08 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 7, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"ডবল বিদেশি ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের বিশেষত্ব"

আজ ভাগ্যবিধাতা বাপদাদা নিজের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান বাচ্চাদের দেখে উৎফুল্ল হচ্ছেন। প্রত্যেক বাচ্চার ভাগ্য তো শ্রেষ্ঠই, কিন্তু তা’তে নম্বরক্রম আছে। আজ বাপদাদা বাচ্চাদের হৃদয়ের উৎসাহ-উদ্দীপনার দৃঢ় সঙ্কল্প শুনছিলেন। সঙ্কল্প দ্বারা সবাই অন্তরঙ্গভাবে যে মনখোলা বার্তালাপ করেছে, তা’ সঙ্কল্প করার সাথে সাথেই বাপদাদার কাছে পৌঁছে গেছে। ‘সঙ্কল্পের শক্তি’ বাণীর শক্তি থেকে অতি সূক্ষ্ম হওয়ার কারণে অতি তীব্রগতিতেও চলে, আর পৌঁছেও যায়। গভীর অন্তরের ভাষাই সঙ্কল্পের ভাষা। সায়েন্সের লোকেরা আওয়াজকে ক্যাচ করে, কিন্তু সঙ্কল্প ক্যাচ করার জন্য সূক্ষ্ম সাধন চাই। বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চার সঙ্কল্পের ভাষা সদাই শোনেন অর্থাৎ সঙ্কল্প ক্যাচ করেন। সেইজন্য বুদ্ধি অতি সূক্ষ্ম, স্বচ্ছ আর স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক, তবেই অধ্যাত্ম বার্তায় বাবার রেসপন্স তোমরা বুঝতে পারবে।

বাপদাদার কাছে সবার সন্তুষ্টতা অথবা সবার খুশি থাকার, নির্বিঘ্ন থাকার, সদা বাবা সমান হওয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প পৌঁছে গেছে এবং বাপদাদা বাচ্চাদের দৃঢ় সঙ্কল্পের দ্বারা সদা সফল হওয়ার অভিনন্দন জানাচ্ছেন। কারণ যেখানে দৃঢ়তা আছে সেখানে সফলতা নিশ্চিত। এ’ হলো শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান হওয়ার লক্ষণ। যখন তোমাদের সঙ্কল্পেও দুর্বলতা থাকবে না, সদা দৃঢ়তা ও শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্কল্প হবে তাকেই বলা হবে শ্রেষ্ঠ হওয়া। বাচ্চাদের এই রকম বিশাল হৃদয় দেখে ও সদা বিশাল হৃদয়, বিশাল বুদ্ধি, বিশাল সেবা আর বিশাল সংস্কার হওয়ার জন্য, বরদাতা বাবা ‘সদা বিশাল ভব’র বরদান দিচ্ছেন। মহৎ হৃদয় অর্থাৎ অসীম জগতের স্মৃতিস্বরূপ। সব বিষয়ে অসীম অর্থাৎ উদার। যখন অসীম অবস্থা তখন কোনও রকম সীমাবদ্ধতা নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে পারে না। একেই বলে, বাবা সমান কর্মাতীত ফরিস্তা জীবন। কর্মাতীত-এর অর্থই হলো সীমিত পরিসরের সব ধরণের স্বভাব-সংস্কার থেকে অতীত অর্থাৎ স্বাধীন (স্বতন্ত্র) । সীমিত যা কিছু তা হল বন্ধন, অসীম হল নির্বন্ধন। সুতরাং সদা এই বিধিতে তোমরা সদা সফলতা প্রাপ্ত করতে থাকবে। তোমাদের প্রত্যেকের যে সঙ্কল্প ছিল – তারা সদা অমর, অটল, অখন্ড অর্থাৎ যারা খন্ডিত হয় না – এইরকম সঙ্কল্পই করেছ, না ? এই সঙ্কল্প শুধু তোমরা মধুবনের সীমার মধ্যে থাকাকালীন পর্যন্ত তো নয়, তাই না? সদা তোমাদের সাথে থাকবে, তাই তো?

মুরলী তো তোমরা অনেক শুনেছ। যা শুনেছ তা’ এখন করতে হবে, কারণ এই সাকার সৃষ্টিতে সঙ্কল্প, বোল আর কর্ম তিনই গুরুত্বপূর্ণ আর তিনের মধ্যেই মহত্ত্ব – একেই সম্পন্ন স্টেজ বলা হয়ে থাকে। এই সাকার সৃষ্টিতেই ফুল মার্কস নেওয়া অতি আবশ্যক। যদি কেউ ভাবে যে আমার সঙ্কল্প তো অধিক শ্রেষ্ঠ, কিন্তু কর্ম বা বোলের মধ্যে তারতম্য নজরে আসে; তাহলে তাকে কেউ মানবে? কারণ সঙ্কল্পের স্থূল দর্পণ হলো বোল আর কর্ম। যারা শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প করে তাদের বোল আপনা থেকেই শ্রেষ্ঠ হবে। সেইজন্য তিনের বিশেষত্ব থাকাই ‘নম্বর ওয়ান’ হওয়া।

বাপদাদা ডবল বিদেশি বাচ্চাদের দেখে বাচ্চাদের বিশেষত্বে সদা প্রসন্নময়। সেই বিশেষত্ব কী? ব্রহ্মাবাবার শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প দ্বারা বা শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পের আহ্বান দ্বারা যেমন দিব্য জন্ম প্রাপ্ত করেছ, সে’রকমই শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পের বিশেষ রচনা হওয়ার কারণে নিজেদের সঙ্কল্পকে শ্রেষ্ঠ বানানোর বিশেষ অ্যাটেনশনে থাক। সঙ্কল্পের প্রতি অ্যাটেনশন থাকার কারণে মায়ার কোনও রকম সূক্ষ্ম আক্রমণ তাড়াতাড়ি জেনেও যাও আর পরিবর্তন করার জন্য বা বিজয়ী হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করে শিঘ্রাতিশীঘ্র সমাপ্ত করার চেষ্টা কর। সঙ্কল্প-শক্তিকে সদা শুদ্ধ বানানোর অ্যাটেনশন ভালোই থাকে। নিজেকে চেক করার অভ্যাস ভালো হয়। সূক্ষ্ম চেকিংয়ের কারণে ছোট ভুলও উপলব্ধি করে অকপট হৃদয়ে বাবার সামনে, নিমিত্ত হওয়া বাচ্চাদের সামনে তুলে ধরার এই বিধি এইভাবে গ্রহণ করায় তোমাদের মধ্যে আবর্জনা জমতে পারে না। মেজরিটি অকপট হৃদয়ে বলতে সঙ্কোচ করে না, সেইজন্যই যেখানে স্বচ্ছতা থাকে সেখানে দৈবী গুণ সহজে ধারণ হয়ে যায়। দিব্য গুণের ধারণা অর্থাৎ আহ্বান করার বিধিই ‘স্বচ্ছতা’। যেমন ভক্তিতেও লক্ষীকে বা অন্য কোনো দেবীকে যখন আহ্বান করা হয়, তো সেই আহ্বানের বিধি হিসেবে স্বচ্ছতাকেই গ্রহণ করে। সুতরাং স্বচ্ছতার এই শ্রেষ্ঠ স্বভাব তথা বিধি, দৈবী স্বভাবকে আপনা থেকেই আহ্বান করে। এই বিশেষত্ব মেজরিটি ডবল বিদেশি বাচ্চাদের মধ্যে রয়েছে, সেইজন্য ড্রামা অনুসারে তীব্র গতিতে এগিয়ে যাওয়ার গোল্ডেন চান্স তোমাদের প্রাপ্ত হয়েছে, একেই বলে, ‘লাস্ট সো ফাস্ট’। সুতরাং বিশেষ ভাবে ফাস্ট যাওয়ার এই বিশেষত্ব ড্রামা অনুসারে প্রাপ্ত হয়েছে। এই বিশেষত্ব সদা স্মৃতিতে রেখে এর থেকে লাভ নিয়ে চলো। সঙ্কল্প আসলো, ব্যক্ত (স্পষ্ট) করলো আর চলে গেল। একেই বলে,পাহাড়কে তুলো সমান বানানো। তুলো তো সেকেন্ডে উড়ে যায়, তাই না! আর পাহাড়ের কতো সময় লাগবে? তাইতো তোমরা ব্যক্ত করলে, বাবার সমক্ষে রাখলে আর স্বচ্ছতার বিধিতে ফরিস্তা হলে আর উড়লে, একে বলে লাস্ট সো ফাস্ট গতিতে উড়ে যাওয়া। ড্রামা অনুসারে এই বিশেষত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। বাপদাদা দেখেনও, কিছু বাচ্চা চেকও করে আর নিজেদের চেঞ্জও করে, কারণ লক্ষ্য থাকে আমাকে বিজয়ী হতেই হবে। মেজরিটির লক্ষ্য থাকে নম্বর ওয়ান হওয়ার।

দ্বিতীয় বিশেষত্ব – জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই, তোমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করায় সেবার উৎসাহ-উদ্দীপনা আপনা থেকেই থাকে। সেবায় নিয়োজিত হওয়ায় এক তো সেবার প্রত্যক্ষ ফল ‘খুশি’ও

প্রাপ্ত হয় আর সেবা দ্বারা বিশেষ বলও প্রাপ্ত হয় এবং সেবায় বিজি থাকার কারণে নির্বিঘ্ন হতেও সহায়তা প্রাপ্ত হয়। তাইতো সেবার উৎসাহ-উদ্দীপনা আপনা থেকেই আসে, এর জন্য সময় বের করা বা নিজের তন-মন-ধন সময়োপযোগী বানানো – ড্রামা অনুসারে এই বিশেষত্বেরও লিফ্ট প্রাপ্ত হয়েছে। নিজের বিশেষত্বকে তো জানো, জানো না? এই বিশেষত্ব দ্বারা নিজেকে যতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাও ততটাই অগ্রচালিত করতে পার। ড্রামা অনুসারে কোনও আত্মার এই অভিযোগ থাকতে পারে না যে আমরা পরে এসেছি, সেইজন্য অগ্রচালিত হতে অপারগ। ডবল বিদেশি বাচ্চাদের নিজের বিশেষত্বের গোল্ডেন চান্স থাকে। আবার ভারতবাসীদের নিজেদের গোল্ডেন চান্স থাকে। কিন্তু আজ তো বাবা ডবল বিদেশি বাচ্চাদের সাথে মিলিত হচ্ছেন। ড্রামায় বিশেষ ভূমিকা লিপিভুক্ত হওয়ার কারণে লাস্টে আসা কোনও আত্মা অভিযোগ করতে পারে না, কেননা ড্রামা অ্যাক্যুরেট তৈরি হয়ে আছে। এই সব বিশেষত্ব দ্বারা নিরন্তর তীব্রগতিতে উড়ে চলো। বুঝেছ? স্পষ্ট হয়েছে নাকি এখনো কোনও অভিযোগ আছে? দিলখুশ মিষ্টি তো বাবাকে খাইয়ে দিয়েছ। ‘দৃঢ় সঙ্কল্প’ করেছ মানেই দিলখুশ মিষ্টি বাবাকে খাইয়েছ। এটা অবিনাশী মিষ্টি। সদাই বাচ্চাদেরও মুখ মিষ্টি আর বাবার মুখ তো মিষ্টি হয়েই আছে। যাই হোক, আর অন্য ভোগ দিও না, দিলখুশ মিষ্টিরই ভোগ দিও। স্থূল ভোগ তো যা ইচ্ছে তা’ অর্পণ করতে পার, কিন্তু মনের সঙ্কল্পের ভোগ সদা দিলখুশ মিষ্টিই অর্পণ করতে থাকো।

বাপদাদা সদা বলেন, যখনই তোমরা পত্র লিখছ, তখন শুধু দু’টো শব্দের পত্রই সদা বাবাকে লেখ। সেই দু’টো শব্দ কী? ও. কে. (O. K.) । এতে না তোমাদের এত কাগজের প্রয়োজন হবে, না হবে কালি আর না সময়। সঞ্চয় হয়ে যাবে। ও. কে. অর্থাৎ বাবাও স্মরণে আছেন আর রাজ্যও স্মরণে আছে। যখন ও. লিখছ তো বাবার চিত্র তৈরি হয়ে যায়, তাই না! আর কে. অর্থাৎ কিংডম। সুতরাং ও. কে. লিখলে তখন বাবা আর বরসা দুইই স্মরণে এসে যায়। সেইজন্য পত্র অবশ্যই লেখ কিন্তু দুই শব্দে। তারপরে পত্র পৌঁছে যাবে। আর বাকি সব তো বাপদাদা জানেন, তোমাদের হৃদয়ের উৎসাহ-উদ্দীপনা সম্বন্ধে। হৃদয়ের ভালোবাসার বিষয় তো দিলারাম বাবার কাছে পৌছেই যায়। এই পত্র কীভাবে লিখতে হবে তা’ তো সবাই তোমরা জানো, তাই না? যারা ভাষা জানে না তারাও লিখতে পারে। এতে সকলের ভাষাও একই হয়ে যাবে। এই পত্র তো পছন্দ, পছন্দ না? আচ্ছা!

আজ প্রথম গ্রুপের লাস্ট দিন। প্রব্লেমস তো শেষ হয়ে গেছে, রইল বাকি টোলি খাওয়া আর খাওয়ানো। বাকি কী থাকল? এখন অন্যদের এই রকম বানাতে হবে। সেবা তো করতে হবে, তাই না! নির্বিঘ্ন সেবাধারী হও। আচ্ছা।

যারা, সদা বাবা সমান উৎসাহ-উদ্দীপনায় ওড়ে, সদা নিজেকে চেক করে চেঞ্জ করে সম্পূৰ্ণ হয়, সদা সঙ্কল্প বোল আর কর্ম – এই তিন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ হয়, সদা স্বচ্ছতা দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব ধারণ করে, এই রকম তীব্রগতিতে উড়তে থাকা আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

অস্ট্রেলিয়া গ্রুপের ছোট বাচ্চাদের সাথে বাপদাদার সাক্ষাৎকারঃ

সবাই তোমরা গডলি স্টুডেন্ট, তাই না? রোজ স্টাডি করো, যেভাবে তোমরা অন্য স্টাডি করো, সে’ভাবে এটাও করো? মুরলী শুনতে ভালো লাগে? মুরলী কী বুঝতে পার? বাবাকে প্রতিদিন স্মরণ করো? ভোরবেলা উঠেই বাবাকে গুড মর্নিং করো? কখনও এই গুড মর্নিং মিস্ ক’র না। গুড মর্নিংও করবে, গুড নাইটও করবে আর যখন খাবার খাবে তখনও স্মরণ করবে। এ’রকম যেন না হয় যে খিদে পেল আর বাবাকে ভুলে গেলে! খাওয়ার আগে অবশ্যই স্মরণ ক’রো। যদি স্মরণ করো তাহলে পড়াশোনায় খুব ভালো নম্বর নিতে পারবে, কারণ যারা বাবাকে স্মরণ করে তারা সদা পাস হবে, কখনও ফেল হতে পারে না। তাহলে সবসময় পাস হও তোমরা? যদি পাস না করো তাহলে সবাই বলবে – শিববাবার বাচ্চারাও ফেল করে। মুরলীর একটা পয়েন্ট রোজ নিজের মায়ের থেকে অবশ্যই শুনো। আচ্ছা! তোমরা খুব ভাগ্যবান যে ভাগ্যবিধাতার ধরণীতে পৌঁছেছ। বাবার সাথে সাক্ষাৎ করার ভাগ্য প্রাপ্ত হয়েছে। এই ভাগ্য কম নয়!

অব্যক্ত বাপদাদার সাথে পার্সোনাল সাক্ষাৎকার –

১ ) বাবার থেকে প্রাপ্ত সকল ধন-ভান্ডারে পরিপূর্ণ হয়ে অন্য আত্মাদের জন্য উপযোগী করতে তোমরা পরিপূর্ণ আত্মা হয়েছ? কতো ধন-ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ তোমরা? যারা পরিপূর্ণ হয় তারা সবসময় সবার মধ্যে ভাগ করে দেয়। অবিনাশী ঐশ্বর্যের ভান্ডার সর্বদাই খোলা রাখা আছে। যে কেউই আসুক, যেন ভরপুর হয়ে যায়, কেউ খালি হয়ে না যেতে পারে। একে বলে অখন্ড ধন-সম্পদের ভান্ডার। কখনো তোমরা মহাদানী হয়ে দান করো, কখনো জ্ঞানী হয়ে জ্ঞান-অমৃত পান করাও, কখনো দাতা হয়ে, ধন-দেবী হয়ে ধন দাও – এইভাবে সকলের শুভ আশা বাবা দ্বারা পূরণ করাও তোমরা। রত্ন-ভান্ডার যত বিলিয়ে দাও ততই আরও বেড়ে যায়। একে বলে সদা সমৃদ্ধশালী। কেউই যেন শূন্য হাতে ফিরে না যায়! সবার মুখ থেকে এই শুভ কামনা বের হতে দাও – ‘বাহ্, আমার ভাগ্য!’ এইরকম মহাদানী, বরদানী হয়ে প্রকৃত সেবাধারী হও।

২ ) ড্রামা অনুসারে সেবার বরদানও সদা অগ্রচালিত করে। এক হয়, যোগ্যতা দ্বারা সেবা প্রাপ্ত হওয়া, আরেক হয় বরদান দ্বারা সেবা প্রাপ্ত হওয়া। স্নেহও সেবার সাধন হয়। ভাষা যদিও বা না জানো, কিন্তু স্নেহের ভাষা সব ভাষার থেকে শ্রেষ্ঠ, সেইজন্য স্নেহী আত্মা সদা সফলতা প্রাপ্ত হয়। যে স্নেহের ভাষা জানে, সে যেকোনো ক্ষেত্রে সফল হয়। সেবা যখন নির্বিঘ্নে চলে, তখনই বলা হয় সেবায় সফলতা। তাইতো সেবার বিশেষত্ব দ্বারা আত্মারা তৃপ্ত হয়ে যায়। তোমাদের স্নেহের ভান্ডার পরিপূর্ণ, এগুলো সদাসর্বদা বিলিয়ে দিতে থাকো। যা বাবার থেকে নিয়ে ভরেছ, সে’সব বিলিয়ে দাও। বাবার থেকে নেওয়া এই স্নেহই তোমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।

৩ ) স্নেহের বরদানও সেবার নিমিত্ত বানায়। বাবার প্রতি তোমাদের স্নেহ আছে, তাইতো অন্যদেরও বাবার প্রতি স্নেহী বানিয়ে তাঁর সমীপে নিয়ে আস। যেভাবে বাবার স্নেহ তোমাদের আপন বানিয়ে নেওয়ায় তোমরা সবকিছু ভুলে গেছ, ঠিক সেভাবেই অনুভাবী হয়ে অন্যদেরও অনুভাবী বানাতে থাক। সদা এই নেশায় থাকো – বাবার স্নেহে আত্ম- উৎসর্গীকৃত আমি এক আত্মা। বাবা আর সেবার প্রতি নিষ্ঠা আর একাগ্রতা এগিয়ে যাওয়ার সাধন। যত পরিস্থিতিই আসুক না কেন, কিন্তু বাবার স্নেহ, সহযোগ প্রাপ্ত করিয়ে তোমাদের অগ্রচালিত করে, কারণ স্নেহের পদমগুণ রিটার্ণ স্নেহীর প্রাপ্ত হয়। স্নেহ এমন শক্তি যা কোনও বিষয়কে কঠিন মনে হয় না, কারণ স্নেহে তোমরা তন্ময় হয়ে যাও। একে বলে, বহ্নিশিখায় পতঙ্গের আত্ম-বলিদান। যে চারপাশে ঘুরে বেড়ায় তেমন নয় বরং আত্মোৎসর্গ ক’রে প্রীতির দায়িত্ব পালন করে। সুতরাং, স্নেহ আর শক্তি, দুইয়ের ব্যালেন্স দ্বারা সদা এগিয়ে চলো আর অন্যদেরও অগ্রচালিত করো। ব্যালেন্সই বাবার ব্লেসিংস প্রাপ্ত করায় আর করাতেও থাকবে। বড়দের ছত্রছায়াও সদা অগ্রচালিত করাতে থাকবে। বাবার ছত্রছায়া তো আছেই, কিন্তু বড়দের ছত্রছায়া এও এক গোল্ডেন অফার। অতএব, যদি সদা কৃতার্থ মনে করে এগিয়ে চলো, তাহলে ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হতে থাকবে।

৪ ) প্রতি কদমে বাবার সাথ তোমরা অনুভব করো, তাই না! বাচ্চাদের সেবার্থে নিমিত্ত বানানোর সাথে সাথে সেবার প্রতি কদমে বাবাও সহযোগী হন। ভাগ্যবিধাতা প্রত্যেক বাচ্চাকে ভাগ্যের বিশেষত্ব দিয়েছেন। সেই বিশেষত্বকে কার্যে প্রয়োগ ক’রে সদা এগিয়ে চলো আর অন্যদেরও এগিয়ে নিয়ে যাও। সেবা তো ব্রাহ্মণ আত্মাদের সদা অনুসরণ করবে। সেবার পিছনে তোমরা অনুধাবন করো না, বরং তোমরা যেখানে যাও সেখানে সেবা তোমাদের অনুসরণ করে। যেমন, যেখানে লাইট আছে, সেখানে ছায়া অবশ্যই হবে। ঠিক সে’রকমই তোমরা ডবল লাইট, সেইজন্যই তো তোমাদের পিছনে সেবাও ছায়ার মতো অনুসরণ করবে, সুতরাং সদা নিশ্চিন্ত হয়ে বাবার ছত্রছায়ায় চলতে থাক।

৫ ) হৃদয়ে সদা বাবা সমান হওয়ার আগ্রহ থাকে তোমাদের, থাকে না ? যখন সমান হবে তখনই সমীপে থাকবে। সমীপে তো থাকতে হবে, তাই না! যারা সমীপে থাকে সমান হওয়ার আগ্রহ তাদের মধ্যে সদা থাকেই আর সমান হওয়া কঠিনও নয়। শুধু যে কর্মই করো, সেই কর্ম করার আগে স্মৃতিতে এটা নিয়ে এসো যে এই কর্ম বাবা কীভাবে করেন। তাহলে এই স্মৃতি আপনা থেকেই বাবা তাঁর কর্মে যেমন, সেভাবে ফলো করাবে। এই বিষয়ে বসে বসে ভাবার প্রয়োজন নেই, বরং সিঁড়ি দিয়ে উত্তরণ-অবতরণ সম্বন্ধে ভাবতে পার। খুব সহজ বিধি। সুতরাং শুধু বাবার সাথে সঙ্গতি (মিল) রেখে এগিয়ে চলো আর এটাই স্মরণে রাখ যে বাবা সমান অবশ্যই হতে হবে, তখনই সব কর্মে সহজেই সফলতার অনুভব করতে থাকবে। আচ্ছা!

বরদানঃ-

যেমন শরীরের শক্তির জন্য পাচন শক্তি বা হজম শক্তির প্রয়োজন, তেমনই আত্মাকে শক্তিশালী বানানোর মনন শক্তি আবশ্যক। মনন শক্তি দ্বারা অনুভব স্বরূপ হয়ে যাওয়া – এটাই সবচাইতে বড় শক্তি। এই রকম অনুভাবীর কখনো বিভ্রম হতে পারে না, মুখে মুখে রটনা হওয়া বিষয়ে তারা বিচলিত হতেই পারে না। অনুভাবী সদা সম্পন্ন থাকে। সে সদাসর্বদার জন্য শক্তিশালী, মায়াপ্রুফ, বিঘ্নপ্রুফ হয়ে যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top