11 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
11 January 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - জ্ঞানের বুলবুল হয়ে নিজসম বানানোর সেবা কর, নিজের হৃদয়কে জিজ্ঞাসা কর স্মরণের যাত্রা ঠিক আছে কিনা"
প্রশ্নঃ --
বিশেষ কোন্ পুরুষার্থের দ্বারা বেগার টু প্রিন্স হতে পারো ?
উত্তরঃ -:-
বেগার টু প্রিন্স হওয়ার জন্য বুদ্ধির লাইন ক্লিয়ার হতে হবে। এক বাবা ব্যতীত আর কেউই যেন স্মরণে না আসে। এই শরীরও আমার নয়। এ’ভাবে যারা বেঁচে থেকেও মরে থাকার পুরুষার্থ করে তারাই বেগার, তাদেরই বানপ্রস্থ অবস্থা, কারণ তাদের বুদ্ধিতে থাকে – এখন তো বাবার সাথে ঘরে যেতে হবে, তারপরে সুখধামে আসতে হবে।
ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা জানে পঠন-পাঠনে কোন্ বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। সর্বগুণসম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূৰ্ণ, সম্পূর্ণ নির্বিকারী, মর্যাদা পুরুষোত্তম, অহিংসা পরম ধর্ম হতে হবে। চেক করে দেখতে হবে – আমার মধ্যে এই সব আছে ? যা হতে চাও সেই দিকেই লক্ষ্য থাকবে, না, এ’রকম কীভাবে হব, পঠন আর পাঠনের দ্বারা ? অসীম বাবাকে সারাদিনে কতখানি স্মরণ কর, কতো আত্মাকে পড়াও ! এখনো তো কেউ সম্পূৰ্ণ হয়নি। পুরুষার্থ অনুসারে নম্বরক্রম হয়। বাবা প্রত্যেক বাচ্চার প্রতি নজর রাখেন, এই বাচ্চারা কী করছে ! আমার জন্য কী সার্ভিস করে ! কতো’র ভাগ্য উঁচু থেকেও উঁচু বানাচ্ছে ? প্রত্যেকে নিজের অবস্থা আর নিজের খুশীও জানে। তোমাদের প্রত্যেকের নিজেদের জীবনে অতীন্দ্রিয় সুখ কতখানি তা অনুভব করতে পারে । এতো বাচ্চাদের নিশ্চয় আছে যে তোমরা বাবার স্মরণেই তমঃপ্রধান থেকে সতঃপ্রধান হও। সহজ উপায় হ’লই স্মরণের যাত্রা। নিজের হৃদয়কে জিজ্ঞাসা কর – স্মরণের যাত্রা ঠিক আছে আমার ? অন্যদের নিজসম তৈরি করি ? জ্ঞান বুলবুল হয়েছি ? তোমরা ব্রাহ্মণরাই দৈবী গুণ ধারণ করে মানুষ থেকে দেবতা হও। তোমরা ছাড়া অন্য কেউ দেবতা হয় না। তোমরাই দৈবী ঘরানার শোভা হও। ওখানে তোমাদের দৈবী পরিবার। এখন তোমরা জান আমরা দৈবী পরিবারের হওয়ার জন্য খুব পুরুষার্থ করছি। বাচ্চাদের বিধিবদ্ধভাবে পড়তেও হবে। একদিনও অ্যাবসেন্ট হবে না। যদি অসুস্থও হও, খাটে পড়ে আছ, তবুও বুদ্ধিতে যেন শিববাবার স্মরণ থাকে। আত্মা জানে আমি শিববাবার বাচ্চা, বাবা আমাকে ঘরে নিয়ে যেতে এসেছেন। কতো সহজ স্মরণ ! এই প্র্যাকটিসও অপরিহার্য। বুদ্ধিতে যেন এক বাবারই স্মরণ থাকে। বাবা এসেছেন, আমরা এখন শান্তিধাম গিয়ে তারপরে আবার সুখধামে যাব। শেষ পর্যন্ত তোমাদের এত পরিশ্রম করতে হবে যেন শুধু এক শিববাবার স্মরণ থাকে। অন্য সব সঙ্গ ছেদ করে একের সঙ্গ জুড়তে হবে। মুখে কোনো জপ করতে হবে না, অন্যদের নিজ সমান বানানোর জন্য পড়াতেও হবে। বাবা বুঝিয়ে বলেন, তোমাদের সেই অবস্থায় যেতে হবে যে সতঃপ্রধান অবস্থা থেকে তোমরা এখানে এসেছিলে, ওই অবস্থায় গিয়ে আবার ওই রকম অবস্থায় সত্যযুগে ফিরে আসতে হবে। কতো সহজ! তোমরা ভক্তিমার্গে গেয়ে থাক তুমি যখন আসবে তখন আমরা অন্য সঙ্গ ত্যাগ করে এক তোমার সঙ্গে জুড়ব, এতে পরিশ্রম আছে। পবিত্রতার বিষয়ও মুখ্য। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে কমল ফুল সমান হতে হবে। ওই কমলও জল থেকে, মাটি থেকে উপরে থাকে। তোমরা চৈতন্য ফুলেরাও ভূমির উপরে, অতএব, তোমাদেরও প্রতিজ্ঞা করতে হবে – আমরা পবিত্র থেকে কেবলমাত্র এক তোমাকেই স্মরণ করব। যাতে অন্তিম সময়ে এক তুমি ছাড়া অন্য কেউই স্মরণে না আসে। কোনো অপগুণও না থাকে। যে বাচ্চারা এমন হয় তারা সদাই প্রফুল্ল থাকে। এই প্র্যাক্টিস খুব ভালো করে করতে হবে। বাচ্চারা জানে কখনো কখনো অবস্থা নিস্তেজ হয়ে যায়। মায়া তাড়াতাড়ি কোমল লজ্জাবতী তথা কমজোর করে দেয়। প্রত্যেকের এটা অত্যন্ত প্রয়োজন নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করা, আমি কতক্ষণ বাবার স্মরণে থেকে উৎফুল্ল থাকি ! বাবার সার্ভিসে কতো টাইম দিই ! যদিও যে যেমনই হও, তোমরা সব বাচ্চাকে সার্ভিস নিরন্তর করেই যেতে হবে। বাবা যাচাই করে দেখেন, অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়ার যোগ্য কে ! যেমন, কাঁকড়াবিছা জানতে পারে কোনকিছু পাথরের মতো শক্ত নাকি নরম বস্তু, তো পাথরের উপরে কখনো সে হুল ফুটাবে না। তোমাদেরই কারবার এটা। তোমরা অসীম বাবার স্টুডেন্ট না ! তোমাদের পড়ার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। শুরুতে বাচ্চারা একদিনও মুরলী ছাড়া থাকতে পারত না। কতো ছটফট করত ! (ক্লাসে বড় দিদিরা গীত শুনিয়েছে – তোমার মুরলীতে জাদু . . .) যারা বন্ধনে আটকে থাকত তাদের কীভাবে মুরলী পৌঁছাত ! মুরলীতে জাদু আছে, আছে না ! কোন্ জাদু ? বিশ্বের মালিক হওয়ার জাদু। এর থেকে বড় জাদু আর হয় না। তো সেই সময় তোমাদের কাছে মুরলীর কতো কদর ছিল ! মুরলী সযত্নে পৌঁছানোর জন্য কতো চেষ্টা করত ! তখন ভাবত বিনা পাঠে বেচারাদের কী দশা হবে ! এখানে বাবা জানেন, এমন অনেক বাচ্চা আছে যারা মুরলীতে পুরোপুরি মনোযোগই দেয় না। মুরলী তো বাচ্চাদের রিফ্রেশ করে। ভগবান যে তোমাদের বিশ্বের মালিক তৈরি করেন, তাঁর মুরলী যদি নাই শুনবে তো ভগবান টিচার কী বলবেন ! বাবার ওয়ান্ডার (আশ্চর্য) লাগে। চলতে চলতে অনেক বাচ্চাদের মায়ার তুফান এমনভাবে লাগে মুরলী পড়া, ক্লাসে আসা ছেড়ে দেয়।
জ্ঞানের প্রতি অরুচি মানে বাবার প্রতি বিরাগ। বাবার প্রতি বিরাগ মানে বিশ্বের বাদশাহিতে অনিচ্ছা। মায়া একেবারে নীচে নিয়ে যায়। বুদ্ধিকে একদম মেরে ফেলে যাতে কিছুই বুঝতে পার না। যদিও ভক্তি অনেক করেছে, কিন্তু একদমই ব্লাইন্ড ফেথ, অবুঝ হয়ে গেছে। বাবা নিজে বলেন, তোমরা কতো যোগ্য ছিলে, এখন অযোগ্য হয়ে গেছ। এখন আমি আবার এসেছি – বাচ্চারা, তোমাদের যোগ্য বানাতে। সেইজন্য শ্রীমৎ অনুসারে অবশ্যই চলতে হবে। বাবা বলেন, এতে আর কিছু করার নেই, শুধু বাবাকে স্মরণ কর আর পড়। স্কুলে বাচ্চারা পড়েও আর টিচারকেও স্মরণ করে। ক্যারেক্টারও সংশোধন করতে হয়। তোমাদের এইম অবজেক্ট সামনে দাঁড়িয়ে। তোমাকে এইরকমই হতে হবে, তাঁদের ক্যারেক্টার ভালো তবেই তো সারাদিন মানুষ গায় – তুমি সর্বগুণ সম্পন্ন… মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত বাবার পরিচয় পায়না ততক্ষণ তারা অন্ধকারে। সারা দুনিয়ার মানুষ এই সময় অনাথ। তাদেরকে বাবার বার্তা পৌঁছাতে হবে। তোমরা তো অসীম বাবার বাচ্চা না ! বাবা বলেন, যদি আমাকে স্মরণ কর তো তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। বাচ্চাদের উপায় বের করতে হবে সবার কাছে কীভাবে বার্তা পৌঁছানো যায় ! সংবাদপত্রের মাধ্যমেই সবার কাছে বার্তা পৌঁছাবে – এক বাবাকে স্মরণ কর তাহলে পবিত্র হয়ে যাবে। সব আত্মাই প্রথমে পবিত্র ছিল, এখন সবাই অপবিত্র। এখানে কেউ পবিত্র আত্মা হতে পারে না। পবিত্র আত্মা হয় পবিত্র দুনিয়ায়। আত্মা পবিত্র হয়ে গেলে তারপরে এই পুরানো বস্ত্র ছাড়তেই হয়। এটা হতেই পারে না যে আত্মা পবিত্র হবে আর শরীর পতিত। তাইতো বাবাকে স্মরণ করতে করতে নিজেকে তমঃপ্রধান থেকে সতঃপ্রধান বানাতে হবে। একদম প্রথমে যখন তোমরা এসেছিলে তখন পবিত্র ছিলে, এখন আবারও পবিত্র হতে হবে। আত্মারা পবিত্র হয়ে ফিরে যাবে তারপরে পবিত্র দুনিয়ায় আসবে। শান্তিধাম হয়ে আবার গর্ভ মহলে আসবে। সেখানে দুঃখের লেশমাত্র থাকে না। রাবণ-রাজ্যই নেই। যাই হোক, পুরুষার্থ করে উঁচু পদ পেতে হবে, সেইজন্য এই পাঠের পড়া। স্বর্গে তো সবাই যাবে। যতই হোক, উঁচু পদ পাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। এতো তোমরা জান স্বর্গের স্থাপন আর নরকের বিনাশ হচ্ছে। শিবালয় স্থাপন হবে তো বেশ্যালয় সমাপ্ত হয়ে যাবে। শিবালয়ে তো আসতেই হবে। কিছু তাদের এই শরীর ছেড়ে দেবে এবং গিয়ে প্রিন্স প্রিন্সেস হবে। কিছু প্রজায় চলে যাবে। যাদের লাইন একেবারে ক্লিয়ার, এক বাবা ছাড়া আর কারও স্মরণ আসে না, তাদের বলা যায় সম্পূৰ্ণ বেগার। এমনকি, তোমাদের শরীরকেও স্মরণ ক’র না অর্থাৎ জীবিত থেকেও মরে যাওয়া। আমাদের এখন অসীম ঘরে যেতে হবে। নিজেদের ঘরকে ভুলে গেছিলাম। এখন বাবা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
বাবা মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের বোঝান তোমরা বানপ্রস্থে আছ। এই সময় তোমাদের সকলের বানপ্রস্থ অবস্থা। এখন আমি এসেছি বাণীর ঊর্ধ্বে সেই স্থানে সব বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বানপ্রস্থ অবস্থায় যাওয়ার জন্য সব ভক্ত ভক্তি করে। এখন বাবা বোঝান সবাই বানপ্রস্থ অবস্থায় কীভাবে যায়। তাদের এই শব্দের অর্থও জানা নেই, শুধু নাম শুনেছে। যদিও বা দ্বাপর থেকে নিয়ে লৌকিক গুরুর দ্বারা অনেক পুরুষার্থ করেছে, কিন্তু কেউই তো ফিরে যেতে পারে না। বাবা বলেন, ছোট অথবা বড় এখন সবার জন্য বানপ্রস্থ অবস্থা। সত্যি-সত্যি বানপ্রস্থ অবস্থা তো তোমাদের, কারণ ফিরে যেতে হবে। অসীম জগতের বাবা তোমাদের সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন। সুতরাং বাচ্চাদের খুব খুশি হওয়া উচিত। তোমরা জান, কেবলমাত্র বাবাই সুইট সাইলেন্স হোমে নিয়ে যান। কেননা, আত্মাদের এখন শান্তি প্রয়োজন। এখানে তো শান্তি হতে পারে না। শান্তিধামের মালিক তো এক বাবাই, যখন মালিক আসেন শুধুমাত্র তখন তিনি সবাইকে নিয়ে যেতে পারেন। তারা ভক্তি করত শান্তিধামে যাওয়ার জন্য। এ’রকম কেউ বলতে পারে না আমরা সুখধামে যাই। বাবা বলেন, বাচ্চারা তোমাদেরকে আমি প্রমিস করি যে তোমাদের সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাব, যদি তোমরা আমার শ্রীমত অনুসরণ কর। যদি কেউ সুখধামে নাও যায়, শান্তিধামে তো আমি অবশ্যই নিয়ে যাব। কাউকেই ছেড়ে দেব না। যদি তোমরা না যাবে তো সাজা দিয়ে, প্রহার দিয়েও নিয়ে যাব। যেভাবে বাচ্চাদের সাজা দেওয়া হয়ে থাকে ! বাচ্চারা তোমাদেরও সে’ভাবে নিয়ে যাব, কেননা ড্রামাতে পার্টই এইরকম। তার চেয়ে নিজের উপার্জন নিয়ে আমার সাথে যদি চলো তো সেটা বরং ভালো।
পদপ্রাপ্তিও ভালো হবে। পরে যারা আসবে তারা কী সুখ পাবে ! বাবা বলেন, তুমি চাও বা না চাও, তোমাদের সবার শরীর আগুনে পুড়ে যাবে, আত্মাদের অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। আমার মত অনুসরণ করে যদি সর্বগুণসম্পন্ন ১৬ কলা সম্পূৰ্ণ হও তো উঁচু পদপ্রাপ্ত হবে, কারণ আমাকে ডাকাই হয়েছে – এসে ঘরে নিয়ে চলো অর্থাৎ মরণের জন্য বলেছ। এ তো সবাই জানে, মৃত্যু সমাসন্ন প্রায়। ছিঃ ছিঃ কেউ অর্থাৎ হীন চরিত্রের কেউ ওখানে থাকবে না। বাবা বলেন, আমি সবাইকে ছিঃ ছিঃ দুনিয়া থেকে অবশ্য নিয়ে যাব। যারা ভালোভাবে পড়বে তারাই সুখধামে যাবে। সুখধাম বা স্বর্গ আকাশে কোথাও নেই। দিলওয়াড়া মন্দির তোমাদের স্মারক। আদি দেব বসে আছেন। বাপদাদা তো, তাই না ! এঁনারই শরীরে বাবা বিরাজমান। তোমরা জান এখানে বাপ-দাদা দুজনেই বসে আছেন। এই সময় তোমরা বাচ্চারা যারা রাজযোগ শিখছ তা’ মন্দিরে দেখানো হয়েছে। মহারথী, ঘোড়সওয়ারও আছে। কল্পে কল্পে হুবহু এ’রকমই মন্দির হবে যা তোমরা গিয়ে দেখবে। তোমরা বলবে এই সব ভেঙে যাবে, আবারও কীভাবে হবে ? সে’ বিষয়ে তোমাদের ভাবা উচিত নয়। স্বর্গ এখন কোথায়, পরে তখন স্বর্গে মহল হবে। এই সমস্ত পাহাড় ইত্যাদি ভেঙে যাবে, আবার হবে, তবুও আবার আবু সৃষ্টি হবে ! অনেক বাচ্চা এই ব্যাপারে বিহ্বল হয়ে যায়। বাবা বলেন, বিহ্বলতায় ম্রিয়মান হওয়ার দরকার নেই। বলেন- দ্বারিকা সমুদ্রের নিচে চলে গেছে আবার উত্থান হবে। যে জিনিস নিচে চলে গেছে তা’ গেছে, সমাপ্ত হয়ে যাবে। তোমরা জান স্বর্গে আমরা নিজেদের মহল ইত্যাদি বানাব। ওখানে একেবারেই সতঃপ্রধান সব নতুন নতুন জিনিস হবে। তোমরা ওখানের ফল ইত্যাদি ইত্যাদি দেখে আস। তোমরা জান আমরা ওখানে যেতে চলেছি। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি রিপিট হয় তো স্বর্গও রিপিট হবে। এই নিশ্চয় হওয়া উচিত। কিন্তু কারও ভাগ্যে যদি নেই তো বলবে এ’ কীভাবে হতে পারে ! কীভাবে সম্ভব এত সবাই আবার আসবে, আবার মহল ইত্যাদি বানাবে !
তোমরা জান, সোমনাথের মন্দির লুট করে নিয়ে যায়, তবুও মন্দির আবারও বানাবে। এই খেলাই পূজ্য থেকে পূজারী, পূজারী থেকে পূজ্য হওয়ার। ব্রাহ্মণ, দেবতা, বৈশ্য, শূদ্র… এ’টা চক্র। তোমরা বাচ্চারা পদ্মাপদম ভাগ্যশালী তৈরি হও। তোমাদের কদমে পদমের ছাপ তথা হাজার লক্ষ কোটি পরম সৌভাগ্য অঙ্কিত হয়ে যায়। তোমরা জান আমাদের কদমে পদম অর্থাৎ পঠনে পাঠনের কদমে পদম সমাহিত হয়ে আছে। যত পড়বে তত’ উঁচু পদ পাবে। সত্যযুগ হ’ল গোল্ডেন এজ। ওখানের ধরণীও কতো সুন্দর হয় ! কতো সুন্দর মহল তৈরি হয়। সব জিনিস সতঃপ্রধান হয়। দেখতেই নয়ন শীতল হয়ে যায়। এমন রাজধানীর তোমরা মালিক হচ্ছ, তাহলে কতো ভালোভাবে পুরুষার্থ করা উচিত ! পুরুষার্থেই প্রারব্ধ তৈরি হয়। বাচ্চাদের জ্ঞান তো বুদ্ধিতে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে, লৌকিক সম্বন্ধ থেকে মমত্ব মুছে ফেলতে হবে, শুধু এক বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) বাবার স্মরণে থেকে সদা প্রসন্ন থাক। কখনো নিস্তেজ হ’য়ো না। অসুস্থ থাকলেও মুরলী অবশ্যই পড় বা শোনো।
২) পঠন-পাঠনের দ্বারা কদম-কদমে পদম জমা কর আর সব সঙ্গ ছেড়ে এক বাবার সাথে জুড়ে যাও।
বরদানঃ-
যেমন, ব্রহ্মাবাবা দৃঢ় সঙ্কল্পের দ্বারা সব কার্যে সফলতা প্রাপ্ত করেছেন, তিনি প্র্যাকটিক্যাল কর্মে করে দেখিয়েছেন এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নেই। কখনো নিরুৎসাহ হননি, সদা নাথিং নিউ পাঠের দ্বারা বিজয়ী হয়েছেন, হিমালয় সমান বড় বিষয়কে তুলোসম বানিয়ে পথ বের করেছেন, কখনো ঘাবড়ে যাননি, সদা এ’ভাবে হৃদয়ে উদারতা বজায় রেখে প্রসন্নচিত্ত থাক। প্রতি কদমে ব্রহ্মা বাবাকে ফলো কর তো সমীপ আর সমান হয়ে যাবে।
স্লোগানঃ-
লাভলীন স্থিতির অনুভব করুন – –
অসীম প্রাপ্তিতে যত মগ্ন থাকবে তত’ সীমিত আকর্ষণের ঊর্ধ্বে থেকে পরমাত্ম-ভালোবাসায় সমাহিত হওয়ার অনুভব করবে। তোমাদের এই লাভলীন স্থিতি বাতাবরণে আধ্যাত্মিকতার সৌরভ ছড়াবে।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!