25 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 24, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - শান্ত থাকা খুব ভালো অভ্যাস, যাদের স্বভাব শান্ত তারা খুবই মিষ্টি হয়, অহেতুক কথা বলার থেকে কথা না বলা অনেক ভালো”

প্রশ্নঃ --

কোন ধরনের বাচ্চাদের সবাই ভালবাসে ? নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় কি ?

উত্তরঃ -:-

যারা খুব আগ্রহের সাথে এবং ভালোবেসে সকলের সেবা করে, সবাই তাদের ভালোবাসে। কখনোই তোমাদের মধ্যে সেবার অহংকার আসা উচিত নয়। বাবার কাছ থেকে যে জ্ঞানের কস্তুরী তোমরা পেয়েছ সেটা সবাইকে দিতে হবে। সবাইকে শিববাবার কথা মনে করাতে হবে। এই স্মরণের যাত্রার দ্বারা-ই তোমরা অত্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে। যত বেশি স্মরণে থাকবে তত খুশি থাকবে এবং চালচলন শুধরে যাবে।

ওম্ শান্তি । আত্মাদের পিতা বসে থেকে আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। এভাবে বুঝিয়ে বুঝিয়ে তিনি বাচ্চাদেরকে অনেক বুদ্ধিমান বানিয়ে দিয়েছেন। এই পড়াশুনা খুবই সহজ। ওটা স্থূল পড়া আর এটা সূক্ষ্ম পড়া। তোমরা বাচ্চারা জানো যে এই পড়া কেবল বাবা ছাড়া আর কেউ পড়াতে পারবে না। বাবা তো পবিত্র করার জন্য এবং শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এসেছেন। আমাদের লক্ষ্য তো আমাদের সামনেই রাখা আছে। এইরকম বাবাকে স্মরণ করে আমাদের খুশিতে শিহরিত হওয়া উচিত। বাচ্চারা জানে যে দিনে দিনে আমাদেরকে আরো বেশি শান্তির দিকে অগ্রসর হতে হবে। সকলেই শান্তি খুব ভালোবাসে। বড় বড় ব্যক্তিরা বেশি কথা বলেন না এবং বেশি জোরে বলেন না। তোমরাও অনেক বড় মানুষ হয়ে যাও। প্রকৃতপক্ষে তোমাদেরকে মানুষ বলা হবে না, তোমরা তো দেবতা হয়ে যাও। দেবতারা খুব কম কথা বলে। যেহেতু তোমরা দেবতা হবে তাই তোমাদেরকে আওয়াজের পরিবর্তে শান্তিতে থাকার অভ্যাস করতে হবে। কেউ শান্ত থাকলে বোঝা যায় যে তার নিজের প্রতি মনোযোগ আছে। এখন তোমাদেরকে শান্তিধামে যেতে হবে, তাই খুব আস্তে কথা বলতে হবে। আস্তে আস্তে কথা বলতে বলতে শান্তিধামে যেতে হবে। তোমরা যত শান্তিধামে থাকো, তত তোমরা শান্তির প্রকম্পন ছড়িয়ে দাও। তোমাদেরকে খুব শান্ত থাকতে হবে। জোরে কথা বলা মোটেই ভালো দেখায় না। রাগ করাও ভালো নয়। বাচ্চাদের মধ্যে যেন কোনো বিকার না থাকে। দেখতে হবে যে আমরা কারোর সাথে লড়াই ঝগড়া করি না তো ? বাবা বলেছেন – মন্দ কিছু শুনো না, মন্দ কিছু বলো না…। যেসব কথা তোমাদের ভালো লাগে না, সেইসব খারাপ কথাকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তাহলে দুজনেই চুপ হয়ে যাবে। প্রত্যেক বিষয়ে দিব্যগুন ধারণ করতে হবে। কেউ জোরে কথা বললে তাকে বলো – শান্ত থাকো, আওয়াজ করো না। তোমরা জানো যে আমরা এখন শান্তি স্থাপন করছি। সত্যযুগে শান্তি থাকবে, আর মূলবতনে তো কেবল শান্তি আর শান্তি। শরীর না থাকলে কথা বলবে কিভাবে। বাবা বাচ্চাদেরকে খুব ভালো শ্রীমৎ দেন। তিনি বোঝাচ্ছেন – বাচ্চারা, তোমাদেরকে এখন নিজের ঘরে ফিরতে হবে। তাই আওয়াজের দুনিয়া থেকে প্রথমে মুভির (ইশারা) দুনিয়ায় আসতে হবে, তারপর সাইলেন্সে চলে যাবে। যার সাথে সাক্ষাৎ হবে, তাকেই এই বার্তা শোনাতে হবে। তোমরা যত শান্ত থাকবে, মানুষ ততই বুঝবে যে এরা কোনো আন্তরিক খুশিতে আছে। শান্ত থাকা খুব ভালো স্বভাব। ওরা খুব মিষ্টি হয়। অহেতুক কথা বলার থেকে কথা না বলা অনেক ভালো। তোমরাই হলে সত্যিকারের দূত। তোমাদের উচিত সকলের ওপর কৃপা করা। যেসব বাচ্চারা কৃপা করে, তারা খুব শান্ত ভাবে বাবাকে স্মরণ করে। কেবল এই বার্তাই দিতে হবে যে লৌকিক বাবার অনেক সম্পত্তি থাকলে যেমন অনেক উত্তরাধিকার পাওয়া যায়, সেইরকম অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করলে সীমাহীন সুখ-শান্তি পাওয়া যাবে। অসীম জগতের পিতার কাছে তো বিশ্বের রাজত্ব রয়েছে। প্রত্যেক ৫ হাজার বছর পরে তোমরা এই বিশ্বের রাজত্ব পেয়ে যাও। বাচ্চারা, তোমাদেরকে এখন খুব আগ্রহের সাথে সকলের সেবা করতে হবে। প্রত্যেককেই যোগ্য সেবাধারী হতে হবে। যারা খুব ভালোবেসে অন্যদের সেবা করে, সকলেই তাদের ভালোবাসে। কখনোই সেবার অহংকার আসা উচিত নয়। তোমরা বাবার কাছ থেকে জ্ঞানের কস্তুরী পেয়েছ যা অন্যদেরকেও দিতে হবে। একে অপরকে মনে করিয়ে দাও – শিববাবার কথা কি মনে আছে ? এতে খুশি আসে। যে মনে করিয়ে দেয়, তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। এই স্মরণের যাত্রার দ্বারা তোমরা বাচ্চারা অনেক সুরক্ষিত থাকবে। যত বেশি স্মরণের যাত্রায় থাকবে, তত খুশি হবে আর চালচলন ক্রমশঃ শুধরে যাবে। তোমাদেরকে অবশ্যই নিজের চরিত্রকে শোধরাতে হবে। প্রত্যেকেই নিজের অন্তরকে জিজ্ঞাসা করো – আমার স্বভাব কি অত্যন্ত মিষ্টি ? কখনো কাউকে দুঃখ দিই না তো ? বায়ুমণ্ডল কখনোই এমন হওয়া উচিত নয় যাতে কেউ দুঃখ পেয়ে যায়। এইরকম চেষ্টা করতে হবে কারন তোমরা বাচ্চারা অতি শ্রেষ্ঠ সেবা করছ। তোমাদেরকে তো এই পুরো মঞ্চকে আলোকিত করতে হবে। তোমরা হলে এই ধরণীর চৈতন্য নক্ষত্র। বলা হয়, নক্ষত্র দেবতা…। কিন্তু ওই তারাগুলো তো কোনো দেবতা নয়। তোমরা ওদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী কারন তোমরা সমগ্র বিশ্বকে আলোকিত করো। তোমরাই দেবতা হচ্ছ। যেমন ওপরে তারারা ঝলমল করে, কোনো তারা খুব উজ্জ্বল আবার কোনো তারা অল্প। কোনো তারা চাঁদের খুব কাছে থাকে। তোমরা বাচ্চারাও যোগের শক্তিতে সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে গেলে ঝলমল করতে থাকো। তোমরা বাচ্চারা এখন অবিনাশী জ্ঞান রত্নের লটারি পেয়ে গেছ। তাই কতো খুশিতে থাকতে হবে। অন্তরে যেন খুশি উপচে পড়ে। তোমাদের এই জন্মকেই হীরের সাথে তুলনা করা হয়। তোমরা ব্রাহ্মণরাই নলেজফুল হও। তাই এই জ্ঞানের জন্যই তোমরা খুশিতে থাকো। তোমরা দেবতাদের থেকেও শ্রেষ্ঠ। তোমাদের মুখমণ্ডল যেন সবসময় খুশিতে ভরপুর থাকে। বাবা বাচ্চাদেরকে আশীর্বাদ করছেন – মিষ্টি বাচ্চারা, সর্বদা শান্ত ভব ! চিরজীবী ভব ! অর্থাৎ অনেক বছর বেঁচে থাকো। বাবার কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়া গেলেও প্রত্যেককেই নিজের পুরুষার্থ করতে হবে যে কিভাবে আমি চিরজীবী হব। বাবাকে স্মরণ করেই তোমরা চিরজীবী হচ্ছ। বাবাই এই আশীর্বাদ দিচ্ছেন। ব্রাহ্মণরাও বলে আয়ুষ্মান ভব। বাবাও বলেন, বাচ্চারা সর্বদা বেঁচে থাকো। অর্ধেক কল্প তোমাদেরকে কাল খাবে না। সত্যযুগে তো ‛মৃত্যু’-র নামও থাকবে না। এখানে মানুষ মরতে ভয় পায়। আর তোমরা মরার জন্যই পুরুষার্থ করছ। তোমরা জানো যে বাবাকে স্মরণ করতে করতে আমরা এই শরীর ত্যাগ করে শিববাবার কাছে চলে যাব। তারপর স্বর্গবাসী হব। এখন তোমরা প্রিয়তম বাবার সন্তান হয়েছ। তাই তোমাদেরকেও বাবার মতো খুব মিষ্টি এবং প্রিয় হতে হবে। বাবা তো পত্রতেও লেখেন – মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি আদরের সন্তানরা…। বাবা খুবই মিষ্টি। বাস্তবে তোমরা অনুভব করছো যে বাবা কতো মিষ্টি, কত প্রিয়। তিনি আমাদেরকেও এইরকম বানিয়ে দিচ্ছেন। তোমরাও জানো যে আমরা কতো মিষ্টি, কত প্রিয় ছিলাম। তারপর আমরাই যখন পূজনীয় থেকে পূজারী হয়ে গেলাম, তখন নিজেকেই পূজা করতে শুরু করলাম। এই ওয়ান্ডারফুল কথাগুলো খুব ভালো করে বুঝতে হবে। তোমরা বাচ্চারা জানো যে আমাদের অর্ধেক কল্পের সমস্ত দুঃখ দূর করার জন্য এখন বাবা এসেছেন। বলা হয় – হর হর মহাদেব। কিন্তু যাকে বলা হয়, সে তো মহাদেব নয়। বাবা-ই দুঃখ হরণ করবেন। বাবা-ই দুঃখ হরণ করে সুখ প্রদান করেন। অর্ধেক কল্প ধরে তোমরা অনেক দুঃখের ঘটনার সাক্ষী থেকেছ। ৫ বিকারের ব্যাধি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যাধি তোমাদেরকে অনেক দুঃখ দিয়েছে। তাই বাবা বলছেন, এইসব কর্মের হিসাব এখন ঠিক করো। ব্যবসায়ীরাও ১২ মাসের হিসাবের খাতা রাখে। বাবা বোঝাচ্ছেন – বাচ্চারা, এখন গোটা বিশ্বই দেখো নোংরায় ভর্তি, এটাই নরক। তাই নরক থেকে স্বর্গ বানানোর জন্য বাবাকে আসতে হয়। বাবা খুব ভালোবেসে এখানে আসেন। তিনি জানেন যে আমি বাচ্চাদের সেবা করার জন্য আসব। আমি প্রতি কল্পেই তোমাদের মতো বাচ্চাদের সেবা করার জন্য এখানে আসি। এখানে বসেই সকলের সেবা হয়ে যায়। কেবল একজনই হলেন সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণকারী এবং দাতা। বাবা জানেন, দুনিয়ার সকল আত্মাকে আমিই উত্তরাধিকার দেওয়ার জন্য আসি। অসীম জগতের পিতার দৃষ্টি তো জগতের সকল আত্মার ওপরেই যায়। হয়তো এখানে বসে আছেন, কিন্তু সমগ্র বিশ্ব এবং বিশ্বের সকল মানুষের ওপরেই দৃষ্টি আছে। কারন সমগ্র বিশ্বের ক্ষত ঠিক করতে হবে। বাবা সকল বাচ্চার কথাই মনে করেন। দৃষ্টি তো পৌঁছায়, তাই না ! এই সঙ্গমযুগেই বাবা বাচ্চাদের সেবা করার জন্য আসেন। তাঁর মতো সেবা কেউ করতে পারবে না। তিনি অসীম জগতের সেবা করেন। তোমরা বাচ্চারা বাবার মতো সেবা করলেই বাবাকে শো (প্রদর্শন) করতে পারবে। যারা সেবা করে, তাদের অনেক প্রাপ্তি হয়। বাচ্চাদের নেশা থাকে যে আমরা শ্রীমৎ অনুসারে সমগ্র বিশ্বের মানুষকে সুখী করছি। বাবা বলছেন – মিষ্টি বাচ্চারা, এখন জ্ঞান রত্নের দ্বারা নিজের ঝুলি (বুদ্ধি) ভর্তি করে নাও। যত চাও ভরে নাও। নিজের সময় নষ্ট করো না। বাবাকে স্মরণ করে সময়কে সফল করো। যারা ভালোভাবে ধারণ করে, তারা অন্যদেরও ভালো সেবা করবে। সময় নষ্ট করবে না। বাচ্চাদেরকে পুরুষার্থ করে অন্তর্মুখী হতে হবে। অন্তরেই তো আত্মা আছে। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে যে স্বয়ং বাবা আমাদের মতো আত্মাদেরকে বোঝাচ্ছেন। সোল কনসাস (আত্ম-অভিমানী) হয়ে থাকাকেই সত্যিকারের অন্তর্মুখী হওয়া বলা হয়। অন্তর্মুখী অর্থাৎ অন্তরে যে আত্মা আছে, তাকে বাবার কাছ থেকেই সবকিছু শুনতে হবে। বাবা বারবার ভালোবেসে বোঝাচ্ছেন। মাতা-পিতা এবং অন্যান্য যেসব অনন্য বড় ভাই-বোন আছে, যারা ভালো সেবা করে, তাদের দেখে শিখতে থাকো। অন্তরে দৃঢ় সংকল্প করো যে কখনোই ব্যর্থ সময় নষ্ট করব না। শরীর নির্বাহ তো করতেই হবে, নিজের রচনাকেও পালন করতে হবে। কেবল আমিত্ব ভাব রাখা যাবে না। আমিত্ব ভাব রাখলেই অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। আমিত্ব ভাব কেবল বাবার প্রতিই রাখো। এখানে তোমরা বাবার সামনে আছো। আত্মারা পরমাত্মার সম্মুখে আছে। এখানে স্বয়ং বাবা আত্মাদের পড়াচ্ছেন। ওখানে আত্মারা আত্মাদেরকে শিক্ষা দেয়। বাচ্চারা, তোমাদের অন্তরে এইসব বিষয় নিয়ে চিন্তন চলা উচিত। স্টুডেন্টদের বুদ্ধিতে সারাদিন পড়ার বিষয় থাকে। তোমাদের বুদ্ধিতেও সমস্ত বিষয় আছে। এটা আধ্যাত্মিক পড়া। ভালো স্টুডেন্টরা নিরিবিলিতে একা একা গিয়ে পড়াশুনা করে। স্টুডেন্টরা নিজেদের মধ্যে কেবল পড়ার বিষয় নিয়েই আলোচনা করে। এই অসীম জগতের পড়ায় তো আরো খুশি নিয়ে লেগে পড়তে হবে। তোমরা বাচ্চারা এখন বাবার সহযোগী হচ্ছ। স্মরণে থাকলেই সাহায্য করা হয় কারন স্মরণের যাত্রা মানে শান্তির যাত্রা। তাই বলা হয় – প্রত্যেকে নিজের ঘরকে স্বর্গ বানাও। প্রত্যেকের বুদ্ধিতেই বাবা এবং উত্তরাধিকার আছে। বাবা এবং উত্তরাধিকারকে স্মরণ করলেই রাজত্ব পেয়ে যাবে। আর কিছুই করতে হবে না। কেবল নিজেকে আত্মারূপে অনুভব করে বাবাকে স্মরণ করলেই তুমি রাজত্ব পেয়ে যাবে। তোমরা বাচ্চারা সবাইকে এই বার্তাই দিতে থাকো যে বাবাকে স্মরণ করলেই স্বর্গের রাজত্ব পাওয়া যাবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার আন্তরিক এবং প্রেমময় স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবাকে স্মরণ করে নিজের সময়কে সফল করতে হবে। কোনোভাবেই এই অমূল্য সময়কে নষ্ট করা যাবে না। পুরুষার্থ করে অন্তর্মুখী অর্থাৎ সোল কনসাস হয়ে থাকতে হবে।

২ ) আমরা এখন দেবতাদের থেকেও শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ, আমরা বাবার কাছ থেকে অবিনাশী জ্ঞান রত্নের লটারি পেয়েছি। নলেজফুল হওয়ার কারণে মুখমণ্ডল সর্বদা খুশিতে ভরপুর থাকতে হবে। অন্তরে যেন সবসময় খুশি উথলে ওঠে।

বরদানঃ-

যেমন নিরাকার আত্মা এবং সাকার শরীর, দুইয়ের সম্বন্ধের দ্বারা যেকোনো কাজ করা যায়, সেইরকম নিরাকার এবং সাকার পিতা, দুজনকে সঙ্গে অর্থাৎ সামনে রেখে সব কাজ বা সঙ্কল্প করলে সফলতার প্রতিমূর্তি হয়ে যাবে। কারণ, বাপদাদা সামনে থাকলে নিশ্চয়ই তার কাছ থেকে ভেরিফাই (যাচাই) করিয়ে নিশ্চিত এবং নির্ভীক হয়ে কাজ করবে। এর ফলে সময় এবং সংকল্পের সাশ্রয় হবে। কিছুই ব্যর্থ হবে না, যেকোনো কাজ স্বাভাবিক ভাবেই সফল হবে।

স্লোগানঃ-

 প্রকাশমণি দাদীজীর ১৪তম পূণ্য স্মৃতি দিবস উপলক্ষ্যে ক্লাসে শোনানোর জন্য দাদীজীর কাছ থেকে পাওয়া বিশেষ অমূল্য উপহার :-

১) ঈশ্বরীয় নিয়ম এবং মর্যাদাগুলো আমাদের জীবনের সত্যিকারের শৃঙ্গার, এগুলো জীবনে ধারণ করে সর্বদা উন্নতি করতে থাকো।

২) সর্বদাই নেশাতে থাকো যে আমি ভগবানের নয়নের মণি, ভগবানের চোখের মধ্যে লুকিয়ে থাকলে মায়াবী অন্ধকার এবং ঝড় স্থিতিকে নড়াতে পাড়বে না। বাবার ছত্রছায়ার নীচে থাকলে রক্ষক বাবা সর্বদা রক্ষা করবেন।

৩) কেবল বাবা-ই আমাদের সকলের প্রেমিক এবং পথ-প্রদর্শক। তাঁর সাথেই মন দেওয়া-নেওয়া করতে হবে। কখনো কোনো দেহধারীকে বন্ধু বানিয়ে তার সাথে ব্যর্থ-চিন্তন এবং পর-চিন্তন করা উচিত নয়।

৪) মুখমণ্ডলের মধ্যে যেন কখনো ঘৃণা কিংবা উদাসীনতার চিহ্নও না আসে। সবসময়ে খুশিতে থাকো আর খুশি বিতরণ করো। নিজের সেবাকেন্দ্রের বায়ুমণ্ডল এতো খুশিতে ভরপুর রাখো যা সবাইকে ভাগ্যবান বানিয়ে দেবে।

৫) যত অন্তর্মুখী হয়ে মুখ এবং মনের নীরবতা ধারণ করবে, তোমার স্থানের বায়ুমণ্ডল তত শক্তিশালী এবং আলোকিত হবে, যার প্রভাব আগত ব্যক্তিদের ওপরেও পড়বে। এটাই হলো ইতিবাচক প্রকম্পন দেওয়ার সূক্ষ্ম সেবা।

৬) কোনো কারণেই ‛আমার-তোমার’ বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ করবে না। নিজেদের মধ্যে মতান্তরই সেবাতে সবথেকে বেশি বাধা দেয়। এখন এই বিঘ্ন থেকে নিজেও মুক্ত হও আর অন্যদেরকেও মুক্ত করো।

৭) পরস্পরের মতামতকে সম্মান দিয়ে আগে প্রত্যেকের কথা শোনো তারপর সিদ্ধান্ত নাও। তাহলে কখনো দ্বিমত তৈরি হবে না। ছোট-বড় সবাইকে সম্মান দাও।

৮) বাবার সকল বাচ্চারা এখন সন্তুষ্টির এমন খনি হয়ে যাও যাতে কেউ তোমাদের দেখেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। সর্বদা সন্তুষ্ট থাকো আর অন্যকেও সন্তুষ্ট করো।

৯) চারটে মন্ত্র সবসময় মনে রাখবে – ১) কখনো অবহেলা করবে না, সর্বদা সতর্ক থাকবে। ২) কাউকে ঘৃণা করবে না, সকলের প্রতি শুভ ভাবনা রাখবে। ৩) কাউকে ঈর্ষা করবে না, উন্নতির প্রতিযোগিতা করবে। ৪) কখনো কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা সম্পদের প্রাচুর্য দ্বারা প্রভাবিত হবে না, সর্বদা কেবল বাবার দ্বারা প্রভাবিত থাকবে।

১০) আমরা সবাই রয়্যাল বাবার রয়্যাল সন্তান। সর্বদা নিজের মধ্যে রাজকীয়তা এবং পবিত্রতার সংস্কার ধারণ করো আর দাসত্বের সংস্কার থেকে মুক্ত হও। সততাকে কখনোই ছাড়বে না।

১১) প্রত্যেকে প্রতি ঘন্টায় অন্তত ৫ মিনিট করে হলেও শান্তির অনুভব অবশ্যই করবে, তাহলে অনেক বিষয়ে বিজয়ী হওয়ার শক্তি পেয়ে যাবে। জ্ঞানের সাথে যোগযুক্ত থাকলেই মায়াকে পরাজিত করতে পারবে।

১২) সেবার সাথে সাথে নিজের অবস্থাকেও একরস রাখতে হবে। এর জন্য যোগের পরিপক্কতা (ভাট্টি) অত্যন্ত আবশ্যক। সবাইকে সংগঠিত ভাবে বসে থেকে যোগের অভ্যাস করতে হবে। তাহলে সংগঠনের শক্তির সহযোগ পাওয়া যায়।

১৩) মুখমণ্ডলের মধ্যে যেন কখনো ঘৃণা কিংবা উদাসীনতার চিহ্নও না আসে। যদি নিজেদের মধ্যে কোনো ১৯-২০ ব্যাপার ঘটে যায়, তাহলে নিজ তপস্যার দ্বারা সেটা মিটিয়ে ফেল। অন্যদের কাছে বর্ণনা করো না। বর্ণনা করলে বায়ুমণ্ডল খারাপ হয়ে যায়।

১৪) কেউ যতই মন খারাপ করার চেষ্টা করুক, কখনোই তার দ্বারা প্রভাবিত হবে না। সঙ্গদোষ খুবই খারাপ জিনিস যা বুদ্ধিকে পরিবর্তন করে দেয়। সবাইকে ভালোবাসো, সবাই ফ্রেন্ড। কিন্তু কাউকে পার্সোনাল ফ্রেন্ড বানিও না। এই বিষয়টাকে আন্ডারলাইন করো।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top