11 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

10 December 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখন হলে অাশ্চর্যমন্ডিত আধ্যাত্মিক যাত্রী, এই যাত্রা করে তোমাদেরকে ২১ জন্মের জন্য নিরোগী হতে হবে”

প্রশ্নঃ --

সত্যযুগে কি এমন জিনিস কাজে আসে না, যেটা ভক্তিমার্গে বাবার কাজে আসে ?

উত্তরঃ -:-

দিব্যদৃষ্টির চাবি। সত্যযুগে এই চাবির দরকার পড়ে না। যখন থেকে ভক্তিমার্গ শুরু হয়, তখন থেকে ভক্তদের খুশী করার জন্য সাক্ষাৎকার করাতে হয়। সেই সময় এই চাবি বাবার কাজে আসে, এইজন্য বাবাকে দিব্যদৃষ্টি-দাতা বলা হয়। বাচ্চারা, বাবা তোমাদেরকে বিশ্বের রাজপদ প্রদান করছেন, দিব্যদৃষ্টির চাবি নয়।

গান:-

মরণ তোমার গলিতে..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আধ্যাত্মিক বাচ্চারা এই গান শুনেছে। আধ্যাত্মিক বাচ্চাদেরকে ইংরেজিতে বলা হয় স্পিরিচুয়াল চিল্ড্রেন। স্পিরিচুয়াল ফাদার আর স্পিরিচুয়াল চিল্ড্রেন। এখন আধ্যাত্মিক বাচ্চারা এটা জানে যে, আমাদের আত্মাদের তো সেখানে শরীর নেই এইজন্য সেখানে কোনও আত্মিক বার্তালাপ হয় না। আত্মাদের সাথে আত্মিক কথোপকথন অর্থাৎ বার্তালাপ তখন সম্ভব যখন আত্মা শরীরের মধ্যে থাকে। এখানে আত্মাদের নিজ-নিজ শরীর আছে। কিন্তু জ্ঞানের সাগর আত্মিক বাবার নিজস্ব কোনও শরীর নেই। তিনি হলেনই নিরাকার। বাচ্চারা বোঝে যে, শান্তিধামে আমরা আত্মারা অশরীরী থাকবো। যেরকম বাবা হলেন অশরীরী বা বিচিত্র, এইরকম তোমরা আত্মারাও বিনা শরীরে সেখানে থাকো। এটাই হল বোঝার বিষয়। দুনিয়ার মানুষ বলে যে, উলঙ্গ এসেছো, উলঙ্গ হয়ে যেতে হবে অর্থাৎ এই শরীর রূপী বস্ত্র সেখানে থাকবে না। আত্মা যখন শান্তিধামে থাকে তখন অশরীরী হয়ে থাকে, শান্তিতে থাকে। এখন আধ্যাত্মিক বাবা এই জ্ঞান শোনাচ্ছেন। সমগ্র বিশ্বে আধ্যাত্মিক বাবা, আর দ্বিতীয় কেউ নেই। অন্যান্য সবাই হল শরীরের বাবা। আধ্যাত্মিক বাবা নিজে বলছেন যে, আমি হলাম অশরীরী। কথা বলার সময় শরীরের আধার নিতে হয়। যদিও শাস্ত্রে এই শব্দ লেখা আছে যে, প্রকৃতির আধার নিতে হয়। কিন্তু বাবা বোঝাচ্ছেন যে, এই শরীর তো প্রকৃতি দিয়েই গঠিত। আমি সাধারণ শরীরের আধার নিই।

আধ্যাত্মিক বাবাকে আধ্যাত্মিক সার্জেন বলা হয়, কেননা তিনি আমাদের স্মরণ বা যোগ শেখান, যার দ্বারা আমরা আত্মারা চির-নিরোগী হয়ে যাই। ২১ জন্ম কখনও রোগী হবো না। পুনরায় যখন মায়ার রাজ্য শুরু হয়, তখন থেকে আমরা রোগী হতে শুরু করি। বাবা এসে আমাদেরকে ২১ জন্মের জন্য নিরোগী বানাচ্ছেন। বাবাকে যাত্রা শিখিয়ে দেওয়া পান্ডাও বলা হয়। আমরা হলাম আশ্চর্য মন্ডিত আধ্যাত্মিক যাত্রী। এই আধ্যাত্মিক যাত্রাকে দুনিয়াতে আর কোনও মানুষই জানেনা। মুখ্যতঃ ভারত আর গৌণ ভাবে সমগ্র বিশ্ব – সর্বদা এটাই বলা হয়। মুখ্য ভাবে আমাদেরকে এই আধ্যাত্মিক যাত্রা শেখানো হয়। কে শেখান ? স্পিরিচুয়াল ফাদার। শারীরিক যাত্রা তো মানুষ জন্ম-জন্মান্তর ধরে করে আসছে। কেউ কেউ তো একজন্মে দু-চার জায়গায়ও যাত্রা করে থাকে। তারা বলবে – জীব আত্মাদের যাত্রা আর এটা হল আত্মাদের যাত্রা। এটাই হল বোঝার বিষয়। চলতে-ফিরতে বুদ্ধিতে বাবাকে স্মরণে রাখতে হবে তাহলে অন্ত মতি তথা গতি হয়ে যাবে। বাবার স্মরণে আমরা বাবার কাছে চলে যাব। এখন তোমাদের আধ্যাত্মিক বাচ্চাদেরকে আধ্যাত্মিক বাবা এই যাত্রা শেখাচ্ছেন। গীতাতে মন্মনা ভব লেখা আছে কিন্তু তার অর্থ কেউ জানেনা। বাবা বলেন যে আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ ভস্মীভূত হয়ে যাবে। পুনরায় কি হবে ? বাচ্চারা তোমরা জানো যে আমরা স্মরণের দ্বারা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাব। এই সময় সবাই হল তমোপ্রধান। সমগ্র বৃক্ষ জর্জরিত হয়ে গেছে। এখন আত্মা সতোপ্রধান কিভাবে হবে? পুনরায় ঘরে কিভাবে ফিরে যাবে? সেখানে তো পবিত্র আত্মারাই থাকে। পুনরায় এখানে শরীর ধারণ করে রজঃ তমঃ’তে আসতে হয়। প্রত্যেক জিনিসেরই স্টেজ থাকে। গানও করতে থাকে যে – দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে। একে বলা হয় পুরানো দুনিয়া আয়রন এজড্, নতুন দুনিয়াকে বলা যায় গোল্ডেন এজ্ সত্যযুগ। এখন বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এটাই থাকা চাই। যখন সত্যযুগ ছিল তখন আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিল। এখন সেই ধর্ম নেই। দৈবী সম্প্রদায়, ইসলাম সম্প্রদায়, বৌদ্ধি সম্প্রদায়, খ্রিস্টান সম্প্রদায় এরাই হল মুখ্য। যুগের বিষয়ে বোঝানো হয় যে, মুখ্য হলো চারটি যুগ। বাকি এই ব্রাহ্মণদের সঙ্গম যুগ হলো গুপ্ত। পরমপিতা পরমাত্মাই এসে ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় ধর্ম স্থাপন করেন। এইসব কথা বাচ্চাদেরকে স্মরণে রাখতে হবে আর নিজেদের বুদ্ধির যোগ বাবার সাথে রাখতে হবে। মূলকথাই হলো বিকর্মাজিত হওয়ার। বরাবর আমরা সতোপ্রধান পবিত্র ছিলাম। আসলে ২৪ ক্যারেট সোনা ছিলাম। পুনরায় সতঃ-তে এসে ২২ ক্যারেট হয়ে যাই। পুনরায় রজঃ-তে ১৮ ক্যারেট, তম-তে ৯ ক্যারেট হয়ে যাই। সোনা-র ডিগ্রী হয়ে থাকে। এসব হলো আত্মার-ই কথা। যে রকম ভ্রমরীরা নোংরা ছিঃ ছিঃ কীট গুলিকে ধরে নিয়ে আসে, বসে তাদেরকে নিজের সমান বানায়। তোমরাও ভুঁ ভুঁ করে মানুষ থেকে দেবতা বানাচ্ছো। ভ্রমরীরা কীটগুলিকে নিয়ে এসে ঘরের মধ্যে একান্তে বসায়, তাদের মধ্যেও অনেক বোধ-বুদ্ধি আছে। তোমাদের আত্মাদের মধ্যেও ড্রামা অনুসারে এই পার্ট পূর্ব নির্ধারিত হয়ে আছে।

তোমরা জানো যে কল্প পূর্বেও আধ্যাত্মিক বাবার থেকে আমরা আধ্যাত্মিক জ্ঞান শুনেছিলাম। প্রতি কল্পেই শুনতে থাকবো। কোনও কিছুই নতুন নয়। এটাও বাবা-ই বোঝাতে পারেন। বীজের মধ্যেই তো সমগ্র বৃক্ষের জ্ঞান থাকে, তাই না। বাবা আসেন-ই তোমাদেরকে ত্রিকালদর্শী বানাতে। তিন-কালের জ্ঞান প্রদান করেন, তাই না। তোমাদেরকে জীবিত অবস্থায় দত্তক নেন। যেরকম কন্যাকেও জীবিত অবস্থায় দত্তক নেয়, বলে যে এ হলো আমার স্ত্রী। এখন প্রজাপিতা ব্রহ্মার স্ত্রী তো নেই। তাই ইনিও অ্যাডপ্ট হন। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা দত্তক নেন। তোমরাও বলো যে ইনি হলেন আমাদের বাবা। পরমপিতা পরমাত্মা বাবাও বলেন যে তোমরা হলে আমার বাচ্চা। সেই শিব বাবা হলেন আত্মিক, প্রজাপিতা ব্রহ্মা দাদা হলেন শারীরিক। আধ্যাত্মিক বাবা যতক্ষণ শরীরে না আসেন, ততক্ষণ জ্ঞান কিভাবে শোনাবেন। পরম পিতা পরমাত্মাকেই নলেজফুল বলা হয়। যে কোনও প্রকারের জ্ঞান সর্বদা আত্মার মধ্যেই থাকে। লৌকিক জ্ঞানও আত্মাই পড়ে, তাই না। কিন্তু তমোপ্রধান হওয়ার কারণে আত্ম-অভিমান কারো মধ্যেই থাকে না। তোমরাই এখন আত্ম-অভিমানী হচ্ছ। সত্য যুগে এইসব কথা বোঝানোর জন্য বলা হবে না। এই সময় বাবা বলছেন, তোমরা নিজেদেরকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, কেননা পাপের বোঝা এই সময় মাথার উপরে আছে, তাকে নামাতে হবে। বাবাকে আহ্বান-ই করে এই সময় যে এসে পতিতদেরকে পবিত্র বানাও। আত্মাই অপবিত্র তমোপ্রধান হয়ে গেছে। এই জন্য বাবাকে স্মরণ করতে থাকে। ভক্তরা কেউই জানেনা যে পরমপিতা পরমাত্মা হলেন বিন্দু স্বরূপ। বিন্দু-র তো মন্দির তৈরি হতে পারে না, শোভনীয় হবেনা। এক তো লিঙ্গ বানায় আবার সাক্ষাৎকারের জন্য বলে যে হাজার সূর্যের থেকেও তেজোময়। লিঙ্গ কি এত তেজোময় হতে পারে? যেরকম অর্জুনের জন্য দেখানো হয়েছে তাই না। তার সাক্ষাৎকার হয়েছিল তেজময় রূপের, বলেছিল যে – আমি এই তেজ সহ্য করতে পারছিনা। এই কথাটা তোমরা শুনেছো তাই না। এখানেও শুরুতে অনেকেরই সাক্ষাৎকার হয়েছিল। বলেছিল বন্ধ করো, আমি সহ্য করতে পারছিনা। চোখ লাল হয়ে যেত। তারা মনে করত যে, আমি পরমাত্মাকে সাক্ষাৎকার করেছি। কে করিয়েছেন? কৃষ্ণ তো করায় নি। শিব বাবা-ই সাক্ষাৎকার করিয়েছেন। তাঁকে দিব্যদৃষ্টি দাতা বলা হয়। বাবা বলেন যে, আমি তোমাদেরকে এই চাবি দিতে পারি না। এই জিনিস ভক্তি মার্গে আমারই কাজে আসে। সত্যযুগে এর দরকার থাকেনা। তোমরা পূজারী থেকে পূজ্য হয়ে যাও। বাবা বলেন যে – আমি তোমাদেরকে বিশ্বের রাজ্য ভাগ্য দিয়ে নিজে পরমধামে গিয়ে বসে যাই। আমি পূজ্য, পূজারী হই না।

বাচ্চারা, এখন তোমরা সেন্সিবল্ হয়েছ, তোমাদের চাল-চলনের দ্বারাও বোঝা যায় যে, এ কতই না মিষ্টি, এরমধ্যে ধারণা খুব ভালো রীতিতে হয়েছে। কতইনা টপিক্স বানাতে থাকে। বাবা যা কিছু টপিক শোনান সেগুলো নোট করে রাখতে হবে। আজ যাত্রার উপর বোঝাবেন। যাত্রা দুই প্রকারের হয়ে থাকে। এটা হল নম্বর ওয়ান টপিক। ভক্তি মার্গে মানুষেরা লৌকিক যাত্রা করতে থাকে। জ্ঞানমার্গে শারীরিক যাত্রা হয়না। তোমাদের হলে আধ্যাত্মিক যাত্রা। বাবা বোঝাচ্ছেন যে, তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান তোমরা এই যাত্রার দ্বারাই হচ্ছ। আত্মা পবিত্র না হলে ঘরে ফিরে যেতে পারবেনা। সকল আত্মারা এখানেই আসতে থাকে। কেউই ফিরে যেতে পারে না। সরকারকেও তোমরা বোঝাতে পারো – সত্য যুগে যখন দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল তখন এক পুত্র সন্তান আর এক কন্যা সন্তান হত, সেটাও যোগবলের দ্বারা। এখন চিন্তা করো সত্যযুগে কতইনা অল্প সংখ্যক মানুষ হবে আর সম্পূর্ণ নির্বিকারী লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব চলবে। তো অবশ্যই বাচ্চাও হবে। আমরা যখন যোগবলের দ্বারা বিশ্বের মালিক হচ্ছি তাহলে কেন যোগবলের দ্বারা বাচ্চা জন্ম দিতে পারব না। এটাও ড্রামাতে পূর্ব-নির্ধারিত আছে। পবিত্র হওয়ার কারণে সাক্ষাৎকার হয়ে থাকে যে, বাচ্চা হবে। সে অত্যন্ত খুশিতে থাকে। সেখানে বিকারের কোনও কথাই নেই। তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করে বাচ্চা কি করে জন্ম হবে? বলো, একটি পুরুষ পেঁপে গাছ এবং একটি মহিলা পেঁপে গাছ এক পরস্পরের পাশে থাকলে ফল জন্ম দেয়। আর যদি এক পরস্পরের পাশে না থাকে তাহলে ফল হবেনা। আশ্চর্যের বিষয় তাই না। তাহলে সেখানে কেনই না যোগবলের দ্বারা বাচ্চা জন্ম নিতে পারবে না। ময়ূরেরও উদাহরণ আছে। তাকে বলা হয় জাতীয় পাখি। প্রেমের অশ্রু দ্বারা গর্ভধারণ করে। এটা বিকার নয়, তাইনা। এই ভারত শিবালয় ছিল, শিববাবা বানিয়েছিলেন। এখন রাবণ এসে বেশ্যালয় বানিয়ে দিয়েছে। এটাও কারো জানা নেই যে – শিবজয়ন্তী পালন করে থাকে, রাবণ জয়ন্তী কোথায় পালিত হয়? রাবণের জন্ম বিষয়ে কারোরই কিছু জানা নেই। তাকে বানিয়ে তারপর দশহরার দিন তাকে মেরে দেয়। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে রাবণ ৫ বিকারকে এই পটকা ইত্যাদি দিয়ে জ্বালানো যায় না। যোগবলের দ্বারা তার উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে হয়, যে যোগ বাবা-ই এসে শেখাচ্ছেন। বলা হয় যে – যোগী ভব, হোলি ভব। গীতাতে আবার লেখা আছে – মন্মনা ভব, আমাকে স্মরণ করো, এই যাত্রার দ্বারাই তোমরা শান্তিধামে চলে যাবে। পুনরায় অমরলোকে আসবে। মানুষ যখন তীর্থ যাত্রা করে তখন পবিত্র থাকে। কাশিতে যারা যায় তারা পবিত্র থাকে কিন্তু কাশিতে যারা থাকে তারা কেউ পবিত্র থাকে না। এখানে রাবণ রাজ্যে আছে পতিতদের সাথে পতিতদের ব্যবহার। সেখানে হলই পবিত্রদের ব্যবহার পবিত্রদের সাথে। তথাপি নিচে তো নামতেই হয়।

বাবা বোঝাচ্ছেন যে – অর্ধেক কল্প হল দিন, অর্ধেক কল্প হল রাত। এখানেও ব্রাহ্মণদের কথা আছে। ব্রাহ্মণেরাই পুনরায় দেবতা হয়। নতুন দুনিয়াতে লক্ষ্মী-নারায়ণ কোথা থেকে আসবে? কোনও যুদ্ধ তো করেননি। মহাভারতের যুদ্ধ তো দেখানো হয়েছে কিন্তু তার রেজাল্ট তো কিছুই দেখায় নি। বলে যে পাঁচ পাণ্ডব ছিল। তোমরা হলে আধ্যাত্মিক পান্ডা। তোমরা জানো যে এখন সকলকে পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হবে। বাবা আসেন-ই সবাইকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি হলেন সুপ্রিম পান্ডা অথবা গাইড, মুক্তিদাতা, মায়ার থেকে মুক্ত করে সাথে নিয়ে যান। সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাইড তো অবশ্যই চাই। এই কথা বুদ্ধিতে ভালো রীতিতে স্মরণে রাখতে হবে। তাদের শাস্ত্র তো ছাপা হয়ে থাকে। যে কেউ গিয়ে পড়তে পারে। এই জ্ঞান তো বাবা-ই এসে প্রদান করেন। পুনরায় শাস্ত্র পড়ার তো কথাই নেই। বাবার থেকে শুনে ধারণ করতে হবে। প্রথম নম্বরে হল স্মরণের যাত্রা, স্মরণের দ্বারাই পবিত্র হবে। (সৃষ্টির) ইতিহাস-ভূগোল তো কেউ বোঝাতে পারবে না। স্মরণের যাত্রায় অনেক কাঁচা থাকে। স্মরণের যাত্রাতেই বিঘ্ন আসে। জ্ঞান তাে হলে খুবই সহজ।

বাবা বোঝাচ্ছেন যে এটা হল ড্রামার চক্র। তার চারটি ভাগ হলো সমান সমান। লক্ষ বছর আয়ু হলে তো মানুষের অনেক বৃদ্ধি হয়ে যেত। গভর্মেন্টও কতইবা বলবে যে আর জন্ম যেন না হয়। এটা তাে হল বাবার কাজ তারা তো সব শারীরিক যুক্তি বের করতে থাকে। বাবার হল এটা আধ্যাত্মিক যুক্তি। বাবা বলেন যে আমি আসি-ই অনেক ধর্মের বিনাশ করে এক ধর্মের স্থাপনা করতে। একমত সত্যযুগেই হবে, এখানে থোড়াই হতে পারে। এখানে নিজেদেরকে ভাই-ভাই কেউই মনে করে না। বাবা বাচ্চাদের অনেক যুক্তি বোঝাতে থাকেন। নিজেদের কাছে টপিক্সের লিস্ট রাখতে হবে। এক-একটি টপিক হল ফার্স্ট ক্লাস। বাবা বলেন যে – বাচ্চারা তোমাদেরকে অধিক কথা বলতে হবে না। কেবল এইটুকু বলবে যে – শিব বাবা বলেন যে – আমি হলাম সকল আত্মাদের বাবা পরমাত্মা, আমাকেই ভগবান বলা হয়। কোনও মানুষকে ভগবান বলা যায় না। আধ্যাত্মিক যাত্রা আর শারীরিক যাত্রার টপিক তো খুব ভালো। শারীরিক যাত্রা তো মৃত্যুলোকে হয়ে থাকে। এটা হল মৃত্যুলোক, সেখানে হল অমরলোক। বাচ্চারা তোমরা কল্প-কল্প বাবার সহায়ক হও, এই জন্য তোমরা হলে আধ্যাত্মিক সুইট চিল্ড্রেন। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিজে সেন্সিবল্ (সচেতন) হয়ে অন্যদেরকেও বানাতে হবে। নিজের চাল-চলন অত্যন্ত রাজকীয় আর মিষ্টি করতে হবে।

২ ) আধ্যাত্মিক যাত্রাতে তৎপর থাকতে হবে। নিজের কাছে ভালো ভালো পয়েন্টস্ (টপিক্স) নোট রাখতে হবে। প্রত্যেকটি টপিকের উপর বিচার সাগর মন্থন করতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা সর্বদা অন্তরের স্থিতিতে অথবা অন্তরের স্বরূপে স্থির থেকে অন্তর্মুখী থাকে, সে কখনও কোনও কথাতে লিপ্ত হতে পারে না। পুরানো দুনিয়া, সম্বন্ধ, সম্পত্তি, পদার্থ, যেগুলি অল্পকালের জন্য আর দেখানো মাত্র আছে, সেগুলির থেকে ধোঁকা খাবে না। অন্তর স্বরূপের স্থিতিতে থাকার কারণে নিজের শক্তি স্বরূপ, যেটা গুপ্ত আছে, সেটা প্রত্যক্ষ হয়ে যায় আর এই স্বরূপের দ্বারাই বাবার প্রত্যক্ষতা হয়ে যায়। অতএব যে এইরকম শ্রেষ্ঠ কর্তব্য করে থাকে, সে-ই সত্যিকারের স্নেহী হয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top