03 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

03 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

2 November 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - ভিতরে বাইরে স্বচ্ছ হতে হবে, কোনো রকম মন্দ স্বভাব তোমাদের মধ্যে থাকা উচিত নয়"

প্রশ্নঃ --

ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য কোন্ কোন্ বিষয়ের প্রতি ধ্যান রাখতে হবে ?

উত্তরঃ -:-

১- এই জন্মে বাবার সন্তান হয়ে এমন কোনো পাপ কর্ম করা উচিত নয় যার জন্য শতগুণ দন্ড ভোগ করতে হবে। ২- বাবা যিনি এতো মিষ্টি তিনি তোমাদের নিজের মতো মিষ্টি করে তোলেন, সেইজন্য মুখ দিয়ে যেন কোনো কটু শব্দ না নির্গত হয় যা অন্যকে দুঃখী করে তোলে। ৩- দুঃখ হরণকারী সুখ প্রদানকারীর সন্তান হয়ে সবার দুঃখ দূর করতে হবে। মন্সা-বাচা-কর্মণা দ্বারা সুখ দিতে হবে। ৪- স্তূতি-নিন্দাতেও সমান (স্থিতিশীল) থাকতে হবে।

ওম্ শান্তি । বৃহস্পতিবারকে বৃক্ষপতি ডে-ও বলা হয়। বৃক্ষপতি ডে অর্থাত্ বাবার দিন। অমাবস্যার অন্ধকার রাত সম্পূর্ণ হয়ে দিন শুরু হয়। চাঁদ উঠতে শুরু করে। আজকাল ঐ দিনগুলোতে মানুষ, চলে যাওয়া আত্মাদের আমন্ত্রণ জানায় এবং তাদের খাওয়ানোর মাধ্যমে তাদের ইচ্ছা পূর্ণ করে থাকে, যাতে তাদের কিছু চাওয়ার প্রয়োজন না পড়ে। সবাইকে সন্তুষ্ট করা হয় । দিনের বেলায় চলে গেলে তাদের রাতে ফিরে আসার কি প্রয়োজন ? সিস্টেম হলো — কেউ চলে যাওয়ার বারো মাস পরে তাকে খাওয়ায় এবং সবকিছু সাঙ্গ করে। তাহলে, কেন তারা আবারও অন্ধকার রাতে তাদেরকে ডাকে ? কিন্তু ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা এই ব্যবস্থাই তৈরি করে গেছে যা অব্যাহত রয়েছে। এর মাধ্যমে তারা দক্ষিণা ইত্যাদি পেয়ে থাকে। ওটা হলো সীমিত অমাবস্যার অন্ধকার। এখন বাবা এসেছেন অসীমের অমাবস্যার অন্ধকারে। বাবা এলে অর্ধকল্পের অন্ধকার সম্পূর্ণ হয়। তারপর সত্যযুগে আলোয় আলোকিত। ওখানে কোনো বিদেহী আত্মাকে খাওয়ানো হয়না, এ হলো সীমাহীন অন্ধকার। ব্রহ্মার রাত এবং ব্রাহ্মণদের রাত শেষ হয়ে দিনের শুরু হয়। ওখানে বিদেহী আত্মাদের খাওয়ানো হয় না। ওখানে ব্রাহ্মণই নেই। এমন নয় যে শরীর ত্যাগ করেনা, কিন্তু ওসব রীতি-রেওয়াজ ওখানে নেই। এখানে তো অনেক রকমের ব্রাহ্মণ আছে। মানুষ এখন চাইছে যে এক বিশ্ব হোক, এক জাতি হোক। সব ধর্মের এক জাতি তো হতে পারে না। তবে হ্যাঁ এক রাজ্য, এক নিয়ম-নীতি ছিল, যখন সত্যযুগ ছিল। সেটাও বাবাই এসে স্থাপন করেন। ওখানে সবকিছুই মিষ্টি হয়, দুঃখের লেশমাত্র ওখানে নেই। কেউ কটু শব্দ ব্যবহার করে না, পাপ করেনা। এখন যে যত পুরুষার্থ করবে ততই উচ্চ পদ পাবে, নম্বর ক্রমানুসারে। ওখানে কেউ চুরি করেনা। ভিতরে বাইরে স্বচ্ছ থাকে। এখানে ভিতরে এক বাইরে অন্যরকম। একে অপরের কত ক্ষতি করে থাকে। এ’সবই হলো রাবণ রাজ্যের নোংরা ব্যবহার। বাবা এখন একে সম্পূর্ণ রূপে শেষ করে দিচ্ছেন। সবারই চট করে তো নোংরা স্বভাব শেষ হয়ে যাবে না। সময় লাগবে, যত যোগযুক্ত হয়ে থাকবে, প্রতি মুহূর্তে সচেতন হতে হবে আমি কি যোগযুক্ত হয়ে আছি ! কোনো পাপ কর্ম করছি না তো ! নিজে মিষ্টি হয়ে অন্যদেরও মিষ্টি করে কি তুলছি ? নিজেই কটূ শব্দ ব্যবহার করলে অন্যদের কিভাবে মিষ্টি করে তুলব। এখানে চট করেই প্রত্যক্ষ হয়ে যায়, লুকানো থাকে না। বাবা বলেন – আমার সন্তান হয়ে কোনো উল্টো-পাল্টা কাজ করলে অনেক কড়া সাজা ভোগ করতে হবে। পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। ভগবান স্বয়ং এসে পড়াচ্ছেন দেবতা করে তোলার জন্য। দেবতাদের উদ্দেশ্যে মহিমা করা হয় সর্বগুণসম্পন্ন… অহিংসা পরম ধর্ম। হিংসা দুই প্রকারের হয় ‐ এক হলো কাম-বাসনা চরিতার্থ করার জন্য হিংসা যার জন্য মানুষ আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ পেয়ে থাকে। দ্বিতীয় হলো ক্রোধের কারণে একে অপরকে মারে দুঃখ দিয়ে থাকে, নিজেও দুঃখী হয়। এখানে বাচ্চাদের বলা হয় মন্সা-বাচা-কর্মণা দ্বারাও এমন কোনো কর্ম করা উচিত নয়। কাউকে দুঃখ দেওয়া উচিত নয়। আমরা হলাম দুঃখ হর্তা, সুখ কর্তার সন্তান। সুতরাং সবাইকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে – তোমরা কিভাবে দুঃখ হরণ করে সুখ প্রদান করবে। কর্মের হিসেব-নিকেশ মিটে যাবে। বাবা বোঝান এই জন্মে যা কিছু পাপ কর্ম হয়েছে, বাবার কাছে স্বীকার করলে অর্ধেক কেটে (পাপ) যাবে। কিন্তু অনেক জন্মের করা পাপ কর্ম তো মাথায় বোঝা হয়ে রয়েছে। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন এই জন্মে এমন কোনো পাপ কর্ম যেন না হয় যার জন্য পাপ হয় তারপর যোগবল দ্বারা অনেক জন্মের পাপ ভস্মীভূত করতে হবে। এই জন্মে বাবার সন্তান হয়ে কোনো পাপ কর্ম করা উচিত নয়। ব্রাহ্মণ হওয়া ছাড়া উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হবেনা। ইনি বাপদাদা তাইনা। উত্তরাধিকার তোমরা শিববাবার কাছ থেকে পাবে, ব্রহ্মার কাছ থেকে নয়। ইনি (ব্রহ্মা বাবা) নিজেকে কোনো পরিচয় দেননা। ইনি তো শুধুমাত্র রথ, এনার দ্বারা তোমাদের কিছুই প্রাপ্তি হয়না। রথেরও তো গায়ন আছে। হুসেনের রথ বের হয় তাইনা। ঘোড়াকে কত সাজিয়ে তোলে। এ’তো পতিত শরীর। ইনিও এখন সুসজ্জিত হচ্ছেন। নিজের পুরুষার্থ দ্বারাই সেজে ওঠেন। এনার প্রতিও বাবা পক্ষপাতিত্ব করেন না। বাবা তো এমনই মজা করে বলে থাকেন ভাড়া তো পাব না! কিন্তু যেমন পুরুষার্থ তোমাদের করতে হবে তেমনিই এনাকেও করতে হবে। এই লোভ থাকা উচিত নয় যে আমাকে ভাড়া দেবে। এটা তো বাবা হেসে মজা করেন। আত্মাকে তো যোগবলের দ্বারাই সতোপ্রধান হতে হবে।

যত যোগযুক্ত হবে ততই পবিত্র হতে পারবে তারপর অন্যদেরও নিজের সমান তৈরি করতে হবে। তোমরা বাচ্চারা জানো যারা ভালো সার্ভিস করে থাকে তারা প্রসিদ্ধ হয়। বাবা সার্ভিসে পাঠিয়ে দিতেন। খুব মিষ্টি ভাবে কথা বলতে হয়। কারো সাথেই লড়াই ঝগড়া করা উচিত নয়। ব্রাহ্মণ যদি কটূ শব্দ ব্যবহার করে তবে বলবে এর মধ্যে ক্রোধের ভূত আছে। স্তুতি-নিন্দাতেও সমান স্থিতি থাকা উচিত। অনেকের মধ্যেই ক্রোধের ভূত আছে, সেইজন্য নারাজ হয়ে যায়। এমনটা নয় যে সবার ভিতর থেকে ক্রোধ শেষ হয়ে গেছে। যখন সম্পূর্ণ হওয়ার সময় আসবে তখনই ধীরে-ধীরে খাদ বের হতে থাকবে। এমনটা কেউ-ই বলতে পারবে না যে আমার ক্রোধ নেই। কারো কম, কারো বা বেশি। কারো কারো আওয়াজই এমন হয় যে মনে হয় যেন লড়াই করছে। বাচ্চাদের খুব মিষ্টি হতে হবে। এখানেই সর্বগুণসম্পন্ন হতে হবে। বিকার তো অনেক রকমের আছে না ! ক্রোধ করা, মিথ্যা বলা এসবই হলো বিকার।

বাবা বলেন – বাচ্চারা এখন কোনো বিকর্ম করলে অধিক দন্ড ভোগ করতে হবে। ওখানে আমার সাথে দন্ড দেওয়ার জন্য ধর্মরাজ আছে। এখানে প্রত্যক্ষ দন্ড ভোগ করতে হয়, ধর্মরাজের সাজা হচ্ছে গুপ্ত। গর্ভ কারাগারেও আত্মা শাস্তি ভোগ করে। কারো রোগ-ব্যাধি ইত্যাদি হওয়া — সেটাও কর্মভোগ। ধর্মরাজ দ্বারা দন্ড পেতে হয়। পূর্বের করা কর্মের শাস্তিও এখন পেতে হয়। এখন করা কর্মের ফলও এখনই পাওয়া যায়। গর্ভ কারাগারেও পাওয়া যায়। সেটা হলো গুপ্ত, ধর্মরাজ ওখানে তো শাস্তি দেবে না। এখানে এসে শরীর দ্বারা ভোগ করতে হয়। এখন বাবা এসে আমাদের এসব থেকে মুক্ত করছেন। পরমপিতা পরমাত্মা আর ধর্মরাজ বাবা দুজনেই হাজির। এখন সবেরই কয়ামতের সময় (শেষ হিসাব হওয়ার) । প্রত্যেকের (লাস্ট) জজমেন্ট হবে। এটাও ড্রামায় নির্ধারিত। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ – সম্পূর্ণ হতে হবে, সুতরাং কোনো পাপ কর্ম করবে না। নিজের কল্যাণের জন্য যতটা সম্ভব পুরুষার্থ করতে হবে। কল্প-কল্পান্তরের বিষয়। এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন এক জন্মের জন্য। পরবর্তী জন্মে অন্য পড়াশোনা, এ’হলো ২১ জন্মের জন্য। অবিনাশী বাবা অবিনাশী পড়াশোনা করিয়ে থাকেন, যার দ্বারা ২১ জন্মের জন্য অবিনাশী পদ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। বাবার কাছ থেকে ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। তোমরা বাচ্চারা জানো এটা পুরানো দুনিয়া, নতুন দুনিয়াতে ভারত একাই ছিল। এখন আবার এই চক্রের পুনরাবৃত্তি হবে। নতুন সৃষ্টি স্থাপন হয়ে পুরানোর বিনাশ হবে। গাওয়াও হয়ে থাকে পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মা দ্বারা নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন। অবশ্যই ব্রাহ্মণ প্রয়োজন। তাদের অবশ্যই পবিত্র হতে হবে, রাজযোগও শিখতে হবে। আমরা ব্রহ্মাকুমার কুমারীরা পবিত্র হচ্ছি। বাবা এমনটা বলেন না যে ঘর পরিবার ছেড়ে দাও। তা নয়, তিনি বলেন গৃহস্থ পরিবারে থেকেও কমল ফুলের মতো পবিত্র থাকো। এই বাপদাদা নামটা খুব ভালো। দাদার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। তিনি হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতর। ব্রহ্মা তো পতিত ছিল তাইনা। ইনি প্রথমে শ্রেষ্ঠাচারী পূজ্য মহারাজা ছিলেন। অন্তিমে এসে পতিত হন। এটা তার অন্তিম জন্ম। এই দুনিয়াতে কেই বা পবিত্র। পবিত্র দুনিয়াতে কেউ স্মরণ করে না। গাওয়াও হয়ে থাকে আত্মা এবং পরমাত্মা বহুকাল আলাদা ছিল…. এর হিসাবও তোমরা বুঝতে পেরেছ। সূর্যবংশাবলী যারা আছে তারাই প্রথমে নিজেদের উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে আসবে। আত্মা শরীর ত্যাগ করে চলে যায়। বলে থাকে স্বর্গে গেছে। তারপর তাদের নরকে ডাকার দরকার কি ! কিছুই জানে না। সাধু-সন্ত শরীর ত্যাগ করলেও তাদের বাৎসরিক ক্রিয়া পালন করা হয়, ভোগ দেওয়া হয়। যখন বলে থাকে জ্যোতিতে আত্মা লীন হয়ে গেছে, তারপর তাহলে ভোগ দেয় কেন ? বাৎসরিক ক্রিয়া কেন পালন করে? শরীর তো শেষ হয়ে গেছে – আত্মাও চলে গেছে তারপরও আত্মাকে ডাকার কি দরকার। জ্যোতিতেই যখন লীন হয়ে গেছে তারপর আসবে কীভাবে। অনেক অনেক রকমের মত। এমনটাও বলে থাকে মানুষ মোক্ষ পেয়ে আর ফিরে আসে না। মোক্ষ লাভ করলে তো আরও খুশি হওয়া উচিত, ভূমিকা পালন করা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তারপর তো তাকে স্মরণই করা উচিত নয়। তোমরা জানো মানুষ মাত্রই এক বাবাকে স্মরণ অবশ্যই করে থাকে। মানেও যে সবাই ভাই-ভাই। সুতরাং ভাইদের বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার অবশ্যই পাওয়া উচিত। সব আত্মাদের সদ্গতি দাতা একজনই বাবা। সমস্ত আত্মাদের ফিরে যেতে হবে। মানুষ, মানুষকে সদ্গতি কিভাবে দিতে পারে সেইজন্য একজনই সদ্গতি দাতার নাম শ্রেষ্ঠতর। তিনিই জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন। ঐ বাবা এসেই রাজযোগ শেখান। সবাইকে রাবণ রাজ্য থেকে মুক্তি দেন, একে অসীমের অমাবস্যা বলা হয়। অর্ধকল্প অসীমের রাত তারপর অর্ধকল্প অসীমের দিন। এটাই খেলা। এখন নানান ধর্মের মানুষ কনফারেন্স করে বলে শান্তি কিভাবে আসবে ? সেখানে বলা উচিত এক ধর্ম, এক মত সত্যযুগেই হয়ে থাকে। ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে, সেখানে সুখ-শান্তি সব ছিল, বাকি আত্মারা সবাই শান্তিধামে ছিল। নতুন দুনিয়াতে একটাই ধর্ম ছিল। পুরানো দুনিয়াতে ঝাড় কত বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অনেক ধর্ম। এখন অনেক ধর্মের বিনাশ করে এক ধর্মের স্থাপনা করা বাবার কাজ। শিববাবা বলেন — এটা আমার কাজ। আমি কল্পে-কল্পে এসে এই কাজ করে থাকি।

সত্যযুগের রাজধানী স্থাপন করার জন্য রাজযোগ অবশ্যই সঙ্গম যুগে এসে শেখাব। সব আত্মাদের পতিত থেকে পাবন করে তুলি। তিনি বলেন আমি আসি অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে। যে ৮৪ জন্ম নিয়েছে, তার রথে (শরীর রূপী) এসেই বুঝিয়ে থাকি। নতুন দুনিয়া তো নেই। পুরানো দুনিয়াতে এসেই নতুন দুনিয়া সৃষ্টি করি। পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করে তুলি। আমার নামই হলো দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী। সুখে কেউ-ই আমাকে স্মরণ করেনা, দুঃখেই স্মরণ করে থাকে। নিশ্চয়ই কখনও সুখ পেয়েছিল। বাবা বলেন আমি তোমাদের জ্ঞান প্রদান করতে আসি। পড়াশোনা করা তোমাদের কাজ। মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে, তোমরাও কিছু জানতে না। এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়ার নৌকা ডুবতে চলেছে, কত দুঃখী হয়ে পড়েছে। তোমরা সবার নৌকা পার করে দাও, সবাই চলে যাবে শান্তিধামে। এসবই তোমাদের বুদ্ধিতে আছে, তবে নম্বরানুসারে। যে লাইট হাউস হবে, সেই অন্যদের পথ বলে দেবে। তার কাজই হলো পথ বলে দেওয়া। বাবা বাচ্চাদের কিভাবে পড়ান, এরজন্য তো স্থায়ী খুশী হওয়া উচিত। এখানে এসে কত রিফ্রেশ হয়ে যায়, বাইরে গেলেই নেশা হারিয়ে যায় (পরিস্থিতির প্রভাবে)। বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ করার ইচ্ছা থাকা উচিত। প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। আগে তীর্থ করতে পায়ে হেঁটে যেতে হত, অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হত। এই সময়ে তো বাসে, ট্রেনে করে যায়। এই সময় মায়ার আড়ম্বর খুব বেশী। সত্যযুগেও আড়ম্বর ছিল তারপর দ্বাপর থেকে পতন হতে শুরু করে। এখন আবারও শেষে এসে শুরু হয়েছে, একে মায়ার পম্প (জৌলুস) বলা হয়। কাউকে বলো চল স্বর্গে যাই , উত্তরে বলবে আমার এখানেই সব সুখ আছে। মোটর, এরোপ্লেন ইত্যাদি সবকিছু আছে। আমার জন্য স্বর্গ এখানেই। ধন-সম্পত্তি, গয়নাগাটি সব আছে। লক্ষ্মী-নারায়ণেরও অনেক গহনা ছিল, তাই না! আমরাও সেই রকম পরতে পারি। যতই বোঝাও না কেন সেই বিষ-কেই স্মরণ করে। বিষ(বিকার) ছাড়া থাকতেই পারে না। বাবা বলেন – তোমরা আমার কথা মানতে চাও না। পবিত্রই হবে না যখন তখন আমাকে কেন ডেকে বল যে পতিত-পাবন এসো। এখন স্মরণ না করলে ধর্মরাজ দ্বারা দন্ড দেবেন। ভয়ও দেখান। অনেক বাচ্চারাই বিকারে যেতেই থাকে, ভয়-ই পায়না। এরা কত যে চাবুক (হান্টর) খাবে, তা বলার নয়। পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। পুরুষার্থ করে উচ্চ পদ পাওয়া উচিত তাইনা। সঙ্গ-দোষে এমনই অধঃপতন হয় যে নিজের পদ হারিয়ে ফেলে। তোমরা জানো এখন হীরে ইত্যাদির খনি শূন্য হতে চলেছে আবারও সেগুলি ভর্তি হয়ে যাবে। সোনা, হীরের পাহাড় হয়। হীরা যখন খনন করে বের করে তখন পাথর থাকে তারপর তাকে পরিষ্কার করে হীরা তৈরি করা হয়। তোমাদেরও যখন জ্ঞানে পেষাই করা হয় তোমরা তখন কত সুন্দর হয় ওঠো। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এখন পহল কয়ামতের সময়, সেইজন্য কোনো পাপ কর্ম করা উচিত নয়। নিজের কল্যাণের জন্য পুরুষার্থ করতে হবে, খুব মিষ্টি ( আচার,আচরণ) হতে হবে। ক্রোধ করা ত্যাগ করতে হবে।

২ ) বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেওয়ার ইচ্ছা রাখতে হবে। প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার পরামর্শ নিতে হবে। বাবার মতো দুঃখকে হরণ করে সুখ প্রদানকারী হতে হবে।

বরদানঃ-

পাশ উইথ অনার অর্থাৎ মনের সঙ্কল্পের দ্বারাও দন্ড ভোগ না করা। ধর্মরাজের শাস্তির কথা তো পরে হবে কিন্তু নিজের সঙ্কল্পের ঝঞ্ঝাট অথবা শাস্তি থেকে ঊর্ধ্বে থাকা – এটাই হলো পাশ উইদ অনারের চিহ্ন। বাণী, কর্ম, সম্বন্ধ-সম্পর্কে তো মিষ্টতা আছে কিন্তু সঙ্কল্পেও যেন বিভ্রাট তৈরি না হয়, এমনই প্রতিজ্ঞা করতে হবে, তবেই পাশ উইথ অনার হতে পারবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top