27 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

December 26, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - ভারতভূমি হল সুখদাতা বাবার জন্মভূমি, বাবা-ই এসে সমস্ত বাচ্চাদের দুঃখ থেকে মুক্ত করেন"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, সর্বাধিক উচ্চ বিশাল দীর্ঘ কাহিনী কোনটি, যা তোমাদের কাছে সাধারণ ?

উত্তরঃ -:-

এই ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের কাহিনী অতি দীর্ঘ এবং সুউচ্চ। এই কাহিনী মানুষ বুঝতে পারে না। বাচ্চারা, তোমাদের জন্য এই কাহিনী অতি সাধারণ। তোমরা জানো — এই ড্রামা কীভাবে হুবহু রিপীট হয়, এই সিঁড়ি কীভাবে আবর্তিত হতে থাকে।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়ঃ…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা মাহাত্ম্য ভরা গান শুনেছে। কার মহিমা ? সর্বোচ্চ ভগবানের। যাকে পতিত-পাবন, দুঃখহরণকারী সুখপ্রদানকারীও বলা হয়ে থাকে। সুখ প্রদানকারীকে স্মরণ করা হয়ে থাকে। বাচ্চারা জানে, সুখ প্রদানকারী হলেন একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মাই। সকল মানুষমাত্রই ওঁনাকেই স্মরণ করে, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও বলে যে বাবা এসে দুঃখ থেকে মুক্ত করে সুখ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এ’টা জানে না যে সুখ বাবা দিয়ে থাকেন। তাহলে দুঃখ কে আর কখন দেয়, এও তোমরাই বোঝো। নতুন দুনিয়াই আবার পরে পুরোনো হয়, তখন তাকে দুঃখধাম বলা হয়ে থাকে। কলিযুগের অন্তের পর পুনরায় সত্যযুগ অবশ্যই আসবে। সৃষ্টি তো একটাই। মানুষ সৃষ্টির এই চক্রকে একদমই জানে না, সেইজন্য বাবা জিজ্ঞাসা করেন — তোমাদের এ’রকম অবোধ বানায় কে? বাবা তো কাউকে দুঃখ দেন না। বাবা তো সদা সুখ দেন। তোমরা জানো, সুখ প্রদানকারীর জন্মস্থানও ভারতে তো দুঃখ প্রদানকারীর জন্মস্থানও ভারতেই।ভারতবাসীরা যদিও শিব-জয়ন্তী পালন করে, কিন্তু বোঝে কিছুই না, এ হলো উচ্চ থেকে উচ্চতম ভগবানের জয়ন্তী। ওঁনার শিব। তা কেউ জানতেই পারে না। রাবণকে প্রতি বছর জ্বালাতে থাকে। কিন্তু তা কি জিনিস ? কবে থেকে এসেছে ? কেন জ্বালানো হয়? এ’সব কিছুই জানে না। ড্রামার প্ল্যান অনুসারে তারা এ’সব জানবেই না। বাবা বোঝান — প্রত্যেকের ভূমিকা আলাদা-আলাদারকমের। মানুষের ভূমিকারই গায়ন রয়েছে। মানুষই সমঝদার হয়, জানোয়ার তো অবুঝ। এইসময় মানুষও অবুঝ হয়ে পড়েছে। এ’টা জানেই না যে দুঃখহরণকারী, সুখপ্রদানকারী পতিত-পাবন কে ? অপবিত্র কীভাবে হয়েছি ? পবিত্র কীভাবে হবো ? আহ্বান করে কিন্তু অর্থ জানে না। এইসময় হয়ই ভক্তিমার্গ। শাস্ত্রও সবই ভক্তিমার্গের। শাস্ত্রে কোনো সদ্গতির জ্ঞান নেই। কথিতও রয়েছে জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য….. ব্যস্। এতখানি বুদ্ধিতে আসে। এরও অর্থ জানে না। জ্ঞানের সাগর একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মাই, অবশ্যই ওঁনাকেই জ্ঞান প্রদান করতে হবে। তিনিই সদ্গুরু, সদ্গতিদাতা সেইজন্য ওঁনাকে আহ্বান করা হয় যে এসে আমাদের দুর্গতি থেকে রক্ষা করো। দ্বাপরে আমরা প্রথমে সতোপ্রধান পূজারী হই পুনরায় পুনর্জন্ম নিয়ে নীচে নেমে আসে। যে মানুষই আসে সিঁড়ি তো অবশ্যই নামবে। যদিও বুদ্ধ ইত্যাদিদের নাম সিঁড়িতে দেয়নি। যদি তাদের দেখিয়ে দাও-ও, তবুও তাদেরকেও সিঁড়ি তো নামতেই হবে, তাই না! তাদের সতো-রজো-তমোতে তো আসতেই হবে। এখন সকলেই তমোপ্রধান। এখন বাবা বোঝান — এই শাস্ত্র সবই ভক্তিমার্গের, যেখানে অনেক প্রকারের কর্মকান্ড রয়েছে। জ্ঞান প্রদানকারী হলেন একমাত্র বাবা-ই। জ্ঞানসাগরই এসে প্রকৃত জ্ঞান শোনান। অর্ধেককল্প হলো দিন, সেখানে ভক্তির কোনো কথাই নেই। দিনে কখনো ঠোকর খায় না, ওখানে তো সুখই সুখ। সেই বাবারই উত্তরাধিকার তোমরা কল্পের সঙ্গমে পাও। এই জ্ঞান বাবা সেই বাচ্চাদেরই দেন, যাদের কল্প-পূর্বে দিয়েছিলেন আর কল্প-কল্পে দিতেই থাকবেন। তাদের বুদ্ধিতেই বসবে যে রচয়িতাই রচনার জ্ঞান প্রদান করছেন। কত চিত্র তৈরী করে। পরে আবার তাদের ক্যালেন্ডারস্ও তৈরী হবে। নতুন কোনো জিনিস বেরোলে তখন তা ছড়িয়ে পড়ে। এখন ভারতে রচয়িতা বাবা এসে রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞান প্রদান করছেন। এও ছড়িয়ে পড়বে আর বাইরে সকলের কাছে যাবে, তখন তারা বলতে পারবে না যে আমরা স্বর্গে কেন যাই না! সকলেই জেনে যাবে। এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত ড্রামা, এতে তফাৎ হতেই পারে না। দুনিয়ায় তো অনেক মত আছে। কেউ বলে প্রাকৃতিক বলে, কেউ বলে আত্মা অলিপ্ত (কলঙ্কবিহীন)….. ভবিষ্যতে একমাত্র বাবারই শুনবে। অবশ্যই বুঝবে যে আমরা এই ড্রামার অ্যাক্টর্সও। এ হলো বিভিন্ন ধর্মের বৃক্ষ (কল্প)। সকলের বুদ্ধির তালা খুলে যাবে। এখন তালা বন্ধ রয়েছে। তোমাদের ধর্মের কথা আলাদা। এছাড়া ড্রামা প্ল্যান অনুসারে তারা স্বর্গে আসতে পারে না। আমাদের ধর্ম-স্থাপক অমুক সময়ে এসেছেন। খ্রাইস্ট কি কোনো স্বর্গে এসেছে নাকি! এ’সমস্ত কথা এই বৃক্ষের থেকেই বুদ্ধিতে আসবে, সিঁড়ির থেকে নয়। বৃক্ষ অতি সুন্দর। মনে করবে এ হলো পূর্ব-রচিত নাটক। এছাড়া যোগের কথা তোমরা বোঝো। আমরা পবিত্র হয়ে বাবাকে স্মরণ করলে তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। যখন যোগযুক্ত হয়ে যাবে তখন নিজের বিষয়েও জেনে যাবে। রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞান ভবিষ্যতে সব বুঝে যাবে। এখন নয়। ড্রামাও অতি যুক্তি-যুক্তভাবে তৈরী করা হয়েছে। লড়াই তো লাগবেই। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে এই ড্রামার রহস্য রয়েছে। যদি কেউ নতুন এসে যায় তখন শুরু থেকে বোঝাতে হয়। এ অতি দীর্ঘ কাহিনী। অতি উচ্চমার্গের (কাহিনী), কিন্তু তোমাদের জন্য সাধারণ। তোমরা জানো এই সিঁড়ির চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়। বাবা বলেন — মিষ্টি বাচ্চারা, ভক্তিমার্গে তোমরা কত কষ্টে করেছো। এও ড্রামায় নির্ধারিত। এই সুখ-দুঃখের খেলা তোমাদের উপরে রচিত হয়েছে। তোমরা অনেক উঁচুও হও তো নিচুও হয়ে যাও। বাবা বলেন মিষ্টি বাচ্চারা, আমি এই মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ। সমগ্র বৃক্ষের জ্ঞান তো অবশ্যই আমার কাছেই থাকবে। বটবৃক্ষের উদাহরণও এর উপরেই রয়েছে। সন্ন্যাসীরাও উদাহরণ দেয়। কিন্তু তাদের বুদ্ধিতে কিছুই নেই। তোমরা তো জানো কিভাবে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। এখন সেই ফাউন্ডেশন নেই। এছাড়া সম্পূর্ণ ঝাড় দাঁড়িয়ে আছে। সব ধর্মই রয়েছে, কেবল একটি ধর্মই নেই। দেখো, বটবৃক্ষ কিভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মূল বা শিকড় নেই। তবুও বৃক্ষ সদাই সবুজ-তরতাজা। অন্যান্য বৃক্ষ শিকড় ছাড়া শুকিয়ে যায় কারণ শিকড় ছাড়া কিভাবে জল পাবে। কিন্তু সেই বটবৃক্ষ সম্পূর্ণ সতেজভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ তো আশ্চর্যের, তাই না! তেমনই এই বৃক্ষেও দেবী-দেবতা ধর্ম নেই। নিজেকে বোঝেই না, দেবতা ধর্মের বদলে হিন্দু বলে দিয়েছে। যখন থেকে রাবণ-রাজ্য শুরু হয়েছে তখন থেকে দেবী-দেবতা বলার যোগ্য থাকে নি। তাই নাম বদল করে হিন্দু রেখে দিয়েছে। দেবতাদের কেবল জড় চিত্রের নিদর্শনই রয়ে গেছে, যার জন্য মনে করে — স্বর্গে ওনাদের রাজ্য ছিল। কিন্তু সেই স্বর্গ কোথায় ছিল, তা কেউ জানেই না। সত্যযুগের আয়ু অনেক লম্বা-চওড়া করে দিয়েছে। যা অতিবাহিত হয়ে গেছে তা পুনরায় আপন সময়ানুসারেই রিপীট হবে। সে রকমই চেহারা কি এখন হতে পারে নাকি! সে তো পুনরায় স্বর্গেই হবে। এই জ্ঞান তোমরাই বোঝ। বাকি ওরা সকলেই ভক্তি করে পতিত হতেই থাকে। পবিত্র দুনিয়া ছিল। বাবা বসে থেকে তোমাদের বোঝান, বলাও হয়ে থাকে, তুমি সর্বজ্ঞ (যিনি সবকিছু জানেন)। বাবা বলেন — আমি বসে-বসে কোনো এক-একজনের হৃদয়কে জানবো নাকি! কেউ বলে বাবা তুমি তো সবকিছু জানো। আমরা বিকারে যাই — তুমি সবই জেনেছো নিশ্চই। বাবা বলেন — সারাদিন বসে-বসে আমি এই-ই জানবো কী? আমি তো এসেছি পতিতদের পবিত্র করতে। তোমরা জানো, আমরা বাবার থেকে সুখের উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি। বাকি সকলেই মুক্তিধামে ফিরে চলে যাবে। কিভাবে যাবে ? এতে তোমাদের কি এসে যায়। বাবা-ই এসে তোমাদের মুক্তি-জীবনমুক্তিতে নিয়ে যান। হিসেব-নিকেশ চুক্ত করে সকলকে যেতে হবে। তোমাদের সতোপ্রধান হতে হবে। তোমরা অন্যের কথায় কেন যাও ? তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান করেন একমাত্র বাবা-ই। ভক্তিতে এক রতিও জ্ঞান থাকতে পারে না। বলা হয় জ্ঞান আর ভক্তি। জিজ্ঞাসা করো জ্ঞান কত সময় আর ভক্তি কত সময় পর্যন্ত চলে ? তখন কিছুই বলতে পারে না। ভক্তি আলাদা জিনিস, বাবা নিজেই বোঝান, আমি কীভাবে আসি, কার মধ্যে প্রবেশ করি। মানুষ ভক্তিমার্গে আবদ্ধ হয়ে থাকার কারণে আমায় চেনাই মুশকিল, সেইজন্য তোমরা শিব-শঙ্করের চিত্রের মাধ্যমে বুঝিয়ে থাকো। ওরা দু’জনকেই এক করে দেয়। উনি (শঙ্কর) সূক্ষ্মলোক নিবাসী, উনি (শিব) পরমধামের অধিবাসী, দু’জনের স্থান আলাদা-আলাদা। তাহলে একই নাম কীভাবে রাখতে পারে ! উনি নিরাকারী, উনি আকারী। এইরকম বলা হবে নাকি যে শঙ্করের মধ্যে শিবের প্রবেশ হয়েছে, সেইজন্য তোমরা শিব-শঙ্কর বলে দাও। বাবা বলেন — আমি তো এই ব্রহ্মার মধ্যে প্রবেশ করি। তোমাদের এ’কথা কে বলেছে যে শিব-শঙ্কর এক ? শঙ্করকে তো কখনো কেউ গড ফাদার বলে না। ওঁনার গলায় সাঁপ ঝুলিয়ে চেহারাই কেমন করে দিয়েছে। তারপর আবার দেখানো হয় ষাঁড়ের উপর চড়ে রয়েছে। শঙ্করকে তো ভগবান হিসেবে একদমই মানবে না। ভক্তিতে একমাত্র শিববাবাই সকলের মনোকামনা পূর্ণ করেন। শঙ্করের উদ্দেশ্যে তো কেবল বলা হয় নয়ন উন্মীলিত করেন আর বিনাশ হয়ে যায়। এছাড়া সূক্ষ্মলোকে কোনো ষাঁড়, সাঁপ ইত্যাদি হয় নাকি! ওদের তো জন্ম এখানেই হয়েছে। কত প্রস্তরবুদ্ধির হয়ে গেছে। এও বোঝে না যে আমরা অপবিত্র। বাবা বলেন — আমি এই সাধুদেরও উদ্ধার করতে এসেছি। সাধনা করা হয় কিছু প্রাপ্তির জন্য। তাহলে সাধুরা আবার নিজেদের শিব বা ভগবান কীভাবে বলতে পারে! শিবের তো সাধনা করার প্রয়োজনই নেই। ওদের তো নামই হলো সন্ন্যাসী। ভগবানকে কখনো সন্ন্যাস নিতে হয় কি ? যারা সন্ন্যাস গ্রহণ করে তাদের গেরুয়া বস্ত্র ধারণ করতে হয়। ভগবানকেও এই বেশ ধারণ করতে হয় কী ? তিনি তো হলেনই পতিত-পাবন। তিনি বলেন — আমি এই বেশধারীদেরও উদ্ধার করি ? ড্রামানুসারে প্রত্যেকেই আপন-আপন ভূমিকা পালন করে। ভক্তিমার্গে মানুষ যাকিছু করে, তা বোঝে না। শাস্ত্রের দ্বারা কারোর সদ্গতি হয় না। সদ্গতি হয় অদ্বিতীয় পিতার মাধ্যমে। ড্রামানুসারে এই শাস্ত্রও জরুরী। গীতায় কি কি লেখা রয়েছে। গীতা কে শুনিয়েছেন, সে’টাও কেউ জানে না। তোমাদের মুখ্যতঃ জোর দিতে হবে গীতার উপর। গীতাই হলো সর্ব শাস্ত্রময়ী শিরোমণি। এখন এই ধর্মশাস্ত্র কে এবং কখন রচনা করেছিল, এরফলে কি হয়েছিল? কেউ জানেনা। গীতার যাকিছু লিখে এসেছে, তা পুনরায় রিপীট হবে। আমরা তাদের ভাল বা খারাপ কিছুই বলি না। কিন্তু বুঝি এ’সব হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী, যারজন্য মানুষ নেমে যায়। সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে অবরোহণ কলায় তো আসতেই হবে। যখন সকলে আপন-আপন ভূমিকা পালন করতে চলে আসে তখন শেষে বাবা আসেন সকলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সেইজন্য ওঁনাকে বলা হয় পতিত-পাবন, সকলের সদ্গতিদাতা। তিনি যখন আসেন তখনই এসে রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শোনান। এখন বাবা বসে থেকে পড়াচ্ছেন, সে’টাও মায়া প্রতি মুহুর্তে ভুলিয়ে দেয়। তা নাহলে ভগবান আমাদের পড়িয়ে বিশ্বের মালিক করে দেন তাহলে কত খুশি হওয়া উচিত। সত্যযুগে এই জ্ঞান থাকবে না। পুনরায় ভক্তিমার্গে সেই ভক্তিরই শাস্ত্র হবে। ২৫০০ বছর এই ভূমিকা পালন করতেই হবে। এই চক্রের জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। ও’সব লোকেরা তো না পতিত-পাবনকে জানে, না পবিত্র থেকে পতিত কে বানায় — তা জানায়। কেবল খেলনা (মূর্তি) তৈরী করে খেলতে থাকে, বোঝে না কিছুই। তোমাদের বলবে — তোমরাও ভারতবাসী! তাহলে তোমরা কিভাবে বলো যে কেবল ভারতবাসীরাই কিছু বোঝে না, তারা অবুঝ। তোমরা বলো — এ’সব অসীম জগতের বাবা বলেন, তিনিই জ্ঞান প্রদান করছেন। আমরা ওঁনার দ্বারাই সমঝদার হয়েছি। প্রদর্শনীতে অনেক লোক আসে, বলে যে এই জ্ঞান খুব ভাল। বাইরে গেলেই শেষ কারণ ওরা সকলেই হলো রাবণের গোলাম। তোমরা এখন রামের

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আধ্যাত্মিক পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) স্মরণের শক্তির দ্বারা সমস্ত হিসেব-নিকাশ চুকিয়ে সতোপ্রধান হয়ে ঘরে ফিরে যেতে হবে। অন্য কোনো বিষয়ে যাওয়া উচিত নয়।

২ ) ভগবান আমাদের পড়িয়ে বিশ্বের মালিক বানান, সেই খুশিতেই থাকতে হবে। আধ্যাত্মিক সেবা করতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন কোনো সহজ বস্তু যদি স্বচ্ছ হয় তখন তা নিজের দিকে অবশ্যই আকৃষ্ট করে। সেইরকম মন্সার সঙ্কল্পে, সম্বন্ধে, ব্যবহারে, আচার-আচরণে যে সাধারণ (সিম্পল) এবং স্বচ্ছ থাকে, সে দৃষ্টান্ত-স্বরূপ(স্যাম্পল) হয়ে সকলকে নিজের দিকে স্বতঃ-ই আকৃষ্ট করে। সিম্পল অর্থাৎ সাধারণ। সাধারণত্বের দ্বারাই মহানতা প্রসিদ্ধ হয়। যে সাধারণ অর্থাৎ সিম্পল নয়, সে সমস্যা-স্বরূপ হয়ে যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top