05 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 4, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন তোমাদের ভাগ‍্যোদয় করতে, পবিত্র হলেই ভাগ্য উদয় হবে”

প্রশ্নঃ --

যে বাচ্চাদের ভাগ্য উদিত হয়েছে তাদের নিদর্শন কি হবে ?

উত্তরঃ -:-

তারা হবে সুখের দেবতা। অসীম জগতের পিতার কাছে সুখের অধিকার নিয়ে সবাইকে সুখ প্রদান করবে। কখনও কাউকে দুঃখ দিতে পারে না। তারা হল ব্যাস দেবের সন্তান প্রকৃত সত্য সুখদেব। ২ – তারা ৫ বিকারের সন্ন্যাস করে সত্য রাজযোগী, রাজঋষির পরিচয় প্রাপ্ত করবে। ৩ – তাদের অবস্থা একরস থাকে, কোনো কথায় তাদের চোখে জল আসবে না। তাই তাদের বলা হয় মোহজিৎ।

গান:-

ভাগ্য জাগিয়ে এসেছি….

ওম্ শান্তি । এই গীতের এক একটি লাইন শুনে বাচ্চাদের রোমাঞ্চিত অনুভব হওয়া উচিত। যদিও গানটি খুব কমন কিন্তু গানের সার অন্য কেউই জানেনা। একমাত্র বাবা এসে প্রত্যেকটি গান, শাস্ত্রের অর্থ বুঝিয়ে দেন। মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা এই কথাও জানে যে, কলিযুগে সবার ভাগ্য সুপ্তাবস্থায় আছে। সত্যযুগে ভাগ্য উদিত থাকে। সুপ্ত ভাগ্যকে জাগিয়ে তুলতে, শ্রেষ্ঠ মত প্রদান করতে এবং ভাগ্য উদয় করতে পারেন একমাত্র বাবা। তিনিই বসে বাচ্চাদের ভাগ্য জাগিয়ে দেন। যেমন সন্তানের জন্ম হওয়া মাত্রই ভাগ্য জেগে ওঠে। সন্তান জন্ম নিয়েই জেনে যায় আমি উত্তরাধিকারী। ঠিক সেইরকম এই অসীমের কথা। বাচ্চারা জানে কল্প কল্প আমাদের ভাগ্য উদয় হয় আবার সুপ্তাবস্থায় চলে যায়। পবিত্র হলে ভাগ্যোন্নতি হয়। পবিত্র গৃহস্থ আশ্রম বলা হয়। আশ্রম শব্দটি হল পবিত্র। পবিত্র গার্হস্থ্য আশ্রম, তার বিপরীতে হল অপবিত্র পতিত ধর্ম, আশ্রম বলা যাবে না। গৃহস্থ ধর্ম তো সবারই আছে। পশুদেরও আছে। সন্তানের জন্ম তো সবারই হয়। পশুদের জন্যও বলা হবে গৃহস্থ ধর্মে আছে। এখন বাচ্চারা জানে আমরা স্বর্গে পবিত্র গার্হস্থ্য আশ্রমে ছিলাম, দেবী-দেবতা ছিলাম। তাদের মহিমা বর্ণনা করা হয় সর্বগুণ সম্পন্ন…. তোমরা নিজেরাও এই গান গেয়েছ। এখন বুঝেছো যে, আমরা পুনরায় মানুষ থেকে সেই দেবতায় পরিণত হচ্ছি । দেবী – দেবতাদের ধর্ম আছে। আবার ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করকেও দেবতা বলা হয়। ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ, বিষ্ণু দেবতায় নমঃ…. শিবের জন্য বলা হবে শিব পরমাত্মায় নমঃ, সুতরাং তফাৎ তো হল তাইনা । শিব ও শঙ্করকে এক বলা যাবে না। পাথর বুদ্ধি ছিলে, এখন পরশ বুদ্ধিতে পরিণত হচ্ছ। দেবতাদের তো পাথর বুদ্ধি বলা হবে না। পরে ড্রামা প্ল্যান অনুযায়ী রাবণের রাজ্যে তাদেরকে সিঁড়ি বেয়ে নামতে হয়। পারস বুদ্ধি থেকে পাথর বুদ্ধি হতে হবে। সবচেয়ে বুদ্ধিমান বানিয়ে দেন একমাত্র বাবা। তোমাদেরকে পারসবুদ্ধি বানিয়ে দেন। তোমরা এখানে আসো পারস বুদ্ধিতে পরিণত হতে। পারসনাথেরও মন্দির আছে। সেখানে মেলা আয়োজিত হয়। কিন্তু এই কথা কেউ জানেনা যে, পারসনাথ কে। বাস্তবে পারসনাথ তো একমাত্র বানিয়ে দেন বাবা। তিনি হলেন বুদ্ধিমানের বুদ্ধি। এই হল বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধির খোরাক। বুদ্ধি কতখানি পাল্টে যায়। যেমন গায়ন করা হয় – সী নো ইভিল… এ’সব তো বানরদের কথা হতে পারে না । মানুষই বানরসম হয়েছে। বনমানুষের তুলনা মানুষের সঙ্গে করা হয়। একেই বলা হয় কাঁটার জঙ্গল। একে অপরকে অনেক দুঃখ দেয়। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বুদ্ধি পুষ্টিকর আহার প্রাপ্ত করছে। অসীম জগতের পিতা বুদ্ধির পুষ্টিকর আহার দিচ্ছেন। এ হল পড়াশোনা, একে জ্ঞান অমৃতও বলা হয়। কোনো রকমের জল ইত্যাদি নয়। আজকাল সব জিনিসকেই অমৃত বলে দেয়। গঙ্গাজলকেও অমৃত বলে। দেবতাদের চরণ ধুয়ে জল পান করে, জল রাখে, তাকেও অমৃতের অঞ্জলি ভাবে। অঞ্জলি যে নেয় তাকে এমন বলা হবে না যে এর দ্বারা পতিতরা পবিত্র হবে। গঙ্গা জলের উদ্দেশ্যে বলে পতিত-পাবনী। কথায় বলে মৃত্যুর সময় মানুষের মুখে যেন গঙ্গা জল থাকে। দেখানো হয় অর্জুন তীর বিদ্ধ করে পরে অমৃত জল পান করিয়েছিল। তোমরা বাচ্চারা কোনো বাণ ইত্যাদি তো চালাওনি। একটি গ্রাম আছে যেখানে বাণ ইত্যাদি দিয়ে যুদ্ধ করে। সেখানকার রাজাকে ঈশ্বরের অবতার বলা হয়। বাবা বলেন – এরা সব হল ভক্তি মার্গের গুরু। প্রকৃত সত্য সদ্গুরু হলেন একজনই। সকলের সদ্গতি দাতা হলেন এক, যিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যান। বাবা ব্যতীত কেউ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। ব্রহ্মে বিলীন হওয়ারও কোনো কথা নেই। এই নাটকটি পূর্ব রচিত, যার পুনরাবৃত্তি হতেই থাকে। বিশ্বের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কীভাবে রিপিট হয় এই কথা তোমরা জানো । মানুষ অর্থাৎ আত্মারা নিজের পিতা রচয়িতাকেও জানেনা , যাঁকে স্মরণও করে – ও গড ফাদার। দৈহিক পিতাকে কেউ গড ফাদার বলবে না। গড ফাদার শব্দটি খুব সম্মানের সাথে বলে। তাঁর উদ্দেশ্যেই বলে উনি হলেন পতিত-পাবন, দুঃখ হরণ কারী সুখ প্রদানকারী। একদিকে বলে উনি দুঃখ হরণকারী সুখ প্রদানকারী, পরে যদি কোনও দুঃখ হয় বা সন্তানের মৃত্যু হয় তখন বলে সুখ-দুঃখ ঈশ্বর প্রদান করেন। ঈশ্বর আমাদের সন্তানকে নিয়ে নিয়েছেন, এটা কি কাজ করলেন ! এই বলে কটূ কথা বলে ঈশ্বরকে। বলাও হয় ঈশ্বর সন্তান দিয়েছেন পরে উনি যদি ফেরৎ নিয়েছেন তো তোমরা কাঁদো কেন। ঈশ্বরের কাছে ফিরে গেছে তাইনা। সত্য যুগে কেউ কখনও কাঁদে না। বাবা বোঝান কাঁদবার তো দরকার নেই। আত্মাকে নিজের হিসেব নিকেশ অনুযায়ী পার্ট প্লে করতে হবে। জ্ঞান না থাকার জন্য মানুষ অনেক কাঁদে। পাগল হয়ে যায়, এখানে তো বাবা বোঝান – মায়ের মৃত্যুতেও হালুয়া খেও…. পিতার মৃত্যুতেও হালুয়া খেও… নষ্টমোহ হতে হবে। আমাদের তো একমাত্র অসীমের পিতা আছেন, অন্য কেউ নয়। বাচ্চাদের এমন অবস্থা হওয়া উচিত। মোহজিত রাজার কাহিনী শুনেছো, তাইনা। সত্যযুগে কোনো দুঃখের কথা থাকে না। অকালে মৃত্যুও থাকে না। বাচ্চারা জানে আমরা কালের উপরে বিজয় লাভ করি। বাবাকে মহাকালও বলা হয়, কালেরও কাল। তোমাদেরকে কালের উপরে জয় লাভ করতে হবে অর্থাৎ কাল কখনও গ্রাস করবে না। কাল আত্মা ও শরীর দুটিকেই গ্রাস করতে পারে না। আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্যটি ধারণ করে। যাকে বলা হয় কাল গ্রাস করেছে, যদিও কাল বলে কিছু নেই। মানুষ মহিমা বর্ণনা করতে থাকে, কিছুই বোঝে না। অচ্যুতম্ কেশবম্… বাবা বোঝান এই ৫ – বিকার তোমাদের বুদ্ধিকে খারাপ করে দিয়েছে। এই সময় কেউ বাবাকে জানেনা তাই এই দুনিয়াকে অরফ্যান অর্থাৎ অনাথের দুনিয়া বলা হয়। নিজেদের মধ্যে কত লড়াই করে। এই সম্পূর্ণ দুনিয়া হল বাবার ঘর তাইনা। বাবা সম্পূর্ণ দুনিয়ার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে পতিত থেকে পবিত্র করতে এসেছেন। অর্ধকল্প যথাযথভাবে পবিত্র দুনিয়া ছিল তাইনা। গানও করে রাম রাজা রাম প্রজা… সেখানে অধর্মের কথা হবে কীভাবে। বলাও হয় সেখানে বাঘে ছাগলে এক সঙ্গে জল খায়, তাহলে সেখানে রাবণ ইত্যাদি আসবে কীভাবে। বুঝতে পারে না, বাইরের মানুষ এই কথা শুনে উপহাস করে। বাবা এসে জ্ঞান প্রদান করেন, এ হল পতিত দুনিয়া তাইনা। উনি প্রেরণার দ্বারা পতিতদেরকে পবিত্র করবেন নাকি! আহ্বানও করে পতিত-পাবন এসো তাই নিশ্চয়ই ভারতে এসেছিলেন। এখনও বলেন আমি জ্ঞানের সাগর এসেছি – তোমাদেরকে নিজসম মাস্টার জ্ঞান সাগরে পরিণত করতে। বাবাকেই প্রকৃত সত্য ব্যাস দেব বলা হবে। অর্থাৎ বাবা হলেন ব্যাসদেব আর তোমরা বাচ্চারা হলে তাঁর সন্তান সুখদেব, তোমরা এখন সুখের দেবতা হয়েছো। সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো এই ব্যাসদেব, শিবাচার্যের কাছে। তোমরা হলে ব্যাসদেবের সন্তান। কিন্তু মানুষ যাতে কনফিউজ না হয় তাই বলা হয় শিবের সন্তান। তাঁর আসল নাম হল শিব। আত্মার জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, পরমাত্মার জ্ঞানও প্রাপ্ত হয়। তিনি এসে পতিতদের পবিত্র করেন। বলেন আত্মারা, আমি তোমাদের পিতা। বলা হয় অঙ্গুষ্ঠ সম। এত বড় সাইজ হলে তো এখানে স্থির থাকতে পারবে না। তিনি তো হলেন সূক্ষ্ম। ডাক্তাররাও খুব বুদ্ধি খাটিয়ে চেষ্টা করে – আত্মাকে দেখার জন্য। কিন্তু আত্মাকে তো দেখা যায় না। আত্মাকে রিয়ালাইজ করা যায়। বাবা জিজ্ঞাসা করেন এখন তোমরা আত্মাকে রিয়ালাইজ করেছ ? এত সূক্ষ্ম আত্মাতে অবিনাশী পার্ট ভরা আছে। যেন একটি রেকর্ড। প্রথমে তোমরা দেহ-অভিমানী ছিলে, এখন দেহী-অভিমানী হয়েছো। তোমরা জানো আমাদের আত্মা ৮৪ জন্ম কীভাবে নিয়ে এসেছে। তার কোনো শেষ নেই। কেউ জিজ্ঞাসা করে – এই ড্রামা কবে আরম্ভ হয়েছে। কিন্তু এই ড্রামা তো হল অনাদি, এর কোনো বিনাশ হয় না। একেই বলা হয় পূর্ব রচিত অবিনাশী ড্রামা। ওয়ার্ল্ডের কথাও তোমরা জানো। যেমন অশিক্ষিত বাচ্চাদেরকে পড়ানো হয়, ঠিক তেমন ভাবে বাবা বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদেরকে পড়ান। আত্মা নিজ শরীরের দ্বারা পড়া পড়ে। এই হল পাথর বুদ্ধিদের জন্য ভোজন। বুদ্ধি বোধ প্রাপ্ত করে। বাচ্চারা, তোমাদের জন্যই বাবা চিত্র গুলি বানিয়েছেন। খুব সহজ। ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর এবারে ব্রহ্মাকে ত্রিমুর্তি কেন বলা হয়। দেব-দেব মহাদেব…. এক দুইয়ের উপরে রাখা হয়। অর্থ কিছুই জানে না। এখন ব্রহ্মা হবে কীভাবে, যখন ব্রহ্মাকে প্রজাপিতা বলা হয়। সুক্ষ্মবতনে ব্রহ্মা দেবতা থাকবেন কীভাবে । প্রজাপিতা তো এখানে থাকা উচিত। এইসব কথা কোনো শাস্ত্রে লেখা নেই। বাবা বলেন – আমি এই শরীরে প্রবেশ করে এনার দ্বারা তোমাদেরকে বোঝাই, এনাকে নিজের রথ বানিয়েছি। এনার (ব্রহ্মার) অনেক জন্মের শেষে আমি আসি। ব্রহ্মাও ৫ বিকারের সন্ন্যাস করেন। সন্ন্যাস যে করে তাকে যোগী ঋষি বলা হয়। এখন তোমরা হলে রাজঋষি। তোমরা প্রতিজ্ঞা কর। ওই সন্ন্যাসীরা ঘর সংসার ত্যাগ করে থাকে। এখানে তো স্ত্রী-পুরুষ একত্রে থাকে। তারা বলে আমরা কখনো বিকারগ্রস্ত হবো না। মুখ্য কথা হল বিকারের।

তোমরা জানো শিববাবা হলেন রচয়িতা। তিনি নতুন দুনিয়া রচনা করেন। তিনি হলেন বীজরূপ সত্য চিত্ত, আনন্দের সাগর, জ্ঞানের সাগর। স্থাপনা, পালনা, বিনাশ কীভাবে করেন – সেকথা একমাত্র বাবা জানেন। এই কথা গুলি মানুষ জানে না। তোমরা বাচ্চারা এখন এইসব কথা গুলি জানো, তাই সবাইকে বোঝাতে পারো। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) প্রতিটি আত্মার নিজস্ব কর্মের হিসেব নিকাশ আছে, তাই কেউ শরীর ত্যাগ করলে চোখের জল ফেলবে না। সম্পূর্ণ নষ্ট মোহ হতে হবে। এই কথা বুদ্ধিতে যেন থাকে আমাদের আপন হলেন একমাত্র অসীম জগতের বাবা, অন্য কেউ নয়।

২) ৫ বিকারগুলি যে বুদ্ধিকে খারাপ করে সেসব ত্যাগ করতে হবে। সুখের দেবতা স্বরূপে সবাইকে সুখ প্রদান করতে হবে। কাউকে দুঃখ দেবে না।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা একে অপরের সংস্কারকে জেনে সংস্কার পরিবর্তনের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে, তারা কখনও এমন ভাবে না যে, এ তো এমনই, তখন বলা হবে নলেজফুল। তারা নিজেকে দেখে এবং নির্বিঘ্ন থাকে। তাদের সংস্কার হল বাবার মতন দয়ালু। দয়ালু দৃষ্টি, ঘৃণার দৃষ্টিকে সমাপ্ত করে দেয়। এমন দয়ালু হৃদয়ের বাচ্চারা কখনও নিজেদের মধ্যে খিটি মিটি করে না। তারা সুপুত্র হয়ে প্রমাণ দেয়।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী দেবীর অমূল্য মহাবাক্য – “অখন্ড জ্যোতি তত্ত্ব হল সাইলেন্স লজ এবং সাকারী দুনিয়া প্লে গ্রাউন্ড”

আত্মাদের নিবাস স্থান হল অখন্ড জ্যোতি মহত্ত্ব, যেখানে এই শরীরের পার্ট থেকে মুক্ত থাকে অর্থাৎ সুখ – দুঃখ থেকে ডিট্যাচ অবস্থা থাকে যাকে সাইলেন্স লজ-ও বলা হয় এবং আত্মাদের শরীর ধারণ করে অভিনয় করার স্থান হল প্লে গ্রাউন্ড এই সাকারী দুনিয়া। অতএব মুখ্য দুটি দুনিয়ার একটি হল নিরাকারী দুনিয়া, দ্বিতীয়টি হল সাকারী দুনিয়া। দুনিয়ার মানুষ তো শুধু কথায় বলে যে, পরমাত্মা হলেন রচয়িতা, পালন করেন, সংহার করেন, খাওয়ান, মারেন, দহন করেনও তিনি। সুতরাং দুঃখ সুখ সব তিনিই দেন, যখন কোনো দুঃখ আসে তখন বলে প্রভু তোমার স্মরণ খুব মিষ্টি লাগে, এই হল অযথার্থ জ্ঞান কারণ এই কর্ম পরমাত্মার নয়, তিনি হলেন দুঃখ হরণকারী, দুঃখ প্রদানকারী নন। জন্ম নেওয়া জন্ম ত্যাগ করা, দুঃখ সুখ ভোগ করা প্রত্যেক মানুষের আত্মার সংস্কার। শারীরিক জন্ম দায়ী মাতা পিতার সঙ্গে নির্দিষ্ট কর্ম বন্ধন অনুসারে পিতা পুত্রের সম্বন্ধে যুক্ত হয়, সেই অনুযায়ী আত্মাদের পিতা হলেন পরমাত্মা, তাহলে উনি কীভাবে অসীম জগতের রচনার স্থাপনা, পালনা করেন ! কীভাবে তিনি তিনটি রূপের ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের রচয়িতা, তারপরে এই আকারী রূপের দ্বারা দৈবী সৃষ্টির স্থাপনা, আসুরি দুনিয়ার বিনাশ এবং পুনরায় দৈবী সৃষ্টিতে পালনা করান। অসীম জগতের এই তিনটি কর্তব্য হল পরমাত্মার। বাকি এই দুঃখ-সুখ, জনম-মরণ কর্মানুসারে হয়। পরমাত্মা তো হলেন সুখ প্রদানকারী, তিনি নিজের সন্তানদের দুঃখ দেন না। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top