28 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
27 October 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - দেরিতে এসেও তীব্রবেগে পুরুষার্থ করো, তাহলে অনেক আগে যেতে পারবে, অন্যের চিন্তা ছেড়ে নিজের পুরুষার্থে লেগে যাও"
প্রশ্নঃ --
কোন্ কর্তব্য একমাত্র বাবা’র, যা কোনো মানুষের হতে পারে না ?
উত্তরঃ -:-
মানুষকে দেবতা বানানো, তাদের শান্তিধাম, সুখধামের মালিক বানানো, এই কর্তব্য একমাত্র বাবার, যা কোনো মানুষ করতে পারে না। তোমাদের নিশ্চয় রয়েছে সঙ্গমেই আমরা ভগবানুবাচ শুনি। এখন স্বয়ং ভগবান কল্প পূর্বের ন্যায় রাজযোগ শেখাচ্ছেন।
ওম্ শান্তি। আত্মিক অসীম জগতের পিতা অসীমের আত্মিক বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। এই এক-একটি শব্দ অর্থাৎ জ্ঞান রত্ন লক্ষ লক্ষ টাকার। বাবা বুঝিয়েছেন – পরমাত্মাকে রূপ-বসন্ত বলা হয়। ওঁনার রূপও আছে, ওঁনার নাম হলো শিববাবা। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, যে জ্ঞানের দ্বারা সদগতি হয়। জ্ঞান হলো সম্পদ আবার জ্ঞান হলো অধ্যয়ন। এই জ্ঞান দেন – স্পীরিচুয়্যাল ফাদার। আত্মাকে বলা হয় – স্পীরিচুয়্যাল রুহ। ভক্তিমার্গে আত্মারা কত হোঁচট খায়, বাবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য ! তাঁকে খুঁজতে থাকে। তারা বিশ্বাসও করে ভগবান হলেন এক শিব, তবুও ধাক্কা খেতে থাকে। বাবা এসে বোঝাচ্ছেন যে, রুহানী বাচ্চারা, তোমরা তো হলে অবিনাশী, তোমরা পরমধামের নিবাসী, ওখান থেকে এখানে আসো পার্ট প্লে করার জন্য। তোমরা হলে দূরদেশের নিবাসী। এটা হলো ড্রামা, এর নাম হলো হার-জিতের খেলা। সুখ-দুঃখের খেলা। বাবা বোঝাচ্ছেন যে, আমি এবং তোমরা সবাই হলে শান্তিধামের নিবাসী, একে নির্বাণধামও বলা হয়। প্রথমে তো এটা নিশ্চয় করতে হবে যে, আমরা ওখানকার নিবাসী। আমাদের আত্মাদের স্বধর্ম হলো শান্তি। আত্মা বিন্দুর মধ্যে সম্পূর্ণ অবিনাশী পার্ট সঞ্চিত রয়েছে। বাবা পড়ান তোমাদের, তোমরা দুনিয়ার মানুষের চিন্তা করো। তোমাদের তো নিশ্চয় রয়েছে যে, ভগবান সঙ্গমেই এসে বলেন, অন্য কোনো সময়ে নয়। কেউই মানুষকে দেবতা বানাতে পারে না। শান্তিধাম, সুখধামের মালিক বানাতে পারে না। কল্প পূর্বেও বাবা বানিয়েছিলেন। এখন যিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ৫ হাজার পরেও তিনিই হবেন। সমগ্র দুনিয়ার যে দৃশ্য রয়েছে, ৫ হাজার বছর পরে রিপিট হবে। বৃদ্ধারা এতকিছু ধারণ করতে পারে না তাই তাদের বলা হয় কেবল তিনটি বিষয় স্মরণ করো – আমরা আত্মারা হলাম শান্তিধামের নিবাসী, আমরা সুখধামে আসি এবং তারপর অর্ধেক কল্প পরে যখন রাবণরাজ্য শুরু হয় তখন বিকারী হয়ে যাই, একে বলা হয় দুঃখধাম। যখন দুঃখধাম শেষ হতে চলে তখন বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করো। আমাকে আসতে হয় তোমাদের শান্তিধাম, সুখধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখন যারা এসে বাবার হয়েছে, তারা’ই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। লক্ষাধিক মানুষ
আসবে এবং কিছু না কিছু বাবার থেকে শুনবে, বুঝবে। বৃদ্ধি হতে থাকবে। সব জায়গায় গিয়ে তোমাদের বোঝাতে হবে। সংবাদপত্রের দ্বারাও অনেকে শুনবে, পাকিস্তানেও সংবাদপত্রের মাধ্যমে পড়বে। ওখানে বসেও এই জ্ঞান শুনবে। সারা দুনিয়ায় গীতার অনেক প্রচার রয়েছে। বাবা বলেন – মামেকম্ স্মরণ করো এবং উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। এই লেখা সংবাদপত্রেও পড়বে, এই কারণেও অনেকে ব্রাহ্মণ হবে। যারা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে চায় তারা তো অবশ্যই এসে প্রাপ্ত করবে। এখন সময় খুব অল্প রয়েছে, বৃদ্ধি হতে থাকবে। যারা দেরিতে আসবে তাদের তীব্র পুরুষার্থ করতে হবে। কল্প পূর্বে যারা স্বর্গবাসী হয়েছিল, তারা এখনও অবশ্যই হবে। এর মধ্যে সামান্যতম পার্থক্য থাকতে পারে না। শান্তিধাম নিবাসীরা শান্তিধামে যাবে। তারপর তারা তাদের নিজস্ব সময়ে পার্ট প্লে করতে আসবে। এখন বাবা বলছেন বাচ্চারা, আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা ঘরে পৌঁছে যাবে। সন্ন্যাসীরা মুক্তির জন্য মাথা ঠুকতে থাকে, এইজন্য তারা সবাইকে বলে একমাত্র মুক্তিই ভালো। সুখ তো কাক বিষ্ঠার সমান। তারা শাস্ত্রে লিখেছে সত্যযুগেও দুঃখের বিষয় ছিল, কিছুই বোঝে না। ওরা বলে যে, পরমাত্মাকে আসতে হবে। পতিত-পাবন পরমাত্মা এসো, এসে আমাদেরকে রাস্তা বলে দাও। অন্যদিকে ওরা বলে গঙ্গা হলো পতিত-পাবনী; গঙ্গাস্নান, যজ্ঞ-তপস্যা, তীর্থযাত্রা ইত্যাদি হলো ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পথ। যদি পরমাত্মাকে আহ্বান করো, তাহলে ধাক্কা কেন খাও ! এইসব হলো ভক্তিমার্গের অন্তর্গত। মানুষের যা মনে আসে তাই বলতে থাকে। কত পরিশ্রম করে পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য ! এখন ভগবানের সঙ্গে মিলিত হতে ভক্তরা যাবে নাকি ভগবানকে এখানে আসতে হবে ? পতিত আত্মারা তো যেতে পারবে না। বাবা আসেন নিয়ে যাওয়ার জন্য। সকল আত্মাদের পান্ডা কেবল একজন। তোমরাও পবিত্র হয়ে ওঁনার সঙ্গে চলে যাবে। সাজন ( প্রিয়তম ) তোমাদের জ্ঞান রত্নের দ্বারা সজ্জিত করছেন – মহারাজা-মহারানী বানানোর জন্য। ওরা বলে – কৃষ্ণ অনেকজনকে লুকিয়ে নিয়ে গিয়ে পাটরানী বানিয়েছিল। কিন্তু এই কথাগুলো তো কৃষ্ণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তোমরা বাচ্চারা জানো, আমরা স্বর্গের মহারানী হবো। তোমরাই স্বর্গবাসী ছিলে। এখন বাবা পুনরায় বানানোর জন্য এসেছেন। এটা হলো ৮৪ জন্মের বিষয়। ৮৪ লক্ষ জন্ম কেউ স্মরণ করতে পারবে না। ওরা সত্যযুগকে লক্ষ বছর বলে দিয়েছে, ত্রেতাযুগকে কম বছর বলেছে। এই হিসাব তো মিলছে না। বাবা কত সহজ করে বলেন কেবল দুটি বিষয় স্মরণ করতে হবে – অল্ফ এবং বে। তাহলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে, উড়তেও পারবে এবং উঁচু পদও প্রাপ্ত করবে। সুতরাং এই লক্ষ্য রাখা উচিত যে, যেভাবেই হোক বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মায়ার ঝড়ও আসবে, কিন্তু তোমরা পরাজিত হবে না। যদিও কেউ ক্রোধ করে তোমরা কিছু বলবে না। সন্ন্যাসীরা বলেন – মুখের মধ্যে তাবিজ লাগিয়ে দাও, তাহলে তারা বলতে বলতে চুপ হয়ে যাবে। বাবাও বলেন – কেউ ক্রোধ করে কথা বললে তোমরা শান্ত হয়ে দেখতে থাকো। যেকোনো পরিস্থিতিতে তোমাদেরকে শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবাকে স্মরণ করলেই উত্তরাধিকারও স্মরণে আসবে। তোমাদের অতিন্দ্রীয় সুখের গায়ন আছে, তোমরা ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের রাজকুমার-রাজকুমারী হও। ওখানে দুঃখের নাম-মাত্রও থাকবে না। তোমরা ৫০-৬০ জন্ম সুখ ভোগ করো, সুখের সময় বেশি। সুখ-দুঃখ সমান হলে কি লাভ হবে ! তোমাদের কাছে ধন-সম্পত্তিও অনেক থাকে। কিছু সময় আগে পর্যন্ত এখানেও আনাজ অনেক সস্তা ছিল। রাজাদের বিশাল রাজত্ব ছিল। বাবা দশ আনা প্রতি মণ দরে বাজরা বিক্রি করেছেন। তাহলে তার আগে আরও সস্তা ছিল। ওখানে কম সংখ্যক মানুষ থাকবে, অন্নের পরোয়া থাকবে না। এখন স্মরণে রাখা উচিত যে, প্রথমে আমরা ঘরে ফিরে যাব তারপর নতুন দুনিয়ায় এসে নতুন পার্ট প্লে করবো। ওখানে আমাদের শরীরও সতোপ্রধান তত্ত্বের মাধ্যমে তৈরি হবে। এখন পাঁচ তত্ত্ব সম্পূর্ণ তমোপ্রধান পতিত হয়ে গেছে। আত্মা এবং শরীর উভয়ই এখন পতিত। ওখানে শরীর রোগগ্রস্ত হয় না। এ’সব হলো বোঝার বিষয়। বাচ্চাদের এখানে খুব ভালোভাবে বোঝানো হয় – কিন্তু ঘরে গিয়ে সব ভুলে যায়। এখানে মেঘ ভরপুর হয়ে কত খুশি হয়, বাইরে যাওয়ার সাথে সাথে সব ভুলে যায়। আগে অনেক রাস-বিলাসিতা হতো। তারপর সব বন্ধ হয়ে গেল। মানুষ মনে করে – এখানে জাদু আছে। ভক্তিমার্গে যখন নৌধা ভক্তি (নয় প্রকারের ভক্তি অর্থাৎ ভক্তির পরাকাষ্ঠা) করতো তখন অনেক কষ্টকর সাক্ষাৎকার হতো। এখানে ভক্তির বিষয়ই নেই, বসে বসে সাক্ষাৎকারে চলে যায়, তাই তারা জাদু মনে করতো। আজকাল দুনিয়াতে কত ভগবান বানিয়েছে ! সীতারাম, রাধাকৃষ্ণ ইত্যাদি নাম রাখে। কোথায় সেই স্বর্গের মালিক আর কোথায় এই নরকবাসী ! এইসময়ে সবাই নরকবাসী হয়ে গেছে। সিঁড়ির চিত্রে স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। বাচ্চারা নিজেরা বিচার সাগর মন্থনের মাধ্যমে সিঁড়ির চিত্র বানিয়েছে। বাবা এটা দেখে খুশি হয়েছেন। সিঁড়ির চিত্রে সব বিষয় রয়েছে। দ্বাপরযুগ থেকে কীভাবে বিকারী রাজারা ভক্তি করতে করতে নীচে নেমেছে। এখন তাদের কোনো মুকুট নেই। চিত্রের মাধ্যমে বোঝানো সহজ হয়। ৮৪ জন্মে কীভাবে অবরোহণ কলা হয়, কীভাবে আবার আরোহণ কলা হয়। বলা হয়ে থাকে ‘উত্তরণ কলা, তার কারণেই হয় সকলের মঙ্গল’। বাবা এসে সকলকে সুখ প্রদান করেন। সকলে আহ্বান করে হে বাবা, আমাদের দুঃখ হরণ করো, সুখ প্রদান করো। কিন্তু কীভাবে তিনি দুঃখ হরণ করেন এবং কীভাবে সুখ প্রাপ্ত হয়, এটা কেউই জানে না। আজকাল মানুষ গীতা মুখস্থ করে শোনায়, সংক্ষেপে এর অর্থ বুঝিয়ে দেয়। সংস্কৃতে শ্লোক মুখস্থ করে শোনালে তারা বলে যে, এই মহাত্মা খুব ভালো। তারপর লক্ষাধিক মানুষ গিয়ে তাঁকে প্রণাম করে। ওই পড়াশোনায় ( লৌকিক পড়াশোনা ) তো ১৫-২০ বছর লেগে যায়। যদি কেউ খুব বুদ্ধিমান হয় দ্রুত শ্লোক ইত্যাদি পড়ে মুখস্থ করে নেয়, তারপর শোনাতে শুরু করে, তখন তার কাছে অনেক টাকাপয়সা হয়ে যায়। এ’সব হলো উপার্জনের পথ। যখন কেউ দেউলিয়া হয়ে যায় তখন গিয়ে সন্ন্যাস ধারণ করে। তার সমস্ত চিন্তাভাবনা দূর হয়ে যায়, কারণ কিছু না কিছু মন্ত্র ইত্যাদি স্মরণ করে, তারপর ঘুরে বেড়ায়। ট্রেনের মধ্যেও ঘুরে বেড়ায়। এখানে তো বাবা বলছেন, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। বাবা এবং সমস্ত আত্মারা নিরাকারী দুনিয়ায় থাকে। ওখান থেকে সাকারী দুনিয়ায় আসে পার্ট প্লে করতে। এখন নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে। তোমরা এখন তমোপ্রধান হওয়ার কারণে ফিরে যেতে পারবে না। এখন বাবা এসেছেন – তোমাদের সতোপ্রধান বানানোর জন্য। সবাই নিজের ঘরে ফিরে যাবে। এছাড়া স্বর্গে কেবল দেবী-দেবতাদের রাজ্য হবে। শান্তিধাম, সুখধাম, দুঃখধাম… কোন্ কোন্ সময়ে ছিল – এটাও কারো বুদ্ধিতে আসবে না কারণ গভীর অন্ধকারে রয়েছে। ওরা মনে করে কলিযুগের সমাপ্তি হবে প্রায় কয়েক হাজার বছর পরে। তাদের কোনো হিসাবই নেই। মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে, পর্যাপ্ত অন্ন পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও ৪০ হাজার বছর বাকি থাকলে জানা নেই কি হতো ! ওরা যা বলে সম্পূর্ণ মিথ্যা, সত্যির কণা মাত্রও নেই। এখন বাবা শেখাচ্ছেন রাবণের উপরে কীভাবে বিজয় প্রাপ্ত করবে। রাবণের উপরে তোমরাই বিজয় প্রাপ্ত করো। তিনি সমগ্র দুনিয়াকে রাবণের হাত থেকে মুক্ত করেন। তোমাদের শক্তিসেনা আছে, তোমরা এখন ভারতকে স্বর্গে পরিণত করছো। কত ভালো-ভালো বিষয় বোঝাচ্ছেন। সুতরাং তোমাদের বাবা এবং উত্তরাধিকারকে স্মরণ করে কত খুশিতে থাকা উচিত ! জ্ঞানমার্গে অনেক খুশির অনুভব হয়। এখন বাবা এসেছেন, এখন আমরা এই পুরানো দুনিয়া ছেড়ে যেতে চলেছি। বাবাকে স্মরণ করলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। নাহলে দন্ড ভোগ করতে হবে, তারপর সম্ভবত এক টুকরো রুটি পাবে, এতে কী লাভ ! যতটা সম্ভব নিজের পুরুষার্থ করতে হবে। শ্রীমৎ অনুসরণ করে চলতে হবে। প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার থেকে রায় নিতে হবে। কেউ কেউ বলে বাবা কাজ-কর্মে মিথ্যা বলতে হয়। বাবা বলেন – কাজ-কর্মে তো মিথ্যা থাকেই, তোমরা কেবল বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। এমন নয় যে, বিকারে লিপ্ত হয়ে তারপর বলবে, আমি তো বাবার স্মরণেই ছিলাম ! না, বিকারে লিপ্ত হলেই মৃত্যু হবে। বাবার সাথে তো প্রতিজ্ঞা করেছো তাই না ! পবিত্রতার জন্যই রাখী পরানো হয়। ক্রোধের জন্য কখনো রাখী পরানো হয় না। রাখী বন্ধনের অর্থই হলো, কখনো বিকারে লিপ্ত হবে না। মানুষ বলে, পতিত-পাবন এসো। বাচ্চারা, তোমাদের ভিতরে অনেক খুশি হওয়া উচিত। বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন, তারপর বাবা সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন, ওখান থেকে আমরা স্বর্গে যাবো। যতটা সম্ভব ভোরে উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবাকে স্মরণ করা অর্থাৎ উপার্জন করা, এতে আশীর্বাদের কী প্রয়োজন। এরকম কি আর বলা উচিত – তুমি আশীর্বাদ করো তাহলে আমরা স্মরণ করবো ! সবাইকে আশীর্বাদ করলে তো সবাই স্বর্গে চলে যাবে। এখানে তো পরিশ্রম করতে হবে। যতটা সম্ভব বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা মানেই উত্তরাধিকার। যত স্মরণ করবে তত রাজত্ব প্রাপ্ত করবে, স্মরণের দ্বারা অনেক লাভ হবে। এটা হলো সস্তা সওদা। এরকম সস্তা সওদা কেউ করতে পারে না। এটাও খুব কমজনই প্রাপ্ত করে।
আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) যখন কেউ ক্রোধ করে তখন খুব শান্ত থাকতে হবে। ক্রোধান্বিত ব্যক্তির সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে যাওয়া উচিত নয়। মায়ার কোনও প্রকারের ঝড়ের কাছে পরাজিত হবে না।
২ ) ভোরে উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, নিজের উপার্জন জমা করতে হবে। পবিত্রতার দৃঢ় রাখী বাঁধতে হবে।
বরদানঃ-
প্রতিনিয়ত যোগযুক্ত হয়ে থাকার জন্য পদ্ম ফুলের আসনে সর্বদা বিরাজমান থাকো, কমল আসনে তারা’ই স্থির থাকতে পারে যারা হালকা থাকে। কোনও প্রকারের বোঝা অর্থাৎ বন্ধন যেন না থাকে। মনের সংকল্পের বোঝা, সংস্কারের বোঝা, দুনিয়ার বিনাশী বস্তুর প্রতি আকর্ষণের বোঝা – যখন এই সমস্ত প্রকারের বোঝা সমাপ্ত হবে তখন কমল আসনে বিরাজমান নিরন্তর যোগী হতে পারবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!