18 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 17, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - পরচিন্তা ছেড়ে নিজের কল্যাণ করো, নিজে সোনার মতো হয়ে অন্যদেরও রাস্তা দেখাও"

প্রশ্নঃ --

যারা সর্বদা অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে থাকে, তাদের প্রধান লক্ষণ শোনাও ?

উত্তরঃ -:-

তারা জোর করে নিজের কর্মেন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণ করে না। তাদের কর্মেন্দ্রিয় স্বাভাবিকভাবেই শীতল হয়ে যায়। সর্বদাই স্মরণে থাকে যে আমরা আত্মা, ভাই-ভাই। দেহের অভিমান মুছে যেতে থাকে। নাম-রূপের নেশা কাটতে থাকে। অন্যদের কথা স্মরণে আসে না।

গান:-

তু প্যায়ার কা সাগর হ্যায়…. (তুমি তো প্রেমের সাগর)

ওম্ শান্তি । তিনি শুধু প্রেমের সাগর নন, জ্ঞানেরও সাগর। জ্ঞান এবং অজ্ঞান। জ্ঞানকে দিন এবং অজ্ঞানকে রাত বলা হয়। জ্ঞান শব্দটাই ভালো, অজ্ঞান খারাপ। অর্ধেক কল্প ধরে জ্ঞানের প্রাপ্তি থাকে, তারপর অর্ধেক কল্প ধরে অজ্ঞানের প্রাপ্তি থাকে। অজ্ঞানের প্রাপ্তি দুঃখ আর জ্ঞানের প্রাপ্তি সুখ। এটা তো খুব সহজেই বোঝা যায় – দিন হল জ্ঞানের সূচক আর রাত্রি হল অজ্ঞান। কিন্তু এটাও কেউ জানে না যে জ্ঞান কাকে বলা হয় আর অজ্ঞান কাকে বলা হয়। এগুলো অসীম জগতের কথা। তোমরা সবাইকে বোঝাচ্ছ যে জ্ঞান কি আর ভক্তি কি। জ্ঞানের দ্বারা তোমরা পূজনীয় হচ্ছো। যখন পূজনীয় হয়ে যাও তখন পূজার সামগ্রীগুলোকেও জেনে যাও। তোমরা জানো যে যত মন্দির ইত্যাদি আছে সেগুলো আসলে স্মৃতির নিদর্শন। তোমরা তাদের জীবন কাহিনী জানো। যে পূজা করতে যায় সে নিজেই জানে না। পূজাকে ভক্তি বলা হয়। ভক্তির ফল দেওয়ার জন্য ভগবান তাঁর ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাই ভাগবান এসেই পূজারী থেকে পূজনীয় বানান। সত্যযুগে পূজনীয় আর কলিযুগে পূজারী হয়ে যায়। তোমরা বাচ্চারা জানো যে, আজ কি আছো আর কাল কি হয়ে যাবে। বিনাশ অবশ্যই হবে, যেকোনো সময় হতে পারে, প্রস্তুতি চলছে। অনেক রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের উল্লেখ আছে। লিখে দেওয়া উচিত যে গৃহযুদ্ধ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো ঈশ্বরের কর্ম নয়। এটা ড্রামার অন্তর্ভুক্ত, প্ৰাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি সবকিছুই আসবে যা বিনাশে সাহায্য করবে। মুষলধারে বৃষ্টি পড়বে। দুর্ভিক্ষে না খেতে পেয়ে মারা যাবে, ভূমিকম্প ইত্যাদি সবকিছুই আসবে। এগুলোর দ্বারাই বিনাশ হবে। বাচ্চারা জানে যে এগুলো তো অবশ্যই হবে। নাহলে সত্যযুগে এত কম মানুষ কীভাবে হবে! অবশ্যই একসাথে বিনাশ ঘটবে। বাচ্চারা ভালো করেই জানে যে এই সব কাপড় (শরীর) ধুয়ে ফেলা হবে। এটা হলো এই অসীম জগতের শুদ্ধিকরণের বৃহৎ প্রক্রিয়া। বলাও হয়ে থাকে, নোংরা কাপড় ধুয়ে দেন….। কিন্তু এখানে কোনো কাপড়ের কথা নয়, আসলে শরীরের কথা বলা হয়েছে। যোগবলের দ্বারা আত্মাকে পরিষ্কার করতে হবে। এইসময় ৫ তত্ত্ব তমোপ্রধান হওয়ার কারণে শরীরও তমোপ্রধান। পতিত-পাবন বাবা এসে পবিত্র বানান এবং বাকি সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। তোমরা জানো যে, কীভাবে পবিত্র হওয়া যায়। বাবা খুব সহজ রাস্তা (উপায়) বলছেন। মানুষ তো কিছুই বোঝে না। যেখানে যেখানে ভক্তি, যজ্ঞ ইত্যাদি হয়, সেখানে গিয়ে বোঝানো উচিত যে তোমরা যাঁদের ভক্তি করছো তাঁদের বায়োগ্রাফি (জীবনকাহিনী) জানলে তোমরাও দেবতা হতে পারবে। ওঁনারা কীভাবে মুক্ত জীবন পেয়েছিলেন সেটা বুঝতে পারলে তোমরাও মুক্ত জীবন পেতে পারবে। মন্দিরে বসে জীবনকাহিনী বোঝালে তারা ভালোভাবে বুঝতে পারবে। তোমরাও এখন বাবার কাছ থেকে জীবনকাহিনী শুনছো, তোমরা বাচ্চারা এখন অনেক কিছু বুঝতে পেরেছো। পরমপিতা পরমাত্মার জীবনকাহিনী কেউ জানে না। তাঁকে সর্বব্যাপী বলে দিলেই কী আর জীবনকাহিনী হয়ে যায়! তোমরা বাচ্চারা এখন পরমপিতা পরমাত্মার জীবন কাহিনী জেনেছ অর্থাৎ আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। এই সময়টাকে আদি বলা হয়। এইসময় বাবা এসে অপবিত্রদের পবিত্র বানান, তারপর মাঝখানে আবার ভক্তির পার্ট চলতে থাকে। বাবা বলেন, এইসময় আমি এসে স্থাপন করি, অন্যদের দ্বারাও করাই। বাবা হলেন করন করাবনহার (যিনি নিজেও কাজ করেন এবং অন্যদের দ্বারাও করান)। অনুপ্রেরণা দেওয়াকে ‘নিজে করছেন’ বলা হয় না। বাবা স্বয়ং এসে এঁনার কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা করছেন, এতে অনুপ্রেরণার কোনো কথাই নেই। করন করাবনহার অবশ্যই সম্মুখে এসে করাবেন, অনুপ্রেরণার দ্বারা কিছু হবে না। আত্মা, শরীর ছাড়া কিছুই করতে পারে না। অনেকে বলে ঈশ্বরই অনুপ্রেরণার মাধ্যমে সবকিছু করেন। বাবাকে বলে, আমার পতিকে অনুপ্রাণিত করো, আমার পতির বুদ্ধি যেন ঠিক হয়ে যায়। বাবা বলেন – এতে তো অনুপ্রেরণার ব্যাপার নেই। নাহলে শিব জয়ন্তী কেন পালন করা হয় ? সবকিছু যদি অনুপ্রেরণার দ্বারা হয়ে যেতো, তাহলে তিনি আসবেন কেন ? প্রথমত, তারা জানে না ঈশ্বর কে ? কেবল বলে দেয় ঈশ্বরের অনুপ্রেরণার দ্বারা সবকিছু হয়। নিরাকার ঈশ্বর অনুপ্রেরণার দ্বারা কীভাবে কিছু করবেন ? তিনি তো করন করাবনহার। তিনি এসে পথ বলে দেন, কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা মুরলী শোনান। কর্মেন্দ্রিয়ের সাহায্য না নিলে, তিনি মুরলী কীভাবে শোনাবেন ? তিনি জ্ঞানের সাগর, জ্ঞানের কথা শোনানোর জন্য মুখের দরকার। এখন তোমরা বাচ্চারা সারা দুনিয়ার আদি-মধ্য-অন্তকে জেনেছো, সম্পূর্ণ নলেজ পেয়েছো। মানুষ বুঝতে পারে যে, জ্ঞান ছাড়া কোনো গতি নেই। জ্ঞান কে দিতে পারে ? অজ্ঞানমার্গ এবং জ্ঞানমার্গের মধ্যে পার্থক্য তো দেখো! বিজ্ঞানও বলা হয়। অজ্ঞান হলো অন্ধকার। জ্ঞান এবং বিজ্ঞানকে আমরা মুক্তি-জীবনমুক্তিও বলতে পারি। তোমরা এখন পবিত্র হওয়ার জ্ঞান গ্রহণ করছো। তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে উঠছো। যে কেউ শুনলে অবাক হয়ে যাবে! বলা হয় – আত্মা জ্ঞান গ্রহণ করে, তাই আত্মা অবশ্যই এই সংস্কার নিয়ে যাবে। মানুষ থেকে দেবতা হয়ে গেলেও জ্ঞান থাকা উচিত। কিন্তু বাবা বোঝান যে, এই পুরুষার্থ হলো প্রাপ্তির জন্য। প্রাপ্তি হয়ে গেলে, তারপর কি আর জ্ঞানের দরকার আছে ? বাচ্চারা, সত্যযুগ হলো তোমাদের পুরস্কার। এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়। কেন এই জ্ঞান পরম্পরায় চলে আসে না ? বাবা বলেন এই জ্ঞান প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। দিন হয়ে যাওয়ার পর আর অজ্ঞান থাকবে না, তাই জ্ঞানের প্রয়োজন হবে না। এটাও বুঝতে হবে এবং বোঝাতে হবে। হঠাৎ করে কেউ বুঝতে পারে না। শিববাবা ভারতেই আসেন, বাচ্চাদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন, ভক্তির ফল দেওয়ার জন্য। ভক্তির পরে সদগতি হয়। বিনাশ তো অবশ্যই হবে, এর লক্ষণও আমাদের সামনেই রয়েছে। তোমরা শুনতে পাবে যে আগুন লাগার এক-দুই ঘন্টার মধ্যে সমস্ত ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এটা কোনো নতুন কথা নয়, বিনাশ তো অবশ্যই হবে। সত্যযুগে কম সংখ্যক মানুষ থাকে, সবাই নীতিপরায়ন হয়। তবে শ্রেষ্ঠাচারী হওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। মায়া একেবারে নাক টিপে থেকে ধরে। যারা এভাবে পড়ে যায় তারা অনেক আঘাত পায়। অনেক সময় লেগে যায়। সবথেকে বেশি আঘাত দেয় কাম বিকার। এইজন্য বলা হয় – কাম হলো মহাশত্রু, এটাই পতিত বানিয়ে দেয়। ঝগড়াও হয় বিকারের কারণেই। যদি বিকারের জন্য বাধ্য করে তাহলে অবশ্যই বলবে যে এর থেকে তো লোকের বাড়িতে বাসন ধোয়া ভালো! ঝাড়ু দেবো, ঘর মুছব কিন্তু পবিত্র থাকবো। তবে এর জন্য অনেক সাহস দরকার। কেউ বাবার শরণাপন্ন হলে মায়াও তার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে দেয়। ৫ বিকারের রোগ আরও বেশি করে জেগে ওঠে। প্রথমত, সম্পূর্ণ নিশ্চয়বুদ্ধি হওয়া দরকার। যেন জীবিত থেকেও মৃত হয়ে আছি, এই দুনিয়া থেকে নোঙ্গর উঠিয়ে নিয়েছি। কলিযুগের বিকারগ্রস্থ তীর তোমরা ছেড়ে দিয়েছো। এখন আমরা তীর্থযাত্রায় যাচ্ছি – আমরা অশরীরী হয়ে নিজেদের ঘরে ফিরে যাই। আত্মাদের মধ্যে জ্ঞান আছে যে, আমরা একটা শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীরে প্রবেশ করবো। আমরা গৃহস্থ জীবনে থেকেও কমল পুষ্প সমান পবিত্র হয়ে তীর্থযাত্রায় থাকি। বুদ্ধিতে যেন থাকে যে এটা হলো কবরস্থান, আমরা এখন সুখধামে যাব। বাবা আমাদেরকে উত্তরাধিকার দেওয়ার পদ্ধতি বলছেন। পবিত্র হওয়ার জন্য আমরা যোগযুক্ত থাকি। স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে, তবেই আত্মা শরীর ত্যাগ করবে। এই যাত্রা কতো ওয়ান্ডারফুল! কেবল বাবাকে স্মরণ করো, নিজেদের রাজধানীকে স্মরণ করো। কিন্তু এত সহজ কথাও মনে পড়ে না। অল্ফকে (বাবাকে) স্মরণ করো, এটাই সব! কিন্তু মায়া তাঁকেও স্মরণ করতে দেয় না, অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আত্মারা জ্ঞান পেয়েছে যে, আমাদের বাবা এসেছেন। আত্মারাই তো পড়াশোনা করে, তাই না! আত্মাই শরীরের দ্বারা জন্ম নেয়। আত্মারা হলো ভাই-ভাই। দেহ অভিমানে আসার কারণে অনেক সম্বন্ধ হয়ে যায়। এখানে তোমরা ভাই-বোন হয়ে গেছ। নিজেদের মধ্যে তোমরা যেমন ভাই-ভাই, তেমনই আবার ভাই-বোনও। এটা তো প্রবৃত্তিমার্গ। উভয়েরই উত্তরাধিকার প্রয়োজন। আত্মাই পুরুষার্থ করে। নিজেকে আত্মা মনে করা – এটাই হলো পরিশ্রম, দেহের অভিমান যেন না থাকে। শরীরই যদি না থাকে, তাহলে বিকারে কীভাবে লিপ্ত হবে! আমরা হলাম আত্মা, বাবার কাছে যেতে হবে। শরীরের কোনো বোধ যেন না থাকে। যত বেশি যোগী হবে, তত কর্মেন্দ্রিয় শান্ত হতে থাকবে। দেহ অভিমানে আসার ফলে কর্মেন্দ্রিয় চঞ্চল হয়ে যায়। আত্মা জানে যে আমাদের প্রাপ্তি হচ্ছে। শরীর থেকে আলাদা হতে থাকলেই কর্মেন্দ্রিয় শান্ত হতে থাকবে। সন্ন্যাসীরা ওষুধ খেয়ে তাদের কর্মেন্দ্রিয় শান্ত করে। এটা হলো হঠযোগ। তোমাদেরকে তো যোগের দ্বারা করতে হবে। যোগবলের দ্বারা কি তোমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না ? যত বেশি আত্ম-অভিমানী হবে তত কর্মেন্দ্রিয় শান্ত হতে থাকবে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়, প্রাপ্তিও তো অনেক বেশি, তাই না! বাবা বলেন – যোগবলের দ্বারা তোমরা বিশ্বের মালিক হও, কর্মেন্দ্রিয়কে পরাজিত করো। এইজন্যই ভারতের যোগ এতো বিখ্যাত। তোমরা মানুষ থেকে দেবতা, পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাও। প্রজারাও তো স্বর্গবাসী। যোগবলের দ্বারা তোমরা স্বর্গবাসী হও। বাহুবলের দ্বারা হতে পারবে না। খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। কুমারীদের জন্য তো এটা কোনো পরিশ্রমই নয়, তারা মুক্ত। বিকারে গেলে অনেক ঝামেলায় জড়িয়ে যায়। কুমারী থাকা ভালো। নয়তো অধর কুমারী নাম হয়ে যাবে। কেনই বা যুগল (দম্পতি) হবে ! এতেও নাম-রূপের নেশা এসে যায়। এটাও মুর্খামি। যুগল হয়ে যাওয়ার পরে পবিত্র থাকার জন্য অনেক বেশি সাহস দরকার। জ্ঞানের বিষয়ে খুব ভালো ধারণা থাকতে হয়। অনেকে আছে যারা আগে সাহস দেখায়, কিন্তু পরে আগুনের আঁচ পেলেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়। তাই বাবা বলেন কুমারী জীবন অনেক ভালো। অধর কুমারী হওয়ার চিন্তাই কেন করবে ? কুমারীদের নামই সুপ্রসিদ্ধ। তারা জন্ম থেকেই ব্রহ্মচারী (বাল ব্রহ্মচারী)। বাল ব্রহ্মচারী থাকাই ভালো, সাহস থাকে। অন্য কারোর স্মরণ আসে না। কিন্তু যদি সাহস থাকে তো করে দেখাও। তবে সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে কারন দুজন হয়ে যায়। কুমারী থাকলে তো একা থাকে। দুজন হয়ে গেলেই দ্বিতীয় কারোর চিন্তা এসে যায়। যতদূর সম্ভব, কুমারী থাকাই ভালো। কুমারী সেবাতে যেতে পারে। বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর বন্ধন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমন জাল পাতারই কি দরকার যার মধ্যে বুদ্ধি আটকে যায়। এভাবে জালে আটকে পড়া উচিত নয়। কুমারীদের জন্য তো দারুন সুযোগ রয়েছে। কুমারীরা বাবার নাম মহিমান্বিত করেছে। তাই ‘কানহাইয়া’ বলা হয়। কুমারী হয়ে থাকা অনেক ভালো। তাদের এই জন্য পড়া খুবই সহজ। স্টুডেন্ট লাইফ হলো পবিত্র জীবন। বুদ্ধিও সতেজ থাকে। কুমারদেরকে ভীষ্ম পিতামহের মতো হতে হবে। আগের কল্পেও এইরকম ছিলে, তাই দিলওয়ারা মন্দিরে স্মৃতিসৌধও রয়েছে। এখন বাবা বাচ্চাদেরকে আদেশ করছেন, আমাকে স্মরণ করো। অন্য সব বিষয় বাদ দিয়ে তোমরা এখন নিজের কল্যাণ করো। বাবাকে স্মরণ করো, এতেই তোমাদের কল্যাণ হবে। ভুল-ত্রুটি হয়ে যায়, কোনো বাচ্চা পড়ে যায়। তোমরা এখন পরচিন্তা ছেড়ে নিজের কল্যাণ করো। অন্যের বিষয়ে চিন্তা করবে না। তোমরা নিজেরা সোনার মতো হয়ে অন্যদেরও পথ বলে দাও। সতোপ্রধান হওয়ার এই একটাই উপায় রয়েছে। পবিত্র না হলে মুক্তিধামে যেতে পারবে না। একটাই উপায় রয়েছে, এরপর অন্তিম সময়ে যার যেমন অভিপ্রায় থাকবে, তার তেমন গতি হবে। তাই পরনিন্দা – পরচর্চা ছেড়ে দাও। নাহলে নিজেরই ক্ষতি করবে। বাবা কোনো অভিশাপ দেন না। শ্রীমত অনুসরণ না করলে নিজেই নিজেকে অভিশাপ দেয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে জীবিত থেকেও এই পুরানো দুনিয়ার থেকে নিজের নোঙ্গর উঠিয়ে নিতে হবে।

২ ) অন্যের চিন্তা ছেড়ে নিজের বুদ্ধিকে খাঁটি সোনার মতো বানাতে হবে। পরনিন্দা পরচর্চাতে নিজের সময় নষ্ট করা উচিত নয়। যোগবলের দ্বারা নিজের কর্মেন্দ্রিয়কে শান্ত, শীতল বানাতে হবে।

বরদানঃ-

যারা নিজেকে অতিথি মনে করে চলে তারা তাদের দেহরূপী ঘরের প্রতিও মোহ থাকে না। অতিথিদের নিজের কিছু থাকে না। কাজের প্রয়োজনে সবকিছু ব্যবহার করলেও কোনো নিজস্বতার অনুভূতি থাকে না। তারা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেও যতটা বিচ্ছিন্ন ততটাই বাবার কাছে প্রিয় হয়ে থাকে। শরীর, শারীরিক সম্বন্ধ এবং পার্থিব সম্পত্তির প্রাচুর্য থেকে সহজেই উপরাম হয়ে যায়। যত বেশি অতিথি মনোভাব থাকে ততই প্রবৃত্তি শ্রেষ্ঠ এবং স্টেজ উঁচু থাকে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top