27 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

27 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

26 October 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন শেখার (ঈশ্বরীয় অধ্যয়ন) সাথে-সাথে টিচার হয়ে শেখাতেও হবে, এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন শুধুমাত্র এই অন্তিম জন্মের জন্য, সেইজন্যই যথার্থ রীতিতে পড়াশোনা করো আর পড়াও"

প্রশ্নঃ --

সত্যযুগের রাজধানী কোন্ আধারের উপরে নির্ভর করে স্থাপন হয়ে থাকে ?

উত্তরঃ -:-

সঙ্গম যুগে ঈশ্বরীয় অধ্যয়নের আধারে স্থাপনা হয়ে থাকে। যে যথার্থ রীতিতে পঠন-পাঠন করে অথবা যার উপর বৃহস্পতির দশা চলে সেই সূর্যবংশে যায়। যে পড়াশোনা করে না, সার্ভিস করেনা, তার উপর বুধের দশা চলে, সেইজন্য বুদ্ধিহীন (বোকা)। সে প্রজাকূলে যায়। উচ্চ প্রজা, চাকর ইত্যাদি পদ এই সময়ের ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনের আধারেই তৈরি হয়।

ওম্ শান্তি । আত্মিক বাচ্চাদের অথবা আত্মাদের আত্মিক পিতা অর্থাত্ পরমাত্মা বসে বোঝাচ্ছেন। আত্মিক পিতাকে পরমাত্মা বলা হয়। সব আত্মাদের পিতা এক পরমপিতা পরমাত্মাই। তিনি এসে ব্রহ্মা শরীর দ্বারা বুঝিয়ে থাকেন। ভক্তি মার্গে মানুষ বলে ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা। তোমরা ব্রাহ্মণরা এমনটা বলবে না। তোমরা বলে থাকো ত্রিমূর্তি শিব অর্থাত্ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের রচয়িতা শিব। ত্রিমূর্তি ব্রহ্মার কোনো অর্থ হয়না। এই তিন দেবতার রচয়িতা হলেন শিব, সেইজন্যই ত্রিমূর্তি শিব বলা হয়। রচয়িতা একজন, বাকি সব তাঁর রচনা। অসীম জগতের পিতা একজনই। লৌকিক পিতা তো প্রত্যেকের নিজের-নিজের। এই সময় সবাই শিববাবার সন্তান হয়েছে। বাচ্চারা জানে, আমরা আত্মাদের ৮৪ চক্র ঘুরতে হবে। সুতরাং ৮৪ জন্মে ৮৪ জন পিতা হয় লৌকিকে। সত্যযুগেও মা -বাবা কোনো অনন্ত উত্তরাধিকার প্রদান করেন না। সত্যযুগের জন্য অনন্ত উত্তরাধিকার তো এখন তোমরা প্রাপ্ত করে থাক। ওখানে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজধানী আর যারা রাজত্ব করবে তাদের সন্তানরাই নিজের পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করবে। ওখানে অনন্ত সুখ। এই সময় তোমাদের অসীম জগতের পিতা অনন্ত জগতের মালিক করে তুলছেন। ২১ জন্মের জন্য সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে থাকো। সেখানে দুঃখের লেশ মাত্র নেই। বাম মার্গ শুরু হলেই দুঃখও শুরু হয়ে যায়। যে আসবে তাকেই বোঝাতে হবে তোমাদের দুইজন পিতা। ৮৪ জন্মে ৮৪ জন লৌকিক পিতা পেয়ে থাকো। অসীমের পিতা তো একজনই। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে এই বিচক্ষণতা এসেছে যে মূলবতন কি ! মূলবতন যা চিত্রতে দেখানো হয় সেগুলো বড়-বড় করে তৈরি করা উচিত, তার মধ্যে ছোট-ছোট আত্মারা নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করছে। যেমন প্রথমে তোমরা ফায়ার ফ্লাইয়ের (জোনাকি) হার তৈরি করতে, তেমনই এই মূলবতনেরও তৈরি করা উচিত। প্রোজেক্টর শো দেখানো হলে সেখানেও মূলবতনের চিত্র এমনই দেখানো উচিত। কল্প বৃক্ষ বড় হলে ক্লিয়ার (পরিষ্কার) দেখা যায় যে আমরা আত্মারা সেখানে থাকি। বাচ্চাদের বুঝতেও সুবিধা হবে। ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা, যিনি ব্রহ্মা দ্বারা দৈবী সম্প্রদায় স্থাপনা করছেন। তোমরা এখন ব্রাহ্মণ তারপর দৈবী গুণসম্পন্ন দেবতা হবে। এখন সবার মধ্যেই আসুরি গুণ, যাকে আসুরি অবগুণ বলা হয়। বাম মার্গ থেকে দুঃখ শুরু হয়। এমনটা নয় যে রজোপ্রধান হলেই চট করে দুঃখ নেমে আসে। তা নয়, ধীরে-ধীরে কলা হ্রাস পেতে থাকে। প্রধান চিত্র হলো ত্রিমূর্তি, গোলা আর নরক-স্বর্গের গোলা। এটাই প্রথমে বোঝানোর জন্য অবশ্যই জরুরী। কল্প বৃক্ষের ঝাড়ে অর্ধেক-অর্ধেক কল্পের মাপ সম্পূর্ণ রূপে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকুরেট হলে সম্পূর্ণ রূপে বোঝান যাবে। এই জ্ঞান বাবা ছাড়া আর কেউ ব্যাখ্যা করতে পারবেনা। প্রতি মুহূর্তে বোঝানোর জন্য ত্রিমূর্তির চিত্র অবশ্যই জরুরী। ইনি হলেন নিরাকার অসীম জগতের পিতা, যাঁকে সবাই স্মরণ করে। আত্মা জানে উনি আমাদের অসীম জগতের পিতা, দুঃখে সবাই তাঁকে স্মরণ করে থাকে। সত্যযুগে তাঁকে স্মরণ করার প্রয়োজন পড়ে না। ওটা হলো সুখধাম। দেবতারাই পুনর্জন্ম নিয়ে আসে। এই বিষয়ে কেউ-ই জানে না।

তোমরা জান – সতোপ্রধান থেকে আমরা পুনরায় কিভাবে সতো রজো তমোর মধ্য দিয়ে আসি। আত্মার মধ্যে খাদ পড়ে। তোমাদের আত্মা জানে আমাদের ৮৪ জন্মের ভূমিকা পালন করতে হবে। আত্মার মধ্যে অ্যাকুরেট পূর্ব নির্ধারিত হয়ে আছে। কত ছোট আত্মার মধ্যে সম্পূর্ণ পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। এ’হল অতি গুহ্য থেকে গুহ্য বোঝার বিষয়। মানুষ মাত্র কোনো সন্ন্যাসী ইত্যাদি কারো বুদ্ধিতেই এই বিষয় আসতে পারে না। যদিও নাটক বলে থাকে, কিন্তু নাটককে ড্রামা বলা যায় না। এটাই ড্রামা। ড্রামা, বায়োস্কোপ এইসব আগে ছিল না। প্রথমে মুভি (নির্বাক) ছিল, এখন টকী (শব্দে) হয়েছে। আমরা আত্মারাও সাইলেন্স থেকে শব্দে আসি। তারপর আবার শব্দ থেকে মুভিতে যাব এবং শেষে সাইলেন্সে যাব সেইজন্যই বাচ্চারা তোমাদের শেখানো হয় বেশি কথা বলো না। রয়াল মানুষ খুব ধীরে ধীরে কথা বলে। তোমাদের যেতে হবে সূক্ষ্মবতনে। সূক্ষ্মবতনের জ্ঞান বাবা এখন তোমাদের বুঝিয়েছেন। এ’হলো টকী দুনিয়া, ওটা হলো মুভি। ওখানে ঈশ্বরের সাথে বার্তালাপ চলে। সেখানে সাদা আলোর প্রকাশ, কোনো আওয়াজ নেই। সেখানে মুভির ভাষা একে অপরকে বোঝাতে পারে। সুতরাং তোমাদের যেতে হবে সাইলেন্সে ভায়া মুভি। বাবা বলেন আমাকে প্রথমে সূক্ষ্ম সৃষ্টি রচনা করতে হয় তারপর স্থূল ।

গাওয়াও হয়ে থাকে মূলবতন, সূক্ষ্ম, স্থূল….মানুষের তো এটাও জানা নেই যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর সূক্ষ্মবতনবাসী। সেখানে কোনো দুনিয়া নেই। শুধুমাত্র ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে দেখানো হয়। বিষ্ণুকে চার ভূজধারী দেখানো হয়েছে, এর থেকে প্রমাণ হয় যে প্রবৃত্তি মার্গ। সন্ন্যাসীদের হলো নিবৃত্তি মার্গ। এটাও ড্রামা, যার বর্ণনা করে বাবা বুঝিয়েছেন। মুখ্য বিষয় যা বাবা বলে থাকেন মন্মনাভব। বাকিটা বিস্তারিত। সেটা বুঝতে সময় লাগবে। সংক্ষেপে বীজ এবং বৃক্ষ আছে। বীজকে দেখলেই বুদ্ধি সম্পূর্ণ ঝাড়কে চিত্রিত করতে পারে। বাবা হলেন বীজরূপ, সৃষ্টি চক্রের আর কল্প বৃক্ষের সম্পূর্ণ নলেজ তাঁর মধ্যে রয়েছে। বোঝানোর জন্য সৃষ্টি চক্রের ব্যাখ্যা কল্প বৃক্ষ থেকে আলাদা। বৃক্ষে এইসব ছবি দেখানো হয়েছে। অন্য কোনও ধর্মের কাউকে এই বৃক্ষের চিত্র দেখালে বুঝতে পারবে যে সে স্বর্গে যেতে অক্ষম। প্রাচীন ভারতে শুধুমাত্র দেবী-দেবতারাই ছিল। বাকি সবাই শান্তিধামে থাকে। তোমরা বীজ আর বৃক্ষকে সম্পূর্ণ রূপে জেনেছ। বীজ সবার উপরে, যাঁকে বৃক্ষপতি বলা হয়। এখন তোমরা বাবার সন্তান হয়েছ সুতরাং তোমাদের উপরেও বৃহস্পতির অবস্থান চলছে। বৃহস্পতি দশাযুক্তরা সূর্যবংশীও হয়। বুধের দশাযুক্তরা প্রজাতে চলে যায়, সার্ভিস করতে পারে না। বাবাকে স্মরণ করতে পারে না নির্বুদ্ধিতার কারণে, এখানেও নম্বরানুসারে বুদ্ধিহীন হয়ে থাকে। কেউ উচ্চ প্রজা কেউ নিম্নমানের প্রজা। কোথায় বিত্তবান প্রজা তারপর কোথায় তাদের চাকর বাকর। সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরীয় অধ্যয়নের আধারের উপর নির্ভর করে। ঈশ্বরীয় পড়াশোনাতেও সতোগুণী, রজোগুণী, তমোগুণী হয়। রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। যে হুঁশিয়ার হয় সে বাবার স্মরণেই থাকে। সম্পূর্ণ ঝাড় বুদ্ধিতে থাকে। পড়াশোনা করেই টিচার, ব্যারিস্টার হয়। টিচার হয়ে অন্যদেরও পড়িয়ে থাকে। পড়াশোনা তো করে সবাই পড়াশোনা তো একটাই কিন্তু কেউ পড়ে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে, আবার কেউ সেখানেই টিচার হয়ে যায়। স্বয়ং বলেও থাকে টিচারের কাজ হলো নিজ-সম টিচার তৈরি করা। টিচার না হলে অন্যদের কল্যাণ কিভাবে করবে। সময় অল্প, যতক্ষণ পর্যন্ত বিনাশ না হবে ততক্ষণ শিখতে হবে। তারপর তো শেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর বাবা পুনরায় ৫ হাজার বছর পরে এসে জ্ঞান প্রদান করবেন। এই অধ্যয়ন শত-শত বছর ধরে চলবে না। এ’হলো অন্তিম জন্মের জন্য ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন। পড়তে হবে আর পড়াতেও হবে। সবাই তো টিচার হতে পারে না। যদি সবাই টিচার হয়ে যায় তবে তো অনেক উচ্চ পদ পাবে। নম্বরানুসারেই তো হয়। প্রথম-প্রথম বাবার পরিচয় দাও। চিত্র থাকলে ভালোভাবে বুঝবে। ত্রিমূর্তির চিত্র তো অবশ্যই সাথে থাকা উচিত। এই হলেন শিববাবা, ইনি হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা। সবার গ্রেট-গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার। তিনি নিশ্চয়ই প্রথমে এসেছিলেন তাইনা। সবার প্রথমে ব্রহ্মা। এখন রচনা করে চলেছেন। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ হয়েছ তারপর ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হবে। ব্রাহ্মণদের ঝাড় ছোট হয়।দেবতারা অল্প সংখ্যক হয় তারপর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এখন তোমাদের নতুন ঝাড় স্থাপন হচ্ছে। অন্যান্য ধর্মের আত্মারা তো উপর থেকে আসে – ওদের ভূমিকা পালন করতে, পড়ে যাওয়ার বিষয় নয়। এখানে তোমাদের নতুন ঝাড় স্থাপন হচ্ছে। মায়াও সামনে। তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতেই হবে। ট্রান্সফার হতে হবে কেননা দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে, সেইজন্য পরিশ্রম হয়। দেবী-দেবতা ধর্ম এখানে সঙ্গম যুগেই স্থাপনা হয়।তোমরা সত্যযুগের আয়ু কত বছরের সেটাও বলে থাকো। বলে থাক যে সত্যযুগ থেকে কলিযুগ কিভাবে হয়। কলিযুগে তমোপ্রধান তো হতেই হবে। তমোপ্রধান হলে তবেই তো আবার সতোপ্রধান হবে। তোমরা সতোপ্রধান ছিলে তারপর খাদ পড়তে শুরু হয়েছে। এখন যদিও কোনো নতুন আত্মা ২-৩ জন্ম গ্রহণ করে তবুও চট করে খাদ পড়ে যায়। সেইজন্যই সুখ আর দুঃখ ভোগ করে থাকে। কারো একটা জন্মও হয়ে থাকে। যখন আত্মাদের আসা বন্ধ হয়ে যাবে তখনই বিনাশ হবে। তারপর সব আত্মাদের ফিরে যেতে হবে। পাপ আত্মা আর পুণ্য আত্মা সবাই একত্রে যায়। তারপর পুণ্য আত্মারা নীচে নামতে থাকে। সঙ্গমেই সব পরিবর্তন হয়। সুতরাং বাচ্চাদের সম্পূর্ণ ড্রামা বুদ্ধিতে থাকা উচিত। বাবার কাছে সম্পূর্ণ নলেজ আছে না ! বাবা বলেন আমিই এসে সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্তের সম্পূর্ণ রহস্য বুঝিয়ে থাকি। ভক্তি মার্গে কেউ-ই এই জ্ঞান শোনায় না। ভক্তরা স্মরণ করলে তাদের সাক্ষাত্কার করিয়ে থাকি। ভক্তি মার্গ শুরু হলে তখন আমারও ভূমিকা শুরু হয়। সত্যযুগ ত্রেতায় আমি বাণপ্রস্থে থাকি। বাচ্চাদের সুখের রাজত্ব করতে পাঠিয়ে দিয়েছি আমার আর কি ! আমি বাণপ্রস্থ নিই। এই বাণপ্রস্থ নেওয়ার রীতিও ভারতেই আছে। অসীম জগতের পিতা বলেন আমি বাণপ্রস্থে বসে পড়ি। অসীম জগতের পিতা এসেই গুরু রূপে বাণপ্রস্থে নিয়ে যান। মানুষ গুরুর সঙ্গ নিয়ে থাকে – ভগবানের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য। শাস্ত্র পড়বে,তীর্থে যাবে,গঙ্গা স্নান করবে। কিন্তু প্রাপ্তি কিছুই নেই। এখন তোমরা অসীম জগতের পিতাকে পেয়েছ।তিনি দুঃখ থেকে মুক্তি দিয়ে, রাবণ রাজ্য থেকে বের করে রামরাজ্যে নিয়ে যান। অসীম জগতের পিতা একবারই এসে রাবণের দুঃখ থেকে মুক্ত করে থাকেন, সেইজন্য তাঁকে মুক্তিদাতাও বলা হয়। সত্যযুগে হলো রামরাজ্য। বাকি আত্মারা সব শান্তিধামে চলে যায়। এটাও কেউ জানেনা। আমি আত্মার স্বধর্মই হলো – শান্ত ।

এখানে ভূমিকা পালন করতে-করতে অশান্ত হয়ে যায় তারপর শান্তির কথা মনে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে তো শান্তিধাম নিবাসী। এখন বলে থাকে আমার শান্তি চাই । মনে শান্তি চাই। বোঝান হয় – আত্মা মন -বুদ্ধি সমেত। আত্মার স্বধর্মই হলো শান্ত স্বরূপ এখানে আসে কর্ম করতে। এখানে শান্তি কিভাবে পাবে। এটা তো হচ্ছেই অশান্তিধাম। সত্যযুগে সুখ শান্তি দুই-ই বিরাজমান। পবিত্রতাও থাকে, ধন দৌলতও থাকে।

বাবা বোঝান তোমাদের কত সুখ-শান্তি, ধন দৌলত ইত্যাদি সবকিছু ছিল। এখন তোমাদের অন্যদেরও বোঝাতে হবে। যারা কল্প পূর্বে উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছিল তারাই যথার্থ রীতিতে বোঝার চেষ্টা করবে। যদিও দেরিতে আসে কিন্তু পুরানোদের থেকেও এগিয়ে যায়। দেরি করে আসে যারা তারা অনেক ভালো পয়েন্টস পেয়ে থাকে। প্রতিদিন জ্ঞানের পয়েন্টস সহজ হতে থাকে। এটাও বুঝতে পারবে যে এখন আমরা তো সব বুঝেছি এখন আমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। এরজন্য তীব্র পুরুষার্থ করতে লেগে পড়বে কেননা বুঝতে পারবে সময় অল্প, যতটা সম্ভব পুরুষার্থ করতে হবে। মৃত্যুর আগে আমি পুরুষার্থ করে নেব। তারা নিজেদের চার্টও রেখে থাকবে। পড়াশোনা তো সহজ। আর থাকলো স্মরণ করার বিষয়। গাওয়াও হয়ে থাকে – প্রভাতে মন রামের সিমরণ (স্মরণ) করে থাকে….. আত্মা বলে হে আমার মন, রামকে স্মরণ করো। ভক্তি মার্গে তো এটাও কেউ জানেনা যে রাম কে। ওরা রঘুপতি রাঘব রাজারাম বলে থাকে। কত ভুলভ্রান্তি করেছে। সবার ভগবান রাম কে, মানুষ কিছুই বোঝেনা। সময় নষ্ট, টাকাপয়সা নষ্ট করে থাকে। বাচ্চারা তোমাদের আমি রাজ্য ভাগ্য দিয়েছিলাম, সেইসব কোথায় গেছে ? ৫ হাজার বছর পূর্বে তোমাদের স্বর্গের রাজত্ব দিয়েছিলাম, সেইসব কিভাবে হারিয়ে ফেলেছ ? এখন তোমরা বুঝতে পেরেছ – কিভাবে আমরা নীচে নেমে এসেছি। এখন আবার উত্তরণ করতে হবে। উত্তরণের কলা এক সেকেন্ডে, অবতরণের কলা ৫ হাজার বছরের। ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু হতে এক সেকেন্ড, বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা হতে ৫ হাজার বছর লাগে। কত পয়েন্টস বোঝান হয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এখন টকী থেকে মুভি, মুভি থেকে সাইলেন্সে যেতে হবে, সেইজন্য খুব কম কথা বলতে হবে। সত্যতার সাথে খুব ধীরে কথা বলতে হবে।

২ ) নলেজ বোঝার পরে তীব্র পুরুষার্থ করে সতোপ্রধান হতে হবে। স্মরণের চার্ট রাখতে হবে।

বরদানঃ-

স্মরণের দ্বারা যে শক্তি প্রাপ্ত হয়, তাকে চমত্কার মনে করে প্রয়োগ করা উচিত নয় কর্তব্য মনে করে কার্যে ব্যবহার করতে হবে। ওই সব (লৌকিক দুনিয়াতে) মানুষদের কাছে রিদ্ধি সিদ্ধির চমত্কার থাকে কিন্তু তোমাদের কাছে আছে শ্রীমৎ । শ্রীমতের দ্বারা শক্তি অবশ্যই প্রাপ্ত হয়ে থাকে সেইজন্য সঙ্কল্পও সিদ্ধ হয়। সঙ্কল্প দ্বারা কাউকে কার্যে প্রেরণা দিতে পার, এটাও শক্তি কিন্তু শ্রীমতে যেন মনমতের মিশ্রণ না হয় তবেই গায়ন আর পূজন যোগ্য হতে পারবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top