18 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 17, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা কত দূর থেকে তোমাদের পড়াতে আসেন, পড়ানোর বেতনও নেন না, তাহলে কত প্রেমপূর্বক পড়াশোনা করা উচিত"

প্রশ্নঃ --

আধ্যাত্মিক গভর্নমেন্ট সমগ্র দুনিয়ার জন্য অবৈতনিক (ফ্রি) স্কুল খুলেছে — কেন ?

উত্তরঃ -:-

কারণ সকলেই অনাথ, দরিদ্র হয়ে গেছে। বাবা এইরকম গরীব বাচ্চাদের থেকে কি আর বেতন নেবেন । এই অন্তিম জন্মে বাবা এমন পড়া পড়ান যার ফলে তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে যাও। নতুন নতুন যে বাচ্চারা পড়ার জন্য আসে তাদেরও কোনো লোকসান হয় না। যদিও পরে এসেছে কিন্তু অল্প পরিশ্রম করে পুরোনোদের থেকেও আগে চলে যেতে পারে।

গান:-

জাগো সজনীরা জাগো….

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা-রূপী বাচ্চারা এই গান শুনেছে। আধ্যাত্মিক বাবা বলেছেন, এখানে তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের আত্ম-অভিমানী হয়ে বসতে হবে। পরমপিতা পরমাত্মা আর বাচ্চারা এখন এসে মিলিত হয়েছে। একে বলা হয় এই সৃষ্টিতে আত্মা আর পরমপিতা পরমাত্মার মেলা। এই মেলা একবারই হয়। আধাকল্প সত্যযুগ-ত্রেতায় কেউ ডাকেই না। বাচ্চারা, তোমরা সুখী থাকো, যে সুখ এখন তোমরা পাচ্ছো। তোমরা প্রথমে সতোপ্রধান ছিলে, এখন তমোপ্রধান পতিত হয়ে পড়েছো, পুনরায় বাবা পবিত্র বানিয়ে দেন। যখন পূজারী হও তখন দুঃখী হয়ে যাও। ৫ বিকারের কারণেই দুঃখ হয়। যেমন-যেমনভাবে সিড়িতে নামতে থাকো ততই দুঃখী হতে থাকো। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে দুঃখের পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে। এই পুরোনো দুনিয়ার এখন বিনাশ হয়ে যাবে। তোমাদের বুদ্ধি জানে — বাবা হলেন নিরাকার, তিনি শিক্ষক হয়ে আমাদের শালগ্রামেদের পড়ান। বলে বাছারা, আমি পুনরায় তোমাদের বিশ্বের মালিক বানাতে আসি। ৫ হাজার বছর পূর্বেও তোমরা স্বর্গের মালিক ছিলে, স্মরণে তো রয়েছে না! সঙ্গমেই তোমাদের বানিয়েছিলাম। এখন পুনরায় তোমাদের মানুষ থেকে দেবতা, বৈকুন্ঠ, স্বর্গের মালিক বানাতে এসেছি। তোমাদের এই উত্তরাধিকার দিয়েছিলাম, তারপর তোমাদের ৮৪ জন্ম নিতে হয়েছে। এখন তোমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন আমি এসেছি, পুনরায় তোমাদের প্রথম নম্বর থেকে শুরু করতে হবে। আমি তোমাদের বাবা, তোমাদের পড়াশোনাও করাই। এখন বাবা কি পড়ানোর ফী বাচ্চাদের থেকে নেবেন ? বাচ্চাদের থেকে ফী কিকরে নেবে! এক পয়সাও নিই না। কতদূর পরমধাম থেকে আসি তোমাদের পড়াতে। এই চাকরী করতে রোজ আসি। কারোর চাকরী যদি দূরে হয় তখন রোজ আসা-যাওয়া করতে হয়, তাই না! তোমরা জানো, বাবা জ্ঞানের সাগর, যিনি তোমাদের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান প্রদান করেন। ভগবানুবাচ — আমি নিরাকার পরমাত্মা, কৃষ্ণ নয়। তোমরা যে কৃষ্ণকে ভগবান মনে করো, তিনি ভগবান হতে পারেন না। তিনি তো সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছেন। ভগবানের নিজস্ব শরীর নেই। যেমন তোমরা আত্মা, তেমনই তিনিও আত্মা। কিন্তু কেবল আত্মা বললে সে তো সকলের সঙ্গে মিলে যাবে তাই আমায় পরম আত্মা বলা হয়। ড্রামা প্ল্যান অনুসারে আত্মা-রূপী আমার নাম শিব। আমি হই — নিরাকার। আমায় ডাকেই — শিববাবা। আসলে আমার নাম একটাই। এছাড়া আমার বিভিন্ন নাম রেখে দিয়েছে। আমার নাম কোনো রুদ্র নয়। না কৃষ্ণ কোনো যজ্ঞ রচনা করেছে। এ’সবই হলো মিথ্যা। আমিই এসে তোমাদের সত্য বলি। তোমাদের সত্যিকারের লক্ষ্মী-নারায়ণে পরিণত করতে আমি এসেছি। আমার ঘর অনেক দূরে। এখানে এসে এই শরীর দ্বারা তোমাদের পড়াই। সারাদিন এনার মধ্যে বসে থাকি না। পরিক্রমা করতেই থাকি। আমার গ্লানি করার কারণে তোমরা অনেক দুঃখী হও, মহাপতিত হয়ে গেছো। ব্রহ্মাকে কেউ আদিদেব বলে, কেউ অ্যাডম বলে, কেউ মহাবীর বলে, তোমরা প্রজাপিতা বলো। তোমরা আমায় আধাকল্প স্মরণ করেছো, সেইজন্য আমায় এই পরদেশে আসতে হয়েছে। সকলেই পতিত, দুঃখী, অনাথ। সনাথ, ধনী কেউই নয়। অনাথদের পড়ানোর জন্য গভর্নমেন্টও ফী নেয় না। এ তো অনেক বড় আধ্যাত্মিক গভর্নমেন্ট। অসীম জগতের পিতাকে কেউ জানেই না। কত জপ-তপ, দান-পুণ্যাদি করে। জিজ্ঞাসা করা হয় — এ’সব কেন করো? তখন বলবে এতে ভগবানের কাছে পৌঁছে যাব। কোনো জপ-তপ করে পৌঁছবে, নাকি কোনো শাস্ত্র পড়লে! বাবা বলেন — এইরকম তো হয় না। ভক্তি করতে-করতে তোমরা আরোই পতিত হয়ে গেছো। পাখনা ভেঙ্গে গেছে। তোমরা উড়তে পারবে না যতক্ষণ না তোমাদের মধ্যে জ্ঞান-ঘৃত পড়ছে। ঘি বা পেট্রোল শেষ হয়ে যাওয়ায় জ্যোতি নিভে গেছে। পুনরায় আমি এসে ভরে দিই।

তোমরা জানো — বাবা এসেছেন। এখানে তোমরা খুশিতে থাকো। ঘরে গেলেই তোমরা ভুলে যাও। তোমাদের থেকে এই পড়ার ফী নিই না। তোমরা বলবে যে এই এক মুঠো চাল দিই। এই এক মুঠো চাল তো তোমরা ভক্তিমার্গ থেকে দিয়ে আসছো, যার রিটার্ন তোমরা পরজন্মে পেয়ে থাকো। এখন তো তোমরা জানো — বাবা সম্মুখে বসে রয়েছে, ফ্রি-তে পড়ায় কারণ জানেন যে এদের কাছে আছেই বা কি! তাহলে বাবা কি তোমাদের থেকে কিছু নেবেন নাকি। ওই পড়ায় তো কত খরচপত্র করতে হয়। কত পরীক্ষা পাশ করতে হয়। আমি তো একটাই পড়া পড়াই। স্কুলে যারা আসা-যাওয়া করে তাদেরকে অ্যাড করতে থাকি। হ্যাঁ, যারা দেরী করে আসে, তাদের একটু পরিশ্রম করতে হয়, তার বদলে দেরী করে আসে যারা, তারা ভাল-ভাল পয়েন্টস্ পায়। যারা তাড়াতাড়ি পড়ে তাদের কোনো লোকসান হয় না। নতুন নতুন ভালো পয়েন্টস্ পেলে পুরোনোদের থেকেও তীব্র বেগে যায়। বাবা বলেন — শুরুতে যারা এসেছে তাদের কতজন ভাগন্তি (পালিয়ে) গেছে। ভালই হয়েছে যে তোমরা দেরীতে এসেছো সেইজন্যই তোমরা আবার গুপ্ত থেকেও গুপ্ত পয়েন্টস্ পাও। বাবা বলেন — শরীর-বৃত্তিয়ের জন্য পড়াশোনাও করো। শরীর নির্বাহের জন্য কাজ-কর্মও অবশ্যই করো, কেবল আমাকে স্মরণ করো আর চক্রকে স্মরণ করো। এ’কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এও তো বোঝ, তাই না! যে এখন আমাদের ৮৪ জন্ম শেষ হতে চলেছে। বাবা বোঝান যে আমায় স্মরণ করো তবেই তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। স্মরণ তো তোমরা বাবাকেও করো, পতিকেও করো। এখন আমি তোমাদের পতিদেরও পতি, বাবারও বাবা, শিক্ষকও। আমি তোমাদের সবকিছুই। তোমাদের সুখ প্রদান করি। ওই পতিত সম্বন্ধীয় ইত্যাদিরা তো তোমাদের দুঃখই দেবে। সত্যযুগে কেউ কাউকে দুঃখ দেয় না। এখন আমি এসেছি সত্যযুগের রাজ্য-ভাগ্য দিতে। তোমরা জানো যে এই সঙ্গমেই আমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি। এখন যত তোমরা পড়বে। পড়াও অতি সহজ। এ হলোই সহজ জ্ঞান, সহজ যোগ। মৃত্যুও সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি এসেছি তোমাদের সবাইকে নিয়ে যেতে সেইজন্য আমায় কালেরও কাল বলা হয়। এও বলা হয়ে থাকে যে একে কাল গ্রাস করেছে। কাল শরীরকে গ্রাস করে, আত্মাকে তো গ্রাস করতে পারে না। আত্মা তো এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে ভূমিকা পালন করে। এখন তোমরা জানো যে এক ধাক্কায় এ’সব শেষ হয়ে যাবে। মৃত্যু এমনভাবে হবে যে কেউ কারোর জন্য কান্নাকাটি করবে না। সকলকে ফিরে যেতেই হবে। কাঁদে তখনই যখন আবার দুঃখের দুনিয়াতেই পুনর্জন্ম নেয়। তোমরা বাবাকে আহ্বানও করো এইজন্যই যে বাবা আমাদের তোমার সাথে নিয়ে যাও। তাই বাবা এসেছেন, সকল মনুষ্যমাত্রকেই সঙ্গে করে নিয়ে যান। বিনাশ হলে সকলেই মারা যাবে। থাকবে না কেউই। গভর্নমেন্ট নিজের প্ল্যান তৈরী করছে। মনুষ্য-সৃষ্টি তো বৃদ্ধি হতেই থাকে। ছোট-ছোট শাখা-প্রশাখায়ও কত পাতা বেরিয়ে আসে। বৃক্ষ তো বৃদ্ধি পাবেই। কিন্তু তাদের আয়ুও অবশ্যই রয়েছে। কল্পবৃক্ষের আয়ু কখনো লক্ষ-লক্ষ বছর হতে পারে নাকি! এখন বাবা তোমাদের পড়াচ্ছেন পূজ্য দেবী-দেবতা বানানোর জন্য। সর্বপ্রথমে বাবাকে তোমরাই পাও, অন্য ধর্মাবলম্বীরা আসেই পরে। সত্যযুগে তোমরা আসো। পড়াইও তোমাদের। কেবল বলি পবিত্র দুনিয়ায় যেতে হলে বিকারে যেও না। তবুও তোমরা কেন মানো না, বিষ ছাড়া কি তোমরা থাকতে পারো না? আমার মতে না চললে উচ্চপদ লাভ করতে পারবে না। তোমাদের আশাই রয়েছে কৃষ্ণপুরীতে যাওয়ার। তাহলে কৃষ্ণের রাজধানীতে যাবে না প্রজায়? কৃষ্ণের সঙ্গে খেলাধুলো প্রিন্স-প্রিন্সেসরাই করবে। প্রজারা কি করবে নাকি! এই মাম্মা-বাবাও পড়ছেন। তোমরা জানো, এই রাধা-কৃষ্ণ সয়ম্বরের পর লক্ষ্মী-নারায়ণ হবে। রাজত্ব যারা করবে তাদেরই মালা তৈরী হবে, তাই না! আট দানায় এসো, আচ্ছা ৮ নয় তো ১০৮-এ তো এসো। কমপক্ষে ১৬১০৮-এ তো এসো। এ হলোই রাজযোগ। বাবার শ্রীমতে চলা উচিত । ঘরের মানুষদেরও বোঝাও। বাবা তোমাদের বোঝান, অন্যদের বোঝানোর জন্য। পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ হবেই। মহাভারতের লড়াইও প্রসিদ্ধ যখন ভগবান এসেছিলেন। ভগবান এসেই রাজযোগ শিখিয়েছিলেন, স্বর্গের স্থাপনা আর নরকের বিনাশ হয়েছে, এ হলো সেই সময়। তারপর রাজধানী স্থাপিত হয়ে যাবে। সত্যযুগে অন্য ধর্ম হয়ই না। ভারত মাথার মুকুট ছিল, কত সমৃদ্ধশালী ছিল, খ্রীস্টানরা সব এখান থেকেই ধনবান হয়েছে। সোমনাথের মন্দির থেকেও কত ধন-সম্পদ নিয়ে গেছে, উটে ভরে-ভরে। এ তো একটি মন্দিরের কথা। ভারতে প্রচুর মন্দির ছিল। বাবা সমগ্র বৃক্ষের রহস্য বোঝান। আমি বীজ উপরে রয়েছি। এ তো উল্টো বৃক্ষ, তাই না! আমি নলেজফুল। তোমরা আমায় আহ্বান করেই থাকো পতিত-পাবন এসো। আবার বলেও নাম-রূপ থেকে আলাদা। রাবণ সকলকে সম্পূর্ণ অবুঝ বানিয়ে দিয়েছে। এখন তোমাদের স্মৃতিতে এসেছে যে আমাদের বাবা কে! এই চক্র কিভাবে আবর্তিত হয়! সকলের বিচারবুদ্ধি তো একইরকমের হয় না। একের বিচারবুদ্ধি অন্যের সঙ্গে মেলে না। একের চেহারা অন্যের সঙ্গে মেলে না। বাচ্চারা, তাই এখন তোমাদের বাবার হতে হবে, তাই না! তিনি বাবাও, শিক্ষকও আবার সদ্গুরুও। তোমরা জানো যে ইনিও কিছু নেন না। বিনা কড়ি(অর্থ) খরচা করে তোমরা ২১ জন্মের জন্য রাজত্ব পেয়ে যাও। তোমরা ভক্তিমার্গে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কিছু দিলে তা পরজন্মে তোমরা পেতে। এখন তো আমি ডাইরেক্ট এসে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করি। এতে যা কিছু খরচপত্র লাগে তা বাচ্চাদের থেকেই লাগানো হয়। বাচ্চাদেরই বলবে খরচা করতে। এই ব্রহ্মাকে ভালভাবেই পাকড়াও করেছে খরচপত্র করার জন্য। এরমধ্যে প্রবেশ করে এঁনাকে দিয়ে সবকিছু করিয়েছেন। ইনি তো তৎক্ষনাৎ সমর্পিত (স্বাহা) হয়ে গেছেন। সবকিছু যা এঁনার কাছে ছিল তা দিয়ে দিয়েছেন। বাবা বলেন — বেগার হয়ে যাও তবেই এরকম প্রিন্স বানিয়ে দেবো, সাক্ষাৎকার করিয়ে দেন। তোমরা এখন বুঝতে পেরেছো — এখন এ’সব কি করবো। বিনাশ তো হতেই হবে। বাবা বলেন — বাঁদরদের মতন মুঠো বন্ধ কোরো না, খুলে দাও। তৎক্ষণাৎ খুলে দেয়। তা নাহলে এত বাচ্চাদের খরচপত্র কিভাবে চলতো! বাচ্চা বাদশাহ্ আর শিব বাবা হয়ে গেলেন পরামর্শদাতা এই রকম হয়ে গেল যেন। পয়সার জন্য একজনকেই (দাদা লেখরাজকে) ধরলেন। বাচ্চারা, তোমাদেরও ভাট্টী তৈরী হতো। স্কুলও তৈরী হয়েছিল। এখন তোমরা হুশিয়ার অর্থাৎ সমঝদার হয়ে অন্যদেরও পড়াও। তোমরা কতজনের কল্যাণ করো। বাবা হলেনই কল্যাণকারী, সকলকে নরক থেকে বের করে স্বর্গে নিয়ে যান। এখন যত পুরুষার্থ করবে ততই উচ্চপদ লাভ করবে। প্রজাদের জন্যও প্রদর্শনী ইত্যাদির যুক্তি আরও বেরোতে থাকবে। অগণিত প্রজা হতে থাকবে। রাজা-রানী তো অল্পসংখ্যকই হয়। প্রজা তো কোটি-কোটির আন্দাজে হয়, তাই না! রাজা-রানী তো একজনই। ওখানে লড়াই-ঝগড়া ইত্যাদি হয়ই না। বাচ্চারা জানে — এখন তো মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যত যোগে থাকবে ততই পাপাত্মা থেকে পুণ্যাত্মা হয়ে যাবে আর কোনো উপায় নেই। সুসন্তানেরা মা-বাবাকে ফলো করে। বাবা পবিত্র হয়, আর বাচ্চা যদি না হয় তবে তো সে কুসন্তান হয়ে গেল, তাই না! এতে তো নষ্টোমোহ হতে হয়। আমার তো এক শিববাবা আর কেউ নেই। উত্তরাধিকারও তাঁর থেকেই পাবে। এখন বাবার থেকে উত্তরাধিকার পাবে নতুন দুনিয়ার, তাই অপবিত্র হয়ো না। পবিত্র হওয়া ব্যতীত নতুন দুনিয়ায় যেতে পারবে না। জন্ম-জন্মান্তর পাপ করেছো, তার সাজা ভোগ করতে হবে। যেন ৬৩ জন্মের পাপের সাজা প্রাপ্ত হচ্ছে। গর্ভজেলেও সাজা ভোগ করে। সত্যযুগে কোনো জেল ইত্যাদি থাকে না। সেটা তো হলোই স্বর্গ। এখন বাবা সাধারণ শরীরে এসেছেন, সে’জন্য বাবাকে চেনে না। বাবার সাথে যোগ-যুক্ত হলেই আত্মা পবিত্র হবে। বাবা বলেন — আমি পতিত দুনিয়া, পতিত শরীরে আসি, তারপর এঁনাকে পবিত্র করি। তত্বতম্। তোমরাও পবিত্র হও। তোমরা বাবার হয়েছো। প্রজাপিতা ব্রহ্মারও সন্তান সেইজন্য বাপদাদা বলা হয়। বাবা বোঝান — এখন সময় অতি অল্প। শরীরের কোনো ভরসা নেই। বাবাকে স্মরণ করতে থাকো, স্বদর্শন-চক্রধারী হও। সারাদিন যেন এই খেয়ালই থাকে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পুরোপুরি নষ্টোমোহ হতে হবে। একমাত্র শিববাবা অন্য আর কেউ-ই নয় — এই পাঠ পাকা করতে হবে। সুসন্তান হয়ে মাতা-পিতাকে ফলো করতে হবে।

২ ) বিনা কড়ি অর্থাৎ পয়সা খরচ করে পঠন-পাঠনের দ্বারা ২১ জন্মের জন্য রাজত্ব পাওয়া যায়, সেইজন্য অতি মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে হবে। স্বদর্শন-চক্রধারী হতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা সর্ব খাজানায় সদা সম্পন্ন বা ভরপুর থাকে তাদের নয়ন বা মস্তকের দ্বারা ঈশ্বরীয় নেশার সাক্ষাৎ হয়। তাদের চেহারাই সেবা করে। যার কাছে বেশি অথবা কম জমাপুঞ্জী থাকে সেও তাদের চেহারায় দেখা যায়। যেমন কেউ উচ্চকুলের হলে তখন তাদের চেহারায় সেই ঔজ্জ্বল্য এবং আভিজাত্য দেখতে পাওয়া যায়। তেমনই তোমাদের চেহারাও প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি সঙ্কল্পকে যেন সুস্পষ্ট করে – তবেই বলা হবে প্রকৃত সেবাধারী।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top