07 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
6 September 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা — তোমরা হচ্ছো ঈশ্বরীয় সন্তান, তোমাদের প্রকৃত অর্থে রূপ-বসন্ত (জ্ঞানী, যোগী) হয়ে সবসময় মুখ দিয়ে জ্ঞান রত্নই বের করতে হবে"
প্রশ্নঃ --
বাবা বাচ্চাদের সুরজিত করে তোলার জন্য কোন সঞ্জীবনী বুটি দিয়ে থাকেন ?
উত্তরঃ -:-
মন্মনাভব অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। এই নেশা যেন থাকে ‐ পরমাত্মার দ্বারা আমরা দেবতা হওয়ার জন্য অথবা রাজ্য পদ পাওয়ার জন্য এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করছি। এই স্মৃতিই হলো সঞ্জীবনী বুটি, যা সুরজিত করে তোলে। তাদের অবস্থা কখনও মুষড়ে পড়ে না। তারা সবসময় নিজেকে যাচাই করে অন্যদেরও সতর্ক করে দেয়।
ওম্ শান্তি । এ’হলো কলেজ তাইনা। যেমন স্কুলে যখন স্টুডেন্ট বসে মনে করে আমি টিচারের সামনে বসব। কোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বসেছে, তাও বুদ্ধিতে থাকে। সত্সঙ্গ ইত্যাদি যেখানে বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি শোনানো হয়, সেখানে কোনো লক্ষ্য থাকে না। সেইসব শাস্ত্রাদি তোমাদের বুদ্ধি থেকে বেরিয়ে গেছে। তোমরা জান যে আমরা মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছি,ভবিষ্যতে ২১ জন্মের জন্য। স্টুডেন্ট ঘরেই বসে থাকুক বা কোথাও যাক, বুদ্ধিতে থাকে যে আমি অমুক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হব। বাচ্চারা তোমরাও ক্লাসে বসে জানো যে আমরা দেবতা তৈরি হচ্ছি। তোমরাও নিজেদের বিদ্যার্থী তো মনে কর তাইনা। আমরা আত্মা, এই শরীর দ্বারা অধ্যয়ন করছি। আত্মা জানে যে এই শরীর ত্যাগ করে ভবিষ্যতে নতুন শরীর ধারণ করব,যাকে দেবতা বলা হয়। এটাতো বিকারী পতিত শরীর, আবার নতুন শরীর ধারণ করব। এই বিষয়ে এখনই জানতে পেরেছ। আমি আত্মা পড়াশোনা করছি, জ্ঞানের সাগর আমাকে পড়াচ্ছেন। এখানে তোমাদের ঘর-পরিবারের জন্য চিন্তা থাকে না। বুদ্ধিতে এটাই থাকে আমরা ভবিষ্যতে মানুষ থেকে দেবতা হতে চলেছি। দেবতারা স্বর্গে বাস করে। এটাই প্রতি মূহুর্তে মনন করলে বাচ্চাদের খুশি বৃদ্ধি পাবে আর পুরুষার্থও করবে। মন্সা-বাচা-কর্মণাও পবিত্র থাকবে। সবাইকে খুশির সন্দেশ পৌঁছে দেবে। ব্রহ্মাকুমার তো অসংখ্য। সবার স্টুডেন্টস লাইফ। এমনটা নয় যে কাজ-কারবারের মধ্যে জীবনকে ভুলে যাবে। যেমন এই মিষ্টি বিক্রেতা, মনে করবে না যে আমি স্টুডেন্ট। স্টুডেন্টকে কি কখনও মিষ্টি তৈরি করতে হয়! এখানে তোমাদের বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। জীবন নির্বাহের জন্য কাজকর্ম তো করতেই হবে। সাথে-সাথে বুদ্ধিতেও স্মরণ রাখতে হবে যে আমরা পরমপিতা পরমাত্মার কাছে পড়াশোনা করছি।তোমাদের বুদ্ধিতে আছে এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়া নরকবাসী হয়ে গেছে। কিন্তু এটা কেউ-ই বোঝেনা যে আমরা ভারতবাসীরা নরকবাসী, আমরা ভারতবাসীরাই স্বর্গবাসী ছিলাম। বাচ্চারা তোমাদেরও সারাদিন এই নেশা থাকে না। প্রতি মূহুর্তে ভুলে যাও। যদিও তোমরা বি.কে টিচার, শিক্ষা দিয়ে থাকো, মানুষকে দেবতা, নরকবাসীকে স্বর্গবাসী করে তুলছো, তবুও ভুলে যাও। তোমরা জান এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়া আসুরিক সম্প্রদায় হয়ে গেছে। আত্মা পতিত সুতরাং শরীরও পতিত। এখন বাচ্চারা তোমাদের এই বিকারের জন্য অনুশোচনা হয়। কাম,ক্রোধ ইত্যাদি সব হীনমন্যতার বস্তু। বিকার মানেই গ্লানি নিয়ে আসা। সন্ন্যাসীদের মধ্যেও ক্রোধ থাকে কেননা যেমন অন্ন তেমনই মানসিক গঠন গড়ে ওঠে, গৃহস্থদের থেকেই খেয়ে থাকে। কেউ হয়তো শাকসবজি খায়না কিন্তু পয়সা তো নিয়ে থাকে না! পতিতদের প্রভাব তো তার প্রতি (টাকাপয়সা) থাকেই, তাই না! পতিতের জন্য অন্ন তো পতিতই বানিয়ে থাকে। তোমরা পবিত্রতার প্রতি বিশেষ জোর দিয়ে থাকো। তোমাদের এই প্রচার বৃদ্ধি পেতে থাকবে। সবাই চাইবে পবিত্র হতে,এই বিষয় অন্তর্মনে গিয়ে প্রভাব ফেলবে কেননা পবিত্র হওয়া ছাড়া স্বর্গের মালিক হতে পারব না। ধীরে-ধীরে সবার বুদ্ধিতে আসবে যে স্বর্গবাসী হতে হবে। ওরা বলবে আমরা পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক অবশ্যই হব।এটাই কল্যাণকারী সঙ্গম যুগ যখন পতিত দুনিয়া পবিত্র হয়ে ওঠে,সেইজন্যই একে পুরুষোত্তম যুগ বলা হয়। এই যুগ কল্যাণকারী। মনুষ্য সৃষ্টির কল্যাণ হয়। বাবা কল্যাণকারী যখন বাচ্চাদেরও তৈরি করবেন। বাবা এসে রাজযোগ শিখিয়ে মানুষ থেকে দেবতা করে তোলেন।
তোমরা জানো এ হলো আমাদের হেড স্কুল। এখানে জীবন জীবিকার চিন্তা থাকে না । বাইরে গেলে কাজ-কারবারে লেগে পড়ে তখন আর স্মরণে থাকে না যে আমরা স্টুডেন্ট। আমরা নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হচ্ছি। এই ভাবনা বুদ্ধিতে তখনই আসে যখন অবসর হয়,চেষ্টা করে সময় বের করতে হবে। কাজকর্মের মধ্যেও কিছু সময় ফ্রি পাওয়া যায়। বুদ্ধিতে স্মরণ করতে হবে যে আমরা ঈশ্বরীয় স্টুডেন্ট। জীবিকার জন্য এই কাজ করছি। ওটা হলো মায়াবী কাজকারবার, এটাও তোমাদের জীবিকা ভবিষ্যতের জন্য যা প্রকৃত অর্থেই উপার্জন, এরজন্য খুব ভালো বুদ্ধি থাকা চাই । নিজেকে আত্মা মনে করে পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করা। বোঝাতে হবে, এখন আমরা আত্মাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। বাবা আমাদের নিয়ে যেতে এসেছেন। সারাদিন বিচার সাগর মন্থন করা উচিত। গরু যেমন খাবার মুখে এনে চিবোতে থাকে, তেমনই চিবোতে (মন্থন) হবে। বাচ্চারা অবিনাশী সম্পদ প্রাপ্ত করে থাকে। এ’হলো আত্মাদের ভোজন (জ্ঞান মন্থন করা)। স্মরণে থাকা উচিত যে আমরা পরমপিতা পরমাত্মা দ্বারা ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করছি— দেবতা হওয়ার জন্য,বা রাজ্য পদ পাওয়ার জন্য, এটাই স্মরণ করা উচিত। প্রতি মুহূর্তে ভুলে গিয়ে খুশির পরিবর্তে অবস্থা বিষন্ন হয়ে পড়ে। এটাই হল সঞ্জীবনী বুটি, যা নিজেদের কাছে রাখতে হবে এবং অন্যদেরও দিতে হবে, সুরজিত করে তোলার জন্য। শাস্ত্রতে তো লম্বা চওড়া কাহিনী লিখেছে। বাবা এ’সবেরই রহস্য বসে ব্যাখ্যা করেন। মন্মনাভব অর্থাত্ বাবাকে স্মরণ করলে তোমরা স্বর্গের মালিক হতে পারবে। নিজের অন্তর্মনকে জিজ্ঞাসা করতে থাকো, যাচাই করতে থাকো, অন্যদেরও সতর্ক করতে থাকো। কোনো খিটমিট হলে বুদ্ধি সেইখানেই লেগে থাকার কারণে কারো কথা ভালো লাগে না। মায়ার দিকে বুদ্ধি যুক্ত হওয়ার কারণে সেখানে উদ্বেগ থাকবে। তোমরা বাচ্চাদের তো খুশি থাকা উচিত। বাবাকে স্মরণ করো, কিন্তু ঝঞ্ঝাটে জড়িয়ে থাকলে ঐ ওষুধ কাজে লাগবে না, ধাক্কা খেতে থাকবে। এমন করা উচিত নয়। স্টুডেন্ট কি পড়াশোনা ছেড়ে চলে যায়! তোমরা বাচ্চারা জান এই পড়াশোনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য,এতেই আমাদের কল্যাণ হবে। বৈষয়িক কাজকর্মে ব্যস্ত থাকলেও কোর্স করতে হবে। এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে ঘোরে। এই নলেজ বুদ্ধিতে রাখতে হবে। এ’হলো সঞ্জীবনী ওষুধ। অন্যদেরও স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। স্ত্রী-পুরুষ একে অপরকে স্মরণ করাতে থাকো। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা পড়াচ্ছেন। তোমরা শিববাবার রথকে সুসজ্জিত করে তুলছ। সুতরাং শিববাবাকে তো স্মরণে থাকা উচিত। সারাদিন স্মরণে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। সেই অবস্থা শেষে গিয়ে হবে। যতক্ষণ কর্মাতীত অবস্থা না হবে ততক্ষণ বলবানের সাথে প্রবলভাবে মায়া যুদ্ধ করতে থাকবে। গাওয়াও হয়ে থাকে একে অপরকে সতর্ক করে উন্নতি লাভ করো। অফিসাররাও ভৃত্যকে বলে থাকে আমাকে এই কথা মনে করিয়ে দিও। তোমরাও একে অপরকে স্মরণ করিয়ে দিতে থাকো। লক্ষ্য অনেক উচ্চ। বাবা বলেন ‐- আমাকে স্মরণ করলে পবিত্র হয়ে যাবে। বাবা নতুন কথা কিছু শোনান না। তোমরা লক্ষ-কোটি বার এই জ্ঞান শুনেছো, আবারও শুনবে। এমন কোনো সত্সঙ্গে বলে না যে আমরা কল্পে-কল্পে শুনেছি। এখন শুনছ আবারও শুনবে। কল্পে-কল্পে শুনে আসছ,এমন কথা কেউ-ই বলতে পারবে না। বাবা বোঝান তোমরা অর্ধকল্প ধরে ভক্তি করে এসেছ। এখন আবারও তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করছ,যার দ্বারা সদ্গতি হয়ে থাকে। বাবাকে স্মরণ করলে পাপ নাশ হবে। এটা তো বোঝার বিষয় না! পুরুষার্থ করতে হবে। বিচারক বা কোনো বিশিষ্ট মানুষের সন্তান মন্দ কাজ করলে নাম কলঙ্কিত হয় । এখানে তোমরাও বাবার সন্তান হয়েছ সুতরাং এমন কোনো কাজ করবে না, যাতে বাবার নিন্দা হয়। সদ্গুরুর নিন্দুকেরা পার পায়না অর্থাত্ উচ্চ পদ পাবে না। ঈশ্বরের সন্তান হয়ে আসুরিক কর্ম করতে ভয় পাওয়া উচিত। শ্রীমতে চলা উচিত। নিজের মতে চললে ধোঁকা খাবে, পদভ্রষ্ট হয়ে যাবে। জিজ্ঞাসা করতে পার, তোমার মতে ঠিক চলছ ! বাবার প্রথম মত বাবাকে স্মরণ করো। কোনো বিকর্ম করবে না। কেউ-কেউ বলে বাবা কি বিকর্ম করেছি,তোমার জানা থাকলে বল। বাবা বলেন জানলে বলে দেব। এই-এই ভুল তোমার দ্বারা হয়, একেই বিকর্ম বলে। সবচেয়ে বড় বিকর্ম কাম বাসনা, এরজন্যই বেশি ঝগড়া ঝামেলা হয়ে থাকে। বাচ্চাদের সাহস থাকা উচিত, বিচার বিবেচনা করা উচিত। কুমারীদের দলবদ্ধ হওয়া উচিত, যারা বলবে আমরা বিবাহ করব না। এখন হলো কল্পের সঙ্গম যুগ, যেখানে পুরুষোত্তম হতে হবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে পুরুষোত্তম বলা হয়। বিকারগ্রস্তদের পুরুষোত্তম কি বলা যায় ! তোমরা এখান পুরুষোত্তম হচ্ছ। সবারই অধিকার আছে পুরুষোত্তম হওয়ার। পুরুষোত্তম মাসে তোমরা কত সার্ভিস করতে পার। ধুমধাম সহকারে হওয়া উচিত। এই পুরুষোত্তম যুগই উত্তম যুগ, যখন মানুষ নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হয়ে ওঠে। এটা সাধারণ ব্যাপার। বাচ্চারা তোমাদের ভালো করে বোঝাতে হবে। পুরুষোত্তম হয় সত্যযুগে। কলিযুগে কেউ উত্তম পুরুষ হয়না। এ’হল পতিত দুনিয়া। ওখানে তো শুধুই পবিত্র আর পবিত্র। এসবই বাবা বাচ্চাদের বোঝান, অন্যদের বোঝানোর জন্য। সুযোগ বুঝে বোঝান উচিত। তোমরা এখানে বসেছ, বুঝেছ নিরাকার বাবা পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন, আমরা হলাম স্টুডেন্ট। এই ঈশ্বরীয় জ্ঞান অর্জন করে দেবী-দেবতা হতে চলেছি। সব পরীক্ষার থেকে বড় পরীক্ষা এই রাজত্ব প্রাপ্ত করার পরীক্ষা, যা পরমাত্মা ছাড়া আর কেউ পড়াতে পারে না। বাবা স্বয়ং পরোপকারী, নিজে স্বর্গের মালিক হন না। স্বর্গের প্রিন্স শ্রী কৃষ্ণই হন। বাবা নিষ্কাম সেবা করে থাকেন। তিনি বলেন আমি রাজা হই না। তোমাদের রাজারও রাজা করে তুলি। এই বিষয়গুলো কারো বুদ্ধিতেই নেই। এমন অনেকেই আছে,যদিও এখানে বিত্তশালী, ওখানে গরিব হয়ে যাবে আর যে গরিব, সে ওখানে বিত্তবান হয়ে যাবে। বিশ্বের মালিক হওয়া-এ অসীম জগতের বিষয়। গাওয়াও হয়ে থাকে — আমি তোমাদের রাজারও রাজা করে তুলি। স্বর্গের মালিকই করে তুলবে। তোমরা জান আমরা স্বর্গের মালিক হতে যাচ্ছি সুতরাং কতখানি গর্ব হওয়া উচিত। পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের শিক্ষা প্রদান করছেন। আমরা এখন নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী দেবতা হতে চলেছি, এটাও স্মরণে থাকলে খুশির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। স্টুডেন্ট লাইফ ইজ দ্য বেস্ট। পুরুষার্থ করে তোমাদের রাজা এবং রাণী হতে হবে। এমনটা কখনোই কাউকে বলা উচিত নয় যে আমরা রাজা হয়ে তারপর দরিদ্র হয়ে পড়ব। একথা বলা উচিত নয়। জিজ্ঞাসা করতে হবে কি হতে চাও? সবাই বলবে বিশ্বের মালিক হতে চাই। ভগবান বাবাই এমনটা বানাতে পারেন। তিনি বলেন মামেকম স্মরণ করলে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে পারবে,কত সহজ বিষয়। যে কেউ-ই হতে পারে। যতই গরিব হোক না কেন, এতে পয়সার কোনো ব্যাপার নেই সেইজন্যই বাবাকে বলা হয় — গরিবের বন্ধু ।
বাবাকে স্মরণ করে পাপের ঘড়া খালি করতে হবে, যে যত পুরুষার্থ করবে ততটাই প্রাপ্তি হবে। সিঁড়ির চিত্রে দেখ কতটা উচ্চে উঠতে পেরেছ। যারা উচ্চে উঠতে পারে তারা রাজ্যের অমৃতের স্বাদ গ্রহণ করে আর যারা নীচে নেমে যায় তারা সম্পূর্ণ রূপে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। বাবা বলেন বিকারগ্রস্ত হলে, বাবাকে ত্যাগ করলে সম্পূর্ণ রূপে নীচে নেমে যায়। সুপুত্র যারা তারা পুরুষার্থ করে নিজেদের জন্ম হীরেতুল্য করে তুলবে। বাচ্চাদের যথেষ্ট পুরুষার্থ করতে হবে। এখন যে করবে সেই তার পুরস্কার লাভ করবে। সবাইকে বলা হয় মাতা-পিতাকে ফলো করো, অন্যদেরও নিজেদের মতো করে তোলো। যতো ক্ষমাশীল হবে ততই তোমাদের লাভ হবে। সময় নষ্ট করা উচিত নয়, অন্যদেরও যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে। তা নাহলে উচ্চ পদ পাবে না। শেষে গিয়ে তোমাদের অনেক সাক্ষাত্কার হবে কিন্তু ঐ সময় তোমরা কিছুই করতে পারবে না। পরীক্ষায় একবার অকৃতকার্য হওয়া মানে অসফল হওয়া। এমনটা যেন না হয় যে শেষে গিয়ে অনুতপ্ত হতে হবে। তারপর তো পুরুষার্থ করতে পারবে না সেইজন্যই যতটা সম্ভব নিজের এবং অন্যদেরও কল্যাণ করতে হবে। অন্ধের লাঠি হয়ে ওঠো। কল্প-কল্পান্তর স্বর্গের স্থাপনা করে এসেছ ,অবশ্যই করবে। ড্রামায় পূর্ব নির্ধারিত, এখন যে করবে সেই পাবে। বাবার প্রিয় বাচ্চারা লুকিয়ে থাকতে পারে না। রূপ-বসন্তের মতো তাদের মুখ থেকে সবসময় জ্ঞান রত্ন বের হবে। প্রতারক (ধূতিপনা) হবে না, অন্যদের ক্ষতি করবে না। তোমাদের কেউ উল্টো-পাল্টা কথা বললে সেই ব্যক্তিকে প্রতারক মনে করে, তার থেকে সতর্ক থাকা উচিত। বাবার কাছ থেকে নিজের অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে সম্পূর্ণ রূপে তৎপর থাকো । আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) নিজের এবং অন্যদের কল্যাণ করতে হবে। অন্ধের লাঠি হয়ে উঠতে হবে। কেউ উল্টো কথা শোনালে তার থেকে সাবধান হতে হবে।
২ ) মন্সা-বাচা-কর্মণাতে পবিত্র হতে হবে। আমরা স্টুডেন্ট, ভগবান আমাদের দেবতা করে তোলার জন্য পড়াশোনা করাচ্ছেন, এই খুশিতে থাকতে হবে।
বরদানঃ-
যেমন আয়নার সামনে দাঁড়ালে, নিজেকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। কিন্তু আয়না যদি শক্তিশালী না হয় তবে প্রকৃত রূপের পরিবর্তে অন্য রূপ ধারণ করে। যদি হয় রোগা দেখাবে মোটা। সেইজন্য তোমরা এমনই শক্তিশালী দর্পণ হয়ে ওঠো, যে সবাইকে নিজের সাক্ষাত্কার করাতে সমর্থ হবে অর্থাত্ তোমাদের সামনে এলেই দেহকে ভুলে যেন দেহী রূপে স্থিত হয়ে যায় — প্রকৃতপক্ষে এটাই হল বাস্তবিক সার্ভিস, এর দ্বারাই জয়-জয়কার হবে। |
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!