16 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 15, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- সব কথাতেই (বিষয়ে) সহনশীল হও, নিন্দা-স্তুতি, জয়-পরাজয় সবেতেই সমান(একরস) থাকো, (লোকমুখে) শোনা কথায় বিশ্বাস কোরো না"

প্রশ্নঃ --

আত্মা সদা উত্তরণ-কলায় অগ্রসর হতে থাকবে, তার সহজ যুক্তি শোনাও ?*

উত্তরঃ -:-

একমাত্র বাবার থেকেই শোনো, অন্যের থেকে নয়। ব্যর্থ পরচিন্তনে, বাহ্যিক কথা-বার্তায় নিজের সময় নষ্ট কোরো না, তবেই আত্মা সদা উত্তরণ-কলায় অগ্রসর হবে। উল্টোপাল্টা কথা শুনলে, তা বিশ্বাস করলে ভাল-ভাল বাচ্চাও অধঃপতনে চলে যায়, সেইজন্য অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে।

ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চাদের এখন স্মৃতি এসেছে যে অর্ধেক কল্প ধরে অবশ্যই আমরা বাবাকে স্মরণ করেছি, যখন থেকে রাবণ-রাজ্য শুরু হয়েছে। এমনও নয় যে কেউ সম্পূর্ণ অর্ধেক কল্প ধরে স্মরণ করেছে, না। যখন-যখন দুঃখ অধিক মাত্রায় এসেছে, তখন-তখনই স্মরণ করেছে। এখন তোমরা জেনেছো যে ভক্তিমার্গ থেকে আমরা (নীচে) নেমেছি। ড্রামার রহস্য বুদ্ধিতে রয়েছে। মুখে কিছু বলতেও হবে না, আমরা ওঁনার হয়ে গেছি সে’জন্য বেশী জ্ঞানের প্রয়োজনও নেই। বাবার হয়ে গেছো তাই বাবার সম্পত্তিরও মালিক হয়ে গেছো। কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কিছু করার থাকে না। ভক্তিমার্গে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলনের জন্য কত যজ্ঞ-তপস্যা-দান-পুণ্য করে। যেখানেই যাও সব জায়গায় তীর্থ, মন্দির প্রচুর। এমন কোনো মানুষ নেই যে ভারতের সমস্ত তীর্থস্থান আর অসংখ্য মন্দিরাদি ভ্রমণ করতে পেরেছে। ভ্রমণ করলেও প্রাপ্ত হয় ন কিছুই। সেখানে পূজার সূচনার জন্য যে বিশালাকৃতির ঘন্টা ইত্যাদি (ঘন্টা-ঘড়িয়াল) রয়েছে তার কত বিকট শব্দ। এখানে তো বিকট শব্দের কোনো কথাই নেই। না গান গাওয়ার, না তালি বাজানোর কোনো কথা আছে। মানুষ কি না কি করে থাকে, কর্মকান্ড অনেক। বাচ্চারা, এখানে তোমাদের কেবল স্মরণ করতে হবে, আর কিছু নয়। ঘরে থেকে, সবকিছু করেও কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তোমরা জানো যে আমরা এখন দেবতা হচ্ছি। এখানেই দৈব-গুণ ধারণ করতে হবে। খাদ্য-পানীয়ও বিশুদ্ধ হওয়া উচিত। ৩৬ প্রকারের ভোজন ওখানে পাবে। এখানে সাধারণভাবে থাকতে হবে। না অতি উচ্চ, না অতি নীচ। সমস্ত বিষয়ে সহনশীলতা চাই। নিন্দা-স্তুতি (প্রশংসা), জয়-পরাজয়, ঠান্ডা-গরম এ’সবকিছুই সহন করতে হয়। সময়ই এ’রকম। জল পাওয়া যাবে না, এই পাওয়া যাবে না, সূর্যও তার উত্তাপ প্রদর্শন করবে। প্রতিটি বস্তুই তমোপ্রধান হয়ে যায়। এই সৃষ্টিই তমোপ্রধান। তত্বও তমোপ্রধান। সে’জন্য এ দুঃখই দেয়। নিন্দা-স্তুতিতেও যাওয়া উচিত নয়। অনেকেই আছে যারা তৎক্ষনাৎ অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। কেউ কাউকে উল্টোপাল্টা কিছু শুনিয়েছে কারণ আজকাল কথার কৌশল (মারপ্যাঁচ) তো অনেক, তাই না! কেউ কিছু বললো — তোমার উদ্দেশ্যে বাবা এ’কথা বলেছেন যে এর দেহ-অভিমান আছে, বাইরের চাকচিক্যই বেশী — এ’কথা কেউ বললে, ব্যস্ জ্বর এসে যাবে। ঘুমও উড়ে যাবে। অর্ধেক কল্পের মানুষ এরকমই, কাউকে তৎক্ষণাৎ জ্বরে ফেলে দেবে, সঙ্গে-সঙ্গে মুখচোখ ফ্যাকাসে হয়ে যাবে। সেইজন্য বাবা বলেন — এরকম কোনো বাহ্যমুখী কথা শুনোনা। বাবা কখনো কারোর নিন্দা করেন না। বাবা তো বোঝানোর জন্যই বলেন। উল্টোপাল্টা কথা একে-অপরকে শোনালে ভাল-ভাল বাচ্চারাও অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। তখন বিশ্বাসঘাতক (ট্রেটর) হয়ে একে-অপরকে বাহ্যমুখী কথা-বার্তা শোনাতে থাকবে। ভক্তিমার্গেও কি-কি ধরণের কাহিনী তৈরী করেছে। তোমরা এখন জ্ঞান পেয়েছো, সে’জন্য তোমরা কখনো ‘হে রাম বা হায়! ভগবান’-ও বলতে পারো না, এই শব্দগুলিও ভক্তিমার্গের। তোমাদের মুখ থেকে এরকম শব্দ নির্গত হওয়া উচিৎ নয়। বাবা কেবল বলেন — আদরের মিষ্টি বাচ্চারা, আত্ম-অভিমানী হও। কত ভালবেসে বোঝান। কারোর কথা শুনো না, ব্যর্থ পরচিন্তন কোরো না। একটি কথা পাকা করে নাও — আমরা হলাম আত্মা। আত্মা অবিনাশী, শরীর বিনাশী। আত্মাই সংস্কার ধারণ করে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের আত্ম-অভিমানী হতে হবে। দ্বাপর থেকে তোমরা রাবণের রাজ্যে দেহ-অভিমানী হও সেইজন্য এখন দেহী-অভিমানী হতে পরিশ্রম হয়। প্রতিমুহূর্তে বুদ্ধিতে এ’কথা আসা উচিত যে আমরা অসীম জগতের পিতাকে পেয়েছি। প্রতি কল্পে বাবা উত্তরাধিকার প্রদান করেন। এখন ওঁনার মতানুসারে চলতে হবে। ওঁনার উদ্দেশ্যেই গায়ন রয়েছে — তুমি মাতা-পিতা…… তিনিই সর্ব-সম্বন্ধের সুখ প্রদানকারী, ওঁনার মধ্যেই সকলপ্রকারের মধুরতা নিহিত রয়েছে। বাকি আর মিত্র-সম্বন্ধীয় ইত্যাদিরা দুঃখই দেবে। একমাত্র বাবা-ই আছেন যিনি সকলকে সুখ দান করে থাকেন। পথও একদম সহজ বলেন যে নিজেকে আত্মা মনে করে আমায় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। বাবা বোঝান যে এ কোনো নতুন কথা নয়। তোমরা জানো, প্রতি ৫ হাজার বছর পর আমরা এমন বাবার নিকটে আসি, ইনি কোনো সাধু-সন্ত নন। তোমরা কোনো সাধু-সন্তাদির নিকটে থাকো না, হ্যাঁ এছাড়া বাবা বলেন — প্রবৃত্তি মার্গের সম্বন্ধের সঙ্গে সম্পর্ক জুড়ে রাখতে হবে। তা নাহলে আরও খিটমিট (গোলমাল) লেগে যাবে, যুক্তিসহকারে চলো। প্রত্যেককে স্নেহ-ভালবাসা দিয়ে বোঝাতে হবে যে দেখো, এখন বিনাশের সময় নিকটে এসে গেছে, এই আসুরীয় দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। এখন দেবতা হতে হবে, দৈব-গুণ এখানেই ধারণ করতে হবে। ভালবেসে বোঝানো উচিত। দেবতারাও পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি খায় না। আমরাও মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছি তাহলে আমরা এ’সব কিভাবে ভোজন করতে পারি। তোমাদেরও পরামর্শ দিই — এ’সমস্ত ত্যাগ করো। এ’রকম জিনিস আমরা খাই না। এখন তোমরা দৈব-গুণের শিক্ষাদানকারী অসীম জগতের পিতাকে পেয়েছো সেইজন্য সর্বগুণসম্পন্ন….. এখানেই হতে হবে। এখানেই হবে তবেই পুনরায় ভবিষ্যতের নতুন দুনিয়ায় আসবে। এরকমভাবেই এ’সব হয়ে থাকে, যেমন রাতের পর পুনরায় দিন হয়। এখন রাতের শেষেই দৈব-গুণ ধারণ করতে হবে তবেই পুনরায় দিন হয়ে যাবে। প্রত্যেককে নিজের পরীক্ষা নিজেই নিতে হবে। এমনও নয় যে বাবা সবকিছুই জানে। তুমি নিজেকে দেখো না! স্টুডেন্ট কখনওই বলবে না যে টিচার তো সবকিছুই জানে। পরীক্ষার দিন সম্মুখে এলে তখন বাচ্চারা স্বয়ং বুঝে যায় আমরা কিভাবে পাশ করবো, কোন্ সাবজেক্টে আমরা দুর্বল। নম্বর কম পাব কিন্তু পরে সব মিলিয়ে পাশ করে যাব। এরকম মনে করলে তখন এতেও নিজেকে যাচাই করতে হবে। আমার মধ্যে কি কমজোরী আছে ? আমি অত্যন্ত মধুর হতে পেরেছি কি ? সকলকে ভালবেসে বোঝাতে হবে — আমি আত্মাদের বাবা পরমপিতা পরমাত্মা। মানুষের কথা নয়। আমরা নিরাকারকে ভগবান বলে থাকি, রচয়িতা ঈশ্বর একজনই, বাকি সব হলো রচনা। রচনার থেকে কেউ উত্তরাধিকার পেতে পারে না, নিয়ম নেই। এখন সকল রচনার সদ্গতিদাতা হলেন এক রচয়িতা বাবা। তারমধ্যে সাধু-সন্ত সকলেই এসে যায়। সকলেই তো আত্মা, তাই না! হ্যাঁ, মানুষ তো ভাল-মন্দ হয়ই, পজিশনও উঁচু-নিচু হয়। সন্ন্যাসীরাও নম্বরের অনুক্রমেই হয়। কেউ আবার দেখো, ভিক্ষা করতে থাকে, কেউ তো সকলের পায়ে পড়ে। বাচ্চারা, তোমাদেরকেও উচ্চ হতে হবে, অতি মধুর হও। কখনও ক্রোধবশতঃ কথা বলা উচিত নয়, যতখানি সম্ভব ভালবেসে কাজ করাও। বলে যে, বাচ্চারা ভীষণ বিরক্ত করে, সে তো আজকালকার বাচ্চা এরকমই হয়ে থা। স্নেহ দিয়ে তাদের বোঝাও। দেখানো হয় যে কৃষ্ণ দুষ্টুমি করতো সে’জন্য তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। যতখানি সম্ভব স্নেহ দিয়ে বোঝাতে হবে অথবা লঘু শাস্তি। বেচারা অবোধ (অজ্ঞানী)। সময়ই এরকম। বাইরের সঙ্গদোষ অত্যন্ত খারাপ। অসীম জগতের বাবা এখন বলেন — তোমাদের মূর্তি ইত্যাদি রাখার কোনও প্রয়োজনই নেই। কোনও পরিশ্রম করার প্রয়োজন নেই। শিবের চিত্রই বা কেন রাখবে! তিনি তো তোমাদের বাবা, তাই না! বাচ্চারা ঘরে বাবার চিত্র কেন রাখবে ? বাবা তো সদাই হাজির, তাই না! বাবা বলেন — আমি তো এখন হাজির-নাজির হয়েছি, তাই না! তাহলে চিত্রের তো কোনও প্রয়োজন নেই। আমি বাচ্চাদের বসে-বসে বোঝাই। তারা বলে — বাপদাদাকে দেখবো। এখন বাবা তো নিরাকার, ওঁনাকে তো দেখতে পারবে না, বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারবে। বাবা বলেন — আমি এঁনার মধ্যে প্রবেশ করে বসে থেকে তোমাদের নলেজ দিয়ে থাকি। তা নাহলে কিভাবে আসবো! কৃষ্ণের শরীরে কিভাবে আসবে ! সন্ন্যাসীদের মধ্যেও আসতে পারবো না। আমি আসিই তাঁর মধ্যে যিনি প্রথম স্থানে(নম্বরে) ছিলেন। তিনিই এখন সর্বশেষ স্থানে রয়েছেন। এখন তোমাদেরও পড়ে পুনরায় প্রথম স্থানে যেতে হবে। পড়ান যিনি, তিনি তো একজনই, যাঁকে জ্ঞানের সাগর বলা হয়। অত্যন্ত ভালো জ্ঞানই তোমরা পাও। তোমরা জানো — শান্তিধাম আমাদের ঘর, সুখধাম আমাদের রাজধানী। দুঃখধাম রাবণের রাজত্ব। এখন বাবা বলেন — মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, নিজেদের ঘর শান্তিধামকে স্মরণ করো, সুখধামকে স্মরণ করো। দুঃখধামের বন্ধনকে ভুলতে থাকো। এ’ভাবে আর কেউ বলতে পারে না। না তারা যেতে পারে। ড্রামার মাঝখান থেকে কেউ ফিরে যেতে পারে না। এই যে যারা বলে — জ্যোতি মহাজ্যোতিতে সমাহিত হয়েছে বা পরপারে নির্বাণে চলে গেছে, একজনও যায় না। সকলের পিতা বা মালিক একজনই পরমপিতা পরমাত্মা, তিনিই হলেন সকল প্রিয়তমাদের একমাত্র প্রিয়তম। ওই শরীরধারী প্রেমিক-প্রেমিকারা একে-অপরকে স্মরণ করে, বুদ্ধিতে চিত্র চলে আসে। তারপর একে-অপরকে স্মরণ করতে থাকবে। ভোজনও করতে থাকবে, স্মরণও করতে থাকবে। ওরা হলো এক জনমের প্রেমিক-প্রেমিকা। তোমরা হলে জন্ম-জন্মান্তরের প্রেমিকা, এক প্রিয়তমের। তোমাদের আর কিছুই করতে হবে না, কেবলমাত্র অদ্বিতীয় পিতাকে স্মরণ করতে হবে। ওই প্রেমিক-প্রেমিকাদের সামনে চিত্র চলে আসে। ব্যস, তাকে দেখতে-দেখতেই কাজ-কর্মও বন্ধ হয়ে যায় তারপর তার চেহারাও ফিকে হয়ে যায় তারপর আবার কাজ করতে শুরু করে দেয়। এখানে তো সে’রকম নয়। আত্মাও বিন্দু, পরমাত্মাও বিন্দু। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, এতেই পরিশ্রম, কেউই এ’রকমভাবে অভ্যাস করে না। আত্মার জ্ঞান প্রাপ্ত করেছো অর্থাৎ আত্মাকে রিয়েলাইজ করেছো, বাকি রইলো পরমাত্মা। সেও তোমরা জানো। বাবা এসে এখানে (ভ্রুকুটিতে) বসে। এঁনার স্থানও এখানেই। আত্মা কোথা থেকে চলে যায়, জানতে পারা যায় না। এর মুখ্য স্থান হলো ভ্রুকুটি। বাবা বলেন — আমিও বিন্দু, এঁর মধ্যে এসে বসেছি। তোমরা জানতেও পারো না। বাচ্চারা, বাবা বসে-বসে তোমাদের শোনান। আমি তোমাদের যা শোনান তা আমিও শুনি। বোঝান তো একদমই সঠিক। যারা দৈবী ধর্মের, তারা তৎক্ষনাৎ বুঝে যাবে — এই রাজধানী স্থাপিত হচ্ছে। প্রথমে স্থাপনা আর তারপরে বিনাশ হবে, আর কোনো ধর্ম-স্থাপকেরা এ’রকমভাবে বলবে না। তারা কেবল নিজেদের ধর্ম স্থাপন করে পরে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এখানে তো যে যতখানি পুরুষার্থ করে, ভবিষ্যতে ততটা উচ্চপদই লাভ করে। তোমরা ভবিষ্য ২১ জন্মের জন্য প্রালব্ধ তৈরী করো তাহলে কতখানি পুরুষার্থ করা উচিৎ আর করাও অতি সহজ। যোগও সহজ যার দ্বারা তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। বাবা বলেন — আমি গ্যারান্টি করেছি, প্রতি কল্পে আমিই এসে তোমাদের পবিত্র করি। ওখানে একজনও অপবিত্র হয় না। জ্ঞানও কত সহজ, ৮৪ জন্মের চক্র কিভাবে পরিক্রমা করে, সেই নলেজও বুদ্ধিতে রয়েছে। আমরা ৮৪-র চক্র পরিক্রমা করেছি, এই নিশ্চয় রাখতে হবে। নিশ্চয়তাতেই বিজয়। এ’রকম নয় যে কি জানি, আমরা ৮৪ জন্ম নিই বা তার কম, তা জানি না। যখন তোমরা ব্রাহ্মণ তখন তোমাদের নিশ্চয় থাকা উচিত, আমরা অবশ্যই ৮৪-র চক্র সম্পূর্ণ ভোগ করেছি। এ তো অতি সহজেই বোঝান যায়। বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে এইসমস্ত চিত্র বাবা দিব্য-দৃষ্টির দ্বারা তৈরী করেছেন। সঠিকও করেছেন। শুরুতে বাবা যখন বেনারসে একান্তে থাকতেন তখন বসে-বসে এরকম চক্র দেওয়ালে তৈরী করতেন। কিছুই বুঝতেন না যে এ’সব কি। খুশী হতেন। সাক্ষাৎকার হলে মনে হতো যেন উড়ে যাচ্ছি। এ’সব কি হতো, বুঝতে পারতাম না। তোমরা জানো, যে চিত্র পূর্বে তৈরী হয়েছিল তা পরে বদল করে নতুন-নতুন তৈরী করতেই থেকেছে। এখন নতুন-নতুন চিত্র পূর্বের মতোই বানানো হচ্ছে। সিড়ির চিত্র দেখো কত ভাল। এর উপর বোঝানো সহজ। দেরী করে যারা আসে তাদের আরো সহজ করে বোঝানো হয়। এখন নতুন নতুন যারা আসে, ৭ দিনে সম্পূর্ণ নলেজ বুঝে নেয়। পুরোনোদের থেকেও আগে চলে যায়। কেউ বলে আগে যদি আসতাম, ভাল হতো। এ’রকম দুশ্চিন্তাও কোরো না। আগে এলে তো আরোই ভোগান্তি হতো। দেরী করে যারা আসে, তারা সহজেই আসন প্রাপ্ত করে। দেখো, পূর্বে যারা ছিল তারা আর এখন নেই। শেষ হয়ে গেছে। পরে রেজাল্ট জানতে পারবে — কে পাশ করেছে। নতুন-নতুন বেরোয় আর তৎক্ষনাৎ সার্ভিস করতে লেগে পড়ে। পুরোনোরা এতখানি (সার্ভিসে) লাগে না। নতুন-নতুন বাচ্চারা সার্ভিসের দ্বারা হৃদয়ে চড়ে বসে। পুরোনো কত তো শেষ হয়ে গেছে সেইজন্য বাবা বলেন — যাদের সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ কুলভূষণ বলা হয়, তাদের মধ্যেই কেউ আশ্চর্য হয়ে শোনন্তি (শোনে), পরে ভাগন্তি (পালিয়ে) যায়। যা গাওয়া হয় তা এখন প্র্যাকটিক্যালি হচ্ছে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিজেকে নিজেই পরীক্ষা করো। দেখতে হবে, আমি অত্যন্ত মধুর হতে পেরেছি কি? আমার মধ্যে কি-কি খামতি রয়েছে? সমস্ত দৈব-গুণ ধারণ করেছি! নিজের চাল-চলন দেবতাদের মতন করতে হবে। আসুরীয় ভোজন-পান ত্যাগ করতে হবে।

২ ) কোনো বাহ্যমুখী কথা না শুনবে আর না বলবে। সহনশীল হতে হবে।

বরদানঃ-

ভবিষ্যতে চতুর্দিকের সেবার বিস্তারকে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন সাধনকে অবলম্বন করতে হবে। কারণ সেইসময় পত্রের ব্যবহার অথবা টেলিগ্রাম, টেলিফোন ইত্যাদি কাজ করবে না। সেইসময় ওয়্যারলেস সেট চাই, তারজন্য এখনই কর্মযোগী, আবার এখনই কর্মাতীত স্টেজে অবস্থান করার অভ্যাস করো, তবেই চতুর্দিকে সঙ্কল্পের সিদ্ধি দ্বারা সেবায় সহযোগী হতে পারবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top