09 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 8, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা আর দাদারও বিস্ময়কর কাহিনী রয়েছে, বাবা যখন দাদার মধ্যে প্রবেশ করেন তখন তোমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা পিতৃদত্ত সম্পদের অধিকারী হও"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, ড্রামাকে নিশ্চিতভাবে জানলেও তোমাদের কোন্ দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে ?

উত্তরঃ -:-

পুরুষার্থ করে গ্যালপ (দ্রুত লাফ দিয়ে যাওয়া) করা অর্থাৎ বিনাশের পূর্বে বাবার স্মরণে থেকে কর্মাতীত হওয়ার লক্ষ্য অবশ্যই রাখতে হবে। কর্মাতীত অর্থাৎ আয়রন এজে’ড থেকে গোল্ডেন এজে’ড হতে হবে। পুরুষার্থের জন্য এই সামান্য সময়ই রয়েছে, সেইজন্য বিনাশের পূর্বে নিজেদের স্থিতিকে অচল-অটল বানাতে হবে।

ওম্ শান্তি । ওম শান্তি । দুইবার এ’কথা কে বলে ? এক হলেন বাবা, এক হলেন দাদা। গল্প শোনায় না! — এক ছিল রাজা, এক ছিল রানী। এখন এ হলো আবার নতুন কথা। এক বাবা, এক দাদা, তোমরা বলবে — ৫ হাজার বছর পূর্বেও একজন ছিলেন শিববাবা, অপরজন ছিলেন ব্রহ্মা দাদা। এখন শিবের সন্তান তো সকলেই। সমস্ত আত্মারাই এক পিতার সন্তান। সে তো অবশ্যই হয়ে থাকে। ব্রহ্মার সন্তান ব্রাহ্মণও ছিল, প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাও ছিল, তাদের কে পড়াতেন ? শিববাবা। প্রজাপিতা ব্রহ্মার অগণিত সন্তান এই ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা, তাই না ! ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা মানে যে অবশ্যই আমরা শিববাবার সন্তানও, আবার পৌত্রও। সন্তান তো ছিলামই, এখন পৌত্রও হয়েছি ব্রহ্মার দ্বারা দাদুর থেকে উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য। এখন তোমরা ঠাকুর দাদার থেকে উত্তরাধিকার পাও, যাঁকে শিববাবা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু ব্রহ্মাকুমার-কুমারী হওয়ার কারণে আমরা ওঁনাকে দাদু বলে থাকি। উত্তরাধিকার দাদুর, ব্রহ্মা দাদার নয়। বৈকুন্ঠবাসী হওয়ার উত্তরাধিকার সেই বাবার থেকে প্রাপ্ত হয়। অর্ধকল্প উত্তরাধিকার লাভ করো তারপর অভিশাপ পাও — রাবণের থেকে। নীচে নেমে যেতে থাকো। যেভাবে গ্রহের দশা বসে, নীচে নামতে থাকে। বাচ্চারা, এখন তোমরা বোঝো যে — আমাদের রাহুর গ্রহণদশা সম্পূর্ণ হয়েছে। রাহুর দশা সবচেয়ে খারাপ। সর্বোচ্চ হলো বৃহস্পতির দশা তারপর রাহুর দশা বসায় ৫ বিকারের কারণে আমাদের মুখ কালো হয়ে গেছে। এখন পুনরায় বাবা বলেন — দান করো তবেই গ্রহণ-মুক্ত হবে। এ হলো তোমাদেরই কথা। ওরা আবার সূর্য, চন্দ্রের গ্রহণ মনে করে নিয়েছে। এখন গ্রহণ লাগলে দান চায়। এখানে বাবা তোমাদের বলেন — ৫ বিকারকে দান করে দাও তবেই গ্রহের দশা কেটে যাবে। এইসমস্ত বিকারের দ্বারাই তোমরা পাপাত্মায় পরিণত হয়েছো। মুখ্য হলো দেহ-অভিমান। প্রথমে এই রকম সতোপ্রধান ছিল, তারপর সতো-রজো-তমো হয়েছে। ৮৪ জন্ম নিয়েছে। এই নিশ্চয় তো পাকাপাকিভাবে রয়েছে যে অবশ্যই দেবতারাই ৮৪ জন্ম নেয়। প্রথমে তাদেরই বাবার সঙ্গে মিলিত হওয়া উচিৎ। গাওয়াও হয় — আত্মা পরমাত্মা পৃথক ছিল বহুকাল…। বাবা বলেন — সর্বপ্রথমে তোমাদের সত্যযুগে পাঠিয়েছিলাম। তোমরাই এসে এখন পুনরায় মিলিত হয়েছো। পূর্বে কেবল গায়ন করতে, তার যথার্থ অর্থ এখন বাবা বসে বোঝান। সমস্ত বেদ-শাস্ত্র, জপ, তপস্যা, স্লোগান ইত্যাদি যাকিছু আছে, তার সার কথা বাবা বসে বোঝান। চক্র তো একদম সহজ। এখন এ হলো কলিযুগ আর সত্যযুগের সঙ্গম। যুদ্ধও সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তোমাদের এই নিশ্চয়ও রয়েছে — সত্যযুগের স্থাপনা হচ্ছে। কলিযুগে যতও আছে, তাদের সকলের শরীর বিনাশ হয়ে যাবে, এছাড়া আত্মারা পবিত্র হয়ে হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে নিয়ে যাবে। এ হলো সকলের বিনাশের সময়। আত্মারা শরীর পরিত্যাগ করে চলে যাবে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে এ’কথা রয়েছে। যতক্ষণ না আমরা কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করছি ততক্ষণ আমরা সঙ্গমে দাঁড়িয়ে রয়েছি। একদিকে কোটি-কোটি মানুষ, অপরদিকে কেবল তোমরা অল্পসংখ্যক। তোমাদের মধ্যেও কত আছে যারা নিশ্চয়বুদ্ধি হতে থাকে। নিশ্চয়বুদ্ধির বিজয় অবশ্যম্ভাবী, পুনরায় গিয়ে বিষ্ণুর গলার মালা হবে। এক হলো রুদ্রাক্ষের মালা, দ্বিতীয় হলো রুণ্ড-মালা(বিষ্ণুর মালা)। সেই রূণ্ডমালায় ছোট-ছোট মুখাকৃতির দানা থাকে। এ’টাই হলো চিহ্ন। আমরা আত্মারাই এসে পুনরায় বাবার গলার মালার দানা(পুঁতি) হবো, পুনরায় এখানে আসবো নম্বরের অনুক্রমে। মালা ৮-এরও আছে, ১০৮-এরও আছে, আবার ১৬ হাজার ১০৮-এরও আছে। এখন ১৬ হাজার অথবা ৫-১০ হাজার, এর কোনো হিসেব বের করা যায় না। এই মালার গায়ন করা হয়, বাবা বলেন — এ’সবের বিচার তোমরা কেন করো। কল্প-পূর্বে সত্যযুগ-ত্রেতায় যতজন রাজা হয়েছিল, ততজনই হবে। ১০০ জন হয়েছিল বা ২-৩ শো জন হয়েছিল — তা জিজ্ঞাসা করতে হবে না। বাবা বলেন — তোমরা যত নিকটে আসতে থাকবে তখন এ’সকল বুঝে যাবে। আজ আমরা এখানে, কাল বিনাশ হবে পুনরায় সত্যযুগে আমরা অল্পসংখ্যক দেবী-দেবতাই থাকবো। পরে বৃদ্ধি পায়। সত্যযুগের লক্ষণও দেখা যায়। এছাড়া লাখে-লাখে গিয়ে থাকবে, পরে লাখই থাকুক বা ৯-১০ লাখ, সঠিকভাবে বলা যাবে না। হ্যাঁ, তোমরা যখন সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হওয়ার যোগ্য হবে তখন তোমাদের আরও অধিকমাত্রায় সাক্ষাৎকার হয়ে যাবে। এখনও তো অনেককিছু বোঝার সময় বাকি রয়েছে। বহু সাক্ষাৎকার হতে থাকবে। যুদ্ধের অনেক প্রস্তুতিও হতে থাকে। সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি হতে থাকবে। বিলেতেও এখন প্রচুর ট্যাক্স ইত্যাদি বসতে থাকবে। অনেক-অনেক মূল্যবৃদ্ধি হয়ে তারপর একদম সস্তা হয়ে যাবে। সত্যযুগে কোনো বস্তুর জন্য খরচ হবে না। সমস্ত খনি ভরপুর হয়ে যাবে। নতুন দুনিয়ায় ঐশ্বর্য অনেক। লক্ষ্মী-নারায়ণের প্রভূত ঐশ্বর্য ছিল, তাই না! শ্রীনাথ দ্বারিকায় মূর্তির সম্মুখে কত ধন-সম্পদের ভোগ নিবেদন করে। ওখানে অনেক ধন-সম্পদ উপার্জন করে আর ভোজন করতে থাকে। তারা বলে যে আমরা দেবতাদের ভোগ নিবেদন করি। বলে — দেবতাদের ভোগ নিবেদন না করলে তারা অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে। এখন এতে অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কথাই নেই। তোমরা কারোর উপরে অসন্তুষ্ট হয়ে যাও না। জানো যে ড্রামানুসারে এই বিনাশ হতেই হবে। কলিযুগের পরিবর্তন হয়ে সত্যযুগ আসবেই। আমরা ড্রামাকে বুঝি যে ড্রামানুসারে এখন নতুন চক্রকে শুরু হতে হবে। তোমরাও ড্রামার বশে রয়েছো। ড্রামানুসারে বাবাও এসেছেন। ড্রামায় এক মিনিটও উপর-নীচ হতে পারে না। তোমরা দেখেছো, যেমন বাবা এসেছেন পর-কল্পেও অবিকল তেমনই হবে। শাস্ত্রে তো কল্পের আয়ু দীর্ঘ করে করে লিখে দিয়েছে। এখন অবশ্যই তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন তোমরা গ্যালপ করছো। তোমরা জানো যে বাবাকে স্মরণ করে আমাদের কর্মাতীত অবস্থা অবশ্যই প্রাপ্ত করতে হবে অর্থাৎ আয়রন এজে’ড থেকে গোল্ডেন এজে’ড হতে হবে। এখন যদি পুরুষার্থ না করো তাহলে পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। হে আত্মারা, এখন তোমরা অপবিত্র হয়ে গেছো। এও জানো যে অনেক ধরণের আসবে যারা অন্য ধর্মে পরিবর্তিত হয়ে গেছে তারাও বেরিয়ে আসতে থাকবে। এসে নিজেদের পুরুষার্থ করতে থাকবে — বাবার থেকে উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য। ব্রাহ্মণ ধর্মে এসে পুনরায় দেবতা ধর্মে আসবে। ব্রাহ্মণ ধর্মে না এলে তবে দেবতা ধর্মে আসবে কি করে ! দিনে-দিনে ব্রাহ্মণেরা বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। দেখবে, বিনাশ সামনে এসে গেছে, এরা তো সঠিক বলে, তখন বৃদ্ধি হতে থাকবে। ব্রাহ্মণদের বৃক্ষ বৃদ্ধি পেয়ে ফুল হয়ে যাবে তখন ফিরে যাবে। দেবতাদের বৃক্ষ বৃদ্ধি পাবে। এখন তোমরা সঙ্গমে রাজযোগ শিখছো। এই সঙ্গমকে কল্যাণকারী যুগ বলা হয়। সঙ্গমেরই গায়ন রয়েছে — গঙ্গাসাগরের মেলা দেখানো হয়েছে। ও’সমস্ত হলো ভক্তিমার্গের। এ হলো জ্ঞান-সাগর আর জ্ঞানসাগর থেকে নির্গত হওয়া জ্ঞান-গঙ্গারা। জ্ঞানসাগরের সঙ্গেই ‘পতিত-পাবন’ শব্দটি যুক্ত হয়। ওরা মনে করে — গঙ্গা হলো পতিত-পাবনী আর সেইজন্য গঙ্গায় স্নান করতেই আসে। এ’সমস্ত নদী তো সত্যযুগ থেকেই বয়ে চলেছে। আজকাল তো নদীগুলিও কোনও-কোনও স্থানকে প্লাবিত করে। প্রকৃতিও তমোপ্রধান, সাগরও তমোপ্রধান হয়ে গেছে। সাগর যদি সামান্য উথলে ওঠে তাহলে সবকিছু শেষ করে দেবে। সত্যযুগে কেবল আমরা অল্পসংখ্যকই ভারতে বসবাস করি — যমুনার উপকন্ঠে। দিল্লীকে পুনরায় স্বর্গে (পরিস্থান) পরিনত হতে হবে। সত্যযুগে স্বল্পসংখ্যক জীবাত্মাই থাকে পুনরায় ধীরে-ধীরে আসতে-যেতে থাকে। এখন হলো কলিযুগের অন্ত। কত অগণিত মানুষ হয়ে গেছে, এ হলো অসীম জগতের নাটক, যাকে ভালভাবে বুঝতে হবে। যদি কেউ নিজেকে অভিনেতা মনেও করে কিন্তু কল্প তো ৫ হাজার বছরের, তা কারোর জানা নেই। কোথায় ৮৪ জন্ম, কোথায় ৮৪ লক্ষ। এখন তোমরা আলোয় রয়েছো। তোমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার পাও। বাবা বলেন — মন্মনাভব। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। শিব ভগবানুবাচ, কৃষ্ণ কি জ্ঞানের সাগর নাকি! ঈশ্বরের মহিমায় আর দেবতাদের মহিমায় অনেক পার্থক্য রয়েছে। বাবা, যিনি নতুন দুনিয়া রচনা করেন, ওঁনার মহিমা হলো সর্বগুণসম্পন্ন…… এখন তোমরা এ’রকম হতে চলেছো। বাবার মহিমা আর এঁনার মহিমার মধ্যে রাত-দিনের পার্থক্য। এ হলো রাজযোগ, তাই না! গায়নও করা হয় — ভগবান রাজযোগ শেখান। উনি হলেন নিরাকার, তাহলে অবশ্যই নিরাকার থেকে সাকারে আসতে হয়। ভগবানের এত মহিমা আছে তাহলে অবশ্যই আসতে হয়। ওঁনার জন্ম হলো দিব্য অলৌকিক আর কারোর দিব্যজন্মের গায়ন করা হয় না। এও বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে এক হয় লৌকিক পিতা, দ্বিতীয় হলো পারলৌকিক পিতা, যাঁকে ভগবান বলে স্মরণ করা হয় আর তৃতীয় হলো অলৌকিক পিতা, ইনি আবার হলেন ওয়ান্ডারফুল বাবা। যখন পারলৌকিক পিতা বাচ্চাদের অ্যাডপ্ট করেন তখন মধ্যিখানে এই অলৌকিক এসে পড়ে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার কত অগণিত সন্তান। শিববাবা এসে ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের আপন করে নেন। কত ব্রহ্মাকুমার-কুমারী হয়। লৌকিক পিতার অধিকতর ৮-১০ সন্তান হবে। আচ্ছা, শিববাবা হলেন পারলৌকিক পিতা। ওঁনার তো অনেক সন্তান। সমস্ত আত্মারাই বলে — আমরা সকলে ভাই-ভাই। এখন এই সঙ্গমে আবার অলৌকিক পিতাকে পাওয়া যায়। এই জ্ঞান তোমাদের ওখানে থাকবে না। প্রজাপিতা ব্রহ্মাবাবাকে তখনই পাওয়া যায় যখন (শিব) বাবা এসে নতুন সৃষ্টি রচনা করেন। তাহলে এ হলো অলৌকিক জন্ম, তাই না! তা কেউ বুঝতে পারে না। উনি লৌকিক, উনি পারলৌকিক, আর ইনি হলেন সঙ্গমযুগীয় অলৌকিক পিতা। লৌকিক পিতা সত্যযুগ থেকেই হতে থাকে। পারলৌকিক পিতাকে ওখানে কেউ স্মরণ করে না, ওখানে এক বাবা-ই থাকে। হে ভগবান, হে পরমাত্মা বলে কেউ স্মরণ করে না, পরে যখন ভক্তিমার্গ শুরু হয় তখন বাবা হয় দু’জন। সঙ্গমে হয় তিনজন বাবা। প্রজাপিতা ব্রহ্মাকেও এখনই পাওয়া যায়, এখন তোমরা ওঁনার হয়েছো। জানো যে ইনি হলেন অলৌকিক বাবা। এখন তোমরা এ’সকল কথা ভালভাবে জানো আর স্মরণ করো। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। সত্যযুগে স্মরণ করার প্রয়োজনই নেই। দুঃখে সকলেই পারলৌকিক বাবাকে স্মরণ করে। এ তো অতি সহজ কথা। সত্যযুগ-ত্রেতায় বাবা থাকে একজন, দ্বাপরে হয় দু’জন বাবা । এইসময় তোমরা অলৌকিক বাবার সন্তান হয়েছো যাঁর মাধ্যমে তোমরা উত্তরাধিকার গ্রহণ করো। তোমরা বাচ্চারাই ব্রাহ্মণ হও যারা পরে দেবতা হবে। বিনাশও তোমাদেরই দেখতে হবে যা তোমরা এই চক্ষু দ্বারা দেখবে, বোমা নিক্ষেপ করবে। মানুষ তো মরবেই, তাই না! জাপানেও বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, দেখেছ না! কিভাবে মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এখন এখানে যুদ্ধবিগ্রহ লাগতে থাকে। নিজেরা বলেও যে আমরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি। ১০-১০ বছর ধরে যুদ্ধ চলতেই থাকে। বোমায় তো সেকেন্ডে সমস্ত শেষ হয়ে যাবে। অগ্নি-স্ফুলিঙ্গে শহর নষ্ট হয়ে যায়। এ তো বোমা। আগুনও লাগবে। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে বাবা এসেছেনই স্থাপনা এবং বিনাশ করাতে। তাহলে এ’সব অবশ্যই হবে। পুরুষার্থ করার এখনও সময় রয়েছে। মায়া প্রতিমুহূর্তে তোমাদের বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে দেয়। এখনও তোমরা অটল স্থির হয়েছো কোথায়! বলে — বাবা, অনেক মায়ার তুফান আসে। কেউ তো সারাদিনে আধা ঘন্টাও স্মরণ করে না। বাবা বলেন — তোমরা কর্মযোগী হও। ৮ ঘন্টা সেবা করবে। যেন ৮ ঘন্টা স্মরণ করতে পারো এতটা পুরুষার্থ করতে হবে। স্মরণ করতে থাকলে বিকর্ম বিনাশ হতে থাকবে, একেই যোগ অগ্নি বলা হয়। এ হলো পরিশ্রম। গৃহস্থী জীবনে থেকে কেবল স্মরণ করতে হবে। এও বাবা বলেন যে যারা গৃহস্থ পরিত্যাগ করেছে, বাচ্চা হয়েছে(সমর্পিত), তারাও এত স্মরণ করে না। যারা ঘরে থাকে তারা আরও বেশী স্মরণ করে। অর্জুন আর ভীলেরও (একলব্য) উদাহরণ দেওয়া হয়, তাই না! পরিশ্রম হলো বাবাকে স্মরণ করা, আর চক্রকে বুঝতে হবে। মহাভারতের যুদ্ধও অবশ্যই হবে। সত্যযুগে তা হবে নাকি! বাচ্চারা, সেইজন্য তোমাদের অন্ধের লাঠি হতে হবে। সকলকে পথ বলে দিতে হবে যে বাবাকে স্মরণ করে, চক্রকে স্মরণ করো। স্বদর্শন-চক্রধারী হও। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আধ্যাত্মিক পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কমপক্ষে ৮ ঘন্টা স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করতে হবে। নিজের অবস্থা অচল-অটল করার জন্য স্মরণের অভ্যাস বৃদ্ধি করতে হবে। গাফিলতি করবে না।

২ ) এই ড্রামা সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে রচিত হয়েছে, সেইজন্য কারোর উপর অসন্তুষ্ট হয়ো না। নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে।

বরদানঃ-

হনুমানের বিশেষত্ব দেখানো হয় যে, সে সদা সেবাধারী, মহাবীর ছিল, সেইজন্য নিজে না পুড়ে লেজের দ্বারা লঙ্কা-দহন করেছিল। এখানেও যে সদাকালের সেবাধারী সে-ই মায়ার অধিকার সমাপ্ত করতে পারে। যে সেবাধারী নয় সে মায়ার রাজ্যকে দহন করতে পারে না। হনুমানের হৃদয়ে সর্বদা একমাত্র রামের আসন ছিল, তেমনই বাবা ব্যতীত আর কেউ যেন হৃদয়ে না থাকে, নিজ দেহের স্মৃতিও যেন না থাকে তবেই মায়াজীত, বিজয়ী হবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top