04 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
3 December 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - দেহ-অভিমান তোমাদেরকে দুঃখী বানিয়ে দেয় এইজন্য দেহী-অভিমানী হও, দেহী-অভিমানী হয়ে থাকলেই পাপের বোঝা সমাপ্ত হবে”
প্রশ্নঃ --
সত্যযুগে ধনীর পদ কিসের আধারে প্রাপ্ত হয় ?
উত্তরঃ -:-
জ্ঞানের ধারণার অাধারে ধনী (সাহুকার) হয়। যে যত বেশী জ্ঞান ধন ধারণ করে আর দান করে, সে তত বেশী ধনবানের পদ প্রাপ্ত করবে, চির সম্পত্তিবান হবে। এই পড়া পড়তেও হবে আর পড়াতেও হবে। এছাড়া বিশ্ব মহারাজন হওয়ার জন্য অত্যন্ত রাজকীয় সেবা করতে হবে। সমস্ত প্রকারের দুর্বলতাগুলি পরিত্যাগ করতে হবে। সম্পূর্ণ দেহী-অভিমানী হতে হবে। অত্যন্ত ধৈর্য্য আর গম্ভীরতার সাথে বাবাকে স্মরণ করতে হবে।
গান:-
ধৈর্য ধরো হে মানব..
ওম্ শান্তি । এটা কে বলেছেন? বাবা বাচ্চাদেরকে বলেছেন, ধৈর্য ধরো। সমগ্র দুনিয়াকে বলেননি। যদিও সবাই হল তাঁর সন্তান কিন্তু সবাই তো এখানে বসে নেই। বাচ্চারাই জানে যে বরাবর এই দুঃখ ধাম পরিবর্তন হতে চলেছে । সুখধামের জন্য আমরা পড়াশোনা করছি বা শ্রীমৎ অনুসারে চলছি। বাচ্চাদেরকে ধৈর্যও দিচ্ছেন। বাস্তবে সমগ্র দুনিয়ারই গুপ্ত ভাবে ধৈর্য প্রাপ্ত হচ্ছে। তোমরা জানো যে আমরা এখন সম্মুখে শুনছি। সবাই তো সম্মুখে বসে শুনতে পাচ্ছে না। তিনি হলেন অসীম জগতের পিতা, অসীম জগতের দুঃখ হরণকারী এবং সুখ প্রদানকারী। দুঃখ হরণ করে সুখের রাস্তা বলে দেন। তোমরা যখন সুখ ভোগ করবে, তখন দুঃখের নাম থাকবে না। সুখের দুনিয়াকে সত্যযুগ আর দুঃখের দুনিয়াকে কলিযুগ বলা যায়। এটাও বাচ্চারাই জানে। সত্যযুগে সম্পূর্ণ সুখ আছে, সেটাও ষোল কলা সম্পূর্ণ। যেরকম চাঁদেরও ষোলোকলা সম্পন্ন হয়, পুনরায় কলা কম হতে হতে অমাবস্যাতে কত ছোট এক ফালি চাঁদ হয়ে থেকে যায়। প্রায় অন্ধকার হয়ে যায়। ১৬ কলা সম্পূর্ণ, তো সম্পূর্ণ সুখও হবে। কলিযুগে হলো ষোল কলা অপূর্ণ, তাই পুনরায় দুঃখও হয়ে থাকে। এই সমগ্র দুনিয়াতে মায়ার গ্রহণ লেগে যায় এই জন্য এখন বাবা বলছেন যে তোমাদের মধ্যে যে দেহ-অভিমান আছে, সর্ব প্রথমে তাকে পরিত্যাগ করো। এই দেহ অভিমান তোমাদেরকে অনেক দুঃখ দেয়। আত্ম-অভিমানী হয়ে থাকো তাহলে বাবাকেও স্মরণ করতে পারবে। দেহ-অভিমানে থাকার কারণে বাবাকে স্মরণও করতে পারবে না। এ হল অর্ধেক কল্পের দেহ-অভিমান। এই অন্তিম জন্মে দেহী-অভিমানী হয়ে থাকলে এক তো পাপের বোঝা সমাপ্ত হবে আর দ্বিতীয় হল ষোলো কলা সম্পূর্ণ সতোপ্রধান হয়ে যাবে। অনেকে দেহ অভিমানের কথাকেও বুঝতে পারে না। মানুষকে দুঃখী করে এই দেহ-অভিমান। তারপরে হলো অন্যান্য বিকার। দেহী-অভিমানী হলে এইসব বিকার নষ্ট হয়ে যাবে। না হলে ত্যাগ করা মুশকিল হয়ে যাবে। দেহ-অভিমানের অভ্যাস পাকা হয়ে যায় তাহলে নিজেকে দেহী-অভিমানী (আত্মা) মনেই করতে পারে না। এর জন্য সকল বিকারের দান দিতে হয়। সর্বপ্রথমে দেহ-অভিমানকে ত্যাগ করতে হবে। কাম, ক্রোধ ইত্যাদি সব পিছনে পিছনে আসতে থাকে। তোমাদের বাবা হলেন তিনি। দেহ-অভিমানের কারণে লৌকিক বাবাকেই বাবা মনে করে আসছে। এখন মুখ্য কথা হল যে আমরা পবিত্র কিভাবে হব। পতিত দুনিয়াতে সবাই হল পতিত ; পবিত্র কেউই হতে পারে না। এক বাবাই আছেন যিনি সবাইকে পবিত্র বানিয়ে খুশি-খুশিতে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান।
এখন বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে তো যোগের চিন্তন লেগে আছে। তোমাদেরকে জীবিত থেকেও মৃতবৎ জীবন যাপন করতে হবে। দেহ অভিমান ভেঙে ফেলা মানে মরে যাওয়া। আমরা আত্মারা বাবাকে স্মরণ করে পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাব। এই পবিত্র হওয়ার যুক্তি বাবা-ই এসে বুঝিয়েছিলেন। এখন পুনরায় বোঝাচ্ছেন। কল্প-কল্প পুনরায় বোঝাবেন। দুনিয়াতে আর কেউই এই কথা বোঝাতে পারে না। মূল কথা হলো শিবকে স্মরণ করার। সেটাও যখন এখানে এসে ব্রহ্মাকুমারীদের দ্বারা শুনবে, কেননা দাদা ঠাকুরের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। তাই বাবাও অবশ্যই চাই, যার দ্বারা প্রাপ্ত হবে। সাকার দ্বারা নির্দেশ তো নিতেই হয়। অনেক বাচ্চা আছে যারা মনে করে যে আমরা শিব বাবার সাথে যোগ লাগাবো, ব্রহ্মা বাবাকে ছেড়ে দেবো। কিন্তু শিববাবার থেকে শুনবে কিভাবে? বলে যে, ব্রহ্মা বাবার সাথে আমাদের কোনও কানেকশন নেই। আচ্ছা তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করে শিব বাবাকে স্মরণ করো। ঘরে গিয়ে বসে থাকো। কিন্তু এই যে জ্ঞান প্রাপ্ত হচ্ছে সৃষ্টির চক্রের, সেটা কি করে শুনবে? এটা না বুঝে কেবল স্মরণ কিভাবে করতে পারো? জ্ঞান তো এঁনার দ্বারাই নিতে হবে তাইনা। পুনরায় এই জ্ঞান তো আর কোথাও তো প্রাপ্ত হবে না। প্রতিদিনই নতুন নতুন কথা বাবার দ্বারাই প্রাপ্ত হয়। ব্রহ্মা বাবা আর ব্রহ্মাকুমারীদের ছাড়া কিভাবে বুঝতে পারবে। এই সব শিখতে হবে। বাবা বলেন, যারা ঘরে বসে কর্মাতীত অবস্থাকে প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ করে, তারা হতে পারে মুক্তিতে যাবে। জীবনমুক্তিতে যেতে পারবেনা। জ্ঞান ধন ধারণ করে আবার পুনরায় দান করলে তবেই ধনবান হতে পারবে। না হলে তো চির সম্পত্তিবান কিভাবে হবে। মুরলীরও আধার অবশ্যই নিতে হয়। পড়াশোনা তো করতেই হবে। এমন অনেকেই আসবে যারা শুধু মুক্তির লক্ষ্যে আসবে। তোমরা সবাই মানুষ মাত্রদের বোঝাও যে, তোমরা কেবল বাবাকে স্মরণ করো, তাহলেই সতোপ্রধান পবিত্র হয়ে যাবে। পুনরায় যখন জ্ঞান ধন নেবে তখন সত্যযুগে ধনবান হবে। না হলে তো মুক্তিতে গিয়ে পুনরায় ভক্তি মার্গের সময় এসে ভক্তি করবে। কারোরই কল্যাণ করতে পারবে না, কেননা মানুষকে দেবতা বানানোর জন্য জ্ঞান অবশ্যই চাই। জ্ঞান শুনে পুনরায় শোনাতেও হবে। প্রদর্শনীতে তাে কতইনা বুদ্ধি খাটাতে থাকে। তবুও কারোর বুদ্ধিতে বসেনা। আত্মা হল কত ছোট বিন্দু । প্রত্যেক আত্মার নিজের নিজের পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। এটা তোমরা এখন জেনে গেছ। সকল মানুষ মাত্রই হলো পাটধারী। এটাই হলো পূর্ব-নির্ধারিত খেলা। পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হতেই হবে। গাওয়া হয় যে রাম গেল… রাবণ গেল… যে কেউ যায় কিন্তু বাচ্চাদের দুঃখ হতে পারে না। তোমরা জানো যে এটা হল পূর্ব-নির্ধারিত ড্রামা, সকলের বিনাশ তো হতেই হবে। রাজা-রানী, সাধু-সন্ত সবাই মরবে পুনরায় কে বসে তাঁদের উপর মাটি দেবে। এটাতো কারোর সুনাম অর্জনের জন্য করে থাকে, এতে কোনো লাভ-ই নেই। না সেই আত্মার সুখ প্রাপ্ত হয়। মানুষ তো ভক্তি মার্গে যা কিছু করে, সেসব তো না বুঝে করে। এখন তোমাদেরকে বাবা কতইনা সেন্সিবেল (বুঝদার) বানাচ্ছেন। প্রতি মুহূর্তে এই চিত্রকে এসে দেখতে হবে। বাবা আমাদেরকে পড়িয়ে কী বানাচ্ছেন কিন্তু কারোর ভাগ্যে না থাকলে তো ধারণ করতে পারবে না। বাবা অনেক কিছু বোঝাচ্ছেন, যেগুলিকে ধারণ করতে হবে। বাবার বাচ্চা হয়েও সেবা করতে পারে না। বাবা তো হলেনই কল্যাণকারী। কয়েকজন বাচ্চা তো অনেকের আরোই অকল্যাণ করতে থাকে। এখানকার জন্য কারো মনে যদি কিছু ভাবনা উৎপন্ন হয়, বাচ্চারা ডিস-সার্ভিস করে তার ভাবনাও উড়িয়ে দেয়। এরকম-এরকম বিকর্মও করতে থাকে। ভুতের প্রবেশ তো হয়ে যায় তাই না, এইজন্য গায়ন আছে সদ্গুরুর নিন্দক কোনও পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। এক্ষেত্রে বাপ-দাদা দুজনেই এসে যায়। নিরাকারকে তো কেউ কিছু করতে পারে না। তাকে কি বলবে! এখানে তো ভক্তি মার্গে বলে দেয় ভগবানই দুঃখ দেয়… সেটাও অজ্ঞানের কারণে এইরকম মনে করতো। এখন তো বাচ্চারা জেনে গেছে যে অজ্ঞানের বশে বাবাকে কতই না তিরস্কার করে এসেছি। এরকম কেউ নেই যে তমোপ্রধানকে সতোপ্রধান বানাবে। আরোই উল্টো-পাল্টা মত দিতে থাকে যে পরমাত্মা হলেন সর্বব্যাপী। সাধারণ মানুষ কতইনা মূর্ছিত হয়ে যায়। তখন বলে যে ব্রহ্মার শরীরে পরমাত্মা কিভাবে আসতে পারেন! তাহলে কার শরীরে আসবে? কৃষ্ণের শরীরে আসবে? তাহলে তো ব্রহ্মাকুমার-কুমারী কিভাবে তৈরি হবে? তারা তো দৈবী কুমার-কুমারী হয়ে যাবে। ব্রাহ্মণ তো অবশ্যই ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাই হবে। ব্রাহ্মণদের ছাড়া তো বাবা কিছুই করতে পারেন না এইজন্য এঁনার চিত্র তো অবশ্যই দিতে হয়। এই ব্রহ্মাও হলেন ব্রাহ্মণ। প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো ভারতেই চাই। দিন-প্রতিদিন ব্রহ্মার সাক্ষাৎকার তো ঘরে বসেই অনেকেরই হতে থাকে। বৃদ্ধি হতে থাকবে। যার পার্ট থাকবে পালিয়ে যাওয়ার, তারা পালিয়ে যাবে। অনেক লোক মনে করে যে ভগবান কোনো না কোনো রূপে অবশ্যই আসবেন। সাক্ষাৎকারও পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া কেউ করাতে পারে না। শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারাই স্থাপন করে থাকেন। জ্ঞান দিয়ে থাকেন আর ব্রাহ্মণ ধর্মও রচনা করেন। ব্রাহ্মণদের ধর্ম অবশ্যই চাই। সেই ধর্ম হল উচ্চ থেকেও উচ্চতর। প্রজাপিতা ব্রহ্মাও তো অনেক উঁচুতে থাকেন তাই না। তাঁকে বলা হয় নেক্সট গড্ (পরবর্তী ভগবান)। সূক্ষ্মবতনে দ্বিতীয় কেউ থাকে না। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা হয়, ব্যাস। ব্রহ্মা পুনরায় দেবতা হয়ে যান। ৮৪ জন্মের পর পুনরায় ব্রহ্মা হয়ে যান। ব্রহ্মা সরস্বতী, তাঁরাই পুনরায় লক্ষ্মী-নারায়ণ তৈরি হন। জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বরী পুনরায় রাজ-রাজেশ্বরী হন। ব্রম্ভা থেকে বিষ্ণু, বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা কিভাবে হন – এটাই হল বড় ফার্স্ট ক্লাস পয়েন্ট। এর উপর ভালো ভাবে বোঝাতে পারো। এই জ্ঞান এক বাবার দ্বারাই প্রাপ্ত হয়। প্রদর্শনীতে ভালো করে বোঝাও যে তোমরা ব্রহ্মার প্রতি মূর্ছিত কেন হও? এত সকল ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণীরা আছেন – প্রথমে যদি কেউ ব্রাহ্মণ হয়, তবেই বিষ্ণুপুরীর মালিক দেবতা হবে। ব্রহ্মার দিন ব্রহ্মার রাত প্রখ্যাত আছে তাই না। এখন হল রাত। এইরকম-এইরকম ভাবে চিত্রের সামনে বসে অভ্যাস করো। যার সেবা করার ইচ্ছা হবে তার মনে সেবা ছাড়া অন্য কোনো বিচার আসবেই না। সেবার জন্য একদম ছুটতে থাকবে। বুদ্ধিতে জ্ঞান টপ-টপ করে পড়তে থাকবে, ভালো ভাবে ঝুলি ভরপুর থাকলে তবেই তো উছলে পরবে। সেবার জন্য একদম ছুটতে থাকবে। জ্ঞান আছে অথচ বোঝাবে না, এটা তো হতেই পারে না। তাহলে জ্ঞান কিসের জন্য নিয়েছে? নিতে হবে আবার দানও করতে হবে। দান করে না, নিজের সমান বানাতে পারে না, তাহলে সেই ব্রাহ্মণকে কি বলা হবে? থার্ড গ্রেড ব্রাহ্মণ। ফার্স্ট গ্রেড ব্রাহ্মণের ধান্দাই হলো এটা। বাবা প্রতিদিন বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। সার্ভিস আর ডিস-সার্ভিস, এটা বাচ্চাদের দ্বারাই হয়ে থাকে। যদি সার্ভিস না করতে পারে তাহলে অবশ্যই ডিস-সার্ভিস করবে। ভালো-ভালো বাচ্চারা কোথাও গেলে তো অবশ্যই সেবাই করবে। যখন জ্ঞান কমপ্লিট হয়ে যাবে তো কোনো অনন্য বাচ্চার দ্বারা ভুল হবেনা তবেই মালার দানা হতে পারবে। মুখ্য হলো ৮ দানা। পরীক্ষাও অনেক বড় এবং কঠিন হয় তাই না। বড় পরীক্ষাতে প্রায়শই অল্প জন পাশ করে কেননা গভর্মেন্টকেও পুনরায় চাকরি দিতে হয়। বাবাকেও বিশ্বের মালিক বানাতে হয়, এই জন্য অল্প কয়েকজনই পাস হয়। প্রজা তো লক্ষ্য হয়ে যায় এইজন্য বাবা জিজ্ঞাসা করেন যে মহারাজা হবে নাকি প্রজাতে ধনবান হবে? নাকি গরিব হবে? বলো কি হবে? মহারাজাদের কাছে দাস-দাসীরা তো অনেক হয়, যাদেরকে আবার যৌতুকেও অনেক কিছু দেওয়া হয়। পুরুষার্থ করে ভালো পদ পেতে হবে। এইরকম হুশিয়ার হতে হবে যে সবাই তাকে সেবার জন্য আহ্বান করবে। হাতে গোনা কয়েকজনকে আহ্বান করে। এটা তো জানো তাই না। বাকি যাদের মধ্যে লক্ষণ ঠিক নেই তাদেরকে তো কেউ কখনো আহ্বানই করে না। কিন্তু নিজে থোড়াই জানে যে আমি হলাম থার্ড ক্লাস। কেউ তো খুব ভাল সেবাধারী, যেখানে সেখানে সেবার জন্য ছুটতে থাকে। চাকরির জন্য চিন্তা না করে সেবার জন্য ছুটতে থাকে। কেউ কেউ তো আবার চাকরি না থাকা সত্ত্বেও সেবা করে না, শখ নেই। ভাগ্যে নেই অথবা গ্রহচারী বসে আছে। সেবা তো অনেক আছে। পরিশ্রমও হয়। ক্লান্তও হয়ে যায়। বোঝাতে-বোঝাতে গলা ধরে যায়। এরকম তো থার্ডক্লাস আত্মাদেরও গলা ধরে যায়। এর মানে এটা নয় যে তারা খুব ভালো সেবা করেছে। বাবা জানেন যে ভালো রাজকীয় সার্ভিস কারা কারা করতে পারে। কিন্তু অনেকের মধ্যে দূর্বলতাও অনেক থাকে। নাম-রূপে ফেঁসে যায়। পুনরায় শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে শোধরানো হয়। নাম-রূপে কখনো ফেঁসে যেও না। দেহী-অভিমানী হতে হবে। আত্মা হলো ছোট বিন্দু। বাবাও হলেন বিন্দু। নিজেকে ছোট বিন্দু মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে অনেক পরিশ্রম আছে। স্থুল রূপে তো বলে দেয় যে, শিব বাবা আমি আপনাকে অনেক স্মরণ করি কিন্তু এক্যুরেট বুদ্ধিতে স্মরণ থাকা চাই। অত্যন্ত ধৈর্য এবং গম্ভীরতার সাথে স্মরণ করতে হবে। এইরকম ভাবে খুব কমই কেউ স্মরণ করে থাকে। এতে অনেক পরিশ্রম আছে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) নিজের বুদ্ধি রূপী ঝুলি জ্ঞান রত্ন দিয়ে ভরপুর করে দান করতে হবে। এই কাজে ব্যস্ত থেকে প্রথম শ্রেণীর (ফার্স্ট ক্লাস) ব্রাহ্মণ হতে হবে।
২ ) তোমরা হলে কল্যাণকারী বাবার সন্তান এইজন্য সকলের কল্যাণ করতে হবে। কারো ভাবনাতে আঘাত করা, ভুল মতামত পেশ করা, এইরূপ অকল্যাণের কর্তব্য কখনও করো না।
বরদানঃ-
যেরকম শরীর নির্বাহ করার জন্য অনেক সাধন কাজে লাগাও এইরকম আত্মিক উন্নতির জন্যও সাধন ব্যবহার করো, এর জন্য সর্বদা অকালমূর্তি স্থিতিতে স্থিত হওয়ার অভ্যাস করো। যে নিজেকে অকালমূর্তি (আত্মা) মনে করে চলে সে অকালে মৃত্যুর থেকে, অকাল থেকে, সকল সমস্যার থেকে বেঁচে যায়। মানসিক দুশ্চিন্তা, মানসিক পরিস্থিতিগুলিকে দূর করার জন্য কেবল নিজের পুরানো শরীরের ভাবকে ভুলে যাও।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!