05 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
October 4, 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - আত্মা আর শরীর, যা পতিত এবং কালো হয়ে গেছে, বাবার স্মরণে একে পবিত্র বানাও, কেননা এখন পবিত্র দুনিয়াতে যেতে হবে"
প্রশ্নঃ --
ভগবান কোন্ বাচ্চাদের সঙ্গে মিলিত হন, বাবা কোন হিসাব বলেছেন ?
উত্তরঃ -:-
যারা শুরু থেকেই ভক্তি করেছে, ভগবান তাদের সঙ্গে মিলিত হন । বাবা এই হিসাব বলেছেন যে, সবার প্রথমে তোমরা ভক্তি করো, তাই তোমরাই প্রথমে ভগবানের দ্বারা জ্ঞান পাও, যাতে তোমরা আবার নতুন দুনিয়াতে রাজত্ব করো । বাবা বলেন, তোমরা অর্ধেক কল্প আমাকে স্মরণ করেছো, এখন আমি এসেছি তোমাদের ভক্তির ফল প্রদান করতে ।
গান:-
তোমার পথেই মরণ…
ওম শান্তি । বাচ্চারা গীত শুনেছে । কারোর যখন মৃত্যু হয় তখন বাবার কাছে জন্ম নেয় । তোমরা জানো যে, আমরা হলাম আত্মা । সে হয়ে গেলো শরীরের কথা । এক শরীর ত্যাগ করে আবার অন্য বাবার কাছে গিয়ে জন্ম নেয় । তোমাদের কতো সাকারী বাবা ছিলো । প্রকৃতপক্ষে তোমরা হলে নিরাকারী বাবার সন্তান । তোমরা আত্মারা হলে পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান, তোমরা ওখানকারই অধিবাসী, যাকে নির্বাণধাম বা শান্তিধাম বলা হয় । বাবাও ওখানেই থাকেন । তোমরা এখানে এসে লৌকিক বাবার সন্তান হও, তখন আবার ওই বাবাকে ভুলে যাও । সত্যযুগে তোমরা সুখী হয়ে যাও, তখন আবার এই পারলৌকিক বাবাকে ভুলে যাও । সুখে তোমরা এই বাবাকে স্মরণ করো না । দুঃখে তোমরা স্মরণ করো, আর আত্মাই স্মরণ করে । লৌকিক বাবাকে যখন স্মরণ করে তখন বুদ্ধি শরীরের প্রতি থাকে । ওই বাবাকে যখন স্মরণ করবে, তখন বলবে — ও বাবা, দুজনেই বাবা হলো সঠিক অক্ষর হলো ‘বাবাই’। উনিও বাবা আর ইনিও বাবা । আত্মা আধ্যাত্মিক বাবাকে যখন স্মরণ করে, তখন বুদ্ধি ওখানে চলে যায় । এই বাবা বসে বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলেন । তোমরা এখন জানো যে, বাবা এসেছেন, আর তিনি আমাদের আপন করে নিয়েছেন । বাবা বলেন — আমি তোমাদের প্রথম – প্রথম স্বর্গে পাঠাই । তোমরা সেখানে অনেক বিত্তবান ছিলে তারপর ৮৪ জন্মগ্রহণ করে ড্রামা প্ল্যান অনুসারে এখন দুঃখী হয়ে গেছো । ড্রামা অনুসারে এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যেতে হবে । তোমাদের আত্মা আর শরীর রূপী বস্ত্র সতোপ্রধান ছিলো, তারপর আত্মা গোল্ডেন যুগ থেকে সিলভার যুগে এলো, তারপর কপার যুগে এলো । এখন তোমরা তোমাদের আত্মা সম্পূর্ণ পতিত হয়ে গেছে, তাই তোমাদের শরীরও পতিত । ১৪ ক্যারেটের সোনা যেমন কেউ পছন্দ করে না, কালো হয়ে যায় । তোমরাও এখন কালো আয়রন যুগের হয়ে গেছো । এখন আত্মা আর শরীর, যা এমন কালো হয়ে গেছে, তা পবিত্র কিভাবে হবে । আত্মা পবিত্র হলে শরীরও পবিত্র পাওয়া যাবে । তা কিভাবে হবে ? গঙ্গা স্নান করলে কি ? তা নয়, মানুষ ডাকতে থাকে — হে পতিত – পাবন এসো । আত্মা যখন এই কথা বলে, তখন বুদ্ধি পারলৌকিক বাবার দিকে চলে যায় । হে বাবা, দেখো, বাবা অক্ষরও কতো মিষ্টি । ভারতেই ‘বাবা – বাবা’ বলে থাকে । তোমরা এখন আত্ম – অভিমানী হয়ে বাবার হয়েছো । বাবা বলেন, আমি তোমাদের স্বর্গে পাঠিয়েছিলাম, তোমরা নতুন শরীর ধারণ করেছিলে । তোমরা এখন কি হয়ে গেছো । এই কথা সবসময় অন্দরে থাকা উচিত । তোমাদের বাবাকেই স্মরণ করা উচিত । সবাই তো স্মরণ করে – হে বাবা, আমরা আত্মারা পতিত হয়ে গেছি, এখন তুমি এসো, এসে আমাদের পবিত্র বানাও । ড্রামাতে এই পার্টও আছে, তাই তো ডাকতে থাকে । ড্রামা প্ল্যান অনুসারে তিনি আসবেনই যখন এই পুরানো দুনিয়া নতুন হওয়ার সময় হয় । তাই অবশ্যই তিনি সঙ্গম যুগেই আসবেন । বাচ্চারা, তোমাদের বিশ্বাস আছে যে — বাবা হলেন অতি প্রিয় । বলাও হয় — মিষ্টি, অতি মিষ্টি, এখন এই মিষ্টি কে ? লৌকিক সম্বন্ধে প্রথমে বাবা, যিনি জন্ম দেন । তারপর হলো টিচার । টিচারের কাছে পড়ে তোমরা পদ প্রাপ্ত করো । জ্ঞানকে সোর্স অফ ইনকাম বলা হয় । জ্ঞান হলো নলেজ, যোগ হলো স্মরণ । তাই এই অসীমের খবর কেউই জানে না । চিত্রকে পরিস্কার ভাবে দেখানো হয়েছে যে, শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করান। কৃষ্ণ কিভাবে রাজযোগ শেখাবেন । রাজযোগ শেখানোই হয় সত্যযুগের জন্য । তাই অবশ্যই সঙ্গম যুগে বাবাই শিখিয়েছিলেন । সত্যযুগের স্থাপন করান বাবা । তিনি ব্রহ্মার দ্বারা করান, কারণ তিনি তো করাওনহার, তাই না । ওরা তো ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা বলে দেয়, কিন্তু উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন শিব, তাই না । উনি হলেন সাকার আর ইনি নিরাকার । সৃষ্টিও এখানেই । এই সৃষ্টির চক্রই ঘুরতে থাকে, রিপিট হতে থাকে । সূক্ষবতনকে সৃষ্টিচক্র বলা হয় না । এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি রিপিট হয় । এমন গায়নও আছে যে, সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ, কলিযুগ । মাঝে তো সঙ্গমযুগ চাই । না হলে কলিযুগকে সত্যযুগ কে বানাবে ! নরকবাসীদের স্বর্গবাসী বানাতে বাবা এই সঙ্গম যুগে আসেন । যতো পুরানো দুনিয়া, তত বেশী দুঃখ । আত্মা যতো তমোপ্রধান হতে থাকে, তত দুঃখী হয় । দেবতারা হলো সতোপ্রধান । এ হলো হাইয়েস্ট অথরিটি গড ফাদারলী গভর্নমেন্ট । সাথে ধর্মরাজও আছেন । বাবা বলেন – তোমরা শিবালয়ে ছিলে, আর এখন হলো বেশ্যালয় । তোমরা পবিত্র ছিলে, এখন পতিত হয়ে গেছো, তাই বলো যে, আমরা পাপী । আত্মা বলে যে, আমি নির্গুণের মধ্যে কোনো গুণ নেই৷ কোনো দেবতার মন্দিরে গেলে তাঁর সামনে এমনই বলবে । বলা উচিত বাবার সামনে । তাঁকে ছেড়ে ভাইয়েদের ধরে থাকে, এই দেবতারা তো ভাই হলো, তাই না । ভাইয়েদের থেকে তো কিছুই পাওয়া যায় না । এই ভাইয়েদের পুজো করতে করতে নীচে নেমে এসেছে । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে – বাবা এসেছেন, তাঁর থেকে আমরা উত্তরাধিকার পাই । বাকি মানুষ তো বাবাকে জানেই না । তারা সর্বব্যাপী বলে দেয় । কেউ আবার বলে থাকে অখণ্ড জ্যোতি তত্ব । কেউ আবার বলে, তিনি নামরূপ থেকে পৃথক । আরে, তোমরা বলো, তিনি অখণ্ড জ্যোতি স্বরূপ, তাহলে নাম – রূপ থেকে পৃথক কিভাবে বলো । বাবাকে না জানার কারণেই মানুষ পতিত হয়ে গেছে । এই তমোপ্রধানও হতেই হবে । আবার যখন বাবা আসবেন, তখন তোমাদের সবাইকে পবিত্র বানাবেন । আত্মারা নিরাকারী দুনিয়াতে সবাই বাবার সঙ্গে থাকে । তারপর এখানে এসে সতঃ, রজঃ এবং তমঃতে ভূমিকা পালন করে । আত্মাই বাবাকে স্মরণ করে । বাবা আসেনও, তিনি এসে বলেন, আমি ব্রহ্মা তনের আধার নিই, এ হলো ভাগ্যশালী রথ । আত্মা ছাড়া তো রথ হয়ই না । মানুষ বলে, ভাগীরথ গঙ্গাকে নিয়ে এসেছিলো ॥ এখন এমন ব্যাপার তো হতেই পারে না কিন্তু ওরা কিছুই বুঝতে পারে না যে, আমি কি বলছি !
বাচ্চারা, এখন তোমাদের বোঝানো হয়েছে যে – এ হলো জ্ঞান বর্ষা । এতে কি হয় ? পতিত থেকে পবিত্র হয় । গঙ্গা – যমুনা তো সত্যযুগেও থাকে । বলা হয় যে, কৃষ্ণ যমুনার উপকূলে খেলাধুলা করতেন । এমন কোনো কথা নেই৷ তিনি তো হলেন সত্যযুগের প্রিন্স, তাঁকে খুব সাবধানের সঙ্গে পালনা করা হয়, কেননা তিনি তো ফুল, তাই না । ফুল কতো সুন্দর হয় । সবাই এসে ফুলের সুগন্ধ নেয় । কাঁটার থেকে তো আর সুগন্ধ নেবে না । এখন তো হলোই কাঁটার দুনিয়া । বাবা এসে জঙ্গলকে ফুলের বাগান তৈরী করে, তাই তাঁর নাম বাবুলনাথও রেখে দেওয়া হয়েছে । তিনি কাঁটার থেকে ফুলে পরিণত করেন, তাই তাঁর মহিমা করা হয়, কাঁটার থেকে ফুলে পরিণত করেন বাবা । তাই এখন তোমাদের বাবার প্রতি কতো ভালোবাসা থাকা উচিত । তোমরা এখন জানো যে, আমরা এই অসীম জগতের বাবার হয়েছি । তোমাদের সম্বন্ধ এখন তাঁর সঙ্গেও আছে, আবার লৌকিক বাবার সঙ্গেও আছে । পারলৌকিক বাবাকে স্মরণ করলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে । আত্মা জানে যে, সে হলো আমাদের লৌকিক বাবা আর ইনি হলেন পারলৌকিক বাবা । ভক্তি মার্গেও আত্মা জানে যে, এ আমাদের লৌকিক বাবা আর উনি হলেন গড ফাদার । সবাই অবিনাশী বাবাকে স্মরণ করে । সেই বাবা এসে কখন যে স্বর্গ স্থাপন করেন, এ কেউই জানে না । বাবা আসেনই পতিতকে পবিত্র করতে । তাহলে অবশ্যই তিনি সঙ্গম যুগেই আসবেন । শাস্ত্রে তো কল্পের আয়ু লাখ বছর লিখে দিয়ে মানুষকে সম্পূর্ণ ঘোর অন্ধকারে ফেলে দিয়েছে । বলা হয়, যারা খুব ভক্তি করে, তারা ভগবানকে পায় । তাহলে সবথেকে বেশী ভক্তি যারা করে, তাদেরই প্রথমে মিলিত হওয়া উচিত । বাবা হিসাবও বলে দিয়েছেন ॥ সবথেকে প্রথমে ভক্তি তোমরা করো, তাই তোমাদেরই প্রথম – প্রথম ভগবানের কাছে জ্ঞান পাওয়া উচিত, যাতে তোমরাই প্রথমে এসে নতুন দুনিয়াতে রাজত্ব করতে পারো । বাচ্চারা, অসীম জগতের পিতা এসে তোমাদের জ্ঞান দান করছেন, এতে সমস্যার কোনো কথা নেই৷ বাবা বলেন, তোমরা অর্ধেক কল্প ধরে স্মরণ করেছো ॥ সুখে তো কেউ স্মরণ করেই না । অন্তে যখন দুঃখী হয়ে যায়, তখন আমি এসে তোমাদের সুখী বানাই । তোমরা এক অনেক উচ্চ মানব হও । চিফ মিনিস্টার, প্রাইম মিনিস্টারের বাংলো, বাড়ি কতো এক নম্বর সুন্দর হয় । সমস্ত আসবাব এমনই এক নম্বর হবে । তোমরা তো কতো উচ্চ দেবতা তৈরী হও । তোমরা দৈবী গুণ সম্পন্ন দেবতা, স্বর্গের মালিক তৈরী হও । ওখানে তোমাদের জন্য মহলও হীরে – জহরতের হয় । ওখানে তোমাদের আসবাব সোনায় জড়ানো এক নম্বর হবে ।
এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । শিবকে রুদ্রও বলা হয় । ভক্তি যখন সম্পূর্ণ হয়, তখন ভগবান রুদ্র যজ্ঞ রচনা করেন । সত্যযুগে যজ্ঞ অথবা ভক্তির কোনো কথা থাকে না । এই সময়ই বাবা এই অবিনাশী রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের রচনা করেন যার স্মরণে পরে মহিমা চলতে থাকে । ভক্তি তো সর্বদা থাকবে না । ভক্তি আর জ্ঞান, ভক্তি হলো রাত আর জ্ঞান হলো দিন । বাবা এসে দিন তৈরী করেন, তাই বাচ্চাদেরও বাবার প্রতি কতো প্রেম থাকা উচিত । বাবা আমাদের এই বিশ্বের মালিক করেন । তিনি তো আমাদের অতি প্রিয় বাবা, তাই না । তাঁর থেকে প্রিয় বস্তু আর কিছুই হয় না । তোমরা অর্ধেক কল্প ধরে স্মরণ করে এসেছো । বাবা, তুমি এসে আমাদের দুঃখ হরণ করো । বাবা এখন এসেছেন, তিনি বোঝান – হে বাচ্চারা, তোমাদের নিজেদের গৃহস্থ জীবনেই থাকতে হবে । এই বাবার কাছে কতোদিন বসে থাকবে । সাথে তো পরমধামেই থাকতে পারবে । এখানে তো থাকতে পারবে না । এখানে তো জ্ঞান শিক্ষার জন্য আসে । এই জ্ঞান শিক্ষা অল্পই ধারণ করে । লাউড স্পিকার দিয়ে কখনো পড়া হয় কি ? টিচার কিভাবে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবে ? লাউড স্পিকারে কিভাবে প্রত্যুত্তর দেবেন ? তাই অল্প সংখ্যক ছাত্রকে পড়াতে হয় । কলেজ তো অনেকই হয়, সেখানে পরীক্ষা হয় । রেজাল্ট বের হয় । এখানে তো এক বাবাই পড়ান । তোমাদের এও বোঝা উচিত যে, বাবা হলেন দুইজন – লৌকিক আর পারলৌকিক । দুঃখে ওই পারলৌকিক বাবাকেই স্মরণ করে । এখন সেই বাবা এসেছেন । মহাভারত লড়াইও সামনে উপস্থিত । ওরা মনে করে মহাভারত লড়াইয়ে কৃষ্ণ এসেছিলো, কিন্তু তা তো হতে পারে না । বেচারারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে আছে । তবুও তারা কৃষ্ণ – কৃষ্ণ করতে থাকে । এখন অতি প্রিয় যেমন শিবও, তেমনই কৃষ্ণও, কিন্তু তিনি হলেন নিরাকার আর ইনি সাকার । নিরাকার বাবা হলেন সর্ব আত্মার বাবা । দুজনেই অতি প্রিয় । কৃষ্ণও তো বিশ্বের মালিক, তাই না । এখন তোমরা বিচার করতে পারো যে, সবথেকে বেশী প্রিয় কে ? শিব বাবাই তো এমন উপযুক্ত করেন, তাই না । কৃষ্ণ কি করেন ? বাবাই তো তাঁকে এমন বানান, তাই না । তাই মহিমাও বেশী ওই বাবার হওয়া উচিত । বাবা বুঝিয়েছেন – তোমরা সকলেই হলে পার্বতী । এই অমরনাথ শিব তোমাদের কথা শোনাচ্ছেন । তোমরাই সব অর্জুন, তোমরাই হলে দ্রৌপদী । এই বিকারী দুনিয়াকে রাবণ রাজ্য বলা হয় । ও হলো নির্বিকারী দুনিয়া । ওখানে বিকারের কথাই নেই৷ নিরাকার বাবা কি বিকারী দুনিয়ার রচনা করবেন নাকি ? বিকারেই যতো দুঃখ । সন্ন্যাসীদের হলো হঠযোগ, নিবৃত্তি মার্গ । কর্ম সন্ন্যাস তো কখনোই হয় না । এ তখনই হবে যখন আত্মা শরীর থেকে পৃথক হয়ে যাবে । গর্ভ জেলে আত্মার কর্মের হিসাব শুরু হয়ে যায় । বাকি কর্ম সন্ন্যাস বলা ভুল, মানুষ হঠযোগ ইত্যাদি অনেক শেখে, তারা গুহাতে গিয়েও বসে । আগুনের উপর দিয়েও চলে । ঋদ্ধি – সিদ্ধিও অনেক করে । জাদুকরী থেকেও অনেক জিনিস করা যায় । ভগবানকে জাদুকর, রত্নাকর, সওদাগর বলা হয় কিন্তু ওই জাদু থেকে কেউ তো গতি – সদগতি পেতে পারে না । সে তো একই সদগুরু এসে সবাইকে গতি – সদগতি করেন । আচ্ছা ।
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত করেন এক অতি প্রিয় বাবা, তাঁকে খুব ভালোবেসে স্মরণ করতে হবে । সুগন্ধী, পবিত্র ফুল হয়ে সবাইকে সুখ দান করতে হবে ।
২ ) এই জ্ঞান হলো সোর্স অফ ইনকাম, এতে ২১ জন্মের জন্য তোমরা খুব উচ্চ মানুষ হতে পারো, তাই এই জ্ঞান খুব ভালোভাবে পড়তে আর পড়াতে হবে । আত্ম – অভিমানী হতে হবে ।
বরদানঃ-
কোনো কার্য করার সময় বাপদাদাকে যদি নিজের সাথী করে নাও, তাহলে ডবল ফোর্সে কার্য হবে, আর স্মৃতিও খুব সহজ থাকবে, কেননা যে সদা সাথে থাকে, তাঁর স্মরণ শীঘ্রই হতে থাকে । তাই এমন সাথী থাকলে বা বুদ্ধির দ্বারা নিরন্তর সৎ এর সঙ্গ করলে সহজযোগী হয়ে যাবে আর শক্তিশালী সঙ্গ হওয়ার কারণে প্রতিটি কর্তব্যে তোমাদের ডবল ফোর্স থাকবে, যাতে প্রতিটি কার্যে সফলতার অনুভব হবে ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!