05 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
4 December 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"সদা প্রসন্ন কীভাবে থাকবে ?"
আজ বাপদাদা চতুর্দিকের বাচ্চাদেরকে দেখছিলেন । কী দেখলেন ? প্রতিটি বাচ্চা নিজে সব সময় কতখানি প্রসন্ন থাকে, তার সাথে সাথে অন্যদেরকেও নিজের দ্বারা কতখানি প্রসন্ন করে থাকে। কেননা পরমাত্ম সর্ব প্রাপ্তির প্রত্যক্ষ স্বরূপ রূপে প্রসন্নতাই চেহারাতে ফুটে ওঠে। ‘প্রসন্নতা’ হল ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষ আধার । স্বল্পকালীন প্রসন্নতা আর সদাকালের সম্পন্নতার প্রসন্নতা – এর মধ্যে রাত দিনের প্রভেদ রয়েছে। স্বল্পকালীন প্রসন্নতা, অল্প কালের প্রাপ্তি যাদের হয়, তাদের চেহারায় অল্প সময়ের জন্য দেখতে পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু রুহানী প্রসন্নতা নিজেকে তো প্রসন্ন করেই উপরন্তু রুহানী প্রসন্নতার ভাইব্রেশন অন্য আত্মাদের কাছে পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অন্য আত্মারাও শান্তি আর শক্তির অনুভূতি করে থাকে । যেমন ফলদায়ক বৃক্ষ নিজের শীতলতার ছায়াতে অল্প সময়ের জন্য মানবকে শীতলতার অনুভব করিয়ে থাকে আর মানুষ প্রসন্নও হয়ে যায়। এইরকম পরমাত্ম-প্রাপ্তি গুলির ফল সম্পন্ন রুহানী প্রসন্নতার অধিকারী আত্মা অন্যদেরকেও নিজের প্রাপ্তি গুলির ছায়াতে তন-মনের শান্তি আর শক্তির অনুভূতি করিয়ে থাকে। প্রসন্নতার ভাইব্রেশন সূর্যের কিরণের মতো বায়ুমন্ডলকে, ব্যক্তিকে অন্য সমস্ত কথা বা বিষয়কে ভুলিয়ে দিয়ে সত্যিকারের রুহানী শান্তির, খুশীর অনুভূতিতে বদলে দেয়। বর্তমান সময়ের অজ্ঞানী আত্মারা নিজেদের জীবনে অনেক অর্থ খরচ করে প্রসন্নতায় থাকতে চায়। তোমরা কী খরচা করেছো ? বিনা কানাকড়ি খরচ করেই সদা প্রসন্ন থাকো তোমরা তাই না ? নাকি অন্যদের সহায়তার কারণে প্রসন্ন থাকো ? বাপদাদা বাচ্চাদের চার্ট চেক করছিলেন। কী দেখলেন ? এক হল সদা প্রসন্ন যারা থাকে আর দ্বিতীয় হল প্রসন্ন থাকে যারা। ‘সদা’ শব্দটি নেই। প্রসন্নতাও তিন প্রকারের দেখলেন – (১) স্বয়ং প্রসন্ন, (২) অন্যদের দ্বারা প্রসন্ন, (৩) সেবার দ্বারা প্রসন্ন । এই তিনটিতেই যদি প্রসন্ন থাকে তবে তো বাপদাদাকে স্বভাবতই প্রসন্ন করেছে আর যে আত্মাদের উপরে বাবা প্রসন্ন থাকেন, সেই আত্মা তো সদা সফলতা মূর্তি হলই হল।
বাপদাদা দেখলেন অনেক বাচ্চারা নিজের প্রতিও অপ্রসন্ন থাকে । ছোট ছোট বিষয়ের কারণে অপ্রসন্ন থাকে। সর্বপ্রথম পাঠ ‘আমি কে’ একে জেনেও ভুলে যায়। বাবা যেমন বানিয়ে দিয়েছেন, বাবা যা কিছু দিয়েছেন – তাকে ভুলে যায়। বাবা প্রত্যেক বাচ্চাকে ফুল বর্সার অধিকারী বানিয়েছেন। কাউকে সম্পূর্ণ, কাউকে আধা বর্সা দেননি। কেউ আধা বা চারভাগ এই রকম পেয়েছো কী ? আধা পেয়েছো নাকি আধা নিয়েছো ? বাবা তো সকলকে মাস্টার সর্বশক্তিমানের বরদান বা বর্সা দিয়েছেন। এমন নয় যে কোনো কোনো শক্তি বাচ্চাদেরকে দিয়েছেন কোনো কোনোটা দেননি। নিজের জন্য রাখেননি। সর্বগুণ সম্পন্ন বানিয়েছেন। কিন্তু বাবার থেকে যা কিছু প্রাপ্তি হয়েছে সেগুলিকে বাচ্চারা নিজের মধ্যে আত্তীকরণ করতে পারে না। স্থূল ধন বা সুযোগ সুবিধার উপকরণ রয়েছে অথচ সেই ধনকে খরচ করতে বা উপকরণ গুলিকে ব্যবহার করতে না জানলে যেমন প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তার থেকে বঞ্চিত রয়ে যায়, সেই রকমই সর্ব প্রাপ্তি বা খাজানা সকলের কাছে রয়েছে কিন্তু কার্যে ব্যবহৃত করবার বিধি জানা না থাকে এবং সময় মতো ইউজ করতে না জানে। তারপরে বলবে – আমি ভাবছিলাম এটা করা উচিত, এটা করা উচিত নয়, কিন্তু সেই সময় ভুলে গেছি। এখন মনে হচ্ছে এই রকম হওয়া নয়। সেই সময় যদি এক সেকেন্ডও অতিবাহিত হয়ে যায়, তবে সফলতার লক্ষ্যে পৌঁছাতেই পারবে না । কেননা তখন সময়ের গাড়ি বেরিয়ে গেছে। এক সেকেন্ড যদি লেট করো কিম্বা এক ঘন্টা – সময় তো চলে গেল না ! আর যখন সময়ের গাড়ি চলে যায়, তখন নিজের প্রতিই হতাশ হয়ে যায় আর তখন অপ্রসন্নতার সংস্কার ইমার্জ হয়ে যায় যে – আমার ভাগ্যই এই রকম, ড্রামাতে আমার পার্ট এই রকম। আগেও বলেছি যে – নিজের প্রতি অপ্রসন্ন থাকার কারণ হল মুখ্যতঃ দুটি – হতাশ হওয়া আর দ্বিতীয় কারণ হল – অন্যদের বিশেষত্বকে বা ভাগ্যকে বা পার্টকে দেখে ঈর্ষা উৎপন্ন হওয়া। সাহস কম থাকে, ঈর্ষা বেশী থাকে। হতাশ মানুষ কখনোই প্রসন্ন থাকতে পারে না আর যে ঈর্ষা করে সেও কখনো প্রসন্ন থাকতে পারে না। কেননা দুটি দিক থেকেই এই ধরনের আত্মাদের ইচ্ছা কখনোই পূর্ণ হতে পারে না। আর ইচ্ছা – কখনোই আচ্ছা অর্থাৎ ‘ভালো হতে’ দেয় না। সেইজন্য তারা প্রসন্ন থাকে না। প্রসন্ন থাকার জন্য সদা একটি কথাকে বুদ্ধিকে রাখো যে, ড্রামার নিয়ম অনুসারে সঙ্গমযুগে প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মার কোনো না কোনো বিশেষত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। তা সে মালার লাস্ট ১৬,০০০ তম দানাটিই হোক না কেন – তার অবশ্যই কোনো না কোনো বিশেষত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। তার মধ্যেও আরো এগিয়ে এসো – নয় লাখ এর বিষয়ে যে প্রসিদ্ধি আছে, তার মধ্যেও কোনো না কোনো বিশেষত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। নিজের বিশেষত্বকে আগে চেনো। এখন তো নয় লাখ পর্যন্তই পৌঁছাতে পারোনি। সুতরাং ব্রাহ্মণ জন্মের ভাগ্যের বিশেষত্বকে চেনো। তাকে চেনো আর কাজে লাগাও। কেবলমাত্র অন্যের বিশেষত্বকে দেখে হতাশাগ্রস্ত হওয়া বা ঈর্ষান্বিত হয়ো না। বরং নিজের বিশেষত্বকে কাজে লাগালে একটি বিশেষত্ব আরও অনেক অনেক বিশেষত্বের জন্ম দেবে। এক এর পরে একটি বিন্দু (শূন্য) লাগতে থাকবে, তাহলে কত হয়ে যাবে ? এক এর পিছনে একটি শূন্য বসালে ১০ হয়ে যায়, আরও দুটো শূন্য হলে তখন ২০০ হয়ে যায় । তৃতীয় শূন্যটি বসালে… এই হিসাব তো করতে পারো তোমরা তাই না ? কাজে লাগানো অর্থাৎ বাড়ানো। অন্যকে দেখো না। নিজের বিশেষত্বকে কাজে লাগাও। যেমন দেখো, বাপদাদা সদা ‘ভোলী-ভান্ডারী’র (ভোলী দাদী) উদাহরণ দেন। মহারথীদের নাম তো কখনো সখনো আসে, কিন্তু এনার নাম তো আসবেই। যে বিশেষত্ব ওনার ছিল তাকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন। হয়ত কেবল ভান্ডারাকেই সামলিয়েছেন, কিন্তু বিশেষত্বকে কাজে লাগানোর ফলে বিশেষ আত্মা রূপে উদাহরণ স্বরূপ হয়ে গেছেন। সবাই মধুবনের বর্ণনা করার সময় দাদীদের কথা তো বলবেনই, তার সাথে সাথে ‘ভোলী’ দাদীর কথাও তারা অবশ্যই বলে থাকেন। ভাষণ হয়ত তিনি করেন না, কিন্তু বিশেষত্ব গুলিকে কাজে লাগানোর ফলে নিজেও বিশেষ হয়ে গেছেন। অন্যরাও তখন বিশেষ নজরে দেখেন। সুতরাং প্রসন্ন থাকার জন্য কী করবে ? – বিশেষত্ব গুলিকে কাজে লাগাও। তাহলে বৃদ্ধি হতে থাকবে আর যখন সব বিশেষত্ব গুলি এসে যাবে তখন সম্পন্ন হয়ে যাবে আর প্রসন্নতার আধার হল – ‘সম্পন্নতা’। যে নিজের প্রতি প্রসন্ন থাকে সে অন্যদের প্রতিও প্রসন্ন থাকবে, সেবার প্রতিও প্রসন্ন থাকবে। যে সেবাই প্রাপ্ত হবে তাতে অন্যদেরকেও প্রসন্ন করে সেবাতে অনেক বেশী নম্বর নিয়ে নেবে। সবথেকে বড়র চেয়েও বড় সেবা তোমাদেরকে প্রসন্ন মূর্তি করে তুলবে। তাহলে শুনলে, কী চার্ট দেখলে ? আচ্ছা !
টিচারদের সামনে বসার ভাগ্য প্রাপ্ত হয়েছে। কেননা তারা পান্ডা হয়ে আসে, তাই অনেক পরিশ্রম করে। একজনকে সুখধামে ডাকতে হচ্ছে তো আরেকজনকে বিশাল ভবনে, ভালোই এক্সারসাইজ হয়ে যাচ্ছে। সেন্টারে তো এত হাটাচলা হয় না। শুরুর সময়ে যখন সেবা আরম্ভ হল তখন তোমরা সব জায়গায় হেটেই তো যেতে, তাই না ? তোমাদের বড় দাদীরাও পায়ে হেটেই যেতেন। জিনিসপত্রের থলে হাতে নিতন আর হাটেই চলে যেতন। আজকাল তো তোমরা সবাই তৈরী হওয়া সব পাচ্ছো। নিজেদের বাড়ি হয়ে গেছে এখন। আগে তো যমুনাঘাটে ছিল। একটাই রুমে রাতে ঘুমানো, দিনে সেটাতেই সেবা হত। কিন্তু সানন্দে যে ত্যাগ করা হয় তারই ভাগ্যের ফল তোমরা এখন খাচ্ছো। তোমরা ফল খাওয়ার সময়ে এসেছো। বপন করেছিলেন তারা, খাচ্ছো এখন তোমরা। ফল খাওয়া তো খুব সহজ হয়ে থাকে, তাই না ? এখন এই রূপ ফল স্বরূপ কোয়ালিটি বের করো। বুঝতে পেরেছো ? কোয়ান্টিটি (সংখ্যা) তো আছেই, সেটা আরও চাই। নয় লাখ পর্যন্ত যেতে হলে কোয়ান্টিটি আর কোয়ালিটি – দুটোই প্রয়োজন। কিন্তু ১৬ হাজারের পাক্কা মালা তো তৈরী করো। এখন কোয়ালিটির সেবার উপরে বিশেষ আন্ডারলাইন করো।
প্রত্যেক গ্রুপে টিচারর্সও আসে, কুমারীরাও আসে। কিন্তু তার থেকে স্থায়ী কেউ বেরিয়ে আসে না। মধুবন ভালো লাগে, বাবার প্রতি ভালোবাসাও আছে। কিন্তু সমর্পণ হওয়ার প্রশ্ন এলে ভাবতে থাকে। যে নিজে থেকে অফার করে, সে নির্বিঘ্ন ভাবে চলে আর যে বলার পরে তখন চলে, সে থামে আর চলে। তখন সে বারেবারে বলতে থাকবে – আমি তো আগেই বলেছিলাম যে যে আমি স্যারেন্ডার হতে চাই না। কেউ কেউ ভাবে – এর চেয়ে তো বাইরে থেকে গিয়ে সেবা করাই ভালো। কিন্তু বাইরে থেকে গিয়ে সেবা করা আর ত্যাগ করে সেবা করা দুয়ের মধ্যে পার্থক্য অবশ্যই রয়েছে। যে সমর্পণের মহত্ত্বকে জানে সে সর্বদা নিজেকে অনেক বিষয় থেকে সরিয়ে নিয়ে অনায়াসে চলে এসেছে, অনেক পরিশ্রম থেকে মুক্ত হয়ে গেছে । তো টিচারর্স নিজের মহত্ত্বকে ভালো ভাবে জানো তো তাই না ? চাকরি আর সেবা – দুটো কাজ করাটা ভালো নাকি একটা কাজ করা ভালো ? তাদেরকে তাও তো ডবল পার্ট প্লে করতে হয় । হয়ত তারা নির্বন্ধন, তবুও তো ডবল পার্ট না ? তোমাদের তো একটাই পার্ট। প্রবৃত্তিতে যারা রয়েছে তাদেরকে তিনটি পার্ট প্লে করতে হয় – একটি হল পড়াশোনার, দুই হল সেবার, তিন হল সেবার সাথে সাথে প্রবৃত্তিকে প্রতিপালন করা। তোমরা তো এই সব কিছুর থেকে মুক্ত হয়ে গেলে। আচ্ছা।
সর্ব সদা প্রসন্নতার বিশেষত্ব সম্পন্ন শ্রেষ্ঠ আত্মারা, সদা নিজের বিশেষত্বকে অবগত হয়ে তাকে কাজে লাগাতে পারা সেন্সিবল আর এসেন্সফুল আত্মাদেরকে, সদা প্রসন্ন থাকতে পারা, প্রসন্ন করবার শ্রেষ্ঠত্ব সম্পন্ন মহান আত্মাদেরকে বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।
আগরা – রাজস্থান : – সদা নিজেকে অকাল সিংহাসনাসীন শ্রেষ্ঠ আত্মা মনে করো ? আত্মা হল অকাল, তাই তার সিংহাসনও অকাল সিংহাসন হয়ে গেল না ? এই সিংহাসনে বসে আত্মা কতই না কার্য করে ! “আমি হলাম সিংহাসনাসীন আত্মা” – এই স্মৃতির দ্বারা স্বরাজ্যের স্মৃতি স্বভাবতই চলে আসে। রাজাও যখন সিংহাসনে বসে, তখন রাজত্বের নেশা, রাজত্বের খুশী স্বতঃই হতে থাকে। সিংহাসনাসীন মানেই স্বরাজ্য অধিকারী রাজা আমি – এই স্মৃতিতে সকল কর্মেন্দ্রিয় স্বতঃই অর্ডারে চলবে। যে অকাল-সিংহাসন মনে করে চলে, তার কাছে বাবারও হৃদয়-সিংহাসন রয়েছে। কেননা আত্মা মনে করলে বাবা-ই স্মরণে আসে। তখন না দেহ থাকে, না দেহের সম্বন্ধ থাকে, না পদার্থ থাকে, এক বাবা’ই হল সংসার। সেইজন্য অকাল-সিংহাসনাসীন বাবার হৃদয়-সিংহাসনাসীনও হয়ে যায় । বাবার হৃদয়ে এইরূপ বাচ্চারাই থাকে, যাদের কাছে ‘এক বাবা দ্বিতীয় নয় কেউ’।সুতরাং তাহলে ডবল সিংহাসন হয়ে গেল। হারানিধি বাচ্চা যারা হয়, প্রিয় হয় যারা, তাদেরকে সদা ক্রোড়ে বসানো হয়, উপরে বসানো হয়, নীচে নয়। তাই বাবাও বলেন সিংহাসনে বসো, নীচে এসো না। যার সিংহাসন লাভ হয়, সে কী কখনো অন্য জায়গায় বসবে ? তো অকাল সিংহাসন বা সিংহাসনকে ভুলে দেহের ধরনীতে, মাটিতে এসো না। দেহকে তোমরা মাটি বলে থাকো, তাই না ? মাটি, মাটিতে মিশে যাবে – এই রকমই তো বলে থাকো তোমরা, তাই না ? তো দেহে আসা অর্থাৎ মাটিতে আসা। যারা রয়্যাল বাচ্চা হয়ে থাকে, তারা কখনোই মাটিতে খেলে না। পরমাত্ম-বাচ্চারা তো হল সব থেকে রয়্যাল । অতএব সিংহাসনে বসতে ভালো লাগে নাকি একটু একটু ইচ্ছা জাগে মাটিতেও দেখে নিইনা ? কোনো কোনো বাচ্চার অভ্যাস থাকে মাটি খাওয়ার বা মাটি নিয়ে খেলার। তোমরা তো এমন নও তাই না ? ৬৩ জন্ম মাটি দিয়ে খেলেছো। এখন বাবা সিংহাসনাসীন বানাচ্ছেন, তবে মাটি দিয়ে কীভাবে খেলতে পারো তোমরা ? যে মাটি দিয়ে খেলে সে তো অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তোমরাও তাই কতো ময়লা হয়ে গেছো। এখন বাবা তোমাদেরকে স্বচ্ছ বানিয়ে দিয়েছেন। সদা এই স্মৃতির দ্বারা সমর্থ হও। শক্তিশালী কখনো দুর্বল হয় না। দুর্বল হওয়া অর্থাৎ মায়ার রোগ আসা। এখন তো তোমরা সদা স্বাস্থ্যবান হয়ে গেছো। আত্মা শক্তিশালী হয়ে গেছে। শরীরের হিসাব-পত্র আলাদা ব্যাপার। কিন্তু মন শক্তিশালী হয়ে গেল না ? শরীর দুর্বল, চলৎ শক্তিহীন, সে সব তো শেষে, সে সব তো হবেই। কিন্তু আত্মা যেন পাওয়ারফুল হয়। শরীরের সাথে সাথে আত্মা যেন দুর্বল না হয়। সুতরাং সদা স্মরণে রাখবে যে, তোমরা ডবল সিংহাসনাসীন তথা ডবল মুকুটধারী হতে চলেছো। আচ্ছা !
সকলে সন্তুষ্ট, তাই না ! সন্তুষ্ট অর্থাৎ প্রসন্ন । সদা প্রসন্ন থাকো নাকি কখনো কখনো থাকো ? কখনো অপ্রসন্ন, কখনো প্রসন্ন – এই রকম তো নও ? কখনো কোনো কথায় অপ্রসন্ন হও না তো ? আজকে এটা করে ফেলেছি, আজ এটা হয়ে গেল, কাল ওটা হয়ে গেল – এই রকম পত্র লেখো না তো ? সদা প্রসন্ন যারা থাকে, তারা রুহানী ভাইব্রেশনের দ্বারা অন্যদেরকেও প্রসন্ন করে থাকে। এমন নয় – আমি তো প্রসন্ন থাকিই। প্রসন্ন থাকলে তার শক্তি তো অবশ্যই ছড়িয়ে পড়বে। সুতরাং আরও কাউকে প্রসন্ন করতে পারো – এইরূপ নাকি নিজের মধ্যেই সীমিত থাকলেই হল মনে করছো ? অন্যদেরকেও করবে, তবেই তো আর কোনো পত্র (বাপদাদার কাছে) আসবে না। যদি অপ্রসন্নতার কোনো পত্র আসে তবে তাকেই সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হবে তো ? এই টাইম আর এই তারিখটা মনে রাখবে। হ্যাঁ। এই পত্র লেখো – আমি ও. কে. আর সবাই আমার কারণেও ও. কে.। এই দুটি লাইন লিখবে, ব্যস্। আমিও ও. কে. আর অন্যরাও আমার কারণে ও. কে.। এতো খরচ কেন করো ? এ তো কার্ডে এই দুটো লাইন ধরে যাবে। আর বারেবারেও লিখো না। নাহলে রোজ কার্ড পাঠাতে থাকবে। রোজ পাঠাতে হবে না। মাসে দুই বার, কি ১৫ দিনে একবার ও. কে. র কার্ড লিখো। আর কিছু লিখবে না। নিজের প্রসন্নতার দ্বারা অন্যদেরকেও প্রসন্ন বানাবে। আচ্ছা !
বরদানঃ-
রুহানী সেবাধারীর সেবা ছাড়া আর কোনো কিছুই মাথায় আসে না। তারা মন্সা-বাচা-কর্মণার সার্ভিসের থেকে এক সেকেন্ডও রেস্ট নেয় না। সেইজন্য বেস্ট হয়ে যায়। তারা সেবাতে সফলতা প্রাপ্ত করবার জন্য সর্বদা এই স্লোগান স্মরণে রাখে যে – অন্তর্লীন করে নিতে হবে আর পরিস্থিতির সম্মুখীন করতে হবে – এটাই হল আমাদের লক্ষ্য। তারা নিজেদের পুরানো সংস্কার গুলিকে অন্তর্লীন করে নেয় আর মোকাবিলা তাদের হল মায়ার সাথে, দৈবী পরিবারের সাথে নয়। এই রকম বাচ্চারা, যারা নলেজফুলের সাথে সাথে পাওয়ারফুলও, তাদেরকে বলা হয় রুহানী সেবাধারী।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!