15 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 14, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"হোলি কীভাবে উদযাপন হবে তথা সদাকালের পরিবর্তন কীভাবে হবে ?"

আজ সবার ভাগ্যবিধাতা বাবা তাঁর আপন হোলিহংসদের সাথে জ্ঞান রত্নের হোলি উদযাপন করতে এসেছেন। উদযাপন করা অর্থাৎ মিলন উদযাপিত হওয়া। বাপদাদা অতি স্নেহী, প্রত্যেক সহজযোগী, যারা সদা বাবার কার্যে সহযোগী, সদা পবিত্র বৃত্তি দ্বারা, পবিত্র দৃষ্টি দ্বারা সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে সেই সকল হোলি বাচ্চাদের দেখে প্রসন্ন হন। আজকালকার স্তুতিযোগ্য মহাত্মারাও তো পবিত্র হয়, কিন্তু তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা হাইয়েস্ট হোলি হও অর্থাৎ সঙ্কল্প-মাত্র, স্বপ্ন-মাত্রও অপবিত্রতা বৃত্তিকে, দৃষ্টিকে পবিত্র স্থিতি থেকে নিচে আনতে পারে না। প্রত্যেক সঙ্কল্প অর্থাৎ স্মৃতি পবিত্র হওয়ার কারণে বৃত্তি, দৃষ্টি আপনা থেকেই পবিত্র হয়ে যায়। না শুধু তোমরাই পবিত্র হও, বরং প্রকৃতিকেও তোমরা পবিত্র বানাও। সেইজন্য প্রকৃতি পবিত্র হওয়ার কারণে ভবিষ্যতে অনেক জন্ম তোমাদের পবিত্র শরীর প্রাপ্ত হয়। এইরকম হোলিহংস বা সদা পবিত্র সঙ্কল্পধারী শ্রেষ্ঠ আত্মা হয়ে ওঠো তোমরা। সর্বাপেক্ষা উঁচুতম বাবা সব বিষয়ে তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠ জীবনধারী তৈরি করেন। পবিত্রতাও সর্বাপেক্ষা উঁচু, সাধারণ নয়। সাধারণ পবিত্র আত্মারা মন থেকে তোমরা সব পবিত্র মহান আত্মাকে গ্রহণ ক’রে তোমাদের সামনে বলবে – আপনাদের পবিত্রতা অতি শ্রেষ্ঠ। আজকালকার গৃহস্থ নিজেকে অপবিত্র ভেবে যে পবিত্র আত্মাদের মহান মনে করে মাথা নোয়ায়, তো মহান আত্মা বলা সেই তোমরা সব শ্রেষ্ঠ পবিত্র আত্মাদের সামনে তারা স্বীকার করবে যে তোমাদের পবিত্রতা আর তাদের পবিত্রতার মধ্যে তারতম্য আছে।

হোলির এই উৎসব তোমরা সব পবিত্র আত্মার পবিত্র হওয়ার বিধির স্মৃতিচিহ্ন। কারণ তোমরা নম্বর-ক্রমিক পবিত্র আত্মারা সবাই বাবার স্মরণের একাগ্রতা ও নিষ্ঠার অগ্নি দ্বারা সদাসর্বদার জন্য অপবিত্রতাকে জ্বালিয়ে দাও। সেইজন্য প্রথমে তোমরা জ্বালানোর হোলি উদযাপন করো। কোন কিছু জ্বালিয়ে দেওয়া অর্থাৎ তার লেশমাত্র সমাপ্ত করে দেওয়া। কার্যতঃ, কোনকিছুর লেশমাত্র সমাপ্ত করতে হলে কী করে? জ্বালিয়ে দেয়। সেইজন্যই রাবণকে মারার পরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই স্মারকচিহ্ন তোমরা সব আত্মার, অপবিত্রতাকে তোমরা জ্বালিয়ে দিয়েছ অর্থাৎ তোমরা পবিত্র ‘হোলি’ হয়ে গেছ। বাপদাদা সবসময় শুনিয়ে থাকেন যে ব্রাহ্মণদের হোলি উদযাপন অর্থাৎ হোলি (পবিত্র) হওয়া। সুতরাং এটা চেক করো, অপবিত্রতাকে শুধু বিনাশ করেছ নাকি জ্বালিয়েছ? মৃত কেউ তবুও বেঁচে যায়, কোথাও না কোথাও শ্বাস লুকিয়ে থাকে। কিন্তু জ্বালিয়ে দেওয়া অর্থাৎ লেশমাত্র সমাপ্ত করে দেওয়া। কতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছ, নিজেকে নিজের চেক করতে হবে। এমনকি, স্বপ্নেও অপবিত্রতার লুকিয়ে থাকা শ্বাস আবারও জীবিত হওয়া উচিত নয়। একে বলে – শ্রেষ্ঠ পবিত্র আত্মা। সঙ্কল্প দ্বারা স্বপ্নও পরিবর্তিত হয়ে যায়।

আজ বতনে বাপদাদা বাচ্চাদের সময় সময়তে বাবার কাছে করা প্রতিজ্ঞা তাদের সঙ্কল্পে এবং লেখায় দেখছিলেন। হয় তারা স্থিতিতে মহারথী, অথবা সেবায় মহারথী – সময় সময়তে উভয়ে খুব ভালো ভালো প্রতিজ্ঞা করেছে। মহারথীও দু’ প্রকারের। এক হলো বরদান বা উত্তরাধিকারের নিজ প্রাপ্তির পুরুষার্থের ভিত্তিতে মহারথী আর এক হলো কোনো না কোনো সেবার বিশেষত্বের ভিত্তিতে মহারথী। বলা তো হয় উভয়ই মহারথী, কিন্তু প্রথম নম্বর সম্বন্ধে তোমাদের যে বলা হয়েছে স্থিতির আধারে মহারথী, তারা সদা তাদের মনে অতীন্দ্রিয় সুখ, সন্তুষ্টতা, সকলের হৃদয় থেকে প্রাপ্ত স্নেহের স্বরূপ হওয়ার দোলায় দুলতে থাকে। আর দ্বিতীয় নম্বর হলো যারা সেবার বিশেষত্বের আধারে তন দ্বারা অর্থাৎ বাহ্যিকরূপে বিশেষত্বের ফলস্বরূপ সন্তুষ্ট প্রতীয়মান হবে। সেবার বিশেষত্বের কারণে তাদের মনের সন্তুষ্টতা সেবা-ভিত্তিক। সেবায় তাদের বিশেষত্বের কারণে সকলের স্নেহও থাকবে, কিন্তু মন থেকে বা হৃদয় থেকে সদা হবে না। কখনো হবে উপরিগত, কখনো হৃদয় থেকে। কিন্তু সেবার বিশেষত্ব তাদের মহারথী বানিয়ে দেয়, গুনতিতে তারা মহারথীদের লাইনে।

তাইতো আজ বাপদাদা মহারথী বা পুরুষার্থী উভয়ের প্রতিজ্ঞা দেখছিলেন। এইমাত্র, সবে-সবে অনেক প্রতিজ্ঞা করেছ। তাহলে বাবা কী দেখলেন? প্রতিজ্ঞা থেকে লাভ তো হয়, কারণ দৃঢ়তার ফুল ‘অ্যাটেনশন’ থাকে তোমাদের। প্রতিজ্ঞার বারংবার স্মৃতি শক্তি প্রাপ্ত করায়। এইজন্য অল্পবিস্তর পরিবর্তন হয় ঠিকই, কিন্তু বীজ চাপা পড়ে থাকে। সেইজন্য যখন সে’রকম সময় বা সমস্যা উৎপন্ন হয় তখন ‘সমস্যা’ অথবা ‘কারণ’-এর জল পেয়ে চাপা পড়ে থাকা বীজ আবারও পল্লবিত হতে শুরু করে। সদাসর্বদার জন্য সমাপ্ত হয় না। বাপদাদা দেখছিলেন, জ্বালানোর হোলি কা’রা কা’রা উদযাপন করেছে! যখন বীজকে জ্বালানো হয় তখন জ্বলে যাওয়া বীজ কখনো ফল দেয় না। প্রতিজ্ঞা তো সবাই করেছে যে অতীতকে অতীত ক’রে, এখন পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে, তা’ নিজেদের প্রতি হোক বা অন্যদের প্রতি, আমরা সবকিছু সমাপ্ত ক’রে পরিবর্তন করব। সবাই সবেমাত্র প্রতিজ্ঞা করেছ, তাই না! আন্তরিকভাবে অধ্যাত্ম বার্তালাপে তোমরা তো সবাই প্রতিজ্ঞা করো, করো না? প্রত্যেকের রেকর্ড বাপদাদার কাছে আছে। খুব সুন্দরভাবে প্রতিজ্ঞা করো। কেউ কেউ করে গীত-কবিতা দ্বারা, কেউ কেউ করে চিত্র দ্বারা।

বাপদাদা দেখছিলেন তোমরা যতটা চাও, ততটা পরিবর্তন কেন হয় না? এর কারণ কী, সদাসর্বদার জন্য কেন সমাপ্ত হয়ে যায় না, তাহলে তিনি কী দেখলেন? তোমরা নিজেদের প্রতি বা অন্যদের প্রতি সঙ্কল্প করো যে এই দুর্বলতা আর আসতে দেবে না কিংবা অন্যদের ক্ষেত্রে তোমরা ভাবো যে কোনও আত্মার প্রতি সংস্কারের কারণে বা হিসেবনিকেশ চুকে যাচ্ছে সেই কারণে সঙ্কল্পে বা বোলে অথবা কর্মে সংস্কারের যা’ই সঙ্ঘর্ষ হোক, তোমরা তার পরিবর্তন করবে। কিন্তু সময় সময়ে এটা কেন রিপিট হয়? তার কারণ, তোমরা ভাবো যে এক নির্দিষ্ট আত্মার সংস্কার জেনে নিজেকে সেফ রেখে সেই আত্মাকে শুভ ভাবনা, শুভ কামনা দেব, কিন্তু যেভাবে অন্যের দুর্বলতা দেখা, শোনা বা গ্রহণ করার অভ্যাস ন্যাচারাল আর বহুকালের হয়ে গেছে, এর পরিবর্তে যদি তোমাদের এই অভ্যাস না থাকে যে এ’ তো খুব ভালো, তাহলে তার পরিবর্তে কী দেখা উচিত, সেই আত্মার থেকে কী গ্রহণ করা উচিত – সে’টা বারবার অ্যাটেনশনে থাকে না। তোমাদের মনে থাকে যে এ’টা অবশ্যই করব না, কিন্তু এই ধরণের আত্মার প্রতি কী করা উচিত, কী ভাবনা, কী দেখা উচিত – এই সব বিষয়ে তোমাদের ন্যাচারাল অ্যাটেনশন থাকে না। যেমন, কোনো জায়গা খালি থাকা সত্ত্বেও, সেই জায়গা যদি ভালোভাবে ইউজ না করা হয় তাহলে নোংরা অথবা মশা ইত্যাদি আপনা থেকেই আমদানি হয়। কারণ বায়ুমন্ডলে ধুলোময়লা, মশা আছেই, সেইজন্য একটু একটু করে আবার বেড়ে যায়। জায়গা ভরা প্রয়োজন। যখনই আত্মাদের সঙ্গে সম্পর্কে আস, প্রথমে ন্যাচারাল পরিবর্তনের শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পের স্বরূপ স্মৃতিতে আসতে দাও। কারণ ইতিমধ্যে তোমরা নলেজফুল হয়েই যাও। সবার গুণ, কর্তব্য, সংস্কার, সেবা, স্বভাব পরিবর্তনের শুভ সংস্কার এবং স্থান সদা পরিপূর্ণ হলে তবে অশুদ্ধকে নিজে থেকেই সমাপ্ত করে দেবে। যেমন তোমাদের শোনানো হয়েছিল – অনেক বাচ্চা যখন স্মরণে বসে বা ব্রাহ্মণ জীবনে চলতে-ফিরতে স্মরণের অভ্যাস করে তখন স্মরণে শান্তির অনুভব করে, কিন্তু খুশির অনুভব করে না। শুধু শান্তির অনুভূতি কখনো কখনো মাথা ভারী করে দেয় আর কখনো নিদ্রাবস্থায় নিয়ে যায়। শান্তির স্থিতির সাথে তোমাদের খুশি থাকে না। অতএব, যেখানে খুশি নেই, সেখানে উৎসাহ-উদ্দীপনা হয় না আর যোগ লাগিয়েও নিজের প্রতি সন্তুষ্ট হয় না, ক্লান্ত হয়ে থাকে। সদা ভাবনার মুডে থাকে, ভাবতেই থাকে। খুশি কেন আসে না, এরও কারণ আছে। কারণ তোমরা শুধু এটা ভাবতে থাক, আমি আত্মা, বিন্দু, জ্যোতিস্বরূপ, বাবাও এইরকমই। কিন্তু আমি কোন ধরনের আত্মা! আমি আত্মার বিশেষত্ব কী? যেমন আমি পদ্মাপদম ভাগ্যবান আত্মা, আমি আত্মা আদি রচনা, আমি বাবার হৃদয় সিংহাসনাসীন হওয়া আত্মা। এই বিশেষত্ব যে খুশি নিয়ে আসে সেই বিষয়ে তোমরা ভাবো না। শুধু আমি বিন্দু, জ্যোতি, শান্তস্বরূপ শুধু এ’রকম ভাবলে তোমরা নীল অবস্থায় অর্থাৎ শূন্যতায় চলে যাও। সেইজন্য মাথা ভারী হয়ে যায়। এইরকমই যখন নিজের প্রতি বা অন্য আত্মাদের প্রতি পরিবর্তনের দৃঢ় সঙ্কল্প করো, তখন নিজের এবং অন্য আত্মাদের শুভ, শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প বা বিশেষত্বের স্বরূপ সদা ইমার্জ রূপে বজায় রাখলে পরিবর্তন হয়ে যাবে।

যেমন, তোমাদের এই সঙ্কল্প আসে, এতো এ’রকমই, এতো এ’রকমই করে। এর পরিবর্তে ভাবো যে তার বিশেষত্ব অনুযায়ী সে এ’রকম বিশেষ। দুর্বলতা সম্বন্ধে তোমরা যেমন “এ’রকম” আর “সে’রকম” ভাবো, ঠিক তেমনই শ্রেষ্ঠত্ব বা বিশেষত্বের “এ’রকম” আর “সে’রকম” আছে, এখন সেটাই সামনে আনো। পরিবর্তন করো তোমার স্মৃতি, স্বরূপ, বৃত্তি আর দৃষ্টিকে। নিজেকে দেখ আর অন্যদেরও দেখ এই রূপে। একেই বলে, স্থান পরিপূর্ণ করে দিয়েছে, খালি ছেড়ে দেয়নি। এই বিধিতে জ্বালানোর হোলি উদযাপন করো। নিজের প্রতি বা অন্যদের প্রতি এমন ভেব না, “দেখ আমি বলেছিলাম না যে এতো পরিবর্তন হওয়ারই নয়!” কিন্তু সেই সময় নিজেকে জিজ্ঞাসা করো, “আমি কি পরিবর্তন হয়েছি?” স্ব-পরিবর্তন দ্বারাই অন্যদেরও পরিবর্তন তোমাদের সামনে নিয়ে আসবে। তোমরা প্রত্যেকে এটাই ভাবো – “প্রথমে আমাকে পরিবর্তনের এক্সাম্পল হতে হবে।” একে বলে, হোলি জ্বালানো। জ্বালানো ব্যতীত উদযাপন হয় না। প্রথমে জ্বালানোই হয়। কারণ, একবার যখন জ্বালিয়ে দিয়েছ, তোমরা স্বচ্ছ হয়ে গেছ, শ্রেষ্ঠ পবিত্র হয়ে গেছ। সুতরাং এমন আত্মা আপনা থেকেই বাবার সঙ্গের রঙে সবসময় রঙিন হয়ে থাকে। সদাই এমন আত্মারা বাবার সাথে এবং সকল আত্মাদের সাথে মঙ্গল-মিলন অর্থাৎ কল্যাণকারী শ্রেষ্ঠ শুভ মিলন উদযাপন করতেই থাকে। বুঝেছ?

এইরকম হোলি উদযাপনই করতে চলেছ, তাই না? যেখানে উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে, সেখানে প্রতি মুহূর্তই উৎসব। অতএব, খুশির সাথে ভালোভাবে উদযাপন কর, খেল, খাও, আনন্দ কর, কিন্তু সদা হোলি হয়ে মিলন উদযাপন করতে থাক। আচ্ছা!

যারা, সদা প্রতিটা সেকেন্ড বাবার বরদানে অভিনন্দিত হয়, সদা প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মার শুভ ভাবনার দ্বারা অভিনন্দিত হয়, সদা সেই অতি শ্রেষ্ঠ পবিত্র আত্মাদের, সদা সঙ্গের রঙে রঞ্জিত হওয়া আত্মাদের, সদা বাবার সাথে মিলন উদযাপনকারী আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

পার্সোনাল সাক্ষাতের সময়কালে বরদান রূপে উচ্চারিত মহাবাক্যঃ

১ ) নিজেদের সদা বাবার স্মরণের ছত্রছায়ায় থাকা শ্রেষ্ঠ আত্মা অনুভব কর? ছত্রছায়াই সেফটির উপায়। এই ছত্রছায়া থেকে সঙ্কল্পেও যদি পা বাইরে বের কর তাহলে কী হবে? রাবণ তুলে নিয়ে যাবে আর শোক বাটিকায় বসিয়ে দেবে। তাহলে ওখানে তো যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সদা বাবার ছত্রছায়ায় থাকা আমি বাবার স্নেহী আত্মা – এই অনুভবে থাক। এই অনুভবের সাথে সদা শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে যেতে থাকবে।

২ ) সদা নিজেকে বাপদাদার নজরে সমাহিত আত্মা অনুভব কর? নয়নে সমাহিত আত্মার স্বরূপ কী হবে? নয়নে কী আছে? বিন্দু। দেখার সব শক্তি বিন্দুতে আছে, তাই না! সুতরাং নয়নে সমাহিত হওয়া অর্থাৎ সদা বিন্দু স্বরূপে নিজেকে অনুভব করা – এইরকম অনুভব তো হয় তোমাদের না! একেই বলে, ‘নূরে রতন’ তথা ‘নয়নের আলো’ । অতএব, সদা নিজেদর এই স্মৃতিতে অগ্রচালিত করতে থাক। সদা এই নেশায় থাক, “আমি নূরে রতন (নয়নের আলো) আত্মা।

বরদানঃ-

প্রভাবে প্রভাবিত ক’রে মাস্টার জ্ঞান-সূর্য ভব
যেমন, আকর্ষণ করে এমন কোনো জিনিস যখন আশপাশের সবাইকে আকর্ষণ করে, তখন সেদিকেই সকলের অ্যাটেনশন যায়। কার্যতঃ, যখন তোমাদের বৃত্তি অলৌকিক, আত্মিক ভাবের হবে তখন আপনা থেকেই তোমাদের প্রভাব অনেক আত্মার উপরে পড়বে। অলৌকিক বৃত্তি অর্থাৎ স্বতন্ত্র হয়েও প্রিয় হওয়ার স্থিতি নিজে থেকেই অনেক আত্মাকে আকর্ষণ করে। এইভাবে অলৌকিক শক্তিশালী আত্মারা মাস্টার জ্ঞান-সূর্য হয়ে তাদের আপন প্রকাশ চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top