29 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 28, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের এখন ধ্বনির (আওয়াজের) ঊর্ধ্বে যেতে হবে তাই মুখে শিব-শিব বলারও দরকার নেই”

প্রশ্নঃ --

এক পিতাকেই সর্ব শক্তিমান, জ্ঞানের সাগর বলবে, অন্যকে নয় – কেন ?

উত্তরঃ -:-

কারণ একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করলে আত্মা পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যায়। বাবা পতিতদের পবিত্র বানিয়ে দেন, অন্য কোনো দেহধারী মানুষ পবিত্র করতে পারে না। বাবা তোমাদের রাবণের রাজ্য থেকে মুক্ত করেন। তোমরা শিববাবার থেকে শক্তি নাও, যত বেশি স্মরণ করবে ততই শক্তি প্রাপ্ত হবে এবং খাদ বেরিয়ে যাবে।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা ভক্তির মহিমা শুনলো। পূর্বে তোমরাও মহিমা গান করতে। এখন মহিমান্বিত গান করো না আর না তোমাদের জন্য মহিমার প্রয়োজন আছে। ভক্তরা যা করে তোমরা বাচ্চারা তা করতে পারো না। তোমরা ভক্ত ছিলে, এখন তোমরা ভগবানকে পেয়েছো। একসাথে সবার তো প্রাপ্ত হবে না। বাবা সবাইকে একত্রে কীভাবে পড়াবেন ? সে তো সম্ভব নয়। সব ভক্তরাও একত্রিত হতে পারবে না। হ্যাঁ, বাবাকে পড়াতে হবে নিশ্চয়ই, কারণ এ হল রাজযোগ। সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজত্ব স্থাপন হতে হবে । বাচ্চাদেরকে প্রদর্শনীতে বোঝাতে হবে। উৎসব ইত্যাদিতেও তোমরা খুব ভালো সার্ভিস করতে পারো। তোমাদের রাজ্য স্থাপন করতে হবে নিজেদের জন্য। তোমরা হলে শিব শক্তি, মহারথী সেনা, তোমরা অন্য কোনো ড্রিল ইত্যাদি তোমরা শিখছো না, তোমরা রূহানী ড্রিল শিখছো। এই ড্রিল ভারতের বিখ্যাত ড্রিল। এ হল যোগের ড্রিল। আত্মাকে পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে যোগযুক্ত হতে হবে, তাঁর কাছে স্বর্গের অধিকার নিতে হবে। এতে যুদ্ধ ইত্যাদির কোনো কথা নেই। তোমরা বাবার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত ক’র, এতে যুদ্ধের কোনো কানেকশন নেই। তোমরা হলে অসীম জগতের পিতার উত্তরাধিকারী সন্তান। তাই বাবার আপন হয়ে বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। বাবার শ্রীমৎ যুদ্ধ ইত্যাদি একেবারেই নয়। বাবা শুধু বলেন – মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা তোমরা সতোপ্রধান ছিলে, রাজত্ব করতে, এখন সেসব তোমাদের স্মরণে এসেছে। বাবা বলেন – তোমরা নিজেদের জন্মের কাহিনী জানো না। গায়নও আছে মানুষ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে। ৮৪ লক্ষ তো গল্প। ভক্তিমার্গে যে যেমন খুশি পড়তে থাকে। ড্রামা অনুসারে এসব হল ভক্তির সামগ্রী। সত্যযুগ ত্রেতায় ভক্তি থাকে না। ভক্তি আলাদা, জ্ঞান আলাদা। তোমরা বাচ্চারা ব্যতীত অন্য কোনো ঋষি মুনি কারোরই বুদ্ধিতে এই জ্ঞান নেই। তাদের এই জ্ঞান নেই যে সুখ আলাদা, দুঃখ আলাদা। সুখ প্রদান করেন বাবা, দুঃখ দেয় রাবণ। তোমরা যে সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী ছিলে, তোমরাই ৮৪ -র চক্র পরিক্রমা করে শূদ্রবংশী হয়েছো। বাবা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন – তোমরা বিশ্বের মালিক ছিলে। তোমরা ৮৪ জন্ম ভোগ করে নীচে নেমেছো, তুচ্ছ বুদ্ধি, তমোপ্রধান হয়েছো। সতোপ্রধান আত্মাদের স্বচ্ছ উচ্চ বুদ্ধি বলা হয়। তমোপ্রধানদের ক্ষুদ্র বুদ্ধি বলা হয়। ক্ষুদ্র বুদ্ধির অধিকারীরা উচ্চ বুদ্ধিধারীদের নমন করে। এই কথা তোমরা জানতে না যে আমরাই উচ্চ ছিলাম, এখন আমরা ই ক্ষুদ্র বুদ্ধি হয়েছি। বাবা বুঝিয়েছেন, যে প্রথম নম্বরে জন্ম গ্রহণ করেছে সে-ই সতোপ্রধান হবে। ৮৪ জন্ম সূর্যবংশীরাই নেবে। এখন তোমরা বুঝেছো আমরা বিশ্বের মালিক ছিলাম তখন পবিত্র সতোপ্রধান ছিলাম। পতিতরা বিশ্বের মালিক হতে পারবে না। দেবতাদের মহিমা দেখো কেমন উচ্চ। সর্বগুণসম্পন্ন .. ত্রেতায় ১৪ কলা সম্পূর্ণ বলা হবে না। সূর্যবংশীকে ১৬ কলা সম্পূর্ণ বলা হবে। ১৪ কলার পাশে সম্পূর্ণ শব্দটি প্রযোজ্য নয়। সম্পূর্ণ ১৬ কলাদের জন্য লেখা হবে। এখন তোমরা বাচ্চারা ১৬ কলা সম্পূর্ণ হও।

এই কথাও বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে, এই জ্ঞান হল অতি সহজ, এর চেয়ে সহজ কোনো কথা হয় না। বাবা হলেন দয়ানিধি, তাই না। বাবা জানেন বাচ্চারা ভক্তি করতে করতে অনেক ধাক্কা খেয়ে ক্লান্ত হয়েছে, তাই দেখানো হয়েছে দ্রৌপদীর চরণ সেবা করছেন। বাবার কাছে বৃদ্ধা মাতা’রা আসে। বাবা বলেন তোমরা ভক্তি করে ধাক্কা খেয়ে ক্লান্ত হয়েছো, তাই বাবা এখন তোমাদের সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিচ্ছেন। ভক্তিতে রাম-রাম নাম করে, মালা জপ করে। বাবার সম্পর্ক পাদ্রীদের সাথেও ছিল। পাদ্রীরা বসে বাইবেল হাতে নিয়ে বোঝায়। অনেকে খ্রীস্টান হয়ে যায়। এখানে মালা জপ ইত্যাদি করার কথা নেই। বাবা বলেন – নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। শিব-শিব মুখে বলবে না। আমরা তো ধ্বনির ঊর্ধ্বে যাব। বাবা খুবই সহজ যুক্তি বলে দেন যে আমাকে স্মরণ করো তাহলে খাদ দূর হয়ে যাবে এবং গৃহস্থে থেকে পবিত্র হতে হবে। পদ্ম ফুলের নাম বিখ্যাত। অনেক বিশাল জায়গা জুড়ে থাকে, কিন্তু তবুও পৃথক ও প্রিয় হয়। তোমরাও বিষয় সাগরে থেকে পৃথক বা ডিট্যাচ এবং প্রিয় হয়ে থাকো। এ হল বিষয় সাগর, যাকে নদী বলা হবে না।

তোমরা বাচ্চারা অনেক বুদ্ধিমান হও, এই বোধের দ্বারা তোমরা মহারাজকুমার হয়ে যাও। তোমাদের তো অনেক খুশী অনুভব হওয়া উচিত। পুরুষার্থ করা উচিত, পুত্র অথবা কন্যা উভয়ের আত্মাকেই পুরুষার্থ করতে হবে। লৌকিক সম্বন্ধে বাবার সম্পত্তির অধিকার কেবল পুত্রদের প্রাপ্ত হয়, কন্যাদের নয়। এখানে সব আত্মাদের স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হয়। বাবা বোঝান স্মরণের যাত্রার দ্বারা তোমরা উঁচু পদমর্যাদা প্রাপ্ত করতে পারো। প্রদর্শনীতে সর্বপ্রথমে বাবার পরিচয় দিতে হবে তারপরে বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্তির কথা। প্রথমে এই নিশ্চয় পাক্কা করো যে ইনি হলেন তোমাদের অসীম জগতের পিতা। তাদেরকে বোঝাতে হবে ভগবান এক। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করও ভগবান নন, দেবতা। ভগবান হলেন পতিত-পাবন নিরাকার পিতা। তাঁর মহিমা আলাদা। আজকাল প্রদর্শনীতে ত্রিমূর্তির বিষয়টি বোঝানো হয়। উনি হলেন পিতা, ইনি দাদা। স্বর্গের অধিকার বা বর্সা পিতার কাছে প্রাপ্ত হয়। উনি নিরাকার তাঁর কাছে বর্সা প্রাপ্ত হবে কীভাবে! তিনি হলেন সর্বের রচয়িতা। ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করও হলেন রচনা। রচয়িতার দ্বারাই রচনা বর্সা প্রাপ্ত করে। শিববাবা হলেন নিরাকার , ব্রহ্মার দ্বারা স্বর্গের অধিকার রূপী বর্সা প্রদান করেন। রচয়িতা সবারই এক তাই গায়ন আছে সর্বের সদগতি দাতা এক। তাঁকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয়। বাকি তারা সবাই হল শাস্ত্রের অথরিটি। এই হলেন জ্ঞানের সাগর নিজেই অথরিটি। ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি নিজেই বলেন যে আমি বেদ শাস্ত্র জানি এবং তোমাদের সার অর্থ বুঝিয়ে বলি। এই সব হল ভক্তিমার্গের সামগ্রী যা সত্যযুগ ত্রেতায় থাকে না। ভক্তির দ্বারা সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হয়। সর্বশক্তিমান এক বাবাকেই বলা হয়। তাঁর সঙ্গে যোগযুক্ত হলেই আমরা পবিত্র হই সুতরাং তিনি হলেন সর্বশক্তিমান, তাইনা। আমাদের সবাইকে পতিত থেকে পবিত্র করেন। রাবণের রাজ্য থেকে মুক্ত করেন। তোমরা এখন শিববাবার থেকে শক্তি প্রাপ্ত করছো। যত বেশি স্মরণ করবে ততই শক্তি প্রাপ্ত হবে এবং খাদ দূর হবে। দিন রাত তোমাদের এই চিন্তা-ই থাকা উচিত যে, আমরা পতিত থেকে পবিত্র, তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হই। মায়ার ঝড়ঝঞ্ঝা আসবে। বাবা বলেন সতর্ক হয়ে থাকা উচিত। মায়ার সঙ্গেই তোমাদের যুদ্ধ। অনাবশ্যক বিকল্প অনেক আসবে। যা অজ্ঞান কালেও কখনো আসেনি হয়তো সেসবও আসবে। তোমরা যুদ্ধের ময়দানে আছো। পরিশ্রম শুধু স্মরণের যাত্রায়। ভারতের যোগ খুব বিখ্যাত। যোগের উদ্দেশ্যেই বাবা বোঝান যে তোমরা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। এমন করে কোনো মানুষ বোঝাতে পারে না। তারা বলে দেয় সব ভগবানের রূপ। যেদিকেই দেখি – পরমাত্মাই পরমাত্মা। বাবা বোঝান তোমরা হলে আত্মা, ৮৪ জন্ম ভোগ করো। যদি সব পরমাত্মা হয় তাহলে কি পরমাত্মা জন্ম-মরণের চক্রে আসেন ? আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্যটি ধারণ করে। আত্মায় ভালো খারাপ সংস্কার থাকে। সুসংস্কার ধারণকারীদের মহিমা করা হয়। কুসংস্কার ধারণকারীদের বলা হয় পাপী নীচ। বাবা পবিত্র হওয়ার সহজ যুক্তি বলে দেন। মন, বচন, কর্মে কাউকে দুঃখ দেবে না। নিজেকেও দুঃখ দেবে না। কোনো বিকর্ম, চুরি ইত্যাদি করা উচিত নয়। যদি কোথাও মিথ্যা বলতে হয় তবে বাবার কাছে পরামর্শ নাও। সবচেয়ে বড় পাপ হল – কাম কাটারী চালানো, সেইটি চালিও না।

বাবা বলেন – বাচ্চারা হাত দিয়ে কাজ করো কিন্তু বুদ্ধির যোগ আমার সঙ্গে যুক্ত করো। (হাত কার ডে…. বুদ্ধি ইয়ার ডে) অর্থাৎ হাত থাকবে কর্মে, বুদ্ধি বাবার স্মরণে। বাবা হলেন সার্জেনও। সকলের অসুখ একরকম হয় না। কর্মও একরকমের হতে পারে না। তাই প্রতিটি পদক্ষেপে জিজ্ঞাসা করা উচিত। লক্ষ্য খুব উঁচুতে। মানুষ যখন অমর নাথের যাত্রায় যায় তখন বলে অমর নাথের জয়, বদ্রিনাথের জয়। হে বদ্রিনাথ আমাদের রক্ষা করো। এখন তোমাদের তীর্থ যাত্রা ইত্যাদি কিছু করতে হবে না। এই জ্ঞানের কথা বাবা বোঝান। তাঁরই পার্ট। তোমরাও হলে বাবার সঙ্গে পার্টধারী। যে যত পড়াশোনা করবে ততই উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে। এতে কারো কোনো প্রশংসা নেই। প্রশংসা একমাত্র তাঁরই , যিনি সর্ব মানুষকে সদগতি প্রদান করেন। সকল সন্তানদের পতিত থেকে পবিত্র করেন। ড্রামাতে আমারও পার্ট আছে। ৫ টি তত্ত্বেরও নিজস্ব পার্ট আছে, সেসব প্লে করতে হবে। ভূমি কম্পিত হবে, বিনাশ হবে। তোমাদেরও ড্রামাতে পার্ট আছে, এতে প্রশংসার কথা নেই। রাজত্ব করতে করতে পতিত হয়েছো। তোমরাও প্রথমে কি ছিলে ? ওয়ার্থ নট এ পেনি অর্থাৎ কড়ি তুল্য। এখন তোমরা বিশ্বের মালিক হয়েছো, এই হল তোমাদের পার্ট তবুও আমাদের এমন হতেই হবে। এতে প্রশংসা বা মহিমার কোনো কথা নেই। এইরূপ ড্রামা নির্দিষ্ট আছে। বাবাও এসে নিজের পার্ট প্লে করেন। ভক্তরা স্তুতি গান করে, মহিমা গান করে, সেই কাজ আমরা করতে পারি না। এখানে তো বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা এই ড্রামার রহস্য তো খুব ওয়ান্ডারফুল! যা কেউ জানেনা। বাবা আমরা সত্যযুগে এই কথাও ভুলে যাব! খুবই বিচিত্র এই ড্রামা। এমন এমন করে নিজের সঙ্গে কথা বলো। কোনো পার্টধারী ভালো পার্ট প্লে করলে করতল ধ্বনি দেওয়া হয়। আমরাও বলি মিষ্টি বাবার, শিববাবার খুব ভালো পার্ট । আমরাও বাবার সঙ্গে ভালো পার্ট প্লে করি। তিনি কতো ভালো করে বোঝান, তবুও কেউ যদি বুঝতে না পারে তবে বোঝা উচিত যে আমাদের রাজধানীতে এরা আসবে না। এই কথাও জানো, যারা ব্রাহ্মণ হয়েছিল তারাই ব্রাহ্মণ হয়ে দেবতায় পরিণত হবে। দেবতাদেরও প্রজা ইত্যাদি সব থাকবে। সবারই অনাদি পার্ট রয়েছে। সৃষ্টিও একটি, যা চলতে থাকে। গড ইজ ওয়ান, ক্রিয়েশন ইজ ওয়ান। সেই চক্র আবর্তিত হয়। মানুষ খোঁজ করে, চাঁদে কি আছে ! তার উপরে কি আছে! তার উপরে সূক্ষ্মবতন। সেখানে কি দেখবে ? কেবলই লাইট আছে। অনেক চেষ্টা করে – বিজ্ঞানেরও একটি সীমা আছে, তাইনা। মায়ারও খুব আড়ম্বর আছে। বিজ্ঞান সুখের জন্যও আছে তো দুঃখের জন্যও । সেখানে বিমান দুর্ঘটনা ইত্যাদি কখনও হবে না। দুঃখের কথা নেই। এখানে তো কেবলই দুঃখ আছে। চোর লুটে নেবে, আগুনে পুড়ে যাবে। সেখানে বিশাল আকারে বাড়ি থাকে। এক একজন রাজার কাছে সম্পূর্ণ আবু সম জমি জায়গা থাকবে। তোমরা এসেছো স্বর্গবাসী হতে। বাবাকে স্মরণ করো তবে খাদ দূর হবে। তোমরা সবাই প্রেমিকা, এখন প্রিয়তম তোমাদেরকে বলছেন – মামেকম্ স্মরণ করো তো অমরপুরীর মালিক হয়ে যাবে। সেখানে অকালে মৃত্যু হয় না। সত্য যুগে হল শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া, এ হল ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া। অনেক বি. কে.রা বাবার কাছে স্বর্গের অধিকার নিচ্ছে। তোমরাও উত্তরাধিকার নিয়ে নাও। যদি শ্রীমৎ অনুসারে চলবে না তো উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। প্রতিটি ৫ হাজার বছর পরে বাবা স্বর্গ বানাতে আসেন। কলিযুগে অসংখ্য মানুষ, সত্যযুগে খুব কম সংখ্যায় থাকবে, সুতরাং বিনাশ অবশ্যই হবে, তাই মহাভারতের যুদ্ধ সামনে প্রতীক্ষারত । আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মন, বচন, কর্মের দ্বারা কাউকে দুঃখ দেবে না। কুসংস্কার দূর করে এখন সুসংস্কার ধারণ করতে হবে। কোনো বিকর্ম যেন না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।

২ ) এই বিচিত্র ড্রামায় নিজের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যকে দেখে নিজের সঙ্গে কথা বলতে হবে যে আমরা হলাম ভগবানের সঙ্গে পার্ট ধারণকারী। খুব ভালো আমাদের এই পার্ট।

বরদানঃ-

বাবার দ্বারা যে খাজানা গুলি প্রাপ্ত হয়, সেসব মনন করো তাহলে অন্তরে সমায়িত হয়ে যাবে। সম্পত্তি তো সবারই একরকম প্রাপ্ত হয়েছে কিন্তু যারা মনন করে, সেইসব আপন করে, তাদের সেই নেশা এবং খুশী থাকে। তাই বলা হয় – নিজেই মন্থন করো তাহলে নেশা বৃদ্ধি পাবে। যারা মননের নেশায় সদা মত্ত থাকে তাদের দুনিয়ার কোনো জিনিস, বিভ্রান্তি আকৃষ্ট করতে পারে না। তাদের দিব্য বুদ্ধির বরদান স্বতঃই প্রাপ্ত হয়ে যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top