30 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

November 29, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - ভোরবেলা উঠে বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে, অমৃতবেলার সময় খুবই ভালো"

প্রশ্নঃ --

আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের নিদর্শন কি হবে ?

উত্তরঃ -:-

আজ্ঞাকারী বাচ্চারা উঁচুর থেকেও উঁচু বাবার মহাবাক্যকে শিরোধার্য করবে, অর্থাৎ নিজের জীবনে ধারণ করবে । তাদের আচার আচরণ অত্যন্ত রাজকীয় হবে তারা খুবই ধৈর্য্যবৎ হবে । তাদের এই বিশ্বের মালিকানার গুপ্ত নেশা থাকবে । আজ্ঞাকারী বাচ্চারা তাদের কোনো কর্মের জন্য বাপদাদাকে অপমান হতে দেবে না । যারা ইন্সাল্ট বা অবজ্ঞাকারী বাচ্চা তারা অনেক ডিসসার্ভিস করে । আজ্ঞাকারী বাচ্চারা সদা বাবাকে অনুসরণ করে, কখনোই উল্টো কাজ করে না ।

গান:-

আকাশ সিংহাসন ত্যাগ করে নেমে এসো..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি আত্মারূপী সন্তানরা দুটো অক্ষর শুনেছে । এখন, বাচ্চারা তো এর অর্থ বুঝেই গেছে যে, বাবা এখন এখানে । বাবা বসে সঠিক কথা বোঝান, কেননা মানুষ জ্ঞানের সম্বন্ধে বা ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সম্বন্ধে প্রতিটি কথা যা বলে, তা হলো ভুল । এখন গানের শব্দ শুনেছে — আকাশ সিংহাসন ত্যাগ করো, কিন্তু এই আকাশ সিংহাসন কি, এ কেউই জানে না । পতিত – পাবনকে তো আসতেই হবে । কেউ বলে, ভগবান নেই । কেউ আবার বলে, চারিদিকে ভগবানই ভগবান । তাহলে আসবে কেন ? তোমরা বাচ্চারা এ তো জেনেছো যে, বাবা এসেছেন, এরপর এই মহিমা ইত্যাদি যা ভক্তিমার্গের, তা শুনতে আর ভালো লাগে না । পতিত পাবন এসে নিজের পরিচয় দান করে, এই রচনার আদি – মধ্য এবং অন্তের রহস্য বুঝিয়ে বলেন । বাকি, দুনিয়াতে এই কথা কেউ বুঝতে পারে না । এখানেও কতো ভিন্ন মতের মানুষ আছে । তারা বলে, মানুষ পবিত্র হবে, এ তো হতে পারে না । তাই অবশ্যই যতক্ষণ না ভগবান আসছেন, ততক্ষণ কিভাবে পবিত্র হবে ? পরমাত্মা এসেই শিক্ষা প্রদান করেন, আর টেম্পটেশনও (প্রলোভন) দেন যে, এখানে প্রাপ্তি কতো বেশী । তোমরা জানো যে, বাবা বলেন — আমার হয়ে শ্রীমৎ অনুযায়ী যদি না চলো, তাহলে সাজা ভোগ করতে হবে । (লৌকিক) বাবা যখন তাঁর নিজের সন্তানের চলন ঠিক দেখেন না, তখন চড় মেরে দেন, কিন্তু এই বাবা তো চড় মারেন না । তিনি কেবল বোঝান, সন্তানরা রক্ত দিয়েও লিখে প্রতিজ্ঞা করে, তবুও হেরে যায় । মানুষ জানেই না যে, পবিত্র হলে কি পাবে । পতিত কাকে বলা হয় ? বাবা বোঝান – যারা বিকারে যায়, তারা পতিত । মানুষ মনে করে – বিকার ত্যাগ করা অসম্ভব । তোমরা বলো যে, দেবী – দেবতারা তো সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলেন । তাঁদের চিত্র দেখানো উচিত । এ তো নির্বিকারী দুনিয়া ছিলো, তাই না । পবিত্রতা যখন ছিলো, তখন ভারত কতো বিত্তবান ছিলো, শিবালয় ছিলো । মানুষ তো এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকে যে, বিকার ছাড়া দুনিয়া কিভাবে বৃদ্ধি পাবে । আরে, গভর্নমেন্ট বিরক্ত হয়ে গেছে যে, দুনিয়া যাতে আর বৃদ্ধি না পায়, তবুও প্রতি বছর কতো মানুষ বৃদ্ধি পেতে থাকে । কম হওয়া তো খুবই কঠিন । এখানে অসীম জগতের পিতা বলেন, যদি তোমরা পবিত্র হও, তাহলে আমি তোমাকে স্বর্গের মালিক বানাবো । এখানে উপার্জন অনেক বেশী । বাচ্চারা জানে যে, বরাবর মায়াজিৎ হলে আমরা জগৎজিৎ হতে পারবো । রাবণকে জয় করে আমরা রামরাজ্য পাবো । ওখানে এই বিকার থাকতে পারে না । এই বিকার তোমরা জয় করে নিয়েছো, তাই না । এই কথা খুব অতি কষ্টেই কেউ কেউ বুঝতে পারে, তারা বলে, এ ছাড়া দুনিয়া কিভাবে চলবে ! এমন কথা যারা বলবে, মনে করতে হবে যে, তারা আদি সনাতন দেবী – দেবতা ধর্মের নয় । তোমরা যেখানেই ভাষণ করো — বলবে, ভগবান উবাচঃ, ভগবান বলেন, কাম হলো মহাশত্রু, একে জয় করলে তোমরা জগৎজিৎ হতে পারবে । এ বোঝানো খুবই সহজ কিন্তু তাও ওরা বোঝে না বা যারা বোঝায় তাদের সঠিক বুদ্ধি নেই । বাবা তো বোঝান, বাচ্চারা টাকায় ৫ আনা অতি কষ্টে শিখেছে, না হলে নিজেরা সঠিক যোগী হয়নি, তাই শক্তি পায় না । স্মরণের দ্বারাই শক্তি পাওয়া যায়, বাবা সর্বশক্তিমান, তিনি তো অথরিটি, তাই না । যোগ লাগলে শক্তিও পাওয়া যাবে । যোগ তো অনেক বাচ্চাদের খুবই কম । সত্যকথাও কেউ লেখে না । স্মরণের চার্ট নোট করবে, সেও খুব মুশকিল । টিচার্সরাই চার্ট রাখে না তাহলে স্টুডেন্টস কিভাবে রাখবে । অনেক স্টুডেন্টস যোগে খুবই তীক্ষ্ণ । মুখ্য বিষয় হলো তোমাদের বাবাকে স্মরণ করতে হবে । যোগ শব্দটি হলো শাস্ত্রের । মানুষ শুনে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায় । বলতে থাকে, যোগ শেখাও । আরে, যোগ তো শেখার বিষয়ই নয় । ভোরবেলা উঠে নিজেই স্মরণ করতে হবে, এতে টিচারের কি দরকার যে বসে শেখাবে, তাই তাই স্মরণ শব্দটি হল সঠিক । যোগ শেখার কোনো ব্যাপারই নেই । এই অভ্যাস করা উচিত নয় । বাবা বলেন — নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো তাহলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে । অমৃতবেলা স্মরণ করা খুব ভালো । ভক্তিও ভোরবেলা উঠেই করা হয় । ইনিও তো বাবাকেই স্মরণ করেন । কেন তিনি স্মরণ করেন ? কেননা বাবার থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া যাবে । যদিও ভক্তিমার্গে শিবকে স্মরণ করে, কিন্তু তারা এ কথা জানে না যে, শিবের কাছ থেকে কি পাওয়া যাবে । এ কেবল বাচ্চারা, তোমরাই জানো । বাবা এখন শ্রীমৎ দেন যে, নিজের কল্যাণ করার জন্য আমাকে স্মরণ করো । এই স্মরণের দ্বারাই শক্তি প্রাপ্ত হয় । শক্তির দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হয় । জ্ঞানের দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হয় না । জ্ঞানে পদপ্রাপ্তি হবে । পতিত থেকে পবিত্র হয় স্মরণের দ্বারা । অনেক বাচ্চা এতে ফেল করে যায় । অনেক ভালো মহারথীও অতি কষ্টে ৫ আনাই স্মরণ করে । কেউ তো এক পয়সারও স্মরণ করে না, এতে বড় পরিশ্রম । বোঝানো তো খুব সহজেই শিখে যায় কিন্তু তখনই তরী পার হবে যখন স্মরণে থাকবে । তখনই জন্ম – জন্মান্তরের বিকর্ম বিনাশ হবে, তারপর তোমরা পুণ্য আত্মা হয়ে যাবে । মানুষ বাবাকে ডাকে – তুমি এসে আমাদের পতিত থেকে পবিত্র বানাও । অনেকেই তো পবিত্র হয় কিন্তু তারাই উচ্চ উত্তরাধিকার পাবে যারা খুব ভালোভাবে স্মরণে থাকতে পারবে । তোমাদের থেকে যারা বন্ধনে আবদ্ধ তারা খুব বেশী স্মরণ করে । এই স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হতে পারে । তাই যখন কেউ বলবে যে, পবিত্র থাকা অসম্ভব, তখন তার সঙ্গে কথা বলাই উচিত নয় । ভারত যখন নির্বিকারী ছিলো, তখন সতোপ্রধান ছিলো, কিন্তু বিত্তবানদের বুদ্ধিতেই এই জ্ঞান বসা মুশকিল, কেননা এই স্মরণই হলো পরিশ্রমের ।

বাবা বলেন — গৃহস্থ জীবনে থেকে সেখানেও অলিপ্ত থেকে কর্তব্য পালন করো । বাস্তবে এই নিয়ম অনেক কড়া । তোমরা জন্ম – জন্মান্তর পাপাত্মাদের দান করতে করতে পাপাত্মা হতে থেকেছো । এখন তোমরা পাপাত্মাদের অর্থ দান করতে পারো না, কিন্তু ঠাকুরদাদার উত্তরাধিকার তো দিতেই হবে, তাই বাবা বলেন প্রথমে লৌকিকের সব কামনা দূর করে তারপর সমর্পিত হও । এমনও কোটির মধ্যে কয়েকজন হয় । এ অনেক ভারী লক্ষ্য । তোমাদের বাবাকে অনুসরণ করতে হবে । নষ্টমোহ হওয়া কোনো মাসির বাড়ি যাওয়ার মতো সহজ ব্যাপার নয়, এ বড় পরিশ্রমের । বিশ্বের মালিক হওয়া, প্রাপ্তি কতো বড় । কল্প – কল্প যারা বিশ্বের মালিক হয়েছিলো, তারাই আবার হয় । এই ড্রামার রহস্যও অল্প কয়েকজনের বুদ্ধিতেই বসে । বিত্তবানরা তো খুব কমই উঠতে পারে । গরীব তো চট করেই বলে দিতে পারে যে, বাবা এই সবকিছুই তোমার, তখন এদের সেবাও করতে হবে । পবিত্র হওয়ার জন্য স্মরণও প্রয়োজন । না হলে খুব সাজা ভোগ করতে হবে । সাজা ভোগ করলে পদ কম হয়ে যাবে । সে-ই সাজা ভোগ করে, যে স্মরণ করে না । যতই জ্ঞান বুঝুক না কেন, এতে বিকর্মের বিনাশ হবে না । ধাক্কা খেয়ে (মোচরা) তারপর কিছু অল্প পদ পাওয়া — এ তো উত্তরাধিকার হলোই না । বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য বাবার আজ্ঞাকারী হওয়া উচিত । উঁচুর থেকেও উঁচু বাবার মহাবাক্য শিরোধার্য করা উচিত । কৃষ্ণের আত্মাও এইসময় উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছে । এই লক্ষ্মী – নারায়ণের অনেক জন্মের অন্তিমে আমি আবারও তাঁদের পড়িয়ে উত্তরাধিকার প্রদান করি । তোমাদের মধ্যেও প্রিন্স – প্রিন্সেস হবে, তাই না । রাজকীয় ঘরানার আচার-আচরণ অত্যন্ত ধৈর্য পূর্বক হয় । গুপ্ত নেশা থাকে । বাবা কতো সাধারণ থাকেন । তিনি জানেন, অল্প সময় বাকি আছে । আমাকে তো এসে বিশ্বের মহারাজন হতে হবে । ইনিও পতিত ছিলেন । ইনি তো বাবার রথ, তাই এখানে উঁচু আসনে (সন্দেলীতে) বসতে হয় । নাহলে বাবা কোথায় বসবেন । ইনিও তোমাদের মতো স্টুডেন্ট । ইনিও পড়েন । অনেক বাচ্চা আছে যারা বাবাকে চেনে না । বাবার সঙ্গে ধর্মরাজও আছেন । বাবা বলেন, আমার আজ্ঞা না মানলে, আমার অবজ্ঞা করলে ধর্মরাজ অনেক সাজা দেবে । ডায়রেক্ট আমার বা আমার বাচ্চাদের তোমরা অবজ্ঞা করা হবে । বাবার একটিই হারানিধি বাচ্চা আছে । তার প্রতিই তো ভালোবাসা থাকবে, তাই না । এনার অবজ্ঞা করলেও কতো সাজা ভোগ করতে হবে । কিছু বিপর্যয় আসতে দাও, তারপর দেখো কতো এখানে চলে আসে । তোমরা সবাই পালিয়ে চলে এসেছো, ইনি কোনো জাদু ইত্যাদি করেননি । জাদুকর হলেন শিব বাবা । এমন অনেকেই আছে, যাদের এইকথা মনেই হয় না যে, এনার মধ্যে শিব বাবা আসেন । শিব বাবার সামনে উল্টো কিছু করে দিলে বাবা বলবেন, এ হলো নাবালক বাচ্চা । এনার মধ্যে ডবল আছেন, তাই তো টেলিগ্রামে লেখে — বাপদাদা । এতেও বাচ্চারা বোঝে না যে বাপদাদা একত্রিত কীভাবে ? বাবা, দাদার দ্বারা উত্তরাধিকার প্রদান করেন । তোমাদের নিজেদেরই বলা উচিত — তোমরা জানো, বাপদাদা কে ? যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, তোমরা বাপদাদা কাকে বলো ? বাপদাদা একজনের নাম হতে পারে না । বাচ্চাদের তাই যুক্তি দিয়ে বোঝানো উচিত । যখন তোমরা কাউকে বোঝাও, তখন তাদের বুদ্ধিতে বসে যে, শিব বাবা দাদার দ্বারা উত্তরাধিকার প্রদান করেন । এখন বিনাশ তো হতেই হবে । তার পূর্বে তিনি রাজযোগ শেখাচ্ছেন, তাই তোমরাও শেখো । অর্ধেক কল্প তোমরা যে বাবাকে ডেকেছো, তিনিই এসেছেন তোমাদের জ্ঞান প্রদান করতে । তবুও তোমরা বলো — আমাদের সময় নেই বোঝার জন্য । তাহলে বলা হবে, তোমরা দেবী – দেবতা ধর্মের নও । তোমাদের ভাগ্যে স্বর্গ সুখ নেই । বাকি এখানে তো কোনো মাথা ঠুকতে হবে না । সন্ন্যাসীদের সামনে তাদের চরণে অবশ্যই পড়বে । এখানে এ তো হল গুপ্ত কথা, তাই না । ভবিষ্যতে খুব প্রভাব পড়বে । সেই সময় অনেক ভীড় হবে । ভীড়ে কতো মানুষের মৃত্যু হয় । প্রাইম মিনিস্টার ইত্যাদির দর্শন করতে কতো ভীড় হয়ে যায় । এখানে ইনি কতো গুপ্ত ভাবে বাচ্চাদের সঙ্গে বসে আছেন । এখানে কাকে দেখবে ? এনাকে তো জানে, ইনি জহুরি ছিলেন । শাস্ত্রেও আছে — ব্রহ্মার দ্বারা মনুষ্য সৃষ্টি কীভাবে রচিত হয়েছিলো ? বাবা বলেন – আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করে রচনা করি, এও লেখা আছে। কিন্তু পাথর বুদ্ধির যারা, তারা বুঝতে পারে না । বাবা এসে বাচ্চাদের পতিত থেকে পবিত্র বানিয়ে ট্রান্সফার করেন । বাকি কোনো নতুন রচনা তো করেনই না । এ হলো পতিতকে পবিত্র করার যুক্তি । বিরাট রূপের চিত্র অবশ্যই থাকা উচিত । চিত্র যদি বড় হয় তাহলে বোঝাতে সহজ হবে । পাথর বুদ্ধি থেকে পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধি বানানো, কোনো সহজ কথাই নয় । কেউ তো একেবারে গরম চাটুর মতো, (সম্পূর্ণ মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায়) দেখে তারপর চলেও যায় । প্রজা যদি বা হয়, তাহলেও কিছু না কিছু বুদ্ধিতে বসবে । আমরাই সেই ব্রাহ্মণ, আমরাই সেই দেবতা, ‘আমিই সেই’ এর অর্থ বাবা কতো ভালোভাবে বুঝিয়েছেন । ওরা বলে, আত্মাই পরমাত্মা । ব্যস্ । তোমরা এখানে এসে জানো, আমরা আত্মাই । আমি আত্মা প্রথমে ব্রাহ্মণ, তারপর আমরাই দেবতা, আমরাই আবার ক্ষত্রিয়… এমন হই । আমরাই কতো বর্ণের হই । আমরা ৮৪ জন্ম পরিক্রমা করি । বাকি যারা পরে আসে – তাদের মোটামোটি কতো জন্ম হবে ! তোমরা হিসাব বের করতে পারো । চিত্র খুব সুন্দর, বাবার মনপছন্দ মতো বানানো চাই । দুই – চারজন ভালো বাচ্চা থাকা উচিত, যারা এই চিত্র বানানোতে সাহায্য করবে । বাবা খরচ দেওয়ার জন্য তৈরী আছেন, তবুও হুন্ডি বাবা নিজে থেকেই ভর্তি করবেন । বাবা বলেন, মূখ্য চিত্র ট্রান্সলাইটের হওয়া উচিত । মানুষ দেখে খুশী হবে । সমস্ত প্রদর্শনী এভাবে বানানো চাই, তবুও বাচ্চাদের উপযুক্ত করানোর জন্য বাবাকে পরিশ্রম করতে হয় ।

বাবার স্মরণ হলো মূখ্য । এই স্মরণের দ্বারাই তোমরা পতিত থেকে পবিত্র সৃষ্টির মালিক হয়ে যাবে । আর অন্য কোনো উপায় নেই । তোমরা চলতে – ফিরতে বাবাকে স্মরণ করো । চক্রকেও স্মরণ করতে হবে । তোমাদের স্বভাব খুবই রাজকীয় হওয়া উচিত । চলতে – চলতে কাউকে লোভ, কাউকে আবার মোহ গ্রাস করে । কারোর আবার তার পছন্দের জিনিসের প্রতি এতো আকর্ষণ যে, তা না পেলে অসুস্থ হয়ে যাবে । এই কারণেই কোনো কিছুতে অভ্যস্ত হওয়া উচিত নয় । আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) স্ব – কল্যাণ করার জন্য বাবার আজ্ঞা পালন করতে হবে । কখনোই বাপদাদার অবজ্ঞা করা চলবে না । কোনো লোভ বা মোহের অভ্যাস করা চলবে না ।

২ ) নিজের স্বভাব খুবই রাজকীয় করতে হবে । ভোরবেলা, অমৃতবেলায় উঠে বাবাকে স্মরণ করার অভ্যাস করতে হবে ।

বরদানঃ-

নিজের প্রকৃত পজিশনে টিকে থাকা — এটাই হলো স্মরণের যাত্রা। আমি যা বা যাঁর – তাতে স্থির থাকো, এই প্রকৃত স্বরূপের নিশ্চয় আর অনেকবারের বিজয়ের স্মৃতির দ্বারা সদা নেশার স্থিতির সাগরে দুলতে থাকবে । তোমরা যখন সুখদাতার সন্তান তখন কীভাবে দুঃখের ঢেউ আসতে পারে ! সর্বশক্তিমানের সন্তান কিভাবে শক্তিহীন হতে পারে ! এমন পজিশনের অনুভবে থাকো তাহলেই তোমাদের মূর্তিতে বাবা বা শিক্ষকের চেহারা শীঘ্রই প্রত্যক্ষ হবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top