22 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 21, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - মায়াকে ভয় করবে না, মায়া যতই বিস্মৃত করার চেষ্টা করুক তোমরা কিন্তু ক্লান্ত হবে না, অমৃতবেলায় উঠে স্মরণে থাকার পুরোপুরি পুরুষার্থ করো”

প্রশ্নঃ --

পুরুষার্থে বেশি নম্বর কোন্ বাচ্চারা প্রাপ্ত করে ?

উত্তরঃ -:-

যে বাচ্চারা বাবার কাছে সম্পূর্ণ সমর্পণ করে অর্থাৎ নিজেকে বলিদান করে, তারা-ই সবচেয়ে এগিয়ে যায়। বাবার কাছে বাচ্চারা সমর্পিত হয় এবং বাচ্চাদের কাছে বাবা । তোমরা নিজের দেহ অভিমানের বিকার, পুরানো তন-মন-ধন বাবাকে দান কর আর বাবা তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী দেন তাই বাবাকে দীনের নাথ বলা হয়। গরিব ভারতকেই দান করতে বাবা এসেছেন।

গান:-

নয়নহীনকে পথ দেখাও প্রভু…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি, অতি মিষ্টি, এমনই বলা হবে তাইনা ! অসীমের পিতা এবং অসীম ভালোবাসা। বলেন মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা গীত শুনলো। পথ এক বাবাই দেখান। ভক্তিমার্গে পথ বলে দেওয়ার কেউ নেই। সেখানে ঠোক্কর খেতেই থাকে। এখন পথ খুঁজে পাওয়া গেছে তবুও মায়া বাবার সঙ্গে বুদ্ধিযোগ লাগাতে দেয় না। তারা বুঝতে পারে এক বাবাকে স্মরণ করলে আমাদের সব দুঃখ দূর হয়ে যাবে, চিন্তার কোনো কথা থাকবে না, তবুও ভুলে যায়। বাবা বলেন – নিজেকে আত্মা মনে করে আমি পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ করো। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর তাইনা। তিনিই হলেন গীতা জ্ঞান দাতা। স্বর্গের বাদশাহী বা সদগতি প্রদান করেন। কৃষ্ণকে জ্ঞানের সাগর বলা হবে না। সাগর তো একটিই । এই পৃথিবীর চারিদিকে সাগরই সাগর। সমগ্র সাগর একটিই। পরে সাগরের বিভাজন হয়েছে। তোমরা বিশ্বের মালিক হও তখন সমস্ত সাগর, পৃথিবীর মালিক তোমরা হও। কেউ এমন বলতে পারে না এই ভাগটি আমার, আমাদের সীমায় প্রবেশ করবে না। এখানে তো সাগরেও টুকরো করে দিয়েছে। তোমরা বুঝেছো সারা বিশ্বই ভারত ছিল, যার মালিক তোমরা ছিলে। গীতও আছে বাবা তোমার কাছে আমরা বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করি যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। এখানে দেখো জল নিয়েও বিরোধ। একে অপরকে জল প্রদান করতে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হয়। বাচ্চারা তোমাদেরকে বিশ্বের রাজত্ব কল্প পূর্বের মতন প্রাপ্ত হচ্ছে। বাবা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র দিয়েছেন। জ্ঞান দাতা হলেন পরমপিতা পরমাত্মা। এই সময় এসে জ্ঞান প্রদান করেন। সত্য যুগে লক্ষ্মী-নারায়ণের কাছে এই জ্ঞান থাকবে না। যদিও এমন বলবে পূর্ব জন্মের জ্ঞানের দ্বারা এই স্বরূপ ধারণ করেছি। তোমরাই ছিলে। তোমরা বলো বাবা তুমি সেই। তুমি আমাদের বিশ্বের মালিক বানিয়েছিলে। বাবা বলেন আমার মৎ কোনো বিশাল নয়। জাগতিক দুনিয়ার পড়াশোনা তো বিশাল আকারের হয়। এই পড়াশোনা তো খুব সহজ। রচয়িতা ও রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জেনে তোমরা অন্যদের বলতে থাকো। কীভাবে ৮৪-র চক্র আবর্তিত হয়। এখন ফিরে যেতে হবে বাবার কাছে। এই কথাও বাবা বলেছেন – মায়ার ঝড় অনেক আসবে, সেসবে ভয় করবে না। সকালে উঠে বসবে, বুদ্ধি অন্য চিন্তায় চলে যাবে। দুই মিনিটও স্মরণে থাকতে পারবে না। বাবা বলেন ক্লান্ত হবে না। আচ্ছা এক মিনিট স্মরণে ছিলে, এবারে কাল বসবে, পরশু বসবে। মনে মনে এই কথাটি পাকা নিশ্চয়ই করো যে আমাদেরকে স্মরণ করতে হবে। যদি কেউ বিকার গ্রস্ত হয় তবে অনেক ঝড় তো আসবে। পবিত্রতা হল মুখ্য। আজ এই দুনিয়া হল পতিত বেশ্যালয়। কাল পবিত্র শিবালয় হবে। জানো যে এই হল পুরানো শরীর। বাবাকে স্মরণ করতে থাকলে যে কোনো সময়ে শরীর ত্যাগ করলেই স্বর্গে যাওয়ার উপযুক্ত হবে। বাবার কাছে কিছু জ্ঞান তো শুনেছো তাইনা। এমনও আছে যারা এখান থেকে পালিয়েছে তবুও পুনরায় এসে নিজের অধিকার প্রাপ্ত করছে। এই কথাও বোঝানো হয়েছে অন্তিম সময়ে যেমন মতি সেই অনুসারেই গতি হবে । যদি কেউ শরীর ত্যাগ করে, জ্ঞানের সংস্কার নিয়ে যায় তখন শৈশব থেকেই সেইদিকে টান থাকবে। যদিও ইন্দ্রিয় গুলি ছোট, কথাও বলবে না কিন্তু আকৃষ্ট হবে। শৈশব থেকেই সংস্কার ভালো থাকবে। সুখদায়ী হবে। আত্মাকেই বাবা শেখান, তাইনা। যেমন বাবা মিলিটারিদের দৃষ্টান্ত দেন। সংস্কার নিয়ে যায় তখন সেনায় ভর্তি হয়ে যায়। যেমন শাস্ত্র পাঠ করার সংস্কার নিয়ে গেলে ছোট থেকেই শাস্ত্র মুখস্থ হয়ে যায়। তাদের মহিমাও হয়। সুতরাং এখান থেকে যারা যায় ছোট থেকেই তাদের মহিমা হয়। আত্মাই জ্ঞান ধারণ করে তাইনা। যা কিছু বাকি থাকে সেসব হিসেব নিকেশ পূর্ণ করতে হয়। স্বর্গে তো আসবে তাইনা। বাবার কাছে এসে মালেকম্ সেলাম করবে। প্রজা তো অনেক অনেক তৈরী হবে। বাবার কাছে অধিকার প্রাপ্ত করবে। পরে বলবে – ওহো প্রভু তোমার লীলা….। এখন তোমরা বুঝেছো – ওহো বাবা তোমার লীলা ড্রামা প্ল্যান অনুসারে এমন। বাবা তোমার অ্যাক্ট সকল মানুষ মাত্রের চেয়ে পৃথক। যারা বাবার ভালো সার্ভিস করে তাদের পুরস্কারও ভালোই প্রাপ্ত হয়। বিজয় মালায় গাঁথা হয়। এ হল রূহানী জ্ঞান, যা আত্মা রূপী বাবা, আত্মাদের প্রদান করেন। মানুষ সব শরীরের স্মরণেই থাকে, বলবে শিবানন্দ, গঙ্গেশ্বরানন্দ …. ইত্যাদি গণ এই জ্ঞান দিয়েছেন । এইখানে তো নিরাকার শিববাবা জ্ঞান প্রদান করেন। আমি হলাম সর্বোচ্চ । আমি আত্মার নাম শিব। শিব পরমাত্মায় নমঃ বলা হয়। পরে ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করকে বলবে দেবতায় নমঃ…. এনারাও হলেন রচনা, তাদের কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না। তোমরা নিজেদের মধ্যে হলে ভাই-ভাই। ভাইকে স্মরণ করলে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে না। এই ব্রহ্মা বাবাও হলেন তোমাদের ভাই, উনিও স্টুডেন্ট তাইনা। পড়াশোনা করেছেন, এনার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হবে না। তিনি তো নিজেই অধিকার নিচ্ছেন শিববাবার কাছে। সর্বপ্রথমে ইনি শোনেন। বাবাকে বলেন বাবা আমি তোমার প্রথম নম্বরের সন্তান। তোমার কাছে আমরা কল্প-কল্প স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করি। কল্প-কল্প আমি হই তোমার রথ । শিবের রথ ব্রহ্মা। ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরীর স্থাপনা। তোমরা ব্রাহ্মণরাও সহযোগ কর পরে তোমরা মালিক হবে। এখন তোমরা জানো আমরা ৫ হাজার বছর পূর্বের মতন বাবার দ্বারা রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করি, যারা কল্প পূর্বে রাজ্য ভাগ্য নিয়েছে, তারাই আসবে। প্রত্যেকের পুরুষার্থ দ্বারা প্রমাণিত হয় – কে কে মহারাজা-মহারানী হবে, কে কে প্রজা হবে। শেষ কালে তোমাদের সব সাক্ষাৎকার হবে। সম্পূর্ণ নির্ভর করছে পুরুষার্থের উপরে। সমর্পিত হতে হয়। বাবা বলেন – আমি হলাম দীনের নাথ। তোমরা গরিবরাই আমার কাছে সমর্পিত হও। দান সর্বদা গরিবদেরই করা হয়। যদি কেউ কলেজ নির্মাণ করে, তা কিন্তু গরিবকে দান করা হল না। তা ঈশ্বরের প্রতি দানও হল না, কিন্তু দান তো করলো তাইনা। কলেজ খুলে দিলে তার ফল প্রাপ্ত হয়। পরের জন্মে ভালো পড়াশোনা করবে। এই আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়। ভারতেই সবচেয়ে বেশি দান পুণ্য হয়। এইসময় তো অনেক দান করা হয়। তোমরা বাবাকে দান কর। বাবা তোমাদের দান করেন। তোমাদের কাছ থেকে দেহ অভিমানের বিকার নিয়ে তোমাদেরকে বিশ্বের বাদশাহী প্রদান করেন। এই সময় তোমরা তন-মন-ধন সব বাবাকে দান করে দাও। তারা মৃত্যুর সময় উইল লিখে যায়। অমুক আশ্রমে দান করো বা আর্য সমাজ নেবে। বাস্তবে দান গরিবদের করা দরকার, যারা ক্ষুধার্ত । এখন ভারত হল গরিব তাইনা। স্বর্গে ভারত অনেক সমৃদ্ধশালী থাকে। তোমরা জানো সেখানে যত আনাজ ধন ইত্যাদি তোমাদের কাছে থাকে সেসব আর কারো কাছে থাকে না। সেখানে তো টাকা লাগে না। এক মুঠো চাল দান করে তার পরিবর্তে ২১ জন্মের জন্য মহল প্রাপ্ত হয়। সম্পত্তিও প্রাপ্ত হবে। এখন তত্ত্ব ইত্যাদি সব তমোপ্রধান হওয়ার কারণে দুঃখ দেয়, সেখানে তত্ব ইত্যাদি সতোপ্রধান থাকে। তোমরা জানো – সত্য যুগে কে-কে আসবে। তারপরে দ্বাপরে অমুকেরা আসবে। কলিযুগের অন্তে ছোট-ছোট শাখা মঠ পন্থ ইত্যাদি বেরোতেই থাকে তাইনা। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে বৃক্ষ, ড্রামা ইত্যাদির নলেজ আছে। বাবার পার্টও তোমরা জানো। মহাভারতের যুদ্ধে দেখানো হয় – ৫ পাণ্ডব বেঁচে থাকে। আচ্ছা, তারপরে কি হয়েছিল ? নিশ্চয়ই যারা রাজযোগ শিখেছে তারা-ই গিয়ে রাজ্য করবে তাইনা। পূর্বে তোমরা কি কিছু জানতে ? বাবাও গীতাপাঠ করতেন। নারায়ণের ভক্তি করতেন। গীতার প্রতি খুব ভালোবাসা শ্রদ্ধা ছিল। ট্রেনে যাত্রা করার সময়েও গীতাপাঠ করতেন। এখন দেখেন কিছুই বোঝেন নি, বাক্সে জমেছে কেবল নুড়ি পাথর। ভক্তিমার্গে যা কিছু করেছে তাতেও উদ্ধার তো হয়নি। দুনিয়ায় অনেক কলহ বিবাদ। এখানেও তো সবাই পবিত্র হতে পারে না, তাই ঝগড়া হয়। বাবার শরণে এলেও অসুখ বিসুখ আরও উথলে বেরোবে। সন্তান ইত্যাদি স্মরণে আসবে, এতে নষ্ট মোহ হতে হয়। বুঝতে হবে আমরা মৃত। বাবার আপন হয়েছি অর্থাৎ দুনিয়ার জন্য মৃত স্বরূপ। তারপরে দেহের অনুভূতিও থাকে না। বাবা বলেন – দেহ সহ যে সম্বন্ধ গুলি আছে, সেসব ভুলে যেতে হবে। এই দুনিয়ায় যা দেখছো সেসব যেন কিছুই নয়। এই পুরানো শরীর ত্যাগ করতে হবে। আমাদের ঘরে ফিরতে হবে। ঘরে ফিরে গিয়ে পুনরায় এসে নতুন দেহ ধারণ করবো। এখন শ্যাম বর্ণ পরে সুন্দর হবো। ভারত এখন শ্যাম, পুনরায় সুন্দর হবে। এখন ভারত হল কাঁটার জঙ্গল। সবাই একে অপরকে কাঁটা বিদ্ধ করে। কোনো কথায় মাথা খারাপ হলে গালাগালি করে, লড়াই করে। বাচ্চারা, তোমাদেরকে ঘরেও খুব মিষ্টি হয়ে থাকতে হবে। নাহলে মানুষ বলবে এরা তো ৫ বিকার দান করেছে তাও ক্রোধ কেন করে। বোধহয় ক্রোধের দান করেনি। বাবা বলেন – বাচ্চারা, ঝুলিতে ৫ বিকারের দান করো তাহলে তোমাদের গ্রহণ দূর হবে। চন্দ্রমাতে গ্রহণ লাগে তাইনা। তোমরাও এখন সম্পূর্ণ হও। তাই বাবা বলেন এই বিকারগুলি দান করে দাও। তোমরা স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত কর। আত্মা , বাবার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। আত্মা বলে এই পুরানো দুনিয়ায় কম সময় আছে। কর্মের বোঝা নামাতে হবে। চিন্তা ইত্যাদি সব অর্পণ করে দেওয়া উচিত। বাবা জানেন অনেক রকমের চিন্তা আসবে। ব্যবসা ইত্যাদির চিন্তা আসবে। ভক্তিমার্গে ভক্তি করার সময়ে গ্রাহক, ব্যবসা ইত্যাদি স্মরণে এলে নিজেকে নিজে চিমটি কাটে। এখন নারায়ণের স্মরণে বসে আছি তাহলে এইসব কথা স্মরণে আসছে কেন! ঠিক সেইরকম এইখানেও হয়। যখন এই রুহানী সার্ভিসে ভালোভাবে নিয়োজিত হয়ে যাবে তখন বোঝানো হয় – আচ্ছা ব্যবসা ইত্যাদি ত্যাগ করো। বাবার সার্ভিসে ব্যস্ত থাকো। বলাও হয় ত্যাগ করলেই মুক্তি। দেহ-অভিমানের ত্যাগ করো। শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করো তাহলেই বানর থেকে মন্দিরের উপযুক্ত হয়ে যাবে। ভ্রমরী, কচ্ছপ ইত্যাদির উদাহরণ গুলি বাবা দেন যা ভক্তিমার্গে তারা দৃষ্টান্ত দেয়। এখন তোমরা জানো কারা হল কীট। তোমরা হলে ব্রাহ্মণী। তোমরা ভূঁ ভূঁ কর। এই দৃষ্টান্তটি এখনকার। তারা বলতে পারে না। উৎসব ইত্যাদি সবই এই সময়ের। সত্যযুগ ত্রেতায় কোনো উৎসব নেই। এই সব হল ভক্তি মার্গের। দেখো কৃষ্ণ জয়ন্তী ছিল। মাটির কৃষ্ণ বানিয়ে, পূজা করে পরে নদীতে ভাসান দেয়। এখন তোমরা বুঝেছো যে এরা কি করে। এ হল অন্ধশ্রদ্ধা। তোমরা কাউকে বোঝাবে, তারা বুঝবে না। কারো অসুখ হলে বলবে দেখো তোমরা কৃষ্ণের পূজা করা বন্ধ করেছো তাই এই অসুখ হয়েছে। এমন অনেকে আশ্চর্যজনকভাবে শুনে, অন্যকে শোনায়ও তারপর ভাগন্ত হয়ে যায়। তাই ব্রাহ্মণদের মালা তৈরি হয় না। উঁচু থেকে উঁচুতে হল এই ব্রাহ্মণ কুল ভূষণ। কিন্তু তাদের মালা তৈরি হতে পারে না। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে এই হল শিববাবার মালা, পরে আমরা গিয়ে সত্যযুগে ক্রমানুসারে বিষ্ণুর মালার মুক্তো হবো। তোমাদের এক একটি শব্দ এমন যে কেউ বুঝতে পারে না। বাবা পড়াতে থাকেন। বৃদ্ধি হতেই থাকে। প্রদর্শনীতে অনেকে আসে। তারা বলে আমরা এসে বুঝবো তারপরে ঘরে ফিরলেই শেষ হয়ে যায়। সেখানকার সব সেখানেই থেকে যায়। তারা বলে ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার খুব ভালো পথ বলে দেয়। কিন্তু আমরা সেই পথে চলে, স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করি সে কথা বুদ্ধিতে আসে না। খুব ভালো সেবা করছে ব্রহ্মাকুমারীরা । শুধুমাত্র এইটুকুই, আরে তোমরাও তো বুঝে নাও। জাগতিক সেবা করতে থাকো। এখন এই রূহানী অর্থাৎ আত্মিক সেবা করো। সমাজের সেবা তো সব মানুষই করতে থাকে। ফ্রী তে তো কেউ সেবা করে না। নাহলে খাবে কীভাবে। এখন তোমরা বাচ্চারা খুব ভালো সেবা কর। ভারতের জন্য তোমাদের দয়া হয়। আমাদের ভারত কি ছিল তারপরে রাবণ কিরূপ দুর্গতিতে এনেছে। এখন আমরা বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলে স্বর্গের অধিকার অবশ্যই নেবো।

এখন তোমরা জানো আমরা হলাম সঙ্গমযুগী, বাকি সবাই হল কলিযুগী। আমরা ওই পারে যাই। যারা বাবার স্মরণে ভালো ভাবে থাকবে তারা এমন বসে বসে স্মরণ করতে করতে শরীর ত্যাগ করবে। তখন আত্মা আর ফিরে আসবে না। বসে থেকে বাবার স্মরণে চলে গেছে। এখানে হঠযোগ ইত্যাদির কথা নেই। যেমন দেখো ধ্যান করতে বসে থেকেই চলে যায়, তেমনই তোমরাও বসে থেকেই এই শরীর ত্যাগ করবে। সূক্ষ্ম বতনে গিয়ে তারপরে বাবার কাছে চলে যাবে। যারা স্মরণের যাত্রা করার পরিশ্রম করবে তারা এমন করে শরীর ত্যাগ করবে। সাক্ষাৎকার হয়ে যায়। যেমন শুরুতে তোমাদের অনেক সাক্ষাৎকার হয়েছে তেমনই শেষ সময়েও তোমরা অনেক কিছু দেখবে। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মন্দির যোগ্য হওয়ার জন্য দেহ-অভিমান ত্যাগ করতে হবে। রুহানী সেবায় ব্যস্ত থাকতে হবে।

২ ) এখন ঘরে অর্থাৎ পরম ধামে ফেরার সময় তাই যা হিসেব নিকেশ আছে, ব্যবসা ইত্যাদির চিন্তা আছে, সেসব অর্পণ করে দিতে হবে। স্মরণের যাত্রা করতে পরিশ্রম করতে হবে।

বরদানঃ-

যোগযুক্তের নিদর্শন হল – বন্ধনমুক্ত। যোগ যুক্ত হতে সবচেয়ে বড় অন্তিম বন্ধন হল – নিজেকে বুদ্ধিমান ভেবে নিয়ে শ্রীমৎকে নিজের বুদ্ধির কেরামতি ভেবে নেওয়া অর্থাৎ শ্রীমতে নিজের বুদ্ধি মিক্স করা, যাকে বুদ্ধির অভিমান বলা হয়। ২- যখন কেউ কোনোরকম দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয় অথবা খারাপ কর্ম করে – যদি সেই সময় একটুও ব্যর্থ সঙ্কল্প চলে তবে সেও হল বন্ধন। যখন এই বন্ধন গুলি ক্রস করে হার-জিত, নিন্দা-স্তুতিতে সমান স্থিতি বানাবে তখন বলা হবে সম্পূর্ণ বন্ধনমুক্ত।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top