02 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 1, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"বাচনিক সেবার সাথে সাথে মন্সা সেবাকে ন্যাচারাল বানাও, শুভ ভাবনা সম্পন্ন হও"

আজ নব বিশ্ব-নির্মাতা, বিশ্বপিতা নিজের সমীপ-সাথী নব-নির্মাণকর্তা বাচ্চাদের দেখছেন। তোমরা সব বাচ্চা নব-নির্মাণ করার কার্যে নিকট সম্বন্ধের হও। বাস্তবে, নব-নির্মাণের কার্যে প্রকৃতিও সহযোগী হয়, বর্তমান সময়ের খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক বাচ্চারাও সহযোগী হয়, কিন্তু তোমরা সবাই নিকটে থাকা সাথী। বাচ্চাদের সকলের এই ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষ কর্তব্য এবং সেবা কী ? দিন-রাত সেবার উৎসাহ-উদ্দীপনায় তোমরা উড়ছ, কোন কার্যের জন্য ? বিশ্বকে নতুন বানানোর জন্য। দুনিয়ার লোকে তো নতুন বছর উদযাপন করে, কিন্তু তোমাদের মনে দুর্দম ইচ্ছাশক্তি আছে যে এই বিশ্বকে এমন নতুন করে তৈরি করব যাতে সব কিছুই নতুন হয়ে যায়। মনুষ্য আত্মারা, এমনকি প্রকৃতিও সতঃপ্রধান ও নতুন হয়ে যায়। পুরানো দুনিয়া তো তোমরা দেখতেই পাচ্ছ, চারিদিকে হাহাকার। তাহলে তোমরা হাহাকারের দুনিয়া থেকে জয়-জয়কারের দুনিয়া বানাচ্ছ যাতে প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা কর্ম, প্রতিটা বস্তু নতুন হয়ে যাবে। সাধারণত:, প্রত্যেক ব্যক্তির সবকিছু নতুনই পছন্দ হয়, তাই না ! পুরানো কোনো কিছু যদি ভালোও লাগে তা’ শুধুমাত্র স্মরণিক হিসেবে, ইউজ করতে ভালো লাগবে না। কেবলমাত্র মিউজিয়ামে স্মারক বানিয়ে রাখবে, কিন্তু নতুন জিনিস প্রত্যেকের ভালো লাগে। এই সময় তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারা পুরানো দুনিয়ায় থেকেও নতুন দুনিয়ায় আছ। অন্য আত্মারা পুরানো দুনিয়ায় আছে, কিন্তু তোমরা কোথায় আছ ? নতুন যুগ “সঙ্গমে” থাক তোমরা। পুরানো জীবন সমাপ্ত হয়ে গেছে আর এখন তোমরা নতুন ব্রাহ্মণ জীবনে আছ। দুনিয়ার লোকে একদিন নতুন বছর উদযাপন করে, কিন্তু তোমাদের তো যুগই নতুন, নতুন জীবন। প্রতিটা কর্ম, প্রতিটা সেকেন্ড নতুন। তোমরা আছ সঙ্গমে। একদিকে পুরানো দুনিয়া আর অন্যদিকে নতুন দুনিয়া দেখছ। তাহলে, বুদ্ধি কোনদিকে যায় ? নতুন দিকে, নাকি কখনো কখনো পুরানো দুনিয়ার দিকেও চলে যায় ? পুরানো দুনিয়া ভালো লাগে কি ? যে জিনিস ভালো লাগে না সেদিকে বুদ্ধি কেন যায় ? পুরানো দুনিয়া থেকে দুঃখ, অশান্তি, হয়রান হওয়ার অনুভব করে নিয়েছ, নাকি এখনো অল্প অনুভব করতে চাও ?

আজ তো তোমরা মিলিত হ’তে এবং উদযাপন করতে এসেছ। তোমরা সবাই দূরদেশ থেকে এসে পৌঁছেছ নতুন বছর উদযাপন করার জন্য। সুতরাং নতুন বছরের জন্য, নিজের জন্য, বিশ্ব সেবার জন্য এবং নিজের কাছের সাথীদের জন্য, প্রকৃতির জন্য এবং দূরে থাকা নিজের পরিবারের জন্য কী ভেবেছ ? নতুন বছরে নতুন কী করবে ? শুধু নিজের জন্য তো ভাবনা নয়, তাই না ! অসীম জগতের বাবার বাচ্চারা তোমরাও তো অসীম জগতের। সুতরাং সবার জন্যই তো ভাববে, কারণ এই সময় বাপদাদার সাথে তোমাদের সকলেরও দায়িত্ব আছে। বাবা হলেন করানোর মালিক (করাবনহার), কিন্তু করার নিমিত্ত তো তোমরা, তাই না !

বাপদাদা দু’ বছর আগে, নতুন বছরে কী নবীনত্ব আনতে হবে তার ডিরেকশন দিয়েছিলেন। মাঝখানে এক বছর এক্সট্রা পেয়ে গেছ। তাইতো, আজ অমৃতবেলায় বাপদাদা দেখছিলেন, প্রত্যেক বাচ্চা নিজের মধ্যে কতখানি নবীনত্ব এনেছে ! মন্সায়, বাণীতে, কর্মে কী নবীনত্ব এনেছে আর সেবা-সম্পর্কে কী নবীনত্ব এনেছে ! বিগত বছরে মন্সার চার্টে যা ছিল সেই মন্সার চার্ট এখন একই আছে ? এ’ভাবে সব বিষয়ের চার্ট চেক কর। নবীনত্ব অর্থাৎ বিশেষত্ব। সব বিষয়ে বিশেষত্ব এনেছ ? মন্সা সেবাতে উড়তি কলা’র হিসেবে তোমাদের বিশেষত্ব কী ? যারা উড়তি কলার তাদের বিশেষত্ব অর্থাৎ সবসময় প্রত্যেক আত্মার প্রতি আপনা থেকেই শুভভাবনা আর শুভকামনার শুদ্ধ ভাইব্রেশন স্বজনের এবং অন্যেরও যেন অনুভব হয়, অর্থাৎ সবসময় মন থেকে সকল আত্মাদের প্রতি আপনা থেকেই যেন আশীর্বাদ-ধারা প্রবাহিত হতে থাকে। তোমাদের মন সদা এই সেবায় বিজি থাকা উচিত, ঠিক যেভাবে বাচনিক সেবায় তোমরা সদা বিজি থাকার অনুভাবী হয়ে গেছ। যদি সেবার সুযোগ না পাও তো তোমরা নিজেকে খালি অনুভব কর। একইভাবে, সবসময় বাণীর সাথে সাথে মন্সা সেবা আপনা থেকেই হওয়া উচিত। বাচা সেবার জন্য তোমরা খুব ভালো প্ল্যানস বানাও। আমরা এই কনফারেন্সের আয়োজন করব – ন্যাশনাল করব, এখন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স করব এবং বিভিন্ন বর্গের জন্য কর্মসূচি তৈরি করব। তাইতো, বাচনিক সেবায় নিজেকে বিজি রাখার জন্য একের পর এক প্ল্যান সম্বন্ধে আগে থেকেই ভাবো। এতে বিজি থাকার উপায় তোমরা জেনে গেছ। মেজরিটি অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে এই সেবায় এগিয়ে যাচ্ছে। বিজি থাকার উপায় তোমরা এখন জানো। যতই হোক, মন্সা সেবাতেও বিজি থাকা – এতে মাইনরিটি, মেজরিটি নেই। যখন এমন কোনো বিষয় তোমাদের সামনে আসে তো সে’সময় বিশেষ মন্সা সেবার স্মৃতি আসে। কিন্তু বাচনিক সেবা যেভাবে নিরন্তর ন্যাচারাল হয়ে গেছে, সেইসঙ্গে মন্সা সেবাও ন্যাচারাল হোক। এই বিশেষত্ব আরও বেশি প্রয়োজন। বাণীর সাথে সাথে মন্সা সেবাও করতে থাক, তবে তোমাদের কম বলতে হবে। বলার জন্য যে এনার্জি ব্যয় কর তা’ মন্সা সেবার সহযোগের কারণে বাণীর এনার্জি সঞ্চয় হবে আর মন্সার শক্তিশালী সেবা তোমাদেরকে সফলতা অধিক অনুভব করাবে। এখন তন, মন, ধন এবং সময় যত ব্যবহার কর, তার থেকে খুব অল্প সময়ে সফলতা বেশি প্রাপ্ত হবে আর নিজেদের নেচার পরিবর্তন করার জন্য নিজের প্রতিও কখনো কখনো যে পরিশ্রম করতে হয়, সংগঠনে পরস্পরের সঙ্গে পরস্পরের চলায় অথবা সেবাতে কখনো সফলতা কম দেখে ভগ্নোৎসাহ হওয়া, এই সব সমাপ্ত হয়ে যাবে। ছোট ছোট বিষয় যেগুলো বড় হয়ে যায়, সে’সব এমনভাবে সমাপ্ত হয়ে যাবে যে তোমরা নিজেরা ভাববে কীভাবে এমন জাদু হয়ে গেল ! এখন তো জাদুমন্ত্র তোমাদের পছন্দ, না ! সুতরাং এই অভ্যাস জাদুমন্ত্র হয়ে যাবে। যেখানে মন্ত্র সেখানে খুব তাড়াতাড়ি অন্তর (প্রভেদ) হয়ে যায়, সেইজন্য বলা হয় জাদুমন্ত্র। অতএব, নতুন বছরে তোমরা ম্যাজিক মন্ত্র ইউজ কর। এই নবীনত্ব হতে দাও অর্থাৎ এই বিশেষত্ব আন, আর জাদুর মন্ত্র কী ? মন্সা আর বাচা, উভয়কে মিলিয়ে দাও। দু’য়ের ব্যালেন্স, দু’য়ের মিলন – এটাই জাদুর মন্ত্র। যখন মন্সায় শুভভাবনা এবং শুভকামনা দেওয়ার অভ্যাস ন্যাচারাল হয়ে যাবে তখন তোমাদের মন্সা বিজি হয়ে যাবে। মনে যে চঞ্চলতার উদ্রেক হয়, তা’ থেকে স্বতঃই সরে যাবে। নিজের পুরুষার্থে যে কখনো কখনো নিরুৎসাহ হয়ে যাও, তা’ হবে না। জাদুমন্ত্র হয়ে যাবে। সংগঠনে কখনো কখনো ঘাবড়ে যাও, ভাবো যে আমি তো প্রতিজ্ঞা করেছিলাম “বাবা আর আমি”, এই প্রতিজ্ঞা তো একটুও করিনি যে সংগঠনে থাকব। বাবা তো খুব ভালো, বাবার সাথে থাকাও খুব ভালো, কিন্তু সংগঠনে সকলের সংস্কার বুঝে চলা খুব কঠিন। যেমনই হোক, এটাও খুব সহজ হয়ে যাবে কেননা, মন থেকে, অন্তঃকরণ থেকে সব আত্মার প্রতি আশীর্বাদ, শুভভাবনা, শুভকামনা পাওয়ারফুল হওয়ার কারণে অন্যদের সংস্কার চাপা পড়ে যাবে। তারা তোমাদের বাধা দেবে না আর চাপা পড়তে পড়তে সমাপ্ত হয়ে যাবে। তারপরে বলবে – হ্যাঁ, আমরা ৪০ জনের সাথেও একসঙ্গে থাকতে পারি। এই বছর চারিদিকের দেশবিদেশের বাচ্চাদের সবসময়ের এই নবীনত্ব এবং বিশেষত্ব নিজের মধ্যে আনতে হবে। কখনো কখনো ভাবো তো না যে এখনো তো ৯ লক্ষ পুরো হয়নি ! অন্ত পর্যন্ত ৩৩ কোটি দেবতা উপস্থিত থাকবে – সে’ বিষয় তো ছেড়েই দাও। ৯ লক্ষ তো ভালো আত্মা প্রয়োজন। প্রথম রাজধানীতে ন’ লক্ষ ভালো আত্মাই তো চাই ! প্রজাও অবশ্যই ভালো চাই নম্বর ওয়ান, কারণ ওয়ান-ওয়ান-ওয়ান শুরু হবে। সুতরাং তার মধ্যে যে প্রকৃতি হবে, ব্যক্তি হবে, বৈভব হবে – সে’ সব নম্বর ওয়ান হবে। তাহলে, ন’ লক্ষ প্রজা এখন প্রস্তুত করেছ ? কতো লক্ষ তৈরি করেছ ? তোমরা যে রিপোর্ট বানাও, তার মধ্যে তো যারা কখনো কখনো আসে তাদেরও অ্যাড কর, তাই না ! কিন্তু এখনো তো অর্ধেকও প্রস্তুত হয়নি। নম্বর ওয়ান প্রজা অন্ততঃ বাবার স্নেহ অবশ্য অনুভব করবে। সহযোগে থাকে, সেটা প্রথম পদক্ষেপ, কিন্তু দ্বিতীয় পদক্ষেপ হ’ল সহযোগী, স্নেহী হবে। সমর্পণ না হওয়া, সে’টা অন্য বিষয়, কিন্তু বাবার প্রতি যেন সদা স্নেহ থাকে, স্নেহ শুধু পরিবারের বা ভাই-বোনের প্রতি নয় ! এখন তারা এই পর্যন্ত পৌঁছেছে – যারা সেবা করে তাদের প্রতিও স্নেহী হয়। যতই হোক, বাবার স্নেহের অনুভূতি যেন হয় ! তাদের অন্তঃকরণ থেকে যখন ‘বাবা’ বের হবে তখনই তো প্রজা হবে ! ব্রহ্মার প্রজা, প্রথম বিশ্ব মহারাজনের হবে। যার প্রজা, তার স্নেহ তো এখন থেকে হতে হবে, তাই না ! এই যে তোমরা ভাবছ যে এখন তো অনেক সেবা পড়ে আছে, তা’ এই মন্সা ও বাচার সম্মিলিত সেবায় বিহঙ্গ-মার্গের সেবার প্রভাব দেখবে তোমরা। আগের সেবার তুলনায় এখনের সেবাকে তোমরা বিহঙ্গ-মার্গের সেবা বলো। কিন্তু তোমাদের এগিয়ে যাওয়ার হিসেবে আরও তীব্রগতির ( বিহঙ্গ-মার্গের ) সেবা তোমরা অনুভব করবে। বাপদাদা বাচ্চাদের সেবায় খুশি। যখন প্রত্যেকের সেবা দেখেন তখন প্রত্যেকের প্রতি অনেক স্নেহের উদ্রেক হয়। দেশ হোক বা বিদেশ, সেবার গভীর নিষ্ঠা তো আছেই। গ্রামে গ্রামে চারিদিকে কতো সেবা ছড়িয়ে যাচ্ছে ! তোমরা পরিশ্রম তো কর, কিন্তু স্নেহের কারণে তা’ পরিশ্রম মনে হয় না। দৌড়াদৌড়ি করে নিজেদের বিজি রাখার খুব ভালো যুক্তি তৈরি করেছ। বাবার স্নেহ আর বাবার সহায়তা এ’ভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাপদাদা বাচ্চাদের দেখে খুশি হন – তোমরা কতো সেবা করছ ! এখনো পর্যন্ত যতটা করেছ, খুব ভালো করেছ। এখন, বিহঙ্গ মার্গের সেবার যে বিধি শুনিয়েছ, তার মাধ্যমে কোয়ালিটি আত্মারা কাছে আসবে এবং সেই কোয়ালিটি আত্মারা অনেকের নিমিত্ত হবে। এক থেকে তখন অনেক আসবে এবং বিহঙ্গ মার্গের সেবা হবে। যতই হোক, কোয়ালিটি সেবায় তাদের নিমিত্ত বানানোয় অথবা তাদের বুদ্ধিকে টাচ্ করার জন্য তোমাদের নিজেদের মন্সা অনেক শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। কেননা, যারা কোয়ালিটি আত্মা তারা বাণীতে তো প্রথম থেকেই দক্ষ হয়, কিন্তু অনুভূতিতে দুর্বল হয়, একেবারেই অনুভূতিবিহীন । সুতরাং যে, যে বিষয়ে দুর্বল হয় তার সেই দুর্বলতারই তির লাগতে পারে এবং যখন অনুভূতি হয় তখন মনে করে যে ইনি তো আমার থেকে উচ্চতর। নয়তো, কখনো কখনো তারা মিক্স করে দেয়, বলে – আপনারাও খুব ভালো, অন্যান্যরাও ভালো, ” ঈশ্বর আপনাদেরও আশীর্বাদ করুন !” এটা ব’লে তারা সমাপ্ত করে দেয়। যেমনই হোক, তোমরা আশীর্বাদ সহ এগিয়ে চলেছ, পরমাত্ম-আশীর্বাদের ভিত্তিতেই তোমাদের জীবন – এখন তাদের এই অনুভূতি করাতে হবে। এখন অল্প অল্প অভিমান হয়, নিজেদের বড় মনে করায় ভাবে যে তারা তোমাদের সাহস দিচ্ছে, কিন্তু পরে বুঝতে পারবে যে তোমরা তাদের সাহস দিচ্ছ। এখন এমন জাদুমন্ত্র হওয়া উচিত। এখন তো বাণী দ্বারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছ, লাঙল চালিয়েছ, ক্ষেত্রভূমি সমতল করেছ, অন্ততঃ এতটা রেজাল্ট বেরিয়েছে। বীজও বপন করেছ, কিন্তু সেই বীজের এখন প্রাপ্তির জল প্রয়োজন। তখন ফল বের হওয়ার অনুভব করবে। মন্সার কোয়ালিটি বৃদ্ধি কর, তবেই কোয়ালিটি কাছে আসবে। এতে ডবল সেবা – স্ব-এরও আর অন্যদেরও। স্ব-এর জন্য আলাদা পরিশ্রম করতে হবে না। প্রালব্ধের প্রাপ্তি, তখন এ’রকম স্থিতি অনুভব হবে। ভবিষ্যৎ প্রালব্ধ তো বিশ্বের রাজত্ব, কিন্তু এই সময়ের প্রালব্ধ হ’ল “সদা স্বয়ং সর্বপ্রাপ্তিতে সম্পন্ন থাকা আর অন্যদের সম্পন্ন করা।” এই সময়ের প্রালব্ধ সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। ভবিষ্যতের গ্যারান্টি তো আছেই। ভগবানের গ্যারান্টি কখনো পরিবর্তন হতে পারে না। সুতরাং নতুন বছর তোমরা এ’ভাবে উদযাপন করবে, তাই না ? এই সেবা সবচাইতে আগে কে আরম্ভ করবে ? মধুবন। কারণ মধুবন নিবাসীদের বলা হয় – চুলাতেও আছে কারণ সবার আগে গরম গরম মুরলী তারাই পায় আবার হৃদয়েও আছে। অসীম ভান্ডার থেকে সদা ব্রহ্মা ভোজন খায়। প্রকৃতপক্ষে, এই সময় তোমরা সবাই মধুবনে বসে আছ, মধুবন নিবাসী তোমরা, আর তোমাদের যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে – তোমাদের পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস কী, তাহলে তো মধুবনই বলবে, তাই না ! নাকি যেখানে থাক সেটা পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস ? ব্রহ্মাকুমার-কুমারী অর্থাৎ পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস একই, আর তোমাদের যেখানে পাঠানো হয়েছে সে’টা সেবার জন্য। এমন নয়, আমরা তো বিদেশি, না। আমরা ব্রাহ্মণ, বাবা তোমাদের ওখানে পাঠিয়েছেন সেবার্থে। এই বুদ্ধির টাচিং দ্বারা তোমাদেরকে ওখানে পাঠানো হয়েছে। বাবার সঙ্কল্প দ্বারা ওখানে পৌঁছেছ। ভারতে রাজত্ব করবে নাকি লন্ডনে ? কখনও এমন ভেবো না, আমরা তো বিদেশে জন্মেছি, সে’জন্য আমরা ওখানের। ব্রহ্মার থেকে জন্ম হয়েছে নাকি বিদেশ থেকে ? তা’ নয়তো বলা হবে বিদেশি-কুমার, বিদেশি-কুমারী। তোমরা তো ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারী, তাই না ! যেমন, ভারতে কেউ ইউ. পি.র, কেউ দিল্লির। ঠিক সে’রকমই সেবার্থে বিদেশে গেছ। বিদেশি তোমরা নও। এই নেশা আছে না ! সে’টা সেবাস্থান, জন্মস্থান মধুবন। সেই হিসেব-নিকেশ শেষ হয়েছে তবে তো ব্রাহ্মণ হয়েছ। হিসেব শেষ তো হিসেবের বইও দগ্ধ হয়ে গেছে। গভর্নমেন্টের থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যও তারা তাদের হিসেবের বই জ্বলিয়ে দেয়, তাই না ! তাহলে, পুরানো খাতা শেষ করে দিয়েছ তো ! কেউ কেউ দক্ষ হয়, তো তারা নিজের খাতা পুরোই সমাপ্ত করে দেয় আর যারা দক্ষ হয় না তারা কোথাও না কোথাও ঋণের দায়ে আটকে থাকে, ধার-দেনায় আটকে থাকে। যাদের কুশলতা থাকে তারা কখনা আটকে থাকে না। অতএব, হিসেবের বই সমাপ্ত মানে কোনো ঋণ নেই, সব খাতা পরিষ্কার তথা স্বচ্ছ। সবচাইতে ভালো প্রথা ব্রাহ্মণের। আচ্ছা।

চারিদিকের সেবার সকল সমীপ সাথীদের, সকল সাহসী এবং বাবার সহযোগের যোগ্য আত্মাদের, সদা মন্সা আর বাচা – একইসঙ্গে ডবল সেবা করা বিহঙ্গ মার্গের সেবাধারীদের, সদা বাবার সমান সকল আত্মাদের প্রতি শুভ কামনাকারী মাস্টার সদ্গুরু বাচ্চাদের, সদা নিজের মধ্যে প্রতি মুহূর্তে নবীনত্ব এবং বিশেষত্ব নিয়ে আসা সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মাদেরকে বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

বরদানঃ-

ডবল লাইট স্থিতি তীব্রগতির পুরুষার্থের লক্ষণ, তাদের কোনও প্রকারের বোঝা অনুভব হবে না। হয় প্রকৃতির দ্বারা কিংবা ব্যক্তির দ্বারা যে কোনো পরিস্থিতি যদি আসে, সব পরিস্থিতি স্ব-স্থিতির সামনে কোনকিছুই অনুভব হবে না। ডবল লাইট অর্থাৎ উঁচুতে থাকায় কোনো রকমের প্রভাব প্রভাবিত করতে পারে না। নিচের বিষয় থেকে, নিচের বায়ুমন্ডল থেকে ঊর্ধ্বে থাকায় কম সময়ে সম্পূৰ্ণ হওয়ার শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য প্রাপ্ত করে নেবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top