24 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
23 August 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা — এতদিন যা কিছু পড়েছ, তা ভুলে গিয়ে এক বাবাকেই স্মরণ করো"
প্রশ্নঃ --
ভারতে সত্যযুগের স্বরাজ্য স্থাপন করার জন্য কোন্ শক্তি প্রয়োজন ?
উত্তরঃ -:-
পবিত্রতার শক্তি। তোমরা সর্বশক্তিমান বাবার সাথে যোগযুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে ওঠো। এই পবিত্রতার শক্তির দ্বারাই সত্যযুগের স্বরাজ্য স্থাপন হয়, এর মধ্যে যুদ্ধের কোনও প্রশ্ন নেই। জ্ঞান আর যোগবলই পবিত্র দুনিয়ার মালিক করে তোলে। এই শক্তির দ্বারা এক মতের স্থাপনা হয়ে থাকে।
গান:-
অবশেষে সেই দিন এল আজ…
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা এই গীত শুনেছে। এই গীতটি আমাদের দ্বারা তৈরি হয়নি । যেমন অন্যান্য বেদ শাস্ত্রের সার বোঝান হয়। ঠিক তেমনই এইসব গান যা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে, তার সার (মূল বিষয়) বোঝান হয়। বাচ্চারা জানে মাঝি বা মালি বা সদ্গতি দাতা একজনই বাবা। ভক্তি করে থাকে জীবনমুক্তির জন্য। কিন্তু জীবনমুক্তি বা সদ্গতি দাতা একজনই ভগবান। এর অর্থ বাচ্চারাই জানে, মানুষ জানে না। সদ্গতি অর্থাত্ দুঃখ থেকে মুক্তি দিয়ে শান্তি প্রদানকারী। ভারতবাসী বাচ্চারা জানে এখানে পবিত্রতা সুখ শান্তি ছিল, যখন লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। রাধা-কৃষ্ণের রাজ্য বলা হয় না। বাস্তবে মাতাদের হমজিন্স হল রাধা। তাকেই বেশি ভালোবাসা উচিত ছিল, কিন্তু কৃষ্ণকেই সবাই বেশি ভালোবাসে। দোলনায় বসিয়ে দোল খাওয়ায়। কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীও পালন করে থাকে। রাধা জয়ন্তী পালন করে না। বাস্তবে তো দুজনেরই জন্মদিন পালন করা উচিত। কিন্তু কিছুই জানে না। তাদের জীবন কাহিনী কেউ-ই জানে না। বাবা এসেই নিজের এবং সবার জীবন কাহিনী শুনিয়ে থাকেন। মানুষ বলেও থাকে শিব পরমাত্মায় নমঃ, কিন্তু তাঁর জীবন কাহিনী কেউ-ই জানে না। মানুষের জীবন কাহিনীকে হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী বলা হয়, দুনিয়ার হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী তো গাওয়া হয় না — কতটা এলাকা জুড়ে রাজত্ব করত, কতটা জমি নিয়ে রাজত্ব করত। কিভাবে রাজত্ব করেছিল তারপর তারা কোথায় চলে গেল…. এ’সব বিষয়ে কেউ-ই কিছু জানে না। বাচ্চারা তোমাদের যথার্থ ভাবে বোঝানো হয়েছে । রচয়িতা আর রচনার নলেজও বাচ্চাদের দেওয়া হয়। বাচ্চারা তোমরা বুঝেছ বাস্তবে এখন কলিযুগের অন্তিম সময় আর সত্যযুগের প্রারম্ভিক সময়। সঙ্গম যুগেই পরমপিতা পরমাত্মা এসে মানুষকে পতিত থেকে পাবন দেবতা করে তোলেন। উত্তম পুরুষ বা পুরুষোত্তম করে তোলেন। কেননা এই সময় মানুষ উত্তম নয়, সর্বনিম্ন হয়ে গেছে। উত্তম, মধ্যম,সর্বনিম্ন, সতো, রজো, তমো’র মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যে যথার্থ রীতিতে জ্ঞান শুনবে তাকে সতোগুণ সম্পন্ন বলা হবে। যে সামান্য জ্ঞান শুনবে তাকে রজোগুণ সম্পন্ন বলা হবে, যে শুনবেই না তাকে তমোগুণ সম্পন্ন বলা হবে। পড়াশোনাতে এমন অবস্থাই হয়। বাচ্চারা তোমাদের সতোপ্রধান পড়াশোনা প্রয়োজন সেইজন্য সতোপ্রধান লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়ার জন্য তোমাদের জ্ঞান প্রদান করা হয়। নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী হয়ে উঠতে হবে। গীতাকেও তোমরা বলে থাক এই হচ্ছে প্রকৃত(সত্য) গীতা। তোমরা লিখতেও পার — এই হচ্ছে প্রকৃত গীতা পাঠশালা অর্থাত্ সত্য নারায়ণ হওয়ার কথা অথবা প্রকৃত অমরকথা, প্রকৃত সম্পদের কথা । তোমাদের কাছে সব চিত্র আছে, যার মধ্যেই জ্ঞান আছে। তোমরা বাচ্চারা এখন প্রতিজ্ঞা করে থাক যে আমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার কুমারীরা ভারতকে সতোপ্রধান স্বর্গ করে তুলবই। তোমাদের প্রত্যেককে খবর পৌছে দিতে হবে। গান্ধীজিও পবিত্র রাজ্য স্থাপন করতে চেয়েছিলেন তবে নিশ্চয়ই এই রাজ্য পতিত হয়ে গেছে। কেউ-ই বুঝতে পারে না যে আমরা স্বয়ং পতিত হয়ে গেছি। রাবণ হলো ৫ বিকার । বলে থাকে রাম রাজ্য চাই তবে নিশ্চয়ই আসুরি সম্প্রদায় তাইনা, কিন্তু কারো বুদ্ধিতেই আসে না। কত বড়-বড় গুরুরাও এটা বোঝেনা। বাচ্চারা তোমরা প্রচার করছ যে আমরা শ্রীমত অনুসারে ব্রহ্মা দ্বারা ৫ হাজার বছর পূর্বের মতোই দৈবী রাজ্য স্থাপন করব। এ’হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ যখন সর্বনিম্ন পুরুষ থেকে সতোপ্রধান পুরুষ হয়ে উঠছ। মর্যাদা পুরুষোত্তম আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মই ছিল। এখন পুনরায় একটাই দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে অন্য কোনও ধর্ম থাকবে না। বাচ্চারা তোমরা দৃঢ়তার সাথে প্রমাণ করে বুঝিয়ে থাক যে সত্যযুগে একটাই ধর্ম, একটাই রাজ্য ছিল। যদিও ত্রেতায় সূর্য বংশী থেকে পরিবর্তিত হয়ে চন্দ্র বংশীয়তে যায় কিন্তু ভাষা একটাই। এখন ভারতে অনেক ভাষা। বাচ্চারা জানে আমাদের রাজ্যে একটাই ভাষা ছিল। আজকাল অনেক কিছুই দেখবে। যেমন ভ্রমণ শেষে নিজের দেশের নিকটবর্তী হলে খুশি হয় যে নিজের ঘর এসে গেছে। ঘরে গিয়ে সবার সাথে মিলিত হব। তোমাদেরও রাজধানীর সাক্ষাত্কার হতে থাকবে। নিজের পুরুষার্থও সাক্ষাত্কার হবে। দেখবে যে বাবা কতবার পুরুষার্থ করার কথা বলেছেন। পুরুষার্থ না করলে শেষে গিয়ে হায়-হায় করবে আর পদও কম হয়ে যাবে। যোগের যাত্রা সম্পর্কে সবাইকে বলতে থাকো। বোঝানো তো অতি সহজ। যারা দেরি করে আসে তারাও প্রতিদিন সহজ জ্ঞান পেয়ে থাকে। এক সপ্তাহ বুঝলেই জ্ঞান সহজ হয়ে যাবে। চিত্রও তৈরী করা হয়েছে, সঠিক ব্যাখ্যা করে যার দ্বারা অতি সহজেই বোঝানো যায়। ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ ঠিক। এই চক্র ভারতবাসীদের জন্য। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে এখন সম্পূর্ণ জ্ঞান হয়েছে। তোমরা জান পতিত-পাবন, সদ্গতি দাতা শিববাবার মতে চলে আমরা পুনরায় সহজ রাজযোগের শক্তির দ্বারা, নিজেদের তন-মন-ধন দ্বারা ভারতকে স্বর্গে পরিণত করি। অন্য কাউকে আমরা ব্যবহার করি না। নিজের তন-মন-ধন দ্বারা সেবা করে থাকি। প্রত্যেকে যাই করুক না কেন, ভবিষ্যৎ নির্মাণ করছে । তোমরা একই পরিবারের সদস্য। তোমাদের দিয়েই বাবা সত্যযুগের স্বরাজ্য স্থাপন করাচ্ছেন। খরচও তোমরাই করবে। বেশি খরচ তোমাদের হবে না। তোমাদের শুধুমাত্র শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে, কন্যারা কি খরচ করবে। ওদের কাছে কি কিছু আছে ? বাবা বাচ্চাদের কাছ থেকে ফি(পারিশ্রমিক) কি নেবেন। কিছুই না। স্কুলেও প্রথমে খরচের কথা উল্লেখ করা হয়। লৌকিকে পড়াশোনা করার জন্য কত খরচ হয়ে থাকে। এখানে শিববাবা বাচ্চাদের কাছ থেকে কিভাবে পয়সা নেবেন। শিববাবা তো আর নিজের জন্য ঘর তৈরি করবেন না যে পয়সা নেবেন। বাচ্চারা, তোমাদের ভবিষ্যতের স্বর্গে গিয়ে হীরে-জহরতের মহল তৈরি করতে হবে সেইজন্য তোমরা এখানে যা কিছু করবে তারই বিনিময়ে ভবিষ্যতে প্রাসাদ প্রাপ্ত করবে। এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে। যে যতটুকু তন-মন-ধন দিয়ে সেবা করবে, সে ততটাই ওখানে গিয়ে পাবে। কলেজ বা হাসপাতাল তৈরি করতে ১০ লক্ষ ২০ লক্ষ টাকা লাগিয়ে দেয়। এখানে তো এতো খরচ হয়না। ছোট একটা বাড়িতে রূহানী (অলৌকিক) কলেজ কিংবা হাসপাতাল তৈরি করে থাকে। পান্ডবদের প্রভু কে ছিলেন ? ওরা তো কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়েছে। বাস্তবে ভগবান তো নিরাকার। তোমাদের শ্রীমত দিয়ে থাকেন ভগবান। বাকিরা সবাই রাবণ রাজ্যে রাবণের মতে চলে। রাবণের মতে চলে কত নোংরা হয়ে গেছে। এখন এই সৃষ্টি পুরানো, সেটাই নতুন রূপে নির্মাণ হবে। সৃষ্টিতে ভারতই ছিল। নতুন ভারত, পুরানো ভারত বলা হয়। নতুন ভারত স্বর্গ ছিল। তারপর পুরানো হয়ে নরক হয়ে গেছে। একে বলা হয় রৌরব(নরকের চরম অবস্থা)। এ’সব মানুষের কথা। এখানে সুখের চিহ্ন মাত্র নেই। কোনো সুখ নেই এখানে। সন্ন্যাসীরাও বলে থাকে, এই সময়ের সুখ কাক বিষ্ঠাসম, সেইজন্যই তারা ঘর-পরিবার ত্যাগ করে। ওরা স্বর্গ বা সত্যযুগের স্থাপনা করতে অক্ষম। কৃষ্ণপুরী তো পরমাত্মাই স্থাপন করে থাকেন। শ্রী কৃষ্ণের আত্মা আর শরীর দুই-ই সতোপ্রধান ছিল সেইজন্যই কৃষ্ণকে সবাই খুব ভালোবাসে কেননা পবিত্র তাইনা! গাওয়াও হয়ে থাকে ছোট বাচ্চা ব্রহ্ম জ্ঞানীর সমান। ছোট বাচ্চাদের বিকার সম্পর্কে কিছুই জানা থাকে না। সন্ন্যাসীরা জানে। বাচ্চারা তো জন্ম থেকেই মহাত্মা। বাচ্চাদের পবিত্র ফুল বলে আখ্যা দেওয়া হয়। প্রথম নম্বরের ফুল হচ্ছে শ্রী কৃষ্ণ। নতুন দুনিয়া স্বর্গের প্রথম প্রিন্স। জন্ম নেওয়ার পর বলবে প্রথম প্রিন্স। কৃষ্ণকে সবাই স্মরণ করে বলে শ্রী কৃষ্ণের মতো সন্তান হোক। এখন বাবা বলছেন যা হতে চাও তাই হও। কৃষ্ণ কি শুধু একজনই হয়! কতজন প্রিন্স অফ ওয়েলস (ইংল্যান্ডের ওয়েলস পল্লী) হয় । প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয় না ? এখানেও রাজবংশ আছে। পিতার পর দ্বিতীয় জন সিংহাসনে বসতেন। যেমন অন্যান্য রাজবংশ আছে তেমনই এই রাজবংশ। খ্রিস্টানদের সাথেও তোমাদের সম্পর্ক কাছে। কৃষ্ণ এবং ক্রিশ্চিয়ান দুয়েরই এক রাশি। তাদের মধ্যে লেন-দেনও অনেক হয়েছে। ভারত থেকে কত সম্পদ ওরা নিয়ে গেছে। এখন আবার ফিরিয়ে দিচ্ছে। এই ইউরোপীয়রা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে শেষ হয়ে যাবে। এর উপরে একটা গল্পও আছে — দুটো বিড়াল লড়াই করছিল, মাঝখান থেকে বাঁদর এসে মাখন খেয়েছিল। এই কাহিনী এখনকার জন্যই প্রযোজ্য। ওরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করবে আর রাজ্য ভাগ্য তোমরা প্রাপ্ত করবে। বাচ্চারা তোমাদের এখন অগাধ জ্ঞান। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরা সব ব্রহ্মাকুমার, কুমারী। এমনটা নয় যে আমি গুজরাতি, আমি বাঙালি। এমনটা নেই । এই মতভেদ থাকা উচিত নয়। আমরা সবাই এক বাবার সন্তান। ব্রহ্মার দ্বারা শিববাবার শ্রীমত অনুসারে আমরা আমাদের স্বরাজ্য স্থাপন করে চলেছি— জ্ঞান আর যোগবলের দ্বারা। যোগবলের দ্বারাই আমরা পবিত্র হয়ে উঠি। বাবা হলেন সর্বশক্তিমান, ওঁনার কাছ থেকেই বল প্রাপ্ত করে থাকি। তোমরা বিশ্বের বাদশাহী পেয়ে থাকো। এরজন্য লড়াই, ঝগড়া ইত্যাদি কিছুই করতে হয়না। সম্পূর্ণ পবিত্রতার শক্তি। আহ্বান করে বলে থাকে এসে পতিত থেকে পাবন করে তোলা, সুতরাং স্মরণই শক্তিশালী করে তোলে। এমন যেন না হয় কাজ-কারবারে গিয়ে সব ভুলে গেলে। এখানে সামনে বসে জ্ঞানের সাগরের ঢেউ দেখে থাকো। নদীতে এতো ঢেউ তো হয়না। সাগরের একটা ঢেউ-ই কত ক্ষতি করে দেয়। যখন ভূমিকম্প হবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠবে। সাগরের জলকে শুকিয়ে জমি কিনে, তারপর কত দামে বিক্রি করে দেয়। তোমরা জান এই বোম্বে (মুম্বাই) থাকবে না। প্রথমে তো একটা ছোট গ্রাম ছিল। এখানে মায়েরা কত সহজ সরল। লেখাপড়াও তেমন করেনি। এখানে যা কিছু পড়েছ সব ভুলে যেতে হবে। তোমরা পড়াশোনা কিছু না করলেও ভালো । শিক্ষিত মানুষ বোঝার সময় কত প্রশ্ন করতে থাকে। এখানে তো শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে। কোনো দেহধারী মানুষকে স্মরণ করার নয়। মহিমা শুধুমাত্র অসীম জগতের পিতার। তোমরা জানো উচ্চ থেকে উচ্চতম হলেন একজনই, ভগবান তারপর দ্বিতীয় নম্বরে ব্রহ্মা। ওঁনার থেকে উচ্চ আর কেউ হতে পারে না। ওঁনার থেকে বড়ো ব্যক্তিত্ব আর কেউ নেই, কিন্তু কত সাধারণ। কত সহজভাবে বাচ্চাদের সাথে বসেন। ট্রেনে করে যান, কেউ কি জানে ইনি কে ! ভগবান এসে জ্ঞান প্রদান করেন, নিশ্চয়ই শরীরে প্রবেশ করেই জ্ঞান প্রদান করবেন তাইনা। যদি কৃষ্ণ হতো তবে তো ভীড় জমে যেত পড়াতেও পারত না। শুধুই দর্শন করত। এখানে তো বাবা গুপ্ত রূপে সাধারণ বেশে এসে বাচ্চাদের পড়ান।
তোমরা হলে ইনকগনিটো ওয়্যারিয়র্স (ছদ্মবেশী সেনা) । তোমরা জানো আমরা আত্মারা যোগবলের দ্বারা পুনরায় নিজেদের রাজ্য স্থাপন করছি। এই পুরানো শরীর ত্যাগ করে নতুন সুন্দর শরীর ধারণ করব। আসুরিক সম্প্রদায় থেকে দৈবী সম্প্রদায়ের হব। আত্মা বলে আমরা নতুন দুনিয়াতে দৈবী শরীর ধারণ করে রাজত্ব করব। আত্মা হলো পুরুষ, শরীর প্রকৃতি। আত্মা সবসময়ই পুরুষ। আর শরীর হিসেব-নিকেশ অনুযায়ী পুরুষ-নারী হয়। কিন্তু আমি আত্মা অবিনাশী। এই চক্র ঘুরতেই থাকে। কলিযুগের বিনাশ অবশ্যই হবে। বিনাশের সম্ভাবনাও সামনে দেখছ। এই যদি মহাভারতের লড়াই হয় তবে তো নিশ্চয়ই ভগবানও থাকবেন। কোন্ রূপে, কার শরীরে – এই বিষয়ে তোমরা ছাড়া আর কেউ জানেনা। তিনি বলেও থাকেন— আমি অতি সাধারণ শরীরে প্রবেশ করি। আমি কৃষ্ণের শরীরে প্রবেশ করিনা। কৃষ্ণ সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে থাকে। আমি এর অনেক জন্মের অন্তিমেরও অন্তিমে আসি। সূর্যবংশীয়রাই ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে থাকে। ওরাই প্রথম নম্বরানুসারে আসবে। সাকারী এবং নিরাকার দুটি কল্প বৃক্ষের ঝাড়ের সম্পূর্ণ জ্ঞানই তোমাদের হয়েছে। মূলবতন থেকে নম্বরানুসারে আত্মারা আসে। সর্বপ্রথমে দেবী-দেবতা ধর্মের আত্মারা আসে তারপর ক্রমানুসারে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা আসে। চিত্র দিয়ে বোঝানো খুব সহজ। বাচ্চাদের বোঝান উচিত, কুমারীদের এগিয়ে যেতে হবে। কিছু বাচ্চারা যদি এই ধরনের বিষয় ব্যাখ্যা করে তবে সেটা বিস্ময়কর হবে। তারা নামকে গৌরবান্বিত করবে। লৌকিক এবং অলৌকিক উভয়ের নামকেই মহিমান্বিত করবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) সঙ্গম যুগে শ্রেষ্ঠ কর্ম করে পুরুষোত্তম হতে হবে। এমন কোনো কর্ম করা উচিত নয় যাতে নীচে নেমে যাও।
২ ) গুপ্ত রূপে বাবার সহযোগী হয়ে ভারতকে স্বর্গ করে তোলার সেবা করতে হবে। নিজের তন-মন-ধন দ্বারা ভারতকে স্বর্গ করে তুলতে হবে। স্মরণ আর পবিত্রতার শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।
বরদানঃ-
যে বাচ্চা জ্ঞানের মন্থন করে তার স্বরূপ হয়ে যায় সে সর্বদা প্রফুল্ল থাকে। সর্বদা প্রফুল্ল থাকা —ব্রাহ্মণ জীবনের প্রকৃত সংস্কার। দিব্য গুণ নিজের সম্পদ, অবগুণ হল মায়ার সম্পদ। যা তোমরা সঙ্গ থেকে নিয়ে আসো। এখন সেদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও আর সর্বশক্তিমান অথরিটির অবস্থানে থাকো যদি তবেই সর্বদা প্রফুল্ল থাকবে। কোনো আসুরিক বা ব্যর্থ সংস্কার সামনে আসার সাহসই পাবে না।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!