20 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
19 August 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার রাইট হ্যান্ড হতে হবে, তাই প্রতিটি কথায় রাইটিয়াস হও, সর্বদা শ্রেষ্ঠ কর্ম করো”
প্রশ্নঃ --
কোন্ সংস্কার সেবায় অনেক বিঘ্ন সৃষ্টি করে ?
উত্তরঃ -:-
মনোভাব – স্বভাবের কারণে নিজেদের মধ্যে যে দ্বিমতের সংস্কার হয়ে যায়, সেই সংস্কার সেবায় অনেক বিঘ্নের সৃষ্টি করে। দুইটি মত হলে খুব ক্ষতি হয়। ক্রোধের ভূত এমন হয় যে ভগবানের বিরোধিতা করতেও সঙ্কোচ বোধ করে না। তাই বাবা বলেন মিষ্টি বাচ্চারা, এমন কোনো সংস্কার থাকলে তা দূর করে দাও।
গান:-
ভাগ্য জাগিয়ে এসেছি..
ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি আত্মারূপী বাচ্চারা গীত শুনলো। আত্মারূপী (রূহানী) বাচ্চারা অর্থাৎ শিববাবা হলেন সুপ্রিম আত্মা, তাঁর সন্তান আত্মারা শরীর রূপী কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা গীত শুনলো। এখন তো বাচ্চাদেরকে আত্ম-অভিমানী হতে হবে। অনেক পরিশ্রমও আছে। ক্ষণে ক্ষণে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এই হল গুপ্ত পরিশ্রম। বাবাও হলেন গুপ্ত, সুতরাং পরিশ্রমও গুপ্ত রূপে করান। বাবা স্বয়ং এসে বলেন বাচ্চারা, আমাকে স্মরণ করো তাহলে কল্পের ৫ হাজার বছর পূর্বের মতন পুনরায় সতোপ্রধান হবে। বাচ্চারা বুঝেছে আমরাই সতোপ্রধান ছিলাম তারপরে আমরাই তমোপ্রধান হয়েছি। সতোপ্রধান অবশ্যই হতে হবে। গীতেও বলা হয়েছে, যে ভাগ্য হারিয়েছে সেই ভাগ্য পুনরায় প্রাপ্ত করার যুক্তি বলে দেন একমাত্র সর্বশক্তিমান বাবা, কারণ তিনি সবাইকে পবিত্র করেন, তাইনা। বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান, হে রূহানী বাচ্চারা এখন ভাগ্য নির্মাণ করতে এসেছো। স্টুডেন্টরা স্কুলে ভাগ্য নির্মাণ করতেই তো যায়, তাইনা। তারা তো হয় ছোট ছোট বাচ্চা। তোমরা তো ছোট নও, তোমরা তো হলে সবাই প্রাপ্তবয়স্ক । ভাগ্য নির্মাণ করছো। হ্যাঁ, অনেক বৃদ্ধরাও আছে। বৃদ্ধ বয়সে পড়াশোনা করার থেকে যৌবনকালে পড়াশোনা করা ভালো, যৌবনকালে বুদ্ধি ভালো থাকে। এ’তো সবার জন্য সহজ। তোমাদের শরীর তো বড় তাইনা। শিশুরা এত জ্ঞান বুঝতে পারবে না, কারণ দেহের অর্গান গুলি তাদের ছোট । স্তুতি-নিন্দা, দুঃখ-সুখ এই সব কথা তোমরা বুঝতে পারো। আত্মা তো হল বিন্দু। শরীরের বৃদ্ধি হতে থাকে। আত্মা তো একরসই থাকে। কখনো ঘাটতি-বৃদ্ধি হয় না। আত্মার বুদ্ধির জন্য বাবা কস্তুরীর মতো সওগাত দিচ্ছেন, কারণ এখন তো বুদ্ধি একেবারেই তমোপ্রধান হয়েছে, যা এখন স্বচ্ছ হচ্ছে। এই চিত্র তোমাদেরকে বোঝানোর জন্য খুব ভালো । ভক্তি মার্গে দেবতাদের সম্মুখে গিয়ে মাথা নত করে, পূজা করে। পূর্বে তোমরাও অন্ধ বিশ্বাসের সাথে মন্দিরে যেতে। শিবের মন্দিরে যেতে, তোমরা কি তখন জানতে নাকি যে, ইনি হলেন শিববাবা। বাবার কাছে স্বর্গের অধিকার (বর্সা) অবশ্যই প্রাপ্ত হয়, তাই তো তাঁর এতখানি মহিমা গায়ন করা হয়। কেউ সৎ কর্ম করে গেলে তাদের মহিমা গায়ন করা হয়। স্ট্যাম্প তৈরি করা উচিত শিবাবার। শিববাবা গীতা সর্মোনাইজার (Sermoniser, গীতার উপদেশ দিয়েছিলেন)….. এই স্ট্যাম্প সহজে তৈরি হতে পারে। শিব পিতা সবাইকে সুখ প্রদান করেন। বাবা বলেন – আমি তোমাদেরকে সুখধামের মালিক বানাই। বৃদ্ধা মাতারা এই কথা তো বোঝে যে আমরা শিববাবার কাছে এসেছি, বাবা হলেন বিচিত্র । তিনি এই চিত্রের দেহে (ব্রহ্মার দেহে) প্রবেশ করেছেন। নিরাকারকে বিচিত্র বলা হয়। বুদ্ধিতে থাকে আমরা শিববাবার কাছে যাই, যিনি এই টেম্পোরারি চিত্রটি ধারণ করেছেন। পতিতদের পবিত্র করে মুক্তি-জীবনমুক্তি প্রদান করেন বা শান্তিধাম, সুখধামের নিবাসী বানিয়ে দেন। মানুষ শান্তি প্রাপ্ত করার জন্য চেষ্টা করে। ভগবানকে পেলেই শান্তি প্রাপ্ত হবে, সুখের জন্য পুরুষার্থ করে না। শুধু বাবার কাছে বাবার ঘরে যাবো, ভগবানের সঙ্গে মিলিত হবো। এই সময়ে সবাই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করো একমাত্র তোমরাই ব্রাহ্মণরা। বাকিরা সবাই মুক্তির আশা রাখে। জীবনমুক্তির পথ বলে দেবে এমন কেউ নেই। সন্ন্যাসীদের কাছে গিয়ে শান্তি কামনা করে। বলে মনের শান্তি কীভাবে পাবো ? যারা পথ বলে দিচ্ছে তারা সবাই মুক্তিতে যাবে। মোক্ষ কি, সে কথাও বুদ্ধিতে নেই। অস্থিরতার কারণে বিরক্ত হয়ে বলে যে, মুক্তিতে গেলেই ভালো। বাস্তবে মুক্তিধাম হল আত্মাদের থাকবার জায়গা (নিবাস স্থান)। এত গুলি সেন্টারে বাচ্চারা আছে সবাই জানে যে, আমরা নতুন দুনিয়ার জন্য রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত করি। বাবা আমাদের নতুন দুনিয়ার রাজ্য প্রদান করেন। কোথায় দেবেন ? নতুন দুনিয়ায় দেবেন নাকি পুরানো দুনিয়ায় দেবেন ? বাবা বলেন আমি আসি সঙ্গমে। আমি না সত্যযুগে আসি, না কলিযুগে আসি। দুইটি যুগের মধ্যকালে আসি। বাবা তো সবাইকে সদগতি দেবেন, তাইনা। এমন তো নয় দুর্গতিতে রেখে যাবেন। সদগতি ও দুর্গতি একত্রে থাকতে পারে না। বাচ্চারা জানে এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে, তার এই দুনিয়ার প্রতি মোহ রাখবে না। বুদ্ধি বলে সঠিকভাবে আমরা এখন সঙ্গম যুগে আছি। এই দুনিয়া তো পরিবর্তন হবে। এখন বাবা এসেছেন, বাবা বলেন – আমি প্রতি কল্পের সঙ্গমে আসি। তোমাদেরকে দুঃখ থেকে মুক্ত করে হরির দ্বারে নিয়ে যাই। এ হল জ্ঞানের কথা। হরিদ্বার, কৃষ্ণের দ্বার অর্থাৎ কৃষ্ণপুরীকে বলা হয়। আচ্ছা, তার কাছেই রয়েছে লক্ষ্মণ ঝুলা । প্রথমে হরিদ্বার আসবে। সত্যযুগকে হরী-দ্বার বলা হয়। পরে রাম-লক্ষ্মণকে ইত্যাদি দেখিয়েছে। সেসবই তো হল বানানো কথা। রামের কতজন ভাই দিয়ে দিয়েছে! ৪-টি ভাই তো হয় না। ৪-৮ টি ভাই তো এখানে হয়। একদিকে হল ঈশ্বরীয় সন্তান, অন্যদিকে হল আসুরিক সন্তান।
এখন তোমরা জানো শিববাবা ব্রহ্মা দেহে এসেছেন। শিববাবা আছেন, ব্রহ্মা হলেন দাদা, প্রজাপিতা। শিববাবা হলেন আত্মাদের অনাদি পিতা, এই সময় ব্রাহ্মণদের রচনা করেন। এমন নয় যে, শিববাবা শালগ্রাম রচনা করেন। না, শালগ্রাম তো অবিনাশী আছেই। শুধু বাবা এসে পবিত্র করেন। যতক্ষণ আত্মা পবিত্র না হচ্ছে ততক্ষণ শরীর কীভাবে পবিত্র হবে। আমরা আত্মারা পবিত্র ছিলাম তখন সতোপ্রধান ছিল। এখন তমোপ্রধান হয়েছে পুনরায় সতোপ্রধান হবে কীভাবে। এই হল সহজ বোধগম্য কথা। তোমরা এই সময় খাদ যুক্ত হয়ে পতিত তমোপ্রধান হয়ে গেছো। এখন আবার সতোপ্রধান হতে হবে। হিসেব নিকেশ মিটিয়ে সবাই শান্তিধাম বা সুখধামে আসবে। আত্মারা নিরাকারী ঘর (পরমধাম) থেকে কীভাবে আসে, তারই স্মারকচিহ্ন রূপে খ্রীষ্টানরা বৃক্ষে বাল্ব লাগিয়ে উৎসব পালন করে। তোমরা জানো এই সব ধর্মের আলাদা আলাদা শাখা আছে, সেখান থেকে আত্মারা ক্রম অনুসারে নীচে নেমে আসে, এই নলেজ তোমরা পেয়েছো। আমরা আত্মা, আমাদের ঘর শান্তিধাম। এখন হল সঙ্গম। সেখান থেকে সব আত্মারা নীচে এসে যাবে তারপরে সবাই ফিরবে। প্রলয় তো হবে না। তোমরা জানো আমরা বাবার কাছে ভাগ্য নির্মাণ করতে পুনরায় স্বরাজ্য প্রাপ্ত করতে এসেছি। এই কথাটি শুধু বলার কথা নয়। স্মরণের দ্বারাই (বর্সা) স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হবে। বাবা বলেন – দেহ সহ যে সকল আত্মীয় পরিজন ইত্যাদি আছে, সবাইকে ভুলে যাও। চিত্র ও বিচিত্র আছে তাই না। বিচিত্র তাঁকে বলা হয় যাঁকে চোখে দেখা যায় না। এই হল খুব সূক্ষ্ম মহীন কথা। আত্মা খুবই সূক্ষ্ম। আত্মাকে ক্ষণে ক্ষণে পার্ট প্লে করতে হয় এবং কারো বুদ্ধিতে এমন কথা নেই। সর্বপ্রথমে তো বুদ্ধিতে এই কথাটি স্থির রাখতে হবে যে, আমরা আত্মা, তিনি আমাদের পিতা। তাঁকেই পতিত-পাবন, হে ভগবান বলে স্মরণ করা হয়। অন্য কোনো স্থানে যাওয়ার দরকার নেই। অতএব স্মরণও একজনকেই করা উচিত তাইনা। ভগবানকে স্মরণ করা হয় তো নিশ্চয়ই তাঁর কাছে কিছু প্রাপ্ত হবে। তাহলে দ্বারে-দ্বারে গিয়ে ধাক্কা কেন খাও! ভগবানকে তো পরমধাম থেকে নীচে আসতে হবে তাইনা। আমরা তো যেতে পারবো না, কারণ আমরা পতিত। পতিত সেখানে যেতে পারে না। এখন তোমরা আশ্চর্য বোধ করো। ভক্তি মার্গের পার্ট কিরকম ওয়ান্ডারফুল। একমাত্র ভগবানকেই স্মরণ করে – হে ঈশ্বর, হে পরম পিতা, ও গড ফাদার। যখন উনি একজন ই তো অন্যদিকে ধাক্কা কেন খাও! উনি এক, উপরে বাস করেন। কিন্তু এইসব পূর্ব নির্দিষ্ট আছে, ড্রামা অনুযায়ী ভক্তি করে, বোধহীন হয়ে। এখন তোমরা পুনরায় বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন হচ্ছো। আত্মা সুবুদ্ধিসম্পন্ন হলে তখন আর লুকিয়ে থাকতে পারে না, তারা সর্বদা শ্রেষ্ঠাচারী কর্মই করবে। বাবা বলেন – আমি হলাম দুঃখ হরণকারী সুখ প্রদানকারী, তাহলে বাচ্চাদেরকেও কতখানি মিষ্টি হওয়া উচিত। বাবার রাইট হ্যান্ড হওয়া উচিত। এমন বাচ্চারাই বাবার প্রিয় সন্তান। রাইট হ্যান্ড তাইনা। তোমরা জানো লেফ্ট হ্যান্ডের দ্বারা অত কাজ করা যায় না। কারণ রাইট হ্যান্ড রাইটিয়াস কাজ করে তাই এই রাইট হ্যান্ডকেই শুভ কর্মে নিযুক্ত করা হয়। পূজা সর্বদা রাইট হ্যান্ড দ্বারা করে। বাবা বলেন – প্রতিটি কথায় রাইটিয়াস হও। বাবাকে পেয়েছো তো খুশী তো হওয়া উচিত ।
বাবা বলেন – মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে অন্তিম সময়ে সেই রূপ গতি হয়ে যাবে। মতামত ও অবস্থা বা গতি প্রদান করার মতামত কেবলমাত্র একটি ই। গায়নও আছে ঈশ্বরের গতি মতি ঈশ্বর ই জানেন। পতিত-পাবন হলেন তিনি। উনি জানেন মানুষকে পবিত্র করে দুর্গতি থেকে সদগতি তে কীভাবে নিয়ে যাবেন। ভক্তি মার্গে অনেক পরিশ্রম করে কিন্তু সদগতি হয় না। ফল কিছুই প্রাপ্ত হয় না, সদগতি তো প্রদান করেন একমাত্র বাবা। ভক্তিতে যে যেরকম ভাবনা সহ পূজা করে , তাকে সেইরূপ ফল আমি ই প্রদান করি। সেসবও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে, তারা স্বতঃ তই প্রাপ্ত করে – নিজস্ব পুরুষার্থের আধারে। এখন পবিত্রও বাচ্চাদেরকে নিজ পুরুষার্থের আধারে হতে হবে। বাবা বলেন – মিষ্টি মিষ্টি বাবাকে স্মরণ করো। তিনিই হলেন সর্ব শক্তিমান, অলমাইটি অথরিটি অনেক ভালো বানিয়ে দেন। তোমরা সবকিছু জেনেছো তারপরে বাবার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করছো। রচয়িতা এবং রচনার নলেজ তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। তোমরা জানো এই নলেজ আগে আমাদের ছিল না। যজ্ঞ-তপ ইত্যাদি করা, শাস্ত্র ইত্যাদি শোনা – এই হল শাস্ত্রের নলেজ। তাকেই ভক্তি বলা হয়। তাতে মুখ্য লক্ষ্য কিছু থাকে না। পড়াশোনাতে মুখ্য লক্ষ্য থাকে। কিছু তো নলেজ থাকে। আমাদেরকে পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার নলেজ পতিত-পাবন বাবা দিয়েছেন। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ বাবা দিয়েছেন। এই সৃষ্টি চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়, এতে সবাই হল কুশীলব, পার্টধারী। এ হল অনাদি নাটক যা পূর্ব রচিত। এই অসীমের নলেজ তো অবশ্যই থাকা উচিত।
তোমরা বাচ্চারা জানো এখন আমরা ঘোর অন্ধকার থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ আলোয় যাচ্ছি। তোমরা এখন দেবতায় পরিণত হচ্ছো। এই কথাও বোঝাতে হবে যে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম, যাকে হিন্দু ধর্ম বলা হয়েছে। ধীরে-ধীরে এই কথাও বুঝবে। বাচ্চাদেরকে উঠে দাঁড়ানো উচিত। এর জন্য অসংখ্য বাচ্চা চাই। দেহলি বা দিল্লিতে কনফারেন্স করতে হবে। পরিস্তান তো দিল্লিকেই বলা হয়। এই যমুনার উপকণ্ঠে ছিল, দিল্লি তো রাজধানী। অনেকের অধিকারে ছিল। দেবতাদের রাজধানীও দিল্লি ছিল, দিল্লিতে বিশাল কনফারেন্স হওয়া দরকার কিন্তু মায়া এমন যে আয়োজন করতে দেয় না। বিঘ্নের সৃষ্টি করে। আজকাল নানান মনোভাব-স্বভাবের প্রভাব অনেক বেশী। বাচ্চাদেরকে নিজেদের মধ্যে একজোট হয়ে সার্ভিস করা উচিত। তারা এক সাথে মিলিত না হওয়ার দরুন রাজত্ব-ই হারিয়ে যায়, পার্টি বিভাজিত হয়ে যায়, তখন প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে বিচ্যুত করে। দ্বৈত মত অনেক ক্ষতি করে। তখন ভগবানের বিরোধিতা করতেও পিছপা হয় না। ক্ষতিভোগও অনেক করে। ক্রোধের ভূত এলে তখন তো বলার মতন কিছু থাকে না। তাই বাবা বলেন গুড় জানে আর গুড়ের বস্তাই জানে। বাবা বাচ্চাদেরকে সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তের নলেজ বলে দিচ্ছেন। এখন কেউ ধারণ করুক বা না করুক, সবই পুরুষার্থের উপরে নির্ভর করছে। এমন নয় বাবা কারোর উপরে আশীর্বাদ বা কৃপা করবেন, এতে কৃপা ইত্যাদি প্রার্থনা করার কোনো কথা নেই। প্রেরণার দ্বারা যদি যোগ ও জ্ঞান শেখানোর থাকতো, বাবা বলেন, তাহলে আমি এই নোংরা দুনিয়ায় আসতাম কেন ? প্রেরণা, আশীর্বাদ এইসবই হল ভক্তি মার্গের কথা। এখানে পুরুষার্থ করতে হয়, প্রেরণার কোনো ব্যাপার নেই। তোমরা তিনটি ইঞ্জিন পেয়েছো একসাথে। দুনিয়ায় তো পিতা, টিচার আলাদা হয়, গুরু প্রাপ্তি পরে হয়। এখানে তো এই তিন জনই প্রাপ্ত হয় একত্রে। বাবা বলেন – আমি তোমাদেরকে পূজ্য বানাই, তোমরা পরে পূজারী হয়ে যাবে। খুব যুক্তি সহকারে বোঝাতে হবে। এমন যেন না হয় কেউ সংজ্ঞা হারায় । সর্ব প্রথম মুখ্য কথা হল দুইজন পিতার। ভগবান হলেন পিতা, তাঁর জন্ম শিব জয়ন্তীও এখানেই পালন হয়। নিশ্চয়ই স্বর্গের মালিক করেন হয়তো। ভারতেই স্বর্গ ছিল। এখন নরকের বিনাশের জন্য মহাভারতের যুদ্ধ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। অবশ্যই বাবা হলেন নতুন দুনিয়ার স্থাপনাকারী। বাবার শ্রীমৎ অনুসারে আমরা বলি যে, ভারতকে আমরা পবিত্র করেই ছাড়বো। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) যেমন বাবা হলেন দুঃখ হরণকারী সুখ প্রদানকারী, তেমন বাবার সমান হতে হবে। খুব মিষ্টি হতে হবে। সদা শুভ কাজ করে রাইট হ্যান্ড হয়ে যাবে।
২ ) কখনও দ্বি মতের সৃষ্টি করবে না। কারো মনোভাব-স্বভাবের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে একে অপরের বিরোধিতা করবে না। ক্রোধের ভূত অবশ্যই দূর করতে হবে।
বরদানঃ-
সঙ্গম যুগের বিশেষত্ব হল – এখনই পুরুষার্থ, এখনই প্রত্যক্ষ ফল। এখনই স্মৃতি স্বরূপ এখনই প্রাপ্তির অনুভব। ভবিষ্যতের গ্যারান্টি তো আছেই কিন্তু ভবিষ্যতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ভাগ্য বর্তমানের। এই ভাগ্যের নেশায় থাকো, তাহলে স্বতঃই স্মরণ থাকবে। যেখানে স্মরণ বা যোগ আছে সেখানে অভিযোগ নেই। কি করি, কীভাবে করি, এটা তো হচ্ছে না – একটু সাহায্য করো – এইসব হল অভিযোগ । অতএব অভিযোগকে ছেড়ে স্বতঃ যোগী নিরন্তর যোগী ভব।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!