11 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
10 August 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা — বাবা মিষ্টি থেকে মিষ্টি স্যাকারিন, সেইজন্য অন্যান্য সব বিষয় ছেড়ে এক বাবাকেই স্মরণ করলে তোমরাও মিষ্টি স্যাকারিন হতে পারবে"
প্রশ্নঃ --
তোমরা বাবার কাছ থেকে শ্রীমত নিয়ে নিজেদের ভিতরে কোন্ সংস্কার ভর্তি করছ ?
উত্তরঃ -:-
ভবিষ্যতে পরামর্শদাতা ছাড়াই (উজির) সম্পূর্ণ বিশ্বে রাজত্ব করার। তোমরা এখানে এসেইছ ভবিষ্যতে রাজধানী পরিচালনা করার জন্য শ্রীমত নিতে। বাবা তোমাদের এমনই শ্রীমত দিয়ে থাকেন যাতে অর্ধকল্প তোমাদের আর কারো পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজনই পড়ে না। পরামর্শ তাদেরই নিতে হয় যাদের বুদ্ধি কমজোর হয়।
গান:-
তুমিই মাতা ..
ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি আত্মিক বাচ্চারা এই গান শুনেছে। এই কথা কে বলেন মিষ্টি-মিষ্টি আত্মিক বাচ্চারা ? নিশ্চয়ই আত্মিক পিতাই এই কথা বলতে পারেন। মিষ্টি-মিষ্টি আত্মিক বাচ্চারা এখন সামনে বসে আছে আর অতি স্নেহের সাথে বাবা বোঝাচ্ছেন। এখন তোমরা জেনেছ সবাইকে সুখ শান্তি প্রদানকারী সবাইকে দুঃখ থেকে মুক্তি প্রদানকারী এক আত্মিক পিতা ছাড়া দুনিয়াতে আর কেউ নেই সেইজন্যই দুঃখে সবাই বাবাকেই স্মরণ করে থাকে। তোমরা বাচ্চারা বাবার সামনে বসে আছ। তোমরা জান বাবা আমাদের সুখধামের উপযুক্ত করে তুলছেন। সুখধামের মালিক বানান যে বাবা, তাঁর কাছে এসেছ। এখন বুঝতে পেরেছ সামনে বসে শোনা আর দূরে থেকে শোনার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। মধুবনে সামনে এসে শোন, মধুবন হলো প্রসিদ্ধ। মধুবন, বৃন্দাবনে ওরা (ভক্তি মার্গে) কৃষ্ণের চিত্র দেখিয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণ তো নেই। এখানে নিরাকার বাবা তোমাদের সাথে মিলিত হন। তোমাদের প্রতি মুহূর্তে নিজেদের আত্মা নিশ্চিত করতে হবে। আমি আত্মা বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি। সম্পূর্ণ কল্পে এই একটাই সময়। এই কল্প মাধুর্যময় সঙ্গম যুগ। এর নাম রাখা হয়েছে—পুরুষোত্তম। এটাই সেই সঙ্গম যুগ, যখন মানুষ মাত্রই উত্তম হয়ে ওঠে। এখন তো সমস্ত মানুষের আত্মাই তমোপ্রধান যা পুনরায় সতোপ্রধান হয়ে ওঠে। সতোপ্রধান মানুষ উত্তম হয়। তমোপ্রধান হলে মানুষ নীচে নেমে যায়। সুতরাং আত্মাদের পিতা সামনে বসে বোঝান। সম্পূর্ণ ভূমিকা আত্মাই পালন করে থাকে, নাকি শরীর। আত্মা আর শরীর দুই-এর মেলবন্ধন ঘটলে রোল প্লে হয়ে থাকে। তোমাদের বুদ্ধিতে এসেছে যে আমরা আত্মারা প্রকৃতপক্ষে নিরাকার দুনিয়া বা শান্তিধামের নিবাসী, এটা কারো জানা নেই। না নিজেরা বোঝে, না কাউকে বোঝাতে পারে। তোমাদের বুদ্ধির তালা এখন খুলে গেছে, তোমরা বুঝেছ প্রকৃতপক্ষে আত্মারা পরমধামে থাকে। ওটা হলো নিরাকার দুনিয়া। এখানে সাকারী দুনিয়া। এখানে আমরা সব আত্মারা কুশীলব নিজেদের ভূমিকা পালন করে চলেছি। সর্বপ্রথম আমরা ভূমিকা পালন করতে আসি। তারপর ক্রমানুসারে অন্যান্যরা আসে। সমস্ত কুশীলবরা একত্রে আসা যাওয়া করে না। ভিন্ন-ভিন্ন ধরনের কুশীলবেরা আসা যাওয়া করে। সবাই একত্রিত তখনই হয় যখন নাটক সম্পূর্ণ হয়। এখন তোমরা আত্মার পরিচিতি লাভ করেছ যে আসলে আত্মারা শান্তিধামের নিবাসী – এখানে আসি ভূমিকা পালন করতে। বাবা সম্পূর্ণ সময় ধরে ভূমিকা পালন করতে আসেন না। আমরাই ভূমিকা পালন করতে-করতে তমোপ্রধান হয়ে পড়ি। এখন বাচ্চারা তোমাদের সামনে বসে শুনতে খুব মজা লাগছে। এতো মজা তো মুরলী পড়লেও হয়না। এখানে (মধুবন) সামনে বসে আছ না ! সুতরাং সর্বপ্রথম সত্যযুগের আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরাই এসে থাকে। তোমরা জান ভারত দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, এখন আর নেই। চিত্র দেখে থাক যখন তখন অবশ্যই ছিল। প্রথমে আমরাই দেবী-দেবতা ছিলাম, নিজেদের ভূমিকা স্মরণ করবে নাকি ভুলে যাবে ? বাবা মনে করিয়ে দেন — তোমরা এই ভূমিকা পালন করে ছিলে, এটাই ড্রামা। নতুন দুনিয়া যা পরে পুরানো হয়ে যায়। সর্বপ্রথম উপর থেকে যে আত্মারা আসে তারা গোল্ডেন এজে আসে। এ’সব বিষয় এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। সত্যযুগের আদিতে তোমরাই ভূমিকা পালন করতে এসেছিলে। তোমরা বিশ্বের মালিক মহারাজা-মহারানী ছিলে। তোমাদের রাজধানী ছিল। এখন আর নেই। এখন তোমরা শিখছ কিভাবে রাজত্ব চালাবে,ওখানে উজির থাকে না। পরামর্শদাতার প্রয়োজনই পড়ে না। তারা (ব্রাহ্মণ বাচ্চারা) শ্রীমত দ্বারা শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠে তারপর সত্যযুগে তাদের অন্য কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার দরকার পড়ে না। যদি কারো কাছে পরামর্শ নেয় তবে বোঝা যাবে তার বুদ্ধি কমজোর। এখন যে শ্রীমত পাপ্ত করছ সত্যযুগেও তা বহাল থাকে। এখন তোমাদের আত্মা ফ্রেশ হচ্ছে। এখন বাচ্চারা তোমাদের দেহী-অভিমানী হতে হবে। শান্তিধাম থেকে এসে তোমরা এখানে কথা বলছ। কথা ছাড়া কর্ম হতে পারে না। এটাই বোঝার বিষয়। যেমন বাবার মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে, তেমনই তোমরা আত্মাদের মধ্যেও এখন জ্ঞান আছে। আত্মা বলে আমরা এক শরীর ত্যাগ করে, সংস্কার অনুযায়ী অন্য শরীর ধারণ করি। পুনর্জন্ম অবশ্যই হয়। আত্মা যে ভূমিকা পালন করার সুযোগ পেয়ে থাকে, সেটাই প্লে করে থাকে আর সেই সংস্কার অনুযায়ী দ্বিতীয় জন্ম গ্রহণ করে থাকে।
বারংবার জন্ম নিয়ে ভূমিকা পালন করতে-করতে আত্মার পবিত্রতা একটু-একটু করে হ্রাস পেতে থাকে। পতিত শব্দটি দ্বাপরের পর থেকেই কর্মে আসে কিছু পার্থক্য অবশ্যই থাকে। তোমরা নতুন বাড়ি তৈরি করার এক মাস পরে দেখবে কিছু পার্থক্য অবশ্যই হবে।
এখন তোমরা বুঝেছ বাবা আমাদের উত্তরাধিকার দিয়ে থাকেন। বাবা বলেন —আমি এসেছি তোমাদের উত্তরাধিকার প্রদান করতে। যে যত পুরুষার্থ করবে ততই উচ্চ পদ পাবে। বাবা কোনও পার্থক্য রাখেন না। বাবা জানেন আমরা আত্মাদের তিনি পড়াচ্ছেন। প্রত্যেক আত্মাই নিজের জন্য পুরুষার্থ করে থাকে। এখানে মেল ফিমেল দৃষ্টি বলে কিছু নেই। তোমরা সব বাচ্চারা অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার গ্রহণ করছ। সব আত্মারা ভাই-ভাই যাদের বাবা এসে শিক্ষা প্রদান করেন, উত্তরাধিকার দিয়ে থাকেন। বাবাই তাঁর আত্মিক বাচ্চাদের সাথে কথা বলেন তিনি বলেন আমার হারিয়ে যাওয়া মিষ্টি বাচ্চারা তোমরা দীর্ঘ সময় ভূমিকা পালন করতে-করতে এখন আবার এসে মিলিত হয়েছো, নিজেদের উত্তরাধিকার গ্রহণ করার জন্য। এটাই ড্রামায় নির্ধারিত। প্রথম থেকেই তোমাদের ভূমিকা নির্ধারিত হয়ে আছে। তোমরা কুশীলবরা নিজেদের ভূমিকা পালন করে চলেছ। আত্মা অবিনাশী, এর মধ্যেই অবিনাশী পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। শরীর তো পরিবর্তন হতেই থাকে। বাকি আত্মারা পবিত্র থেকে অপবিত্র হয়ে যায়। সত্যযুগ পবিত্র দুনিয়া। এক বলে পতিত দুনিয়া। এখন সুখধাম স্থাপনা হচ্ছে। বাকি আত্মারা সবাই মুক্তিধামে থাকবে। এই অনন্ত নাটক এখন সম্পূর্ণ হতে চলেছে। সব আত্মারা মশার মত ঝাঁকে ঝাঁকে যাবে। এই সময় কোনো আত্মা এলে এই পতিত দুনিয়াতে তার কি মূল্য! বাস্তবে মূল্য তো তার হবে যে প্রথমে নতুন দুনিয়াতে আসবে। নতুন দুনিয়া ছিল যা এখন পুরানো হয়ে গেছে। নতুন দুনিয়াতে দেবতারা ছিল, সেখানে দুঃখের কোনো চিহ্ন ছিল না। এখানে তো শুধুই দুঃখ। বাবা এসে দুঃখের দুনিয়া থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। এই পুরানো দুনিয়া অবশ্যই পরিবর্তিত হবে। ঠিক যেমন দিনের পরে রাত,রাতের পর আবার দিনের শুরু হয়। তোমরা জেনেছ আমরাই সত্যযুগের মালিক হব, সুতরাং কেন নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করব না! কিছু তো পরিশ্রম করতেই হবে। রাজত্ব কি এতোই সহজে পাওয়া যায়, বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মায়াও চমত্কার যা তোমাদের প্রতি মুহূর্তে ভুল করিয়ে দিয়ে থাকে। এর জন্য উপায় বের করতে হবে। এমনটা নয় যে আমার হয়েছ বলেই স্মরণ দীর্ঘ হবে। পুরুষার্থ করতে হবে না। তা কিন্তু নয়, যতক্ষণ জীবন থাকবে পুরুষার্থ করতে হবে। জ্ঞানের অমৃত পান করতে হবে। তোমরা জান এটাই আমাদের অন্তিম জন্ম। এই শরীরের ভান ছেড়ে দেহী-অভিমানী হতে হবে। গৃহস্থ পরিবারেও থাকতে হবে, পুরুষার্থও করতে হবে। শুধুই নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তুমিই মাতা, তুমিই পিতা… এ’সবই ভক্তি মার্গের মহিমা। তোমাদের শুধুমাত্র ঈশ্বরকে স্মরণ করতে হবে। একমাত্র স্যাকারিন আমি, তোমরাও সব বিষয় ছেড়ে মিষ্টি স্যাকারিন হয়ে ওঠো। এখন তোমাদের আত্মা তমোপ্রধান হয়ে গেছে , তাকে সতোপ্রধান করে তোলার জন্য স্মরণের যাত্রায় থাকো। সবাইকে বল বাবার কাছ থেকে সুখের উত্তরাধিকার গ্রহণ করার জন্য। সুখ হয় সত্যযুগে। সুখধাম স্থাপনা করেন বাবা, ওঁনাকে স্মরণ করা অতি সহজ,কিন্তু মায়ার তীব্রতা প্রবল সেইজন্য চেষ্টা করে (মায়ার বিরুদ্ধে গিয়ে) আমাকে স্মরণ করলে খাদ বেরিয়ে যাবে। সেকেন্ডে জীবন মুক্তি গাওয়াও হয়ে থাকে।
এই ড্রামায় প্রত্যেকের নিজের ভূমিকার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এই ড্রামায় মুখ্য ভূমিকা আমার (বাবার)। সবচেয়ে বেশি সুখও আমিই পাব। বাবা বলেন — তোমাদের দেবী-দেবতা ধর্ম অতিব সুখ দেবে। বাকিরা সবাই শান্তিধামে চলে যাবে—হিসেব নিকেশ মিটিয়ে। অতি বিস্তারে আমরা কেন যাব। বাবা আসেন সবাইকে নিয়ে যেতে। মশার ঝাঁকের মতো সবাইকে নিয়ে যাবেন। শরীর শেষ হয়ে যাবে। আত্মা যা অবিনাশী সেই হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে চলে যাবে। এমনটা নয় যে আত্মা আগুনে পড়ে পবিত্র হবে। আত্মাকে স্মরণের যোগ দ্বারাই পবিত্র হতে হবে। এটাই হলো যোগ-অগ্নি। ওরা বসে নাটক তৈরি করেছে — সীতা অগ্নি পার করেছে। অগ্নি কি একজনকেই পার হতে হবে! বাবা বুঝিয়েছেন — তোমরা সব সীতারা এই সময় পতিত হয়ে গেছ , কেননা রাবণ রাজ্য। এখন এক বাবার স্মরণেই তোমাদের পবিত্র হতে হবে। রাম একজনই। অগ্নি শব্দটি শুনে মনে করে, আগুন পার করেছে। বলা হয়েছে যোগ-অগ্নি আর কি ওরা কি বলেছে । আত্মা পরমাত্মার সাথে যোগযুক্ত হলে পতিত থেকে পাবন হতে পারবে। রাত-দিনের পার্থক্য। আত্মারা সবাই সীতা। রাবণের জেল শোক বাটিকায় বন্দি। এখানে সুখকে কাক বিষ্ঠার দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে। স্বর্গে অগাধ সুখ। সুতরাং বাচ্চারা জ্ঞান রত্ন দ্বারা তোমাদের ঝুলি ভরপুর করা উচিত। কোনো সংশয় আসা উচিত নয়। দেহ-অভিমান এলেই অনেক প্রশ্ন উঠে আসে। তারপর বাবা যেমন বলেন সেটা আর করেনা। মূল বিষয়ই হলো আমাদের পতিত থেকে পাবন হতে হবে। দ্বিতীয় কোনো সংকল্প করার প্রয়োজন নেই। এটা হলো পতিত দুনিয়া, সত্যযুগ পবিত্র দুনিয়া।
মূল বিষয় হলো পবিত্র হতে হবে। কে পবিত্র করে তোলেন, ওরা কিছুই জানে না। ওদের বল তোমরা পতিত হয়ে গেছ সুতরাং নষ্ট হয়ে যাবে। নিজেকে বিকারগ্রস্ত কেউ-ই মনে করেনা,বলে থাকে গৃহস্থালি তো ছিল — রাম-সীতা, লক্ষ্মী-নারায়ণেরও সন্তান ছিল না! ওখানেও তো বাচ্চা জন্ম গ্রহণ করে থাকে না! এটাই ভুলে গেছে যে সত্যযুগকে নির্বিকারী দুনিয়া বলা হয়। ওটা হলো শিবালয়। বাবা তোমাদের কত রকম যুক্তি দিয়ে বোঝান। ইনি বাবা, টিচার এবং সদ্গুরু যিনি সবাইকে সদ্গতি দিয়ে থাকেন। ওরা তো (ভক্তি মার্গে) একজন গুরু শরীর ত্যাগ করলে তার সন্তানকে গদিতে বসায়। সে কি করে সদ্গতি দেবে ! সবার সদ্গতি দাতা একজনই বাবা। রাবণ রাজ্যে দুর্গতি, রাম রাজ্যে হয় সদ্গতি। বাবা সবাইকে পবিত্র করে নিয়ে যান তারপর কেউ চট করে পতিত হয়ে যায় না, ক্রমানুসারে নীচে নেমে আসে। সতোপ্রধান থেকে সতো রজো তমো….তোমাদের বুদ্ধিতে ৮৪ চক্র বসে আছে। তোমরা এখন ঠিক লাইট হাউস। জ্ঞান দ্বারা জেনেছ এই চক্র কিভাবে ঘুরতে থাকে। এখন বাচ্চারা তোমাদের সবাইকে রাস্তা বলে দিতে হবে। তোমরা হলে পাইলট ,পথ প্রদর্শক। সবাইকে বলো — এখন শান্তিধাম, সুখধামকে স্মরণ কর। কলিযুগ দুঃখধামকে ভুলে যাও। আমরা তোমাদের সুন্দর পথ বলে দিচ্ছি, পতিত-পাবন একজনই নিরাকার বাবা। তাঁকে স্মরণ করলেই তোমরা পবিত্র হতে পারবে। তোমাদের আত্মার মধ্যে যে খাদ পড়েছে তা বেরিয়ে যেতে থাকবে। ভগবানুবাচ মন্মনাভব। শিব ভগবানুবাচ — বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি বিনাশ ঘটায় আর বিনাশ কালে পরমপিতা পরমাত্মার সাথে প্রীত বুদ্ধি থাকলে বিজয় প্রাপ্ত হয়। তোমাদের যত প্রীত বুদ্ধি হবে ততই উচ্চ পদ পাবে। দেহ-অভিমান থাকলে এতো উচ্চ পদ পাবে না। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) জ্ঞান রত্নের দ্বারা নিজেদের ঝুলি পরিপূর্ণ করতে হবে। কোনো রকম সংশয় থাকা উচিত নয়। যতটা সম্ভব বাবাকে স্মরণ করার পুরুষার্থ করে পবিত্র হতে হবে। বাকি অন্যান্য প্রশ্নে যাওয়া উচিত নয়।
২ ) এক বাবার প্রতিই প্রকৃত ভালোবাসা রেখে বাবার মতোই মিষ্টি স্যাকারিন হতে হবে।
বরদানঃ-
ছোট হোক বা বড় ‐- প্রত্যেকের পরামর্শকে তোমরা অবশ্যই রিগার্ড দেবে । কেননা কারো পরামর্শকে অসম্মান করা অর্থাত্ নিজেকে অসম্মান করা যদি কারো ব্যর্থ কথাকে বিরত করতে হয় প্রথমে তার প্রতি সম্মান দেখাও রিগার্ড কর তারপর সংশোধন কর। এটাই প্রকৃত উপায়। যখন এমনই রিগার্ড দেওয়ার সংস্কারে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে তখনই বিশ্ব থেকে তোমরাও রিগার্ড পাবে, সেইজন্যই বালক তথা মালিক, মালিক তথা বালক হও। বুদ্ধি যেন শুভ কল্যাণের ভাবনা দ্বারা সম্পন্ন হয়।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!