14 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

December 13, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখন প্রকৃত সৎসঙ্গে বসে আছো, তোমাদের সত্যখণ্ডে যাওয়ার মার্গ সত্য বাবা বলে দিচ্ছেন"

প্রশ্নঃ --

কোন্ নিশ্চয়ের আধারে পবিত্র হওয়ার শক্তি শীঘ্রই আসে ?

উত্তরঃ -:-

যদি এই নিশ্চয় থাকে যে, এই মৃত্যুলোকে এখন আমাদের এটা হলো অন্তিম জন্ম । এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ হতে হবে । বাবার শ্রীমৎ হলো, পবিত্র হও তাহলে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে । এই বিষয়ের নিশ্চয় পবিত্র হওয়ার শক্তি শীঘ্রই এসে যায় ।

গান:-

অবশেষে সেই দিন এলো আজ..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি আত্মারূপী বাচ্চারা গীত শুনেছে । এই গীত তোমাদের জন্য হীরের মতো, আর যে বানিয়েছে, তার জন্য কড়ির মতো । ওরা তো যেন তোতার মতো গাইতে থাকে । অর্থ কিছুই জানে না । তোমরা অর্থ বোঝো । এখন সেই দিন আবার এসেছে যখন কলিযুগ পরিবর্তন হয়ে সত্যযুগ, বা পতিত দুনিয়া পরিবর্তন হয়ে পবিত্র দুনিয়া হতে হবে । মানুষ ডাকতেও থাকে যে, হে পতিত পাবন, এসো । পবিত্র দুনিয়াতে কেউ ডাকবে না । তোমরা এই গানের অর্থ খুব ভালোভাবে জানো, ওরা জানে না । তোমরা জানো যে, ভক্তির কাল অর্ধেক কল্প ধরে চলে । যখন থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হয়, তখন থেকে ভক্তিও শুরু হয়ে যায় । সিঁড়ি নামতে হয় । এই রহস্য বাচ্চাদের বুদ্ধিতে বসে আছে । তোমরা এখন জানো যে, ভারতবাসী যারা ১৬ কলা সম্পূর্ণ ছিলো, তারাই ১৪ কলার হয়েছে । অবশ্যই তাহলে যারা ১৬ কলার হয়েছিলো, তারাই তো আবার ১৪ কলার হবে । না হলে কারা হবে ! তোমরা ১৬ কলার ছিলে, এখন আবার তেমন হচ্ছো, আবারও কলা কম হতে থাকবে । দুনিয়ার কলাও কম হতে থাকে । যে বাড়ি আগে সতোপ্রধান ছিলো, তা অবশ্যই তমোপ্রধান হতে হবে । তোমরা জানো যে, সত্যযুগকে সতোপ্রধান দুনিয়া আর কলিযুগকে তমোপ্রধান দুনিয়া বলা হয় । যারা সতোপ্রধান ছিলো, তারাই তমোপ্রধান হয়েছে কেননা ৮৪ জন্মগ্রহণ করতে হয় । দুনিয়া অবশ্যই নতুন থেকে পুরানো হয়, তাই মানুষ চাইতেও থাকে নতুন দুনিয়া, নতুন রাজ্য হোক । নতুন দুনিয়াতে কার রাজ্য ছিলো, এও কেউ জানে না । তোমরা এই সৎসঙ্গ থেকে সবকিছুই জানতে পারো । প্রকৃত সৎসঙ্গ এই সময় এটাই, যার গায়ন ভক্তিমার্গে চলতে থাকে । তাই তো বলবে — এ তো পরম্পরা ধরে চলে আসছে, কিন্তু তোমরা জানো যে, তোমাদের প্রকৃত সৎসঙ্গ এটাই । বাকি যা কিছুই আছে, সে সব মিথ্যা সঙ্গ । বাস্তবে সে সব সৎসঙ্গই নয় । ওতে তো নামতেই হতে হয় । এ হলো সৎসঙ্গের সবথেকে বড় উৎসব । এক সৎ বাবার সঙ্গে এখানে সঙ্গ হয় । বাকি আর কেউই সৎ বলেই না । এ হলোই মিথ্যা খণ্ড । মিথ্যা মায়া — মিথ্যা কায়া… প্রথম মিথ্যা ঈশ্বরের জন্য এই কথা বলে যে, তিনি সর্বব্যাপী । অল্ফ’কেই (ঈশ্বর /আল্লাহ ) মিথ্যা বানিয়ে দিয়েছে । তোমাদের তাই সর্বপ্রথমে বাবার পরিচয় দান করতে হবে । ওরা তো উল্টো পরিচয় দিয়ে দেয় । সম্পূর্ণ মিথ্যা, সত্যির সুতো মাত্রও নেই । এ হলো জ্ঞানের কথা । এমন নয় যে, জলকে জল বলা মিথ্যা । এ হলো জ্ঞান আর অজ্ঞানের কথা । জ্ঞান একই জ্ঞানের সাগর বাবা দেন, যাকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান বলা হয় । সত্যযুগে কোনো মিথ্যা থাকে না । রাবণ এসে সত্যখণ্ডকে মিথ্যাখণ্ড বানিয়ে দেয় । বাবা বলেন — আমি তো সর্বব্যাপীই নই । আমিই তো সত্য কথা বলি । আমি এসেই সত্য মার্গ অর্থাৎ সত্যখণ্ডে যাওয়ার মার্গ বলে দিই । আমি তো উঁচুর থেকেও উঁচু তোমাদের বাবা । আমি আসি তোমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করতে । বাচ্চারা, আমি তোমাদের জন্য উপহার নিয়ে আসি । আমার নামই হলো হেভেনলি গড ফাদার । আমি স্বর্গ হাতে করে নিয়ে আসি । স্বর্গে থাকে স্বর্গবাসী দেবতাদের বাদশাহী । এখন আমি তোমাদের স্বর্গবাসী বানাচ্ছি । এক বাবাই তো সত্য, তাই বাবা বলেন – কোনো খারাপ কথা শুনো না, এই সবই মৃত অবস্থায় পড়ে আছে । এ হলো কবরস্থান, একে দেখেও দেখবে না । তোমাদের নতুন দুনিয়ার জন্য উপযুক্ত হতে হবে । এই সময় সবই পতিত । মনে করো, স্বর্গের উপযুক্তই হয়নি । বাবা বলেন — রাবণ তোমাদের অনুপযুক্ত করে দিয়েছে । বাবা আবার এসে অর্ধেক কল্পের জন্য তোমাদের উপযুক্ত করেন । তাই তাঁর শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে, তারপর সমস্ত দায়িত্ব তাঁর উপর । বাবা সমস্ত দুনিয়াকে পবিত্র বানানোর দায়িত্ব নিয়েছেন । তিনি যে মত দেবেন, তা পূর্ব কল্পের মতোই দেবেন, এতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় । যা অতীত হয়ে গেছে — বলবে, ড্রামা অনুসারেই হয়েছে । কথাই শেষ হয়ে যাবে । শ্রীমৎ যদি বলে, এই করো, তাহলে তা করা উচিত । তাঁরই সব দায়িত্ব, কেননা তিনিই কর্মের দণ্ড দেওয়ান, তাই তাঁর নির্দেশ পালন করা উচিত । তিনি বলেন — মিষ্টি বাচ্চারা, গৃহস্থ জীবনে থেকে এই অন্তিম জন্ম পবিত্র থাকো । এই মৃত্যুলোকে এই হলো আমাদের অন্তিম জন্ম । এই কথা যখন বুঝতে পারবে তখনই পবিত্র হতে পারবে । বাবা তখনই আসেন, যখন পতিত দুনিয়ার বিনাশ হতে হবে । প্রথমে স্থাপনা তারপর বিনাশ অক্ষরও অর্থ সমেত লিখতে হবে । এমন নয় যে, স্থাপনা, পালনা, বিনাশ । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, আমরা এই আধ্যাত্মিক পড়া পড়ে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবো । এই কথা বুদ্ধিতে দৃঢ়ভাবে থাকা উচিত । কোনো কোনো বাচ্চা আছে যারা যদিও ভালোই বোঝায় কিন্তু তেমন গভীর সুখ কারোরই নেই । তোতার মতো স্মরণ করতে থাকে, তাই না । তোমাদের বুদ্ধিতেও গভীরভাবে ধারণা হওয়া উচিত । তোমরা জানো যে, এই যে সব শাস্ত্র আছে সবই ভক্তিমার্গের, এইজন্য বোঝানো হয়, এখন বিচার করে দেখো, সত্য কথা কি । সত্যনারায়ণের কথা তোমাদের এক বাবাই শোনান । বাবা কখনোই মিথ্যা বলেন না । বাবাই সত্যখণ্ডের স্থাপনা করেন । তিনি সত্য কথাই শোনান, এতে কোনো মিথ্যা থাকতে পারে না । বাচ্চাদের এই নিশ্চয় থাকা উচিত যে, আমরা কার সাথে বসে আছি । বাবা আমাদের তাঁর সঙ্গে যোগযুক্ত হতে শেখান । তিনিই প্রকৃত অমর কথা অথবা সত্যনারায়ণের কথা শোনাচ্ছেন যাতে আমরা নর থেকে নারায়ণ তৈরী হচ্ছি । যার মহিমা আবার ভক্তিমার্গে চলতে থাকে । এ কথা বুদ্ধিতে থাকা চাই । আমাদের কোনো মনুষ্য পড়ান না । আমাদের মতো আত্মাদের আত্মিক পিতা পড়ান । শিব বাবা, যিনি আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বাবা, তিনিই আমাদের পড়ান । আমরা এখন শিব বাবার সম্মুখে বসে আছি । মধুবনে এলে নেশা চড়ে যায় । এখানে তোমাদের রিফ্রেশমেন্ট হয়, তোমরা অনুভব করো যে, এখানে সামান্য সময়েই তোমরা রিফ্রেশ হয়ে যাও । বাইরে তো জাগতিক কাজকর্ম আদি চলতেই থাকে । বাবা বলেন — হে আত্মারা, বাবা আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন । বাবাও হলেন নিরাকার, তাঁকে কেউই জানে না । না কেউ ব্রহ্মা, বিষ্ণু আর শঙ্করকে জানে । চিত্র তো সকলের কাছেই আছে । কাগজের চিত্র দেখে কেউ তো আবার ছিঁড়েও ফেলে । কেউ তো আবার দেখো, কতো দূরে দূরে গিয়ে কতো পুজো ইত্যাদি করে । চিত্র তো ঘরেও রাখা থাকে, তাই না । তাহলে এতো দূরে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে কি লাভ । বাচ্চারা, তোমরা এখন এই জ্ঞান পেয়েছো, তাই তোমাদের এইসব অপ্রয়োজনীয় মনে হয় । কৃষ্ণ তো এখানেও কালো বা গোরা পাথরের তৈরী হতে পারে তাহলে জগন্নাথ পুরীতে কেন যাও ! এই কথাও তো তোমরাই জানো যে, কৃষ্ণকে কেন শ্যামসুন্দর বলা হয় ? আত্মা তমোপ্রধান হওয়ার কারণে কালো হয়ে যায় । আবার আত্মা পবিত্র হলে সুন্দর হয়ে যায় । এই ভারতেই স্বর্ণযুগ ছিলো যেখানে পাঁচ তত্বের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ছিলো শরীরও তেমনই সুন্দর ছিলো । এখন তত্বও তমোপ্রধান হওয়ার কারণে শরীরও এমন কালো, কেউ আবার বাঁকা, কেউ প্রতিবন্ধী ইত্যাদি হতে থাকে, একে বলা হয় নরক । এ হলো মায়ার চাপ । বিলেতে বাতি এমন হয়, এতো রোশনাই যে, বাতি আর দেখা যায় না । ওখানেও এমনই রোশনাই থাকে । বিমান ইত্যাদি তো সেখানেও থাকে । সায়েন্সের যারা আছে তারাও এখানে আসবে । তখন ওখানেও এই এরোপ্লেন ইত্যাদি সব তৈরী হবে । তোমরা যত নিকটে আসতে থাকবে, ততই তোমাদের সব সাক্ষাৎকার হবে । বৈদ্যুতিক কারিগর আদি সব এসে এই জ্ঞান নেবে । অল্প কিছু জ্ঞান গ্রহণ করলেও প্রজাতে চলে আসবে । শিক্ষা যদি সঙ্গে করে নিয়ে যায় তাহলে অন্ত মতি তেমন গতি হয়ে যাবে । হ্যাঁ, তোমাদের মতো কর্মাতীত অবস্থা তো আর পাবে না । বাকি আত্মারা তো তাদের শিক্ষা নিয়েই যাবে, তাই না । টেলিভিশন ইত্যাদিতে দূরে বসে দেখতে থাকবে । দিনে দিনে ঘুরে ঘুরে বেড়ানো কঠিন হয়ে যাবে । দুনিয়াতে কতো কিছু জিনিস আবিস্কার হয় । প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও এতো মানুষ মারা যায়, বন্যা ইত্যাদিও হতে থাকবে । সমুদ্রও ফুলে উঠবে । মানুষ তো জায়গার কারণে সমুদ্রকেও শুকিয়ে ছোটো করে দিয়েছে ।

বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, এই দুনিয়াতে কি কি আছে, আর নতুন দুনিয়াতে কি কি হবে । তখন কেবল ভারত খণ্ডই থাকবে । তাও ছোটো হবে । বাকি সবাই পরমধামে চলে যাবে । বাকি সময় কতটা আছে, এসব কিছুই থাকবে না । তোমরা এখন তোমাদের রাজধানী স্থাপন করছো । তোমাদের জন্য পুরানো দুনিয়ার বিনাশ পূর্ব হতেই লিপিবদ্ধ আছে । এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়াতে তোমরা আর অল্প কিছুদিনই আছো । তারপর নিজের নতুন দুনিয়াতে চলে যাবে । তোমরা যদি কেবল এই কথাও স্মরণ করতে থাকো তাহলেও খুশীতে থাকবে । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, এইসব শেষ হয়ে যাবে । এইসব এতো খণ্ড আর থাকবে না । প্রাচীন ভারত খণ্ডই থাকবে । যদিও তোমরা গৃহস্থ জীবনে থাকো, কাজকর্মও করো, কিন্তু বুদ্ধিতে যেন বাবা স্মরণ থাকে তোমাদের এই মনুষ্য থেকে দেবতা হওয়ার কোর্স করতে হবে । গৃহস্থ জীবনে থেকে চাকরী করেও বাবাকে আর চক্রকে স্মরণ করো । একান্তে বসে বিচার সাগর মন্থন করো । প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসবে যাতে সম্পূর্ণ দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে । সত্যযুগে খুব অল্প মানুষ থাকে । ওখানে এতো ক্যানেল বা নালার দরকার নেই । এখানে তো কতো নালা কাটা হয় । নদী তো অনাদি । সত্যযুগে যমুনার উপকণ্ঠ থাকবে ওখানে মিষ্টি জলের উপর মহল তৈরী হবে এই বোম্বে থাকবে না । একে কেউই নতুন বোম্বে বলবেই না । বাচ্চারা, তোমাদের প্রত্যেককে বোঝাতে হবে যে, আমরা স্বর্গের জন্য রাজত্ব স্থাপন করছি, তারপর এই নরক আর থাকবে না । রাবণ রাজ্য শেষ হয়ে যাবে । রামপুরী স্থাপন হয়ে যাবে । তমোপ্রধান পৃথিবীতে দেবতারা চরণ রাখেন না । যখন এর পরিবর্তন হয়ে যাবে, তখনই তাঁরা চরণ রাখবেন, তাই লক্ষ্মীকে যখন ডাকা হয় তখন সব পরিস্কার করা হয় । মানুষ লক্ষ্মীকে আহ্বান করে, চিত্র রাখে কিন্তু তাঁর কর্তব্য সম্বন্ধে কেউই জানে না, তাই তাদের মূর্তি পূজারী বলা হয় । তারা পাথরের মূর্তিকে ভগবান বলে দেয় । এইসব কথা তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝতে পারো । পরমাত্মাই বসে তোমাদের বোঝান । আত্মা, আত্মাকে বোঝাতে পারে না । আত্মা কিভাবে এবং কি -কি অভিনয় করে, এও তোমরা এখন বোঝাতে পারো । বাবা এসেই তোমাদের অনুভব করান যে, আত্মা কি জিনিস । মানুষ তো, না আত্মাকে, আর না পরমাত্মাকে জানে । তাহলে তাদের কি বলবে । মনুষ্য হয়েও তাদের চলন জানোয়ারের মতো । তোমরা এখন জ্ঞান পেয়েছো । সিঁড়ির উপর কাউকে বোঝানো তো খুবই সহজ । তাও খুব ভালোভাবে বোঝাতে হবে । আমরা ভারতবাসীরা’ যারা দেবী – দেবতা ধর্মের ছিলাম, তারা কিভাবে সতোপ্রধান হয়েছিলাম, তারপর সতঃ, রজঃ, তমঃ’তে এসেছিলাম । এইসব কথা ধারণ করতে হয়, তাহলেই বিচার সাগর মন্থন হবে । ধারণা না হলে বিচার সাগর মন্থন হতে পারবে না । শুনতে আর জাগতিক কাজকর্মে লেগে গেলে । বিচার সাগর মন্থন করার সময় নেই । বাচ্চারা, তোমাদের রোজ পড়তে হবে আর বিচার সাগর মন্থন করতে হবে । মুরলী তো যে কোনো জায়গায় পাওয়া যেতে পারে । বিশাল বুদ্ধি হওয়ার কারণে পয়েন্টসকে বুঝে যায় । বাবা রোজ বোঝান । কাউকে বোঝানোর জন্য পয়েন্টস তো অনেকই আছে । গঙ্গার কাছে গিয়েও তোমরা বোঝাতে পারো যে, সর্বের সদ্গতিদাতা বাবা, নাকি এই গঙ্গা নদী । তোমরা কেন অকারণে পয়সা নষ্ট করো । গঙ্গা স্নানে যদি পবিত্র হওয়া সম্ভব হয় তাহলে গঙ্গার মধ্যে গিয়ে বসে যাও । বাইরে বের হও কেন । বাবা তো বলেন শ্বাসে – প্রশ্বাসে আমাকে স্মরণ করো । এই হলো যোগ অগ্নি । যোগ অর্থাৎ স্মরণ । বোঝানোর মতো তো অনেককিছুই আছে কিন্তু কেউ সতোপ্রধান বুদ্ধি হলে চট করে বুঝে যায় । কেউ রজঃ বুদ্ধির, কেউ আবার তমো বুদ্ধির আছে । এখানে ক্লাসে নম্বর অনুসারে বসানো হয় না । না হলে তো হার্টফেল হয়ে যাবে । ড্রামা প্ল্যান অনুসারে এখন রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । এরপর সত্যযুগে বাবা তো পড়াবেনই না । বাবার পড়ানোর এই একটাই সময়, এরপর ভক্তিমার্গে সব মিথ্যা কথা বানানো হয় । এটাই তো আশ্চর্যের যে সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছে, তাঁর নাম গীতায় লিখে দিয়েছে, আর যিনি পুনর্জন্ম রহিত, তাঁর নাম গুপ্ত করে দিয়েছে । তাহলে ১০০ শতাংশ মিথ্যা হয়ে গেলো, তাই না !

বাচ্চাদের অনেকের কল্যাণ করতে হবে । তোমাদের সবকিছুই হলো গুপ্ত । এখানে তোমরা ব্রহ্মাকুমার – কুমারীরা নিজেদের জন্য স্বর্গের সূর্যবংশী – চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন করছো । এও কারোর বুদ্ধিতে আসবে না । তোমাদের মধ্যেই অনেকে ভুলে যায়, তাহলে অন্যে কি জানবে । তোমরা এই কথা ভুলে যেও না, তাহলে সদা খুশীতে থাকবে । ভুলে গেলেই ধাক্কা খাও, বিভ্রান্ত হও । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) গভীর বা অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব করার জন্য বাবা যা পড়ান, তা বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে, বিচার সাগর মন্থন করতে হবে ।

২ ) এই কবরস্থানকে দেখেও দেখো না । কোনো খারাপ জিনিস দেখবে না, কোনো খারাপ জিনিস শুনবে না । তোমাদের নতুন দুনিয়ার উপযুক্ত হতে হবে ।

বরদানঃ-

কেবল বাণীর দ্বারা সেবা করলে প্রজা তৈরী হচ্ছে, কিন্তু বাণীর ঊর্ধ্ব স্থিতিতে স্থির হয়ে তবে আওয়াজের দুনিয়াতে এসো, অব্যক্ত স্থিতি তারপর বাণী… এমন কম্বাইন্ড রূপের সেবা উত্তরাধিকারী তৈরী করবে । বাণীর দ্বারা প্রভাবিত আত্মারা অনেক বাণী শুনলে আবাগমনে এসে যায়, কিন্তু কম্বাইন্ড রূপধারী হয়ে কম্বাইন্ড রূপে সেবা করো তাহলে তাদের উপর কোনো রূপের প্রভাব পড়তে পারবে না ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top