27 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 26, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - যোগবলের দ্বারাই আত্মার জং দূর হবে, তাই যোগে কখনোই গাফিলতি ক'রো না"

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদের অসীম জগতের উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য কোন্ যুক্তি বলেছেন, যাতে মায়া চতুর্দিকে বিঘ্ন সৃষ্টি করে ?

উত্তরঃ -:-

বাবা এই যুক্তি বলেছেন — বাচ্চারা, তোমরা ব্রহ্মাকুমার – কুমারীরা এক বাবার সন্তান, নিজেদের মধ্যে ভাই – বোন, তোমরা কখনোই অপরাধমূলক আচরণ করতে পারো না । ভাই – বোন কখনো বিকারে যেতে পারে না, তোমাদের শিব বাবার মতে চলে অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । মায়াও কিন্তু কম নয়, চারিদিকে এতেই বিঘ্ন এনে উপস্থিত করে । আমরা ভাই – বোন, এক বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি, এ’কথা ভুলে যায় ।

গান:-

তোমাকে পেয়ে আমরা সমস্ত জগৎ পেয়ে গেছি….

ওম্ শান্তি । গীতের এই একটি লাইনই যথেষ্ট । বাচ্চারা জানে যে, অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার পাওয়া যায়, আর কল্প – কল্প তা প্রাপ্ত হয় । বাচ্চারা এও জানে যে, এই অসীম জগতের উত্তরাধিকার বরাবর ভারতই পেয়েছিলো । এখন আর তা নেই, আবার নতুন করে পাচ্ছে । তোমরা দেখো যে – এখন তো স্বর্গের উত্তরাধিকার নেই, মানুষ রাবণের দ্বারা নরকের অভিশাপ প্রাপ্ত করছে । এই অভিশাপে মানুষ দুঃখী হয় । বর অর্থাৎ আশীর্বাদে মানুষ সুখী হয় । ব্রাহ্মণ বাচ্চারা এখন জানে যে, তিনি হলেন অসীম জগতের নিরাকার বাবা, আর প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন অসীম জগতের সাকার বাবা । অসীম জগতের সাকার বাবা প্রজাপিতা ব্রহ্মা ছাড়া আর কেউই হয় না । যদিও গান্ধীকে বাপুজী বলা হতো, কিন্তু নিয়ম অনুসারে তিনি তো সম্পূর্ণ মনুষ্য সৃষ্টির বাপুজী হতে পারেন না । সম্পূর্ণ নিরাকারী দুনিয়ার বাপুজী হলেন শিব । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, আমরা শিববাবার হয়েছি । শিববাবা এসে আমাদের আপন করে নিয়েছেন উত্তরাধিকার দান করার জন্য । মধুবন কিসের জন্য আসে ? শিববাবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য, কিন্তু তিনি হলেন নিরাকার । কেবল শিববাবা বললে বুঝতে পারবে না, তাই বলা হয় বাপদাদা । শিববাবা আর ব্রহ্মা দাদা । দাদুর নাম আলাদা আর বাবার নাম আলাদা । ওই নিরাকার যেমন সকলের বাবা, তেমনি সকলের দাদুও । সমস্ত বাচ্চারা বাপদাদার থেকে অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে । অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে সবাই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে । ওই বাবাই হলেন সকলের দুঃখহর্তা আর সুখকর্তা । সত্যযুগে কোনো মনুষ্যই দুঃখী থাকে না । নামই হলো স্বর্গ, আর তিনি হলেন সেই স্বর্গ স্থাপনাকারী গড ফাদার । ভারত হলো সবথেকে পুরানো, তাহলে অবশ্যই সবথেকে নতুন ছিলো, তাই তো এখন সবথেকে পুরানো হয়েছে । সত্যযুগ – কলিযুগ ভারতের জন্যই বলা হয় । বরাবর ভারতই স্বর্গ ছিলো । এই লক্ষ্মী নারায়ণ সেখানে রাজত্ব করতেন । এ কথা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে ॥ এখন তোমরা যখন লক্ষ্মী – নারায়ণের মন্দিরে যাবে, তোমাদের বুদ্ধিতে ঝট করে আসবে যে, এঁরা কিভাবে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিলেন । এনারা কিভাবে পূজ্য হয়েছিলেন । এনারা কবে রাজত্ব করেছিলেন ? কার কাছে রাজত্ব পেয়েছিলেন ? এই সবই তোমাদের বুদ্ধিতে আসবে ॥ আগে তোমরা লক্ষ্মী – নারায়ণের মন্দিরে যেতে আর মালা জপ করতে । এঁদের কর্তব্য সম্বন্ধে কিছুই জানতে না । এখন এ কথা কেবল তোমাদের বুদ্ধিতেই আছে, তাও নম্বরের ক্রমানুসারে । এখন তোমরা যখন লক্ষ্মী – নারায়ণের মন্দিরে গিয়ে দাঁড়াবে, তখন আনন্দিত হবে । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, এনারা এই প্রালব্ধ কিভাবে পেয়েছিলেন ॥ সঙ্গমযুগেই পেয়েছিলেন, কেননা সঙ্গম যুগেই পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হয় । সঙ্গম যুগে এসেই বাবা রাজযোগ শিখিয়েছিলেন । তোমরা এও জানো যে, অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে বরাবর এই ব্রহ্মাই ছিলেন । ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরীর স্থাপনা হয় । এই লক্ষ্মী – নারায়ণই আগের জন্মে বরাবর ব্রহ্মা – সরস্বতী ছিলেন । ব্রহ্মার সঙ্গে ব্রাহ্মণ – ব্রাহ্মনীরাও থাকবে । সত্যযুগে লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজধানী ছিলো, তাই না । অবশ্যই প্রজাপিতাও থাকবে । তোমরা জানো যে, আমরা এখন পুরুষার্থ করছি, যারা পূর্ব কল্পে পুরুষার্থ করেছিলো, তাদেরও আমরা সাক্ষী হয়ে দেখি । এক হয় রাজ ঘরানা, আর এক হয় প্রজা ঘরানা । এদের মধ্যেও অনেকে খুব বিত্তবান হয়, আবার অনেকে কম । রাজাদের মধ্যেও অনেকে অনেক বিত্তবান, অনেকে কম বিত্তবান হয় । তোমরা লক্ষ্মী – নারায়ণের মন্দিরে গিয়ে যে কাউকেই বোঝাতে পারো যে, এনারা এই রাজ্য কিভাবে পেয়েছেন । আবার নতুন করে সেই রাজ্য ভাগ্যই নিচ্ছে, আবার রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । এ কতো সহজ । অম্বা কে — এও কেউ জানে না । তোমরা বলবে, ইনি তো জগদম্বা । কল্প পূর্বেও জগৎ অম্বা – জগৎ পিতা ছিলেন । তাঁদের সন্তান আমরাও ছিলাম । সঙ্গমে বাবা রাজযোগ শেখাচ্ছেন । জগদম্বার সন্তানও অনেক, কিন্তু এতো সবাইকে তো আর এখানে বসানো যাবে না ।

তোমরা এখন জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন পেয়েছো । বাবা যখন জ্ঞানের সাগর তখন অবশ্যই বাচ্চাদের জ্ঞানই দান করবেন । তাঁকে না মানুষ, না দেবতা বলা হয় । তাঁকে পরমাত্মাই বলা হয় । তোমরা যে কোনো মন্দিরে গিয়ে তাদের এনাদের বায়োগ্রাফি বা জীবনী বলতে পারো । রামের কথাও তোমরা বোঝাতে পারো । চন্দ্রবংশী ঘরানা এখন স্থাপন হচ্ছে । ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদের ধর্মও স্থাপন হয় ব্রহ্মার নাম কতো উজ্জ্বল । ব্রহ্মার দ্বারা বাবা ব্রাহ্মণদের রচনা করেন । তোমরা ব্রহ্মাকুমার – কুমারী হওয়ার কারণে জানো যে, আমরা এক বাবার সন্তান নিজেদের মধ্যে ভাই – বোন সম্পর্কে । তাহলে আমরা নিজেদের মধ্যে অপরাধ মূলক আচরণ করতে পারি না । ভাই – বোন বিকারে যেতে পারে না । বাবা এই যুক্তির রচনা করেছেন – ড্রামা অনুসারে তুমিও ব্রহ্মাকুমার আর আমিও ব্রহ্মাকুমারী । বাস্তবে সম্পূর্ণ দুনিয়া হলো বি.কে, কিন্তু কেউ জানেই না । আমরা শিববাবার মতে চলে এই অসীম জগতের উত্তরাধিকার নিচ্ছি । মায়াও কিন্তু কম নয় । চারিদিকে বিঘ্ন এনে উপস্থিত করতে থাকে । আমরা ভাই – বোন, এক বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি, একথা ভুলে যায় । এ তো তোমরা খুব ভালোভাবেই বোঝো যে, সত্যযুগে একই ধর্ম থাকে । বাকি সব ধর্মই শেষ হয়ে যায় । বাচ্চারা এও জানে যে, এ কোনো নতুন কথা নয় । প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর এই চক্র ঘুরতে থাকে । তিথি – তারিখও লেখা আছে । এও তোমাদের বুদ্ধিতে থাকা উচিত যে — আমরা শিব বাবার কাছে এই যুক্তিতে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি । লক্ষ্য তো পাওয়াই গেছে তাই না । বাবাকে স্মরণ করে বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । স্মরণ অর্থাৎ যোগবলের দ্বারাই জং দূর হবে । এতে যাতে কোনো গাফিলতি না হয় তাই মুরলী দেওয়া হয় । নিশ্চয়বুদ্ধি যদি দৃঢ় হয় তাহলে যেখানেই যাও না কেন, কোনো অসুবিধা নেই । মনে করো, মুরলী যদি নাও পেলে, তাহলেও তো বুদ্ধিতে আছে যে, আমি বাবার হয়ে গেছি । বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমাদের আত্মা এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছে, তোমরা এখন বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে । এই মহামন্ত্র এক বাবাই বলেন, আর কেউই বলতে পারে না । বাবাই বলেন – মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চারা, স্মরণের বলেই তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে । এ হলো অক্ষর, কিন্তু কারোর বুদ্ধিতেই আসে না । তোমরা এখন বুঝতে পারো, বরাবর কল্প পূর্বেও বাবা এই অক্ষর বলেছিলেন যে, দেহের সব ধর্মকে ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা মনে করো । এ সব তো দেহের ধর্ম, তাই না । সকলের বাবা একজনই । সব আত্মারা ওই এক বাবাকেই ডাকতে থাকে । পোপও গডকেই স্মরণ করে । বলেন, ও গড ফাদার, দয়া করো । এই মানুষদের ক্রোধী বুদ্ধিকে পরিবর্তন করো যাতে তারা নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে । স্মরণ তো বাবাকেই করবে, তাই না । আর কাউকেই স্মরণ করে না । শিব বাবাকেই ডাকতে থাকে যে, তুমি এসে পতিতদের পবিত্র করো । পবিত্র হলেই তো এই ছিঃ – ছিঃ রাবণের দুনিয়াতে থাকতে পারবে না, তাহলে তখন অবশ্যই নতুন দুনিয়া চাই । কলিযুগ পরিবর্তন হয়ে সত্যযুগ তো হবেই, তাই না, কিন্তু এও বুঝতে পারে না । এক ডাক্তার এসেছিলেন — বলেছিলেন, কলিযুগ তো কলিযুগই চলবে । আরে, সদা কলিযুগ কিভাবে চলবে ? কলিযুগ কি ভালো ? কিছু বুঝতেই পারে না, কেবল ভাবনা আছে তাই অন্যদেরও নিয়ে আসে । ওদের তীর লাগে না, কিন্তু যাদের নিয়ে আসে, তাদের যদি তীর লেগে যায়, তাহলেও কিছু পারিশ্রমিক প্রাপ্ত করবে । আমরা স্বর্গে এসে যাবো । বাবার কাছে এসে অল্প কিছুও যদি শোনে, তাহলেও স্বর্গে অবশ্যই চলে যাবে । তবুও হেভেনলী গড ফাদারের সামনে এসে বসে । বাবা বোঝান — আমি তো সকলের বাবা, তাই না । কেউ আবার মানেও না, তারা বলে – শিব বাবা কিভাবে আসবে ? আরে, আত্মা যদি আসতে পারে তাহলে আমি কেন আসতে পারবো না । আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে যদি অন্য শরীরে যেতে পারে, তাহলে আমি কেন আসতে পারবো না ? না হলে আমি কিভাবে আসবো ? মানুষ ডাকতেও থাকে যে, হে পতিত পাবন বাবা, তুমি এসে পতিতকে পবিত্র করো । বাবা বলেন, আমি ভারতেই আসি । কল্প – কল্পের সঙ্গমে আমি একবারই আসি । তোমরা যখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করো, তখন আমি আসি । বাচ্চারা, তোমাদের এই নিশ্চয়তা আছে যে, বাবা আবার উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন । বাবা বলেন, আমার কাজই হলো পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন করে নতুন দুনিয়া স্থাপন করা, তাই গায়নও আছে — নতুন দুনিয়ার স্থাপনা আর পুরানো দুনিয়ার বিনাশ, এরপর তোমরা পালনা করবে । তোমরা তো আলোকিত হয়েছো, তাই না । কালীর মন্দির দেখলে তোমরা বুঝতে পারবে যে, এ হলো মিথ্যা চিত্র । কালীই জগদম্বা, কিন্তু এমন ভয়ানক রূপ নয় । বাংলায় কালীর সামনে বলি দেওয়া হয়, কিন্তু মানুষ কিছুই জানে না । জগদম্বার মন্দিরে হাজার হাজার মানুষ আসে । সর্বদা যেন এক মেলা । ছোটো মূর্তি রাখা আছে, তাই না । নাম রেখে দিয়েছে জগদম্বা । এখন জগদম্বা তো একজন হওয়া উচিত । সিন্ধুদেশে কালীর মন্দির কেমন বানানো হয়েছে । একবার কেল্লার মধ্যে বোম্ব ফেটে গিয়েছিলো, তখন ফকির বলেছিলো, কালী মাতা রাগ করেছেন, ব্যস্, মানুষ গিয়ে সেখানে কালীর মন্দির তৈরী করে দিয়েছিলো । এখন এই কালী কে ! মানুষ কিছুই জানে না । তোমরা এখন জ্ঞান পেয়েছো, এমন কিছুই নেই, যা তোমাদের অজানা । তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি, তাই আমাদের সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করা উচিত, তাই না ।

প্রথম নম্বরের দুঃখ তখন শুরু হয়, যখন কুমার – কুমারী বিবাহ করে । তোমাদের তো বিবাহ করার খেয়াল আসাও উচিত নয় । বাবা এখন বলছেন, এই রাবণ রাজ্য এখন শেষ হয়ে যাবে । এ হলো বিকারী গৃহস্থ ব্যবহার । দেবী – দেবতার জন্য মহিমা করা হয় । এ কেউই জানে না যে, এই দেবী – দেবতাদের কে নির্বিকারী বানিয়েছিলেন । সত্যযুগ হলো সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া । শাস্ত্রে আবার দেখিয়ে দিয়েছে যে, ওখানেও বিকার ছিলো, কিন্তু সে তো হলো নির্বিকারী দুনিয়া, বিকারী দুনিয়া আর নির্বিকারী দুনিয়ার মধ্যে কতো তফাৎ । এই কথা আর কারোর বুদ্ধিতেই নেই । তোমরা জানো যে, যখন এই লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজত্ব ছিলো, তখন এখানে কতো অল্প মনুষ্য ছিলো । তখন একই ধর্ম ছিলো, তারপর তা বৃদ্ধি পেয়েছে । চক্রও সম্পূর্ণ করতে হয়, তখন বলা হবে সম্পূর্ণ পৃথিবীর চক্র লাগিয়েছে । সমুদ্রকে তো আর প্রদক্ষিণ করতে পারে না । সত্যযুগে কতো অল্প মনুষ্য থাকে, তাই কতো অল্প জমিতে তারা থাকে । এখন মনুষ্য সৃষ্টির সীমা সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । উপরে যে অল্প আত্মা আছে, তারাও আসতে থাকছে । মানুষ বাড়তেই থাকছে । যখন ওখান থেকে আত্মা আসা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, তোমরা কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবে, তারপর আত্মাদের শরীর ত্যাগ করে যেতে হবে । ওদের আসা আর তোমাদের যাওয়া হবে । অল্প অল্প করে আসতে থাকে । এ তো বোঝার মতো কথা, তাই না । আমরা প্রথমে গিয়ে ওখানে থাকবো । আমরা থাকতে অন্য কেউই সেখানে থাকবে না । এ হলো বিস্তারের কথা । বাবা তবুও বাচ্চাদের বলেন — আচ্ছা, তোমাদের প্রিয় বাবুলকে স্মরণ করো । বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের লাভ আছে । এই হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি তো মানুষ অনেকই পড়ে । তারা অনেক দূরে দূরে যায় । চাঁদেও যায় । এ হলো সায়েন্সের অহংকার, যা অতি’তে যায় । চাঁদে তো কিছুই নেই । তোমরা তো সূর্য – চাঁদ থেকেও পারে চলে যাও । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন এই জ্ঞান আছে । তোমরা বুঝতে পারো যে, ড্রামার প্ল্যান অনুসারে বাবা এই সব কথা বলেন । বাবাই বলেন – আমি তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র বানাই । এ হলো আমার পার্ট । ভক্তি মার্গেও এ আমারই পার্ট । এ তো ড্রামা, তাই না । তোমরা যেমন পার্টধারী, আমিও তেমনই পার্টধারী । আমার কাজই হলো তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র করা । যে কিছু করে, তার তো মহিমা হয়, তাই না । এই লক্ষ্মী – নারায়ণের কতো মহিমা, কিন্তু তাঁদের এমন উপযুক্ত কে বানিয়েছে । এনারা সুখধামের মালিক ছিলেন । এখন তো অনেক প্রকারের কতো দুঃখ । আজ কেউ মারা গেলো, কারোর ঝগড়া হলো, যদিও কারোর কাছে লাখ – কোটি টাকা আছে, কিন্তু যদি রোগগ্রস্ত হয়ে যায়, তাহলে কি করবে । বিরলার কাছে কতো অর্থ আছে । এক জন্মের অর্থ দেখা যায়, কিন্তু এমন কেউই নেই, যার কোনো দুঃখ নেই । কোনো না কোনো প্রকারের দুঃখ সকলেরই হয় । এখন তো এই পয়সা ইত্যাদি সবই মাটিতে মিশে যাবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করে ঘরে ফিরে যেতে হবে, কিন্তু তখনই যাবে, যখন আত্মাদের আসা বন্ধ হবে, এই বিস্তারকে বুদ্ধিতে রেখে এক অতি প্রিয় বাবাকে (বাবুল’কে) ভালোবাসার সাথে স্মরণ করতে হবে ।

২ ) তোমরা জ্ঞানের আলোক পেয়েছো, তাই নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে হবে । যেখানেই থাকো, স্মরণের বলে আত্মাকে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান বানানোর পুরুষার্থ করতে হবে ।

বরদানঃ-

সময় হলো তোমাদের রচনা, তোমরা মাস্টার রচয়িতা । রচয়িতা রচনার আধারে হয় না । রচয়িতা রচনাকে অধীন করে, তাই এমন কখনোই চিন্তা ক’রো না যে, সময় নিজে থেকেই তোমাদের সম্পূর্ণ করে দেবে । তোমাদের সম্পূর্ণ হয়ে সময়কে নিকটে আনতে হবে । এমনিতে কোনো বিঘ্ন এলে সময় অনুযায়ী তা অবশ্যই চলে যাবে, কিন্তু সময়ের পূর্বে পরিবর্তন শক্তির দ্বারা তাকে পরিবর্তন করে দাও — তাহলে তার প্রাপ্তি তোমার হয়ে যাবে । সময়ের আধারে পরিবর্তন করলে প্রাপ্তি তোমার হবে না ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top