10 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

10 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

9 August 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন তোমাদের পাপের দুনিয়া থেকে বের করে শান্তির দুনিয়ায় নিয়ে যেতে, বাবার কাছ থেকে তোমরা সুখ - শান্তির দুটি উপহার পাও"

প্রশ্নঃ --

সম্পূর্ণ দুনিয়ায় প্রকৃত সন্ন্যাসী তোমরাই, প্রকৃত সন্ন্যাসিনী কাদের বলা হবে ?

উত্তরঃ -:-

প্রকৃত সন্ন্যাসিনী সেই, যার বুদ্ধিতে একের স্মরণ থাকবে, অর্থাৎ কেউই নয়, একমাত্র একজন । ওরা যদিও নিজেদের সন্ন্যাসিনী বলে, কিন্তু ওদের বুদ্ধিতে কেবলমাত্র ক্রাইস্টের স্মরণ থাকে না, ক্রাইস্টকেও ওরা ভগবানের সন্তান বলে । তাই ওদের বুদ্ধিতে দুইজন আছে, আর তোমাদের বুদ্ধিতে এক বাবা আছেন, তাই তোমরাই হলে প্রকৃত সন্ন্যাসিনী । তোমাদের প্রতি বাবার নির্দেশ হলো, তোমাদের পবিত্র থাকতে হবে ।

গান:-

এই পাপের দুনিয়া থেকে..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি আত্মারূপী বাচ্চারা এই গান শুনেছে । কারা শুনেছে ? আত্মারা । আত্মাকে পরমাত্মা বলা যাবে না । মনুষ্যকে ভগবান বলা যাবে না । আচ্ছা, এখন তোমরা হলে ব্রাহ্মণ । তোমাদের এখন দেবতা বলা হয় না । ব্রহ্মাকেও দেবতা বলা যাবে না । যদিও মানুষ বলে থাকে – ব্রহ্মা দেবতায়ে নমঃ, বিষ্ণু দেবতায়ে নমঃ….. কিন্তু ব্রহ্মা আর বিষ্ণুর মধ্যে তো অনেক তফাৎ । বিষ্ণুকে দেবতা বলা হয়, ব্রহ্মাকে দেবতা বলা যাবে না, কেননা ব্রহ্মা হলেন ব্রাহ্মণদের বাবা । ব্রাহ্মণদের দেবতা বলা যায় না । এখন এইসব কথা কোনো মানুষ, মানুষকে বোঝাতে পারে না, ভগবানই একথা বোঝান । মনুষ্য তো অন্ধ শ্রদ্ধায় যা মনে আসে, তাই বলে দেয় । তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝতে পারো — আধ্যাত্মিক পিতা আমাদের মতো বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন । তোমাদের নিজেকে আত্মা মনে করা উচিত । অহম্ আত্মা এই শরীর ধারণ করি । অহম আত্মা এই ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছি । আত্মা যেমন যেমন কর্ম করে, তেমন তেমন শরীর প্রাপ্ত হয় । শরীর থেকে আত্মা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন শরীরের প্রতি আর ভালোবাসা থাকে না । তখন আত্মার প্রতি প্রেম থাকে । আত্মার মধ্যেও প্রেম ততক্ষণই থাকে, যতক্ষণ আত্মা শরীরে থাকে । মানুষ পূর্বপুরুষদের ডাকে, তাদের শরীর তো শেষ হয়ে গেছে, তবুও তাদের আত্মাকে স্মরণ করে, তাই ব্রাহ্মণদের ডাকে । তারা বলে – অমুকের আত্মা এসো, এসে এই ভোজন গ্রহণ করো । এর অর্থ আত্মার প্রতি মোহ থাকে, কিন্তু প্রথমে শরীরের প্রতি মোহ ছিলো, সেই শরীর স্মরণে আসতো । এমন মনেই করে না যে, আমরা আত্মাকে ডাকছি । আত্মাই সবকিছু করে । আত্মার মধ্যেই ভালো বা মন্দ সংস্কার থাকে । প্রথম – প্রথম আসে দেহ বোধ, তারপর আরো বিকার আসতে থাকে । সবকিছু মিলিয়েই বলা হয় বিকারী । যার মধ্যে এই বিকার নেই, তাকে বলা হয় নির্বিকারী । এ তো তোমরা বুঝতে পারো যে, বরাবর ভারতে যখন দেবী – দেবতারা ছিলেন, তখন তাঁদের মধ্যে দৈবী গুণ ছিলো । এই লক্ষ্মী – নারায়ণের হলো দেবী – দেবতা ধর্ম । খ্রীস্টান ধর্মে যেন মেল আর ফিমেল সবাই খৃস্টান । এখানেও তেমন বলা হয় দেবী – দেবতা । রাজা – রানী, প্রজা সবাই দেবী – দেবতা ধর্মের । এ হলো খুবই উঁচু সুখ প্রদানকারী ধর্ম বাচ্চারা গীতও শুনেছে, একথা আত্মা বলছে যে, বাবা এমন জায়গায় নিয়ে চলো যেখানে আমি শান্তি – স্বস্তি পাই । সে তো হলো সুখধাম আর শান্তিধাম । এখানে অনেক অশান্তি আর অস্থিরতা । সত্যযুগে কোনো অস্থিরতা থাকে না । আত্মা জানে যে, বাবা ছাড়া অন্য কেউই স্বস্তির দুনিয়াতে নিয়ে যেতে পারবে না । বাবা বলেন – মুক্তি আর জীবনমুক্তি আমি কল্প – কল্প এই উপহার নিয়ে আসি, কিন্তু তোমরা ভুলে যাও, ড্রামাতে এই ভুলে যেতেই হবে । সব ভুলে গেলে তবেই তো আমি আসবো । এখন তোমরা ব্রাহ্মণ হয়েছো, তোমাদের এই নিশ্চয়তা আছে যে, আমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছি । যারা সম্পূর্ণ জ্ঞান ধারণ করতে পারবে না, তারা প্রথমে নতুন দুনিয়াতেও আসতে পারবে না । ত্রেতাতে বা ত্রেতার অন্তিমে এসে যাবে । সবকিছুই এই পুরুষার্থের উপর নির্ভর করে । সত্যযুগে সুখ ছিলো, সেখানে এই লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজ্য ছিলো । আচ্ছা, এর পূর্ব জন্মে এঁরা কে ছিলেন, কেউই জানে না । পূর্বজন্মে এঁরা ব্রাহ্মণ ছিলেন । তার পূর্বে শূদ্র ছিলেন । এই বর্ণের উপর তোমরা খুব ভালোভাবে বোঝাতে পারো ।

তোমরা এখন বুঝতে পারো, আমরা ২১ জন্মের জন্য শান্তি এবং স্বস্তি পাবো । বাবা আমাদের সেই পথ বলে দিচ্ছেন । আমরা এখনো পতিত, তাই অশান্তিতে আছি, দুঃখে আছি । যেখানে স্বস্তি থাকবে, সেখানে সুখ – শান্তি আছে বলা হবে । তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এখন এই সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান আছে । তোমরা বুঝতে পারো, বরাবর সত্যযুগে ভারত কতো সুখী ছিলো । দুঃখ বা অশান্তির নামমাত্র ছিলো না । তোমরা এখন স্বর্গে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো । তোমরা এখন ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়ের হয়েছো, আর ওরা হলো আসুরী সম্প্রদায়ের । বলা হয় তো – পাপ আত্মা । আত্মা অনেক আছে আর পরমাত্মা একজন । সবাই হলো ভাই – ভাই, সবাই পরমাত্মা হতে পারে না । এই সামান্য কথাও মানুষের বুদ্ধিতে নেই । বাবা বুঝিয়েছেন যে, এই সম্পূর্ণ দুনিয়া এক বড় অসীম জগতের দ্বীপ, ওইসব ছোটো – ছোটো দ্বীপ হয় । এই অসীম জগতের দ্বীপে এখন রাবণের রাজ্য । এইসব কথাকে মানুষ বুঝতেই পারে না । ওরা তো কেবল কাহিনী শোনাতে থাকে । কাহিনী বা গল্পকে জ্ঞান বলা হয় না । এর দ্বারা মানুষ সদগতি লাভ করে না । জ্ঞানের দ্বারাই সদগতি লাভ হয় । আর এই জ্ঞান প্রদানকারী হলেন একমাত্র বাবা, দ্বিতীয় আর কেউই নয় । ভক্তদের ভগবান এসেই রক্ষা করেন । মানুষ, মানুষকে রক্ষা করতে পারে না । শিব বাবা সমস্ত বাচ্চাদের উত্তরাধিকার প্রদান করেন । তিনি বাবাও, সদগুরুও আবার শিক্ষকও । তিনি উকিল এবং ব্যারিস্টারও, কেননা তিনি পাপের সাজা থেকেও মুক্ত করেন । সত্যযুগে কেউই জেলে যাবে না । বাবা সবাইকে জেল থেকে মুক্ত করেন । বাচ্চাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সব মনোকামনা পূরণ হয় । আবার রাবণের দ্বারা অশুদ্ধ মনোকামনা পূরণ হয় । বাবার দ্বারা শুদ্ধ মনোকামনা পূরণ হয় । শুদ্ধ মনোকামনা পূরণ হলে তোমরা সর্বদার জন্য সুখী হও । অশুদ্ধ কামনা হলো — পতিত – বিকারী হওয়া । পবিত্র যারা থাকে তাদের ব্রহ্মচারী বলা হয় । তোমাদেরও পবিত্র থাকতে হবে । পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে হবে । পতিত থেকে পবিত্র একমাত্র বাবাই তৈরী করেন । সাধু – সন্ত ইত্যাদিদের জন্ম তো বিকারের দ্বারাই হয়, দেবতাদের জন্য এমন বলাই যায় না । ওখানে বিকার থাকেই না । সে হলোই পবিত্র দুনিয়া । লক্ষ্মী – নারায়ণ সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলেন, সেইসময় ভারত পবিত্র ছিলো । একথা এখনই তোমরা বুঝতে পারো । সত্যযুগে যখন পবিত্রতা ছিলো, তখন শান্তি এবং সম্পদ ছিলো, সবাই সেখানে সুখী ছিলো, রাবণ রাজ্য যখন থেকে শুরু হয়েছে, তখন থেকে নেমেই এসেছে । এখন তো কেউই কাজের নয় । একদম কড়ি তুল্য হয়ে গেছে । এখন তোমরা আবার বাবার দ্বারা হীরে তুল্য হও । ভারতে যখন সত্যযুগ ছিলো, তখন সবাই হীরে তুল্য ছিলো । এখন তো কড়ি তুল্যও নেই । নিজের ধর্মকেই কেউ জানে না । মানুষ পাপ করতে থাকে । ওখানে তো পাপের নামই নেই । তোমরা দেবী – দেবতা ধর্মের নামিদামী, দেবতাদের অনেক চিত্র আছে । অন্য ধর্মে দেখবে একটাই চিত্র থাকে, খ্রীস্টানদের কাছে ক্রাইস্টের চিত্র থাকবে । বৌদ্ধদের কাছে এক বুদ্ধের চিত্র থাকে । খ্রিস্টানরা এক ক্রাইস্টকেই স্মরণ করে, তাদের সন্ন্যাসী বলা হয় । নান্স বা সন্ন্যাসীর অর্থ এক ক্রাইস্ট ছাড়া তারা আর কাউকেই স্মরণ করে না, এইজন্য বলা হয় একমাত্র ক্রাইস্ট, ওরা ব্রহ্মচারী থাকে । তোমরাও হলে সন্ন্যাসিনী । তোমরা তোমাদের গৃহস্থ জীবনে থেকেও সন্ন্যাসিনী হয়ে থাকো । তোমরা এক বাবাকেই স্মরণ করো । একমাত্র এই একজন, এক শিব বাবা, দ্বিতীয় আর কেউই নয় । ওদের বুদ্ধিতে তবুও দুজন এসে যায় । ক্রাইস্টের জন্যও বুঝবে যে, তিনি ভগবানের সন্তান ছিলেন, কিন্তু তাঁর ঈশ্বরীয় জ্ঞান ছিলো না । বাচ্চারা, তোমাদের জ্ঞান আছে, সম্পূর্ণ দুনিয়াতে এমন কেউই নেই যার পরমাত্মার জ্ঞান আছে । পরমাত্মা কোথায় থাকেন, তিনি কখন আসেন, তাঁর অভিনয় কি — এ কেউই জানে না । ভগবানকে সর্বজ্ঞ বলা হয় । মানুষ মনে করে, তিনি আমাদের মনের কথা জানেন । বাবা বলেন — আমি জানি না, আমার কি দরকার যে, প্রত্যেকের হৃদয়ে বসে তাদের মনের কথা পড়বো, আমি এসেছি পতিতকে পবিত্র করতে । কেউ যদি পবিত্র না থাকে, মিথ্যা কথা বলে, তাহলে নিজেদেরই ক্ষতি করে ফেলবে । এমন গায়ন আছে যে – দেবতাদের সভাতে অসুর গিয়ে বসতো । এখানে অমৃতের বণ্টন হয় কেউ যদি বিকারে গিয়ে আবার লুকিয়ে এখানে বসে, তাহলে তো অসুর হলো, তাই না । তারা নিজেরাই নিজেদের পদ ভ্রষ্ট করে দেবে । প্রত্যেককেই তাদের নিজেদের পুরুষার্থ করতে হবে । না হলে নিজেদেরই সর্বনাশ করে দেয় । এমন অনেকেই আছে যারা লুকিয়ে এসে বসে যায় । তারা বলে, আমরা বিকারে যাই-ই না, কিন্তু তারা বিকারে যেতে থাকে । এ তো নিজেদের ঠকানোই হলো । নিজেদেরই সর্বনাশ করে । পরমপিতা পরমাত্মা, যার রাইট হ্যান্ড ধর্মরাজ, তাঁর সামনে মিথ্যা কথা বললে নিজেরাই দণ্ডের ভাগীদার হয়ে যায় । অনেক সেন্টারেই এমন হয় বাবা যখন প্রথম বার দিল্লীতে গিয়েছিলেন, তখন রোজ একজন আসতো আর সে বিকারে যেতো । তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো — যখন পবিত্র থাকতে পারো না, তখন এখানে আসো কেন ? সে বলতো – না এলে কিভাবে নির্বিকারী হবো ! পবিত্রতা ভালো লাগে কিন্তু থাকতেও পারি না । অবশেষে তো একদিন শুধরে যাবো । না এলে তো আমার তরী ডুবেই যাবে । আর কোনো পথই নেই, তাই আমাকে এখানে আসতে হয় ।

বাবা বোঝান, তুমি পরিবেশ খারাপ করছো, কতদিন পর্যন্ত এভাবে আসতে থাকবে যারা পবিত্র হয়, পতিতদের প্রতি তাদের যেন ঘৃণা আসে । তারা বলে – বাবা, এর হাতের খাবারও ভালো লাগে না । বাবা উপায় বলে দিয়েছেন, খাওয়াদাওয়ার সমস্যা হলে, এমন তো নয় যে, তোমরা চাকরী ছেড়ে দেবে, তোমাদের যুক্তির দ্বারা চলতে হবে । কাউকে বোঝালে সে বিগড়ে যায় যে, পবিত্র কিভাবে থাকবে । এ তো কখনো শুনিনি । সন্ন্যাসীরাও থাকতে পারে না । যখন ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যায়, তখন পবিত্র থাকে, কিন্তু একথা কেউই জানে না যে, এখানে পতিত পাবন পরমপিতা পরমাত্মা পড়ান । তারা মানে না তাই বিরোধ করে । তারা বলে, শিব বাবা যে ব্রহ্মা তনে আসেন, কোনো শাস্ত্র দেখাও । এ তো গীতাতে লেখা আছে যে, আমি সাধারণ বৃদ্ধ শরীরে আসি । সে তাঁর নিজের জন্মকে জানে না । এ তো লেখাই আছে, তাহলে তোমরা কিভাবে বলো যে, পরমাত্মা কিভাবে মনুষ্য তনে আসবেন ? তিনি তো পতিত তনে এসেই পথ বলে দেবেন, তাই না । এর আগেও এসেছিলেন এবং বলেছিলেন – মামেকম্ ( আমাকে ) স্মরণ করো । তিনিই পরমধামে থাকেন আর বলেন, মামেকম স্মরণ করো । কৃষ্ণের শরীর তো আর মূল বতনে থাকবে না, যে বলবেন – মামেকম স্মরণ করো । এক পরমপিতা পরমাত্মাই সাধারণ তনে প্রবেশ করে তোমাদের মতো বাচ্চাদের বলেন – মামেকম্ ( আমাকে ) স্মরণ করো, তাহলে এই যোগ অগ্নির দ্বারা তোমাদের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে, তাই আমাকেই পতিত পাবন বলা হয় পতিত পাবন অবশ্যই আত্মাদের হবে, তাই না । পতিতও তো আত্মাই হয় ।

বাবা বলেন – তোমরা পবিত্র আত্মারা ১৬ কলা সম্পূর্ণ ছিলে । এখন তো শূন্য কলা, সম্পূর্ণ পতিত হয়ে গেছো আমি কল্পে – কল্পে এসে তোমাদের বোঝাই । তোমরা যে কাম চিতাতে বসে পতিত হয়ে যাও, আমি তোমাদের আবার জ্ঞান চিতাতে বসিয়ে পবিত্র করি । ভারতে পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ ছিলো, এখন হলো অপবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ । এখানে কারোরই শান্তি নেই । বাবা এখন বলেন – দু’জনেই জ্ঞান চিতাতে বসো । প্রত্যেক আত্মা নিজের নিজের কর্ম অনুসারে শরীর প্রাপ্ত করে । এমন নয় যে, পরের জন্মে ওই একই পতি – পত্নী নিজেদের মধ্যে মিলিত হবে । তা নয়, এত রেস করতে পারে না । এ তো পড়ার কথা, তাই না । অজ্ঞান কালে হতে পারে – নিজেদের মধ্যে অনেক প্রেম, তখন তাদের মনোকামনাও পূরণ হতে পারে, সে তো হলো পতিত বিকারী মার্গ । পতির সঙ্গে সঙ্গে পত্নীও সহমরণে যায় । অন্য জন্মে গিয়েও তার সঙ্গে মিলিত হয়, কিন্তু অন্য জন্মে তো জানতেই পারবে না । তোমরাও বাবার সঙ্গে জ্ঞান চিতাতে বসো । তোমরা এই ছিঃ – ছিঃ শরীর ত্যাগ করে চলে যাবে । তোমরা একথা এখন জেনেছো, ওরা তো জানে না যে, আমরা আগের জন্মে এমন সাথী ছিলাম । তোমাদেরও পরে ওখানে এই কথা স্মরণে থাকবে না । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন এইম অবজেক্ট আছে । মাম্মা – বাবা লক্ষ্মী – নারায়ণ হবেন । বিষ্ণু হলেন দেবতা । প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে দেবতা বলা যাবে না । ব্রহ্মা থেকে দেবতা হন । ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু আর বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা কিভাবে হন — একথা এখন তোমরা বুঝে গেছো । তোমরা এখন জানো যে – শান্তি কেবল একমাত্র স্বর্গেই হয় কেউ মারা গেলে বলে, স্বর্গে গেলো অর্থাৎ শান্তিতে গেলো । পতিত অবস্থায় অশান্তিতে থাকে । বাবা তবুও বলেন, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে । বাকি সব হলো ডিটেলে বোঝার মতো কথা । বাবা যেহেতু নলেজফুল, তাই তিনি তোমাদেরও তাঁর মতো নলেজফুল বানাবেন । বাবার স্মরণে তোমরা সতোপ্রধান হবে, এ হলো আত্মাদের রেস । যে বেশী স্মরণ করবে, সে শীঘ্র হবে । এ হলো যোগ আর পড়ার রেস । স্কুলেও তো রেস হয়, তাই না । ওখানে অনেক ছাত্র থাকে, তাদের মধ্যে যে এক নম্বর হয়, সে স্কলারশিপ পায় । একই পড়া লাখ, কোটি আত্মাদের জন্য হয়, তাই এত স্কুলও তো থাকবে, তাই না । তোমাদের এখন এই পড়া পড়তে হবে । সবাইকে পথ বলে দাও, অন্ধের লাঠি হও । তোমাদের ঘরে – ঘরে খবর পৌঁছে দিতে হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এখন অশুদ্ধ কামনার ত্যাগ করে শুদ্ধ কামনা রাখতে হবে। সবথেকে শুদ্ধ কামনা হলো পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হওয়া । কখনোই ভুলকে লুকিয়ে নিজেকে ঠকিও না । ধর্মরাজ বাবার প্রতি সদা সত্য থাকতে হবে ।

২ ) জ্ঞান চিতাতে বসে এই পড়াতে রেস করে ভবিষ্যতে নতুন দুনিয়ার উচ্চ পদ পেতে হবে । যোগ অগ্নির দ্বারা বিকর্মের খাতা দগ্ধ করতে হবে ।

বরদানঃ-

সত্যতার অথরিটি স্বরূপ বাচ্চাদের মহিমা হলো — সত্য যেখানে আত্মা নাচবে সেখানে । সত্যের নৌকা হেলবে কিন্তু ডুবতে পারে না । তোমাদেরও যদি কেউ হেলানোর চেষ্টা করে, তোমরা কিন্তু তোমাদের সত্যতার মহানতার দ্বারা আরও খুশীর দোলায় দুলতে থাকো । ওরা তোমাদের হেলাতে পারে না, কিন্তু দোলাকে হেলায় । এ হেলানো নয়, দোলানো, তাই তোমরা তাদের ধন্যবাদ দাও যে, তোমরা দোলাও আর আমরা বাবার সাথে দুলি ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top