23 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 22, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- নিজেই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করো যে আমায় অতিব মিষ্টি হতে হবে, সকলকে সুখময়-প্রেমময় দৃষ্টিতে দেখতে হবে, কারোর নাম-রূপে আটকে পড়ো না"

প্রশ্নঃ --

যোগের সিদ্ধি কি ? পাক্কা যোগীর নিদর্শন কি ?*

উত্তরঃ -:-

সমস্ত কর্মেন্দ্রিয় যেন সম্পূর্ণ শান্ত, শীতল হয়ে যায় — এ হলো যোগের সিদ্ধি। পাক্কা যোগী বাচ্চা তারাই, যাদের কর্মেন্দ্রিয় এতটুকুও চঞ্চল হয় না। কোনও দেহধারীর প্রতি চোখ যেন এতটুকুও ডুবে না যায়। মিষ্টি বাচ্চারা, এখন তোমরা যুবাবস্থায় নেই, এখন তোমরা বাণপ্রস্থ অবস্থায় রয়েছো।

গান:-

জাগো সজনীরা জাগো….

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা-রূপী বাচ্চারা গান শুনেছে। এর অর্থের উপর মনে-মনে (হৃদয়ে) বিচারসাগর মন্থন করতে হবে আর খুশীতে থাকতে হবে কারণ এ হলো নতুন দুনিয়ার জন্য নতুন কথা। এই নতুন কথা এখন শুনবে। বাচ্চারা, এখন জানে যে নতুন দুনিয়ার স্থপতি কোনো মানুষ হতে পারে না। তোমরা যখন এ’সকল কথা শোনো তখন বোঝ যে এ তো ৫ হাজার বছর পূর্বের পুরোনো কথা যা পুনরায় নতুন করে শোনানো হচ্ছে। তাহলে পুরোনো তথা নতুন, নতুন তথা পুরোনোই হয়ে যায়। এখন তোমরা জানো যে, ৫ হাজার বছর পূর্বের সেই কথাই বাবা নতুন করে বলেন। কথা সে’টাই। কেন শোনান ? নতুন দুনিয়ার উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য। এরজন্য জ্ঞান-ডান্স করতে হয়। ভক্তিতেও অনেক নৃত্য করা হয়। চতুর্দিকে চক্রাকারে ঘুরে-ঘুরে নৃত্য করে। জ্ঞানের ডান্স তো একদম সহজ। ওতে কর্মেন্দ্রিয়গুলি অধিক মাত্রায় সঞ্চালিত হয়, পরিশ্রম করতে হয়। এ তো কেবল ভিতরে-ভিতরে জ্ঞান-ডান্স চলতে থাকে। সৃষ্টি-চক্র কিভাবে আবর্তিত হয় — সেই নলেজ বুদ্ধিতে রয়েছে। এতে কোনো কষ্ট নেই। হ্যাঁ, স্মরণে পরিশ্রম হয়। অনেক বাচ্চারা অনুত্তীর্ণ হয়ে যায়, কোথাও না কোথাও পতন হয়। সবচেয়ে মুখ্যকথা হলো — নাম-রূপে আটকে পড়া উচিত নয়। স্ত্রী-পুরুষ কাম-বিকার বশতঃ নাম-রূপে আটকে পড়ে, তাই না! ক্রোধ নাম-রূপে আবদ্ধ করে না। সর্বপ্রথমে হলো এ (কাম-বিকার), যার থেকে অত্যন্ত সুরক্ষিত থাকতে হবে, কারও নাম-রূপে আটকে পড়ো না। নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে। আমরা আত্মারা অশরীরী এসেছিলাম, এখন অশরীরী হয়েই যেতে হবে। এই দেহ-বোধ ভাঙ্গতে হবে। এ’ হলো নাম-রূপে আবদ্ধ হয়ে পড়ার অত্যন্ত খারাপ রোগ। বাবা বাচ্চাদেরকে সাবধান করেন। কেউ-কেউ সেই কথা বোঝে না। তারা বলে — বাবা এ’রকম বলে না যে নাম-রূপে আটকে পড়েছো। কিন্তু এ হলো গুপ্ত রোগ সেইজন্য প্রিয়তম প্রিয়তমাদের অথবা বাবা বাচ্চাদের জাগিয়ে তোলেন। বাছা জাগো, এখন পুনরায় কলিযুগের পর সত্যযুগ আসবে। বাবা জ্যোতি জাগরিত করতে আসেন। মানুষ মারা গেলে তখন তার জ্যোতি জাগৃত অর্থাৎ তার উদ্দেশ্যে দীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়। তারপর সেই প্রদীপের দেখ-ভালও করতে হয় যাতে নিভে না যায়। আত্মা যেন অন্ধকারময় না হয়। বাস্তবে এ’সব হলো ভক্তিমার্গের কথা। আত্মা তো সেকেন্ডে চলে যায়। অনেক মানুষ জ্যোতিকে ভগবান মনে করে। ব্রহ্মকে মহাজ্যোতি বলে। ব্রহ্ম সমাজীয়দের যে মন্দির রয়েছে, যেখানে দিবা-রাত্র জ্যোতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। কত খরচপত্র হয়। বৃথা ঘৃত নষ্ট হয়। এখানে ও’সমস্ত কিছুই ঢালতে হবে না। স্মরণই ঘৃতের কাজ করে। স্মরণ-রূপী ঘৃত। মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা এ’সকল বোঝে। নতুন কথা হওয়ার কারণেই ঝগড়া হয়। বাবা বলেন — আমি আসি মিষ্টি বাচ্চাদের কাছে। ভারতেই আসি। নিজের জন্ম, দেশ সকলেরই ভালো লাগে, তাই না! বাবার তো সবকিছুই ভালো লাগে। তবুও আমি আমার ভারত দেশেই আসি। গীতায় যদি কৃষ্ণের নাম না থাকতো তবে সকল মনুষ্য-মাত্রই শিববাবাকে মান্যতা দিত। কত-কতজন শিবের মন্দিরে যায়। সবচেয়ে বড় মন্দির সোমনাথের ছিল। এখন তো কত অগণিত মন্দির তৈরী হয়েছে। কৃষ্ণকে সকলে এত মান্যতা দেয় না যা অসীম জগতের পিতাকে মান্যতা দেয়। সে’জন্য এইসময় তোমাদের এর থেকে প্রিয় বস্তু আর কিছু হয় না। এখানে সাকারের কোনো মহিমা নেই। এ তো নিরাকারের মহিমা, যিনি অভোক্তা। অসীম জগতের পিতাই যখন স্বর্গের রচয়িতা তখন তাঁর থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার পুরুষার্থ করা তো উচিত, তাই না! আজ-কাল করতে-করতে কাল গ্রাস করে নেবে। এছাড়া সময় অল্পই আছে। বাবার থেকে উত্তরাধিকার তো নিয়ে নাও। যখন পরীক্ষা বা প্রশ্ন লেখে তখন তাদের বোঝাতেও হবে। যখন নিশ্চয় রয়েছে যে উনি আমাদের পিতা তখন পিতার থেকে উত্তরাধিকার লাভের পুরুষার্থ করো, নাহলে বাইরে গেলে তৎক্ষণাৎ ভুলে যাবে। বাবা তো কল্যাণকারী, তাই না! বলে যে, এই যোগের দ্বারাই ২১ জন্মের জন্য তোমাদের সমস্ত দুঃখ দূর হবে। কন্যারা ঘরেও বোঝাতে থাকো যে সর্ব দুঃখহরণকারী অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করলেই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। পবিত্র তো অবশ্যই থাকতে হবে। মূলকথা হলো পবিত্রতার। স্মরণে যত বেশী করে থাকবে তত ইন্দ্রিয় শান্ত হয়ে যাবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত যোগের সিদ্ধি সম্পূর্ণ হয় ততক্ষণ ইন্দ্রিয়ও শান্ত হয় না। প্রত্যেকেই নিজেকে পরীক্ষা করো যে — কাম-বিকার আমায় কোনো ধোঁকা দিচ্ছে না তো ? যদি আমি পাক্কা যোগী হই তাহলে কোনো চঞ্চলতা আসা উচিত নয়। এ যেন বানপ্রস্থ অবস্থা — বাবাকেই স্মরণ করতে থাকতে হবে। বাবা সমস্ত বাচ্চাদের বোঝান। এখন তোমরা ভালো যোগী হবে, কোথাও যেন চক্ষু ডুবে না যায় তখন তোমাদের ইন্দ্রিয় শান্ত হয়ে যাবে। মুখ্য হলো এইটি যা সকলকে ধোঁকা দেয়। যোগে অবস্থা ভালভাবে পোক্ত হয়ে যাবে তখন অনুভূত হবে — আমরা যেন যৌবনেই বাণপ্রস্থ অবস্থায় চলে এসেছি। বাবা বলেন — কাম মহাশত্রু। সেইজন্য নিজেকে যাচাই করতে থাকো। যত স্মরণে থাকবে ততই কর্মেন্দ্রিয় শীতল হয়ে যাবে আর স্বভাব অতি মধুর হয়ে যাবে। অনুভূত হবে যে পূর্বে আমি কত কড়া ছিলাম, এখন কত মিষ্টি হয়ে গেছি। বাবা তো প্রেমের সাগর, তাই না! সেইজন্য বাচ্চাদেরকেও হতে হবে। তাই বাবা বলেন, সকলের প্রতি যেন প্রেমবিভোর দৃষ্টি থাকে। যদি কাউকে দুঃখ দাও তবে দুঃখী হয়ে মৃত্যুবরণ করবে সেইজন্য অত্যন্ত মিষ্টি হতে হবে। বাবা বলেন — আমি তো রূপ-বসন্ত, তাই না! বাবার থেকে কত অমূল্য জ্ঞান-রত্ন পাওয়া যায়, যার দ্বারা তোমরা ঝুলি ভরপুর করো। ওরা আবার শঙ্করের সামনে গিয়ে বলে, ঝুলি ভরে দাও। ওদের এ’টা জানা নেই যে শঙ্কর ঝুলি পরিপূর্ণ করে না। বাচ্চারা, এখন তোমরা বোঝ যে জ্ঞানসাগর বাবা আমাদের ঝুলি জ্ঞান-রত্নের দ্বারা ভরপুর করেন। তোমরাও হলে রূপ-বসন্ত(জ্ঞানী-যোগী)। প্রত্যেকের আত্মাই রূপ-বসন্ত। নিজেদের দেখতে থাকো যে আমরা কতখানি জ্ঞান-রত্ন ধারণ করে আরো জ্ঞান-ডান্স করি অথবা রত্ন দান করি। সবচেয়ে ভালো রত্ন হলো — মন্মনাভব। বাবাকে স্মরণ করলেই বাবার উত্তরাধিকার পেয়ে যাও। যেমন বাবা জ্ঞানে পরিপূর্ণ তেমনই বাবা বসে বাচ্চাদের নিজের সমান করে গড়েন। গুরুরাও নিজের সমান করে তৈরী করেন। ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা, যার রূপ হলো বিন্দু। তোমাদের রূপও বিন্দু। তোমাদের নিজ-সম জ্ঞানসাগরে পরিনত করি। যত ধারণ করবে, করাবে…. ওরা মনে করে আমাদের পদ উচ্চ। অনেকের জন্য কল্যাণকারী হলে তখন অনেকের আশীর্ব্বাদ পাবে। বাবাও রোজ সার্ভিস করেন, তাই না! এই কন্যা হলো গুলজার, কত মিষ্টি করে বোঝায়। সকলে পছন্দ করে। মন বলে যে এ’রকম ব্রাহ্মণী যেন আমরা পাই। এখন একজন ব্রাহ্মণী তো সব জায়গায় যেতে পারবে না। তবুও বাবা বলেন — যে মনে করে আমি ভালো বোঝাই তাহলে তাদের অলরাউন্ড সার্ভিসে যাওয়া উচিত। নিজের থেকেই তো শখ হওয়া উচিত। আমি সেন্টারে-সেন্টারে চক্কর লাগাবো……। যারা-যারা মনে করে আমরা অনেকের কল্যাণ করতে পারবো, আমার থাকে ভালো সুগন্ধ নির্গত হয় তাহলে শখ তো থাকা উচিত। ১০-১৫ দিন সেন্টারে-সেন্টারে গিয়ে ঘুরে আসি। একজনকে দেখে আরও শিখবে, যে করবে সে-ই পাবে। এই সেবা অত্যন্ত কল্যাণকারী। তোমরা মানুষকে জীবনদান করো। এ অতি উত্তম অপেক্ষাও উত্তম(সর্বোত্তম) কার্য। ব্যবসাপত্র করা লোকেরাও সময় বের করে সার্ভিস করতে যেতে পারে।সার্ভিসেবেলকে তো বাবা ভালোও বাসবেন, প্রতিপালনও করবেন। যাদের সার্ভিসের শখ থাকবে তারা সার্ভিস ব্যতীত থাকতে পারবে না। বাবা সহায়তাও করেন, তাই না! বাচ্চাদের দয়াশীল হতে হবে। বেচারাদের অত্যন্ত দুঃখী জীবন। তোমরা জীবনদান করো, কাউকে অবিনাশী জ্ঞান-রত্ন দান করা, এর মতন সর্বোত্তম জ্ঞান দান আর কিছু নেই। অত্যন্ত দয়াশীল হতে হবে। ব্রাহ্মণী দুর্বল হওয়ার কারণে সার্ভিস ঢিলেঢালা হয়ে যায় সেইজন্য ভালো টিচার চাইতে থাকে। যখনই মনে ভাববে তখনই চলে যাওয়া উচিত। বাবা সেন্টার ঠান্ডা (কমজোর), আমি গিয়ে ঘুরে আসছি। প্রদর্শনীর চিত্রও রয়েছে। চিত্রের উপর বেশী ভালভাবে বুঝবে। খেয়াল চলতে থাকা উচিত যে সার্ভিস কিভাবে বৃদ্ধি করবো। বাবাও সকলের জীবন হীরের মতন করে গড়ে দেন। বাচ্চারা, তোমাদেরকেও সার্ভিস করতে হবে। বন্দে মাতরম্ গাওয়া হয়ে থাকে, কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। অপবিত্র মানুষের বা পৃথিবী ইত্যাদির(প্রকৃতি) বন্দনা কখনো করা হয় না। এ হলো ৫ তত্ব, এর আবার বন্দনা কি করবে! ৫ তত্বে নির্মিত শরীর, তবে তো শরীরের পূজা হলে গেল ভুত পূজা। শিববাবার তো শরীর নেই। ওঁনার পূজা হলো সর্বোত্তম। বাকি সব মধ্যম। আজকাল তো মানুষকেও পূজো করতে থাকে, ওরা হলো পতিত। মহান আত্মারা হলো দেবতারা। সন্ন্যাসীদের থেকেও অধিক পবিত্র। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে আমরা দেবতায় পরিনত হচ্ছি। বাবা আমাদের এই অবিনাশী জ্ঞান-রত্ন দান করা শেখান। এর মতন উচ্চ দান আর কিছু হয় না। একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। শিব আর লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র তো আছে। প্রত্যেকে নিজেদের ঘরে লাগিয়ে দাও তাহলেই স্মরণে থাকবে। শিববাবা আমাদের এ’রকম লক্ষ্মী-নারায়ণে পরিনত করেন। এখন তোমরা তৈরী হচ্ছো। স্বর্গের রচয়িতা হলেনই শিববাবা। সত্যযুগে তো উত্তরাধিকার দেবে না। এই অন্তিম জনমে শিববাবা বলেন — আমায় স্মরণ করো তবেই তোমরা এ’রকম হবে। আর সব কথা(বিষয়) ত্যাগ করে ব্যস সেবাই-সেবা। বাবাকে স্মরণ করো — এও তো বড় সার্ভিস করো। তত্ব ইত্যাদি সব পবিত্র হয়ে যায়। যোগের মহিমা অত্যন্ত গভীর। জগতে যোগাশ্রম তো অনেক রয়েছে, কিন্তু সে’সব হলো শরীর-সম্বন্ধীয় হঠযোগ, তোমাদের হলো রাজযোগ, যারজন্য তোমাদের তরী পার হয়ে যায়। অনেক প্রকারের সেই হঠযোগ ইত্যাদির দ্বারা সিড়ি নেমে এসেছো। মূলকথা হলো স্মরণের। দেখতে হবে যে আমাদের মন কোথাও বিকার অভিমুখে যায় না তো ? বিকারীকেই পতিত বলা হয়। অর্থাৎ কড়ি-তুল্য। বিকারে পতিত হলে নিজেরই ক্ষতি করে দেয়। যে করবে সে-ই পাবে। বাবা দেখুক বা না দেখুক। নিজেকে পরীক্ষা করতে হবে — আমি কি বাবার সার্ভিস করি! আমার মধ্যে কোনও অবগুণ নেই তো! যদি থাকে তবে তা নিষ্কাশিত করা উচিত। নিজের মধ্যে থেকে অবগুণ নিষ্কাশিত করার জন্য বাবা অনেক বুঝিয়ে থাকেন। নির্গুণের অর্থও কেউ বোঝে না। নির্গুণ বালকদের মন্ডলী(দল) কি করতে পারবে, যাদের মধ্যে কোনো গুণ নেই। অর্থহীনভাবে যা আসে তাই-ই বলে দেয়। মত তো অনেক, তাই না! তোমরা এক মত পাও, যারজন্য তোমাদের অগাধ খুশী হওয়া উচিত। বাবা কেবল বলেন — আমায় স্মরণ করো আর কমলপুষ্প-সম হও। মন-বাণী-কর্মে পবিত্র হও। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে আমরা ব্রাহ্মণেরা শ্রীমতানুসারে আপন তন-মন-ধন দ্বারা নিজের এবং সমগ্র বিশ্বের সেবা করছি। বাবা তো ভারতেই আসবে, তাই না! তোমরা পান্ডবেরা ভারতকে স্বর্গে পরিনত করার সেবা করছো। তোমরা নিজেদের কর্ম করে যাচ্ছো। শেষে বিজয় তো পান্ডবদেরই হবে, এখানে লড়াই-এর কোন কথা নেই। তোমরা হলে ডবল অহিংসক। না বিকারে যাও, না গুলি চালনা(যুদ্ধ-হিংসা) করো। হিংসার দ্বারা কেউ-ই বিশ্বের রাজত্ব প্রাপ্ত করতে পারে না। বাবা বুঝিয়েছেন — ওরা দু’জন(খ্রীস্টানরা) যদি পরস্পর মিলিত হয়ে যায় তবে বিশ্বে রাজত্ব করতে পারবে। কিন্তু ড্রামায় এ’রকমকিছু নেই। খ্রীস্টানরাই কৃষ্ণপুরীকে গ্রাস করেছে। প্রকৃতপক্ষে ভারত তো কৃষ্ণেরই পুরী ছিল, তাই না! লড়াই করে রাজত্ব কায়েম করেছে, অনেক ধন-সম্পদ নিয়ে গেছে। এখন পুনরায় ধন ফিরে আসতে থাকে আর তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে যাও। বাবা কত যুক্তি বলে দেন। ওরাই তোমাদের রাজত্ব ছিনিয়ে নিয়েছে, পরে নিজেরাই পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করতে থাকে আর বিশ্বের মালিক তোমরা হয়ে যাও। কত বিশাল রাজত্ব। পরিশ্রম কেবল এতেই রয়েছে — স্মরণ করতে থাকো আর নিজেদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। এতে বিরক্ত হওয়া উচিৎ নয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) অন্য সবকথা ত্যাগ করে জ্ঞান দান করতে হবে। রূপ-বসন্ত হতে হবে। নিজের অবগুণকে নিষ্কাশিত করার পুরুষার্থ করতে হবে। অন্যান্যদের দেখবে না।

২ ) নিজের স্বভাবকে অত্যন্ত মিষ্টি-মধুর করতে হবে। সকলের প্রতি প্রেমপূর্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। কাউকেই দুঃখ দেবে না। কর্মেন্দ্রিয়জীৎ হতে হবে।

বরদানঃ-

নিজের স্মৃতিকে সমর্থ বানাতে হবে অথবা স্বততঃ-ই স্মৃতি স্বরূপ হতে হবে তবেই অমৃতবেলার সময়ের মূল্যকে জানবে। শ্রীমত যেমন রয়েছে, সেই অনুসারেই সময়কে জেনে সময়ানুসারে চলো তবেই সর্বকিছু প্রাপ্ত করতে পারবে আর পরিশ্রম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। অমৃতবেলার মাহাত্ম্য বুঝে চললে প্রতিটি কর্ম মাহাত্ম্য অনুসারে হবে। সেইসময় বিশেষভাবে সাইলেন্সে থাকে সেইজন্য সহজেই স্মৃতিকে সামর্থ্য-সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারো।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top