10 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

10 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

9 November 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - ভারত সবার তীর্থ স্থান, সেইজন্য সব ধর্মের মানুষের কাছে ভারত তীর্থের মহিমা করো, সবাইকে বার্তা দাও"

প্রশ্নঃ --

কোন পুরুষার্থের দ্বারা তোমাদের অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনই গতি হবে ? তোমরা নিদ্রাজীত হতে পারবে ?

উত্তরঃ -:-

রাতে যখন ঘুমাতে যাও তার আগে বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো, স্বদর্শন চক্র ঘোরাও। যখন ঘুম আসবে তখন ঘুমিয়ে পড় তবেই অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যাবে । ভোরবেলায় যখনই ঘুম ভাঙে সেই পয়েন্টই স্মরণে আসতে থাকবে। এমন অভ্যাস গড়ে তুললে তোমরা নিদ্রাকে জয় করতে পারবে। যে করবে সেই পাবে। তাদের আচার-আচরণও তখন ধীরে ধীরে প্রসিদ্ধি লাভ করতে থাকবে।

গান:-

যে প্রিয়তমের সাথে আছে…

ওম্ শান্তি । যে প্রিয়তমের সাথে আছে। দুনিয়াতে লৌকিক পিতা তো অনেক আছে কিন্তু সবার রচয়িতা পিতা একজনই। তিনিই জ্ঞানের সাগর। জ্ঞানের দ্বারাই সদ্গতি প্রাপ্ত হয়। মানুষের সদ্গতি তখনই হয় যখন সত্যযুগ স্থাপন হয়। বাবাকেই সদ্গতি দাতা বলা হয়। যখন-যখন সঙ্গমের সময় হয় তখনই জ্ঞানের সাগর এসে সদ্গতি দিয়ে থাকেন। এই সময় সবাই দুর্গতিতে আছে। সবারই দুর্গতি এক রকম হয় না। সবচেয়ে প্রাচীন হলো ভারত। ভারতবাসীদের জন্যই ৮৪ জন্ম বলা হয়ে থাকে । তবে নিশ্চয়ই প্রথম-প্রথম আসা মানুষরাই ৮৪ জন্ম গ্রহণ করার যোগ্য হবে। দেবতাদের ৮৪ জন্ম সুতরাং ব্রাহ্মণদেরও ৮৪ জন্ম। প্রধান বিষয়কেই তুলে ধরা হয়। বাবা ব্রহ্মা দ্বারা নতুন সৃষ্টি রচনা করার জন্য সর্বপ্রথম সূক্ষ্ম লোক রচনা করেন তারপর নতুন সৃষ্টির স্থাপনা হয়ে থাকে। ত্রিলোকীনাথ হলেন এক বাবা। বাকি সবাই তাঁর সন্তানরা নিজেদের ত্রিলোকের নাথ বলতে পারে। এখানে তো অসংখ্য মানুষ নামও রেখেছে ত্রিলোকীনাথ। দেবতাদের ডবল নামও রাখে যেমন- গৌরীশঙ্কর, রাধেশ্যাম, রাধা কৃষ্ণ, এরা তো আলাদা-আলাদা রাজ্যের ছিল। বিচক্ষণ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে ভালো-ভালো পয়েন্টের ধারণা থাকে। যিনি বিচক্ষণ ডাক্তার হন তার বুদ্ধিতে অনেক মেডিসিনের ধারণা থাকে। এখানেও প্রতিদিন নতুন-নতুন পয়েন্টস আসে। যে ভালোভাবে অভ্যাস করবে সে নতুন-নতুন পয়েন্টস ধারণ করতে থাকবে। যে ধারণ করবে না তাকে মহারথী বলা হয় না। সবকিছুই বুদ্ধির ধারণার উপর নির্ভর করে আর ভাগ্যের ব্যাপারও আছে। এটাও ড্রামায় নির্ধারিত। ড্রামাকে কেউ জানেনা। এটা জানে যে আমরা আত্মা শরীর ধারণ করে ভূমিকা পালন করে থাকি। কিন্তু ড্রামার আদি-মধ্য-অন্ত জানা নেই অর্থাৎ কিছুই জানে না। তোমাদের তো জানা উচিত। বাচ্চাদের তো কর্তব্য অন্যদেরও বাবার পরিচয় দেওয়া। সম্পূর্ণ দুনিয়াকে বলতে হবে, কেউ-ই যেন বলতে না পারে যে আমরা তো জানতাম না। বিদেশ থেকেও অনেকেই আসবে। তাদের থাকার ব্যবস্থা হবে বম্বেতে। ওদের সামর্থ্য আছে। ওদের কাছে অনেক টাকাপয়সা আছে। শিবকে নিজেদের বড় গুরু তো মানবে না সেইজন্য বোঝানো হয় যে এই ধর্ম পিতাদেরও কিছু ভূমিকা আছে। বাচ্চারা তো শুরুতেই সাক্ষাত্কার করেছিল – এই ক্রাইস্ট, ইব্রাহিম ইত্যাদি ধর্ম পিতারা সবাই মিলিত হতে আসবে। সুতরাং ওদের জন্য ফিল্ড বানানো উচিত। সব ট্যুরিস্টরা বম্বেতে আসতে থাকে। ভারত সবাইকে আকর্ষণ করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে ভারত হলো বাবার বার্থ প্লেস। তারপর সবাই ভগবান বলে অসীম জগতের পিতার মহত্ত্ব গুম করে দিয়েছে। এখন তোমরা বুঝিয়ে থাকো যে ভারত হলো সবচাইতে বড় তীর্থস্থান। বাকি সব পয়গম্বররা আসে নিজ-নিজ ধর্ম স্থাপন করতে। ওদের পিছনে তারপর ওদের ধর্মাবলম্বীরা আসে। এখন সবকিছুর অন্তিম সময়। চেষ্টা করে, ফিরে যাওয়ার। কিন্তু ওদের জিজ্ঞাসা করো তোমাদের এখানে কে এনেছে? ক্রাইস্ট ক্রিশ্চান ধর্ম স্থাপন করেছে, সে কি তোমাদের টেনে এখানে নিয়ে এসেছে ? এখন সবাই ফিরে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সবাই আসে ভূমিকা পালন করতে। ভূমিকা পালন করতে-করতে শেষে দুঃখের মধ্যে আসতেই হবে। তারপর দুঃখ থেকে মুক্ত করে সুখের মধ্যে নিয়ে যাওয়া বাবারই কাজ। বাবার বার্থ প্লেস হল ভারত। এতো মহত্ত্বের কথা বাচ্চারা তোমরাই জানো। যারা জানে তাদের নেশা ঊর্ধগামী থাকে। কল্পে-কল্পে বাবা ভারতেই আসেন। এই বার্তা সবাইকে দিতে হবে, নিমন্ত্রণ জানাতে হবে। রচনার নলেজকে কেউ-ই জানে না। সুতরাং এমনই সার্ভিসেবল হয়ে নিজের নাম প্রসিদ্ধ করতে হবে। এই মেলা (প্রদর্শনী) সব দিকেই যাবে । সেই কারণেই যে সব বিচক্ষণ বাচ্চারা রয়েছে তাদেরকে সাহায্য করবার জন্য পাঠাতে অনুরোধ আসে। তাদেরকে পাঠানোর জন্য পীড়াপীরি করতে থাকে। এক শিববাবার নাম জপ করে দ্বিতীয় ব্রহ্মা বাবার তৃতীয় কুমারকা, গঙ্গে (দাদী), মনোহরের (বাবার সেবাধারী ভাই) ডাক পড়তে থাকে । ভক্তি মার্গে হাতে মালা ঘোরাতে থাকে। এখন মুখে নাম জপতে থাকে। অমুকে খুব সার্ভিসেবল, নিরহঙ্কারী, মধুর। দেহ-অভিমান নেই। বলা হয়ে থাকে – স্নেহ দিলেই স্নেহ পাবে। এখন বাবা বলছেন তোমরা দুঃখী হয়ে পড়েছ। তোমরা আমাকে স্মরণ করলে আমি তোমাদের সাহায্য করব। তোমরা ঘৃণা করলে এটা তো নিজেকেই ঘৃণা করা হবে, পদ পাবে না। কত অগাধ ধন প্রাপ্তি হয়।

যখন কেউ লটারি পায় তখন সে কত খুশি হয়। লটারিতেও অনেক রকমের প্রাইজ থাকে। এছাড়াও সেকেন্ড প্রাইজ, থার্ড প্রাইজও থাকে। এটাও ঈশ্বরীয় রেস। জ্ঞান আর যোগের রেস,যে তার মধ্যে দ্রুত যাবে সেই গলার হার হবে আর সিংহাসনের কাছে বসবে।

তোমরা সবাই কর্মযোগী। তোমাদের ঘরের দেখাশোনাও করতে হবে। ক্লাসে এক ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে। তারপর ঘরে গিয়ে রিভাইজ করতে হবে। স্কুলেও এমনটা করতে হয় তাইনা। স্কুলে পড়াশোনা করে তারপর ঘরে গিয়ে রিভাইজ করে থাকে। বাবা বলেন এক ঘন্টা আধা ঘণ্টা পড়াশোনা কর। দিনে ৮ ঘন্টা থাকে, সেই সময়ের মধ্যে বাবা বলেন এক ঘন্টা বা আধা ঘণ্টা পড়াশোনা কর, ১৫-২০ মিনিটের জন্য ক্লাসে বসে এটিকে আত্মস্থ করো তারপর নিজের কাজ-কারবারে লেগে পড়ো। আগে তোমাদের বাবা বসাতেন আর বলতেন বাবাকে স্মরণ করে বসো আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাও। স্মরণের জ্ঞান তো ছিল তাইনা। বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে, স্বদর্শন চক্র ঘোরাও যখন দেখবে ঘুম পাচ্ছে ঘুমিয়ে পড়ো। এর ফলে অন্তিম সময়ে যেমন মতি তেমন গতি প্রাপ্ত হবে। তারপর ভোরবেলা উঠলে সেইসব পয়েন্টসই মনে পড়বে। এভাবেই অভ্যাস করতে-করতে তোমরা নিদ্রাকে জয় করতে পারবে। যে করবে সেই পাবে। যারা করবে তাদের চালচলন, ব্যবহারে সেটা পরিলক্ষিত হবে। দেখা যাবে যে অমুক বিচার সাগর মন্থন করে,জ্ঞান ধারণ করে। কোনো লোভ নেই। এই শরীর পুরানো হয়ে গেছে, এই শরীরের প্রতিও বেশি খেয়াল রাখা উচিত নয়। এটা তখনই হবে যখন জ্ঞান আর যোগের ধারণা সম্পূর্ণ রূপে হবে। ধারণা না হলে শরীর আরও ক্ষয় হতে থাকবে। ক্ষয় হতে-হতে সম্পূর্ণ রূপে কবরখানায় সমাহিত হয়ে যাবে। নতুন শরীর ভবিষ্যতে পাবে। আত্মাকে পবিত্র হতে হবে। এই শরীর পুরানো পূতিগন্ধময় হয়ে গেছে । এই শরীরে যতই পাউডার লাগাও তবুও কানা কড়ি মূল্য নেই। এখন তোমাদের সবার সম্বন্ধ শিববাবার সাথে।যেদিন বিবাহ হয় সেইদিন পুরানো কাপড় পড়ে। এখন এই স্থূল শরীরকে বেশি সুসজ্জিত করা উচিত নয়। জ্ঞান যোগ দ্বারা নিজেকে সুসজ্জিত করলে পরি হয়ে যাবে। এ’হলো জ্ঞানের মান সরোবর। এই জ্ঞানের সরোবরে ডুব দিতে থাকলে তোমরা স্বর্গের পরি হয়ে যাবে। প্রজাকে পরি বলা হয় না। বলে থাকে যে কৃষ্ণ নারীদের অপহরণ করে মহারানী ও পাটরানী বানিয়েছিল। এমনটা তো বলবে না যে অপহরণ করে প্রজাদের চন্ডাল বানিয়েছিল। অপহরণ করেছিল পাটরানী বানাবার জন্য। তোমাদেরও এমন পুরুষার্থ করা উচিত। এমন নয় যে যা পাওয়া যায় তাতেই খুশি। এটা গীতা পাঠশালা। এখানে প্রধান বিষয়ই হলো ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন। অনেক গীতা পাঠশালা তৈরি হয়। বসে গীতা শোনায় ,কণ্ঠস্থ করিয়ে থাকে। কোনো একটা শ্লোক নিয়ে তাকে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করে থাকে। কেউবা এমনিই পড়ে, কেউ একটা শ্লোক নিয়েই আধা ঘন্টা – পৌনে এক ঘন্টা ভাষণ দিয়ে থাকে, এসব করে কোনো লাভ হয়না। এখানে বাবা বসে পড়ান। এইম অবজেক্ট পরিষ্কার। বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ার মধ্যে কোনো লক্ষ্য নেই। পুরুষার্থ করতে থাকো। কিন্তু কি পাবে ? খুব ভক্তি করলে তখনই ভগবানকে পাওয়া যায়। রাতের পরে দিন অবশ্যই হবে। কল্পের আয়ু একেক রকম বলে থাকে, এসব বোঝার জন্য শক্তি থাকা চাই। যোগবল দ্বারা কাজ বের করতে হবে। যদি না করতে পার তার মানে শক্তি নেই। যোগ নেই। বাবাও সাহায্য তাদেরই করেন যে বাচ্চারা যোগযুক্ত থাকে। ড্রামায় যা আছে সেটারই পুনরাবৃত্তি হয়। সেকেন্ডে-সেকেন্ডে যা টিক-টিক করে অতীত হয়ে যাচ্ছে। আমরা শ্রীমতের দ্বারা ভূমিকায় অবতীর্ণ হই। শ্রীমতে না চললে শ্রেষ্ঠ হতে পারবে না। নম্বর ক্রমানুসারে তো আছে না ! ওরা মনে করে আমরা এক হয়ে যাই, কিন্তু এর অর্থ জানা নেই। কি এক হবে, এক পিতা হয়ে যাওয়া উচিত নাকি এক ব্রাদার্স হয়ে যাওয়া উচিত? যদি ব্রাদার্স বলে তবুও ঠিক আছে। শ্রীমতের দ্বারা আমরা একমত হতে পারি। তোমরা সবাই এক মতে চলো। তোমাদের বাবা টিচার, গুরু একজনই। যে সম্পূর্ণ রূপে শ্রীমতে চলবে না সে শ্রেষ্ঠ হতে পারবে না। যদি একদমই না চলে তবে শেষ হয়ে যাবে। রেসে যে যোগ্য এবং হুঁশিয়ার হবে তাকেই রাখা হয়। বড় রেসে ভালো ঘোড়া রাখা হয় কেননা লটারিও বড় রাখা হয়। এ’ও হিউম্যান অশ্ব দৌড়। হুসেনের ঘোড়াও দেখানো হয়। দুই প্রকারের হিংসা হয়। প্রথম নম্বরে হলো কাম বাসনা, যা অর্ধকল্প ধরে নিজেকে খুন, আর অপরকেও খুন করে এসেছে। এই হিংসাকে কেউ জানেনা। সন্ন্যাসীরাও এমনটা ভাবেনা,শুধু বলে থাকে এটা বিকার। বাবা বলেন বাচ্চারা এই কাম বাসনা হলো মহাশত্রু, এটাই আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দিয়ে থাকে। এটাও প্রমাণ করে বলতে হবে যে আমাদের হলো প্রবৃত্তি মার্গ ,রাজযোগ। তোমাদের হলো হঠযোগ। তোমরা শঙ্করাচার্যের কাছ থেকে হঠযোগ শেখো। আমরা শিবাচার্যের কাছ থেকে রাজযোগ শিখি। এগিয়ে যেতে- যেতে তোমাদের অবশ্যই প্রত্যক্ষ হবে। কেউ-কেউ প্রশ্ন করে দেবতাদের ৮৪ জন্ম ৫ হাজার বছরে হয়েছে, ক্রিশ্চানদের কত বছরে হয়েছে? ক্রাইস্টের ২ হাজার বছর হয়েছে, এখন হিসেব করো ওদের এভারেজ কটা জন্ম হয়েছে? ৩০-৩২ জন্ম, এটা তো পরিষ্কার। যে অনেক সুখ দেখে থাকে সে অধিক দুঃখও দেখে থাকে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা কম সুখ ,কম দুঃখ পেয়ে থাকে। এভারেজ হিসেব বের করতে হবে। প্রধান যে ধর্মযাজক তার জন্ম বের করতে হবে। পরে যারা আসে তারা অল্প-স্বল্প জন্ম গ্রহণ করে থাকে। বুদ্ধ, ইব্রাহিম এদের জন্মের হিসেবও বের করতে পারো। করলেও এক-দুই জন্মের পার্থক্য হবে। অ্যাকুরেট বলা যায় না। মোটামুটি ধারনা দ্বারা বোঝান যেতে পারে। এইসব বিষয় বিচার সাগর মন্থন করার জন্য। কেউ জিজ্ঞাসা করলে কিভাবে বোঝাবে? তবুও বলো যে প্রথমে বাবাকে স্মরণ কর কেননা বাবার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার নিতে হবে। জন্ম যতবার নিয়েছ ততবারই নেবে। বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ কর। যথার্থ রীতিতে বোঝাতে হবে। এটাই পরিশ্রমের কাজ।

বাচ্চারা বোম্বাইতে অনেক পরিশ্রম করে কেননা তাদের অনেক সাকসেসফুল হতে হবে। এরজন্য বুদ্ধি থাকা চাই, বাবার অবিনাশী ধনের প্রতি অধিক ভালোবাসা থাকা উচিত। কেউ-ই তো ধন গ্রহণ করে না। জ্ঞান রত্ন নাও আর ধারণ করো তো বলে আমরা কি করব ! আমরা বুঝতে পারি না। না বুঝতে পারলে তোমাদের ভবিতব্য। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য জ্ঞান যোগের ধারণা করতে হবে। কোনো জিনিসের প্রতি লোভ থাকা উচিত নয়। এই জ্ঞান যোগের দ্বারা সুসজ্জিত হতে হবে, স্থূল শৃঙ্গারের দ্বারা নয়।

২ ) এক ঘন্টা আধা ঘণ্টা, ঈশ্বরীয় পড়াশোনা অবশ্যই করতে হবে। জ্ঞান আর যোগের রেস করতে হবে।

বরদানঃ-

বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রত্যেকের অন্তরের রহস্যকে জানতে হবে। কারো মুখ থেকে উচ্চারিত আওয়াজের দ্বারা তার অন্তরের রহস্যকে (ভিতরে কি চলছে তা আওয়াজের দ্বারা বোঝার ক্ষমতা) জেনে গেলে বিজয়ী হতে পারবে । কিন্তু অন্তরের রহস্যকে জানার জন্য অন্তর্মুখী হওয়া প্রয়োজন। যত অন্তর্মুখী থাকবে ততই প্রত্যেকের অন্তরের রহস্যকে জেনে তাকে রাজী করতে পারবে। যে রাজী করতে পারে সেই বিজয়ী হতে পারে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top