24 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

November 23, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখানে রাজ্যের জন্য ভাগ্য তৈরী করতে এসেছো, যত স্মরণে থাকবে, ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনের প্রতি মনোযোগী হবে ততই শ্রেষ্ঠ ভাগ্য তৈরী হবে"

প্রশ্নঃ --

সঙ্গম যুগে কোন্ শ্রীমৎ পালন করে ২১ জন্মের জন্য তোমরা নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাগ্য তৈরি করে থাকো ?

উত্তরঃ -:-

সঙ্গম যুগে বাবার শ্রীমত হলো – মিষ্টি বাচ্চারা নির্বিকারী হও। দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ রূপে পুরুষার্থ করো। কখনও কোনো পাপ কর্ম না করলেই ২১ জন্মের জন্য শ্রেষ্ঠ ভাগ্য তৈরী হবে।

গান:-

আমার ভাগ্য জাগ্রত করে এসেছি..

ওম শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি আত্মিক বাচ্চারা এই গান শুনেছে। এই দুই লাইন গানের অর্থ যারা বুঝতে পেরেছো তারা হাত তোলো ? এটা কে বলল – ভাগ্য জাগিয়ে এসেছি ? আত্মা বলেছে। সবার আত্মা বলছে – আমি ভাগ্য তৈরি করে এসেছি, কোন সেই ভাগ্য ? যা তৈরী করে এসেছো ! নতুন দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য ভাগ্য তৈরী করে এসেছি। নতুন দুনিয়া হচ্ছে স্বর্গ। এই পুরানো দুনিয়া হলো নরক। এ’সব কথা আত্মাই বলে থাকে। কথা বলার জন্য আত্মার অবশ্যই শরীরের প্রয়োজন পড়ে তবেই তো কথা বলবে। জীবাত্মারা বলে থাকে আমরা স্কুলে এসেছি ভাগ্য তৈরী করতে। কে পড়াচ্ছেন ? জ্ঞানের সাগর শিববাবা। মানুষকে দেবতা অথবা পতিতকে পবিত্র, নরকবাসীকে স্বর্গবাসী করে তোলেন এক বাবা। এই নরকে আগুন লাগতে চলেছে। দুনিয়াতে এমন কোনো স্কুল নেই যেখানে বাচ্চারা বলবে যে আমরা অসীম জগতের পিতার কাছে এসেছি অথবা এমনটাও কেউ বলবে না যে আমিই তোমাদের পিতা, টিচার এবং সদ্গুরু। এই ব্রহ্মাও এ’কথা বলতে পারবে না। এক শিববাবাই বলতে পারেন – আমিই সবার পিতা, টিচার এবং সদ্গুরু। তিনিই বসে পড়ান। সুতরাং বাচ্চাদের এখন ভাগ্য তৈরি করতে হবে। বাচ্চারা বলে আমরা এসেছি নতুন দুনিয়াতে রাজধানী স্থাপন করার জন্য ভাগ্য তৈরি করতে। আমরা জানি যে এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। বাবা এসে নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন। তোমরা ২১ জন্মের জন্য রাজ্য-ভাগ্য পেয়ে থাকো। তোমরা রাজত্বের জন্য ভাগ্য তৈরি করতে এসেছ। এখানে রাজযোগ শিখছো। এই গানটা তো মানুষের তৈরী করা কিন্তু এর অর্থ পরে বোঝানো হয়। যেমন বাবা সমস্ত বেদ, শাস্ত্র ইত্যাদির সার ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে থাকেন। এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়াতেই ভক্তি। সত্যযুগে ভক্তি, মন্দির ইত্যাদি নেই। তোমরা অর্ধকল্প ধরে ভক্তি করে এসেছ, এখন ভগবানকে পেয়েছো। সর্বপ্রথম ভারতেই এই দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, তারপর ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে ভাগ্যবিড়ম্বিত হয়েছে এখন পুনরায় ভাগ্য তৈরি করতে হবে। বাবা এসেছেন ভাগ্য তৈরী করতে। তিনি বাচ্চাদের বলেন আমাকে স্মরণ করো। তোমরা পাপ আত্মা হয়ে গেছো। সর্বপ্রথম শিববাবাকে ভক্তি করা হয়, আর সেটা হলো অব্যভিচারী ভক্তি। তারপর ভক্তিও ব্যভিচারী হয়ে পড়ে। সুতরাং বাচ্চাদের সর্বপ্রথম দৃঢ় বিশ্বাস হওয়া উচিত যে যাঁকে ভগবান বলা হয় তিনি স্বয়ং এসে আমাদের শিক্ষা প্রদান করেন। ওঁনার কোনো শরীর নেই, তিনি এই শরীরে (ব্রহ্মা বাবা) বসে বোঝান। যেমন তোমাদের আত্মা শরীরে এসে কথা বলে থাকে। কখনো-কখনো মানুষ শরীর ত্যাগ করার পর শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার অর্ধেক পথে নড়াচড়া করতে শুরু করে। আত্মা চলে গেলে আবার ফিরে আসে নাকি ? না, আত্মা অতি সূক্ষ্ম তাইনা ! সুতরাং কোথাও লুকিয়ে ছিল। এমনটাই বলবে যে মানুষটি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল এবং সে সম্পর্কে কেউ অবগত ছিল না। কখনো-কখনো এমন হয়। এমনকি কখনো-কখনো কেউ চিতার উপরেও জেগে ওঠে, এবং তাকে চিতা থেকে উঠিয়ে আনা হয়। তবে কি হয়েছিল ? আত্মা কোথাও লুপ্ত হয়ে ছিল তারপর নিজের জায়গায় ফিরে এলো। যখন দেহে আত্মা থাকে না, তখন এটা সম্পূর্ণ মৃতদেহ। সুতরাং আত্মাদের দেশ হলো পরমধাম। তোমরা জানো আমরা ঐ ঘরের বাসিন্দা ছিলাম। প্রথমে আমরা আত্মারা ঘর থেকে সত্যযুগে আসি। ভারতবাসী যারা দেবী-দেবতা ছিল, অবশ্যই তারা আসবে। বাস্তবে যে-যে ধর্ম স্থাপন হয়ে থাকে, তা শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে। বুদ্ধের ধর্ম বহাল আছে, ক্রাইস্টের ধর্মও বহাল আছে। শুধুমাত্র দেবী-দেবতা ধর্মের যারা রাজত্ব করত তাদের নামই লুপ্ত হয়ে গেছে। এমন কেউ নেই যে নিজেকে দেবী-দেবতা ধর্মের বলে থাকে।

বাবা বোঝান ভারতবাসীরা নিজেদের ধর্মকে ভুলে গেছে যে, আমাদের গৃহস্থ ধর্ম পবিত্র ছিল। সম্পূর্ণ নির্বিকারী, মহারাজা-মহারানীর রাজত্ব ছিল। তাদের বলা হয় ভগবতী লক্ষ্মী আর ভগবান নারায়ণ। বাস্তবে ভগবান একজনই, তাঁকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের মধ্যে কোনো জ্ঞান নেই। জ্ঞানের সাগর একজনই শিববাবা। তিনিই বসে তোমরা বাচ্চাদের জ্ঞান প্রদান করেন। তোমরা এখন ঈশ্বরীয় জ্ঞান অর্জন করছো, এই নলেজ সত্যযুগে ভুলে যাবে। এখন তোমরা প্রত্যকেই বুঝেছ আমাদের আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের রেকর্ড সঞ্চিত হয়ে আছে। আত্মা এখন ঈশ্বরীয় অধ্যয়ন করছে। তারপর সত্যযুগে গিয়ে নিজেদের রাজ্য ভোগ করবে। তোমরা বলবে আমরা ৮৪ চক্র ঘুরে এসেছি। এখন বাবার কাছ থেকে স্বর্গের বাদশাহী নিচ্ছি। প্রত্যেকেই এই দাদার কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করে, কিন্তু নিজ-নিজ পুরুষার্থ অনুযায়ী।

এর মধ্যে কোনো ভাগাভাগি করা যায় না। অজ্ঞানতার অন্ধকারে ভাগ বাটোয়ারা চলে তাইনা। অসীম জগতের পিতা বলেন আমি বৈকুন্ঠ স্থাপন করে থাকি। সেখানে উচ্চ পদ পাওয়া, তোমাদের পুরুষার্থের আধারেই হয়ে থাকে। যত বাবাকে স্মরণ করবে ততই বিকর্ম বিনাশ হবে। পবিত্র হবে। সোনাকেও ভাট্টিতে (অগ্নি) দেওয়া হয়, তাইনা। তার থেকে সমস্ত খাদ বেরিয়ে গিয়ে খাঁটি সোনার ডেলা বেরিয়ে আসে। এই আত্মাও খাঁটি সোনা ছিল, এখানে ভূমিকা পালন করতে এসেছে। প্রথমে গোল্ডেন এজ (স্বর্ণযুগ) তারপর আত্মার মধ্যে রূপোর খাদ পড়ে। এরপর আত্মা অপবিত্র হতে থাকে এবং ধীরে-ধীরে কলা হ্রাস পেতে থাকে। বাড়িও প্রথমে নতুন থাকে তারপর ধীরে ধীরে পুরানো হয়ে যায়। ১০০ বছর পরে বলা হবে বাড়িটা পুরানো হয়ে গেছে। ঠিক তেমনই দুনিয়াও নতুন আর পুরানো হয়। আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে নতুন ছিল, দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল – সেটা কোথায় গেল ? ৮৪ জন্ম নিতে নিতে পুরানো হয়ে গেছে। আত্মা ময়লা হয়ে গেছে, সুতরাং শরীরও ময়লা হয়ে গেছে। সুন্দর থেকে কুৎসিত হয়ে গেছে। কৃষ্ণকেও সুন্দর আর শ্যাম বর্ণের দেখানো হয়, তাইনা ! পা নরকের দিকে, আর মুখ স্বর্গের দিকে দেখানো উচিত। তোমরাও সেই কুলের। তোমাদের পা’ও নরকের দিকে আর মুখ স্বর্গের দিকে আছে।এখন তোমরা প্রথমে নির্বাণধামে যাবে তারপর স্বর্গে আসবে। কলিযুগে আগুন লেগে যাবে। মুষলধারে বৃষ্টি, আগুন, ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে। পতিত আত্মারা হিসেব নিকেশ মিটিয়ে ঘরে ফিরে যাবে। অল্প সংখ্যক আত্মারা থাকবে। পবিত্র আত্মারা আসতে থাকবে। এখন তো সব কাঁটায় ভর্তি। কাম বাসনা পরিপূর্ণ করা এটাও কাঁটাতে বিদ্ধ হওয়া। বাবা বলছেন সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে। বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার দেবো, তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে। তোমরা যখন পবিত্র ছিলে তোমাদের গৃহস্থ জীবনও পবিত্র ছিল। এখন তোমরা পতিত হয়ে গেছো সুতরাং গৃহস্থ জীবনও অপবিত্র, বিকারগ্রস্ত হয়ে গেছে। সত্যযুগে কাজকারবার, ব্যবহারেও সত্যতা থাকে। ওখানে মিথ্যা বলার প্রয়োজন পড়ে না, মিথ্যা তখনই বলার প্রয়োজন পড়ে যখন অধিক পয়সা উপার্জন করার লালসা বৃদ্ধি পায়। ওখানে অধিক পয়সা উপার্জন হয়। সবজি ইত্যাদি ফসলের কোনও মূল্য হয়না। ওখানে কোনো গরিব নেই, যে ভালোভাবে পুরুষার্থ করবে সে মহারাজা হবে। হীরা-জহরতের মহল পাবে। সম্পূর্ণ পুরুষার্থ না করলে প্রজাতে চলে যাবে। রাজা-রানী তারপর প্রিন্স-প্রিন্সেস এদের সম্পূর্ণ বংশধর হয়, তাইনা। প্রজাদের মধ্যেও নম্বরানুসারে বিত্তবান আর গরিব প্রজা হয়। ওখানে সবাই পবিত্র। রাজা-রানী, উজিরও এক। ওখানে উজিরের (পরামর্শদাতা) হয়না। রাজ্য চালানোর জন্য রাজার মধ্যে শক্তি (বুদ্ধিমত্তা) থাকে। সুতরাং বাবা যেমন ভাবে বোঝাচ্ছেন, বাচ্চাদেরও সেইভাবে বোঝানো উচিত। আমরা ভারতবাসীরা দেবী-দেবতা ছিলাম। সত্যযুগে আমাদের রাজ্য ছিল। গৃহস্থ জীবনেও আমরা পবিত্র ছিলাম, স্বর্গবাসী ছিলাম তারপর পতিত হতে-হতে নরকবাসী হয়ে গেছি এখন আবার স্বর্গবাসী হতে চলেছি। এই খেলা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। এক জন্মেই স্বর্গবাসী হতে পারবে তারপর নরকবাসী হওয়ার জন্য ৮৪ জন্ম নিতে হবে। সিঁড়ির চিত্রে পরিষ্কার করে দেখানো হয়েছে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে এসেছে যে আমরা স্বর্গে গিয়ে রাজত্ব করব। এখন বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি। বাবাই প্রকৃত অর্থে নর থেকে নারায়ণ করে তোলেন। ওরা (ভক্তি মার্গে) যারা সত্য নারায়ণের কথা শুনিয়ে থাকে তারা কখনো নর থেকে নারায়ণ হয়ে ওঠে না। সুতরাং সে’সব কথা মিথ্যা হয়ে গেল তাইনা। এখানে তোমরা বসেছো নর থেকে নারায়ণ হয়ে ওঠার জন্য, ওরা তো এমন বলবেই না যে পবিত্র হও, মামেকম্ স্মরণ করো। সত্য-নারায়ণের কথা পূর্ণিমার দিন শুনিয়ে থাকে। এই সময়কেই পূর্ণিমা বলা হয় ১৬ কলা সম্পূর্ণ চাঁদকে। যখন শেষে, চাঁদের শেষ অংশটুকু থাকে, তখন তাকে অমাবস্যা বলে। অমাবস্যা অর্থাৎ অন্ধকার রাত। সত্যযুগ ত্রেতাকে দিন, দ্বাপর কলিযুগকে রাত বলা হয়। এইসব পয়েন্টস বুঝতে হবে। এসবই শিববাবা বসে পড়ান। তিনি বাবা, টিচার এবং সদ্গুরু। ব্রহ্মার শরীরে প্রবেশ করে আত্মাদের পড়ান।

বাবা বলেন যেমন এনার আত্মা ভ্রুকুটির মাঝখানে বসে আছে, আমিও এসে এখানেই বসি। তোমাদের এখানে বসে বোঝাই। তোমরা প্রথমে পবিত্র ছিলে তারপর পতিত হয়ে গেছো। এখন আমাকে স্মরণ করো, পবিত্রতা ছাড়া ঘরে ফিরে যেতে পারবে না। পবিত্র হলে তবেই উড়তে পারবে। সবাই আহ্বান করে বলে থাকে হে পতিত-পাবন এসো, পবিত্র করে তোলো, তবেই আমরা উড়তে পারবো। নিজের ঘর মুক্তিধামে যাব। ওটাই হলো আমরা আত্মাদের ঘর। পতিত পরমধাম ঘরে যেতে পারে না। যে যথার্থ রীতিতে শিক্ষাকে ধারণ করতে পারবে সে-ই শীঘ্র স্বর্গে যেতে পারবে, নয়তো দেরী করে আসবে। নতুন বাড়িতেই তো আসা উচিত তাই না ! নতুন বাড়িতে কত মজা না ! সর্বপ্রথম সত্যযুগে আসা উচিত। মাম্মা, বাবা সত্যযুগে আসবেন, আমরা কেন দেরী করে যাব ! তোমরাও ব্রহ্মাকে ফলো করো। বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। কোনো বিষয়ে অসুবিধা হলে শিববাবাকে জিজ্ঞাসা করো। শ্রীমতের দ্বারাই শ্রেষ্ঠ হতে পারবে। সম্পূর্ণ দুনিয়া তো পাঁচ বিকার রূপী রাবণের মতে চলে আসছে। প্রথম হলো দেহ-অভিমান। এখন বাচ্চারা তোমাদের দেহী-অভিমানী হতে হবে। আমি আত্মা পরমধাম নিবাসী, যাকে শান্তিধাম বলা হয়। এমন সব বিষয় দ্বিতীয় কেউ বোঝাতে পারবে না। বাবাই বুঝিয়ে থাকেন, তোমাদের আত্মা এই অরগ্যান্স দ্বারা শোনে।

সত্যযুগে কখনও শরীর খারাপ(অসুস্থ ) হয়না। এখানে তো বসে-বসেই অকালে মৃত্যু হয়। সত্যযুগে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনা, তাকে বলাই হয়ে থাকে হেভেন, স্বর্গ, প্যারাডাইস। আমরাই চক্রাকারে পুনর্জন্ম নিতে-নিতে ৮৪ চক্র সম্পূর্ণ করেছি, তারপর বাবা এসে পুনরায় বাচ্চাদের স্বর্গের জন্য যোগ্য করে তোলেন। এখন তোমরা নতুন দুনিয়ার জন্য যোগ্য হচ্ছো। এখন তো হল নরক। এখন তোমরা এসেছো নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হওয়ার ভাগ্য তৈরী করতে। বলে থাকো আমরা শিববাবার কাছে এসেছি ভাগ্য তৈরী করতে। কল্পে-কল্পে প্রতি ৫ হাজার পর আমরা ভাগ্য করে থাকি। আমরা স্বর্গবাসী হই তারপর রাবণ রাজ্য শুরু হলে আমরা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এখন সবাই বিকারগ্রস্ত পতিত হয়ে গেছে তখনই তুমি এসে নতুন দুনিয়া স্থাপন করে থাকো। নতুন দুনিয়াতে শুধুমাত্র বাচ্চারা তোমরাই থাকবে। বাকি সব আত্মারা শান্তিধামে চলে যাবে। উপরে আত্মাদের ঝাড় থাকে। তারপর নিজ-নিজ সময় অনুযায়ী নীচে নামবে। যখন আমাদের রাজ্য হবে তখন ওখানে অন্যান্য ধর্ম থাকবে না। তারপর দ্বাপর থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হবে। এসব বিষয় যথার্থ রীতিতে ধারণ করতে হবে। এখানেই নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হতে হবে। নরকবাসী মানুষদের অসুর এবং স্বর্গবাসী মানুষদের দেবতা বলা হয়। এখন সবাই আসুরি স্বভাবের হয়ে গেছে। এখন বাবা বসে পুরুষার্থ করাচ্ছেন। বাবা বলেন পবিত্র হও। প্রতিটি বিষয় বাবাকে জিজ্ঞাসা করো। কেউ জিজ্ঞাসা করে বাবা কাজকারবার করতে গিয়ে মিথ্যা বলতে হয়, বাবা বলেন মিথ্যা বললে সামান্য পাপ তো হবে। তারপর বাবাকে স্মরণ করতে থাকলে পাপ কেটে যাবে। আজকাল দুনিয়াতে সবাই পাপ কর্ম করে চলেছে। কত ঘুষ খেয়ে থাকে। এখানে প্রদর্শনীর চিত্র ম্যাপের দ্বারা করা হয়, এমন মানচিত্র অন্য কোথাও হয়না। এই ম্যাপ যদি কেউ কপি করে তৈরিও করে থাকে, কিন্তু এর অর্থ কিছুই বুঝবে না। প্রদর্শনী বা মেলাতে অনেক মানুষ আসে। ওদের বলা হয় যদি ৭ দিন বোঝার জন্য রোজ আসো তবে তোমরা স্বর্গে যাওয়ার জন্য যোগ্য হয় উঠবে। এখন তোমরা নরকবাসী, সিঁড়ির চিত্র দেখো কত পরিষ্কার করে দেখানো হয়েছে। এখানে পতিত দুনিয়া, পবিত্র দুনিয়া উপরে দাঁড়িয়ে আছে।

এখন তোমরা বাচ্চারা শিববাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করে থাকো যে বাবা আমরা নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হওয়ার যোগ্য অবশ্যই হব। এখন তোমরা তৈরী হচ্ছ শিবালয়ে যাওয়ার জন্য, সেইজন্যই কখনোই বিকারে যেওনা। মায়ার তুফান প্রবল ভাবে আসবে কিন্তু পতিত হওয়া চলবে না। পতিত হলে বড় ভুল করা হবে তারপর ধর্মরাজের অধিক দন্ড ভোগ করতে হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য যা কিছু আসুরিক স্বভাব আছে, মিথ্যা বলার অভ্যাস আছে, তাকে ত্যাগ করতে হবে। দৈবী স্বভাব ধারণ করতে হবে।

২ ) ঘরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। মায়ার তুফান আসলেও কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো বিকর্ম হওয়া উচিত নয়।

বরদানঃ-

সম্পূর্ণ রূপে বিশ্বস্ত তাকেই বলা যায় যার সঙ্কল্প বা স্বপ্নে বাবা এবং বাবার কর্তব্য, বাবার মহিমা, বাবার জ্ঞান ছাড়া অন্য কিছুই আর দৃশ্যমান হবে না। একমাত্র বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়….বুদ্ধির একাগ্রতা (লগন) সবসময় একজনের সাথে যুক্ত হয়ে থাকলে অনেক সঙ্গের রঙ লাগতে পারে না। সেইজন্যই প্রথম প্রতিজ্ঞা হলো সব সঙ্গ ত্যাগ করে একই সঙ্গের সাথে যোগযুক্ত হয়ে থাকা – এই প্রতিজ্ঞাকে পালন করা অর্থাত্ সম্পূর্ণ রূপে বিশ্বস্ত হওয়া।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top