা হয় পুরানো জুতো নষ্ট হয়েছে, নতুন কেনা হবে। শিববাবার তো প্রয়োজন পুরানো পাদুকা। নতুন পাদুকা বা নতুন শরীরে তো আসার কথা নয়। যা নতুন ছিল তা এখন পুরানো হয়েছে। বাবা বলেন প্রথম নম্বরে ৮৪ জন্ম এই আত্মা নিয়েছে। যে নম্বর ওয়ান পবিত্র, সর্ব গুণ সম্পন্ন…. তাকেও পতিত হতে হয়, তবে পুনরায় পবিত্র হবে। ৮৪ জন্মের হিসেব আছে তাইনা। নিজেই পূজ্য, সেই শ্রী নারায়ণ যখন নিজেই পূজারী হন তখন বসে নারায়ণের পূজা করতেন। ওয়ান্ডার, তাইনা। শেষ জন্মেও লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজা করতেন। কিন্তু দেখলেন লক্ষ্মী দাসী রূপে পদ সেবা করছেন তখন ভালো লাগেনি, তাই লক্ষ্মীর চিত্র সরিয়ে শুধু নারায়ণের চিত্র রেখেছিলেন। সেই আত্মা পুনরায় পূজারী থেকে পূজ্য রূপে পরিণত হয়, ততত্বম্ (তোমরাও সেইরূপ হও) । কেবল একজন তো হবে না, তাইনা। সত্যযুগে সন্তানের জন্ম হবে তারাও হবে প্রিন্স প্রিন্সেস। এখন বাচ্চারা, তোমাদের পিতা শৃঙ্গার করছেন ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তোমরা জানো যে, আমরা স্বর্গের মালিক হচ্ছি। পুনর্জন্ম সত্যযুগে হবে। এখন স্থাপনা হচ্ছে। তোমরা জানো যে, যথাযথভাবে এমন অটল-অখন্ড, সুখ-শান্তির রাজ্য ছিল। তোমরা সবাইকে এই কথা বোঝাতে পারো যে, আমরা রাজযোগ প্রাক্টিক্যালে শিখছি। কেউ বলে অমুক সাধুর কাছে গিয়েছিলাম, আমরা অনেক শান্তি পেয়েছি, তা সে তো হল ক্ষণস্থায়ী শান্তি। খুব বেশি হলে ১০-২০ জন প্রাপ্ত করেছে হয়তো। এখানে তো সম্পূর্ণ দুনিয়ার কথা বলা হচ্ছে। প্রকৃত সত্য শান্তি তো সত্যযুগে থাকে। যারা পুরানো বাচ্চা, তারা কল্প পূর্বের মতন নিজের পুরুষার্থ করছে। অনেক নতুন গোপীকাদের ঘরে বসে একবার জ্ঞান প্রাপ্ত করেই খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে উঠে যায়। গতকাল এক যুগল বাবার কাছে এসেছিল, বাবা বুঝিয়েছেন – বাচ্চারা, তোমরা বাবার কাছে অসীম জগতের বর্সা প্রাপ্ত করবে না ? অর্ধেক কল্প নরকে হাবুডুবু খেয়ে দুঃখী হয়েছো, এখন এক জন্ম বিষ ত্যাগ করতে পারো না ? স্বর্গের মালিক হওয়ার জন্য পবিত্র কি হবে না । তারা বললো – এই কাজ তো খুব ডিফিকাল্ট। বাবা বলেন কাম চিতায় বসার জন্য জাগতিক ব্রাহ্মণ তোমাদের গাঁটছরা বেঁধে দিয়েছে। এখন জ্ঞান চিতায় বসে স্বর্গের মহারাজা মহারানী হও। তখন তারা বললো আপনার সাহায্য চাই।

বাবা বলেছেন – শিববাবাকে স্মরণ করলে অবশ্যই সাহায্য প্রাপ্ত হবে। বললো হ্যাঁ স্মরণ করবো। তৎক্ষণাৎ বাবার কাছে গাঁটছড়া বেঁধে, আংটি পরে নিলো। ইনি হলেন বাপদাদা । অসীম জগতের পিতা বলেন বাচ্চারা, তোমরা পবিত্র না হলে স্বর্গেও যেতে পারবে না। এই অন্তিম জন্ম তোমরা পবিত্র না হলে তোমরা রাজত্ব হারাবে। এত কম সময়ও তোমরা পবিত্র হতে পারবে না ! বাবা তোমাদের জ্ঞান-যোগের দ্বারা শৃঙ্গার করছেন। তোমরা এমন লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বরূপে পরিণত হও। যদি বাবার শ্রীমৎ পালন না কর তাহলে বলবে এমন মহামূর্খ দুনিয়ায় কোথাও নেই। এক হয় জাগতিক দুনিয়ার মূর্খ, দ্বিতীয় হল অসীম জগতের মূর্খ। এখানে এমন আত্মারা এসে বসতে পারে না যারা বায়ুমন্ডলকে খারাপ করে। হংস মন্ডলীতে ম্লেচ্ছ এসে বসতে পারে না। বাবা অতীব শৃঙ্গার করে লক্ষ্মী-নারায়ণ সম বানান এবং মায়া পরে একেবারে কাঙাল ওয়ার্থ নট এ পেনি বানিয়ে দেয়। কারো কাছে যদি ৫০ কোটি টাকাও থাকে তবুও ওয়ার্থ নট এ পেনি হবে, কারণ এইসব তো ভস্ম হয়ে যাবে। সঙ্গে তো কেবল প্রকৃত সত্য উপার্জনই যাবে।

বাবা পরামর্শ দেন বাচ্চারা সেন্টার খুলতে থাকো। বসে মানুষের শৃঙ্গার করো। কিন্তু ইউনিভার্সিটি কাম হসপিটাল যে খুলবে সেও যেন ভালো হয়, যাতে সে কাউকে বোঝাতে পারে অথবা অন্যদেরকে খুলে দিলে সে বসে বোঝাতে পারে। তাহলে সে আশীর্বাদে ভরপুর হয়ে যাবে। শক্তি তো প্রাপ্ত হবে তাইনা। ২১ জন্মের জন্য লাভ হবে। এমন কেউ হবে যে বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলবে না। পদে পদে বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলা উচিত। বিঘ্ন তো আসবেই। বন্ধনে আবদ্ধ গোপীকাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়, তাতে নির্ভয় থাকতে হয়। বাবার মহিমা হল – নির্ভয়, নির্বৈর (কারো সাথেই বৈরীতা নেই)… কারো প্রতি দ্বেষ বিদ্বেষ নেই। বাবা শৃঙ্গার করান তাই তাঁর সার্ভিস স্বীকার করা উচিত। বাবা আমরা আপনার শ্রীমৎ অনুসারে কেন চলবো না ! আমাদের তো এতে অনেক কল্যাণ আছে। আমাদের পরে সন্তানদেরও কল্যাণ আছে। প্রত্যেককে সত্য যাত্রা পথে চলার কথা বলা উচিত। ঝগড়া তো হবে, অবলাদের সহ্যও করতে হয়। বিশ্বাস না করলে বুঝতে হবে আমাদের বংশধর নয়। পরিশ্রম করতে হয়। যদি কোনো দিক থেকে আমাদের বংশের কেউ সম্মুখে আসে তা প্রজা পদের যোগ্যই হোক না কেন। অন্যদের প্রজা পদের উপযুক্ত করাটাও ভালো। প্রজাও তো বানাতে হবে, তাইনা। মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত করা, এই কাজ এক বাবা ব্যতীত অন্য কেউ করতে পারে না। তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে উচ্চ থেকেও উচ্চ । তারা হল নীচ, কনিষ্ঠ, তোমরা হংস, তারা বলাকা। সুতরাং ঝগড়া তো অবশ্যই হবে। অত্যাচার হবে। মায়া রাবণ সবাইকে নষ্ট করেছে, বাবা এসে বাঁচিয়ে তুলছেন। সলভেন্ট বানাচ্ছেন। ভবিষ্যতে বাদশাহী হবে তোমাদের । যুদ্ধের পরে ভারত মালামাল হয়, তারা তো জানেনা যে এই মহাভারী যুদ্ধের পরে ভারতে স্বর্গ নির্মাণ হয়। তাই বাচ্চাদের এখন খুব ভালো ভাবে পুরুষার্থ করতে হবে। ভাষণও রিফাইন করা উচিত। শঙ্খ ধ্বনি করতে হবে। নাহলে তারা বলবে এদের কাছে শঙ্খ নেই। যদিও পদ্ম ফুল সম, চক্রও আছে কিন্তু শঙ্খ নেই। বাবা বলেন জ্ঞানী আত্মাই আমার প্রিয়। গোপীকারা মুরলী শুনে মত্ত হয়ে থাকতো। কৃষ্ণ তো মুরলী শোনায়নি। এই হল শ্রীকৃষ্ণের আত্মার অন্তিম জন্ম। চক্রের পরিক্রমা করে এসেছে, এখন নলেজ প্রাপ্ত করেছেন। তোমরা জানো এ হল পুরানো দুনিয়া, যাকে ত্যাগ করতে হবে। এখন তোমরা নতুন দুনিয়ার মালিক হচ্ছো। বিনাশের পূর্বে পুরানো দুনিয়াকে ত্যাগ করো। যদি ত্যাগ না করো তাহলে নতুন দুনিয়ার সঙ্গে যোগও লাগবে না। রাবণ পুরীতে ৬৩ জন্ম দুঃখ ভোগ করেছো। এখন এই দুনিয়াকে ত্যাগ করে দাও। দেহ সহ যা কিছু আছে সেসব ত্যাগ করে দাও তখন তুমি একা আত্মা রূপে আমার কাছে আসবে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার মতো জ্ঞানী আত্মা হয়ে শঙ্খ ধ্বনি করতে হবে। প্রত্যেককে প্রকৃত সত্য যাত্রা শেখাতে হবে। নিজের প্রজা তৈরী করতে হবে।

২ ) বুদ্ধির দ্বারা পুরানো দুনিয়াকে ত্যাগ করে নতুন দুনিয়ার সঙ্গে বুদ্ধি যোগ লাগাতে হবে। নির্ভয়, নির্বৈর হতে হবে।

বরদানঃ-

প্রবৃত্তিতে থেকে বন্ধনমুক্ত হওয়ার জন্য সঙ্কল্পেও কোনো সম্বন্ধের প্রতি, নিজের দেহের প্রতি, পদার্থের প্রতি আসক্ত হবে না। সঙ্কল্পেও কোনো বন্ধন যেন আকৃষ্ট না করে। কারণ সঙ্কল্পে এলেই সংকল্পের পরে সেসব কর্মেও আসবে, তাই ব্যক্ত ভাবে থেকেও, ব্যক্ত ভাবের প্রতি আকৃষ্ট হবে না, তবেই নির্লিপ্ত এবং প্রিয় অব্যক্ত স্থিতির অনুভব করতে পারবে।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

পরমাত্মার স্নেহে সদা লভলীন, নিমগ্ন হয়ে থাকো যে চেহারায় দীপ্তি এবং রুহানী নেশার অনুভূতির কিরণ এতই শক্তিশালী হবে যে, যেকোনো রকমের সমস্যা নিকটে আসা তো দূরের কথা চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। কোনোরকম পরিশ্রমের অনুভব হবে না।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top