06 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
5 December 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা -- দান করে দেওয়া বস্তু কখনো ফিরিয়ে নিও না, ফিরিয়ে নিলে আশীর্ব্বাদের পরিবর্তে অভিশাপ প্রাপ্ত হবে"
প্রশ্নঃ --
কোন্ নিশ্চয় পরিপক্ক হলে তখন যেকোনো বিরোধিতাই আসুক তার সম্মুখীন হতে পারবে ?
উত্তরঃ -:-
যদি নিশ্চয় হয়ে যায় যে আমরা ভগবানকে পেয়েছি, ওঁনাকে স্মরণ করে আমাদের বিকর্ম বিনাশ করতে হবে, বিশ্বের বাদশাহী নিতে হবে তখন সমস্ত বিরোধ সমাপ্ত হয়ে যাবে। সম্মুখীন হওয়ার শক্তি চলে আসবে। নিশ্চয় কম হলে তখন বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। তখন জ্ঞান ছেড়ে ভক্তি করতে লেগে পড়ে।
গান:-
তোমায় পেয়ে আমরা জগৎ পেয়ে গেছি, জমি তো পেয়েছিই আকাশও পেয়ে গেছি..
ওম্ শান্তি । এই গীত কে শোনে ? বাচ্চারা শোনে আর তার অর্থও বুঝে থাকে। প্রজাও যদি শোনে সেও বিশ্বের মালিক হয়ে যায় । যেমন সব ভারতবাসী বলে থাকে আমাদের ভারত, ঠিক তেমনই যথা রাজা রানী, তথা প্রজা, সকলে মনে করে নিজেকে বিশ্বের মালিক । যেরকম ইউরোপীয়ানরা যখন এসেছিল তারাও বলত আমরা হলাম হিন্দুস্থানের মালিক। সেই সময় হিন্দুস্থানের অধিবাসীরা বলবে না যে আমরা হিন্দুস্থানের মালিক । সেই সময় তারা হল দাস। সমস্ত রাজ্যত্ব তো তখন ইউরোপীয়ানদের হাতে। আমাদের রাজ্য ভাগ্য রাবণ কেড়ে নিয়েছিল। এখন আমরা আমাদের রাজ্যকে ফিরে পেতে চাই। এটা হল অন্যের রাজ্য। গাওয়াও হয়ে থাকে – দূর দেশের অধিবাসী… এখন তোমরা নিজেদের রাজত্ব নিচ্ছো। তোমরা কারো জন্য লড়াই করছো না, নিজের জন্যই সব কিছু করছো। ওই সেনা তো লড়াই করে নিজেদের প্রেসিডেন্ট বা প্রাইম মিনিস্টারের জন্য। তারাই তো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার জন্য তাদের নেশাও অনেক থাকে, তবুও তো তারা এখন বলে – ভারতবর্ষ হল আমাদের। কিন্তু ভারতবাসীদের এটা জানা নেই যে, এটা আমাদের রাজ্য নয়। এটা হল রাবণের রাজ্য। রামের রাজ্য ছিল, দেবতাদের রাজত্ব ছিল, এখন নেই। তোমরা জানো যে, ৫ হাজার বছর পরে আমরা আমাদের রাজত্ব নিচ্ছি। কার কাছ থেকে ? পরমাত্মা বাবার কাছ থেকে। রাম শব্দটি বললে লোকে বিভ্রান্ত হয়ে যায়, সেই কারণে অসীম জগতের পিতা বলাটাই ঠিক। বাবা শব্দটাই তো কতো মিষ্টি। বাবা বললেই বর্সার কথা মনে পড়ে যায় । একমাত্র বাবা ছাড়া আর সব কিছুই ভুলে যেতে হবে । আমরা আত্মারা বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি। বাবা এসে তোমাদেরকে আত্ম-অভিমানী বানাচ্ছেন । আমরা হলাম আত্মা। আত্মা কতো ছোট্ট, সূক্ষ্ম। তার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা রয়েছে । স্থূল বুদ্ধির মানুষ এ’সব জানবে না। আর না বোঝাতে পারবে। বাবার থেকে আমরা উত্তরাধিকার নিচ্ছি, এ কতো সহজ ব্যাপার। কিন্তু মায়া ভুলিয়ে দেয়। সেইজন্য বাচ্চাদেরকে পরিশ্রম করতে হয়। এর মধ্যে কোনো হাতিয়ার বা বারুদ ইত্যাদির ব্যাপার নেই। না কোনো ড্রিল ইত্যাদি শিখতে হবে, না কোনো শাস্ত্র তুলে নিতে হবে। শুধু বাবাকে স্মরণ করতে হবে । বাবা যা শোনাচ্ছেন তাকে ধারণ করতে হবে। আমরা আমাদের রাজ্য ভাগ্য নিচ্ছি। যেমন নাটকে অ্যাক্ট তার অ্যাক্ট পার্ট প্লে করে তারপর নাটকের পোশাকটি পরিবর্তন করে নিজের বাড়ি ফিরে যায়, ঠিক সেইরকমই তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে, এখন এই নাটক (সৃষ্টি রূপী) শেষ হতে চলেছে। এখন অশরীরী হয়ে ঘরে ফিরে যেতে হবে। আমরা প্রতি ৫ হাজার বছর বাদে বাদে পার্ট প্লে করি। অর্ধ কল্প রাজত্ব করি, অর্ধ কল্প মায়ার দাস হয়ে যাই। বাচ্চাদেরকে কোনো বিশেষ কষ্ট দেওয়া হয় না। বুদ্ধিতে কেবল বাবার স্মরণ থাকতে হবে। পুরুষার্থ করে যতটা সম্ভব এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এখন নাটক শেষ হতে চলেছে । বাকি আর অল্প সময়ই, আমাদেরকে এখন যেতে হবে। এই এই ভাবে নিজের সাথে নিজে কথা বলতে বলতে তোমরা পবিত্র হয়ে তারপর ফিরে চলে যাবে। প্রত্যেক বাচ্চা চাইলেই জানতে পারে যে, আমি বাবাকে কতখানি স্মরণ করি। তা সে চার্ট লিখুক বা লিখুক। কিন্তু বুদ্ধিতে তো থাকে তাই না ? তো সারাদিনে আমি কি কি করেছি ? যেমন ব্যবসায়ীরা নিজের সারাদিনের ব্যবসার হিসাবপত্র রাতে বসে মিলিয়ে দেখে। এও হল এক প্রকার ব্যবসায়। রাতে শুতে যাওয়ার সময় নিজেকে বিচার বিশ্লেষণ করে যে আমি বাবাকে কতক্ষণ স্মরণ করেছি ? কতজনকে বাবার পরিচয় দিয়েছি। যারা চালাক চতুর হয় তাদের ব্যবসা ভালো চলে। বুদ্ধু হলে ব্যবসাও তেমনই চলবে। এখানে তো নিজের জন্যই উপার্জন করতে হবে। বাবা কেবল বলেন – আমাকে স্মরণ করো, চক্রকে স্মরণ করো, তাহলে চক্রবর্তী রাজা হবে । কোনো কিছুর জন্য টু মাচ আশা রাখবে না। গ্রামের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা কম থাকে, বিত্তবানদের অনেক আশা থাকে। গ্রামের মানুষ দারিদ্র নিয়েও আনন্দেই থাকে। শুকনো রুটিতেও তারা অভ্যস্ত। বিত্তবানদের আশা আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। বাবা মা’কেও অতিষ্ঠ করে তোলে। বাবার এ’ বিষয়ে অনুভাবী। দরিদ্র মানুষ গুলির জন্য দয়াও হয়। গরীব মানুষ যদি দেখে বড় বড় মানুষরা এই জ্ঞান শুনছে, তাহলে আমরাও শুনতে যাই। বাবা তো অনেক চিত্র তৈরী করিয়েছেন। কেউ যদি বলে আমি সার্ভিস করতে চাই, বাবা বলেন, আগে তুমি সুবুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে ওঠো, তারপর সার্ভিসে যাও। কেননা আজকাল ভক্তিরও খুব জোর রয়েছে। তোমরা একদিকে বোঝাতে থাকবে, অন্যদিকে তারা গুরুর কাছে চক্র লাগাবে। তারাও তখন ভয় পাইয়ে দেবে যে, তুমি যদি ভক্তি না করো তবে ফল পাবে কীকরে ? ভক্তি করলে তবেই তো ভগবানকে পাওয়া যায়। যতক্ষণ না এই জ্ঞানে পরিপক্ক না হয়ে যাচ্ছো, সম্পূর্ণ নিশ্চয় হলে তবেই কারো মুখোমুখি হতে পারবে। তোমাদের সাথেই তো তাদের অপোজিশন। তোমরা একটা কথা বললে তারা অন্য একটা কথা বলবে। জগতে অনেক মত আর পথ রয়েছে, যেখানে গিয়ে মানুষ কিছু না কিছু শুনে আসে। গীতার নানান প্রকারের অর্থ শোনায়, তাতেই মানুষ ফেঁসে যায়। সন্ন্যাসীরা কখনো গৃহস্থী মানুষকে বলবে না যে বিকারে যেও না। তারা যদি বলেও নির্বিকারী হও, তাহলে কী হবে ? এইম অব্জেক্ট তো তাদের কিছু নেই । জগতে উল্টো রাস্তা দেখানোর লোকের অভাব নেই। সত্যিকারের রাস্তা খুব অল্প জনই দেখাতে পারে। তাদের ওপরেও মায়ার কোনো না কোনো আঘাত আসতেই থাকে। মন বলছে পবিত্র হতে, কিন্তু মায়া বুদ্ধিকে ঘুরিয়ে দিতে থাকে। মনের মধ্যে অনেক খারাপ খারাপ চিন্তা নিয়ে আসতে থাকবে। মায়ার যুদ্ধ তো অনেক। জ্ঞানে চলতে চলতে অনেক ঝড় তুফান আসতেই থাকে। কোনো প্রকারের বিকারের ভূত যদি ভিতরে থাকে, তবে অন্তর্দহন হতে থাকবে। কাউকে বললে ক্রোধের দান দিয়ে দাও, অথচ নিজেই যদি ক্রোধ করতে থাকো, তবে তো লোকে বলবে তুমি তো নিজেই ক্রোধ করো, আমাদেরকে কীকরে বলছো ? সুতরাং ক্রোধকে তো ছাড়তে হবে। ক্রোধ তো কখনও লুকিয়ে করা যায় না। ক্রুদ্ধ হলে তার চিৎকারের আওয়াজও অনেক হয়। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে থাকে। একজন আরেকজনকে গালি দিতে থাকে। বাবা দেখেন – ক্রোধের ভুত বেরোতেই চায় না। কেউ কেউ তো বাবার সামনেই রাগারাগি করতে থাকে। অনেকের মধ্যেই ক্রোধের ভূত এসে যায়। এটা খুবই খারাপ। বিরক্ত করতে থাকে। বাবা তো তাও ভালোবাসা দিয়ে বোঝাতে থাকেন। যদি নাম বদনাম করে দাও, তখন পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে । এটা তো বোঝানো উচিত যে, তোমরা যখন ৫ বিকারের দান দিয়ে দিয়েছো তবে তা ফিরিয়ে নাও কেন। যদি ক্রোধ করে ফেলো তাহলে গ্রহণ ছাড়বে না। আরও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। বাবার আশীর্বাদের পরিবর্তে তখন অভিশাপ লেগে যায়। কেননা বাবার সাথে ধর্মরাজও থাকেন। এও ড্রামাতে রয়েছে । ক্রোধ করাও হল পাপ। যার মধ্যে ৫ বিকার রয়েছে তাকে পাপ আত্মা বলা হয় । সত্যযুগে সবাই হল পুণ্য আত্মা। সেখানে কেউ কোনো পাপ করে না। এখন জন্ম জন্মান্তরের অনেক পাপের বোঝা মাথার ওপরে রয়েছে। আগে যোগবলের দ্বারা তাকে কাটাতে হবে। মায়া হল খুবই খারাপ। পতি ব্রাহ্মণ, তো স্ত্রী শূদ্র। স্ত্রী ব্রাহ্মণ তো পতি শূদ্র। বাড়িতেই রয়েছে হংস আর বক, খটাখটি লেগেই থাকে। নিজেকে শান্ত রাখার যুক্তি রাখতে হয়। বাড়িঘর ছাড়তেও বাবা অ্যালাউ করেন না। এই রকম অনেক আশ্রম রয়েছে যেখানে স্ত্রী পুত্রকন্যাকে নিয়ে থাকে। তাও খটাখটি তো সব জায়গাতেই হতে পারে। শান্তি কোথাও নেই। সত্যিকারের শান্তি, সুখ, পবিত্রতা ২১ জন্মের জন্য বাচ্চারা তোমরা এখন প্রাপ্ত করছো। এইরকম মত তোমাদেরকে আর কেউই দেবে না।
বাবা বলেন আমি কতো দূর দেশ থেকে আসি সার্ভিস করতে। তোমাদেরকেও সার্ভিস করতে হবে। প্রদর্শনী, মেলাতে অনেক লোক (একসাথে) বুঝতে পারে। গভর্নরও যদি ওপেনিং করে, কিন্তু খুব অল্প জনেরই বুদ্ধিতে আসে যে, পরমাত্মা এদেরকে পড়ান ব্রহ্মার দ্বারা, যার দ্বারা বিশ্বের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । তারা কেবল বলে খুব ভালো। মাতা-রা খুব ভালো কর্তব্য করছে, শ্রেষ্ঠাচারী বানাচ্ছে। যদিওবা তারা লিখে যায় যে, গীতা ভগবানেরই গান। লিখলেও বুদ্ধিতে সহজে বসে নাকি ? নাকি পুরুষার্থ চলে বোঝার। তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে, শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা বলেন, আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হবে। এই পয়গাম সকলকে শোনাতে হবে। তোমরা হলে পয়গম্বরের সন্তান । আর যারাই আসে তারা হল ধর্ম স্থাপক। তোমরা সকলকে এই ম্যাসেজ শোনাও যে, বাবা স্বর্গের নতুন দুনিয়া স্থাপন করছেন। বাবা বলেন, তোমরা যদি আমাকে স্মরণ করো আর পবিত্র থাকো, তাহলে তোমরাও স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে । কিছুক্ষণ পরে পরেই এ’কথাটা স্মরণে আসা চাই। অবস্থা অপরিপক্ক হওয়ার কারণে কাজকর্মে গেলেই সব ভুলে যায়। তখন যে যে মহাবাক্য শুনলো, সে সবই ব্যর্থ হয়ে যায়। এক একটি রত্ন কম নয়। একটি রত্নও স্বর্গের মালিক বানাতে পারে। গাওয়াও হয়ে থাকে, ভারত আমাদের অনেক মহান (উচ্চ) দেশ। তোমরা জানো যে, আমাদের দেশ, যা এক সময় স্বর্গ ছিল, সেটা এখন নরকে পরিণত হয়েছে। এখন আবার বাবা বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । প্রজা তো অনেক তৈরী হতে থাকে । বৃদ্ধিও হতে। সেন্টার খুলতে থাকে। বাবাও বলেন গ্রামে গিয়ে সার্ভিস করো। এমন অনেক গ্রাম আছে যেখানে অনেকে মিলে ক্লাস করে। তারপর বাবাকে পত্র লেখে।
বাচ্চারা, তোমাদের কাজ হলো ব্রাহ্মণ ধর্মকে বৃদ্ধি করা, যাতে সব মানুষ দেবতা হয়ে যায়। যারা এখানকার হবে তারা অন্য কোনো সৎসঙ্গে ফাঁসবে না। এখানে মুখ্য কথা হলো পবিত্রতার। এর উপরেই বাবা বাচ্চাদের, স্ত্রী-পুরুষের, পুরুষ-স্ত্রীর শত্রু হয়ে যায়। সরকারও বলে যে এরা কি করছে? এমন কেন হয়? কিন্তু ধর্মে ইন্টারফেয়ার করতে পারে না। স্ব-রাজ্য স্থাপন তো করেই নেবে। পূর্বে যে লড়াই হয়েছিল আর এরমধ্যে রাত-দিনের পার্থক্য। এই বোমা ইত্যাদি পূর্বে ছিল না। তোমরা জানো যে আমাদের রাজ্যে লড়াই-এর নাম-নিশান থাকবে না। সত্যযুগ-ত্রেতাযুগে সুখ, দ্বাপর-কলিতে দুঃখ। নতুন দুনিয়া আর পুরোনো দুনিয়া। দুনিয়া একই আছে, কেবল নতুন আর পুরানো হয়ে যায়। এখন পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ হয়ে নতুন হতে চলেছে। এই পুরোনো দুনিয়া এখন কোনো কাজের নয়, তাই নতুন দুনিয়া চাই। দিল্লীতে কতবার নতুন মহল নির্মাণ হয়েছে। যে-ই আসে সে ভেঙ্গে-চুড়ে পুনরায় নিজের মতন নতুন করে তৈরী করে, স্মৃতিচিহ্ন রাখার জন্য। যখন বড় যুদ্ধ শুরু হবে তখন এ’সকল ভেঙ্গে-চুড়ে যাবে। পুনরায় নতুন দুনিয়ায় নতুন মহল নির্মাণ করবে। তারপর যে যতখানি পড়বে, সে ততখানিই উচ্চ পদ লাভ করবে। কেউ ভালভাবে পড়ে কেউ কম। এ তো চলতেই থাকে।
বাচ্চারা, তোমরা এ’টা পাকাপাকিভাবে স্মরণে রাখো যে আমরা এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছি। এখন আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। এই পুরোনো শরীর ত্যাগ করে আমরা নিজেদের ঘরে যাব, এইরকম পরিপক্ক অবস্থা হলে তবে আর কি চাই। এইরকম অবস্থায় যদি কেউ শরীরও ত্যাগ করে তবে অতি উচ্চকুলে জন্ম নেবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) নিজের উপার্জন জমা করার জন্য বাবাকে আর চক্রকে স্মরণ করতে হবে। মায়ার চক্করে কখনো পড়বে না। অতিরিক্ত আশা রাখবে না।
২ ) মানুষকে দেবতা করার জন্য নিজেদের ব্রাহ্মণ ধর্মকে বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামে-গ্রামে গিয়ে সেবা করতে হবে।
বরদানঃ-
স্বয়ং-কে সদা বিজয়ী-রত্ন মনে করে প্রতিটি সঙ্কল্প এবং কর্ম করো তাহলে কখনোই পরাজয় হতে পারে না। মাস্টার সর্বশক্তিমান কখনো পরাজিত হতে পারে না। যদি বার-বার পরাজিত হয় তাহলে ধর্মরাজের মার খেতে হবে আর পরাজয় বরণকারীদের ভবিষ্যতে হার(মালা) তৈরী করতে হবে, দ্বাপর থেকে অনেক মূর্তিদের হার পড়াতে হবে সে’জন্য পরাজিত হওয়ার বদলে সমর্পিত হয়ে যাও, নিজের সম্পূর্ণ স্বরূপকে ধারণ করার প্রতিজ্ঞা করো তবেই বিজয়ী হবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!