13 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

13 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

12 December 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - শ্রেষ্ঠ হতে গেলে পুরোপুরি শ্রীমতে চলো, শ্রীমতে না চলাই হলো সবচেয়ে বড় খুঁত (অসম্পূর্ণতা)"

প্রশ্নঃ --

কোন্ বাচ্চাদের কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে যায়, বুদ্ধি থেকে জ্ঞান বেরিয়ে যায় ?

উত্তরঃ -:-

যারা চলতে-চলতে অপবিত্র হয়ে যায়, পড়াশোনা ত্যাগ করে বাবাকে পরিত্যাগ করে দেয়, তাদের জ্ঞান বুদ্ধি থেকে বেরিয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বিকারী না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবিনাশী জ্ঞান বুদ্ধিতে বসতে পারে না। বুদ্ধির তালা খুলতে পারে না। যারা অপবিত্র হয়ে যায় তাদের ভোজন-পানও খারাপ (তামসিক) হয়ে যায়। তারা মায়াবী (মায়ার জগতের) মানুষদের সাথে মিলিত হয়ে যায়, তখন কন্ঠই রুদ্ধ হয়ে যায়। কাউকে জ্ঞান শোনাতে পারে না।

গান:-

তোমায় পেয়ে আমরা..

ওম্ শান্তি । এই গান কে গাইছে ? যে বাবার থেকে ত্রি-জগতের রাজত্ব নিয়ে নিয়েছে। তোমার থেকে যা কিছু প্রাপ্ত হয়েছে, তা কেউ সরিয়ে দিতে পারে না। আমাদের কেউ সরিয়ে দিতে পারে না অর্থাৎ কাল গ্রাস করতে পারে না। আর না তো আমাদের রাজত্ব কেউ নিতে পারে। বাচ্চারা জানে যে আমরা সেই মালিকের থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি। বাবাকে মালিকও বলা হয় কিন্তু সেই মালিকের থেকে কি পাওয়া যায়, কিছুই জানা নেই। মালিককে কিভাবে আমরা স্মরণ করবো, ওঁনার নাম-রূপ কি? কিছুই জানা নেই। মালিক তো সৃষ্টির মালিক, তাই না! তিনি হলেন রচয়িতা, আমরা হলাম রচনা। বাবা রচনা করেন উত্তরাধিকারীদের অথবা বাচ্চাদের, তারপর তাদের নিজের (স্ব-রাজ্যের) মালিক বানিয়ে দেন, বাচ্চারা পরে বাবার মালিক হয়ে যায়। বাচ্চারা বলে, আমার বাবার যে সম্পত্তি আছে তার মালিক হলাম আমি। বাবা তো এরকম বলবে না যে বাচ্চাদের সম্পত্তির মালিক হলাম আমি। এ হলো অত্যন্ত বুঝবার মতন বিষয়। সেন্সীবেল বাচ্চারাই বুঝতে পারে। বুদ্ধি স্বচ্ছ না হলে তাতে রত্ন থাকতে পারে না। যখন দেহী-অভিমানী হবে তখন রত্ন ধারণ করতে পারবে। দেহী-অভিমানী হয়ে থাকতে হবে আর বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। সেই বাবাকে স্মরণ করতে হবে। যেমন লৌকিক পিতা বাচ্চাদের জন্ম দেয় তখন বাচ্চা মালিক হয়ে যায়। বাচ্চারা বলবে আমার বাবা। বাবা বলবেন আমার সন্তান। কিন্তু বাচ্চার কাছে তো কিছুই নেই। তারা তো বাবার ধন-সম্পদের উত্তরাধিকার পায়। বাবা কখনো এরকম বলবে না যে বাচ্চাদের ধন-সম্পদ আমার। বাবা বোঝেন — বাচ্চারা আমার ধন-সম্পদের মালিক, এ হলো অতি ধারণাযুক্ত কথা। ধারণা হয় না কারণ অসম্পূর্ণতা(খুঁত) আছে। বোঝা উচিৎ যে আমার মধ্যে অনেক খুঁত আছে। প্রথম নম্বরের খুঁত হলো এই যে শ্রীমতে চলে না, শ্রীমতের মাধ্যমেই শ্রেষ্ঠ হতে হবে। শ্রীমৎ রাজযোগ শেখায়। শ্রী অর্থাৎ নিরাকার ভগবানুবাচ, সেইজন্য আমরা প্রশ্ন করি যে জ্ঞান সাগর, পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কি সম্পর্ক ? এ’কথা বড়-বড় বোর্ডে লিখে দেওয়া উচিৎ। পরমাত্মা হলেন স্বর্গের রচয়িতা, তাহলে যাদের পরমাত্মার সঙ্গে সম্বন্ধ থাকবে, সেও অবশ্যই স্বর্গের মালিক হয়েই যাবে। বাবা এসে বাচ্চাদের সলাম করেন। সলাম মালেকম্ বৎস। বাচ্চারা বলে — মালেকম্ সলাম। আমি তো কেবল ব্রহ্মান্ডের মালিক, তোমরা হলে ব্রহ্মান্ড এবং বিশ্ব দুই-য়েরই মালিক হয়ে যাও, সেইজন্য বাবা বাচ্চাদের ডবল সলাম করেন। একজন অসীম জগতের পিতাই তোমাদের কত নিষ্কাম সেবা করেন। লৌকিক বাবা নিষ্কাম হন না। তাদের আশা থাকে যে আমরা বাণপ্রস্থ অবস্থায় গেলে তখন বাচ্চারা আমাদের সেবা করবে। আসলে এই নিয়ম ছিল — বাচ্চা বাবার সেবা করতো। আজকাল তো পয়সা উড়িয়ে দেয়। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে আমরা এ’রকম বাদশাহী পাই বাবার থেকে। লক্ষ্মী-নারায়ণের উদ্দেশ্যেও লেখো যে এঁনাদের চেনো তো, এঁনাদের এই স্বর্গের রাজত্ব কে দিয়েছেন ? অবশ্যই স্বর্গের স্থাপনাকারই দেবেন। পুরোনো দুনিয়া থাকবে তবেই তো নতুন দুনিয়া স্থাপন করবে। তাহলে লক্ষ্মী-নারায়ণ এই উত্তরাধিকার পেয়েছিল শ্রীমতানুসারে চলার জন্য। শ্রীমৎ রাজযোগ আর সহজ জ্ঞান শেখায়। যাকে বোঝানো হয় — সে রাজা হয়ে যায়। প্রথম স্থানে শ্রীকৃষ্ণ, উনি এমন কি কর্ম করেছেন যে নিজের মা-বাবার থেকেও বেশি মর্যাদা পেয়েছেন। সেই মহারাজা-মহারানী কোথায় ছিলেন, যাদের কাছে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্বিকারী হয়ে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবিনাশী জ্ঞান বুদ্ধিতে বসতে পারবে না। বুদ্ধির তালা খোলেই তখন যখন পবিত্র হয়ে থাকে। অপবিত্র হলেই সব বুদ্ধি থেকে বেরিয়ে যাবে। অনেক বাচ্চারা ছেড়ে চলে যায়। পড়াই ছেড়ে দেয়। তারা পুনরায় আর কাউকে জ্ঞান শোনাতে পারে না। পতিত হয়ে যায়, ভোজন-পানও খারাপ খায়। মায়াবী লোকেদের সাথে গিয়ে মেলামেশা করে। তাদের দম বন্ধ হয়ে যায়। এ’কথাও শাস্ত্রে রয়েছে। বৃন্দাবনে রাস ইত্যাদি হতো, বারণ করা হতো যে কাউকে শোনালে গলা বন্ধ হয়ে যাবে। এ হলো ‍জ্ঞানের কথা। যদি পরিত্যাগ করে, গিয়ে নিন্দা করে তবে গলা বন্ধ হয়ে যায়। কথিতও আছে যে সদ্গুরুর নিন্দুক কোথাও ঠাঁই পাবে না। বাবা বলেন — সৃষ্টি যখন অপবিত্র, পুরোনো হয়ে যায় তখন আমি আসি। মানুষকে তমোপ্রধান হতেই হয়। যা কর্তব্য করবে তা উল্টোই করবে কারণ উল্টো মত পাচ্ছে। শ্রীমৎ নেই। বিপরীত মত পতিত, ভ্রষ্টাচারী করে দেয়। পূর্বে ভ্রষ্টাচারী শব্দটিই ছিল না। সন্ন্যাসী পবিত্র হওয়ার জন্য বিকারের থেকে সন্ন্যাস নেয়। ভগবান বলেন — সব ভক্তই আমার প্রিয় কারণ তাদের সকলকে আমাকেই গতি-সদ্গতি প্রদান করতে হয়। তাই সর্বপ্রথমে একথা বোঝাতে হবে যে পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কিসের সম্বন্ধ? সকলেই ভগবানকে স্মরণ করে। বাবা বলেন — সব ভক্তই আমার প্রিয় কারণ তাদের সকলকে আমাকেই গতি-সদ্গতি প্রদান করতে হয়। তারা মনে করে যে ভগবান এসে ভক্তদের ভক্তির ফল প্রদান করেন, সেইজন্য ভক্তরা ভগবানের প্রিয়। বাবা বোঝান — তোমরা দুর্গতি প্রাপ্ত করো, এখন আমি সদ্গতি প্রদান করতে এসেছি। ভক্তির পরে ভগবানকে অবশ্যই আসতে হবে। আমাকে তোমাদেরকেই প্রথমে ভক্তির ফল প্রদান করতে হয়। আর কেউ তো শুরু থেকেই আমার ভক্ত নয়। ওরা তো অনেকেরই ভক্তি করে। তোমরা আমার প্রিয় সন্তান, তোমরা মালিক ছিলে পরে মায়া রাবণ তোমাদের উপর বিজয়প্রাপ্ত করে নেয় আর তারপর ভক্তি শুরু হয়ে যায়। এও হলো ড্রামা। আমি তো সকলের সদ্গতি করি। এখন তোমরা আমার মতানুসারে চলো, তাই না! মত দেওয়ার জন্য অবশ্যই আমাকে আসতে হয়। নাহলে কি’করে সদ্গতির পথ বলবো। আমি এই প্রথম স্থানাধিকারী ভক্তের শরীরে আসি। ইনি হলেন নন্দীগণ। শিবের মন্দিরের সামনে নন্দীগণ রাখা হয়। এখন বিচার করো — পরমপিতা পরমাত্মা ষাঁড়ের শরীরে তো আসবে না। ষাঁড়ের দ্বারা রাজযোগ কিভাবে শেখাবো। জ্ঞান সাগর ষাঁড়ের মধ্যে প্রবেশ করবে কি ! এখন তোমরা জ্ঞানবান হও। শ্রীমতে চলে লক্ষ্মী-নারায়ণ, সূর্যবংশীয় রাজা-রানী হতে চলেছো। সেই রাজধানীকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না, না কোনো তুফান আসতে পারে। আমরা অমরপুরীর মালিক হয়ে যাই। এ হলো মৃত্যুলোক। অমরনাথ বাবা-ই কালের(সময়ের) উপর বিজয়প্রাপ্ত করান। ওঁনার ভূমিকা আলাদা। তোমরা সকলে হলে পার্বতী, আমি হলাম অমরনাথ। আমি কখনো জন্ম-মৃত্যুতে আসি না। অমরপুরী, স্বর্গের মালিক তোমাদের করে দিই। ভারতবাসীদের বৈকুন্ঠ অতি প্রিয় লাগে। বলে — অমুকে বৈকুন্ঠবাসী হয়েছে। মুখ অত্যন্ত মিষ্টি করে দিয়েছে। এখন প্রকৃত বৈকুন্ঠ তো সত্যযুগে হবে। যখন সত্যযুগ হয় তখন পুনর্জন্মও সত্যযুগেই নেয়। তারপর ত্রেতায় আসে তখন পুনর্জন্মও ত্রেতাতেই নেয়। পুনরায় দ্বাপরে এলে পুনর্জন্মও দ্বাপরে নেয়। কিন্তু এ’রকম হতে পারে নাকি যে কলিযুগে মারা যাবে, আর জন্ম নেবে সত্যযুগে। স্বর্গে জন্ম নিতে থাকবে, তার ভিত হলো পড়ার উপর। বাবা বলেন — আমি তোমাদের সৃষ্টির মালিক বানিয়ে দিই, আমি হলাম নিষ্কামী। আমি বিশ্বের মালিক হই না। তোমরা স্বর্গে যাও আর আমি বিশ্রামী হয়ে যাই। আমি চক্রে আসি না। এই ঈশ্বরীয় জন্মের পর তোমরা দৈবী কোলে জন্ম নেবে। এখন তোমরা জন্ম-জন্মান্তর ধরে আসুরীয় কোলে জন্ম নাও। ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছো। সত্যযুগে সকলেই শ্রেষ্ঠাচারী হয়। এখন তোমরা শ্রীমতানুসারে শ্রেষ্ঠাচারী হতে চলেছো। ওখানে বিষ থাকে না। যদিও এখানে সন্ন্যাসীরা আছে কিন্তু জন্ম তো বিকার থেকেই নেয়, তাই না! সত্যযুগে বিকার থেকে জন্ম হয় না। নাহলে তাদের সম্পূর্ণ নির্বিকারী বলতে পারবে না। ওখানে মায়া থাকে না। কিন্তু এ’কথাও বুঝবে তখনই যখন কারোর বুদ্ধিতে বসবে।

বাবা এখন বলেন — বাচ্চারা, এখন তোমাদের ঘরে যেতে হবে পুনরায় স্বর্গে এসে রাজ্য করতে হবে। আত্মারা পরমধাম থেকে আসে ভূমিকা পালন করতে, তারপর যতক্ষণ পতিত-পাবন এসে মুক্ত না করছেন ততক্ষণ একজনও যেতে পারে না। গালগল্প করতে থাকে — অমুকে পরপারে নির্বাণে গেছে। বাবা এসে সব কথা ভালভাবে বোঝান। সর্বপ্রথমে বোঝাও যে পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কি সম্পর্ক ! তাহলে দ্বিতীয় কেউ এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে আসবে না। তোমরা প্রতি কল্পে প্রস্তরবুদ্ধি থেকে পারশবুদ্ধি, পারশবুদ্ধি থেকে প্রস্তরবুদ্ধি হয়ে এসেছো। এ তো ভালভাবেই বোঝানো হয়ে থাকে কিন্তু যখন নিশ্চয় বসবে। অবশ্যই আমরা শিববাবার সন্তান। বাবা বলেন — আমি এসেছি তোমাদের সুখধামে নিয়ে যেতে, যাবে ? ওখানে এই(বিকারের) বিষ পাবে না। মূলকথাই হলো পবিত্রতার। যে কল্প-পূর্বে ছিল, সে-ই এখনো থাকতে পারবে। অনেক কন্যাসন্তানেরা লেখে যে জানি না কবে এই বন্ধন মুক্ত হবে। যুক্তি বলো। বাবা বলেন — বাচ্চারা, বন্ধন ছিন্ন হবে নিজের সময়ানুসারে। বাবা কি করবে ? এক বন্ধন যদিও ছিন্ন হয়ে যায় পুনরায় সন্তানাদিতে মোহ পড়ে যায়। এইসব থেকে বুদ্ধিকে সরিয়ে আনতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেকে তো আরো অধিকমাত্রায় মোহে জড়িয়ে পড়ে। অনেকেই আছে যারা মোহের দিকে ঝুলে পড়ে। বাবা বলেন — তোমরা মোহ অদ্বিতীয় পিতার প্রতিই রাখো তবেই ধারণা হবে। কেউ জ্ঞান অর্জন করতে না পারল তখন পালিয়ে যায়। তখন বদনাম হয়ে যায়। কল্প-পূর্বেও ড্রামায় এরকমই হয়েছিল। যে মুহূর্ত (সেকেন্ড) অতিবাহিত হয়ে গেছে তা ড্রামা। মায়ের মৃত্যু হলেও হালুয়া খাবে, স্ত্রীয়ের মৃত্যু হলেও হালুয়া খাবে….. যারা কাঁচা তাদের একটু ধাক্কা লাগে। অনেক সন্ন্যাসীরাও এমনই হয়, টিকে থাকতে না পারলে তখন গৃহস্থে চলে যায়। চাল-চলনই এরকম হয়ে থাকে। এখানে হলো একটিই মুখ্য বিষয়(কথা)। আমরাও সেই বাবার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি, তোমরাও ওঁনাকে পিতা মনে করো, এসে স্বর্গের উত্তরাধিকার নিয়ে নাও। একটিই কথা — সেকেন্ডে জীবনমুক্তি, পরে একটু বোঝালেই মানুষ তৎক্ষণাৎ বুঝে যাবে। অনেক মত আছে, যার জন্য ভারত ভ্রষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় একের মতানুসারে অর্ধেক কল্পের জন্য ভারত শ্রেষ্ঠাচারী হয়ে যায়। শ্রেষ্ঠও অবশ্যই বাবা বানাবেন। সকলকে পার করেন একমাত্র বাবা-ই তাহলে কেউ ডোবানোর জন্যও রয়েছে। বাবা তো সকলকে বলেন, বিকারের সন্ন্যাস করতেই হবে তবেই তোমরা পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে। বাবা উত্তরাধিকার দিচ্ছেন। অগণিত ব্রহ্মাকুমারী রয়েছে। তোমরাও বি.কে, উত্তরাধিকার আধ্যাত্মিক বাবার কাছ থেকে পাওয়া যায়। কত সহজ। কিন্তু কারোর কেবল বুলিই(কথা) সার, কর্ম না থাকলে তখন কারোর তীরও লাগে না। তাই কথায় যদিও কারোর ভালো হয়ে যায় কিন্তু নিজে না করলে তখন অধঃপতন হয়ে যাবে। যাকে জ্ঞান প্রদান করবে তার উত্তরণ হবে, আর স্বয়ং অধঃপতনে যাবে। এমনও অনেকে আছে, বাবা বাচ্চাদের সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার উইল করে দেন। এখন তোমরা যোগ্য হয়ে স্বর্গের মালিক হও। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শ্রেষ্ঠাচারী হওয়ার জন্য নিজের সমস্ত অসম্পূর্ণতা নিষ্কাশিত করে সদা শ্রীমতে চলতে হবে। বুদ্ধিতে জ্ঞান রত্নের ধারণা দেহী-অভিমানী হয়ে করতে হবে।

২ ) নিজের বোল এবং কর্ম এক করতে হবে। জ্ঞানের ধারণার জন্য সবকিছু থেকে মোহ নিষ্কাশিত করে একমাত্র বাবার সঙ্গেই মোহ রাখতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন বাবার স্নেহী হয়েছো তেমনই বাবাকে সাথী করো তাহলে মায়া দূর থেকেই মূর্ছিত(অজ্ঞান) হয়ে যাবে। শুরু-শুরুর যে প্রতিজ্ঞা ছিল — তোমার সাথে খাব, তোমার সাথে বসবো, তোমার প্রতিই আত্মা আকৃষ্ট হবে….. এইরূপ প্রতিজ্ঞা অনুসারে সারাদিনের প্রতিটি দৈনন্দিন-কার্য বাবার সাথে করো তাহলে মায়া ডিস্টার্ব করতে পারবে না, তার বিনাশ হয়ে যাবে। তাই সাথীকে সদা সাথে রাখো, সঙ্গ-র শক্তি দ্বারা অর্থাৎ মিলনে মগ্ন হয়ে থাকলে মায়াজীত, জগৎ-জীত হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top