16 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 15, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"আধ্যাত্মিক নেশাতে (রুহানী ফকুর) থেকে নিশ্চিন্ত বাদশাহ হও"

আজ বড়’র থেকেও বড় বাবা বাচ্চাদেরকে’ অলৌকিক দিব্য সঙ্গমযুগের’ প্রত্যেকটি দিনের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। জগতের মানুষের কাছে তো একটাই বড় দিন হয় আর বড়দিনে কী করে তারা ? তারা মনে করে উদার হৃদয়ে আমরা দিনটাকে পালন করছি। কিন্তু তোমরা জানো যে, তাদের পালন করাটা কী ? তাদের পালন করা আর তোমরা বড়’র থেকেও বড় হৃদয়বান বাবার বাচ্চাদের পালন করা – কতোখানি আলাদা আর কতোখানি সুন্দর। যেমন এই জগতের মানুষ বড়দিনে, খুশীতে নাচে গায়, একে অপরকে সেই দিনের অভিনন্দন জানায়। সেই রকম তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের কাছে সঙ্গমযুগই হল বড় যুগ। আয়ুর দিক থেকে ছোট্ট একটা যুগ, কিন্তু বিশেষত্ব এবং প্রাপ্তি প্রদানের দিক থেকে সবের থেকে অনেক অনেক বড় যুগ। সুতরাং সঙ্গমযুগের প্রতিটি দিন তোমাদের জন্য হল বড় দিন। কেননা বড়’র থেকে বড় বাবা বড় যুগ “সঙ্গমযুগেই” প্রাপ্ত হন। সাথে সাথে বাবার দ্বারা বড়’র থেকে বড় প্রাপ্তিও এখন হয়ে থাকে। বাপদাদা সকল বাচ্চাদেরকে বড়’র থেকে বড় – “পুরুষোত্তম”, এখনই বানান। যেমন আজকের দিনের বিশেষত্ব হল আনন্দ উদযাপন করা আর পরস্পরকে গিফ্ট দেওয়া, অভিনন্দন জানানো আর ফাদার এর থেকে গিফ্ট পাওয়ার দিন হিসেবে পালন করে। তোমাদের সবাইকে বাবা সঙ্গমযুগেই বড়’র থেকেও বড় গিফ্ট কী দিয়েছেন ? বাপদাদা সর্বদা বলেন যে – বাচ্চারা আমি তোমাদের জন্য হাতের ওপরে করে স্বর্গের রাজ্য-ভাগ্য নিয়ে এসেছি। তো সকলের হাতের ওপরে স্বর্গের রাজ্য-ভাগ্য আছে, তাই না ? যাকে বলা হয় –

“হাতের তালুতে স্বর্গ”. এর থেকে বড় গিফ্ট আর কি কিছু হতে পারে ? অনেক বড় বড় ব্যক্তিও যদি অনেক অনেক বড় গিফ্টও দেয়, কিন্তু বাবার গিফ্টের কাছে সেটা কোথায় ! যেমন সূর্যের তুলনায় প্রদীপ। তো সঙ্গমযুগের স্মরণিক চিহ্ন গুলিও অন্তিম ধর্ম পর্যন্ত রয়ে গেছে। তোমাদের বড় যুগে মহান (বড়) বাবা বড়’র থেকেও বড় গিফ্ট দিয়েছেন। সেইজন্য আজকের বড় দিন এই বিধিতে পালন করা হয়। তারা বলে খ্রীষ্টমাস ফাদার। ফাদার সদা বাচ্চাদেরকে দিয়ে থাকেন, ‘দাতা’ তিনি। লৌকিক রীতিতেও যদি দেখো – ফাদার বাচ্চাদের দাতা হয়ে থাকে । আর ইনি হলেন বেহদের ফাদার। বেহদ অর্থাৎ অসীম এর ফাদার গিফ্টও বেহদের দিয়ে থাকেন। আর যে কোনো গিফ্ট কত সময় ধরে চলে ? কত সুন্দর সুন্দর অভিনন্দন সূচক কার্ডও গিফ্টে দিয়ে থাকে। কিন্তু আজকের দিনটা চলে গেলে, তারপর সেই সব কার্ডের কী হয় ? অল্প সময়ের জন্য চলে তাই না ? মিষ্টি জাতীয় কোনো খাওয়ার দাওয়ার যদি দেয়, সেটাও কতদিন থাকে ? কতদিন ধরে আনন্দ করবে ? নাচবে গাইবে – বড়জোর এক রাত। কিন্তু আত্মারা তোমাদের বাবা এমন গিফ্ট তোমাদেরকে দেন, যা এই জন্মে তো সাথে আছেই, এমনকি জন্ম জন্ম ধরে সাথে থাকবে জগতের মানুষ বলে খালি হাতে এসেছি, খালি হাতে যেতে হবে। কিন্তু তোমরা কী বলবে ? তোমরা নেশার সাথে বলে থাকো আমরা আত্মারা বাবার থেকে প্রাপ্ত খাজানাতে ভরপুর হয়ে যাব এবং অনেক জন্ম ভরপুর থাকব। ২১ জন্ম পর্যন্ত এই গিফ্ট সাথে থাকবে। এইরকম গিফ্ট কখনো দেখেছো ? তিনি বিদেশেরই কোনো রাজা বা রানী হোন না কেন, এই রকম গিফ্ট তারাও কী দিতে পারেন ? পুরো সিংহাসনও যদি দিয়ে দেয়, অফার করে যে, এই রাজ সিংহাসন তোমার ! তোমরা কী করবে, নেবে ? বাবার হৃদয় সিংহাসনের কাছে এই সিংহাসন কী ? সেইজন্য তোমরা সবাই নেশায় থাকো, নেশা অর্থাৎ আধ্যাত্মিক নেশা। এই রুহানী নেশাতে যারা থাকে তাদের তো কোনো চিন্তার কিছুই থাকে না, নিশ্চিন্ত বাদশাহ হয়ে যায় । এখনকারও বাদশাহ আর ভবিষ্যতেও রাজত্ব প্রাপ্ত করে থাকো। সেইজন্য বড়’র থেকে বড় আর সবথেকে সেরা হল এই নিশ্চিন্ত বাদশাহী। কোনো ফিকর অর্থাৎ চিন্তা আছে কী ? আর প্রবৃত্তিতে যারা রয়েছ সন্তানাদিদের জন্য কোনো চিন্তা রয়েছে কী ? কুমারদের রান্না করা নিয়ে বেশী চিন্তা থাকে। কুমারীদেরও কী কোনো চিন্তা হয় ? চাকরির, যে ভালো একটা চাকরি যদি হয়ে যায়, চিন্তা হয় কী ? চিন্তা মুক্ত তাই না ? যার চিন্তা থাকবে সে নিশ্চিন্ত বাদশাহীর মজা সে নিতে পারবে না। বিশ্বের রাজত্ব তো ২০ জন্ম হবে কিন্তু এই নিশ্চিন্ত বাদশাহী আর হৃদয় সিংহাসন – এই একবারই এই যুগে প্রাপ্ত হয় এক জন্মের জন্য, তো এক এর মহত্ত্ব হল কিনা !

বাপদাদা সদা বাচ্চাদেরকে এটাই বলেন – “ব্রাহ্মণ জীবন অর্থাৎ নিশ্চিন্ত বাদশাহ” । ব্রহ্মা বাবা নিশ্চিন্ত বাদশাহ হলেন, তখন কোন্ গান গাইলেন – “যা পাওয়ার ছিল তা পাওয়া হয়ে গেছে, আর কী কাজ বাকি আছে।” আর তোমরা কী করো ? সেবার কাজ বাকি রয়ে গেছে, কিন্তু সেও করাবনহার বাবা করাচ্ছেন আর করাতে থাকবেন। আমাকে করতে হবে – এই রকম ভাবলে বোঝা হয়ে যায়। বাবা আমাদের দ্বারা করাচ্ছেন – তাহলে তখন নিশ্চন্ত বাদশাহ হয়ে যাবে । নিশ্চয় রয়েছে – এই শ্রেষ্ঠ কার্য হবেই হবে বা হয়ে আছে, সেইজন্য নিশ্চয়বুদ্ধি, নিশ্চিত, বেফিকর থাকে। এ তো কেবল বাচ্চাদেরকে বিজি রাখার জন্য সেবার একটা খেলা করাচ্ছেন। নিমিত্ত বানিয়ে বর্তমান আর ভবিষ্যৎ সেবার জন্য ফলের অধিকারী বানাচ্ছেন। কাজ বাবার, নাম বাচ্চাদের। ফল বাচ্চাদেরকে খাওয়ান, নিজে খান না। তাহলে বেফিকর হলেন না ? সেবাতে সফলতার সহজ সাধন হল এটা – যিনি করাবার তিনি করাচ্ছেন। যদি “আমি করছি”, তো আত্মার শক্তি অনুসারে সেবার ফল প্রাপ্ত হয়। বাবা করাচ্ছেন তো বাবা হলেন সর্বশক্তিমান। কর্মের ফলও এতটাই শ্রেষ্ঠ প্রাপ্ত হয় । তো সদা বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া নিশ্চিন্ত বাদশাহী বা হাতের ওপরে স্বর্গের রাজ্য-ভাগ্যের গডলী গিফ্টকে স্মৃতিতে রাখো। বাবা আর গিফ্ট দুই’ই যদি স্মরণে থাকে, তবে প্রতিটি দিন শুধু নয় প্রতিটি মুহূর্তই হল বড়’র থেকেও বড় মুহূর্ত, বড় দিন – এই রকম অনুভব করবে। জগতের মানুষ তো কেবল অভিনন্দন জ্ঞাপন করে কী বলে ? হ্যাপি থাকো, হেল্দি ওয়েল্দি থাকো…. বলে দেয়। কিন্তু বললেই হয়ে তো যায় না না ? বাবা তো এমন অভিনন্দন জানান, যার দ্বারা সদা কালের জন্য হেল্থ – ওয়েল্থ হ্যাপি বরদানের রূপে সাথে থাকে। কেবল মুখে বলে খুশী করে দেন না, বরং বানিয়ে দেন আর হয়ে ওঠাই হল বড়দিন পালন করা। কেননা অবিনাশী বাবার অভিনন্দনও তো অবিনাশীই হবে। তাই অভিনন্দন বরদান হয়ে যায় ।

তোমরা কল্প বৃক্ষের কান্ড থেকে বেরিয়েছো। এগুলো সব হল শাখা। এই সব ধর্ম গুলি হল তোমাদের শাখা। কল্প বৃক্ষের শাখা। সেইজন্য বৃক্ষের প্রতীক রূপে খ্রীষ্টমাস ট্রি দেখানো হয়। সাজানো খ্রীষ্টমাস ট্রি দেখেছো তোমরা ? তাতে কী করা হয় ? (স্টেজে দুটো খ্রীষ্টমাস ট্রি সাজিয়ে রাখা ছিল) এতে কী দেখানো হয়েছে ? বিশেষ ভাবে ঝলমল করা অনেক গুলো বাল্ব জ্বালিয়ে সাজানো হয়। ছোট ছোট বাল্ব দিয়েই সাজানো হয়। এর অর্থ কী ? কল্প বৃক্ষের ঝিলমিল করা তোমরা আত্মারা আর যে সব ধর্ম পিতারা আসে, তারাও নিজের নিজের হিসেবে সতোপ্রধান হয়ে থাকে। সেইজন্য গোল্ডেন আত্মারা ঝলমলে উজ্জ্বল হয়ে থাকে। সেইজন্য এই কল্প বৃক্ষের প্রতীককে – অন্য ধর্মের শাখারাও প্রতি বছর তার প্রতীক হিসেবে উদযাপন করে। সমস্ত বৃক্ষের গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার তিনি । কোন্ বাবা গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার ? বাবা, ব্রহ্মাকে আগে রেখেছেন। সাকার সৃষ্টির আত্মাদের আদি পতি, আদিনাথ হলেন ব্রহ্মা। সেইজন্য তিনি গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার। আদি দেবের সাথে তোমরাও রয়েছো না ! নাকি একা আদিদেব ? তোমরা আদি আত্মারা এখন আদি দেবের সাথেই রয়েছো আর আগেও সাথে থাকবে, এই নেশা আছে তো ? খুশীর গীত সব সময় গাইতে থাকো নাকি কেবল আজ গাইবে ?

আজ হল বিশেষ ভাবে ডবল ফরেনারদের দিন। তোমাদের জন্য রোজ বড়দিন নাকি কেবল আজই ? চতুর্দিকের দেশ-বিদেশের বাচ্চারা কল্প বৃক্ষে ঝলমলে তারাদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সূক্ষ্ম রূপে তো সকলে মধুবনে পৌঁছেই গেছো। তারাও সবাই আকারী রূপে মিলিত হচ্ছে। তোমরা সাকারী রূপে মিলন উদযাপন করছো। সকলের মন বাবার গডলী গিফ্টকে দেখে খুশীতে নাচছে। বাপদাদাও সকল সাকার রূপ আর আকার রূপধারী বাচ্চাদেরকে ‘সদা হর্ষিত ভব’ র অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সদা দিলখুশ মিঠাই খেতে থাকো আর প্রাপ্তির গীত গাইতে থাকো। ড্রামা অনুসারে ভারতের ভাই বোনেদের বিশেষ ভাগ্য প্রাপ্ত হয়েছে। আচ্ছা !

সকল টিচার্স বড় দিন পালন করেছো নাকি রোজ পালন করো ? বড় বাবা আর তোমরাও হলে বড়, সেইজন্য জগতের মানুষ বড়দিনে তারই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এতেও তোমরা বড়রা, ছোট ভাইদেরকে উৎসাহ প্রদান করে থাকো। সব টিচার্স তোমরা নিশ্চিন্ত বাদশাহ তো ? বাদশাহ অর্থাৎ সদা নিশ্চিয় আর নেশায় স্থিত থাকা। কেননা নিশ্চয় বিজয়ী বানায় আর নেশা খুশীতে সদা উঁচুতে ওড়ায়। তাহলে নিশ্চিন্ত বাদশাহই হয়েছ তো ? কোনো চিন্তা আছে কী ? সেবা কীভাবে বৃদ্ধি পাবে, ভালো ভালো জিজ্ঞাসু কী জানি কবে আসবে, কতদিন ধরে সেবা করে যেতে হবে – এ’সব চিন্তা ক’রনা তো ? অ-চিন্ত হলেই সেবা বৃদ্ধি পাবে, চিন্তা করলে বাড়বে না। অ-চিন্ত হয়ে বুদ্ধিকে ফ্রি রাখলে তবেই বাবার শক্তি সহায়তার রূপে অনুভব করবে। চিন্তা করতেই বুদ্ধিকে বিজি রাখলে টাচিং, বাবার শক্তি গ্রহণ করতে পারবে না। বাবা আর আমি – কম্বাইন্ড, করাবনহার আর করার নিমিত্ত আমি আত্মা। একে বলা হয় – ‘অ-চিন্ত অর্থাৎ এক এরই চিন্তা’ । শুভ চিন্তনে যে থাকে তার কখনোই চিন্তা হয় না। যেখানে চিন্তা রয়েছে, সেখানে শুভ চিন্তন নেই আর যেখানে শুভ চিন্তন নেই সেখানে চিন্তা রয়েছে। আচ্ছা !

চতুর্দিকের গডলী গিফ্টের অধিকারী, বড়’র থেকে বড় বাবার বড়’র থেকে বড় ভাগ্যবান আত্মারা, আদি পিতার সদা সাথী আদি আত্মারা, সদা বড়’র থেকেও বড় বাবার দ্বারা ভালোবাসার অভিনন্দন, অবিনাশী বরদান প্রাপ্তকারী সর্ব সাকারী রূপধারী আর আকারী রূপধারী – সকল বাচ্চাদেরকে দিলখুশ মিঠাই এর সাথে স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।

পুনা – বিদর গ্রুপ : রোজ অমৃতবেলায় দিলখুশ মিঠাই খাও ? যে প্রতিদিন অমৃতবেলায় দিলখুশ মিঠাই খায়, সে নিজেও সারা দিন খুশী থাকে আর অন্যরাও তাদেরকে দেখে খুশী হয়ে যায়। এ হল এমন পুষ্টিকর আহার যে, যেরকম পরিস্থিতিই আসুক না কেন, দিলখুশ পুষ্টিকর আহার পরিস্থিতিকে ছোট বানিয়ে দেয়, পাহাড়কে তুলো বানিয়ে দেয়। এতখানি শক্তি আছে এই খাবারে। যেমন শরীরের দিক থেকেও যে স্বাস্থ্যবান বা শক্তিশালী হবে, সে সকল পরিস্থিতিকে সহজেই পার করে যাবে আর যে দুর্বল হবে, সে ছোট্ট একটু কথাতেই ঘাবড়ে যাবে। দুর্বলের কাছে পরিস্থিতি বড় হয়ে যায় আর শক্তিশালীর কাছে পরিস্থিতি রূপী পাহাড় তুলোর মতো হয়ে যায়। তাই রোজ দিলখুশ মিঠাই খাওয়া মানে সদা দিলখুশ থাকা। এই অলৌকিক খুশীর দিন কত স্বল্প। দেবত্বের খুশী আর ব্রাহ্মণদের খুশীর মধ্যে ফারাক রয়েছে। এই ব্রাহ্মণ জীবনের পরমাত্ম-খুশী, অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি দেবত্ব জন্মে থাকবে না। সেইজন্য এই খুশী যত চাও উদযাপন করো। রোজ মনে করো আজ হল খুশী পালনের দিন। এখানে আসার পরে খুশী বেড়ে গেছে না ! এখান থেকে নীচে নেমে গেলে কম হয়ে যাবে নাতো ? উড়তি কলা এখন রয়েছে, এরপরে তো যত পেয়েছো ততই খেতে থাকবে। তাই সদা এটা স্মৃতিতে রাখো যে, আমরা দিলখুশ মিঠাই খাই আর অন্যদেরকেও খাওয়াই। কেননা যত দেবে ততই বৃদ্ধি পেতে থাকবে। দেখো, খুশীতে ভরা চেহারা সকলের ভালো লাগে আর কোনো দুঃখ অশান্তিতে কুঁকরে থাকা চেহারা যদি হয়, সেটা তো কারো ভালো লাগবে না, না ! যখন অন্যদের ভালো লাগবে না, তখন নিজেরও তো ভালো না লাগার কথা। অতএব সর্বদা হাসিখুশী মুখে সেবা করতে থাকো। মাতা’রা এই রকম সেবা করো ? বাড়ির লোকজন যা দেখে খুশী হয়ে যায় ? এই জ্ঞানকে কেউ যদি খারাপও মনে করে তবুও হাসিখুশীমাখা জীবনকে দেখে তাদেরও মনে হবে যে, এরা কিছু তো পেয়েছে, তার বলেই এত খুশীতে থাকতে পারে। বাইরে থেকে যতই অভিমান থেকে বলুক, কিন্তু মনে মনে তারা অনুভব করে এবং শেষ পর্যন্ত তো তাদের ঝুকতেই হবে। আজ তারা গাল দিচ্ছে, কাল তারা চরণে পড়বে। কোন্ চরণে পড়বে ? “অহো প্রভু” বলে নত অবশ্যই হবে। তো এইরকম স্থিতি হবে তবে তো নত হবে, তাই না ? কেউ যখন কারো কাছে নত হয়, নিশ্চয়ই তার মধ্যে বড় কোনো ব্যাপার থাকে, কোনও বিশেষ কিছু থেকে থাকবে – সেই বিশেষত্বের কাছে নত হয়। নিশ্চয়ই দেখতে পায় –

এনার মতো জীবন আর কারোরই নয়, সদা খুশীতে থাকেন। কেঁদে ফেলার মতো পরিস্থিতিতেও খুশীতে থাকে, মন খুশীতে থাকে। বিনা কারণে হাসতে থেকো না, মন থেকে খুশীতে থাকো। পান্ডব কী মনে করো ? এই রকম অনুভব অন্যরা করতে পারছে নাকি এখনও পর্যন্ত কম দেখা যাচ্ছে কী ?

যারা হাসিখুশী মেজাজের, তারা নিজেদের চেহারার দ্বারা অনেক সেবা করে থাকে। মুখে কিছু বলুক বা না বলুক, তাদের চোখ মুখের হাবভাব, জ্ঞানের আধারে নির্মায়মান চরিত্রকে তারা স্বতঃই প্রত্যক্ষ করবে। সুতরাং এটাই স্মরণে রাখবে যে, দিলখুশ মিঠাই খেতে হবে আর অন্যদেরকেও খাওয়াতে হবে। যে নিজে খায়, সে অন্যকেও না খাইয়ে থাকতে পারে না। আচ্ছা !

বেলগাম – সোলাপুর গ্রুপ : নিজের এই শ্রেষ্ঠ জীবনকে দেখে প্রফুল্লিত হও ? কেননা এই জীবন হল হীরে তুল্য জীবন। হীরের তো অনেক মূল্য, তাই না ? তো এই জীবনকে এতখানি অমূল্য মনে করে প্রতিটা কর্ম করো ? ব্রাহ্মণ জীবন অর্থাৎ অলৌকিক জীবন। অলৌকিক জীবনে সাধারণ আচরণ হতে পারে না। যে কোনো কর্মই করো, তা যেন অলৌকিক হয়, সাধারণ নয়। অলৌকিক কর্ম তখনই হয়, যখন অলৌকিক স্বরূপের স্মৃতি থাকে। কেননা যেমন স্মৃতি হবে তেমনই স্থিতি হবে। স্মৃতিতে থেকে – ‘এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়।’ তাহলে বাবার স্মৃতি সদা সমর্থ বানিয়ে দেবে। সেইজন্য কর্মও শ্রেষ্ঠ অলৌকিক হয়ে থাকে। সারা দিন যেমন অজ্ঞানী জীবনে আমার-আমার করতে থাকতে, এখন সেটাই আমার বাবা’র দিকেই নিযুক্ত করে দিয়েছ তাই না ? এখন অন্য সব আমার-আমার সমাপ্ত হয়ে গেছে । ব্রাহ্মণ হওয়া অর্থাৎ সব কিছু তোমার করে দেওয়া। এই ভুল করে ফেল না তো যে – আমার’কে তোমার তোমার’কে আমার – বানিয়ে দাও না তো ? যখন কোনো স্বার্থ থাকবে তখন বলবে – আমার আর কোনো স্বার্থ না থাকলে তখন বলবে তোমার। আমার যদি বলতে হয় বলো – “আমার বাবা”। বাকি সব আমার-আমার ত্যাগ করে এক আমার। এক আমার বললে সব পরিশ্রম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে, বোঝা নেমে যাবে। নাহলে গৃহস্থ জীবনে বোঝার শেষ নেই। এখন হাল্কা ডবল লাইট হয়ে গেলে, সেইজন্য তোমরা হলে সদা উড়তে থাকা। উড়তি কলা ব্যতীত থেমে থেমে চলা কলাতে থেমে যেও না। সদাই উড়তে থাকো । বাবার নিজের করেছেন – সদা এই খুশীতে থাকো।

বরদানঃ-

বর্তমান সময়ে নিজেদের মধ্যে বিশেষ কর্মের দ্বারা গুণ দাতা হওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে । সেইজন্য জ্ঞানের সাথে সাথে গুণ গুলিকে ইমার্জ করো। এই সংকল্পই করো যে, আমাকে সদা গুণ মূর্তি হয়ে সবাইকে গুণ মূর্তি বানানোর বিশেষ কর্তব্য করাই যদি হয়, তবে ব্যর্থ দেখার, শোনার কিম্বা করার জন্য অবকাশই থাকবে না। অন্যকে দেখার পরিবর্তে ব্রহ্মা বাবাকে ফলো করে প্রতিটি সেকেন্ড গুণের দান করে যাও, তাহলে সর্বগুণ সম্পন্ন হওয়ার আর বানানোর এক্জাম্পল হয়ে নম্বর ওয়ান হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
এই পরমাত্ম ভালোবাসা এমন সুখদায়ী ভালোবাসা, যে ভালোবাসাতে এক সেকেন্ডের জন্যও যদি হারিয়ে যাও, তবে অনেক দুঃখ ভুলে যাবে আর চিরকালের জন্য সুখের দোলায় ঝুলতে থাকবে।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top