07 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 6, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - হিয়ার নো ইভিল, একমাত্র বাবার থেকেই শুনতে হবে, গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পদ্ম ফুলের মতো থাকতে হবে"

প্রশ্নঃ --

কোন্ খেলাকে যথার্থ ভাবে জানা বাচ্চারা কখনোই ধন্দে পড়তে পারে না ?

উত্তরঃ -:-

দুঃখ আর সুখ, ভক্তি আর জ্ঞানের যে খেলা চলছে, তাকে যথার্থ ভাবে যারা জানবে তারা কখনোই ধন্দে পড়ে যায় না। তোমরা জানো ভগবান কাউকেই দুঃখ দেন না, তিনি হলেন দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা। যখন সবাই দুঃখী হয়ে যায়, তখন দুঃখের থেকে লিবারেট করতে তিনি আসেন।

গান:-

বাচ্চারা কী শুনলো ? ভক্তির গান। ভক্তিকে ইংরেজীতে বলা হয় ফিলোসফি। টাইটেল পেয়ে থাকে ডক্টর অফ ফিলোসফি। এখন ফিলোসফি (ভক্তি) তো ছোট বড় সব মানুষই জানে। যাকেই জিজ্ঞাসা করবে ঈশ্বর কোথায় থাকেন, তারা বলে দেবে সর্বব্যাপী। এও তো ফিলোসফি হল তাই না ? শাস্ত্রের কোনো কথাই বাবা শোনান না। কোনো ভক্তকেই জ্ঞানের সাগর বলা হবে না । না তাদের মধ্যে জ্ঞান আছে, না তারা জ্ঞান সাগরের সন্তান । জ্ঞান সাগর বাবাকে কেউই জানে না। না তারা নিজেকে শিব বাবার বাচ্চা মনে করে। তারা সবাই ভক্তি করে ভগবানের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য। কিন্তু তারা ভগবানকে জানে না, ফলে ভক্তির থেকে তাদের কী লাভ হবে ? অনেকেই এই ডক্টর অফ ফিলোসফির টাইটেল পেয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তাদের বুদ্ধিতে তো একটিই কথা রয়েছে – ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী । তাকে ফিলোসফি মনে করে। এর ফলেই পতনের দিকে গেছে। একে বলা হয় ধর্মের গ্লানি। আমরা কোনো মানবের সাথেই শাস্ত্রের বিষয়ে কোনো প্রকারেরই বিবাদ-বিসম্বাদ করতে পারি না। আমরা কোনও মানুষের কাছ থেকে পড়িনি। অন্য মানুষেরা মানুষের থেকেই পড়াশোনা করেছে। বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি সব মানুষের কাছ থেকেই পড়ে থাকে। বানিয়েছেও মানুষই। তোমাদেরকে এই জ্ঞান শোনান একমাত্র বাবা এসেই। এখন আমাদের কোনো মানবের থেকেই কিছু শেখার নেই। তোমাদের এখন স্পীরিচুয়াল বাবার কাছ থেকেই শুনতে হবে। যারা শুনবে তারা হল রুহানী বাচ্চা, আত্মারা। তারা সবাই মানুষ মানুষকে শোনায়। এ হল রুহানী বাবার জ্ঞান । ওটা হল মানুষের জ্ঞান। এই বাবাও (সাকার) তো মানুষই, তাই না ? বলো, রুহানী বাবা এনার দ্বারা আমাদেরকে শোনান। আমরা আত্মারা শুনি। আমরা আত্মারা শরীরের দ্বারা অন্যদেরকে শোনাই। এ হল রুহানী জ্ঞান। বাকি সব হল জাগতিক জ্ঞান। ভক্তিতে শরীরের পূজা করে। বাবা বলেন – তোমরা নিজেকে মানুষ বা ভক্ত মনে কোরো না। নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে, পিতাকে স্মরণ করো। তোমরা আত্মারা হলে ভাই-ভাই। গাওয়াও হয়ে থাকে – আত্মা আর পরমাত্মা পৃথক ছিল বহুকাল…। তো তোমাদের কোনো মানবের থেকে শুনতে হবে না। কেউ প্রশ্ন যদি করে বলবে – এ আমাদের কোনো শাস্ত্রের জ্ঞান নয় । শাস্ত্রের জ্ঞানকে আমরা বলি ফিলোসফি অর্থাৎ ভক্তি মার্গের জ্ঞান । সদ্গতি প্রদানের জ্ঞান কেবলমাত্র এক বাবাই প্রদান করেন। সকলের সদ্গতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা’ই, এইরূপ গাওয়াও হয়েছে । বাচ্চারা, কারো সাথেই তোমরা কোনো ডিবেটে যাবে না।

 
 
 

বাবা বলেন – জ্ঞানের অথরিটি, জ্ঞানের সাগর হলাম আমি। আমি তোমাদেরকে শাস্ত্র ইত্যাদি শোনাই না। আমাদের এ হল রুহানী জ্ঞান, বাকি সব হল জাগতিক জ্ঞান। ওই সমস্ত সৎসঙ্গ প্রভৃতি হল ভক্তি মার্গের জন্য। এই রুহানী বাবা বসে রুহদেরকে বোঝাচ্ছেন। সেইজন্য দেহী-অভিমানী হতে বাচ্চাদের পরিশ্রম লাগে। আমরা আত্মারা বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিয়ে থাকি। বাবার বাচ্চারাই তো বাবার আসনের উত্তরাধিকারীই হবে, তাই না ? লক্ষ্মী-নারায়ণও দেহধারী। তাদের সন্তানেরা জৈবিক পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পায়। এই বাবাই হলেন সব কিছুর থেকে আলাদা। সত্যযুগেও জাগতিক ব্যাপার হয়ে যায়। সেখানে এটা বলবে না যে রুহানী বাবার থেকে রুহানী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । দেহ-অভিমানকে ভাঙতে হবে। আমরা হলাম আত্মা আর বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এটাই হল ভারতের প্রাচীন যোগ, এরই খ্যাতি ছিল। ইয়াদ শব্দটি হল হিন্দির। তো নলেজ এখন তোমাদেরকে কে প্রদান করেন, এ’কথা কোনো মানুষই জানে না। জন্ম-জন্মান্তর ধরে মানুষ, মানুষের সাথেই কথা বলে এসেছে। এখন রুহানী বাবা রুহানী বাচ্চাদের সাথে কথা বলেন। রুহ এই জ্ঞান শোনান সেইজন্য একে স্পীরিচুয়াল নলেজ বলা হয় । গীতার স্পীরিচুয়াল নলেজ তিনিই বোঝান, কিন্তু তাতে দেহধারী কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। বাবা বলেন যে, কোনো মানুষের মধ্যেই এই নলেজ থাকতে পারে না। কখনো কেউ তোমাদের সাথে ডিবেট করলে বলবে, এ’সব হল তোমাদের ভক্তির জ্ঞান । মানুষের বানানো শাস্ত্রের জ্ঞান। সত্য জ্ঞান তো একমাত্র জ্ঞান – সাগর বাবার কাছেই রয়েছে, তিনি নিজেই সেই নলেজ প্রদান করছেন। তাঁকে সুপ্রিম পিতা বলা হয়। পূজাও সেই নিরাকারের হয়। যদি আরো নিরাকারের পূজা হয়, তবে তারাও হল তাঁরই সন্তান। মাটির শালগ্রাম বানিয়ে পূজা করে থাকে। রুদ্র যজ্ঞ রচনা করে। তোমরা জানো যে, সেই পরমপিতা পরমাত্মা নিরাকারী দুনিয়াতে থাকেন। আমরা আত্মারাও সেখানে থাকি। সেই জ্ঞানের সাগর এসে জ্ঞান শুনিয়ে সকলের সদ্গতি করেন। তিনি হলেন সব কিছুর থেকে ঊর্ধ্বে থাকা পরমপিতা পরমাত্মা । সব আত্মাদের ব্রাদারের পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে, তারপর শরীর ধারণ করে ভাই-বোন হয়। আত্মারা সবাই হল এক বাবার সন্তান। আত্মা যখন শরীর ধারণ করে, তখন স্বর্গে সুখ, নরকে দুঃখ ভোগ করে। এইরকম কেন হয় ? বোঝানো হয় – জ্ঞান আর ভক্তি, একটা হল দিন আর অপরটি হল রাত। জ্ঞানের থেকে সুখ, ভক্তির থেকে দুঃখ, এই খেলা রচিত হয়ে রয়েছে । এমন নয় যে দুঃখ বা সুখ ভগবানই রচনা করেন। ভগবানকে ডাকে তখনই যখন দুঃখী হয়। মনে করে তিনি সুখ প্রদান করবেন। তারপর যখন সুখের সময় পুরো হয়ে যায় তখন রাবণ ৫ বিকারের কারণে দুঃখ শুরু হয়। এটাই হল খেলা, যেটাকে যথার্থ ভাবে বুঝতে হবে । একেই রুহানী জ্ঞান বলা হয়। বাকি সব কিছু হল জাগতিক জ্ঞান। সে’সব আমরা শুনতে চাই না। আমাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে – কেবলমাত্র আমাকে, পিতার থেকেই শোনো। বাবা বলেন – হিয়ার নো ইভিল…। আমরা কেবল এক ভগবানের কাছ থেকেই শুনি। তোমরা মানুষের কাছ থেকে শুনে থাকো। রাত দিনের ফারাক। বড় বড় বিদ্বানরা শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে। সে’ সব তো আমিও অনেক পড়েছি। এখন ভগবান বলছেন, তুমি তো অনেক গুরু করেছো, এখন তাদেরকে ছাড়ো, আমি যা শোনাচ্ছি সে’সব শোনো। ভগবান হলেনই নিরাকার, তাঁর নাম হল শিব। এখন আমরা ওঁনার থেকে শুনছি। বাবা স্বয়ং নিজের পরিচয় আর তাঁর রচনার আদি, মধ্য, অন্তের পরিচয় দিয়ে থাকি এরপর আমরা আপনাদের থেকে শাস্ত্র ইত্যাদির কথা কেন শুনবো? আমরা আপনাদেরকে রুহানী নলেজ শোনাচ্ছি, শুনতে চাইলে শুনুন। ধন্দে পড়ে যাওয়ার মতো কোনো ব্যাপারই নেই। সমগ্র দুনিয়া হল একদিকে আর অন্যদিকে তোমরা কতো অল্পজন। বাবা এখন বলেন, আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের উপর থেকে পাপের যে বোঝা রয়েছে, সে’সব নেমে যাবে আর তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে । যারা পবিত্র হবে তারাই পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবে। এখন পুরানো দুনিয়ার বদল হবে। কলিযুগের পরে সত্যযুগ আসবে। সত্যযুগ হল পবিত্র দুনিয়া । কলিযুগেই আমাকে আহ্বান করে যে, এসে পবিত্র দুনিয়া বানাও। তাইতো এখন আমি এসেছি, মামেকম্ স্মরণ করো। এখন দুনিয়া বদলে যাচ্ছে । এটা হল অন্তিম জন্ম। এই পুরানো দুনিয়াতে আসুরিক রাজ্য অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। রাম-রাজ্য স্থাপন হচ্ছে । সেইজন্য এখন অন্তিম জন্ম গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পদ্ম ফুলের মতো পবিত্র হয়ে ওঠো। এটা তো হল বিষয় সাগর। পদ্ম ফুল জলের উপরে থাকে। তাই এখন তোমরা গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পদ্ম ফুলের মতো পবিত্র হও। তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা রাজত্ব স্থাপন করছি। এখন সমগ্র দুনিয়া বদলে যাবে। ওই ধর্ম স্থাপকরা কেবল নিজের নিজের ধর্ম স্থাপন করে থাকে। প্রথমে তারা পবিত্র হয় তারপর পতিত হয়। সদ্গুরু তো হলেন একজনই, তিনিই সদ্গতি দাতা। মানুষ গুরু তখনই করে যখন সদ্গতিতে যেতে চায়। যখন পাপ অনেক হয়ে যায়, তখন রুহানী পিতা জ্ঞান শোনান। ভক্তির ফল জ্ঞান তোমাদের ভগবানের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়। ভগবান কোনো ভক্তি শেখান না। তিনি তো জ্ঞান প্রদান করেন। তিনি বলেন – মামেকম্ স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । আর কোনো পবিত্র হওয়ার রাস্তা নেই। নতুন দুনিয়াতে সবাই স্বর্গবাসী ছিল। এখন পুরানো দুনিয়াতে সবাই হল নরকবাসী। সেইজন্য বাবা বলেন, আমি সবাইকে উদ্ধার করতে আসি। আমিই এসে রুহানী জ্ঞান প্রদান করি। বাবা নিজের পরিচয় প্রদান করছেন। আমি হলাম তোমাদের বাবা। এখন এটা হল নরক। নতুন দুনিয়াকে স্বর্গ বলা হয়। এইরকম কীকরে বলবে যে, এখানেই হল স্বর্গ নরক, যার অনেক ধন আছে সে স্বর্গে রয়েছে? স্বর্গ তো হয়ই নতুন দুনিয়াতে। এখানে স্বর্গ কোথা থেকে এলো। সেইজন্য আমরা কোনও মানুষের কথা শুনি না। বাবা বলেন তোমাদেরকে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে, তাই মামেকম্ স্মরণ করো। সারা দিন বুদ্ধিতে এই নলেজ থাকা উচিত। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) একমাত্র বাবার কাছ থেকেই রুহানী কথা শুনতে হবে। কারো কাছ থেকে অন্য কোনো বিষয়ের বিবাদ-বিসম্বাদে যাবে না।

২ ) দেহী-অভিমানী হওয়ার পরিশ্রম করতে হবে। সতোপ্রধান হওয়ার জন্য একমাত্র বাবার স্মরণেই থাকতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন কোনো বড়র হাতে যখন হাত থাকে তখন বেফিকর বা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। এইরকম সকল কার্যে এটাই বুঝতে হবে যে, বাপদাদা আমার সাথেও আছেন আর আমাদের এই অলৌকিক জীবনের হাত ওঁনার হাতেই রয়েছে অর্থাৎ জীবন তাঁরই হাতে। তাই দায়িত্বও ওঁনারই হয়ে যায় । সকল বোঝা তাঁর উপরে রেখে নিজেকে হাল্কা করে দাও। বোঝা নামিয়ে দেওয়ার কিম্বা কঠিনকে সহজ করবার উপায়ই হল – বাবার হাত আর সাথ।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য –

১ ) “জ্ঞান, যোগ আর দৈবী গুণের ধারণা হল জীবনের আধার”

এটা তো আমাদের নিশ্চয় রয়েছে যে, পরমপিতা পরমাত্মার দ্বারা আমরা নলেজ প্রাপ্ত করছি, এই নলেজে মুখ্য তিনটি পয়েন্ট রয়েছে, যার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করবার প্রতি ধ্যান রাখা আবশ্যক। এর মধ্যে প্রথমে হল যোগ বা ঈশ্বরীয় নিরন্তর স্মরণ, যার দ্বারা বিকর্ম গুলির বিনাশ হয়। দ্বিতীয় হল জ্ঞান, মানে এই সমগ্র ব্রহ্মান্ড, সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্ত কীভাবে হয়, যখন এই নলেজ হবে তখনই এই লাইফে প্র্যাক্টিকল চেঞ্জ আসতে পারে আর আমরা খুব ভালো ভবিষ্যৎ প্রালব্ধ বানাতে পারবো। তৃতীয় পয়েন্ট হল – আমাদের কোয়ালিফিকেশন তো সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ অবশ্যই হতে হবে, তবেই দেবতা হওয়া যাবে। তাই নিজেকে নিজে চলতে – ফিরতে, খাওয়া – দাওয়া করতে করতেও এই তিনটি পয়েন্টের উপরে ধ্যান রাখা জরুরী। এই এক জন্মেই জ্ঞান বল, যোগ বল আর দৈবী গুণ গুলির ধারণা করতে পারা যাবে। তিনটিরই পারস্পরিক কানেকশন রয়েছে – জ্ঞান ছাড়া যোগ লাগবে না আর যোগ ব্যাতিরেকে দৈবী গুণের ধারণা হবে না। এই তিনটি পয়েন্টের উপরেই হল সমগ্র জীবনের আধার। তখনই বিকর্মের খাতা সমাপ্ত হয়ে ভালো কর্ম তৈরী হয়। একেই ঈশ্বরীয় জীবন বলা হয়।

২ ) “ভারতের প্রাচীন যোগ পরমাত্মার দ্বারা শেখানো হয়েছে”

আমাদের এই ঈশ্বরীয় যোগ ভারতে প্রাচীন যোগ নামে বিখ্যাত। এই যোগকে অবিনাশী যোগ কেন বলা হয় ? কারণ অবিনাশী পরমপিতা পরমাত্মার দ্বারা এটা শেখানো হয়েছে। যোগ হয়ত অন্য লোকেরাও শেখায়, সেইজন্য যোগাশ্রম ইত্যাদি খুলতে থাকে। কিন্তু প্রাচীন যোগ শেখাতে পারে না। যদি এই রকম যোগ তারা শেখাতো তবে সেই রকম বল কোথায় ? ভারত তো দিন দিন নির্বল হয়েই চলেছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সেই সব যোগ অবিনাশী যোগ নয় । যার সাথে যোগ লাগাতে হবে, তিনিই সেটা শেখাতে পারেন। বাকি অন্যদের সাথে তো যোগ লাগানোই যাবে না, তাহলে শেখাবে কীকরে ? এই কাজ তো একমাত্র স্বয়ং পরমপিতা পরমাত্মাই করতে পারেন। তিনিই আমাদেরকে সমস্ত রহস্য উন্মোচন করে বলে দিতে পারেন। বাকি তো সবদিক থেকেই বলতে থাকে আমরা যোগ শেখাতে পারি। এটা তো আমরা জানি যে, সত্যিকারের যোগ স্বয়ং পরমাত্মাই শিখিয়ে সূর্যবংশী চন্দ্রবংশী ঘরানার বা দৈবী রাজ্য স্থাপন করে থাকেন। এখন সেই প্রাচীন যোগ পরমাত্মা এসে প্রতি কল্পে আমাদেরকে শেখান। তিনি বলেন, হে আত্মা আমি পরমাত্মার সাথে নিরন্তর যোগ লাগাও, তাহলে তোমাদের পাপ নষ্ট হয়ে যাবে। আচ্ছা । ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top