06 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

06 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

5 September 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- পতিত-পাবন বাবার শ্রীমতানুসারে তোমরা পবিত্র হও, সেইজন্য তোমরা পবিত্র দুনিয়ার রাজত্ব প্রাপ্ত করো, নিজের মতানুসারে পবিত্র যারা হয় তাদের কোনো প্রাপ্তি নেই"

প্রশ্নঃ --

সেবায় বাচ্চাদের বিশেষভাবে কোন্ কথার উপর ধ্যান রাখা উচিত ?

উত্তরঃ -:-

যখন সেবায় যাও তখন ছোট-খাটো কথায়(বিষয়ে) একে-অপরের প্রতি অভিমান কোরো না অর্থাৎ অসন্তুষ্ট হয়ো না। যদি একে-অপরের বিরোধিতা করো, কথা না বলো তবে ডিস-সার্ভিসের নিমিত্ত হয়ে যাও। কোনো কোন বাচ্চা তো বাবার প্রতিও অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। উল্টোপাল্টা কাজ করতে শুরু করে। তখন এ’সমস্ত বাচ্চাদের অ্যাডপশনই বাতিল হয়ে যায়।

ওম্ শান্তি । পতিত-পাবন বাবা, যে বাচ্চারা পবিত্র হয় তাদের বসে বোঝান। পতিত বাচ্চারাই পবিত্রকারী বাবাকে আহ্বান করে। ড্রামার প্ল্যানও বলা হয়, রাবণ-রাজ্য হওয়ার কারণে সকল মানুষই পতিত। পতিত তাকেই বলা হয় যে বিকারে যায়। এমন অনেকেই আছে যারা বিকারে যায় না। ব্রহ্মচারী থাকে। মনে করে, আমরা নির্বিকারী, যেমন পাদ্রীরা রয়েছে, মোল্লা-কাজীরা রয়েছে, বৌদ্ধীরাও রয়েছে যারা পবিত্র থাকে। তাদের কে পবিত্র বানিয়েছে ? তারা স্বয়ং হয়েছে। দুনিয়ায় এমন অনেক ধর্মেই রয়েছে যে বিকারে না যাওয়া। কিন্তু তাদের পতিত-পাবন বাবা তো পবিত্র করেন না সেইজন্য তারা পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারে না। পবিত্র দুনিয়ায় যেতে পারে না। সন্ন্যাসীরাও ৫ বিকারকে পরিত্যাগ করে। কিন্তু তাদের সন্ন্যাসগ্রহণ কে করিয়েছে ? পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মা তো সন্ন্যাস গ্রহণ করায় নি, তাই না! পতিত-পাবন বাবা ব্যতীত সফলতা আসতে পারে না। পবিত্র দুনিয়া শান্তিধামে যেতে পারে না। এখান বাবা এসে তোমাদের পবিত্র হওয়ার শ্রীমৎ দেন। সত্যযুগকে বলা হয় নির্বিকারী দুনিয়া। এতেই প্রমাণ হয়, সত্যযুগে যারা আসবে তারা অবশ্যই পবিত্র হবে। সত্যযুগেও পবিত্র ছিল, শান্তিধামেও আত্মারা পবিত্র। এই রাবণ-রাজ্যে সকলেই হলো পতিত। পুনর্জন্ম তো নিতেই হবে। সত্যযুগেও পুনর্জন্ম নেয় কিন্তু বিকারের দ্বারা নয়। ও’টা হলোই সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া। যদিও ত্রেতায় ২ কলা কম হয়ে যায় কিন্তু বিকারী বলা যাবে না। ভগবান শ্রীরাম, ভগবতী শ্রীসীতা বলা হয়, তাই না! ১৬ কলা তারপর ১৪ কলা বলা হয়। চন্দ্রমারও এরকমই হয়, তাই না! এতেই প্রমাণিত হয় যে যতক্ষণ পর্যন্ত বাবা এসে পবিত্র না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ মুক্তি-জীবনমুক্তিতে যেতে পারবে না। বাবা-ই পথ-প্রদর্শক(গাইড)। এই দুনিয়ায় পবিত্র তো অনেকেই আছে। সন্ন্যাসীদেরও পবিত্রতার কারণেই মান্যতা রয়েছে। কিন্তু বাবার মাধ্যমে তারা পবিত্র হয় না। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, আমাদের পবিত্র করেন যিনি, তিনি হলেন নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা। তিনি তো স্বয়ং নিজ মতানুসারে পবিত্র হয়ে যান। তোমরা বাবার দ্বারা পবিত্র হও। পতিত-পাবন বাবার দ্বারাই পবিত্র দুনিয়ার উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। বাবা বলেন — হে বৎসগণ, কাম তোমাদের মহাশত্রু, এর উপর বিজয়প্রাপ্ত করো, পতনও এতেই হয়। এরকম কখনো লেখে না যে, আমরা ক্রোধ করেছি, তাই মুখ কালো করে ফেলেছি। কামের উদ্দেশ্যেই লেখা হয়, আমরা মুখ কালো করে ফেলেছি। পড়ে গেছি। বাচ্চারা, এ’সমস্ত কথাগুলো তোমরাই জানো, দুনিয়া জানে না। ড্রামানুসারে যারা ব্রাহ্মণ হবে, তারা আসতেই থাকবে। অন্য সৎসঙ্গে তো কোনো এইম অবজেক্ট থাকে না। শিবানন্দ ইত্যাদিদের শিষ্য তো বহু আছে, কিন্তু তাদের মধ্যেও কেউ-কেউ সন্ন্যাস নিয়ে থাকে। গৃহস্থীরা তো নেয়ই না। এছাড়া ঘর-পরিবারের পরিত্যাগী অনেক কমই বেরোয়। সন্ন্যাসী হলেও তবুও পুনর্জন্ম নিতে হয়। শিবানন্দের উদ্দেশ্যে বলা হবে কি যে জ্যোতি মহাজ্যোতিতে সমায়িত হয়ে গেছে, না তা বলা হবে না। তোমরা বোঝ যে সকলের সদ্গতিদাতা বাবা-ই। তিনিই গাইড। গাইড ছাড়া কেউ যেতে পারে না। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে আমাদের বাবা যেমন পিতাও, নলেজফুলও। মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ। সমগ্র মনুষ্য-সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ তো বীজেরই থাকবে, তাই না! ফাদার তো সকলেই বলে, তাই না! বাচ্চারা তো জানে যে আমাদের গড ফাদার একজনই তাহলে সকলের উপর কৃপাও তো সেই বাবারই পড়বে, তাই না! কত অগণিত মানুষ, কত জীব-জন্তু। ওখানে মানুষও হয় অল্প, জীব-জন্তুও অল্প। সত্যযুগে এইরকম আবর্জনা হয় না। এখানে তো অনেক প্রকারের রোগ-ব্যধি ইত্যাদির জন্ম হতেই থাকে। যার জন্য আবার নতুন ওষুধপত্র বের হতে থাকে। ড্রামা প্ল্যান অনুসারে অনেক প্রকারের কারিগরি (কৌশল) বের করতেই থাকে। ও’সব হলো মানুষের কারিগরি। পারলৌকিক পিতার গুণ কি ? বাবার উদ্দেশ্যে বলা হয় — হে পতিত-পাবন এসে আমাদের আত্মাকে পবিত্র করো, শরীরও পবিত্র, বলাও হয় পতিত-পাবন, দুঃখ-হরণকারী, সুখ প্রদানকারী, একজনকেই আহ্বান করা হয়, তাই না! আপন-আপন ভাষায় অবশ্যই স্মরণ করে। মানুষ যখন মুত্যুমুখে থাকে তখনও ভগবানকে স্মরণ করে। মনে করে, দ্বিতীয় কোনো আশ্রয় দেবে না সেইজন্য বলে — গড ফাদারকে স্মরণ করো। খ্রিস্টানরাও বলবে গড ফাদারকে স্মরণ করো, এভাবে বলবে না — খ্রাইস্টকে স্মরণ করতে। তারা জানে — খ্রাইস্টের উপর গড ফাদার আছে। ঈশ্বর তো সকলেরই এক হবে, তাই না! বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে মৃত্যুলোক কি, অমরলোক কি! দুনিয়ায় কেউ জানে না। ওরা বলে যে স্বর্গ, নরক সব এখানেই। কেউ-কেউ মনে করে সত্যযুগ ছিল, দেবতাদের রাজ্য ছিল। এখনো পর্যন্ত কত নতুন নতুন মন্দির নির্মাণ হতেই থাকে। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে বাবা ব্যতীত আর কেউই আমাদের পবিত্র করে নিজের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে আমরা নিজেদের সুইট হোমে যাচ্ছি। বাবা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ্য করে তুলছেন। এ’কথা স্মৃতিতে থাকা উচিত। বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা তোমরা এত-এত জন্ম নিয়েছো। এখন তোমরা এসে শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছো। পুনরায় ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হতে হবে, স্বর্গে যেতে হবে। এখন হলো সঙ্গম। বিরাটরূপে ব্রাহ্মণদের টিকি(কেশ-শিখা) প্রসিদ্ধ। হিন্দুদের চিহ্নও কেশ-শিখা। মানুষ তো মানুষই। খালসা(শিখ), মুসলমান ইত্যাদি এমনভাবে হয়ে যায়, জানতেও পারা যায় না যে কে? বাকি চীনারা রয়েছে, আফ্রিকান রয়েছে, ওদের বোঝা যায়। ওদের চেহারাই আলাদা। খ্রিস্টানদের ভারতের সঙ্গে কানেকশন আছে তাই তারা শিখেছে। ধর্মের কত ভ্যারাইটি রয়েছে। ওদের রীতি-রেওয়াজ, আদব-কায়দা সব আলাদা। বাচ্চারা, তোমরা এখন জ্ঞান পেয়েছো, আমরা সত্যযুগের স্থাপনা করছি। ওখানে আর কোনো ধর্ম থাকে না। এখন তো বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা সকলেই হাজির। এখন শেষে আর কোন্ ধর্ম স্থাপন করবে। হ্যাঁ, নতুন আত্মারা পবিত্র হয় সেইজন্য যে নতুন আত্মা আসে তখন সেই আত্মার কিছু না কিছু মহিমা হতে থাকবে। বিবেক বলে যে, পরে যারা আসবে তারা প্রথমে অবশ্যই অনেক সুখ প্রাপ্ত করবে। মহিমাও হবে, দুঃখও হবে। রয়েছেই এক জন্ম যেমন তোমরা সুখধামে অনেকসময় ধরে থাকো। ওরা আবার শান্তিধামে অনেকসময় ধরে থাকে। শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধি হতেই থাকে। বৃক্ষ বড় তাই না! এইসময় মানুষের সংখ্যা কত বৃদ্ধি পেতে থাকে সেইজন্য তা রোধ করার উপায় বের করতে থাকে। কিন্তু এতে কিছুই হতে পারে না। তোমরা জানো, ড্রামা প্ল্যান অনুসারে বৃদ্ধি অবশ্যই হতে হবে। নতুন পাতা আসতে থাকবে আর শাখা-প্রশাখা ইত্যাদি বের হতেই থাকবে। কত ভ্যারাইটি। এখন বাচ্চারা জানে যে আমরা আর কোনো কানেকশনে নেই। বাবাই আমাদের পবিত্র করেন আর সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের চক্রের সমাচার শোনান। তোমরাও ওঁনাকেই ডাকো — হে পতিত-পাবন এসে আমাদের পবিত্র করো তাহলে পতিত দুনিয়া অবশ্যই বিনাশপ্রাপ্ত হবে। এও তো হিসেব। সত্যযুগে অল্পসংখ্যক মানুষ থাকে, কলিযুগে কত অসংখ্য মানুষ। বাচ্চারা, তোমাদেরকে বোঝাতেও তো হবে। বাবা আমাদের পড়ান, এই পুরোনো দুনিয়ার এখন বিনাশ হবে। স্থাপনা বাবা-ই করবেন। ভগবানুবাচ, আমি স্থাপনা করিয়ে থাকি। বিনাশ তো ড্রামানুসারে হয়। ভারতেই চিত্রও রয়েছে। ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ, ব্রহ্মা মুখ-বংশীয় দেখো কত রয়েছে। ওরা হলো গর্ভজাত ব্রাহ্মণ। ওরা তো বাবাকে জানেই না। তোমাদের এখন দৃঢ়তা এসেছে। তোমরা জানো এখন কলিযুগের বিনাশ হয়ে সত্যযুগ আসবে। এ হলোই ‘রাজস্ব অশ্বমেধ অবিনাশী রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ’। এতে আহুতি পড়বে — পুরোনো দুনিয়ার। দ্বিতীয় কোনো আহুতি নেই। বাবা বলেন — আমি সমগ্র সৃষ্টিতেই এই রাজস্ব অশ্বমেধ যজ্ঞ রচনা করেছি। সমগ্র ধরায় রচিত হয়েছে। যজ্ঞ-কুন্ড তো হয়, তাই না! এতে সমগ্র দুনিয়া স্বাহা হয়ে যাবে। যজ্ঞ-কুন্ড তৈরী করা হয়। সমগ্র এই সৃষ্টিই যজ্ঞ-কুন্ড হয়ে রয়েছে। এই যজ্ঞ-কুন্ডে কি হবে? সব এতে শেষ হয়ে যাবে। এই কুন্ড পবিত্র নতুন হয়ে যাবে, এতে পুনরায় দেবতারা আসবে। চারিদিকে সমুদ্র তো রয়েছেই, সমগ্র জগৎ নতুন হয়ে যাবে। অনেক উথাল-পাথাল হবে। এমন কোনো স্থান নেই যা কারোর নয়। সকলেই বলে — এ’টা আমার। এখন ‘আমার-আমার’ বলা মানুষেরা সব শেষ হয়ে যাবে। বাকি আমি যাদের পবিত্র করি, সেই অল্পসংখ্যকই সমগ্র দুনিয়ায় থাকবে। সর্বপ্রথমে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম হবে। যমুনা নদীর উপকন্ঠে তাঁদের রাজ্য হবে। এ’সমস্ত কথা তোমাদের বুদ্ধিতে বসা উচিত, খুশী থাকা উচিত। মানুষ একে-অপরের কাহিনী বসে শোনাতে থাকে, তাই না! এও সত্যনারায়ণের কথা, এ হলো অসীমের। তোমাদের বুদ্ধিতেই এ’কথা রয়েছে। তাদের মধ্যেও যারা ভাল-ভাল সার্ভিসেবেল, তাদের বুদ্ধিতে ধারনা হবে, ঝুলি ভরপুর হবে, দান করতে থাকবে সেইজন্য বলা হয় ধন দান করলে ধন কম হয়ে যায় না। মনে করে, দান করলে আরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। তোমাদের এ হলো অবিনাশী ধন। এখন ধন দান করলে ধন নিঃশেষ হয়ে যাবে না, যত দান করবে ততই খুশী হবে। শোনার সময় কারো-কারোর কাঁধ যেন ঝুলতে থাকে। কেউ আবার উত্তপ্ত হয়ে বসে থাকে। বাবা কত ভাল-ভাল পয়েন্টস্ শোনান। শোনার সময় তখন কাঁধ অটোমেটিক দুলবে। এখানে বাবার সম্মুখে বাচ্চারা আসেই রিফ্রেশ হতে। বাবা কিভাবে বসে যুক্তি সহকারে পয়েন্টস্ শোনান। তোমরা জানো যে, ভারতেই দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। ভারতকে স্বর্গ বলা হয়। এখন তো নরক। নরক পরিবর্তিত হয়ে স্বর্গ হবে, আর বাকি সবের বিনাশ হয়ে যাবে। তোমাদের জন্য স্বর্গ তো যেন কালকের কথা। কাল রাজ্য করতে, অন্য কেউ এ’কথা বলতে পারবে না। কথিতও রয়েছে যে, ক্রাইস্টের এত বছর পূর্বে প্যারাডাইজ (স্বর্গ) ছিল, তখন অন্য কোনো ধর্ম ছিল না। দ্বাপর থেকে সব ধর্ম আসে। অতি সহজ কথা। কিন্তু মানুষের বুদ্ধি তো এ’দিকে নেই যাতে বুঝতে পারে। আহ্বানও করে — পতিত-পাবন এসো, তাহলে এসে পতিত থেকে পবিত্র তো অবশ্যই বানাবে, তাই না! এখানে তো কেউ পবিত্র হতে পারবে না। সত্যযুগকে নির্বিকারী দুনিয়া বলা হয়। এখন হলো বিকারী দুনিয়া। মুখ্য কথাই হলো পবিত্রতার। তারজন্য তোমাদের কত পরিশ্রম করতে হয়। তোমরা জানো, আজ পর্যন্ত যাকিছু অতিবাহিত হয়েছে, বলবে যে তা ড্রামা অনুসারেই হয়েছে। এতে আমরা কাউকে খারাপ-ভাল বলতে পারি না। যাকিছু হয়, তা ড্রামায় নির্ধারিত। বাবা ভবিষ্যতের জন্য বোঝান যে সেবায় এমন-এমন কর্ম কোরো না। নাহলে ডিস-সার্ভিস হয়ে যাবে। বাবা-ই তো বলবেন, তাই না! তোমরা পরস্পরের বিরোধী হয়ে গেছো। মনে করে আমরা বিরোধী, একে-অপরের সঙ্গে মিলিত হলে কথা বলে না তখন কাউকে কিছু বললে বিরক্ত হয়ে যায়। শিববাবাকে ভুলে যায় সে’জন্য বোঝানো হয় যে সর্বদা শিববাবাকে স্মরণ করো। বাবা বাচ্চাদের সাবধান করেন। এমন-এমন কর্ম করলে দুর্গতি হয়ে যায়। কিন্তু ভাগ্যে নেই সেইজন্য বোঝে না। শিববাবা যাঁর থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, তাঁর উপরেও রুষ্ট হয়ে যায়। ব্রাহ্মণীর উপরেও রুষ্ট হয়ে পড়ে, এঁনার উপরেও রুষ্ট হয়। তখন আর ক্লাসে আসে না। শিববাবার প্রতি কখনও রুষ্ট হওয়া উচিত নয়, তাই না। ওঁনার মুরলীই তো পড়তে হবে। স্মরণও তাঁকেই করতে হবে। বাবা তো বলেন, তাই না — নিজেকে আত্মা মনে করে আমায় স্মরণ করো তবেই সদ্গতি হবে। দেহ-অভিমানে এলে দেহধারীদের উপর রুষ্ট হয়ে পড়ে। উত্তরাধিকার তো দাদুর থেকে প্রাপ্ত হবে। বাবার হবে তবেই দাদুর থেকে উত্তরাধিকার পাবে। বাবাকেই ত্যাগ করে দেয় তাহলে উত্তরাধিকার কিভাবে প্রাপ্ত করবে। ব্রাহ্মণ কুল থেকে বেরিয়ে শূদ্রকুলে চলে গেছো তাই উত্তরাধিকার (প্রাপ্তি) সমাপ্ত। অ্যাডপশন বাতিল হয়ে গেছে। তবুও বুঝতে পারে না। মায়া এমন যে অত্যন্ত উত্তপ্ত করে দেয়। বাবাকে কত প্রেম-পূর্বক স্মরণ করা উচিত কিন্তু স্মরণ করেই না। আমরা শিববাবার বাচ্চা যিনি আমাদের বিশ্বের মালিক বানিয়ে দেন। অবশ্যই ভারতেই জন্ম নেন। শিব-জয়ন্তী তো পালিত হয়, তাই না! ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী রিপীট হবে তখন শিববাবাই সর্বপ্রথমে এসে স্বর্গের রচনা করবেন। তোমরা জানো যে আমাদের স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত হতে চলেছে। বাবা-ই এসে স্বর্গবাসী বানান। নতুন দুনিয়ার জন্য রাজযোগ শেখান। তোমরা এসে নতুন দুনিয়ায় রাজ্য পরিচালনা করো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বুদ্ধি-রূপী ঝুলিতে অবিনাশী জ্ঞান-রত্ন ভরপুর করে তারপর তা দান করতে হবে। দান করলেই খুশী বজায় থাকবে। জ্ঞান-ধন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

২ ) কখনও পরস্পরের প্রতি বিরূপ হয়ে বিরোধিতা করবে না। অতি প্রেম-পূর্বক বাবাকে স্মরণ করা আর মুরলী শুনতে হবে। উত্তপ্ত হবে না।

বরদানঃ-

আমরা মাস্টার শিক্ষক, মাস্টার বললে বাবা স্বততঃ-ই স্মরণে আসে। রচনাকার স্মরণে এলে, স্বয়ং নিমিত্ত — এ’কথা স্বততঃ-ই স্মৃতিতে এসে যায়। বিশেষ স্মৃতি থাকে যে আমরা পুণ্য আত্মা, পুণ্যের খাতা জমা করা এবং করানো — এ’টাই হলো বিশেষ সেবা। পুণ্য আত্মা কখনো সঙ্কল্পমাত্রেও শতভাগের একভাগও পাপ করতে পারে না। মাস্টার শিক্ষক অর্থাৎ সদা পুণ্যের খাতা জমা করা এবং করানো, বাবার সমান।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top