24 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
23 October 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"দিব্যতা হল সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণদের শৃঙ্গার"
আজ দিব্য বুদ্ধি বিধাতা, দিব্য দৃষ্টি দাতা তাঁর দিব্য জন্মধারী, দিব্য আত্মাদেরকে দেখছেন। বাপদাদা প্রতিটি বাচ্চার দিব্য জীবন অর্থাৎ দিব্য সংকল্প, দিব্য বোল, দিব্য কর্ম করে থাকা দিব্য মুর্তি বানিয়েছেন। দিব্যতা হল তোমরা সঙ্গমযুগী বাচ্চাদের শ্রেষ্ঠ শৃঙ্গার । এক হল সাধারণত্ব, দ্বিতীয় হল দিব্যতা। দিব্যতার লক্ষণ গুলি তো তোমরা সবাই জানো। দিব্য-জীবনধারী আত্মাকে দিব্য নয়ন দ্বারা অর্থাৎ দৃষ্টির দ্বারা সাধারণত্বের ঊর্ধ্বে দিব্য অনুভূতি করাবে। সম্মুখে আসার সাথে সাথেই সাধারণ আত্মা নিজের সাধারণত্বকে ভুলে যাবে। কেননা বর্তমান সময় অনুসারে বর্তমানের সাধারণ জীবনে মেজরিটি আত্মাই সন্তুষ্ট নয়। এর পরে গিয়ে শুনবে যে, এ কি কোনো জীবন হল, জীবনে কিছু নতুনত্ব চাই।
“অলৌকিকতা”, “দিব্যতা” হল জীবনের বিশেষ আধার – এমন অনুভব করবে। কিছু চাই, কিছু চাই – এই ‘চাওয়া’র তৃষ্ণার থেকে চতুর্দিকে খুঁজবে। যেমন স্থূল জলের জন্য পিপাসার্ত হয়ে মানব ছটফট করতে থাকে আর এক ফোঁটা জলের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে, ঠিক সেই রকমই দিব্যতার তৃষ্ণার্ত আত্মারা চারিদিকে আঁচলাটুকু নেওয়ার জন্য ছটফট করছে দেখতে পাওয়া যাবে । ছটফট করতে করতে কোথায় উপস্থিত হবে ? তোমাদের কাছে। এই রকম দিব্যতাতে ভরপুর হয়েছ ? সব সময় দিব্যতার অনুভব হয় ? নাকি কখনো কখনো সাধারণ কখনো দিব্য ? বাবা যখন দিব্য দৃষ্টি, দিব্য বুদ্ধির বরদান দিয়ে দিয়েছেন তখন সাধারণ বিষয় আসতে পারে না। দিব্য জন্মধারী ব্রাহ্মণ শরীরের দ্বারা সাধারণ কর্ম করতে পারে না। লোকেদের কাছে হয়ত দেখে মনে হবে সাধারণ কর্মই। অন্যদের মতোই তোমরা সব কাজকর্ম করছো, ব্যাবসাপত্র করছো বা সরকারী চাকরী করছো, মায়েরা খাবার বানাচ্ছে। দেখতে সব সাধারণ কর্মই, কিন্তু সাধারণ কর্ম হলেও তোমাদের কর্ম হবে অন্য লোকেদের থেকে আলাদা, “অলৌকিক”, দিব্য কর্ম যেন হয়। মহান প্রভেদ এই কারণেই বলেছি যে, দিব্য জন্মধারী ব্রাহ্মণ শরীরের দ্বারা সাধারণ কর্ম করবে না, তারা মনেও সাধারণ সংকল্প করতে পারে না, ধনকেও সাধারণ রীতিতে কাজে লাগাতে পারে না। কারণ তন-মন-ধন – তিনেরই ট্রাস্টি তোমরা, সেইজন্য মালিক বাবার শ্রীমৎ বিনা কার্যে লাগাতে পারে না। সব সময় বাবার শ্রীমৎ দিব্য কর্ম করবার জন্যই প্রাপ্ত হয়।
সেইজন্য চেক করো যে, সারা দিনে সাধারণ বোল আর কর্ম কতখানি সময় ছিল আর দিব্য অলৌকিক কতখানি সময় ছিল ? কোনো কোনো বাচ্চা কখনো কখনো খুব ভোলা হয়ে যায় । চেক তো করে কিন্তু ভোলা-ভালা ভাবে। মনে করে – সারাদিন তো কোনো বিশেষ ভুল তো করিনি, কোনো খারাপ কাজ তো করিনি, খারাপ কথা তো বলিনি। কিন্তু এটা চেক করেছো কি যে, দিব্য বা অলৌকিক কর্ম করেছি ? কেননা সাধারণ বোল বা কর্ম জমা হয় না, না মুছে যায়, না জমার জন্য তৈরী হয়। বর্তমানের দিব্য সংকল্প বা দিব্য বোল এবং কর্ম ভবিষ্যতের জন্য জমা করে। জমার খাতায় বৃদ্ধি পায় না। সুতরাং জমা করবার জন্য হিসাবে ভোলা হয়ে যায় – আমি তো ওয়েস্ট করিনি ভেবেই খুশী হয়ে যায়। কিন্তু এতেই খুশী হয়ে গেলে চলবে না ওয়েস্ট করনি কিন্তু বেস্ট কতটা বানিয়েছো ? অনেক সময় বাচ্চারা বলে- আমি আজকে কাউকেই দুঃখ দিইনি। কিন্তু সুখ দিয়েছো কী ? দুঃখ দাওনি এর দ্বারা বর্তমানকে ভালো বানিয়েছো। কিন্তু সুখ দিলে জমা হয়। সেটা করেছো কি ? নাকি বর্তমানেই খুশী হয়ে গেছো ? সুখদাতার বাচ্চারা সুখের খাতা জমা করে। কেবল এটা চেক ক’রো না যে, দুঃখ দিইনি কিন্তু কতটা সুখ দিয়েছি ? যারাই সম্পর্কে আসবে মাস্টার সুখদাতার দ্বারা প্রত্যেক কদমে সুখের অনুভূতি যাতে করে। একেই বলা হয় ‘দিব্যতা বা অলৌকিকতা’। অতএব চেকিংও সাধারণের পরিবর্তে গূহ্য চেকিং করো। সব সময় এই স্মৃতি রাখো যে, এক জন্মে ২১ জন্মের খাতা জমা করতে হবে। তাই সব খাতা চেক করো – তনের দ্বারা কতখানি জমা করেছো ? মনে দিব্য সংকল্পের দ্বারা কতখানি জমা করেছো ? আর ধনকে শ্রীমৎ অনুসারে শ্রেষ্ঠ কার্যে নিয়োজিত করে কতখানি জমা করেছো ? জমার খাতার দিকে বিশেষ অ্যাটেনশন দাও। কারণ তোমরা হলে বিশেষ আত্মা, তোমাদের জমা করবার সময় এই ছোট জন্মটি ছাড়া সমগ্র কল্পে আর কোনো সময়ই হয় না। অন্য আত্মাদের হিসাব হল আলাদা। কিন্তু তোমরা আত্মাদের জন্য – “এখন নয় তো কখনোই নয়” । তাহলে বুঝতে পেরেছো যে কী করতে হবে ? এতে ভোলা হয়ো না। বাপদাদা রেজাল্ট দেখেছেন। কোন্ কোন্ বিষয়ে জমার খাতা খুবই কম, তা বিস্তারিত ভাবে পরে শোনাবো।
সকলে স্নেহে সব কিছু ভুলে গিয়ে এখানে পৌঁছে গেছে। বাপদাদাও বাচ্চাদের স্নেহ দেখে এক মুহূর্তের স্নেহের রিটার্ন অনেক মুহূর্তের প্রাপ্তির দিয়ে যেতেই থাকেন। তোমাদের সবাইকে এত বড় সংগঠনে আসার অনুমতি দেওয়ার জন্য কত বিষয়েই না নিশ্চিত করানো হয়েছে। আগে তো পটরানী (মেঝেতে গদি বিছিয়ে শুতে হবে, floor-queen) হতে হবে । ৪ দিনই কেবল থাকতে পারবে। যাওয়া আর আসা। এ’সব কিছু শুনেও স্নেহের টানে পৌঁছে গেছো। এটাও নিজেদের লাক মনে করো যে, এতটাও পাচ্ছো। অন্তত জড় মূর্তিকে দর্শন করবার মতো তো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রাত কাটাতে হবে না। তিন পা পৃথিবী তো সবাই পেয়েছো তাই না ! ওখানেও আরামেই বসে আছো। যখন আরও বৃদ্ধি হতে থাকবে, তখন স্বততঃই বিধিরও পরিবর্তন হতে থাকবে। কিন্তু সর্বদা এই অনুভব করো যে, যা কিছু পাওয়া যাচ্ছে, তা খুবই ভালো। কেননা বৃদ্ধি তো হবেই আর পরিবর্তনও হবেই। তো সবাই আরামে থাকা – খাওয়া সব ঠিক মতো পাচ্ছো তো ? খাওয়া আর শোয়া – এই দুটো তো চাইই। মায়েদের তো খুব আনন্দ হয়, কারণ তৈরী খাবার পেয়ে যাচ্ছে। ওখানে তো বানাও, ভোগ লাগাও – তারপর খাও। এখানে তৈরী খাবার, ভোগ লাগানো খাবার পাওয়া যাচ্ছে। সেইজন্য মায়েদের তো ভালোই আরাম হয়ে যাচ্ছে। কুমারীরাও আরাম পেয়ে যাচ্ছে। কেননা তাদের জন্যও খাবার বানানোটাই অনেক বড় প্রব্লেম। এখানে তো আরামে তৈরী খাবার খেয়েছো তাই না ! সর্বদা এই রকমই ইজি থাকো। যার সংস্কার ইজি থাকার হয়, তাদের সকল কার্য সহজ অনুভব হওয়ার কারণে তারা ইজি থাকে। সংস্কার যদি টাইট হয় তখন সরকমস্ট্যান্সও (পরিস্থিতি) টাইট হয়ে যায়, সম্বন্ধে-সম্পর্কের যারা তারাও টাইট ব্যবহার করে। টাইট অর্থাৎ সংঘর্ষের মধ্যে থাকা। তাহলে সকলে ড্রামার সকল দৃশ্যকে দেখে দেখে আনন্দে থাকো তো, তাই না ? নাকি কখনো ভালো – মন্দ’র আকর্ষণে এসে যাও না তো ? না ভালোতে না মন্দে – কোনো কিছুর প্রতি আকৃষ্ট না হওয়া। সর্বদা আনন্দে থাকতে হবে। আচ্ছা।
সদা প্রতিটি কদমে দিব্যতা অনুভবকারী আর অন্যকেও করাতে পারা দিব্য মূর্তিদেরকে সদা নিজের জমার খাতাকে বৃদ্ধিকারী নলেজফুল আত্মাদেরকে, সদা সকল সমস্যাকে ইজি পার করতে পারে – এইরকম সুবুদ্ধিসম্পন্ন বাচ্চাদেরকে, অনেক আত্মাদের জীবন-পিপাসা তৃপ্তকারী মাস্টার জ্ঞান সাগর শ্রেষ্ঠ আত্মাদেরকে জ্ঞান সাগর বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।
বম্বে গ্রুপ : – বম্বে নিবাসী বাচ্চারা তোমরা সর্ব খাজানাতে সম্পন্ন তো ? সদা নিজেকে আমি সম্পন্ন আত্মা – এই রকম অনুভব করো তাই না ? সম্পন্নতা হল সম্পূর্ণতার লক্ষণ । সম্পূর্ণতার চেকিং নিজের সম্পন্নতার দ্বারা করতে পারো, কেননা সম্পূর্ণতা মানে সকল খাজানাতে ফুল হওয়া। যেমন চন্দ্রমা যখন সম্পন্ন (পূর্ণ চন্দ্রকলা) হয়, সেটাই হল তার সম্পূর্ণতার লক্ষণ। এর থেকে বড় আর সে হবে না, ব্যস্ এতটাই তার সম্পূর্ণতা। এতটুকুও কম থাকে না, সম্পন্ন তখন। তো তোমরা সবাই জ্ঞান, যোগ, ধারণা, সেবা – সবেতেই সম্পন্ন, একেই সম্পূর্ণতা বলা হয় । এর দ্বারা তোমরা জানতে পারবে যে, সম্পূর্ণতা সমীপে রয়েছে নাকি দূরে। সম্পন্ন হওয়া অর্থাৎ সম্পূৰ্ণতার সমীপ হলে। তাহলে তোমরা সবাই সমীপ ? কতখানি সমীপ ? ৮ এর ? ১০০ র নাকি ১৬০০০ র ? ৮ এর সমীপে, তারপর ১০০ র সমীপে আর এরপর ১৬০০০ এর সমীপে। আমরা কোনটির সমীপে – এটাই চেক করতে হবে। বেশ ভালো। তবুও দুনিয়ার কোটি কোটি আত্মাদের মধ্যে তোমরা হলে অনেক অনেক ভাগ্যবান। তারা হতাশায় ছটফট করার দলে আর তোমরা হলে সম্পন্ন আত্মা । প্রাপ্তি স্বরূপ আত্মা তোমরা। এই খুশী তোমাদের আছে তো ? রোজ নিজের সাথে কথা বলো যে আমরা যদি আনন্দে না থাকি তাহলে আর কে থাকবে ? অতএব এই বরদান সদা স্মৃতিতে রাখবে যে, আমরা হলাম সমীপ তাই সম্পন্ন। এখন তো সমীপ মিলনও হয়ে গেছে । যেমন স্থূল ভাবে সমীপে থাকতে ভালো লাগে, তেমনই স্থিতিতে সদা সমীপ অর্থাৎ সদা সম্পন্ন হও। আচ্ছা ।
গুজরাট – পুনা গ্রুপ : – সকলে দৃষ্টির দ্বারা শক্তি গুলির প্রাপ্তির অনুভূতি করবার অনুভাবী তো তোমরা, তাই না ? যেমন বাণীর দ্বারা শক্তির অনুভূতি করে থাকো। মুরলী যখন শোনো তখন তোমাদের মনে হয় না – শক্তি সঞ্চার হচ্ছে ? এই রকমই দৃষ্টির দ্বারা শক্তি গুলির প্রাপ্তির অনুভুতির অভ্যাসী হয়েছো নাকি বাণীর দ্বারা অনুভব হয়ে থাকে, দৃষ্টির দ্বারা কম ? দৃষ্টির দ্বারা শক্তি ক্যাচ্ করতে পারো ? কেননা ক্যাচ্ করবার অভ্যাসী হলে তখন অন্যদেরকেও নিজের দৃষ্টির দ্বারা অনুভব করাতে পারবে। পরে গিয়ে বাণীর দ্বারা সকলকে পরিচয় দেওয়ার সময়ও থাকবে না আর সেই পরিস্থিতিও থাকবে না । তখন কী করবে ? বরদানী দৃষ্টির দ্বারা, মহাদানী দৃষ্টির দ্বারা মহাদান, বরদান দেবে। দৃষ্টির দ্বারা শান্তির শক্তি, প্রেমের শক্তি – সুখ বা আনন্দের শক্তি সব প্রাপ্ত হয়ে থাকে। জড় মূর্তির সামনে যখন যায়, জড় মূর্তি তো কথা বলে না তাই না ? তা সত্ত্বেও ভক্ত আত্মাদের কিছু না কিছু প্রাপ্তি হয়ে থাকে, তবেই তো যায় তাই না ! কীভাবে প্রাপ্তি হয় ? তাদের দিব্যতার ভাইব্রেশনের দ্বারা আর দিব্য নয়নের দ্বারা দৃষ্টিকে দেখে ভাইব্রেশন নিয়ে থাকে। যে কোনো দেবতা বা দেবী মূর্তির বিশেষ অ্যাট্রেকশন নয়নেই থাকে। ফেস বা চেহারার দিকে অ্যাটেনশন যায়, কারণ ললাটের দ্বারা ভাইব্রেশন প্রাপ্ত হয়, নয়নের দ্বারা দিব্যতার অনুভূতি হয়। সেটা তো হল জড় মূর্তি। কিন্তু কার ? তোমরা চৈতন্য মূর্তির জড় মূর্তি সেগুলি। এই নেশা কি তোমাদের থাকে যে এ হল আমাদের মূর্তি ? চৈতন্য অবস্থায় সেবা করেছিল, তবেই তো জড় মূর্তি তৈরী হয়েছে । তো দৃষ্টির দ্বারা শক্তি নেওয়া, এই প্র্যাক্টিস করো। শান্তির শক্তির অনুভূতি অত্যন্ত শ্রেষ্ঠ । যেমন বর্তমান সময়ে সায়েন্সের শক্তির কতখানি প্রভাব রয়েছে ! প্রত্যেকে অনুভব করে, কিন্তু সায়েন্সের শক্তি কোথা থেকে এসেছে ? সাইলেন্সের শক্তির থেকেই না ? যখন সায়েন্সের শক্তি অল্প কালের জন্য প্রাপ্তি করাতে পারে, তবে সাইলেন্সের শক্তি কতখানি প্রাপ্তি করাবে ? অতএব বাবার দিব্য দৃষ্টির দ্বারা নিজের মধ্যে শক্তি জমা করো। তখন জমা হয়ে থাকলে সময় মতো দিতে পারবে। নিজের জন্যই জমা করলে আর কাজে লাগিয়ে দিলে অর্থাৎ উপার্জন করলে আর খেয়ে ফেললে। যে উপার্জন করল আর খেয়ে শেষ করে দিল, তার কখনোই জমা হয় না। আর যার জমার খাতা তৈরী হয় না সময় কালে সে ধোঁকা খেয়ে যায়। ধোঁকা খেলে তো দুঃখেরই প্রাপ্তি হবে। এমনি এমনি সাইলেন্সের শক্তি জমা হবে না, দৃষ্টির মহত্ত্বের অনুভব না হলে লাস্ট সময়ে শ্রেষ্ঠ পদ প্রাপ্ত করার ক্ষেত্রে ধোঁকা প্রাপ্তি হয়। তারপর দুঃখ হবে, অনুশোচনা হবে। সেইজন্য এখন থেকেই বাবার দৃষ্টির দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া শক্তি গুলিকে অনুভব করে জমা করতে থাকো। জমা করতে জানো তো ? জমা হয়েছে কিনা তার লক্ষণ কী হবে ? নেশা থাকবে। যেমন বিত্তশালী মানুষের ওঠা বসা চলা ফেরার মধ্যে একপ্রকারের নেশা দেখতে পাওয়া যায়, যত বেশী নেশা ততই খুশী থাকে। আর এখানে হল রুহানী নেশা। এই নেশাতে থাকলে খুশী স্বতঃতই থাকবে। খুশীই হল জন্ম-সিদ্ধ অধিকার। সদা খুশীর ঝলকের দ্বারা অন্যদেরকেও রুহানী ঝলক দেখাতে পারার মতো হয়ে ওঠো। এই বরদানকে সদা স্মৃতিতে রাখবে। যা কিছুই হয়ে যাক – খুশীর বরদানকে হারিয়ে ফেলো না। সমস্যা আসবে আরও আসবে, কিন্তু খুশী যেন হারিয়ে না যায়। কেননা খুশী হল আমাদের জিনিস, সমস্যা হল পরিস্থিতি, অন্যদের থেকে আগত। নিজের জিনিসকে তো সব সময় সাথেই রাখে, তাই না ? পরের জিনিস তো আসবেও আর যাবে। পরিস্থিতি হল মায়ার, নিজের নয়। নিজের জিনিসকে হারায় না কেউ। সুতরাং খুশীকে হারিও না। যদি শরীরও চলে যায়, কিন্তু খুশী যেন না যায়। খুশীতে থেকে যদি শরীরও চলে যায়, আরও ভালো মিলবে। পুরানো যাবে নতুন পাবে, তো গুজরাত আর মহারাষ্ট্রের ভাই বোনেরা এই মহানতায় সব সময় থাকবে। খুশীতে মহান হবে। আচ্ছা।
অন্ধ্রপ্রদেশ – কর্ণাটক গ্রুপ : – এই ড্রামার মধ্যে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী বিশেষ আত্মা আমরা – এইরূপ অনুভব করে থাকো ? যখন নিজেকে বিশেষ আত্মা মনে করো, তাহলে যিনি তোমাকে এইরূপ বানিয়েছেন সেই বাবার স্মরণ স্বতঃতই থাকে আর সহজও মনে হয়। কেননা ‘সম্বন্ধ’ হল স্মরণের আধার । যেখানে সম্বন্ধ থাকে সেখানে স্মরণ স্বতঃত সহজ হয়ে যায়। যখন সর্ব সম্বন্ধ এক বাবার সাথেই হয়ে গেছে তখন আর কেউই থাকে না। এক বাবা-ই হলেন সর্ব সম্বন্ধী – এই স্মৃতির দ্বারা সহজযোগী হয়ে গেলে। কখনো কঠিন বলে মনে হয় কি ? যখন মায়ার আঘাত নেমে আসে তখন কঠিন বলে মনে হয় কি ? মায়াকে চিরকালের জন্য বিদায় দিতে পারার মতো হয়ে ওঠো। যখন মায়াকে বিদায় দেবে তখন বাবার অভিনন্দন তোমাদেরকে অনেক দূর এগিয়ে দেবে। ভক্তি মার্গে কতো বার প্রার্থনা করেছো যে, আশীর্বাদ করো, ব্লেসিংস্ দাও। কিন্তু এখন বাবার থেকে ব্লেসিংস্ নেওয়ার সহজ উপায় তোমাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে – যত মায়াকে বিদায় দেবে ততই ব্লেসিংস্ স্বতঃতই প্রাপ্ত হবে। পরমাত্ম-আশীর্বাদ এক জন্ম নয় অনেক জন্মকে শ্রেষ্ঠ বানিয়ে দেয় । সর্বদা এটা স্মৃতিতে রাখবে যে, আমরা প্রতিটি কদমে বাবার, ব্রাহ্মণ পরিবারের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করে সহজে উড়তে থাকবো। ড্রামাতে তোমরা হলে বিশেষ আত্মা, বিশেষ কর্ম করে অনেক জন্মের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালনকারী আত্মা তোমরা। সাধারণ কর্ম নয় বিশেষ কর্ম, বিশেষ সংকল্প আর বোল যেন হয়। তো অন্ধ্রপ্রদেশের যারা রয়েছো, তোমরা বিশেষ এই সেবা’ই করো যে, নিজের শ্রেষ্ঠ কর্মের দ্বারা, নিজের শ্রেষ্ঠ পরিবর্তনের দ্বারা অনেক আত্মাদেরকে পরিবর্তন করো। নিজেকে আয়না বানাও আর তোমার আয়নাতে যেন বাবাকে দেখতে পাওয়া যায়। এইরকম বিশেষ সেবা করো। সুতরাং এটাই স্মরণে রাখবে যে, আমি হলাম দিব্য আয়না, আমি আয়নার দ্বারা বাবাকেই যেন দেখতে পাওয়া যায়। বুঝতে পেরেছো ? আচ্ছা।
বরদানঃ-
সবথেকে শ্রেষ্ঠ তখ্ৎ হল বাপদাদার দিলতখ্ৎ নশীন হওয়া। কিন্তু এই আসনে বসার জন্য অচল, অটল, একরস স্থিতির আসন চাই। যদি এই স্থিতির তখ্ৎ-এ স্থিত না হতে পারো তবে বাপদাদার হৃদয় রূপী আসনে স্থিত হতে পারবে না। তার জন্য নিজের ভ্রুকুটির আসনে অকালমূর্তি হয়ে স্থিত হয়ে যাও, এই আসন থেকে বারে বারে টলোমলো না হলে তবে বাপদাদার হৃদয়ে বিরাজমান হতে পারবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!