17 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

17 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

17 November 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের সাইলেন্সে থেকে এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে, এর মধ্যে ঘন্টা ইত্যাদি বাজানোর প্রয়োজন নেই"

প্রশ্নঃ --

কোন্ বিষয়ে বাবার সমান হলে সব কাজ সিদ্ধ (সফল) হবে ?

উত্তরঃ -:-

যেমন বাবা প্রেমের সাগর তেমনই খুব মিষ্টি হয়ে ওঠো। ক্রোধের দ্বারা কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, সমাধান হয় না সেইজন্য চোখ রাঙানো, উঁচু গলায় কথা বলা, গরম ( ক্রোধের আগুনে) হয়ে যাওয়া, এসবের দরকার নেই। শান্ত থাকা খুব ভালো। ভালোবাসার দ্বারাই অনেক কাজ সিদ্ধ হতে পারে।

গান:-

তুমিই মাতা-পিতা…

ওম্ শান্তি । এই মহিমা এক বাবার। কিন্তু ভক্তি মার্গে শুধুই একজনের মহিমা গাওয়া হলে ভক্তিকে প্রত্যক্ষ রূপে দেখানো যায় না সেইজন্য ভক্তি মার্গে অনেকের মহিমা করে থাকে। সেখানে আওয়াজও হয় খুব। ঘন্টাধ্বনি, গীত-ভজন, কান্নাকাটি-মারামারি কত কি ভক্তি মার্গে চলে। নানা রকম আওয়াজ, মন্ত্র-যন্ত্র, স্তুতি ইত্যাদি অনেক কিছুই হয় আর জ্ঞান মার্গে শুধুই সাইলেন্স। শুধুমাত্র ইশারা করা হয়, কোনো আওয়াজ নেই। ভক্তি মার্গে কত ধুমধাম হয়। সবচেয়ে বেশি ঘন্টাধ্বনি হয় শিব মন্দিরে, যে দিকেই দেখ শুধু ঘন্টা আর ঘন্টা। কারো ঘুম ভাঙানোর জন্য কোনো ঘন্টা বাজানো হয় না। শিববাবা এসেই মানুষকে কুম্ভকর্ণের অজ্ঞান নিদ্রা থেকে জাগিয়ে তোলেন, কিন্তু ঘন্টা বাজান না। সম্পূর্ণ শান্তি সহকারে দুটি শব্দে বুঝিয়ে থাকেন। যে বুদ্ধিমান হয় সে দুটি শব্দেই বুঝে নিতে পারে। বাবা বলেন বাচ্চারা – আমাকে স্মরণ করো। তোমরাই আমাকে আহ্বান করে বলেছো, হে পতিত-পাবন এসো। এখন আমি এসে তোমাদের পথ বলে দিই। এখনও কি তোমাদের পতিত হয়ে এই দুনিয়াতেই থাকতে হবে! তোমরা তো পবিত্র দুনিয়াতে থাকতে চাও না! পবিত্র দুনিয়া স্বর্গকে বলা হয়। বলেই থাকে হে পতিত-পাবন, সুতরাং বোঝা উচিত পতিত-পাবন এসে কি করবে ? নিশ্চয়ই নরক থেকে স্বর্গে নিয়ে যাবেন। না বুঝে এমনই ডাকে, হাতে তালি দিতে থাকে। কিন্তু এটা জানে না যে বাবা এসে কি করবেন ? বাস্তবে এটা হল ইউনিভার্সিটি মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার। তবেই গাওয়া হয়েছে মানুষকে দেবতা বানাতে সময় লাগে না…. এর মধ্যে শাস্ত্র ইত্যাদি কিছুই পড়তে হয় না। ভক্তি মার্গে অনেক শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে থাকে, প্রচুর লেকচার ইত্যাদি হয়। মাসে-মাসে মন্ডপ তৈরি করে সেখানে বসে আওয়াজ করতে থাকে। এখানে কতো শান্তিতে বাবা বসে বুঝিয়ে থাকেন। দেখো, তোমাদের বাবা এসে পবিত্র করে, পবিত্র দুনিয়ার মালিক করে তোলেন। পড়াশোনাও কত সহজ। তোমরা প্রথম-প্রথম পবিত্র ছিলে, গোল্ডেন এজ-এ ছিলে। তারপর ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে আয়রন এজে এসে তমোপ্রধান হয়ে গেছ। এখন তোমাদের সতোপ্রধান হতে হবে সেইজন্য আমাকে স্মরণ করো। সেটাও অজপা (মনে মনে স্মরণ)। যেমন কন্যার যখন বিবাহ হয় তখন সে কী জপ করে ? স্মরণ করে। তোমরাও সবাই পত্নী, এই শিববাবা হলেন পতিদেরও পতি। তোমাদের সম্বন্ধ হয়েছে পরমাত্মার সাথে। সম্বন্ধ যখন হয়ে গেছে স্মরণও বুদ্ধিতে বসে গেছে। নিশ্চিত হয়ে যায় যে আমার সম্বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর একে অপরকে স্মরণ করে। বাবা বলেন তোমাদেরও নিশ্চয় বুদ্ধি হয়ে গেছে যে আমরা এক বাবার সন্তান নিজেদের মধ্যে হলাম ভাই-ভাই। ভাইরা উত্তরাধিকার গ্রহণ করে – এক বাবার কাছ থেকে, সেইজন্যই আহ্বান করে থাকে। যদিও মনুষ্য শরীরে এসে ভাই-বোন হয়ে যায়। কিন্তু আহ্বান করে তো আত্মা, তাইনা। ভাই-ভাই ডেকে বলে হে পতিত-পাবন এসো। বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করলে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে পারবে। পবিত্রতাকে সতোপ্রধান, পতিতকে তমোপ্রধান বলা হয়। এইসব বিষয় বাবা সঙ্গমে এসেই বুঝিয়ে থাকেন। এ’হলো গীতা পাঠশালা। এই পাঠশালায় বাবা এসে রাজযোগ শেখান, নর থেকে নারায়ণ করে তোলেন। লৌকিকে টিচার সামনে বসে পড়ান, দেখা যায়। ইনি হলেন গুপ্ত। সুতরাং এই টিচারকে বুদ্ধিযোগ দ্বারা বুঝতে হয়। তিনি নিরাকার পতিত-পাবন পিতা। তিনিই এসে স্মৃতি দিয়ে থাকেন যে কল্প পূর্বেও আমি এসে তোমাদের রাজযোগ শিখিয়েছিলাম। তবেই বলে থাকেন মন্মনাভব, পবিত্র হও তবেই লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে পারবে। এখানে ঘন্টা ইত্যাদি বাজানোর প্রয়োজন নেই। বাবা স্বয়ং এসে জাগিয়ে তোলেন। মন্মনাভব’র অর্থ হলো সাইলেন্সে থাকা। নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করো। ব্যস্ ! এখন আমাদের নিজেদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। বাবাকেই সবাই বলে থাকে আমাদের দুঃখ থেকে মুক্ত কর। সন্ন্যাসীরা শুধুমাত্র ব্রহ্মকে স্মরণ করে। ব্রহ্ম তত্ত্ব তো হলো ঘর। ওরা ঘরকে স্মরণ করবে, এখানে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। শুধুমাত্র ঘরকে স্মরণ করলে তো সন্ন্যাসীদের মতো হবে। ব্রহ্ম তো ভগবান নয়।

বাবা বসে বোঝান – আমাকে স্মরণ করলে তোমরা নির্বাণ ধামে চলে যাবে। তারপর সেখান থেকে আসবে স্বর্গে। এখান থেকেই বাচ্চারা তোমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাব।

তোমাদের জানা আছে পঙ্গপালের ঝাঁক কত বড় হয়। সবার মধ্যেই ইউনিটি (একতা) আছে। প্রথম জন সামনে বসলে সবাই বসে পড়ে। মৌমাছিরাও এমন। রানী মৌমাছি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলে তার পিছনে সবাই দৌড়াতে থাকে। রানী মৌমাছি ঠিক যেন ওদের প্রিয়তম। ওদের মধ্যে আবার শুধুমাত্র প্রিয়তমাই হমজিন্সদের (একই পরিবার ভুক্ত) উপর রাজত্ব করে থাকে। শাস্ত্রতেও আছে আত্মারা সবাই মশার ঝাঁকের মতো ছুটবে। অগুনতি আত্মা। মৌমাছিরা প্রত্যেক সিজনে রানী মৌমাছির পিছনে ছুটতে থাকে। তোমাদের তো একবার দৌড়াতে হবে। এখন সব আত্মাদের যেতে হবে মূলবতনে। তোমরা কোনো আওয়াজ করবে না। সেইজন্যই বাবা উদাহরণ দিয়ে বোঝান – সর্ষের দানার মতো, বাবাও বিন্দু। পোস্ত দানাও ছোট হয়। পরমাত্মা বিন্দু স্বরূপ। ওঁনাকে দিব্য দৃষ্টি ছাড়া দেখা যায় না। ছোট্ট নক্ষত্রের মতো। গীতাতেও দেখানো হয়েছে অখন্ড জ্যোতির সাক্ষাৎকার হয়েছে, সুতরাং এখানেও যখন অখন্ড জ্যোতির সাক্ষাৎকার হবে তখনই বুঝবে সাক্ষাৎকার হয়েছে। যদি বিন্দুর সাক্ষাৎকার হয় তখন মনে করবে ইনি থোড়াই পরমাত্মা। গীতায় তো লেখা আছে – অর্জুনের তেজোময় জ্যোতির সাক্ষাৎকার হয়েছিল। ভক্তি মার্গের কথা বুদ্ধিতে বসে গেছে। ভক্তি মার্গ আর জ্ঞান মার্গের মধ্যে রাত-দিনের পার্থক্য। তোমরা জানো আমরা ৬৩ জন্ম শরীর দ্বারা কত ডান্স (নৃত্য, এখানে ভূমিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে) করি। ৬৩ জন্ম ভক্তি মার্গে কত রকম হাঙ্গামা দেখি। তার মধ্যেও যখন সতোপ্রধান ভক্তি ছিল তখন এক শিববাবাকেই ভক্তি করত। তারপর এই গঙ্গা স্নান ইত্যাদি পরে শুরু হয়েছে। প্রথমে অব্যভিচারী ভক্তি ছিল তারপর বৃদ্ধি (দেবতাদের পূজা শুরু হয়) পেতে থাকে। এখানে হল সম্পূর্ণ রূপে সাইলেন্স। কোনো কানা কড়ি ছাড়াই তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে ওঠো। মাম্মা বিনা কানা কড়িতেই এসেছিলেন এবং বিশ্বের মহারানী হয়েছিলেন। একদমই সাধারণ ছিলেন। সম্পূর্ণ গরিব ঘরের একজন বিনা খরচে দেখো কি হয়েছেন। মাম্মা খুব সার্ভিস করতেন। অন্যদেরও বোঝাতেন যে বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমরা সতোপ্রধান হতে পারবে। এর মধ্যে খরচের কোনো কথা নেই। যদি কেউ সামান্য খরচ করেও থাকে তবে সেটা নিজের জন্য। যেমন জমিতে দুই মুঠি অন্ন ( ধানের কথা বলা হয়েছে) ছড়িয়ে দিলে কতো অন্ন উৎপাদন হয়। অনেক ফলন হতে থাকে । এখানেও ২১ জন্মের জন্য তোমাদের কত আমদানি হয়। মানুষ থেকে দেবতা হওয়া কত সহজ। এক সেকেন্ডের ব্যপার। কত সাধারণ ভাবে বসেছ। যদি কেউ বসতে না পারে বাবা বলেন দেরিতে এসেই মুরলী শুনবে। এ’হলো ধারণার বিষয়। অন্তর্মনে বাবা আর স্বদর্শন চক্রকে স্মরণ করতে থাকো। স্মরণ করতে-করতেই শরীর ত্যাগ করতে হবে। এখানে মুখে গঙ্গা জল দেওয়ার কোনো বিষয় নেই। গুরু, গোসাইরা অনেক রকম ভয় দেখিয়ে থাকে, তোমরা এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে, ভক্তি না করলে এই হবে। মনে করো কারো পা ভেঙে গেছে বা কোনো রকম ক্ষতি হয়েছে তখন বলবে যে তুমি ভক্তি করা ছেড়ে দিয়েছ তার এই ফল পেয়েছি, সুতরাং ভয় পেয়ে যায়। এখানে তো কিছুই করতে হবে না। বাবাকে স্মরণ করার কথা মনে করিয়ে দিতে হবে, চক্রের রহস্য বুঝিয়ে দিতে হবে। কলিযুগের পরে সত্যযুগ আসবে, অবশ্যই বিনাশ হবে, সেইজন্যই এই মহামারী লড়াই অপেক্ষা করছে। ভগবান স্বয়ং এসে রাজযোগ শিখিয়ে নর থেকে নারায়ণ করে তোলেন। এটা রাজযোগ, প্রজাযোগ নয়। শুভ বোল বলা উচিত। বাচ্চাদের খুব মিষ্টি হতে হবে। বাবাও তো মিষ্টি তাইনা। ক্রোধ ইত্যাদি সব দানে গ্রহণ করেন। বাবা বলেন – আমি হলাম প্রেমের সাগর, তোমরাও হও। খুব স্নেহের সাথে বোঝাই। নয়তো বাচ্চারা অনেক হাঙ্গামা করে থাকে। কেননা মায়া মাথা খারাপ করিয়ে দেয়, সেইজন্য খেয়াল হয় যে কখনও কাউকে কিছু বলব না। স্নেহের সাথে বোঝাবো। চোখ দেখানো, অগ্নিশর্মা (ক্রোধ বশতঃ) হয়ে পড়া, জোরে কথা বলা, এ’সব করবে না, এতে কাজ বিগড়ে যায়। শান্ত থাকা ভালো। বিকারকে দান করে আবারও গ্রহণ করলে পদ প্রাপ্ত হয় না। বাবার হয়ে যাওয়া অর্থাৎ ৫ বিকারকে দান করে দেওয়া। বলাও হয়ে থাকে দান (বিকারকে) দিলে তবেই গ্রহণ থেকে মুক্তি পাবে। বাবা হলেন পান্ডা, তাইনা ! পান্ডা ব্রাহ্মণরা হয়। শিববাবাও হলেন রূহানী পান্ডা। তোমরাও পান্ডা(পথ প্রদর্শক)। বাবা ব্রহ্মা শরীরে আসেন ইনিও ব্রাহ্মণ। বাবা এনার মধ্যে বসেন, ওঁনার মহিমা করে বলেন তুমিই মাতা-পিতা ….আর কারো জন্য এই মহিমা করা হয় না। ওঁনার কর্তব্যই এমন। এটা হল পাঠশালা, যেখানে বাবা পড়ান। এটা বাচ্চাদের মনে রাখা উচিত। এইম অবজেক্টই হলো বিশ্বের বাদশাহি পাওয়া। সুতরাং এমন শিক্ষা প্রদানকারীকে সম্পূর্ণ রূপে স্মরণ করা উচিত। স্কুলে স্টুডেন্ট ভালোভাবে পাশ করলে প্রতি বছর টিচারকে উপহার পাঠিয়ে থাকে। এই উত্সব ইত্যাদি সবকিছুই এই সময়ের জন্য,কিন্তু এর মহত্ত্বকে কেউ-ই জানে না।

বাবা হলেন নলেজফুল। তিনি আসেন রচনার আদি- মধ্য আর অন্তের নলেজ দিতে। নুড়ি-পাথরের ভিতরে কীভাবে আসবেন ? এক ডাক্তার প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন প্রতিটি জিনিসের মধ্যে আত্মা আছে। পরমাত্মা আছেন বলেননি। আর এরা বলে থাকে সর্বব্যাপী। উনি বললেন সবার মধ্যেই আত্মা, সন্ন্যাসীরা বললেন সবার মধ্যেই পরমাত্মা। কত রাত-দিনের পার্থক্য । তিনি হলেন অসীম জগতের পিতা। সবার সাথে বুদ্ধিযোগ ছাড়িয়ে নিজের সাথে জুড়ে দেন। ওরা বলে আত্মা হল বুদবুদ, সাগর থেকে নির্গত হয়ে সাগরেই লীন হয়ে যাবে।

ব্রহ্ম জ্ঞানীরা মনে করে – ছোট জ্যোতি বড় জ্যোতিতে লীন হয়ে যাবে, তারপর নতুন জন্ম হবে। বাবা বোঝান এসবই ভক্তি মার্গের ড্রামায় নির্ধারিত। সুতরাং ড্রামায় নির্ধারিত অনুযায়ী বাচ্চারা তোমাদের এসে বুঝিয়ে থাকি। ৮৪ জন্মের যে চক্র ঘুরে আসো সেটাও ড্রামায় নির্ধারিত। যা কিছুই ঘটছে সবই নির্ধারিত হয়ে আছে। কেউ মহিমা করে, কেউবা বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

বাচ্চারা তোমরা শিববাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিয়ে থাকো। তিনি আসেন সব আত্মাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। শরীরের নামও নেন না। শরীর সমেত তো কাউকে নিয়ে যেতে আসিনি। আমাকে তোমরা বলে থাকো মুক্তিদাতা এসো। আমাদের দুঃখ থেকে মুক্ত করে অন্য জায়গায় নিয়ে চল। যেখানে আরাম, সুখ-শান্তি পাওয়া যাবে। সুতরাং সবার শরীর এখানেই ত্যাগ করিয়ে আত্মাদের নিয়ে যাব। কালেরও কাল আমি, তাই না ! আমি সবাইকে একসাথে নিয়ে যাব। কত চমকপ্রদ বিষয় বাবা বসে বোঝান। যেখানে কোনো কথা বুঝতে পারবে না সেখানে বলো এই বিষয়ে বাবা এখনও বোঝান নি। যখন বোঝাবেন তখন তোমাকে শোনাব। এভাবেই নিজেকে মুক্ত করা উচিত। বাচ্চারা জানে বাবা জ্ঞানের সাগর। নতুন-নতুন বিষয় শুনিয়ে থাকেন। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী শোনান রচয়িতা বাবা, যিনি আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শোনান। তোমরা একাধারে লাইট হাউস এবং স্বদর্শন চক্রধারী। কিন্তু মায়া ভুল করিয়ে দেয়। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিছু না কিছু সংশয় তৈরি হয়। কর্মের হিসেব-নিকেশ আছে না ! যতক্ষণ কর্মাতীত অবস্থা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু না কিছু হতেই থাকবে। হিসেব-নিকেশ মিটে গেলেই শরীর ত্যাগ করবে, লড়াইও শুরু হয়ে যাবে। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বিকারকে দান করে আবার ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। মুখ দিয়ে শুভ বাক্য ব্যবহার করতে হবে, অতীব মধুর হতে হবে। বাবার মতো প্রেমের সাগর হয়ে থাকতে হবে।

২ ) সাইলেন্সে থেকে কোনো কানা কড়ি খরচ না করে বিশ্বের বাদশাহী পেতে হবে। বাবার স্মরণে থেকে অল্প-স্বল্প খরচ করে ২১ জন্মের জন্য আমদানি করতে হবে।

বরদানঃ-

ফরিস্তা ভাবের জীবনে লাইট আর মাইট দুটোই স্পষ্টরূপে দেখা যায়। কিন্তু লাইট আর মাইট হওয়ার জন্য মনন করা সহন করার শক্তি প্রয়োজন। মন্সার জন্য মনন শক্তি আর বাচা, কর্মণার জন্য সহন শক্তি ধারণ করলে যে শব্দই বলবে, কর্ম করবে তার আধারেই হবে। যদি এই দুই শক্তি ধারণ করা যায় তবে পুরুষার্থের মার্গ সহজ আর স্পষ্ট হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top