02 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 1, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন হল এই মৃত্যু লোকের সমাপ্তি, অমরলোক স্থাপন হচ্ছে, সেইজন্য তোমরা মৃত্যুলোক নিবাসীদেরকে স্মরণ করবে না"

প্রশ্নঃ --

বাবা তাঁর গরীব বাচ্চাদেরকে কোন্ স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেন ?

উত্তরঃ -:-

বাচ্চারা, যখন তোমরা ভাইসলেস (পবিত্র) ছিলে, তখন খুব সুখী ছিলে। তোমাদের মতন সমৃদ্ধশালী দ্বিতীয় আর কেউ ছিল না, তোমরা অপার সুখী ছিলে। ধরিত্রী, আকাশ সব তোমাদের হাতে ছিল। এখন বাবা তোমাদেরকে পুনরায় সমৃদ্ধশালী বানাতে এসেছেন ।

গান:-

নয়নহীনকে পথ দেখাও প্রভু..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি রুহানী বাচ্চারা, আত্মারা গীত শুনলো। কে বললেন ? আত্মাদের রুহানী বাংলা। রুহানী বাবাকে রুহানী বাচ্চারা বলল – বাবা। তাঁকে ঈশ্বরও বলা হয়, পিতাও বলা হয় । কোন্ পিতা ? পরমপিতা। বাবা হলেন দু’জন। এক হলেন লৌকিক, আরেকজন হলেন পারলৌকিক। লৌকিক বাবার বাচ্চারা পারলৌকিক বাবাকে আহ্বান করে। হে বাবা, বাবার নাম ? শিব। শিব নিরাকার হিসাবে তাঁকে পূজা করা হয়। ওঁনাকে বলা হয় সুপ্রীম ফাদার। লৌকিক বাবাকে সুপ্রিম বলা যাবে না। উচ্চ থেকেও উচ্চ আত্মাদের বাবা হলেন একজনই । সকল জীব আত্মারা সেই এক পিতাকে স্মরণ করে। আত্মারা এটা ভুলে গেছে যে আমাদের বাবা কে ? আহ্বান করে – ও গড ফাদার ! আমরা নয়নহীন, আমাদেরকে দৃষ্টি (নয়ন) দাও, আমরা আমাদের বাবাকে যাতে চিনতে পারি। ভক্তি মার্গে আমরা অন্ধ হয়ে ঠোকর খেতে থাকি, এখন তার থেকে আমাদেরকে মুক্ত করো। বাবাই কল্পে কল্পে এসে ভারতকে হেভেন বানান। এখন হল কলিযুগ, সত্যযুগ আসছে। কলিযুগ আর সত্যযুগে মধ্যবর্তীকে সঙ্গমযুগ বলা হয়। এটা হল পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। বেহদের বাবা এসে যারা ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে, তাদেরকে শ্রেষ্ঠাচারী পুরুষোত্তম বানান। লক্ষ্মী-নারায়ণ পুরুষোত্তম ছিলেন। লক্ষ্মী-নারায়ণের ডিনায়েস্টির (রাজবংশ) রাজত্ব ছিল। বাবা এসে এ’সব স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। তোমরা ভারতবাসীরা আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে স্বর্গবাসী ছিলে, এখন নরকবাসী হয়েছো। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে ভারত হেভেন ছিল, ভারতের অনেক মহিমা ছিল। সোনার, হীরের মহল ছিল। এখন কিছুই নেই। সেই সময় আর কোনো ধর্ম ছিল না, কেবল সূর্যবংশী ছিল। এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দির বানিয়েই চলেছে। কিন্তু লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব কখন ছিল ? কীভাবে তারা রাজত্ব পেয়েছিল – কারোরই জানা নেই। পূজা করে, কিন্তু জানে না। একে ব্লাইন্ড ফেইথ বলা হবে না কি ? শিবের, লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজা করে, বায়োগ্রাফি কেউই জানে না। ভারতবাসী নিজেরাই বলে আমরা হলাম পতিত। হে পতিত-পাবন বাবা এসো। এসে আমাদেরকে দুঃখ থেকে, রাবণের রাজত্ব থেকে লিবারেট (মুক্ত) করো। বাবা এসে সবাইকে লিবারেট করেন। বাচ্চারা জানে যে, সত্যযুগে একটাই রাজ্য ছিল । কংগ্রেসীরা বা বাপুজীও এটাই চাইতেন যে, আবার আমাদের রাম-রাজ্য চাই। আমরা স্বর্গবাসী হতে চাই। এখন নরকবাসীদের কী হাল দেখতে পাচ্ছো তো ? একে বলা হয় হেল, ডেভিল ওয়ার্ল্ড। এই ভারতই ডিটি (দৈবী) ওয়ার্ল্ড ছিল। এখন ডেভিল ওয়ার্ল্ড হয়ে গেছে।

বাবা বোঝান, তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছ, ৮৪ লাখ জন্ম নয়। এ তো শাস্ত্রে সব গাল গল্প লিখে দিয়েছে। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে সদ্গতি মার্গ ছিল। সেখানে না ভক্তি, না দুঃখের নামটুকুও ছিল। তাকে সুখধাম বলা হয়। বাবা বলেন, তোমরা আসলে হলে শান্তিধামের বাসিন্দা। তোমরা এখানে পার্ট প্লে করতে এসেছো। পুনর্জন্ম ৮৪ বার হয়, ৮৪ লক্ষ বার নয়। এখন বেহদের বাবা এসেছেন বাচ্চারা তোমাদেরকে বেহদের বর্সা দিতে। বাবা তোমরা আত্মাদের সাথে কথা বলেন। অন্য সৎসঙ্গে মানুষ, মানুষকে ভক্তির কথা শোনায়। অর্ধ কল্প যখন ভারত স্বর্গ ছিল, একজনও পতিত ছিল না। এখন একজনও পবিত্র নয়। এটা হল পতিত দুনিয়া। বাবা বোঝান – গীতাতে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ লিখে দিয়েছে। কৃষ্ণ ভগবান নয়, না গীতা শুনিয়েছিল। এরা তো নিজেদের ধর্ম শাস্ত্রকেও জানে না। নিজেদের ধর্মকেই ভুলে গেছে। প্রধান ধর্ম হল চারটি, প্রথম হল আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম, সূর্যবংশী, তারপর হল চন্দ্রবংশী, এই দুটিকে মিলিয়ে বলা হয় দেবী-দেবতা ধর্ম। সেখানে দুঃখের নামও ছিল না। ২১ জন্ম তোমরা সুখধামে ছিলে। তারপরে রাবণ রাজ্য, ভক্তি মার্গ শুরু হয়। শিব বাবা কখন আসেন ? যখন রাত্রি হয়। ভারতবাসী ঘোর অন্ধকারে এসে যায়, তখন বাবা আসেন। পুতুল পূজা করতে থাকে। একজনরও বায়োগ্রাফি জানে না। ভক্তি মার্গে অনেক ধাক্কা খেতে থাকে, তীর্থে যাও, পরিক্রমা করো। কোনো প্রাপ্তি নেই। বাবা বলেন – আমি এসে তোমাদেরকে ব্রহ্মার দ্বারা যথার্থ জ্ঞান শোনাই। ডাকতে থাকে আমাদেরকে সুখধাম আর শান্তিধামের রাস্তা বলে দাও। বাবা বলেন, আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে আমি তোমাদেরকে অনেক সমৃদ্ধশালী বানিয়েছিলাম। এতো ধন দিয়েছিলাম, সে’সব কোথায় হারালে ? তোমরা কতো সমৃদ্ধশালী ছিলে। ভারতের স্থান কোথায় ছিল ? ভারতই সব থেকে উচ্চ থেকে উচ্চ খন্ড ছিল। বাস্তবে এটাই হল সকলের তীর্থ, কেননা পতিত-পাবন বাবার বার্থ প্লেস। যে যে ধর্ম আছে সবেরই সদ্গতি বাবা এসে করেন। এখন রাবণের রাজ্য হল সমগ্র সৃষ্টিতে, কেবল লঙ্কায় নয়। যখন সূর্যবংশী রাজ্য ছিল তখন এই বিকার ছিল না। ভারত ভাইসলেস ছিল, এখন বিনাশ হয়ে গেছে। সবাই এখন নরকবাসী। সত্যযুগে যে দৈবী সম্প্রদায় ছিল, তারাই আবার ৮৪ জন্ম ভোগ করে আসুরিক সম্প্রদায় হয়ে গেছে, এখন আবার দৈবী সম্প্রদায় তৈরী হবে । ভারত অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ছিল, এখন গরীব হয়ে গেছে, সেইজন্য ভিক্ষা প্রার্থনা করছে। বাবা তোমাদের, গরীব বাচ্চাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, তোমরা কতো সুখী ছিলে । তোমাদের মতো সুখ কেউই পেতে পারে না। ধরিত্রী, আকাশ সব তোমাদের হাতে। শাস্ত্রে কল্পের আয়ু অনেক লম্বা বলে দিয়ে সকলকে কুম্ভকর্ণের আসুরিক নিদ্রায় নিদ্রিত করে দিয়েছে। এই ভারত শিব বাবার স্থাপন করা শিবালয় ছিল। সেখানে পবিত্রতা ছিল। সেই নতুন দুনিয়ায় দেবী-দেবতারা রাজত্ব করতেন। মানুষ তো এটাই জানে না যে রাধা আর কৃষ্ণের পরস্পরের সাথে কী সম্বন্ধ। দু’জনে আলাদা আলাদা রাজধানীর ছিলেন, তারপর স্বয়ম্বরের পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ হন। এই কোনো মানবের মধ্যেই নেই। স্পীরিচুয়াল নলেজ একমাত্র এই বাবাই দেন। এখন বাবা বলেন – আত্ম-অভিমানী হও। আমাকে, তোমাদের পরমপিতাকে স্মরণ করো। স্মরণের দ্বারা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। তোমরা এখানে আসো মানব থেকে দেবতা বা পতিত থেকে পবিত্র হতে। এখন এটা হল রাবণ রাজ্য । ভক্তিতে রাবণ রাজ্য শুরু হয়। ভক্তি করছে যারা তারা সকলেই হল রাবণের মুঠিতে। সমগ্র দুনিয়া ৫ বিকার রূপী রাবণের কয়েদে রয়েছে, শোক বাটিকাতে। বাবা এসে লিবারেট করে গাইড হয়ে সাথে করে নিয়ে যান। তার জন্যই হল এই মহাভারতের যুদ্ধ, যা ৫ হাজার বছর পূর্বে লেগেছিল । এখন বাবা পুনরায় স্বর্গের রচনা করছেন। এমন নয় যে যার কাছে অনেক ধন রয়েছে, সে স্বর্গে রয়েছে। এখন হলোই নরক। পতিত-পাবন বাবাকে বলা হয়, নদীকে নয়। এ’সব হল ভক্তি মার্গ। এই কথা বাবা’ ই এসে বোঝাচ্ছেন। এখন এটা তো জানো, এক হল লৌকিক বাবা, দ্বিতীয় হল পারলৌকিক, তৃতীয় অলৌকিক। এখন পারলৌকিক বাবা শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ ধর্ম স্থাপন করেন। ব্রাহ্মণদেরকে দেবতা বানানোর জন্য রাজযোগ শেখান। আত্মাই পুনর্জন্ম নেয়। আত্মাই বলে আমি এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর ধারণ করি। বাবা বলেন – নিজেকে আত্মা মনে করে আমি বাবাকে স্মরণ করো, তবে তোমরা পবিত্র হও। কোনো দেহধারীকে স্মরণ ক’রো না । এখন মৃত্যুলোকের অবসান, অমরলোকের স্থাপনা হচ্ছে। বাকি সব অনেক ধর্মের অবসান হয়ে যাবে। সত্যযুগে একটিই দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, তারপর চন্দ্রবংশী রাম সীতা ত্রেতাতে ছিলেন। তোমরা বাচ্চাদেরকে সমস্ত চক্রের স্মৃতি স্মরণ করাচ্ছে। শান্তিধাম আর সুখধামের স্থাপনা বাবা’ই করেন। মানুষ, মানুষের সদ্গতি দিতে পারে না। তারা সবাই হল ভক্তি মার্গের গুরু।

এখন তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সন্তান। বাবার কাছ থেকে ভাগ্য গ্রহণ করছো। এই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। প্রজা তো অনেক হয়। কোটির মধ্যে কেউ রাজা হয়। সত্যযুগকে বলা হয় ফুলের বাগান। এখন হল কাঁটার জঙ্গল। রাবণ রাজ্য বদলে যাচ্ছে। বিনাশ হতে হবে । এই জ্ঞান এখন তোমাদের প্রাপ্ত হচ্ছে। লক্ষ্মী-নারায়ণের এই জ্ঞান থাকে না। প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। ভক্তি মার্গে আমি বাবাকে কেউ যথার্থ ভাবে জানে না। বাবা হলেন রচয়িতা । ব্রহ্মা বিষ্ণু শংকরও হল রচনা । সর্বব্যাপী বলে দিলে অধিকার সমাপ্ত হয়ে যায়। বাবা এসে সকলকে বর্সা দেন। ৮৪ জন্ম তারাই নেয় যারা সবার আগে সত্যযুগে আসে। খ্রীষ্টানরা (সর্বাধিক) ৪০ জন্ম নিয়ে থাকে।এক ভগবানকে পাওয়ার জন্য কতো ধাক্কা খেতে থাকে। এখন তোমরা ধাক্কা খাও না। এক বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে । এ হল যাত্রা । এটা হল গড ফাদারলী ইউনিভার্সিটি। তোমাদের আত্মা পঠন-পাঠন করে। সাধু-সন্ত বলে দেয় – আত্মা হল নির্লেপ। কিন্তু আত্মাই কর্ম অনুসারে পরের জন্ম নেয়। আত্মাই ভালো বা মন্দ কর্ম করে থাকে। এই সময় (কলিযুগে) তোমাদের কর্ম বিকর্ম হয়, সত্যযুগে তোমাদের কর্ম অকর্ম হয়। ওখানে বিকর্ম হয় না, সেটা হল পূণ্য আত্মাদের দুনিয়া। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এক বাবার থেকে বেহদের উত্তরাধিকার নিতে হবে। শ্রেষ্ঠ কর্ম করতে হবে । যখন বাবাকে পেয়ে গেছো তখন কোনো প্রকারেরই ধাক্কা খাবে না।

২ ) বাবা যে স্মৃতি দিয়েছেন সে’সব স্মৃতিতে রেখে খুশীতে থাকতে হবে । কোনো দেহধারীকে স্মরণ করবে না ।

বরদানঃ-

নিমিত্ত হওয়া আত্মাদের উপরে সকলের দৃষ্টি থাকে, সেইজন্য নিমিত্ত যারা হবে তাদেরকে নিজের প্রতিটি সংকল্পের উপরে বিশেষ অ্যাটেনশন রাখতে হয়। নিমিত্ত হওয়া বাচ্চারা যদি কোনো কারণের (অজুহাত) কথা বলতে থাকে, তবে তাদেরকে যারা ফলো করে তারাও অনেক কারণ শুনিয়ে দেয়। যিনি নিমিত্ত তার মধ্যে যদি কোনো দুর্বলতা থাকে, তবে সেটা লুকিয়ে থাকে না। সেইজন্য নিজের সংকল্প, বাণী আর কর্মের উপরে বিশেষ অ্যাটেনশনে দিয়ে নিবারণ স্বরূপ হও।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য –

মানুষের এইম অব্জেক্ট কী ? তাকে প্রাপ্ত করবার যথার্থ পদ্ধতি –

প্রতিটি মানবকে এটা অবশ্যই ভাবতে হবে যে, নিজের জীবনকে সুন্দর বানানোর জন্য কী করা উচিত ? মানুষের লাইফ কিসের জন্য, জীবনে কী করা উচিত ? এখন নিজের মনকে প্রশ্ন করো আমার জীবনের পরিবর্তন হচ্ছে ? মানব জীবনে প্রথমে তো চাই নলেজ, তারপরে এই জীবনের এইম অব্জেক্ট কী ? এটা তো অবশ্যই মানবে যে এই জীবনে সর্বদা সুখ আর শান্তি চাই, সেটা কী আছে ? এই ঘোর কলিযুগে দুঃখ অশান্তি ছাড়া আর কিছুই নেই। এখন ভাবতে হবে এই সুখ শান্তি কীভাবে পাওয়া যাবে। সুখ আর শান্তি এই যে দুটি শব্দ মুখ থেকে বের হয়, এই দুটোই নিশ্চয়ই এই দুনিয়াতে কখনো ছিল। তবেই তো মানুষ চায়। যদি কেউ এ’কথা বলে যে, আমি এমন দুনিয়া দেখাইনি, তাহলে তুমি কীভাবে সেই দুনিয়াকে মানবে ? এই বিষয়ে বোঝানো হয় যে, এই দিন আর রাত এই যে দুটি শব্দ রয়েছে, তাহলে নিশ্চয়ই রাত আর দিন হয়ে থাকে ? এই রকম তো কেউ বলতে পারে না যে, আমি তো রাতকেই দেখেছি, দিনকে মানব কীকরে ? কিন্তু যখন দুটো পৃথক নাম রয়েছে, তবে নিশ্চয়ই তাদের ভূমিকা থাকবে ! ঠিক সেই রকমই আমরা শুনেছি যে, এই কলিযুগের থেকেও কোনো উচ্চ স্টেজও ছিল, যাকে সত্যযুগ বলা হয়। যদি এই রকমই সময় চলতে থাকে, তবে সেই সময়কে সত্যযুগ কেন বলা হয় ? এই সৃষ্টি তার স্টেজে বদলাতে থাকে। যেমন কৈশোর, বালক, যুবা, বৃদ্ধ…বদলাতে থাকে, সেইরকমই এই সৃষ্টিও বদলাতে থাকে। আজকের জীবন আর এই জীবনের মধ্যে কত তফাৎ ! সুতরাং সেই শ্রেষ্ঠ জীবনকে গড়ে তুলবার জন্য প্রচেষ্টা করতে হবে ।

২ ) “নিরাকারী দুনিয়া, আকারী দুনিয়া আর সাকারী দুনিয়ার বিস্তার”

এই পুরো ব্রহ্মান্ডের মধ্যে তিনটি দুনিয়া রয়েছে – এক হল নিরাকারী দুনিয়া, দুই হল আকারী দুনিয়া, তিন হল সাকারী। এখন এটা তো জেনে গেছো যে, নিরাকার সৃষ্টিতে আত্মারা নিবাস করে আর সাকারী সৃষ্টিতে সাকার মানব সম্প্রদায় নিবাস করে। বাকি থাকলো আকারী মনুষ্য সৃষ্টি, এখন মনে প্রশ্ন আসে যে এই আকারী সৃষ্টি কী সব সময়ই থাকে নাকি কিছু সময়ের জন্য এর পার্ট চলে ? বাইরের জগতের মানুষ তো মনে করে সূক্ষ্ম দুনিয়া হল উপরে, ওখানে ফরিস্তারা থাকে, তাকে স্বর্গ বলা হয়। সেখানে গিয়ে সুখ ভোগ করব। কিন্তু এখন তো এটা স্পষ্ট যে, এই স্বর্গ আর নরক এই সৃষ্টিতেই হয়ে থাকে । বাকি এই যে সূক্ষ্ম আকারী সৃষ্টি, যেখানে শুদ্ধ আত্মাদের সাক্ষাৎকার হয়, সেটা তো সেটা তো দ্বাপর থেকে শুরু হয়েছে। যখন ভক্তি মার্গ শুরু হয়, তাতে সিদ্ধ হয় যে, নিরাকার সৃষ্টি আর সাকার সৃষ্টি সব সময় ছিলই। বাকি সূক্ষ্ম দুনিয়া সদা তো বলবো না, তাতেও বিশেষতঃ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরের সাক্ষাৎকার এই সময়ই আমাদের হয়ে থাকে। কেননা এই সময় পরমাত্মা তিনটি কর্তব্য করবার জন্য তিনটি রূপের রচনা করেন। আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top