8 April 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

April 8, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Hindi. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদেরকে ফুলের মতো হয়ে সবাইকে সুখ প্রদান করতে হবে, ফুলের মতো বাচ্চাদের মুখ থেকে রত্নই বের হবে”

প্রশ্নঃ --

যেসব বাচ্চারা ফুলের মতো হচ্ছে, তাদের জন্য ভগবান এমন কোন্ শিক্ষা দিচ্ছেন যার দ্বারা তারা সর্বদা সুগন্ধিত হয়ে থাকবে ?

উত্তরঃ -:-

আমার ফুলের মতো বাচ্চারা, তোমরা নিজের অন্তরে দেখো যে আমার মধ্যে কোনো আসুরিক খারাপ গুণের কাঁটা নেই তো ? যদি নিজের অন্তরে কোনো কাঁটা থাকে, তবে অন্যের খারাপ গুণকে যেমন ঘৃণা করো, সেইরকম যদি নিজের খারাপ গুণগুলোকেও ঘৃণা করো, তবে সেই কাঁটা বেরিয়ে যাবে। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখ – মন, বাণী কিংবা কর্মের দ্বারা এমন কোনো বিকর্ম হচ্ছে না তো যার জন্য দন্ড ভোগ করতে হবে।

ওম্ শান্তি । আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে আত্মিক পিতা বসে থেকে বোঝাচ্ছেন। এখন এটা রাবণ রাজ্য হওয়ার জন্য সব মানুষই দেহের অভিমানে রয়েছে। তাই ওদেরকে জংলি কাঁটা বলা হয়। এইসব কথা কে বোঝাচ্ছেন ? অসীম জগতের পিতা। যিনি এখন কাঁটাদেরকে ফুল বানিয়ে দিচ্ছেন। মায়া এমনই যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফুল হতে হতেও পুনরায় কাঁটা বানিয়ে দেয়। এটাকে কাঁটার জঙ্গল বলা হয়। এখানে অনেক রকমের পশুর মতো মানুষ থাকে। আসলে ওরাও মানুষ, কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে পশুর মতো লড়াই ঝগড়া করে। প্রত্যেক বাড়িতে ঝগড়া লেগেই আছে। সকলে বিষয় সাগরে ডুবে আছে। এই গোটা দুনিয়াটাই একটা বিশাল বড় বিষের সমুদ্র যেখানে মানুষ কেবল ধাক্কাই খাচ্ছে। এই দুনিয়াটাকেই পতিত এবং দুর্নীতির দুনিয়া বলা হয়। তোমরা এখন কাঁটা থেকে ফুল হচ্ছ। বাবাকে বাগানের মালিকও বলা হয়। বাবা বসে থেকে বোঝাচ্ছেন – গীতাতে জ্ঞানের কথা লেখা আছে আর ভাগবতে মানুষের আচরণ সম্বন্ধে লেখা আছে। কত কিছুই না লিখে দিয়েছে। সত্যযুগে কি এইরকম বলা হবে ? সত্যযুগ তো ফুলের বাগান। তোমরা এখন ফুলের মতো হচ্ছ। ফুল হওয়ার পরেও পুনরায় কাঁটা হয়ে যায়। আজকে হয়তো ভালোভাবে চলছে, কিন্তু হঠাৎ মায়াবী তুফান এসে যায়। দেখতে দেখতে মায়া তার কি হাল করে দেয়। বাবা বলছেন, আমি তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানাচ্ছি। ভারতবাসীদেরকে তিনি বলছেন, তোমরাই বিশ্বের মালিক ছিলে। এই তো কালকের কথা। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। হীরে মানিকের মহল ছিল। সেটাকেই গার্ডেন অফ আল্লাহ বলা হয়। এখানেই এখন জঙ্গল আছে, আবার এখানেই বাগান হবে। ভারতে একসময় স্বর্গ ছিল। সেখানে কেবল ফুল আর ফুল ছিল। বাবাই ফুলের বাগান তৈরি করেন। ফুল হতে হতেও খারাপ সঙ্গে পড়ে খারাপ হয়ে যায়। বলে দেয় – বাবা, আমি এবার বিয়ে করব। চতুর্দিকে মায়ার জাঁকজমক দেখতে পায়। এখানে তো একেবারে শান্তি। এই গোটা দুনিয়াটাই জঙ্গল। জঙ্গলে অবশ্যই আগুন লাগবে। তখন জঙ্গলবাসীরাও মারা যাবে। ৫ হাজার বছর আগে যে আগুন লেগেছিল, সেটাই আবার লাগবে। এরই নাম রাখা হয়েছে মহাভারতের যুদ্ধ। পরমাণু বোমার যুদ্ধ প্রথমে যাদবদের মধ্যেই শুরু হয়। সেটারও গায়ন আছে। সায়েন্সের সাহায্যে মিসাইল বানিয়েছে। শাস্ত্রে অনেক কাহিনী লিখে দিয়েছে। বাবা এখন বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন, এইভাবে কারোর পেট থেকে কি মুষল বের হওয়া সম্ভব ? এখন তোমরা দেখতে পাচ্ছো যে সায়েন্সের দ্বারা কতো বোমা বানাচ্ছে। ২টো বোমা ফেললেই কতো শহর ধ্বংস হয়ে যাবে। কত মানুষ মারা যাবে। হয়তো লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। এই এত বড় জঙ্গলে কোটি কোটি মানুষ থাকে। এতে অবশ্যই আগুন লাগবে।

শিববাবা বোঝাচ্ছেন। বাবা তো দয়ালু। তাঁকে তো সকলের কল্যাণ করতে হবে। ওরা আর কোথায় যাবে। যখন দেখবে যে সত্যি সত্যিই আগুন লাগছে, তখন এসে বাবার শরণাপন্ন হবে। বাবা সকলকে সদগতি প্রদান করেন। কিন্তু তিনি নিজে পুনর্জন্ম নেন না। কিন্তু তাঁকেই আবার সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে। তোমরা হলে সঙ্গমযুগবাসী। তোমাদের বুদ্ধিতে এখন সমস্ত জ্ঞান রয়েছে। আত্মীয়-বন্ধুদের সাথেও সম্পর্ক রাখতে হবে। ওদের মধ্যে আসুরিক গুণ আছে, আর তোমাদের মধ্যে আছে দিব্যগুণ। তোমাদের কাজ হলো অন্যদেরকেও এগুলো বোঝানো। সবাইকে মন্ত্র দিতে থাকো। প্রদর্শনীর মাধ্যমে তোমরা কতো মানুষকে বোঝাও। এখন ভারতবাসীদের ৮৪ জন্ম পূর্ণ হয়েছে। এখন বাবা এসেছেন মানুষ থেকে দেবতা বানানোর জন্য অর্থাৎ নরকবাসী মানুষদেরকে স্বর্গবাসী বানানোর জন্য। দেবতারা স্বর্গে থাকে। এখন নিজের আসুরিক গুনগুলোকে ঘৃণা করা উচিত। নিজেকে দেখতে হবে যে আমার মধ্যে কি দিব্যগুণ এসেছে ? আমার মধ্যে কোনো খারাপ গুণ নেই তো ? মন, বাণী কিংবা কর্মের দ্বারা আমি কোনো আসুরিক কর্ম করিনি তো ? আমি কি কাঁটা থেকে ফুল বানানোর সেবা করছি ? বাবা হলেন বাগানের মালিক। আর তোমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা হলে মালি। কত রকমের মালি থাকে। কেউ কেউ এতই আনাড়ি যে কাউকেও নিজের মতো বানাতে পারে না। বাগানের মালিক তো প্রদর্শনীতে যাবেন না। মালিরাই যাবে। এই মালি (ব্রহ্মাবাবা) যেহেতু শিববাবার সঙ্গেই রয়েছেন, তাই ইনিও যেতে পারবেন না। তোমরা মালিরা সার্ভিস করতে যাও। ভালো ভালো মালিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাবাও বলেন, যারা অপটু, তাদেরকে ডাকবে না। বাবা কারোর নাম বলেন না। তবে থার্ডক্লাস মালিও আছে। বাগানের মালিক তাকেই ভালোবাসবে যে সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটিয়ে দেখাবে। তার ওপরে বাগানের মালিক খুশি হবে। তারা মুখ থেকে কেবল রত্নই বের করবে। কেউ যদি রত্নের বদলে পাথর বের করে, তবে বাবা কি বলবেন। শিবের কাছে আকন্দ ফুলও দেয়। সুতরাং কেউ কেউ এইরকমও হয়। তাদের চালচলন দেখ কেমন। অনেক কাঁটাও এখানে আসে। তারপর আবার জঙ্গলে চলে যায়। সতোপ্রধান হওয়ার পরিবর্তে আরো তমোপ্রধান হয়ে যায়। তাদের আর কি গতি হবে।

বাবা বলছেন, আমি প্রথমত নিষ্কাম, দ্বিতীয়ত পরোপকারী। যে ভারতবাসীরা আমার নিন্দা করে, আমি সেই ভারতবাসীদেরই পরোপকার করি। বাবা বলছেন, আমি এই সময়ে এসেই স্বর্গ স্থাপন করি। যদি কাউকে বলা হয় যে স্বর্গে চলুন, তবে সে বলবে – আমি তো এখানে স্বর্গেই আছি। আরে, স্বর্গ তো সত্যযুগে থাকবে। কলিযুগে কোথা থেকে স্বর্গ আসবে ? কলিযুগকে তো নরক বলা হয়। এটা পুরাতন তমোপ্রধান দুনিয়া। মানুষ জানেই না যে স্বর্গ কোথায় আছে। মনে করে, স্বর্গ বুঝি আকাশে আছে। দিলবড়া মন্দিরেও ওপরে স্বর্গ দেখানো হয়েছে। নিচে সবাই তপস্যা করছে। তাই মানুষ বলে দেয় যে অমুক ব্যক্তি স্বর্গগত হয়েছেন। কিন্তু স্বর্গ কোথায় ? সকলের জন্যই বলা হয় যে স্বর্গগত হয়েছেন। এটা আসলে বিষয় সাগর। বিষ্ণুপুরীকে ক্ষীরের সাগর বলা হয়। ওরা পূজা করার জন্য একটা বড় জলাশয় বানিয়েছে। তার মধ্যে বিষ্ণুকে দেখানো হয়েছে। তোমরা বাচ্চারা এখন স্বর্গে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছ যেখানে দুধের নদী বইবে। তোমরা বাচ্চারা এখন ফুলের মতো হয়ে যাও। যেন এমন কোনো আচরণ প্রকাশিত না হয় যার জন্য কেউ বলতে পারে যে এ তো কাঁটার মতো। সর্বদাই ফুলের মতো হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো। মায়া কাঁটা বানিয়ে দেয়, তাই নিজেকে খুব সামলে রাখতে হবে। বাবা বলছেন, ঘর-গৃহস্থে থেকেও কমল পুষ্পের মতো পবিত্র হতে হবে। বাবা, যিনি বাগানের মালিক, তিনি এসেছেন কাঁটা থেকে ফুল বানাতে। দেখতে হবে, আমি কি ফুলের মতো হয়েছি। যারা ফুলের মতো, তাদেরকেই সেবার জন্য সব জায়গায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। বলে – বাবা, গোলাপ ফুল পাঠাও। দেখতেই তো পাওয়া যায় যে কে কেমন ফুল। বাবা বলছেন আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শেখানোর জন্যই আসি। এটাই হচ্ছে সত্য নারায়ণের কথা। সত্য প্রজার কথা নয়। রাজা-রানী তৈরি হলে, প্রজারাও তৈরি হয়ে যাবে। এখন তোমরা বুঝতে পারছো যে কীভাবে ক্রমানুসারে রাজা-রানী এবং তাদের সঙ্গে মানানসই প্রজা তৈরি হচ্ছে। যে খুব গরিব, যার কাছে দুই কিংবা পাঁচ পয়সাও উদ্বৃত্ত হয় না, সে কিভাবে কিছু দেবে ? কিন্তু সেও ততটাই পেয়ে যায়, যতটা একজন হাজার টাকা দেওয়ার পরে পায়। ভারতই সবথেকে গরিব। কেউই জানে না যে আমরা ভারতবাসীরাই স্বর্গবাসী ছিলাম। দেবতাদের গুণগান করা হয়, কিন্তু সেই কথার অর্থগুলো কেউ বোঝে না। যেমন ব্যাঙ ট্রা-ট্রা করতে থাকে। বুলবুলি খুব ভাল শব্দ করে। কোনো অর্থ বোঝে না। আজকাল কত মানুষ গীতা শোনায়। তাদের মধ্যে অনেক মাতাজীও আছে। গীতার দ্বারা কোন্ ধর্ম স্থাপন হয়েছিল ? এইসব কিছুই জানে না। কেউ কিছু ঋদ্ধি-সিদ্ধি দেখালেই মানুষ ভেবে নেয় ইনিই ভগবান। গায়ন আছে, পতিত-পাবন। তাহলে নিশ্চয়ই পতিত হয়ে গেছে। বাবা বলছেন, বিকারের বশীভূত হওয়াই নম্বর ওয়ান পতিত হওয়া। এই গোটা দুনিয়াটাই পতিত। সবাই বলছে, হে পতিত-পাবন, তুমি এসো। তাহলে তাঁকেই আসতে হবে নাকি গঙ্গা স্নান করলেই পবিত্র হয়ে যাবে ? মানুষ থেকে দেবতা বানানোর জন্য বাবাকে কতোই না পরিশ্রম করতে হয়। বাবা বলছেন, আমাকে স্মরণ করলেই তোমরা কাঁটা থেকে ফুলের মতো হয়ে যাবে। মুখ থেকে কখনো পাথর বের করবে না। ফুলের মতো হও। এটাও তো পড়াশুনা। চলতে চলতে গ্রহের দশা বসলে ফেল হয়ে যায়। হোপফুল থেকে হোপলেস হয়ে যায়। তারপর বলে, আমি বাবার কাছে যাব। কিন্তু ইন্দ্রের সভায় তো কোনো পতিত যেতে পারে না। এটা তো ইন্দ্রের সভা, তাই না ? যে ব্রাহ্মণী তাকে নিয়ে আসবে, তারও পাপ হবে। যদি সে বিকারের বশীভূত হয়ে যায়, তবে ব্রাহ্মণীর ওপরেও বোঝা হয়ে যাবে, তাই খুব সাবধানতা অবলম্বন করে কাউকে আনতে হয়। ভবিষ্যতে তোমরা দেখবে যে সাধুসন্ত সকলেই এসে লাইনে দাঁড়িয়ে যাবে। ভীষ্ম পিতামহ ইত্যাদির নাম তো লেখা আছে। বাচ্চাদের খুব তীক্ষ্ণ বুদ্ধি থাকতে হবে। তোমরা যেকোনো ব্যক্তিকেই বলতে পারো যে ভারত একসময়ে ফুলের বাগান ছিল, সেখানে দেবী-দেবতারা থাকত। এখন কাঁটা হয়ে গেছে। তোমাদের মধ্যে তো ৫ বিকার আছে, তাই না ? রাবণ রাজ্য মানেই জঙ্গল। বাবা এসে কাঁটা থেকে ফুল বানাচ্ছেন। ভেবে দেখবে যে এখন যদি আমি গোলাপ ফুল না হতে পারি, তবে জন্ম জন্মান্তর ধরে আকন্দ ফুল হব। প্রত্যেককেই নিজের কল্যাণ করতে হবে। এতে কি শিববাবার কল্যাণ করা হয় ? নিজেরই কল্যাণ করতে হবে। এখন শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। বাগানে গেলে তো আগে সুগন্ধি ফুলের দিকেই নজর যাবে। আকন্দের দিকে কি নজর যাবে ? দুনিয়ায় যেমন ফ্লাওয়ার শো হয়, এটাও সেইরকম ফ্লাওয়ার শো। অনেক মূল্যবান পুরস্কার পাওয়া যায়। একেবারে ফার্স্টক্লাস ফুল হতে হবে। আচরণ খুব মিষ্টি হতে হবে। ক্রোধান্বিত ব্যক্তির কাছে নম্র হয়ে যেতে হবে। আমরা শ্রীমৎ অনুসারে পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়া স্বর্গের মালিক হতে চাই। অনেক রকমের যুক্তি রয়েছে। মাতাদের মধ্যে অনেক রকমের নারীসুলভ বুদ্ধি (স্ত্রীয়া চরিত্রম্) থাকে। কোনো ভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে পবিত্র থাকার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। তোমরা বলতে পারো যে ভগবান বলেন – কাম বিকার সবথেকে বড় শত্রু, পবিত্র হলেই সতোপ্রধান হয়ে যাবে। তাহলে আমরা কি ভগবানের নির্দেশ পালন করব না। যুক্তির দ্বারা নিজেকে রক্ষা করতে হবে। বিশ্বের মালিক হওয়ার জন্য যদি একটু সহ্য করতে হয়, তবে ক্ষতি কি ? তোমরা তো নিজের জন্যই করছ। ওরা রাজত্বের জন্য যুদ্ধ করে। তোমরাও নিজের জন্যই সবকিছু করছ। পুরুষার্থ করতে হবে। বাবাকে ভুলে যাওয়ার জন্যই পড়ে যায়। তারপর লজ্জা হয় – কীভাবে দেবতা হব। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১) মায়ার গ্রহদশা থেকে রক্ষা পেতে মুখ থেকে সর্বদা জ্ঞান রূপী রত্ন বের করতে হবে। কুসঙ্গ থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে হবে।

২ ) সুগন্ধি ফুল হওয়ার জন্য খারাপ গুণগুলোকে ত্যাগ করতে হবে। শ্রীমৎ অনুসরণ করে অতিশয় নম্র হতে হবে। কাম বিকার রূপী মহাশত্রুর কাছে পরাজিত হওয়া যাবে না। যুক্তির দ্বারা নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন সাকার বাবা সেবা ছাড়া অন্য কিছু দেখতে পেতেন না, সেইরকম তোমরা বাচ্চারাও নিজের পাওয়ারফুল বৃত্তির দ্বারা সর্বদা অসীম জগতের সেবায় নিযুক্ত থাকলে সীমাবদ্ধ বিষয়গুলো নিজে থেকেই সমাপ্ত হয়ে যাবে। সীমাবদ্ধ বিষয়ে সময় দেওয়া আসলে একরকমের পুতুল খেলা যাতে সময় এবং শক্তির অপচয় হয়। তাই ছোট ছোট বিষয়ে সময় কিংবা উপার্জিত শক্তির অপচয় ক’রো না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Hindi: Brahma Kumaris Murli Today in Hindi

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top