30 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 29, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

মিষ্টি বাচ্চারা -- এখন তোমাদের আধ্যাত্মিক কারবার করতে হবে, আত্মা মনে করে প্রতিটি কাজ-কর্ম করলে আত্মা নির্বিকারী হয়ে যায়"

প্রশ্নঃ --

স্বর্গের উত্তরাধিকার নেওয়া এবং স্বর্গে উচ্চপদ লাভের আধার (ভিত্তি) কি ?

উত্তরঃ -:-

ব্রহ্মাকুমার-কুমারী হলে তবেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু উচ্চপদের আধার হলো অধ্যয়ণ। যদি বাবার হয়ে ভালভাবে পড়া পড়ে, সম্পূর্ণ পবিত্র হয় তবেই রাজ-পদ প্রাপ্ত হয়। কেউ-কেউ পুরো পড়ে না, কর্মবন্ধন রয়েছে, সম্পূর্ণ পবিত্র হয় নি আর শরীর পরিত্যাগ করে গেলো তাহলে সে প্রজাতেও সাধারণ পদ লাভ করবে।

ওম্ শান্তি। আত্মা-রূপী বাচ্চাদের আধ্যাত্মিক পিতা বোঝাচ্ছেন। এখানে হয় আধ্যাত্মিক কারবার। বাকি সমগ্র দুনিয়ায় হয় শরীর-বৃত্তিয়ের জন্য কারবার। বাস্তবে কারবার চলে আত্মাদের। আত্মাই এই শরীর দ্বারা পড়াশোনা করে, চলাচল করে, বিকর্ম করে, সেইজন্যই পতিত-আত্মা, পাপ আত্মা বলা হয়। আত্মাই সবকিছু করে। এইসময় সকল মানুষই দেহ-অভিমানী, আমি আত্মা এ’কথা বোঝার বদলে, মনে করে আমি অমুক। এই ব্যবসা করে থাকি। এই যে অমুকে কামুক, ক্রোধী। শরীরেরই নাম নেয়। একে বলা হয় দেহ-অভিমানী দুনিয়া, অবরোহণ কলার দুনিয়া। সত্যযুগে এ’রকম হয় না। ওখানে দেহী- অভিমানী হয়। তোমাদের দেহী-অভিমানী বানানো হয়। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। আমি আত্মা এই শরীর-রূপী বস্ত্র ধারণ করে অভিনয় করি। ওই (লৌকিক) অভিনেতারাও বিভিন্ন পোশাক বদল করে অভিনয় করে। বাবা বলেন — তোমরা অর্থাৎ আত্মারা প্রথমে শান্তিধামে ছিলে। তোমাদের ঘর হলো শান্তিধাম। যেমন ও’টা হলো সসীমের নাটক এ’টা আবার অসীমের নাটক। সকল আত্মারাই পরমধাম থেকে এসে, শরীর ধারণ করে ভূমিকা পালন করে। আত্মাদের আসল ঘর হলো পরমধাম। ওইসমস্ত অভিনেতাদের ঘর তো এখানেই। কেবলমাত্র পোশাক বদল করে অভিনয় করে। সে’জন্য বাবা বসে বোঝান, তোমরা হলে আত্মা। বাবা তো বাচ্চা-বাচ্চাই বলবে। সন্ন্যাসীরা বাচ্চা-বাচ্চা বলবে না। বাবা বলেন — আমি পতিত-পাবন, তোমাদের সকল আত্মাদের পিতা, যাঁকে তোমরা গড ফাদার বলে থাকো। গড ফাদার তো নিরাকার। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকেও গড ফাদার বলবে না। তাদের মধ্যেও আত্মা রয়েছে, কিন্তু তাদের বলা হয় ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ, বিষ্ণু দেবতায় নমঃ……. দেবতা কেন বলা হয়? তা কারোর জানা নেই। বাবা-ই এসে বোঝান — তোমরা কিভাবে ড্রামা প্ল্যান অনুসারে ভূমিকা পালন করো। দুনিয়া একটাই। এমন নয় যে, নীচে কোনো পাতাল বা উপরে জগৎ রয়েছে। দুনিয়া একটাই, যার চক্র আবর্তিত হতেই থাকে। লোকেরা বলে, চাঁদে প্লট(জমি) নেবো। বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা কত দেউলিয়া(সর্বস্বান্ত) হয়ে গেছে। ভারতবাসীদের উদ্দেশ্যেই বলে, তোমরা কত সমৃদ্ধশালী, বোধ-বুদ্ধিসম্পন্ন ছিলে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের সমগ্র বিশ্বের উপর রাজত্ব ছিল। যা কেউ লুঠ করে নিতে পারে নি। সেখানে কোনো পার্টিশন ইত্যাদি থাকে না। এখানে তো কত পার্টিশন (ভাগাভাগি)। টুকরো-টুকরোর জন্য পরস্পর লড়াই করতে থাকে। তোমরা সমগ্র বিশ্বের মালিক ছিলে। সমগ্র আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র সবকিছু তোমাদের ছিল, তোমরা সে’গুলির মালিক ছিলে। এখন তো টুকরো হয়ে গেছে। এ’কথা কারোর জানা নেই। ভারতই বিশ্বের মালিক ছিল। বাবা বোঝান, আত্মা যে পার্ট পেয়েছে তা কখনো মুছে যায় না। চলতেই থাকে। এখন তোমরা পুনরায় মানুষ থেকে দেবতায় পরিনত হতে চলেছো। পুনরায় ৮৪ জন্ম নেবে। তোমাদের পার্ট চলতেই থাকে, কখনো বন্ধ হয়ে যায় না। কেউ মোক্ষ ইত্যাদি পায় না। যত অধিকসংখ্যক গুরু, অধিকসংখ্যক শাস্ত্র ততই মতও অনেক হয়। মানুষের মধ্যে কত অশান্তি। যেখানেই যাও বলে, মনে শান্তি কিভাবে পাবো। এ’সব দেহ-অভিমানে এসে বলে। বাবা বোঝান, মন এবং বুদ্ধি — এ হলো আত্মার ইন্দ্রিয়। বাকি এ’সকল হলো শরীরের ইন্দ্রিয়। আত্মা বলে — আমার মন শান্তি পাবে কিভাবে বাস্তবে এমন বলা ভুল। তোমরা হলে আত্মা, তোমাদের স্বধর্মই শান্ত। তোমরা এ’ভাবে বলো যে, আত্মা-রূপী আমি শান্তি কিভাবে পাবো। এখানে কর্ম তো করতেই হবে। এইসমস্ত কথা বাবা বসে-বসে বোঝান। দুনিয়ায় এই জ্ঞান কারোর নেই। ওখানে হলো ভক্তিমার্গ, ওদের জ্ঞান জানা নেই। জ্ঞান প্রদান করেন একমাত্র বাবা। বাবা স্বয়ং বলেন — আমি প্রতি কল্পে, কল্পের সঙ্গমযুগে আসি। কলিযুগের অন্তে সকলেই পতিত। এ হলো রাবণ-রাজ্য। রাবণকে ভারতবাসীরাই জ্বালিয়ে থাকে। পতিত-পাবন বাবার জন্মও এখানেই, আবার রাবণের জন্মও এখানেই হয়। রাবণ সকলকে অপবিত্র করে দেয়, সেইজন্য তাকে জ্বালানো হয়। এ’কথা কারোর বুদ্ধিতে নেই। এখন ভারতে কৃষ্ণ-জয়ন্তী পালিত হয়। কৃষ্ণের লীলা, ভজন ইত্যাদি করে থাকে। এখন বাবা বলেন — বাস্তবে কৃষ্ণলীলা হয়ই না। কৃষ্ণ কি করেছে! বলা হয় যে, কংসপুরীতে জন্ম নিয়েছে। এখন কংস তো ডেভিল(শয়তান)। সত্যযুগে ডেভিল কোথা থেকে আসবে। তোমরা জানো যে কৃষ্ণের আত্মা যিনি সত্যযুগে ছিলেন, তিনি ৮৪ জন্ম ভোগ করে এইসময় পতিত থেকে পবিত্র হচ্ছে। নিজের পদ পুনরায় প্রাপ্ত করছে। তেমনই তোমরাও কৃষ্ণপুরীর বাসিন্দা ছিলে। ৮৪ জন্ম নিয়ে এখন পুনরায় নিজেদের পদ প্রাপ্ত করতে চলেছো। বাস্তবে জয়ন্তী(জন্মদিন) পালন করা উচিৎ শিববাবার। যে শিববাবা সকলকে হেল(নরক) থেকে হেভেনে(স্বর্গে) নিয়ে যান, ওঁনার কোনো লীলাখেলা নেই। বলে যে – পতিত-পাবন বাবা এসো, এসে আমাদের নরক থেকে স্বর্গে নিয়ে যাও। তুমি তো আমাদের বাবা তাহলে আমাদের স্বর্গে থাকা উচিত, আমরা তবে বিকারী দুনিয়ায় কেন রয়েছি ? সে’জন্য আহ্বান করে — হে গড ফাদার, আমাদের এই দুঃখের দুনিয়া থেকে লিবারেট (মুক্ত) করো। এও ড্রামায় নির্ধারিত। বাবা বলেন, এই ড্রামাকে কেউ জানে না। শাস্ত্রে ড্রামার আয়ু দীর্ঘ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন দুনিয়াকে পুরোনো হতেই হবে। সতঃ-রজঃ-তমঃতে আসতেই হবে। এ হলো অসীম জগতের কথা। এখন তোমরা পুনরায় বিশ্বের মালিক হতে চলেছো। ভারতবাসী যারা নতুন দুনিয়ায় ছিল তারাই ৮৪ জন্ম (নিজেদের) ভূমিকা পালন করবে। এখন তোমরা পবিত্র হয়ে যাও, বাকি সমস্ত মানুষই অপবিত্র, তবেই তো পবিত্রের সম্মুখে গিয়ে নমন করে। পবিত্রকে পবিত্ররা কেন নমন করবে! সন্ন্যাসীরা পবিত্র হয়, তবেই তো পতিত মানুষেরা তাদের সম্মুখে মাথা নত করে। কন্যা পবিত্র থাকলে তখন সকলেই তার সম্মুখে মাথা নত করে। সেই কন্যাই যখন বিবাহ করে শ্বশুড়বাড়ীতে যাবে তখন (সকলের সম্মুখে) মাথা নত করতে হয়। এখন অসীম জগতের বাবা এসেছেন সকলকে পবিত্র বানাতে। ওরা সকলেই রয়েছে কলিযুগে। তোমরা এখন রয়েছো সঙ্গমে। তোমাদের এখন পতিত দুনিয়ায় যেতে হবে না। এ হলোই কল্যাণকারী যুগ। বাবা এসে সকলের কল্যাণ করেন। এখন তোমরা কৃষ্ণ-জয়ন্তী পালন করবে, তা নাহলে লোকেরা মনে করবে এরা নাস্তিক। বাস্তবে নাস্তিক তাদেরকেই বলা হয়, যারা নিজের বাবাকে আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানে না। এইসময় সকলেই ধনহীন অনাথ হয়ে গেছে। ঘরে-ঘরে ঝগড়া হয়, একে-অপরকে মারতেও দেরী করে না। সেইজন্য একে নাস্তিকদের দুনিয়া বলা হয়, যারা বাবাকে জানে না। তোমরা হলে জ্ঞাতা। এখন তোমরা বোঝ যে আমরা প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন ছিলাম, বাবা আমাদের পারশবুদ্ধিসম্পন্ন করে গড়ে তুলছেন আর কোনো কষ্টের কথা নেই। বাবা কেবল বলেন এক ঘন্টা পড়ো। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমায় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। শরীরকে স্মরণ করলে লৌকিক সম্বন্ধ স্মরণে আসবে। দেহী-অভিমানী হয়ে থাকলে আমায় অর্থাৎ বাবা স্মরণে থাকবে। এ হলোই বিকারী দুনিয়া। বিষয়সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকে। বিষ্ণুকে ক্ষীরসাগরে দেখানো হয়। বলা হয়, ওখানে ঘি-এর নদী প্রবাহিত হয়। এখানে তো কেরোসিনও পাওয়া যায় না। তফাৎ রয়েছে, তাই না! তাহলে বাচ্চারা তোমাদের কত খুশী থাকা উচিৎ। বাবাই তো মাঝি, তাই না! গায়নও করে — তরী মোর পার করে দাও। এরা সকলেই হলো তরী, মাঝি একমাত্র বাবা-ই। এই শরীর এখানেই ত্যাগ করে যাবে। এছাড়া আত্মাদের পার করে নিয়ে যাবে শান্তিধামে। সেখান থেকে পুনরায় পাঠিয়ে দেবে সুখধামে। পরমপিতা পরমাত্মাকেই মাঝি বলা হয়। বাবার অনেকপ্রকারের মহিমা কীর্তন করা হয়। তোমরা এখন পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাও। শ্রী-শ্রী শিববাবা এসেছেন শ্রেষ্ঠ বানাতে। স্বয়ং ঈশ্বর বলেন — এ হলো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া। তোমরা এখন পরমপিতা পরমাত্মার শ্রীমৎ অনুসরণ করে শ্রেষ্ঠাচারী হয়ে যাও। বাচ্চারা, এ কত রমনীয় গোপন কথা, যা তোমরাই বুঝতে পারো। অন্যরা বুঝতেই পারবে না। তোমরা জানো যে এখন দেবী-দেবতা ধর্মের কলম লাগানো হচ্ছে। যে দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরা অন্য ধর্মে চলে গেছে, তারাই এসে পুনরায় ব্রাহ্মণ হবে। ব্রহ্মাকুমার-কুমারী হওয়া ব্যতীত স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারবে না। এখন তোমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা স্বর্গের উত্তরাধিকার গ্রহণ করছো। যত পুরুষার্থ করবে এবং করাবে ততই উচ্চপদ পাবে। সকলেই তো এতখানি করতে পারে না। পুরোপুরি না পড়লে তখন তার ফল কি হবে। যদি শরীর মুক্ত হয়ে যায় তখন স্বর্গে চলে আসবে। কিন্তু প্রজায় অতি সাধারণ। যদি বাবার হয়ে গিয়ে ভাল মতন পড়ে তবে রাজপদ প্রাপ্ত করতে পারে । না পড়লে বুঝবে যে ওদের ভাগ্যে নেই। পবিত্র থাকলে, পড়লে তবেই উচ্চপদ পাবে। অপবিত্র হওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণ করতে পারবে না। এরকমও অনেকে রয়েছে — কর্মবন্ধনের হিসেব-নিকেশ যখন চুক্ত হবে। গাড়ির দুই চাকা পবিত্র হলে তখন সঠিকভাবে চলবে। দু’জনেই পবিত্র থাকবে, তখন জ্ঞান-চিতায় বসবে, তা নাহলে খিটিমিটি (ঝগড়াঝাটি) হতেই থাকবে। অনেক বাচ্চারা বলে যে বাবা, আমরা জানি যে শ্রীকৃষ্ণ হলো সত্যযুগের প্রথম প্রিন্স তাহলে কেন কিছু পালন করবো না। আচ্ছা, আমরা কৃষ্ণের আত্মাকে আহ্বানও করতে পারি। এসে খেলা-ধূলো করবে, রাস করবে, আর কি করবে। গোপ-গোপিনীও তো এখানেই হয়। ওখানে তো প্রিন্স-প্রিন্সেস পরস্পরের সঙ্গে যখন মিলিত হয় তখন রাস করে। সোনার মুরলী বাজায়। এ’সমস্ত খেলা-ধূলো তোমরা পরে দেখবে। এইসব পার্ট চলতে থাকবে। শুরুতে দেখানো হয়েছে পরে তোমরা পুরুষার্থ করতে লেগেছো। ভবিষ্যতে পুনরায় সাক্ষাৎকার হওয়া শুরু হবে। কে-কে কোন্ পদ প্রাপ্ত করবে, সেসব তোমরা জানো। বাবা বসে এ’সমস্ত রহস্য বোঝান। তোমাদের জিজ্ঞাসা করে যে, বেদ, শাস্ত্রকে মানো ! বলো হ্যাঁ, আমরা কেন মানবো না ! এ’সকল ভক্তিমার্গের সামগ্রী, এতে কিছুই জ্ঞান নেই। জ্ঞান প্রদানকারী হলেন অদ্বিতীয়। যখন জ্ঞান প্রাপ্ত হয় তখন ভক্তি আপনা থেকেই দূর হয়ে যায়। তোমরা মন্দিরে গেলেও তো বুদ্ধিতে থাকবে যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ পুনরায় এখন নতুন দুনিয়ায় রাজ্য করবে। বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান যে দু’দিকেই সম্পর্ক রাখতে হবে। গৃহস্থী জীবনে থেকে পবিত্র হতে হবে। শ্রীমৎ বলে — সম্পূর্ণ পবিত্র হও, সম্পূর্ণ বৈষ্ণব হও আর বিষ্ণুপুরীর রাজত্ব গ্রহণ করো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) যোগের দ্বারা কর্মবন্ধনের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ফেলে পবিত্র হতে হবে। জ্ঞান-চিতায় বসতে হবে, পুরোপুরি বৈষ্ণব অর্থাৎ পবিত্র হতে হবে।

২ ) নিজের শান্ত স্বধর্মে অবস্থান করতে হবে। সকলকে শান্তিধামকে স্মরণ করাতে হবে। কখনো অশান্ত হবে না।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা রাবণের বহুমুখী রূপকে ভালভাবে জেনে গেছে, তাদের নিকটে সে (রাবণ) আসতেও পারবে না। চাইলে সোনার রূপ, চাইলে হীরের রূপই ধারণ করুক কিন্তু তাদের আকর্ষণে আসবে না। এইরকম প্রকৃত সীতা হয়ে সীমারেখার মধ্যে থাকার লক্ষ্য রেখে সাহসী হয়ে ওঠো। তখন রাবণের অগণিত সেনা আঘাত করার পরিবর্তে তোমাদের সহযোগী হয়ে যাবে। প্রকৃতির ৫ তত্ব আর ৫ বিকার পরিবর্তিত হয়ে তোমাদের সেবার জন্য আসবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top