09 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

December 9, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন তোমাদের রাজযোগ শেখাতে, বাবা ব্যতীত কোনও দেহধারী তোমাদের রাজযোগ শেখাতে পারে না"

প্রশ্নঃ --

প্রচুর ভক্তি করলে কোন্ প্রাপ্তি হয় আর কোন্ প্রাপ্তি হয় না ?

উত্তরঃ -:-

যখন কেউ প্রচুর ভক্তি করে তখন তার সাক্ষাৎকার হয়। এছাড়া কারও সদগতি তো হয় না। কেউই ফিরে যায় না। বাবা ব্যতীত কেউই ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। তোমরা এই পূর্বনির্ধারিত ড্রামাকে জানো। তোমাদের মধ্যে আত্মার যথার্থ জ্ঞান রয়েছে। আত্মা-ই স্বর্গবাসী এবং নরকবাসী হয়।

ওম্ শান্তি । আত্মিক বাচ্চাদের প্রতি আত্মিক পিতা ওম্ শান্তির অর্থও বুঝিয়েছেন। ওম্’কে অহম্ অর্থাৎ ‘আমি’ও বলা হয়। আমি আত্মা এবং আমার শরীর, দুটি আলাদা জিনিস। আত্মা বলল ওম্ শান্তি, অর্থাৎ শান্তি হলো আমার স্বধর্ম। আত্মার নিবাসস্থান হলো শান্তিধাম অর্থাৎ পরমধাম। ওটা হলো নিরাকারী দুনিয়া। এটা হলো দৈহিক মানুষের দুনিয়া। মানুষের মধ্যে আত্মা রয়েছে এবং এই শরীর পাঁচ তত্ত্বের দ্বারা গঠিত। আত্মা হলো অবিনাশী, কখনও মরে না। সুতরাং আত্মাদের পিতা কে ? শারীরিক পিতা তো প্রত্যেকের আলাদা আলাদা। এছাড়া সকল আত্মাদের পিতা হলেন এক পরমপিতা পরমাত্মা, ওঁনার আসল নাম হলো শিব। প্রথমে বলা হয়, শিব পরামাত্মায় নমঃ, তারপর বলা হয় ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ, বিষ্ণু দেবতায় নমঃ। তাঁদের ভগবান বলা যাবে না। সর্বোচ্চ হলেন নিরাকার পরমাত্মা। তারপর সূক্ষ্ম দেবতারা রয়েছে, তারপরে সমস্ত মানুষ যারা এখানে আছে। এখন প্রশ্ন জাগে যে, আত্মার রূপ কী ? লোকেরা ভারতে শিবের পূজা করে, গাইতে থাকে, “শিব কাশী, শিব কাশী”। ওরা লিঙ্গ তৈরি করে, কেউ বড় কেউ ছোট তৈরি করে কিন্তু আত্মার যেমন রূপ তেমনই পরমাত্মার রূপ। পরম আত্মা, একত্রে পরমাত্মা বলা হয়। পরমাত্মার সম্পর্কে কেউ বলে তিনি হলেন অখন্ড জ্যোতি স্বরূপ, কেউ বলে তিনি হলেন ব্রহ্ম। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন, তোমরা আত্মারা যেমন বিন্দু সেরকম আমার রূপও হলো বিন্দু। মানুষ যখন রুদ্র পূজা করে, তখন একটি লিঙ্গমূর্তিই তৈরি করে। তারা শিবের বড় লিঙ্গ তৈরি করে এবং ছোট ছোট শালগ্রাম তৈরি করে। মানুষের না আত্মার যথার্থ জ্ঞান রয়েছে, না পরমাত্মার জ্ঞান রয়েছে ! তাহলে তারা কি ধরনের মানুষ ! সকলের মধ্যে ৫ বিকার রয়েছে। দেহ-অভিমানে এসে একে অপরকে আঘাত করতে থাকে। এই বিকার হলো দুঃখ প্রদানকারী। কেউ মারা গেলে দুঃখ অনুভব হয়। এটাও তো আঘাত পাওয়া। কোনও মানুষেরই না আত্মার, না পরমাত্মার উপলব্ধি রয়েছে ! তাদের চেহারা মানুষের মতো কিন্তু চরিত্র বিকারী এইজন্য বলা হয় রাবণ সম্প্রদায় কারণ এটা হলো রাবণ রাজ্য। সবাই বলে, আমরা রামরাজ্য চাই। গীতায় কৌরব সম্প্রদায়, পাণ্ডব সম্প্রদায় এবং যাদব সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়েছে। এখন তোমরা বাচ্চারা রাজযোগ শিখছো। শ্রীকৃষ্ণ তো রাজযোগ শেখাতে পারে না। তিনি হলেন সত্যযুগের প্রিন্স। তাঁর মহিমা রয়েছে সর্বগুণসম্পন্ন… প্রত্যেকের কর্তব্য এবং মহিমা আলাদা। প্রেসিডেন্টের কর্তব্য আলাদা, প্রাইম মিনিস্টারের কর্তব্য আলাদা। এখন ইঁনি হলেন সর্বোচ্চ অসীম জগতের পিতা। ওঁনার কর্তব্য কেবল মানুষই জানবে, পশুরা কী জানবে ! মানুষ যখন তমোপ্রধান হয়ে যায় একে অপরকে গালাগালি দিতে থাকে। এটা হলো পুরানো দুনিয়া কলিযুগ, এ’কে নরক বলা হয়। বিকারী দুনিয়া বলা হয়। সত্যযুগকে নির্বিকারী দুনিয়া বলা হয়। আত্মা এই অরগ‍্যান্স দ্বারা বলে, আমরা রামরাজ্য চাই। হে পতিত পাবন তুমি এসে পবিত্র করো; শান্তিধাম, সুখধামে নিয়ে চলো। বাবা বোঝান, সুখ-দুঃখের খেলা রয়েছে। যারা মায়ার কাছে পরাজিত হয় তারা সমগ্র বিশ্বের কাছে পরাজিত এবং যারা মায়ার উপর বিজয়ী তারা সমগ্র বিশ্বে জয়লাভ করে। মানুষ যাঁদের পূজা করে তাঁদের প্রবৃত্তিকেই জানে না। এ’কে বলা হয় অন্ধশ্রদ্ধা, পুতুলের পূজা। বাচ্চারা যেমন পুতুল বানিয়ে খেলা করে তারপর ভেঙ্গে দেয়। ওরা শিব পরমাত্মায় নমঃ বলে, কিন্তু এর অর্থই জানে না। শিব তো হলেন সর্বোচ্চ পিতা। ব্রহ্মাকেও প্রজাপিতা বলা হয়। প্রজা অর্থাৎ মনুষ্য সৃষ্টি। শিব হলেন আত্মাদের পিতা। সবার দুই বাবা আছে। কিন্তু সকল আত্মাদের পিতা হলেন শিব, তাঁকে দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা বলা হয়, কল্যাণকারীও বলা হয়। দেবতাদের মহিমা গায়ন করা হয়, তুমি সর্বগুণসম্পন্ন… আমরা পতিত, পাপী… আমাদের মধ্যে কোনো গুণ নেই। তারা সম্পূর্ণ তুচ্ছ বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে গেছে। দেবতারা স্বচ্ছ বুদ্ধি ছিল। এখানে সবাই বিকারী পতিত, এইজন্য গুরু গ্রহণ করে। গুরু তিনিই, যিনি সদগতি প্রদান করেন। গুরু গ্রহণ করে বানপ্রস্থ অবস্থায়। ওরা বলে, আমরা ভগবানের কাছে যেতে চাই। সত্যযুগে বাণপ্রস্থ অবস্থার কথা বলা হয় না। ওখানে এই জ্ঞান থাকে যে, আমাদের এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করতে হবে। এখানে মানুষ গুরু গ্রহণ করে মুক্তি লাভের জন্য। কিন্তু কেউই যায় না। এই গুরুরা সবাই ভক্তিমার্গের। সমস্ত শাস্ত্রও হলো ভক্তিমার্গের। বাবা বোঝাচ্ছেন, বাবা কেবল একজন, তিনিই ভগবান। মানুষকে কীভাবে ভগবান বলা যেতে পারে ? এখানে তারা সবাইকে ভগবান বলে ডাকতে থাকে। সাঁই বাবাও ভগবান, আমিও ভগবান, তুমিও ভগবান ! নুড়ি-পাথর সবকিছুর মধ্যেই ভগবান, সুতরাং তারা পাথরবুদ্ধি তাই না ! তোমরাও আগে পাথরবুদ্ধি, নরকবাসী ছিলে। এখন তোমরা হলে সঙ্গমযুগী। সঙ্গম যুগেরই সমস্ত মহিমা রয়েছে। মানুষ পুরুষোত্তম মাস উদযাপন করে না ! কিন্তু এর মাধ্যমে তো কেউ উত্তম পুরুষ হয় না। তোমরা এখন মনুষ্য থেকে দেবতা হয়ে উঠছো, কত উত্তম পুরুষ হয়ে উঠছো। বাবা বলেন – আমি কল্পের সঙ্গমযুগে ভারতকে পুরুষোত্তম বানানোর জন্য আসি। এটাও বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে, আত্মা যেমন বিন্দু সেরকম পরমপিতা পরমাত্মাও হলেন বিন্দু। বলা হয়, ভ্রুকুটির মাঝখানে ঝলমলে নক্ষত্র আলো বিকিরণ করছে। আত্মা হলো সূক্ষ্ম। একে বুদ্ধির দ্বারা উপলব্ধি করা যায়। এই চোখ দ্বারা দেখা যায় না। দিব্য দৃষ্টির দ্বারা দেখা যায়। যখন কেউ প্রচুর ভক্তি করে, তখন তার সাক্ষাৎকার হয়। কিন্তু এর মাধ্যমে কী প্রাপ্তি হয় ? কিছুই না। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তো সদগতি হতে পারে না। সদগতি দাতা, দুঃখহর্তা সুখকর্তা হলেন একমাত্র বাবা। এই দুনিয়াই হলো বিকারী। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে কেউ স্বর্গে যায় না। কেউ শিবের ভক্তি করল, সাক্ষাৎকার হলো তারপর কী হলো ? বাবা ব্যতীত কেউ তো ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। এটা হলো পূর্বনির্ধারিত ড্রামা। তারা বলে, এই ড্রামা বানানো আছে… কিন্তু তারা এর অর্থই জানে না। তাদের কাছে আত্মারও জ্ঞান নেই। ওরা তো বলে যে, প্রত্যেক আত্মা ৮৪ লক্ষ জন্ম গ্রহণ করে। তার মধ্যে একটা মনুষ্য জন্ম দুর্লভ। কিন্তু এরকম কিছু নয়। মানুষের তো অনেক বড় পার্ট রয়েছে। মানুষই স্বর্গবাসী এবং মানুষই নরকবাসী হয়। ভারতই সবথেকে উঁচু খন্ড ছিল, লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। ওখানে তো খুব কম সংখ্যক মানুষ ছিল। এক ধর্ম এবং এক মত ছিল। ভারত সমগ্র বিশ্বের মালিক ছিল, আর কোনো ধর্ম ছিল না। এটা হলো পড়াশোনা। কে পড়াচ্ছেন ? ভগবান বলেন যে, আমি তোমাদের এই রাজযোগের দ্বারা রাজাদেরও রাজা বানিয়ে দিই। ভগবান কাকে গীতা শুনিয়েছিলেন ? গীতার মাধ্যমে তারপর কী হলো ? এটা কেউ জানে না। গীতার পরে রয়েছে মহাভারত। গীতাতে রাজযোগ রয়েছে। ভগবানুবাচ, মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ ভস্মীভূত হয়ে যাবে। মনমনাভব’র অর্থই হলো যে, বাবা বলছেন তোমরা যারা সূর্যবংশী পূজনীয় ছিলে, তারা-ই আবার পূজারী শুদ্রবংশী হয়ে গেছ। বিরাট রূপের অর্থও তোমরা বাচ্চারাই জানো। ওরা বিরাট রূপের চিত্র দেখায় কিন্তু তাতে ব্রাহ্মণদেরকে সরিয়ে দিয়েছে। ব্রাহ্মণদের তো অনেক গায়ন করা হয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান তাই না ! বাবা ব্রহ্মার দ্বারাই সৃষ্টি রচনা করেন। তিনি অ্যাডপ্ট করেন। এখন তোমরা হলে উচ্চ ব্রাহ্মণ। তোমাদের সৃষ্টি করেছেন সর্বোচ্চ ভগবান, যিনি সকলের পিতা। তিনি ব্রহ্মারও পিতা। তিনি সমগ্র সৃষ্টির পিতা। সৃষ্টির সবাই ভাই ভাই। বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, না ভাইয়ের থেকে ! শিব জয়ন্তীও পালন করা হয়। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে ব্রহ্মার শরীরে শিববাবা এসেছিলেন। তিনি দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপন করেছিলেন। ব্রাহ্মণরাই রাজযোগ শিখেছিল। এখন তোমরা আবার শিখছো। ভারত আগে শিবালয় ছিল। শিববাবা শিবালয় (স্বর্গ) সৃষ্টি করেছিলেন এবং ভারতবাসীরাই স্বর্গে রাজত্ব করত। এখন তারা কোথায় রাজত্ব করছে ? এই দুনিয়া এখন পতিত, নরক হয়ে গেছে। এটা তো কেউ বুঝতে পারে না যে, আমরা হলাম নরকবাসী। তারা বলে, অমুক মারা গিয়ে স্বর্গবাসী হয়েছে, সুতরাং নিজেদেরকে নরকবাসী মনে করা উচিত। বাবা বলেন – বাচ্চারা, আমি তোমাদের স্বর্গবাসী বানিয়েছিলাম, ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে। প্রথমে তোমরা অনেক ধনী ছিলে, সমগ্ৰ বিশ্বের মালিক ছিলে। সুতরাং অবশ্যই গড-ই এরকম বানিয়েছিলেন। ভগবানুবাচ, আমি তোমাদের রাজাদেরও রাজা বানাই, সুতরাং অবশ্যই রাজাও তৈরি হবে এবং প্রজাও তৈরি হবে। অর্ধেক কল্প হলো দিন অর্থাৎ স্বর্গ এবং অর্ধেক কল্প হলো রাত অর্থাৎ নরক। ব্রহ্মা তো একবারই আসবেন তাই না ! বাবা হলেন সকলের আত্মিক পান্ডা। তিনি সকলকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান। ওখান থেকে আর মৃত্যুলোকে আসবে না। অন্ধদের লাঠি হলেন একমাত্র বাবা। বাবা বোঝাচ্ছেন, বাচ্চারা এই রাবণ রাজ্য এখন বিনাশ হয়ে যাবে। এটাই সেই মহাভারতের যুদ্ধ। মানুষ তো কিছুই বোঝে না। ভারতবাসীরা নিজেরাই পূজনীয় হয়, আবার নিজেরাই পূজারী হয়। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বাম মার্গে যাওয়ার পর পূজারী হয়ে যায়। শুরুতে আমরা সবাই পূজনীয় সূর্যবংশী ছিলাম, তারপর দুই কলা কম হয়ে চন্দ্রবংশী হওয়ার পর এখন নামতে নামতে পূজারী হয়েছি। সর্বপ্রথম শিবের পূজা করা হয় এবং এ’কে অব্যভিচারী পূজা বলা হয়। এখন বাবা বলছেন – এক নিরাকার বাবাকে স্মরণ করো, অন্য কোনো দেহধারীকে স্মরণ করা উচিত নয়। লোকেরা আহ্বান করে যে, হে পতিত-পাবন এসে আমাদের পবিত্র করো। সুতরাং আমি ছাড়া অন্য কেউ কীভাবে পবিত্র করতে পারে ! সিঁড়ির চিত্রে দেখানো হয়েছে যে, কলিযুগের অন্তিমে কী আছে। লোকেরা পাঁচ তত্ত্বের ভক্তি করে। সাধু-সন্ন্যাসীরা, ব্রহ্ম’র সাধনা করে। স্বর্গে এর কোনোটিই থাকে না। এই সম্পূর্ণ ড্রামা ভারতকে নিয়েই তৈরি হয়েছে। তোমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করো। এখানে ভক্তি মার্গের কোনো সংশয়পূর্ণ কথাই নেই। এটা তো হলো পড়াশোনা। এখানে তো শিক্ষা প্রাপ্ত হয় যে, এক বাবাকে স্মরণ করো। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকেও স্মরণ করা উচিত নয়। কোনো দেহধারীকে স্মরণ করা উচিত নয়। তোমরা বাচ্চারাও বলো, আমাদের তো এক শিববাবা, দ্বিতীয় কেউ নয়। বাবাও বলেন, বাচ্চারা ঘর-পরিবারে থেকে কমল পুষ্পের সমান পবিত্র হও। পতিত-পাবন একমাত্র আমি বাবাকেই বলা হয়। তাহলে মানুষ কীভাবে গুরু হতে পারে। ওরা নিজেরাই ফিরে যেতে পারে না তাহলে অন্যদের কীভাবে নিয়ে যেতে পারে। কোনো জ্যোতিই জ্যোতিতে সমাহিত হয় না। প্রত্যেক পার্টধারীই এখানে পুনর্জন্ম নেয়। তোমরা সবাই হলে সজনী, তোমরা এক প্রিয়তমকে স্মরণ করো। তিনি হলেন দয়াবান, লিব্রেটর। এখানে দুঃখ আছে বলেই তারা তাঁকে স্মরণ করে। সত্যযুগে তো কেউ স্মরণ করে না। বাবা বলেন, সঙ্গমযুগেই আমার পার্ট রয়েছে। এছাড়া ‘যুগে যুগে’ শব্দ ভুল লিখে দিয়েছে। এই কল্যাণকারী পুরুষোত্তম যুগকে কেউই জানে না। প্রথম এবং মুখ্য বিষয় হলো, বাবাকে জানা। নাহলে বাবার থেকে উত্তরাধিকার কীভাবে প্রাপ্ত করবে ? সৃষ্টির থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হতে পারে না। বাবা ব্রহ্মার দ্বারা অ্যাডপ্ট করেছেন। মানুষ এটা জানে না যে, এত প্রজা কীভাবে তৈরি হবে ? প্রজাপিতা আছেন তাই না ! সরস্বতী মা নাকি মেয়ে ? এটাও কেউ জানে না। তোমাদের মা তো হলেন গুপ্ত। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের অ্যাডপ্ট করেন। এখন তোমরা হলে রাজঋষি। ঋষি শব্দ হলো পবিত্রতার প্রতীক। সন্ন্যাসীরা হলো হঠযোগী, ওরা রাজযোগ শেখাতে পারে না। ওরা যে গীতা শোনায় তা হলো ভক্তিমার্গের। কত গীতা বানিয়ে দিয়েছে। বাবা বলেন – বাচ্চারা, আমি তো সংস্কৃতে তোমাদের পড়াই না, শ্লোক ইত্যাদিরও বিষয় নেই। তোমাদের এসে রাজযোগ শেখাই, যে রাজযোগের দ্বারা তোমরা পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাও।

আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কখনো কোনো দেহধারীকে স্মরণ করা উচিত নয়। আমার তো এক শিববাবা, দ্বিতীয় কেউ নয় – এই পাঠ পাকা করতে হবে।

২ ) বাবার সমান আত্মিক পান্ডা হয়ে সবাইকে ঘরের রাস্তা বলে দিতে হবে। অন্ধদের লাঠি হতে হবে।

বরদানঃ-

সম্পূর্ণ কর্মাতীত হওয়ার পথে ব্যর্থ সংকল্পের তুফান’ই বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এই ব্যর্থ সংকল্পের অভিযোগকে সমাপ্ত করার জন্য নিজের মনকে প্রতি মুহূর্তে ব্যস্ত রাখো, সময় বুকিং করার পদ্ধতি শেখো। সারাদিনে মনকে কোথায় কোথায় ব্যস্ত রাখতে হবে – এই প্রোগ্রাম তৈরি করো। প্রতিদিন নিজের মনকে চারটি বিষয়ে ব্যস্ত করে দাও : ১ – মিলন (আত্মিক বার্তালাপ) ২ – বর্ণনা করা (সার্ভিস) ৩ – নিমগ্ন (মগন) এবং ৪ – গভীর ভালোবাসায় থাকা (লগন) । এর দ্বারা সময় সফল হয়ে যাবে আর ব্যর্থ’র অভিযোগও সমাপ্ত হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top