02 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

1 December 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - আত্ম-অভিমানী হওয়ার প্র্যাক্টিস করো, যত আত্ম-অভিমানী হবে তত বাবার প্রতি ভালোবাসা থাকবে"

প্রশ্নঃ --

দেহী-অভিমানী বাচ্চাদের মধ্যে কোন্ জ্ঞান সহজেই এসে যায় ?

উত্তরঃ -:-

নিজের থেকে বড়দের কীভাবে রিগার্ড রাখতে হয়, এই জ্ঞান দেহী-অভিমানী বাচ্চাদের মধ্যে এসে যায়। অভিমান তো একেবারে মৃত বানিয়ে দেয়। বাবাকে স্মরণই করতে পারবে না। যদি দেহী-অভিমানী হয়ে থাকো তাহলে অনেক খুশিতে থাকবে, ভালোভাবে ধারণা করতে পারবে। বিকর্মও বিনাশ হবে এবং বড়দের রিগার্ড রাখতে পারবে। যারা সৎ হৃদয়বান তারা বোঝে যে, আমরা কতক্ষণ দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করি।

গান:-

হবেন না তিনি কখনোই আমার মন থেকে দূর, আছেন যে হৃদয়েরই গভীরে…

ওম্ শান্তি । এটা কে বলেছে ? আত্মা এটা বলেছে কারণ, ড্রামা প্ল্যান অনুসারে তোমরা বাচ্চারা এখন আত্ম-অভিমানী হয়ে উঠছো। অর্ধেক কল্প দেহ-অভিমানী হয়েছো, অর্ধেক কল্প তোমরা আবার আত্ম-অভিমানী হও। এখন তোমাদের আত্ম-অভিমানী হওয়ার প্র্যাক্টিস করতে হবে। বাবা ক্ষণে ক্ষণে বলেন, বাচ্চারা অশরীরী হও, আত্ম-অভিমানী হও। তোমরা বাচ্চারা সামনে বসে আছো আর অন্যরা দূরে বসে আছে। এটা জানো যে, আমাদের আত্ম-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। কেবল বাবার শ্রীমৎ অনুসারেই চলতে হবে। এ’কে বলা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ মত। বাবার প্রতি অনেক ভালোবাসা থাকা উচিত। এখন বাবা বলছেন, দেহ সহ দেহের সমস্ত সম্বন্ধকে ত্যাগ করো। আত্ম-অভিমানী হওয়ার খুব প্র্যাক্টিস করতে হবে। শরীর তো বিনাশ হয়ে যাবে। আত্মা হলো অবিনাশী। বিনাশী শরীরকে স্মরণ করার কারণে আত্মাকে ভুলে বসে আছো। এটাও বাচ্চাদের বোঝানো হয় যে, আত্মা কী ? বলা হয় আত্মা ছোট নক্ষত্রের মতো। এই চোখ দ্বারা দেখা যায় না, দিব্য দৃষ্টি ছাড়া দেখা যেতে পারে না। মানুষ আত্মাকে দেখার অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু দেখতে পায় না। কেউ দিব্য দৃষ্টির দ্বারা দেখতে পেলেও বুঝতে পারে না যে এটা কী। বড় তো নয়। আত্মা অতি ক্ষুদ্র নক্ষত্রের মতো। ছোট বিন্দুর মতো। এ’সব কারও বুদ্ধিতে বসা খুব কঠিন কারণ অর্ধেক কল্প ধরে দেহ-অভিমানে রয়েছো। বাবা বোঝাচ্ছেন, তোমরা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো, আমরা আত্মারা ওখানের (শান্তিধাম) নিবাসী। এখানে তো শরীর ধারণ করতে হয়। এই শরীর পাঁচ তত্ত্বের দ্বারা তৈরি। যখন পিন্ড (শরীর) তৈরি হয় তখন ক্ষুদ্র আত্মা এর মধ্যে প্রবেশ করে। চেতনা আসে। আত্মাও হলো সত্য, চৈতন্য। সুতরাং পরমপিতা পরমাত্মাও হলেন সত্য, চৈতন্য। তিনি হলেন পরম আত্মা, বড় কিছু নয়। যেমন এঁনার আত্মার মধ্যে জ্ঞান রয়েছে তেমনই তোমাদের আত্মাদের মধ্যেও জ্ঞান আছে। এত ক্ষুদ্র আত্মার মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে, এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়। কিন্তু বাচ্চারা ক্ষণে ক্ষণে এ’কথা ভুলে যায়। দেহ-অভিমানে এসে যায়। এখন তোমরা আত্মারা এই শরীরের দ্বারা বিশ্বের মালিক হও, গড-গডেজ হও। বাবা তো হলেন গড ফাদার। কিন্তু ভারতে লক্ষ্মী-নারায়ণকে গড-গডেজ বলা হয় কারণ বাবা এনাদের এত উচ্চ বানান। এই নলেজের দ্বারা দেখো কী তৈরি হয়ে যায় ! যারা ভালোভাবে পড়াশোনা করে পরীক্ষায় পাশ করে, তারা ভালো উপার্জনও করে। যেমন দুনিয়াতে কেউ খুব সুন্দরী হলে অনেক পুরস্কার পায়। তাদের বলা হয় – মিস ইন্ডিয়া, মিস আমেরিকা…. ওরা শরীরের প্রতি কত পরিশ্রম করে ! সত্যযুগে তো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকে, যা আকর্ষণ করে। সতোপ্রধান প্রকৃতির দ্বারা শরীর তৈরি হয় তাই না ! তারা এত আকর্ষণ করে। লক্ষ্মী-নারায়ণ, রাধা-কৃষ্ণের চিত্র সবাইকে খুব আকর্ষণ করে। ওই চিত্রগুলোও সঠিক নয়। ওখানে তাঁরা সতোপ্রধান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকে। বাবা এইসব বোঝাচ্ছেন। দুনিয়ার লোকেরা গায়ন করে, হে পতিত-পাবন…. কিন্তু কিছুই বোঝে না। তারা নির্বোধের মতো আহ্বান করে। হে ভগবান দয়া করো, করুণা করো। কিন্তু ভগবান কী, তারা কিছুই জানে না। বাবাকে জানলে সৃষ্টিকেও জানত, এইজন্য ঋষি-মুনি আদি সবাই ‘এটাও না – ওটাও না’ বলে গেছে। এটা তো সম্পূর্ণ ঠিক, রচয়িতা এবং রচনাকে (সৃষ্টি) কেউ জানে না। যদি জানে তাহলে তো বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। এখন তোমরা জানো – লক্ষ্মী-নারায়ণকে বাবা-ই এরকম বানিয়েছিলেন। এখন তোমরা বাবার সম্মুখে বসে আছো, কিন্তু অর্ধেক কল্প ধরে দেহ-অভিমানে থাকার কারণে ততটা রিগার্ড রাখতে পারো না। আত্ম-অভিমানী হও না। দেহী-অভিমানী হলে দিনে দিনে তোমাদের রিগার্ড বৃদ্ধি পাবে। যখন সম্পূর্ণ দেহী-অভিমানী হয়ে যাবে তখন রিগার্ড রাখবে। তোমাদের অবস্থা শুধরে যাবে, খুশিও থাকবে। বাচ্চাদের মধ্যে ক্রম তো থাকেই। যেমন বাবা তোমাদেরকে যুক্তি বলে দিচ্ছেন যে কীভাবে নিজেকে আত্মা রূপে অনুভব করবে, সেইরকম তোমরাও অন্যদেরকে বলো। এখন তোমাদের ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার ঘরে ফিরতে হবে। আমরা আত্মারা এখানে এসে শরীর ধারণ করে অভিনয় করছি। এখানে আমরা কতগুলো জন্ম নিয়েছি ? সেটাও আমাদের বুদ্ধিতে আছে। দেহী অভিমানী হওয়াটাই পরিশ্রমের কাজ। প্রতি মুহূর্তে মায়া দেহের অভিমান নিয়ে আসে। এখন তোমাদেরকে মায়াকে পরাজিত করে দেহী অভিমানী হতে হবে। একান্তে বসে বিচার সাগর মন্থন করো যে আমি আসলে এক আত্মা। বাবা বলেছেন, মামেকম্ (কেবল আমাকে) স্মরণ করলে বিকর্মের বিনাশ হয়ে যাবে। এই দেহের প্রতি কোনো মোহ রেখো না। আমরা আত্মারা হলাম অবিনাশী। আমাদের বুদ্ধি ভাইদের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়। ভাইদের থেকে কি ভাই উত্তরাধিকার পায় ? কোনো আত্মাকে অথবা কোনো শরীরকে কখনোই স্মরণ করা উচিত নয়। কেবল বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। আমরা আত্মারা এখন নিজের ঘরে ফিরে যাচ্ছি, এরপর সত্য যুগে এসে রাজত্ব করব। ওখানে সবাই আত্ম অভিমানী হবে। এখানে মায়া রূপী রাবণ দেহ অভিমানী বানিয়ে দিয়েছে। এখন তোমরা আবার আত্ম অভিমানী হওয়ার পুরুষার্থ করছ। নিজের কল্যাণ করতে থাকো। এখানে ছবির সামনে এসে বসো। মিলিটারি ফিল্ডে যেভাবে প্র্যাকটিস করানো হয়। এখন তোমাদেরকে আত্ম অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করা প্র্যাকটিস করতে হবে। বাবা বলছেন, তোমরা তো আমারই সন্তান, তাই না ? দেহের অভিমান এসে যাওয়ার জন্য তোমরা মায়ার হয়ে গেছিলে। পতিত পাবন, জ্ঞানের সাগর ইত্যাদি নাম ধরে তোমরা আহ্বান করতে। বাকি সবাই এখন ভক্তির পথে আছে। ভক্তিমার্গের অনেক বিস্তার। বাবা এই মিথ্যার জগতে আসেন, তাও আবার এক সাধারণ শরীরের মধ্যে। এটাই ড্রামাতে আছে। পতিত শরীরের মধ্যেই বাবা আসেন। লক্ষ্মী নারায়নের শরীরে তো আসবেন না। ওরা তো রাজত্ব পেয়ে গেছে। তাই ওদের শরীরে আমি কিভাবে আসব ?এই সাধারণ রূপের কারণে আমাকে কেউ চিনতেই পারে না। যদিও ওরা আহ্বান করে, কিন্তু এটা বুঝতে পারে না যে তিনি কোনো না কোনো শরীরের মধ্যে তো অবশ্যই আসবেন। আমার রূপ হলো নিরাকার, বিন্দুর মতো। তাহলে নিশ্চয়ই প্রজাপিতা ব্রহ্মার শরীরেই আসব। প্রজাপিতা তো নিশ্চয়ই এখানেই থাকবে এবং পুরাতন শরীর হবে। ইনি হলেন ব্রহ্মা অর্থাৎ পুরাতন এবং এনার পাশেই বিষ্ণু অর্থাৎ নতুন দাঁড়িয়ে আছে। এই ত্রিমূর্তির ছবিতে অনেক জ্ঞান আছে। তোমরা বাচ্চারা আগে এই দেবতাদের আহ্বান করতে। শ্রী নারায়ণের কত খাতির করতে। কত আশ্চর্যের ব্যাপার, তাই না ? আমি নিজেই নারায়ণকে কত ভালবাসতাম, শ্রী নারায়ণ এসেছেন, এনাকে খাওয়ানো দাওয়ানো… এখন আন্তরিক ভাবে বুঝতে পেরেছি আমি এখন ওইরকম হচ্ছি। যিনি তৈরি হয়ে গেছিলেন, তাকে অবশ্যই সবাই খাতির করবে। অর্থাৎ আমরা নিজেই নিজের খাতির করতাম। বাবাও বলতেন যে তিনি নিজেই নিজের খাতির করতেন। তোমরা বাচ্চারা তো দেখেছ। কত আশ্চর্যের ব্যাপার, তাই না ? এগুলো অন্য কেউ বোঝাতে পারবে না। তোমরাই বোঝাতে পারবে। এগুলো সব একেবারে নতুন জ্ঞান। বাবা বলছেন, আমি পুনরায় দেবী দেবতা ধর্ম স্থাপন করছি। আদিকালে দেবী দেবতাদের রাজত্ব ছিল। মধ্যতে রাবণ রাজ্য শুরু হয়েছিল। এখন অন্তিম সময়। অন্তিমে বাবা স্বয়ং আসেন। তোমরা বাচ্চারা এখন আদি, মধ্য এবং অন্তিমকে জেনে গেছ। যে সামান্য আমি অবশিষ্ট আছে, সেই সময়ে কত কিছুই না হবে। বিনাশ তো অবশ্যই হবে। বলা হয়, মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছিল। এখন পুনরায় হবে। এগুলো এখন কেউই জানে না। কেবল বাবা হলেন পতিত পাবন। তিনি এখন এসে গেছেন। তাহলে আর কত সময় বাকি আছে ? শ্রীকৃষ্ণ তো হতেই পারেন না। তিনি সত্য যুগে একটাই জন্ম নিয়েছিলেন। তারপর তার নাম এবং রূপ কৃষ্ণের মতো ছিল না, বদলে গেছিল। শরীরের গঠন বদলে যায়। বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমরাই পূজনীয় ছিলে, এখন আবার পূজারী হয়েছো। কীভাবে ৮৪ জন্ম নিয়েছ, এটাও বাবা বুঝিয়েছেন এবং তিনি বলেন তোমরা অর্ধেক কল্প দেহ-অভিমানে থেকেছ, এখন দেহী-অভিমানী হও। তোমরা হলে আত্মা। আমি হলাম তোমাদের পিতা পরমপিতা পরমাত্মা। আমি অশরীরী এবং বাচ্চাদের বসে নিজের পরিচয় দিই। এই যে গায়ন রয়েছে – অতীন্দ্রিয় সুখের কথা গোপ-গোপীদের জিজ্ঞাসা করো, এটা অন্তিমের কথা যখন পরীক্ষার ফলাফল কাছাকাছি আসে। যে বাচ্চারা খুব সার্ভিস করে, তারা অবশ্যই সকলের প্রিয় হবে। প্রদর্শনী ইত্যাদিতেও প্রথমে তাকে মনে করে। লেখে যে, অমুককে পাঠাও। অর্থাৎ নিজেও বুঝতে পারে যে, এ আমার থেকে হুঁশিয়ার। কিন্তু অনেক দেহ-অভিমান রয়েছে। যদি আমাদের বড় ভাই অথবা বোন হয় তাহলে তাকে রিগার্ড দেওয়া উচিত। কখনো এরকম বলবে না – অমুক আমার থেকে ১০০ গুণ ভালো। কারোর রিগার্ড রাখারও জ্ঞান নেই। বাবা যা বোঝান সেই অনুসারে না চললে তাদের কী অবস্থা হবে ! দেহ-অভিমান মৃত বানিয়ে দেয়। বাবা বলেন দেহী-অভিমানী হও। ভোরে উঠে শিববাবাকে স্মরণ করো। এটাও করে না। ভালো ভালো মহারথীরা যোগে খুব কম থাকে। জ্ঞান তো ছোট বাচ্চাও বোঝাতে পারবে। কিন্তু তোতাপাখির মতো হয়ে যায়। যোগে থাকলে ধারণাও হবে এবং তখন খুশি চড়ে যায়। যোগ ছাড়া বিকর্ম বিনাশ হতে পারে না। পবিত্র কাউকে স্মরণ করা হয়, সুতরাং ওঁনার প্রতি অনেক ভালোবাসা থাকা উচিত। ক্ষণে ক্ষণে বোঝানো হয় – মন্মনাভব । অর্ধেক কল্প দেহ-অভিমানী থেকেছ, তাই দেহী-অভিমানী থাকা কঠিন মনে হয়। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কত বছর সময় লেগে যায় দেহী-অভিমানী অবস্থা তৈরি করতে। নিজেকে ক্ষুদ্র আত্মা মনে করে এবং বাবাকেও বিন্দু মনে করে স্মরণ করো, এতে পরিশ্রম রয়েছে। যারা সৎ হয় তারা অন্তরে অনুভব করে যে, আমরা কতক্ষণ স্মরণ করি। এই প্র্যাকটিস খুব কঠিন। ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত করা কি আর কম কথা ! তোমরা জানো আমরা ক্ষুদ্র আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট নিহিত রয়েছে। আত্মাই মুখ্য পার্টধারী হয়। আত্মাই সবকিছু হয়। কিন্তু দেহ-অভিমানের কারণে আত্ম-অভিমান লুপ্ত হয়ে গেছে। এটাই সবথেকে মুখ্য প্র্যাকটিস করতে হবে। এই ভারতের প্রাচীন যোগও খুব বিখ্যাত। এই গীতাই রয়েছে। কেবল তাতে নিরাকারের নাম পরিবর্তন করে দেহধারী দেবতার নাম লিখে দিয়েছে। বাবা বলেন – যারা শুরু থেকে অন্তিম পর্যন্ত প্রচুর ভক্তি করেছে, তারা’ই আগে উপরে যাবে। তোমরাও অনেক ভক্তি করেছো। সুতরাং বাচ্চারা তোমাদের কত খুশিতে থাকা উচিত যে আমরা বাবাকে পেয়েছি ! বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন, আমরা এই অধ্যয়নের দ্বারা বিশ্বের মালিক হই। সুতরাং অবশ্যই বাবার মত অনুসারে চলা উচিত। বাবা যে ডাইরেকশন দেন, যদি কিছু ভুলও হয়ে যায় তিনি ঠিক করে দেবেন। তিনি রায় দেন তাই দায়িত্বও রয়েছে। সবসময় শিববাবা স্মরণে আসবে এইজন্য এই বাবাও সর্বদা বলেন যে, তোমাদের শিববাবা শোনাচ্ছেন। আমিও শুনছি সুতরাং শিববাবা এই ডাইরেকশন দেন। আমরা তাঁর ডাইরেকশন অনুসারে চলি। তোমরাও তাঁকে স্মরণ করো। ইনিও তাঁকে স্মরণ করেন। দেহের অভিমান ত্যাগ করো। তোমরা কোনো জহুরী দাদার কাছে আসোনি। তোমরা তো শিববাবার কাছে এসেছো। তিনিই জ্ঞানের সাগর তাই না ! তোমরা এসেছো শিববাবার থেকে জ্ঞান অমৃত পান করার জন্য। এখনও জ্ঞান অমৃত পান করছো। প্রতিদিন জ্ঞান সাগর বাবা শোনান। ওঁনাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবা এমনটা বলেন না যে, ভক্তি ছেড়ে দাও। যখন জ্ঞানের আলো আসবে তখন নিজেই বুঝতে পারবে যে, এটা হলো ভক্তি এবং এটা হলো জ্ঞান। অর্ধেক কল্প তোমরা ভক্তি করেছো। কেউ তো ফিরে যায়নি। একমাত্র বাবা-ই নিয়ে যান। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবা যে রায় দেন শিববাবার শ্রীমৎ মনে করে তাতে চলতে হবে। জ্ঞান অমৃত পান করতে হবে এবং অন্যদেরও পান করাতে হবে।

২ ) সবাইকে রিগার্ড দিয়ে সার্ভিসে তৎপর থাকো। দেহ-অভিমান ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী থাকার প্র্যাকটিস করতে হবে।

বরদানঃ-

যতটা সম্ভব সার্ভিসের সম্বন্ধে বালক ভাব, নিজের পুরুষার্থের স্থিতিতে মালিক ভাব, সম্পর্ক এবং সেবা করার সময় বালক ভাব, স্মরণের যাত্রা এবং মন্থন করার সময় মালিক ভাব, সাথীদের সঙ্গে এবং সংগঠনে বালক ভাব এবং নিজের ক্ষেত্রে মালিক ভাব – এই ভারসাম্যের দ্বারা চলাই হলো যুক্তিযুক্ত উপায়ে চলা। এর দ্বারা সহজেই প্রতিটি কাজে সফলতা প্রাপ্ত হয়, স্থিতি একরকম থাকবে এবং সহজেই সবার প্রিয় হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top