23 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

September 22, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - মন্মনাভবের মন্ত্র মজবুত করাও, এক বাবাকে সদা ফলো করো - এইটাই হল বাবার সহযোগী হওয়া ”

প্রশ্নঃ --

পুরুষোত্তম হওয়ার সহজ এবং শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থ কি ?

উত্তরঃ -:-

হে পুরুষোত্তম হওয়ার উপযুক্ত বাচ্চারা – তোমরা সদা শ্রীমৎ অনুসারে চলতে থাকো। এক বাবাকে স্মরণ করো আর কোনও কথায় ইন্টারফিয়ার করবে না। খাও দাও সব কিছু করো কিন্তু বাবাকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে পুরুষোত্তম হয়ে যাবে। পুরুষোত্তম তারাই হতে পারে যাদের উপরে বৃহস্পতির দশা থাকে। তারা কখনো শ্রীমতের বিরুদ্ধে যায় না। তাদের দ্বারা কোনও উল্টো কর্ম হয় না।

গান:-

ওম্ নমো শিবায় …..

ওম্ শান্তি । এই মহিমাটি কার ? এক পরম পিতা পরমাত্মার। যে সু কর্ম করে তার মহিমা অবশ্যই হয়। যে কু কর্ম-কর্তব্য করে তার নিন্দা হয়। যেমন আকবরের মহিমা ছিল, ঔরঙ্গজেবের নিন্দা ছিল। রামের মহিমা করবে, রাবণের নিন্দা করবে। ভারতেই রামরাজ্য, রাবণরাজ্য বিখ্যাত। রামরাজ্যকে বলা হবে পুরুষোত্তম রাজ্য এবং রাবণ রাজ্যকে বলবে আসুরিক রাজ্য। বাচ্চারা তো এখন সঙ্গমযুগের কথা জেনেছে। এটা হলই পুরুষোত্তম যুগ। এই ভারতকে পুরুষোত্তম বানিয়েই থাকবো। যারা সেখানে থাকবে তাদেরও পুরুষোত্তম বানাতে হবে এবং যে স্থানে বাস করবে সেই স্থানকেও পুরুষোত্তম বানাতে হবে। ভারতকেই স্বর্গ বলা হয়, বসবাসকারীদের দেবী-দেবতা, স্বর্গবাসী বলা হয়। অর্থাৎ দুইই উত্তম হয়ে যায়। সবাই জানে নতুন দুনিয়া উত্তম হয় এবং পুরানো দুনিয়া কনিষ্ঠ হয়। যেমন দুনিয়া তেমন বসবাসকারী। গায়নও আছে নতুন ভারত, পুরানো ভারত। অন্য কোনও খন্ডকে এমন বলা হয় না। এমন নয় যে নতুন দুনিয়ায় নতুন আমেরিকা, নতুন চীন হয়। না, নতুন দুনিয়ায় তো নতুন ভারতেরই গায়ন আছে, তাই নিউ ইন্ডিয়া বলা হয়। নতুন ভারত নাম তো রাখা হয়, কিন্তু সবই হল অর্থহীন। নিউ ইন্ডিয়া এই সময় এলো কোথা থেকে! নিউ ইন্ডিয়া তে তো দিল্লী পরিস্তান থাকে। এখন পরিস্তান কোথায় আছে। তোমরা বাচ্চারা এখানে আসো পুরুষোত্তম হতে। উঁচু থেকে উঁচুতে হল বৃহস্পতির দশা। পুরুষোত্তম হলে বৃহস্পতির দশা বসে। তোমরা জানো যে, নতুন দুনিয়ার স্থাপন কারী অসীম জগতের পিতার দ্বারা আমরা অসীমের সুখ প্রাপ্ত করার পুরুষার্থ করছি। সত্যযুগে তো পুরুষোত্তম হয়। পরে নীচে নেমে আসে তো মধ্যম, কনিষ্ঠ হয়। তোমরা বাচ্চারা জানো যে – এখন বাবা আমাদের সতোপ্রধান সত্যযুগী স্বর্গবাসী, পুরুষোত্তম বানাচ্ছেন। এই হল খুবই সহজ। না কোনো ওষুধ খেতে হবে, না কিছু করতে হবে। শুধুমাত্র স্মরণ করতে হবে, তাই বলা হয় সহজ স্মরণ। স্মরণের দ্বারাই পাপ আত্মা থেকে পুণ্য আত্মায় পরিণত হতে হবে। এটা তো অবশ্যই যে, সবারই মুক্তি প্রাপ্ত হবে। বাবা বলেন যে, আমি সর্বের সদগতি দাতা তাই নিশ্চয়ই মানুষের শরীর শেষ হয়ে যাবে। বাকি আত্মাদের পবিত্র বানিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বাবা প্রস্তুত করাচ্ছেন কারণ আত্মার ডানা ভেঙে গেছে অর্থাৎ আত্মা তমোপ্রধান হয়েছে। তোমরা যোগবলের দ্বারা পবিত্র হওয়ার পরিশ্রম করো। যারা করে না তাদেরকে হিসেব দিতে হবে, এতে চিন্তন করার কোনো ব্যাপার নেই। আত্মা রূপী বাচ্চাদের কাজ হল বাবার কাছে সম্পূর্ণ বর্সা বা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করা, বাবার সহযোগী হয়ে সাহায্য করতে হবে। বাবার সহযোগ, তো বাচ্চাদেরও সহযোগ। কীভাবে সহযোগ দেবে, সেসব বাবাকে দেখে ফলো করো। সবাইকে আমার মন্ত্র দিতে থাকো – পুরুষোত্তম হওয়ার জন্য। বাবা কল্পে-কল্পে এসে বলেন – পতিত থেকে পবিত্র তোমরা আমাকে স্মরণ না করলে হতে পারবে না। আমি কি কোনো গঙ্গা স্নান করাই ? শুধুমাত্র মহামন্ত্র স্মরণ করতে হবে ” মন্মনাভব” । এর অর্থ হল আমায় স্মরণ করো তাহলে তোমরা পবিত্র হয়ে, পুরুষোত্তম হয়ে স্বর্গের মালিক হবে। স্ত্রী পুরুষ দুইজনেই পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গের মালিক হবে। বাবা এই সব কথা ডিটেলে বোঝান। তোমরা প্রাক্টিক্যালে হও। তোমরা জানো ভগবান এসে বাচ্চাদেরকে পুরুষোত্তম বানিয়েছেন তবে তো বলে যে, পতিতদের পবিত্র করতে পতিত-পাবন এসো। পুরুষোত্তম মাসের অনেক মহিমা শোনানো হয় তাইনা। অতএব এই পুরুষোত্তম যুগের অনেক মহিমা আছে। কলিযুগ অর্থাৎ রাতের পরে দিন অবশ্যই আসবে। দুঃখের পরে সুখ আসে। এই শব্দটিও ক্লিয়ার। স্ত্রী পুরুষ দু’জনেই উত্তম থেকে উত্তম শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ হয়, কারণ প্রবৃত্তি মার্গ। সত্যযুগ তো বিখ্যাত, তারই নাম সুখধাম, তারপরে যখন দ্বাপর যুগ আসে তখন মানুষ সন্ন্যাস ধারণ করে উত্তম হয়, তাই পতিত মানুষ গিয়ে তাদের কাছে মাথা নত করে। পবিত্রের সামনে অপবিত্ররা মাথা নোয়ায়, এই কথা তো খুবই সাধারণ। পতিত-পাবন বাবাকে না জানার দরুন পতিত-পাবনী গঙ্গা-কে ভেবে নিয়েছে সেখানে গিয়ে মাথা নত করে। গঙ্গা আর সাগরেরও মেলা হয়। বাচ্চারা, বাবা তোমাদেরকে খুব ক্লিয়ার করে বোঝান, তবুও বাবা বলেন – কোটিতে কেউ কেউ, কয়েকজনের মধ্যেও কেউ এই কথা বুঝতে পারে। তাতেও আশ্চর্য হয়ে শুনন্তী, কথন্তি, ত্যাগ করে তারপর ভাগন্তী হয়ে যায়, ডিসসার্ভিস করার নিমিত্ত হয়। সার্ভিস আর ডিসসার্ভিস দুইই হতে থাকে। পালিয়ে যায় অনেকে, যারা বাবাকে জানেনা। তোমরা পাপ আত্মা থেকে পুণ্য আত্মায় পরিণত হও। বাচ্চারাই বসে আবার বিঘ্ন সৃষ্টি করে, ডিসসার্ভিস করে, সুতরাং এ’তো হল মহান পাপ। রাবণ সবাইকে মহাপাপী বানিয়ে দেয়, কিন্তু যে আত্মারা বাবার সন্তান হওয়ার পরে ডিসসার্ভিস করে তাদের জন্য ট্রাইব্যুনাল বসে। ভক্তি মার্গে এমন বড় সাজা ভোগ করতে হয় না, কিন্তু এইখানে বাবার আপন হয়ে যদি ডিসসার্ভিস করে তাহলে বাবার রাইট হ্যান্ড হল ধর্মরাজ। তাই বাবা বলেন – বাচ্চারা আমার সার্ভিসে সহযোগী হয়ে পুনরায় উল্টো কর্ম করবে না, ডিসসার্ভিস করলে অবলাদের উপরে বিঘ্ন আসবে। মাতাদের উপরে বাবার দয়া হয়। দৌপদীর চরণ সেবা ভগবান করেছিলেন তাইনা। দ্রৌপদী আহবান করেছিল আমাকে বস্ত্রহীন করছে। বাবা মাতাদের শিরে জ্ঞান কলস রাখেন। প্রথমে মাতা, পরে পুরুষ। কিন্তু আজকাল পুরুষদের অহংকার অনেক, আমি স্ত্রী-র গুরু, স্বামীই ঈশ্বর, স্ত্রী আমার দাসী। এখানে বাবা নিরহংকারী হয়ে মাতাদের চরণ সেবা করেন। তোমরা ক্লান্ত হয়েছো। আমি তোমাদের ক্লান্তি দূর করতে এসেছি। মাতা’রা, তোমাদের সবাই তিরস্কার করেছে। সন্ন্যাসী নিজ স্ত্রীকে ত্যাগ করে চলে যায়। কারো ৫-৭ টি সন্তান থাকে, লালন পালন না করতে পারলে বিরক্ত হয়ে পালিয়ে যায়। রচনা করে তাদের বিভ্রান্তিতে ফেলে চলে যায়। বাবা বলেন – আমি কাউকে বিভ্রান্ত করি না। আমি তো সবার দুঃখ হরণ কর্তা, সুখ প্রদান কর্তা। মায়া এসে দুঃখী বানায়। এও হল খেলা। অজ্ঞান কালে (জ্ঞানহীন অবস্থায়) মানুষ ভাবে যে, ভগবানই দুঃখ সুখ প্রদান করেন। কিন্তু বাবা ঈশ্বর এই কর্ম কর্তব্য করেন না। এ হল কর্মের অনুসারে রচিত ড্রামা, যে যেরকম কর্ম করে তেমন ফল প্রাপ্ত করে। এই সময় হল শ্রেষ্ঠ কর্ম করার। কর্মফল ভোগ করার নয় । কেউ অসুস্থ হয়, কেউ দেউলিয়া হয় অর্থাৎ কর্মফল ভোগ করে। তোমরা বাচ্চারা কতখানি সৌভাগ্যশালী হও যে ২১ জন্মের জন্য কখনও কর্মফল ভোগ করতে হবে না। কত বিশাল প্রাপ্তি। অতএব বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলা উচিত। বাবা আর কোনো কথায় ইন্টারফিয়ার করেন না। খাও দাও, যা ইচ্ছে করো, শুধু বাবাকে এবং স্বর্গের অধিকার (বর্সা কে) স্মরণ করো। তোমরা বলো আমরা পতিত, অতএব বাবা পবিত্র হওয়ার যে যুক্তি বলে দেন, সেই অনুযায়ী চলো। শুধুমাত্র স্মরণের পরিশ্রম আছে। মায়ার ঝড়কে ভয় পাবে না। এ হল গুপ্ত পরিশ্রম । জ্ঞানও হল গুপ্ত, মুরলী পড়া যদিও প্রত্যক্ষ । কিন্তু এই বাণীর দ্বারা তোমরা পবিত্র হবে না। পবিত্র হবে স্মরণের দ্বারা। অতএব অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করো এবং সহযোগীও হওয়া উচিত। রূহানী হাসপাতাল এবং ইউনিভার্সিটি খোলার পুরুষার্থও করো। কোনো ভালো স্থানে গিয়ে ভাষণ করো। তোমাদেরকে হাতে বইপত্র নিতে হবে না। তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে, বোঝানোর জন্য কল্প বৃক্ষ, ত্রিমূর্তি, সৃষ্টি চক্রের রহস্য সবাইকে বোঝাতে হবে। বাবা বলেন – আমি ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ রচনা করি। ব্রাহ্মণদের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বিষ্ণু, সামনে (চিত্রে) রয়েছে । যিনি বানিয়েছেন উনি হলেন টিচার, উনি নিরাকার। গায়নও আছে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, বিষ্ণুর দ্বারা পালন…. কল্প পূর্বেও এমন চিত্রই বানিয়েছিলেন। দেখো, বিজ্ঞানের দ্বারা কত মিসাইল তৈরি করেছে। বাচ্চারা, তোমাদেরকে পুরুষোত্তম হতে পরিশ্রম করতে হয়। কারণ জন্ম জন্মান্তরের বোঝা মাথায় আছে। সেকেন্ডে এনগেজমেন্ট হয়, তারপরে আত্মাদের নিজ বাবাকে স্মরণ করতে হয়, যাতে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যায়।

বাবা বলেন – মন্মনাভব, তোমরা হলে কর্মযোগী। স্মরণের চার্ট রাখা উচিত। তোমাদের যুদ্ধ হল মায়ার সঙ্গে। খুব কঠিন এই যুদ্ধ। তোমরা চেষ্টা করবে স্মরণে থাকার, মায়া উড়িয়ে দেবে। জ্ঞানে কোনো বাধা নেই। আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের সংস্কার ভরা আছে। এ হল অনাদি পূর্ব রচিত ড্রামা। এই চক্র আবর্তিত হতেই থাকে। কখনই থেমে যায় না। সৃষ্টির রচনা করা হয়েছে কেন, এই প্রশ্ন ওঠে না। আত্মার পরিবর্তন হবে কীভাবে ? নতুন আত্মা তো আসে না । যে আত্মারা আছে তারাই থাকে, কম বেশি হতে পারে না। অ্যাক্টররা সবাই আছে। তোমরা হলে অসীম জগতের অ্যাক্টর, তোমরা যত কিছু দেখো তত অ্যাক্টররাই ড্রামাতে আছে, ততই পুনরায় থাকবে। মোক্ষ লাভ কেউ করে না। মানুষ আসা যাওয়ার (জন্ম-মৃত্যুর) এই চক্র থেকে মুক্তি চায়, কিন্তু মুক্তি পায় না। যারা পার্ট প্লে করতে এসেছে তাদেরকে পুনরায় আসতে হয়। বাবা বলেন – আমাকেও এই পতিত দুনিয়ায় আসতে হয় এবং ফিরে যেতে হয়। কল্পে-কল্পে আমি আসি। যখন আমাকেও আসতে হয় তো বাচ্চাদের আগমন বন্ধ হবে কীভাবে। তোমরা ৮৪ বার শরীর ধারণ ক’রো, আমি একবারই আসি। আমার আসা যাওয়া খুবই ওয়ান্ডারফুল, তবেই তো গায় – গতি মতি তুমিই জানো …. সদ্গতি করার জন্য যে মত আছে সেই মত তোমরাই জানো, আর কেউ জানে না। তারা গান গায়, তোমরা প্রাক্টিক্যালে রয়েছো। মুখ্য কথা হল স্মরণের, তারপর অন্ধের লাঠি হতে হবে। এটা হল পুরুষোত্তম যুগ। এই যুগ ৫ হাজার বছর পরে আসে। পুরুষোত্তম মাস তিন বছর পরে আসে। সেই সব হল ভক্তি মার্গ। তাদের যন্ত্র মন্ত্রের অনেক অনেক বইপত্র আছে। এখানে সেসবের ব্যাপারই নেই। ভক্তি যারা করে না তাদের অধর্মীক বলা হয়। তাই তাদের খুশী করার জন্য কিছু কর্ম কান্ড করতে হয়। বাবা বোঝান মিষ্টি বাচ্চারা, কখনও ডিস সার্ভিস করার পুরুষার্থ করবে না। কেউ ট্রেটর হয়ে গেলে তাকে বলা হবে অজামিল। অজামিল, সুরদাস ইত্যাদি অনেকের কাহিনী আছে। এই সব হল ভক্তি মার্গ। তাদের চেয়েও বেশি পাপ আত্মা হল তারা, যারা এখানে এসে, আমার আপন হয়ে আমাকে ত্যাগ করে যায়। আমার নিন্দা করায়, তাদের জন্য পরে ট্রাইব্যুনাল বসে। প্রতিজ্ঞা করে তারপরে ডিস সার্ভিস করলে কঠিন দন্ড ভোগ করবে। পদ মর্যাদা উচ্চ, তাই যেকোনও ভুলের কঠিন দন্ডও আছে। সেইজন্য কখনও আজ্ঞার অবমাননা করা উচিত নয়। গায়নও আছে সদ্গুরুর নিন্দুক ঠাঁই পায় না কোথাও অর্থাৎ মুখ্য লক্ষ্যটি প্রাপ্ত করে না, নর থেকে নারায়ণ হওয়ার। গুরুদের কাছে তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পারো যে তোমরা বলো গুরুর নিন্দুক …. সেই ঠাঁইটি কোন্টি? সেই ঠাঁই বা ঠিকানা তো বলে দিতে পারে না। বাবার পাগরী তারা নিজের উপরে রেখে দিয়েছে । টিচার বলবে যদি পুরো পড়াশোনা করবে না তাহলে পদ মর্যাদাও উচ্চ প্রাপ্ত হবে না। পবিত্র স্বরূপ দেবী-দেবতা হতে হবে। এখানে কেউ পবিত্র নয়। এখন সবাইকে পবিত্র হতে হবে। রাজ্য ভাগ্য ২১ জন্মের জন্য প্রাপ্ত হয়, অতএব শুধুমাত্র এই অন্তিম জন্ম পবিত্র হতে হবে, কতখানি বিশাল প্রাপ্তি ! প্রাপ্তি না থাকলে এমন পুরুষার্থ কি করতে ? কিন্তু মায়া এমন যে, উঁচু প্রাপ্তিতেও বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং পতিত বানিয়ে দেয়। অহো মম মায়া…. আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কোনোরকম ডিস সার্ভিস করবে না। কোনও এমন কর্মও করবে না যাতে বাবার নিন্দা হয়। আজ্ঞার অবমাননা করবে না, পুরুষোত্তম রূপে পরিণত হবে।

২) মায়ার ঝড়ে ভয় পাবে না পবিত্র হওয়ার জন্য স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদানঃ-

বাবার সমান লাইট, মাইট হাউস হওয়ার জন্য কোনও কথা দেখে বা শুনে তার সার অর্থ জেনে এক সেকেন্ডে সমায়িত করার বা পরিবর্তন করার অভ্যাস করো। কেন, কি এইরূপ বিস্তারে যাবে না। কারণ কোনও কথার বিস্তারে গেলে সময় ও শক্তি ব্যর্থ হয়ে যায়। সুতরাং বিস্তারকে সমায়িত করে সার রূপে স্থিত হওয়ার অভ্যাস করো – এর দ্বারা অন্য আত্মাদেরও এক সেকেন্ডে সম্পূর্ণ জ্ঞানের সার তত্ত্ব অনুভব করাতে পারবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top