22 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
21 November 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমরা এখন সঙ্গমযুগে রয়েছো, এই পুরোনো কলিযুগী দুনিয়ার কোনো কিছুই তোমাদের মনে আসা উচিত নয়"
প্রশ্নঃ --
বাবা বাচ্চাদের শ্রেষ্ঠ কর্ম করার বা কর্ম সংশোধন করে নেওয়ার কোন্ বিধি বলেছেন ?
উত্তরঃ -:-
নিজের কর্মকে সংশোধন করে নেওয়ার জন্য সত্য পিতার কাছে সদা সৎ হয়ে থাকো, ভুল করেও যদি কখনও কোনো বিপরীতধর্মী(উল্টো) কর্ম হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ তা বাবাকে লিখে দাও। সততার সঙ্গে বাবাকে শোনালে তখন তার প্রভাব কম হয়ে যাবে। তা নাহলে বৃদ্ধি হতে থাকবে। বাবার কাছে সমাচার আসলে বাবা তা সংশোধন করার জন্য শ্রীমৎ দেবেন।
ওম্ শান্তি । শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করছেন যে বাচ্চারা, তোমরা এখানে সকাল থেকে বসে কি করছো? তোমরা তো স্টুডেন্টই। তাহলে অবশ্যই এখানে বসে এ’টা খেয়াল করেছো যে শিববাবা আমাদের পড়াতে এসেছেন। এই পঠন-পাঠনের মাধ্যমে আমরা সূর্যবংশীয় হবো, কারণ তোমরা রাজযোগ শিখছো। বিষ্ণুপুরীর মালিক হওয়ার জন্য, এই চিন্তায় বসেছো নাকি কারোর দায়িত্ব, বাচ্চা-কাচ্চা, কাজ-কর্ম ইত্যাদির চিন্তা আসে না তো ? বুদ্ধিতে এ’কথা থাকা উচিত যে এ হলো গীতা পাঠশালা, তোমাদের ভগবান পড়ান আর আমরা লক্ষ্মী-নারায়ণ অথবা ওনাদের আত্মীয়-স্বজনদের মতন হবো। এ হলো রাজযোগ। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকা উচিত যে আমরা বাবার থেকে সরাসরি শুনে সূর্যবংশীয় ঘরানার যোগ্য হবো। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র সম্মুখে রয়েছে, আমাদের রাজ্য হবে। দুনিয়াতে মানুষ জানে না যে স্বর্গ কাকে বলা হয়। বাচ্চারা, তোমরা বলো যে আমরা এখন বাবার থেকে স্বর্গের স্বরাজ্য বিদ্যা শিখছি। আমরাই স্বর্গের মালিক হবো। এ’কথা ভিতরে-ভিতরে স্মরণ করা উচিৎ। যেমন স্কুলে স্টুডেন্টদের বুদ্ধিতে থাকে যে আমরা ব্যারিস্টার-ইঞ্জিনীয়ার ইত্যাদি হওয়ার জন্য পড়ছি, তোমাদের এতখানি স্মরণে থাকে তো নাকি ভুলে যাও ? তোমরা হলে সর্বোচ্চ ঈশ্বরের স্টুডেন্ট। তোমাদের উচ্চ থেকেও উচ্চ দেবতায় পরিনত করার জন্য বাবা পড়াচ্ছেন, তোমরা হলে ওঁনার সন্তান। আত্মারা এই শরীরের দ্বারা নিজেদের ভবিষ্যৎ পদকে স্মরণ করে থাকে নাকি শরীরের সম্বন্ধ-সম্পর্কীয়, শরীর সম্বন্ধীয়(স্থূল) বৈভব, কাজ-কর্মকে স্মরণ করে ? এখানে যখন আসো তখন এ’কথা বোঝা উচিত যে আমাদের অসীম জগতের বাবা পড়াতে আসেন — অসীমের মালিক করে দিতে। তারপর রাজা হও বা প্রজা। মালিক তো হও, তাই না! নতুন দুনিয়া হলোই সূর্যবংশীয়রা ঘরানা। এ তো বোঝ, তাই না যে আমরা নিজেদের রাজত্ব করবো। বাবা জানেন যে বাচ্চারা বাইরে থেকে, ঘর-বাড়ী, কৃষিকার্য করে এতখানি বাবার স্মরণে থাকতে পারে না। তাই এখানে যখন আসো তখন সবকিছু চিন্তা ত্যাগ করে এসো। তোমরা এখন সেই কলিযুগীয় দুনিয়ায় থাকোই না, এখন তোমরা সঙ্গমে রয়েছো। কলিযুগকে ত্যাগ করেছো, বাইরে হলো কলিযুগ। মধুবন হলো বিশেষ, এ হলো সঙ্গম সেইজন্য মধুবনের গায়ন রয়েছে। এখান এই মুরলীকেই স্মরণ করতে হবে। যা শোনো তা রিপীট করো আর বিচার সাগর মন্থন করো। যতখানি সময় পাবে চিত্রের সন্মুখে এসে বসে যাও। এ’গুলিকে দেখো আর পড়তে থাকো। ব্রাহ্মণীরা যা নিয়ে আসে, তাদের উপর অনেক দায়িত্ব রয়েছে। অনেক চিন্তা থাকা উচিত। যেমন শিক্ষকদের চিন্তা থাকে — আমাদের স্কুল থেকে যদি কমসংখ্যক পাশ করে তবে মান-ইজ্জত নষ্ট হয়ে যাবে। যদি স্কুল থেকে অনেকেই পাশ করে তবে সেই টিচারকে ভাল মনে করা হয়। ব্রাহ্মণীদের স্টুডেন্টদের উপর ধ্যান দেওয়া উচিত। এখানে তোমরা যেমন সঙ্গমে এসেছো, যেখানে বাবা সরাসরি শোনায়। এখানের প্রভাব অত্যন্ত ভালো। এখানে যদি ঘর-বাড়ী, কাজ-কর্ম স্মরণে আসে তখন বাবা বুঝে যান এ সাধারণ প্রজা হবে। এসেছিল রাজা হতে কিন্তু…. নাহলে বাচ্চাদের অন্তরে অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত। চিত্রও তোমাদের অনেক সাহায্য করে। লোকে অষ্ট দেবতার আর গুরুদের চিত্র ঘরে রাখে, স্মরণের জন্য। কিন্তু ওদের স্মরণ করলে কিছুই প্রাপ্ত হয় না। ভক্তিমার্গে যাকিছু করে, নীচেই নেমে এসেছো। বাচ্চারা, তোমাদের উঁচুতে যাওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। ঘরে শিববাবার চিত্র রেখে দাও তাহলে প্রতিমুহূর্তে স্মরণে আসবে। কিন্তু তোমরা হনুমানকে, কৃষ্ণকে, রামকে স্মরণ করতে। এখন শিববাবা সম্মুখে বলেন যে আমায় স্মরণ করো। ত্রিমূর্তির চিত্র অত্যন্ত ভালো, এই চিত্র সদা পকেটে রেখে দাও। প্রতিমুহূর্তে দেখতে থাকো তবেই স্মরণে থাকবে। বাবা ভক্ত ছিল তাই লক্ষ্মী-নারায়ণের ফটো পকেটে রেখে দিতেন। গদির তলায় একসাথে রেখে দিতেন, তাতে কিছুই প্রাপ্ত হয়নি। এখন বাবার থেকে অনেক প্রাপ্তি হচ্ছে, ওঁনাকেই স্মরণ করতে হবে, এতে মায়া সামনা করে। জ্ঞান যদিও অনেক শোনে এবং শোনায়, এতে তীব্রবেগে যায়, কিন্তু এমন বলে না যে ৮৪-র চক্রকে ভুলে যায়। এমনও নয় যে এখানে যারা থাকে তারা বেশি স্মরণ করে। না, এখানে থেকেও অনেকে ধুলো-ছাই অর্থাৎ সাধারণ নিম্নমানের কথা স্মরণ করে। যে বাবার দ্বারা আমরা গৌরবর্ণ হয়ে যাই, তাঁকে জানেই না। অতিমাত্রায় মায়ার ছায়া পড়ে যায়। মূল কথা হলো স্মরণের। বাবা জানেন যে অত্যন্ত ভাল-ভাল বাচ্চারাও স্মরণে থাকে না। যোগে থাকলেই দেহ-অভিমান কম হবে, অত্যন্ত মিষ্টি-মধুর থাকবে। দেহ-অভিমান থাকলে মিষ্টি(স্বভাবের) হতে পারবে না, বিগড়ে(অসন্তোষ প্রকাশ করা) যেতে থাকে। বাবা সকলের উদ্দেশ্যে বলেন না। কেউ সুপুত্রও, সুপুত্র তাদের বলা হয় যারা যোগে থাকে। তারা কখনো কোনো উল্টো-পাল্টা কথা বলবে না। মিত্র-সম্বন্ধীয় সকলকে ভুলে যাবে। আমরা নগ্ন অর্থাৎ অশরীরী হয়ে এসেছিলাম, এখন অশরীরী হয়েই ঘরে যেতে হবে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে যার দ্বারা তোমরা ঘরকেও জানো, রাজধানীকেও জানো। বাচ্চারা, এও তোমরা জানো যে শিববাবা কোনো কৃষ্ণবর্ণের লিঙ্গ নয়। যেমন ওরা দেখায়, তিনি তো বিন্দু-সদৃশ। এও আমরা জানি। এখন আমরা ঘরে যাব, সেখানে আমরা অশরীরী হয়ে থাকি। এখন আমাদের অশরীরী হতে হবে। নিজেকে আত্মা মনে করে পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এ তো বোঝানো হয় যে আত্মা অবিনাশী। তাতে ৮৪ জন্মের পার্ট নির্ধারণ করা আছে, তা সমাপ্ত হয় না। অল্পসময়ের জন্য মুক্তিধামে গিয়ে পুনরায় ভূমিকা পালনে আসতে হবে। তোমরা অলরাউন্ড(সর্ব বিষয়ের) ভূমিকা পালন করো, এ’কথা সদা স্মরণে রাখা উচিত। এখন আমাদের ঘরে যেতে হবে। বাবাকে স্মরণ করলে আমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাব। এখানে কাজ-কর্ম অর্থাৎ চাকরী-ব্যবসাকে স্মরণ করতে হবে না। এখানে তোমরা পুরোপুরি সঙ্গমে রয়েছো। এখন তোমরা নৌকায় বসে রয়েছো। কেউ যদি মাঝে নেমে পড়ে তখন ফেঁসে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। এর উপরেও শাস্ত্রে একটি কাহিনী রয়েছে। এখন তোমরা জানো যে আমাদের ওই পারে যাচ্ছি, মাঝি হলেন শিববাবা। কৃষ্ণকে মাঝি বা বাগান প্রতিপালক বলা যাবে না। এ হলো শিব ভগবানুবাচ। পতিত-পাবন হলেন শিববাবা, কৃষ্ণের দিকে বুদ্ধি যেতে পারে না। মানুষের বুদ্ধি তো বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকে, বাবা এসে বিভ্রান্ত হয়ে ঘোরাঘুরি করা থেকে মুক্ত করেন। কেবল বলেন, নিজেকে আত্মা মনে করে আমায় স্মরণ করো তবেই তোমরা স্বর্গের মালিক হবে। এ’কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এখান থেকে তোমরা অত্যন্ত রিফ্রেশ হয়ে যাও। অনুভবও শোনায়, বাবা, আমরা পুনরায় তেমনই হয়ে যাই। মিত্র-সম্বন্ধীয় ইত্যাদিদের মুখ দেখতে থাকে, প্রলোভিত হয়ে পড়ে। বাচ্চারা, তোমরা হলে প্রিয়তমা। কাজ-কর্ম করেও প্রিয়তমকে স্মরণ করো তবেই উচ্চপদ লাভ করবে। যদি এখন পুরুষার্থ না করো তবে সিঙ্গেল মুকুটও পাবে না। বাচ্চারা যখন এখানে আসে তখন সময় নষ্ট করা উচিত নয়। আর তো কিছু এখানে নেই। কেবল তোমাদের স্মৃতি-স্মারক দিলবাড়া মন্দির আছে, তা তোমরা দেখতে পারো। উপরে বৈকুন্ঠ রয়েছে। তোমাদের (কল্প) বৃক্ষও ক্লিয়ার আছে। নীচে রাজযোগে বসে রয়েছো, উপরে রাজত্ব রয়েছে। হুবহ যেমন দিলওয়ারা মন্দির নির্মিত হয়েছে। তোমরা জানো যে শিববাবা পুনরায় আমাদের জ্ঞান প্রদান করে স্বর্গের মালিক বানিয়ে দিচ্ছেন। এই কলিযুগের বিনাশ হতেই হবে। এই আদি দেব, আদিনাথ কে। তোমরা সকলের অক্যুপেশন জানো, তাই না! এইসময়ের চর্চা পরে ভক্তিমার্গেও চলে। উৎসব, ব্রত সবই এইসময়ের। প্রকৃত ব্রত হলো মন্মনাভব। বাকি নির্জলা থাকা, ভোজন না করা, এ’সব কোনো ব্রত নয়। দুনিয়ায় এইসময় মায়ার ফোর্স অর্থাৎ জোর রয়েছে। পূর্বে এই বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি ছিল না, পরে বেরিয়েছে। ১০০ বছর হয়েছে, মানুষ এ’সবের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে মৃতবৎ হয়ে গেছে। তারা বলে — আমাদের জন্য এ’টাই স্বর্গ। মায়ার এতো জোর যে বাবাকে একদমই স্মরণ করে না। তারা বলে তোমরা গিয়ে দেখো — আমরা কিভাবে স্বর্গে বসে রয়েছি। এখন স্বর্গের কাছে তো এ’সব কিছুই নয়। কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক। স্বর্গের একটি বস্তুও এখানে থাকতে পারে না। ওখানে সমস্ত বস্তুই সতোপ্রধান হবে। গরুও (জীবজন্তু) ফার্স্টক্লাস হবে। তোমরাও ফার্স্টক্লাস হও তাই তোমাদের আসবাবপত্র, ভোজন-পানাদি সব ফার্স্টক্লাস হয়। সূক্ষ্মলোকে ফল-ফলাদি দেখে আসো, তাই না! নামই রাখা হয় শুবিরস। দুনিয়ার লোকেদের এও জানা নেই যে স্বর্গ কোথায়? সেখানে সবকিছু সতোপ্রধান হয়। এই ধূলো-বালি (ময়লা) ইত্যাদি ওখানে পড়ে না। দুঃখের কোনো কথাই নেই। কিন্তু বাচ্চাদের এই নেশা একদমই চড়ে না যে বাবা আমাদের স্বর্গের মালিক বানানোর জন্য এই পড়া পড়াচ্ছেন। চিত্র কত ক্লিয়ার। চিত্র তৈরী করতে সময় তো লাগে। বাবা সবকিছু সেবার্থে নির্মাণ করতেই থাকে। কিন্তু কেউ আবার নিজের কাজ-কর্মে(ধান্ধা) এমনভাবে আটকে থাকে যে বাবাকে স্মরণ করেই না। প্রদর্শনীর চিত্রগুলির ম্যাগাজিনও রয়েছে, তাও পড়া উচিত । গীতায় যা নিয়মাবলী আছে, কোথাও গেলেও গীতা অবশ্যই পড়বে। তোমরা এখন প্রকৃত গীতা চিত্র-সহ প্রাপ্ত করেছো। এখন ভালভাবে পরিশ্রম করা উচিত । নাহলে উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। যখন সাক্ষাৎকারও হবে তখন হায়-হায় করতে হবে। পরীক্ষা সমাপ্ত হলে তখন অন্য ক্লাসে নম্বরের ক্রমানুসারে গিয়ে বসে পড়ে। এখানেও যখন সাক্ষাৎকার হয়ে যাবে তখন নম্বরের অনুক্রমে রুদ্র মালায়, পরে বিজয়মালায় যাবে। স্কুলে কোনো বাচ্চা অসফল হলে তখন কত দুঃখী হয়ে পড়ে। তোমাদের হলো কল্প-কল্পান্তরের বাজী। অনেক বাচ্চারা সম্পূর্ণ ম্যাগাজিন পড়ে না। ম্যাগাজিন পড়ে বাচ্চাদের সার্ভিস করা উচিত । লেখে যে বাবা অমুককে বদল করে দাও। ভালো ব্রাহ্মণী পাঠাও। কোন-কোন ব্রাহ্মণীর সঙ্গে এত স্নেহ-প্রেম হয়ে যায়, ব্রাহ্মণী বদল হলে তাদেরও পতন ঘটে। সেন্টার আসাই ছেড়ে দেয়। কোনো উল্টো-পাল্টা কাজ হয়ে গেলে সততার সঙ্গে তৎক্ষণাৎ তা বাবাকে লিখে দেওয়া উচিত তাহলে পাপের প্রভাব কম হয়ে যাবে। নাহলে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। বাবা সংশোধনের জন্য বলেন কিন্তু কেউ সংশোধন করেই না, তাই পাপ কর্ম করাও ত্যাগ করে না। ভাগ্যে না থাকলে তখন বাবাকে সত্য সমাচার দেয় না। বাবার কাছে রিপোর্ট এলে সংশোধন করার প্রচেষ্টা করবেন। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) সম্পূর্ণরূপে অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কোনো উল্টো-পাল্টা কথা বলা উচিত নয়। অতি মিষ্টি হতে হবে। কোনো কথাতেই অসন্তুষ্ট হওয়া উচিত নয়।
২ ) মুরলীকে স্মরণ করতে হবে। যা শুনেছো তার উপর বিচারসাগর মন্থন করতে হবে। মন্মনাভব-র ব্রত রাখতে হবে।
বরদানঃ-
যে বাচ্চাদের মস্তকে আজ্ঞাকারীর স্মৃতির তিলক লাগানো থাকে, একটি সঙ্কল্পও যারা আদেশ বিনা করে না তারা ফার্স্ট প্রাইজ প্রাপ্ত করে। সীতার যেমন আজ্ঞা ছিল গন্ডীর মধ্যে বসে থাকা, তেমনভাবেই প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে, প্রতিটি সঙ্কল্প করতে বাবার আজ্ঞার গন্ডীর ভিতরে থাকো, তবেই সুরক্ষিত থাকবে। কোনো প্রকারের রাবণের সংস্কার আঘাত করবে না এবং সময়ও ব্যর্থ চলে যাবে না।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!