12 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 11, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - মহাবীর হও, মায়ার তুফানের সঙ্গে লড়াই করার পরিবর্তে অচল - অটল হও"

প্রশ্নঃ --

ব্রহ্মা বাবার সামনে অনেক সমস্যা আসা সত্ত্বেও তিনি কখনো ভেঙ্গে পড়েননি — কেন ?

উত্তরঃ -:-

বাবার এই নেশা ছিলো যে, আমাকে বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । এ তো সবই পূর্ব কল্পের মতোই হচ্ছে, কিছুই নতুন নয় । বাবাই তো সবথেকে অধিক গালি খেয়েছিলেন । এরপর কৃষ্ণকেও মানুষ গালি দেয় । আমাদেরও যদি গালি খেতে হয়, তাহলে কি এমন বড় কথা । দুনিয়া তো আমাদের কথা জানেই না, তাহলে অবশ্যই তারা গালি দেবে, তাই কোনো বিষয়েই তিনি ভেঙ্গে পড়েন নি । এমনই তোমরা বাবাকে অনুসরণ করো ।

গান:-

ভোলানাথের মতো অনুপম আর কেউ নেই..

ওম্ শান্তি । এ হলো ভক্তিমার্গের মানুষদের গান । জ্ঞান মার্গে গীত ইত্যাদি গাওয়া হয় না, না গান বানানো হয়, আর না তার প্রয়োজন আছে, কেননা এমন মহিমা আছে যে… বাবার থেকে সেকেণ্ডে জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । এতে গীত ইত্যাদির কোনো কথাই নেই৷ তোমরা জানো যে, আমরা অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অসীমের উত্তরাধিকার পাই । ভক্তিমার্গের যে নিয়ম – রীতি আছে, তা এখানে হতে পারে না । বাচ্চারা অনেক কবিতা লেখে, তাও অন্যদের শোনানোর জন্য । তাও তোমরা যতক্ষণ না বোঝাবে, ততক্ষণ কেউ বুঝতে পারবে না । এখন তোমরা বাচ্চারা বাবাকে পেয়েছো, তাই তোমাদের খুশীর পারদ চড়া উচিত । বাবা তোমাদের ৮৪ জন্মের চক্রের জ্ঞানও শুনিয়েছেন । তোমাদের খুশী হওয়া উচিত যে, এখন আমরা স্বদর্শন চক্রধারী হয়েছি । বাবার থেকে এখন বিষ্ণুপুরীর মালিক হচ্ছি । নিশ্চয়বুদ্ধিই বিজয়ন্তী হয় । যাদের নিশ্চয়তা আছে তারা সত্যযুগে যাবেই । তাই বাচ্চাদের সর্বদা খুশীতে থাকা উচিত, তোমরা বাবাকে অনুসরণ করো । বাচ্চারা জানে যে, নিরাকার বাবা যখন থেকে এই তনে প্রবেশ করেছেন, তখন এনার সঙ্গেও নানা হাঙ্গামা হয়েছে । ভাইদের ঝগড়া, শহরে ঝগড়া, এমনকি সম্পূর্ণ সিন্ধুতেও ঝগড়া চলেছিল । বাচ্চারা বড় হলে বলবে, শীঘ্র বিয়ে করো । বিয়ে ছাড়া কিভাবে সংসার চলবে । বাবা গীতা পাঠ মিস করতেন না, যখন জানতে পারলেন যে, গীতার ভগবান শিব, তখন গীতা পাঠও ত্যাগ করলেন । তখন নেশা লেগে গেলো যে, আমি তো বিশ্বের মালিক হবো । এ তো শিব ভগবান উবাচঃ, তখন ওই গীতা পাঠ ছেড়ে দিলেন, তারপর পবিত্রতার উপরও অনেক হাঙ্গামা হয়েছিলো । ভাই, কাকা, মামা ইত্যাদি অনেক ছিলো । এতে তো বাহাদুরী চাই, তাই না । তোমরা হলেই মহাবীর, মহাবীরনী । তোমাদের ওই এক ছাড়া আর কারোর পরোয়া নেই৷ পুরুষ হলো রচয়িতা । রচয়িতা যদি নিজে পবিত্র হয়, তাহলে রচনাকেও পবিত্র হতে হবে । পবিত্র হংস আর অপবিত্র বক কিভাবে একত্রে থাকতে পারে । ক্রিয়েটর তো চট করে হুকুম করবে যে, আমার মতে চলতে হলে চলো, না হলে বেড়িয়ে যাও । তোমরা জানো যে, তাঁর লৌকিক কন্যা বিয়ে করেছিলো, কিন্তু সে যখন জ্ঞান পেয়েছিলো, তখন বলেছিলো, বাহ । বাবা বলেন, তোমরা পবিত্র হও, তাহলে আমরা কেন হবো না । পতিকে উত্তর দিয়ে দিয়েছিলো যে, আমি বিষ দেবো না । ব্যস, এই বিষয়েই অনেকেরই ঝগড়া চলেছে । বড় বড় ঘর থেকে কন্যারা বেড়িয়ে এসেছিলো, কারোর পরোয়া করে নি । যার ভাগ্যে নেই, সে বুঝতেও পারবে না । পবিত্র থাকতে হলে থাকো, না হলে নিজের প্রবন্ধ করো । এই সাহসও তো থাকা চাই, তাই না । বাবার সামনে কতো সমস্যা, হাঙ্গামা এসেছিলো । বাবাকে কখনো ভেঙ্গে যেতে দেখেছো ! আমেরিকা পর্যন্ত খবরের কাগজে বেড়িয়ে গিয়েছিলো । কিছুই নতুন নয় । এ তো পূর্ব কল্পের মতো হয়ে আসছে, এতে ভয়ের কি আছে । আমাদের তো বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে । নিজের রচনাকে বাঁচতে হবে । বাবা জানেন যে, সমগ্র সৃষ্টি এই সময় পতিত । আমাকেই সবাইকে পবিত্র বানাতে হবে । বাবাকেই সবাই বলে, হে পতিত – পাবন, উদ্ধারকর্তা, এসো । তাই তাঁরই দয়া আসে । বাবা তো দয়ালু, তাই না । বাবা তাই বোঝান – বাচ্চারা, কোনো বিষয়েই ভয় পেও না । ভয় পেলে এতো উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না । মাতাদের উপরই অত্যাচার হয় । এর নমুনাও আছে । দ্রৌপদীকে নগ্ন করেছে । বাবা তোমাদের ২১ জন্মের জন্য নগ্ন হওয়ার হাত থেকে বাঁচান । দুনিয়া এইসব কথা জানে না । সদগতিদাতা তো আমিই, তাই না । যতক্ষণ না মানুষ দুর্গতি প্রাপ্ত করে, ততক্ষণ আমি কিভাবে এসে সদগতি প্রাপ্ত করাবো । এই সৃষ্টিও পতিত – তমোপ্রধান হতে হবে । প্রতিটি জিনিস অবশ্যই নতুন থেকে পুরানো হয় । পুরানো ঘরকে ত্যাগ করতেই হয় । নতুন দুনিয়া হলো গোল্ডেন এজ আর পুরানো দুনিয়া হলো আয়রন এজ । সর্বদা তো নতুন থাকতে পারে না । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, এ হলো সৃষ্টিচক্র । আবার নতুন করে দেবী – দেবতার রাজ্য স্থাপন হচ্ছে । বাবা বলেন, আমি আবার নতুন করে তোমাদের গীতা জ্ঞান শোনাই । এখানে রাবণ রাজ্যে দুঃখই আছে । রামরাজ্য কাকে বলা হয় এও কেউ জানে না, আর বোঝেও না । বাবা বলেন, আমি স্বর্গ অথবা রামরাজ্যের স্থাপনা করতে এসেছি । বাচ্চারা, তোমরা অনেকবার রাজ্য প্রাপ্ত করেছো আবার হারিয়েছো । একথা সবার বুদ্ধিতে আছে । ২১ জন্ম সত্যযুগে থাকে, একে বলা হয় ২১ পিঁড়ি অর্থাৎ যখন বৃদ্ধ হয়, তখনই শরীর ত্যাগ করে । কখনোই অকালে মৃত্যু হয় না । এখন তোমরা ত্রিকালদর্শী হয়ে গেছো । তোমরা এখন জানো, আমরা জন্ম – জন্মান্তর ধরে ভক্তি করি । রাবণ রাজ্যেরও দেখো কতো আড়ম্বর । এ হলো শেষের দিকের আড়ম্বর । রামরাজ্য সত্যযুগে হবে — ওখানে এইসব বিমান, ইত্যাদি সব ছিলো, সেইসব আবার তলিয়ে গেছিলো । আবার এই সময় বের হয়েছে । আবার এইসব অনেকে শিখছে । যারা শিখছে তারা এই সংস্কার নিয়ে যাবে । তারাই এসে বিমান তৈরী করবে । এইসব তোমাদের ভবিষ্যতে সুখ দান করবে । এই বিমান ইত্যাদি ভারতবাসীরাও বানাতে পারে । নতুন কোনো কথা নয় । বুদ্ধি তো আছে, তাই না । এই সায়েন্স তোমাদের আবার কাজে আসবে । এখন এই সায়েন্স তোমাদের দুঃখের জন্য, আবার ওখানে তা সুখের জন্য হবে । ওখানে তো প্রতিটি জিনিসই নতুন হবে । এখন তো নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে । বাবাই নতুন দুনিয়ার রাজধানী স্থাপনা করছেন । বাচ্চাদের তাই মহাবীর হতে হবে । দুনিয়াতে তো একথা কেউই জানে না যে, ভগবান এসেছেন ।

বাবা বলেন – গৃহস্থ জীবনে থেকে কমল পুষ্প সমান পবিত্র থাকো । যদিও তোমাদের অনেকেই গালি দেবে, তবুও তোমাদের ভয় পাওয়ার কোনো কথা নেই৷ এনাকেও অনেক গালি দেওয়া হয়েছে । কৃষ্ণও গালি খেয়েছিলো, এমন দেখানো হয় । এখন কৃষ্ণ তো গালি খেতেই পারে না । গালি তো কলিযুগে দেওয়া হয় তোমাদের যে রূপই আছে, আবার পরের কল্পে এই সময় এমনই হবে । মাঝে এমন হবে না । জন্মের পর জন্ম চিত্র এবং চরিত্র পরিবর্তন হতে থাকে । এক আত্মা ৮৪ জন্মে একরকম চিত্র পেতে পারে না । আত্মা সতঃ, রজঃ এবং তমঃতে আসতে থাকে আর চিত্রও পরিবর্তন হতে থাকে । এই ড্রামা বানানোই আছে । ৮৪ জন্মে যে যে চিত্র এবং চরিত্র জন্ম নিয়েছে, তারাই আবার নেবে । এখন তোমরা জানো এঁদের চিত্রের পরিবর্তন হয়ে পরের জন্মে এঁরাই লক্ষ্মী – নারায়ণ হবে । তোমাদের বুদ্ধির তালা এখন খুলে গিয়েছে । এ হলো এখন নতুন কথা । বাবাও নতুন আর কথাও নতুন । এই বিষয় কেউ শীঘ্র বুঝতে পারবে না । ভাগ্যে থাকলে তবেই কিছু বুঝতে পারবে । মহাবীররা কখনো তুফান দেখে ভয় পায় না । সেই অবস্থা পরের দিকে হবে, তাই মহিমা আছে যে, অতীন্দ্রিয় সুখের কথা জিজ্ঞেস করতে হলে গোপ – গোপিনীদের জিজ্ঞেস করো । বাবা এসেছেনই তোমাদের মতো বাচ্চাদের স্বর্গের উপযুক্ত বানাতে । পূর্ব কল্পের মতো এই নরকের বিনাশ তো হতেই হবে । সত্যযুগে তো একই ধর্ম থাকবে । মানুষ চায়ও একত্ব আসুক । এক ধর্ম হওয়া উচিত । এও মানুষ জানে না যে, রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্য আলাদা – আলাদা । এখানে বিকার ছাড়া জন্ম হয় না । বিকারের আবর্জনা আছে তো । এখন বাবার প্রতি নিশ্চয়তা থাকলে শ্রীমৎ অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে চলতে হবে, তাই না । প্রত্যেকেরই নাড়ী দেখা হয় । সেই অনুসারে রায় দেওয়া হয় । বাবাও বাচ্চাদের বলেন, যদি বিয়ে করার ইচ্ছা হয়, তাহলে গিয়ে করো । অনেক মিত্র পরিজন আছে যারা বিয়ে করিয়ে দেবে । তাই প্রত্যেকেরই নাড়ী দেখা হয় । বাবাকে জিজ্ঞেস করে – আমরা এই অবস্থায় আছি, আমরা পবিত্র থাকতে চাই, আমাদের সম্বন্ধী আমাদের ঘর থেকে বের করতে চায় । এখন কি করবো ? একথা জিজ্ঞেস করো যে পবিত্র থাকতে হবে যদি না থাকতে পারো তাহলে গিয়ে বিয়ে করো । আচ্ছা, কারোর যদি বিয়ের সম্বন্ধ হয়, তাহলে তোমরা তাদের খুশী করে দাও, এতে অসুবিধার কিছু নেই৷ কোনো যুগল যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন কনেকে বলে থাকে — এই পতি তোমাদের গুরু । আচ্ছা, সেই সময় তোমরা ওদের দিয়ে লিখিয়ে নিও । তুমি তো মানো যে, আমি তোমার গুরু, ঈশ্বর, তাহলে লেখো । আচ্ছা আমি এখন তোমাকে হুকুম দিচ্ছি, পবিত্র থাকতে হবে । এতে তো সাহস চাই, তাই না । লক্ষ্য অনেক বড় । দুইজন একত্রে কিভাবে থাকে, এ সবাইকে দেখাতে হবে । প্রাপ্তি অনেক বড় । আগুন তখনই লাগে যখন প্রাপ্তির খবর জানা থাকে না । বাবা বলেন – যখন এতো বড় প্রাপ্তি হয়, তখন এক জন্ম পবিত্র থাকো, এ আর কি এমন বড় কথা । আমি তোমাদের পতি, ঈশ্বর । আমার আজ্ঞা অনুসারে পবিত্র থাকতে হবে । বাবা যুক্তি বলে দেন । ভারতে এই নিয়ম, স্ত্রীকে বলে দেয়, তোমার পতি ঈশ্বর, তার আজ্ঞা অনুসারে চলতে হবে । পতির পা টিপে দিতে হবে কেননা মনে করে, লক্ষ্মী নারায়ণের পা টিপে দিয়েছিলেন । এই অভ্যাস কোথা থেকে এসেছে ? এই মিথ্যা চিত্র থেকে । সত্যযুগে তো এমন কথা থাকে না । নারায়ণ কি কখনো পরিশ্রান্ত হন যে লক্ষ্মী তাঁর পা টিপে দেবেন ? পরিশ্রমের কোনো কথাই থাকতে পারে না । এ তো দুঃখের কথা হয়ে গেলো । ওখানে দুঃখ কিভাবে আসবে । তাই কতো মিথ্যা কথা লিখে দিয়েছে । বাবার ছোটবেলা থেকেই বৈরাগ্য ছিলো, তাই তিনি ভক্তি করতেন ।

বাবা বাচ্চাদের খুব ভালো যুক্তি বলে দেন । কোনো বাচ্চাকে তার সম্বন্ধী বিরক্ত করলে, বাবা বলেন — আচ্ছা, বিয়ে করে নাও । স্ত্রী তোমার হয়ে গেলো । এরপর কেউ কিছুই বলতে পারবে না । নিজেরা মিলেমিশে পবিত্র থাকো, সঙ্গী তো হয়ে গেলে । বিলেতে বৃদ্ধ হয়ে গেলে দেখাশোনার জন্য সঙ্গী রেখে দেয় । সিভিল ম্যারেজ করে । বিকারে যাবে না । তোমরা এখন জানো, আমরা এক বাবার সন্তান, নিজেদের মধ্যে ভাই – বোন হয়ে গেলাম । দাদুর কাছ থেকে তোমরা উত্তরাধিকার নাও । বাবাকে পতিত দুনিয়াতেই ডেকে থাকে, হে পতিত পাবন, সব সীতাদের রাম । মানুষ রাম – রাম জপ করে, সীতাকে তো স্মরণ করেই না । তাঁর থেকে বড় তো লক্ষ্মী কিন্তু স্মরণ তো এক বাবাকেই করে । লক্ষ্মী – নারায়ণকে তবুও তো জানে কিন্তু শিবকে কেউই জানে না । আত্মা বিন্দু, আত্মার বাবাও তো বিন্দু হবে, তাই না । আত্মার মধ্যে সমস্ত জ্ঞান আছে । তাঁকে বলা হয় জ্ঞানের সাগর । তোমরা আত্মারাও জ্ঞানের সাগর হও । জ্ঞানের সাগর বসে তোমাদের মতো আত্মাদের বোঝাচ্ছেন । আত্মা হলো চৈতন্য । তোমাদের আত্মা জ্ঞানের সাগর তৈরী হচ্ছে । তোমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান আছে । মিষ্টি বাচ্চাদের সাহস রাখা উচিত । আমাদের তো বাবার শ্রীমতে চলা উচিত, তাই না । অসীম জগতের পিতা যখন অসীম জগতের সন্তানদের স্বর্গের মালিক বানান, তখন বাবা বলেন, তোমরাও নিজের রচনাকে নিজের হাতে রাখো । সন্তান যদি কথা না শোনে, তাহলে সে সন্তান নয় । সে তো কুপুত্র হয়ে গেলো । আজ্ঞাকারী, আদেশ অনুসারে চলা বাচ্চা হলে বাবার উত্তরাধিকারের অধিকারী হতে পারে । অসীম এই ব্রহ্মাণ্ডের পিতাও বলেন, আমার শ্রীমতে চললে তোমরা এমন শ্রেষ্ঠ হতে পারবে । না হলে প্রজাতে চলে যাবে । বাবা তোমাদের নর থেকে নারায়ণ বানাতে এসেছেন । এই হলো প্রকৃত সত্যনারায়ণের কথা । তোমরা এখানে রাজত্ব প্রাপ্ত করতে এসেছো । এখন মাম্মা – বাবা, রাজা – রানী হচ্ছেন, তোমরাও সাহস করো । বাবা তো অবশ্যই তোমাদের নিজের সমান বানাবে । কেবল প্রজা হওয়াতেই খুশী হওয়া উচিত নয় । তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে — আমরা বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেবো, বলিহারি যাবো । তোমরা যদি তাঁকে ওয়ারিস বানাও, তিনিও তোমাদের ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার প্রদান করবেন । বাবাও বাচ্চাদের কাছে বলিহারি যান । বাচ্চারা বলে, বাবা এই তন – মন – ধন সব তোমার । তুমি যেমন বাবাও তেমনই বাচ্চাও । ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা ত্বমেব । এক বাবার মহিমা কতো বড় । দুনিয়াতে এই কথা কেউই জানে না । সম্পূর্ণ কথা এই ভারতেরই । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, এ হলো সেই পাঁচ হাজার বছর পূর্বের লড়াই । এখন স্বর্গের স্থাপনা হচ্ছে । বাচ্চাদের তাই সর্বদা খুব খুশীতে থাকা উচিত । ভগবান তোমাদের দত্তক নিয়েছেন, তাই তোমাদের খুশী হওয়া উচিত । বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের শৃঙ্গার করছেন । তিনি পড়ানও – অসীম জগতের পিতা হলেন জ্ঞানের সাগর । তিনি তোমাদের সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের রহস্য বোঝান । যে বাবাকেই জানে না, সে হলো নাস্তিক । তোমরা বাবা আর রচনাকে জানো, তাই তোমরা হলে আস্তিক । লক্ষ্মী – নারায়ণ আস্তিক নাকি নাস্তিক ? তোমরা কি বলবে ? তোমরা নিজেরাই বলো সত্যযুগে পরমাত্মাকে কেউ স্মরণই করে না । ওখানে সুখ থাকে, সুখে কেউই পরমাত্মার স্মরণ করে না, কেননা পরমাত্মাকে জানেই না । এই সময় তোমরা আস্তিক হয়ে উত্তরাধিকার পাচ্ছো । তারপর ওখানে তোমরা স্মরণই করবে না । এখানে স্মরণ করে কিন্তু ওনাকে জানে না, তাই নাস্তিক বলা হয় । ওখানে জানেও না, তাই স্মরণও করে না । ওরা এও জানে না যে, এই উত্তরাধিকার আমরা শিব বাবার থেকে পেয়েছি, কিন্তু ওদের নাস্তিক বলা হবে না কারণ তারা পবিত্র । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শ্রীমতে চলার সম্পূর্ণ সাহস রাখতে হবে । কোনো বিষয়ে ভয় পাবে না বা অখুশি হবে না ।

২ ) নিজের রচনাকে নিজের হাতে রাখতে হবে । তাদেরকে বিকার থেকে বাঁচাতে হবে । পবিত্র থাকার রায় দিতে হবে ।

বরদানঃ-

যেমন অন্য কারোর কোনো সম্পদ হলে সেই সম্পদের উপর নিজের অধিকার থাকে না, মমতাও থাকে না । এই শরীরও তেমনই ঈশ্বরীয় সেবার জন্য এক সম্পদ । এই সম্পদ আধ্যাত্মিক পিতা দিয়েছেন, তাই অবশ্যই সেই আধ্যাত্মিক পিতার স্মরণ থাকবে । সম্পদ মনে করলে আত্মিকতা আসবে, আপন মনে করার মমতা থাকবে না । এই হলো নিরন্তর যোগী, নষ্টমোহ হওয়ার সহজ উপায় । তাই এখন এই আধ্যাত্মিকতার স্থিতিকে প্রত্যক্ষ করো ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top